Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Summer Health Tips: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    Summer Health Tips: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মকালে সবারই কোনও না কোনও সমস্যা দেখা যায়। একদিকে যেমন শারীরিক ক্লান্তি থেকে শুরু করে শক্তির অভাব, মাথা ব্যথা, স্ফীতভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তেমনি অ্যাসিডিটি বা বদহজম প্রায়ই অস্বস্তি তৈরি করে। গরমকালে খাবার হজম করা খুবই কঠিন, ফলে হজমের গোলমাল বেশিই দেখা যায়।

    ছোটবেলায় আপনার যখন হজমের সমস্যা দেখা যেত, মনে করে দেখুন তো, আপনার মা দ্রুত স্বস্তির জন্য কী কী করতেন। সাধারণত খাবারে দই-ভাত, খিচুড়ি খেতে দিতেন। আপেল, কলা কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, তা নিয়ে বলতেন। সম্ভবত ঠাকুরমা কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধ দিতেন। সেইসঙ্গে বাবাও ফাস্টফুড না খাওয়ার পরামর্শ দিতেন।

    এবারে জেনে নেওয়া যাক আপনার খাদ্যতালিকায় কোন কোন খাবার থাকলে বদহজম থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হচ্ছে যা আপনার গ্যাসের সমস্যা, স্ফীতভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, অ্য়াসিডিটি, বদহজম ইত্যাদি সবরকমের সমস্যা দূর করে সুস্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করবে।

    ১) যেসব ফলে কম পরিমাণ ফ্রুক্টোজ রয়েছে সেসব ফল খাওয়া উচিত। যেমন- আঙুর, আপেল, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। কারণ কম ফ্রুক্টোজ যুক্ত ফল গ্যাস, স্ফীতভাবের সমস্যার প্রবণতাকে কম করে। বেশি ফ্রুক্টোজ যুক্ত ফলগুলি হল- আম, তরমুজ, চেরি, কলা ইত্যাদি।

    ২) উপযুক্ত পরিমাণে শস্য জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে- দিনে তিনবার শস্যজাতীয় খাবার খেলে অল্প বয়সে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। 

    ৩) বেশি করে সবুজ শাকসবজি যেমন- পালং শাক,বাঁধাকপি খাওয়া উচিত। এই ধরণের শাকে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে আছে যা খাবার হজমে সহায়তা করে ও অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভালো রাখতে উপকারি ব্যাকটেরিয়াকে সাহায্য করে। সুতরাং ব্যাকটেরিয়াগুলি কীভাবে কাজ করবে তা আমাদের খাবারের উপর নির্ভর করে।

    ৪) খাদ্যে প্রোবায়োটিক যা কার্যকরী খাদ্য নামে পরিচিত সেগুলি বৃহদান্ত্রের জন্য উপকারী। প্রোবায়োটিক খাবার যেমন- দই, চিজ ইত্যাদি। 

    দই- বাড়িতে তৈরি দই, বাটারমিল্ক খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

    কেফির – কেফিরে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি,অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল আছে যা স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী।
     
    চিজ-খাদ্যতালিকায় চিজ রাখা উচিত কারণ এর প্রোবায়োটিক শুধুমাত্র অন্ত্রের জন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

    ৫) শেষে যার কথা না বললেই নয়, তা হল জল। জল ছাড়া সুস্বাস্থ্য গড়ে তোলা কখনই সম্ভব নয়। জল শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দিতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতাকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।  তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন প্রায় ৬-৮ গ্লাস জল খাওয়া উচিত।

    এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমনো উচিত। পুষ্টিকর খাদ্য় খাওয়া উচিত। সঙ্গে ব্যায়ামও করা উচিত। আবার সময়মত ডাক্তারের পরামর্শও নেওয়া উচিত।

     

  • Covid 19: বাড়ছে সংক্রমণ, চতুর্থ ওয়েভের শঙ্কা, মাস্ক বাধ্যতামূলক দিল্লিতে, ৫ রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

    Covid 19: বাড়ছে সংক্রমণ, চতুর্থ ওয়েভের শঙ্কা, মাস্ক বাধ্যতামূলক দিল্লিতে, ৫ রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টায় দেশে আবার বাড়ল কোভিডের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। ভারতে নতুন করে একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন দু’হাজার ৬৭ জন। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,২৪৭ জন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬৬ শতাংশ বাড়ল করোনা রোগীর সংখ্যা। দিল্লিতে এক দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে ৬৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

    সংক্রমণের জেরেই আবার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে মাস্ক। বুধবার দিল্লিতে জানিয়ে দেওয়া হল এই কথা। বলা হল, আবার মাস্ক পরতেই হবে। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদেরই নয়, শিশু, কিশোর-কিশোরীদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হল দিল্লিতে। এভাবেই আপাতত চতুর্থ ঢেউ আটকানোর কথা ভাবছে সরকার। তার সঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণেও।

    তবে এর মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠেছে। স্কুল কি আবার বন্ধ হবে?

    এখনই তার কোনও আশঙ্কা নেই। এমনই বলা হয়েছে। স্কুল খোলাই থাকবে। ক্লাসও হবে নিয়ম করে। আগামী সময়ে পরিস্থিতি বিচার করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। তবে রাস্তায় বেরোতে গেলে তো বটেই স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলেও পরে থাকতে হবে মাস্ক। নতুবা জরিমানা দিতে হবে। মাস্ক না পরা অবস্থায় কাউকে দেখা গেলেই ৫০০টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

    ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার মাঝেই, দেশের পাঁচ রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, এই রাজ্যগুলি থেকেই ভারতের মোট কেসলোড এবং উচ্চ হারে সংক্রমণের খবর আসছে। এই পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যকে সংক্রমণের বিস্তারের উপর নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার এবং কোভিড -১৯ সংক্রমণ রোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাজকর্মের উপর বিধি নিষেধ তুলে দেওয়ার আগে ঝুঁকির মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। 

    রাজ্যগুলিকে কোভিডের টিকাকরণের উপর জোড় দিতে বলা হয়েছে।  ভিড় জায়গায় মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে ভূষণ আরও বলেন, যে রাজ্যগুলিকে অবশ্যই কঠোর নজরদারি বজায় রাখতেই হবে এবং সংক্রমণের যে কোনও বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অগ্রিম পদক্ষেপ নিতে হবে। উদ্বেগজনক ক্ষেত্রগুলিতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং তাৎক্ষনিক ফলোআপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি । উদ্বেগ বেড়েছে কেরলকে নিয়েও। কেরলেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশো ছুঁইছুঁই। সে রাজ্যে এক দিনে ৪৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

  • Swasthya Sathi scheme: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থার হাতে

    Swasthya Sathi scheme: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থার হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এবার একটি গ্লোবাল কনসালটেন্সি ( global consultancy)সংস্থার হাতে তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ই ওয়াই (আর্নাস্ট অ্যান্ড ইয়াঙ্গ) নামে ওই সংস্থা এই প্রকল্পটির ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো খুঁজে বের করবে বলে জানানো হয়েছে। কীভাবে এই প্রকপ্লের পরিমার্জন সম্ভব তা-ও জানাবে তারা। 
    স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরেও, বেসরকারি হাসপাতালগুলির (private hospital)বিল মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকার বলে সম্প্রতি স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়েছিল পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন। দ্রুত বিল মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসচিব (health secretery)। অন্যদিকে এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি নিতে চাইছে না বলে অভিযোগ আসছিল রাজ্য সরকারের কাছে। সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্য পড়ে নাভিশ্বাস উঠছিল রোগী এবং তার পরিবারের।  স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ঘিরে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তার মেঘ। তা দূর করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছ। 
    স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi scheme )কার্ড থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালীর হস্তক্ষেপে হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়, বলে দাবি করে বহু রোগীর পরিবার। অনেকে আবার তা-ও পায় না। হাসপাতালে ঘুরে ঘুরেই দিন কেটে যায়। হাসপাতালগুলির তরফে দাবি করা হয়,  এই প্রকল্পে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সরকারের সঙ্গ চুক্তি অনুযায়ী, হাসপাতালে শয্যাসংখ্যার ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় থাকে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা থাকে তার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে সবসময় বেড (beds at hospital) পাওয়া যায় না। 
     জনসাধারণের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে সরকার। কোনও রোগের চিকিৎসায় ৫ লক্ষ টাকা অবধি ক্যাশলেস পরিষেবা পাওয়া যায় এই প্রকল্পে। অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফে সম্প্রতি জানানো হয়,  করোনা পরিস্থিতির পরে চিকিৎসার খরচ অনেকাংশে বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার খরচ পুনর্বিবেচনা করুক রাজ্য সরকার। না হলে, বর্তমান চিকিৎসার খরচে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। ৩ বছর আগে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার খরচের পুনর্মূল্যায়ন করেছিল রাজ্য সরকার। ১৫ মাস আগে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার খরচ বাড়ানো হয়। কিন্তু এখন ফের খরচের পুনর্মূল্যায়ন জরুরি।

      

     

  • Vitamin C: রোজ ভিটামিন সি গ্রহণ করছেন? সাবধান! অতিরিক্ত ভিটামিন সি ডেকে আনতে পারে বিপদ

    Vitamin C: রোজ ভিটামিন সি গ্রহণ করছেন? সাবধান! অতিরিক্ত ভিটামিন সি ডেকে আনতে পারে বিপদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিটামিন সি Vitamin C) আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন। পুষ্টির অভাব, ভুল খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনসহ নানা কারণে শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিতে পারে। ফলে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার ডায়েটে রাখা উচিত। কারণ ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুলের যত্নেও এর জুড়ি নেই। ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    অনেকে আবার করোনা (Corona) আবহের থেকে ভিটামিন সি-এর ট্যাবলেট খেতে শুরু করেছেন ও রোজই খাচ্ছেন। ফলে এক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে কিছু সমস্যা। কারণ মনে রাখতে হবে যে কোনও ভিটামিনই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই এটা কখনওই ঠিক নয় যে ভিটামিন যত খাবেন তত ভালো। ফলে ভিটামিন সি খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমন আছে ক্ষতিকর প্রভাবও।

    ভিটামিন সি-এর উপকারিতা-

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন সি একটি কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ফ্রি র‌্যাডিক্যাল নামক ক্ষতিকারক কণাগুলিকে দূর করে। এটি আঘাত বা সংক্রমণের পর দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।

    ইমিউন সিস্টেমকে সাহায্য করে

    ভিটামিন সি রোগ সংক্রমন থেকে দূরে রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, রোগ কমাতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    ক্যান্সার প্রতিরোধ

    ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত লোকেদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে৷ ভিটামিন সি ক্যান্সার রোগীদের জন্যও সহায়ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন সি অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    ভিটামিন সি অতিরিক্ত খেলে কী কী হতে পারে?

    কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়

    ভিটামিন সি-তে অক্সালেটস রয়েছে। তা থেকে কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রতিদিন ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না।

    পাকস্থলীর সমস্যা

    দীর্ঘদিন ধরে বেশি মাত্রায় ভিটামিন সি খেলে শরীরে  তা জমা হতে পারে এবং পেটে ব্যথা, বমি, অম্বল এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে৷

  • Post Covid syndrom:করোনা সেরে গেলও ক্লান্তি, দূর করতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম

    Post Covid syndrom:করোনা সেরে গেলও ক্লান্তি, দূর করতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্লান্তি শব্দটি সকলের কাছেই আলাদা। অর্থাৎ, অনেকেই মনে করেন ক্লান্তি মানে পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই ক্লান্তি অর্থাৎ মানসিক চাপ, কিংবা কোনও একধরনের অস্বস্তি। অনেক সময় বহুদিন নড়াচড়া না করলেও শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হয়।  যে কোনও ভাইরাল ইনফেকশনের পর ক্লান্ত লাগা খুবই সাধারণ সমস্যা। আর করোনা পরবর্তী সময়ে (Post covid syndrom)প্রায় সকলেই ক্লান্তি অনুভব করেছেন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে যখন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity) লড়াই করতে থাকে, তখন থেকেই শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়। শরীরে ভাইরাসের প্রভাব কমে গেলে বেশি দুর্বল লাগে। প্যান্ডামিকের (pandemic)শুরু থেকেই মানুষ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছেন এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কম করে ৮৫% মানুষ ক্লান্তির সমস্যায় ভুগছেন। এটি কিন্তু দীর্ঘ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে দীর্ঘদিন ক্লান্তিভাব থাকলে তা চিন্তা বাড়িয়ে তোলে। মনে হতেই পারে, হাজার বিশ্রাম নিয়েও শরীর ভাল হচ্ছে না তাহলে করণীয়। মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম। সেরে উঠবেন সহজেই। 

    বেশি করে জলপান করুন
    করোনায় শরীর শুকিয়ে যায়। তাই বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল পান করুন। সঙ্গে ফলের রস, দইয়ের ঘোল জাতীয় পানীয়ও গ্রহণ করতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। 

    প্রোটিন জাতীয় খাবার খান
    ক্লান্তি দূর করতে প্রোটিন (protin) জাতীয় খাবার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার খাদ্য তালিকায় উদ্ভিজ ও প্রাণীজ, দু’ ধরনের প্রোটিনই রাখুন। প্রাতঃরাশের সময় ডিম খান। মাছ, কিংবা মাংস খান একবেলা। লাঞ্চ ও ডিনারে ১ বাটি করে ডাল খেতে পারেন। সঙ্গে সয়াবিন, পনির, দুধ থাকুক খাদ্যতালিকায়। 

    নিয়মিত ফল খান
    ভিটামিন সি-যুক্ত ফল লেবু, আপেল, কলা, বাদাম  প্রতিদিন খান। মরসুমি ফল খুবই উপকারী। ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ-ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

    বিশ্রাম নিন
    করোনা নেগেটিভ মানেই আপনি পুরোপুরি সুস্থ এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং, সেরে উঠতে অনেকেরই মাসখানেক লেগে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন। পারলে বাড়ি থেকে কাজ করুন। নিজের যত্ন নিন। এই সময় খুব বেশি শরীরচর্চা না করাই ভালো।  হালকা যোগাসন (yoga), ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন।  ঘুমের দিকে অবশ্যই নজর দেওয়া দরকার। একেবারে ক্লান্ত লাগলে ঘুম নিয়ে কার্পণ্য করবেন না। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। তবে আবার দীর্ঘদিন নিজেকে অসুস্থ ভেবে ভয় পাবেন না। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করুন। নিজের গতিশীলতা বাড়ান। অল্প অল্প করে বাইরে যান। সকলের সঙ্গে মিশুন। দ্রুত সরে উঠবেন। 

    মন ভালো রাখুন
    অনেকেই করোনা থেকে সেরে উঠে অবসাদে ভুগছেন। আসলে অনেকের মনে করোনা নিয়ে একটা নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে।  তাই এসময়ে মন ভালো রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। গান শোনা, বই পড়া, সিনেমা দেখা যা ভাল লাগে করুন।

  • orthopedic mattresses: ব্যথা দূর করতে ব্যবহার করুন অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস

    orthopedic mattresses: ব্যথা দূর করতে ব্যবহার করুন অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুম (well sleep)। তবে ঘুম থেকে উঠে যদি মাটিতে পা ফেলতে কষ্ট হয়, পিঠের শিড়দাঁড়া বেঁকে যায়, কোমর যদি যন্ত্রণায় ফেটে পড়ে তাহলে শুয়ে লাভ কী?
    ডাক্তার দেখালেই জানা যায় শোওয়ার দোষে অথবা উপযুক্ত গদি বা ম্যাট্রেসের অভাবেই শরীরের এই হাল হয়েছে। সারাদিন বাড়ি ও অফিসের কাজ সামলাবার পর, ক্লান্ত শরীর চায় একটু আরামের ঘুম। তাই প্রয়োজন উপযুক্ত বিছানা এবং বিছানার কমফর্টের জন্য সঠিক সরঞ্জাম, যার মধ্যে ম্যাট্রেস এবং বালিশ সবথেকে জরুরি। শরীরের আরাম হলেই ব্যথা, যন্ত্রণার হাত থেকেও অব্যাহতি মেলে। 

    কেন অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস:
    উপযুক্ত গদি অথবা ম্যাট্রেস ভালো ঘুম হতে যেমন সাহায্য করে তেমনি স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস শিরদাঁড়ার হাড়ে চাপ সৃষ্টি হতে দেয় না, তাই কোমরের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই চিকিৎসকেরা এই ম্যাট্রেস ব্যবহারের উপর জোড় দিচ্ছেন।   যাদের শিরদাঁড়ায় ব্যথার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যে পেন কেয়ার ম্যাট্রেস অত্যন্ত উপযোগী। বাজারে এই ম্যাট্রেসের চাহিদা বেশ ভালো। এর বাজার মূল্য সাধারণত ১৫ থেকে শুরু করে ২৫ -৩০ হাজার টাকার মধ্যে।

    ব্যাথা থাকলেই কী অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস:
    সুস্থ থাকার জন্য সবাই এই ধরনের ম্যাট্রেস ব্যবহার করতে পারেন। এখন বিশেষ কিছু কোম্পানি বাজারে এমন ম্যাট্রেস নিয়ে আসছে, যেগুলি আকুপাংচারের সঙ্গে স্পা-এর চাহিদাও অনেকটা মেটায়। অর্থোপেডিক ম্যাট্রেস কেনার আগে একবার চিকিসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। তাহলে কোনটা আপনার জন্য প্রযোজ্য তা বুঝতে পারবেন।

  • Superfoods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? হার্ট সতেজ রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সুপারফুডগুলো

    Superfoods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? হার্ট সতেজ রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সুপারফুডগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোও দুর্বল হয়ে পড়ে। আর বর্তমানে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বয়সেরও দরকার পড়ে না। যেই গতিতে হার্টের রোগ বাড়ছে, তাতে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। বিশেষত, এমন খাবার পাতে রাখার চেষ্টা করুন যা খেলে হার্ট ভালো থাকতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কয়েকটি সুপারফুডের বিষয়ে বলা হল যা হার্টের ক্ষেত্রে উপকারী, বিশেষ করে যারা ৫০ বছর পেরিয়ে গিয়েছেন তাদের ডায়েটে এই খাবারগুলো রাখা উচিত।

    দানা শস্য

    পরিশোধিত শস্যের বিপরীতে,  গোটা শস্য শরীরে, বিশেষ করে হার্টের জন্য অনেক বেশি সুবিধা প্রদান করে। পরিশ্রুত খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়,  কিন্তু গোটা শস্য হার্টোর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

    ডার্ক চকোলেট

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার আপনার শরীর এবং হার্টকে আমাদের চারপাশে উপস্থিত টক্সিন থেকে সুরক্ষিত রাখে। ডার্ক চকোলেট প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ যা হার্টের কার্যকারিতা উন্নত করে।

    ক্রুসিফেরাস সবজি

    ক্রুসিফেরাস শাকসবজি যা সবুজ শাক সবজি নামে পরিচিত তার মধ্যে রয়েছে লেটুস, বাঁধাকপি, পালং শাক, ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি। এই সবজি ফাইবার এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং হার্টের জন্য ভালো।

    চর্বিযুক্ত মাছ

    চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, টুনা ইত্যাদি প্রোটিন এবং উপকারী ফ্যাটের একটি বড় উৎস। শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এর পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ভিটামিন শোষণ করতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: পুরুষের তুলনায় বাঙালি মহিলারা নিরাপদ যৌন সংসর্গে বেশি আগ্রহী, বলছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট

    বাদাম

    বাদাম সবচেয়ে পুষ্টিকর সুপারফুডগুলির মধ্যে একটি। এগুলি পুষ্টিতে ভরপুর এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যকারিতা উন্নত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আখরোট অনেক করোনারি রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

    টমেটো

    টমেটো প্রদাহ কমায় এবং বিভিন্ন করোনারি রোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।

    অলিভ ওয়েল

    অলিভ অয়েল হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আরেকটি খাবার। বিভিন্ন তেল করোনারি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় যেখানে জলপাই তেল এটি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    লেগুম

    ৫০ বছরের বেশি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হৃদরোগের মধ্যে একটি হল কোলেস্টেরল। মুসুর ডাল, মটরশুটি এবং ছোলার মত লেগুম কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এগুলি প্রয়োজনীয় খনিজ লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ যা আমাদের দেহের কার্যকারিতায় সহায়তা করে।

    বেরি

    ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হল বেরি। এই উপাদানগুলি আমাদের হৃদয়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং উন্নত করে। ৪০-এর পরে আপনার ডায়েট সম্পর্কে খুব সতর্ক হওয়া উচিত।

  • Fish for Brain Health: মস্তিষ্কের ভালোর জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই মাছটি..

    Fish for Brain Health: মস্তিষ্কের ভালোর জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই মাছটি..

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্তিষ্ক হল শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের সমস্ত কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং মস্তিষ্ককে ভালো রাখার জন্য আমাদের বিশেষ নজর রাখা উচিত। আপনার লাইফস্টাইলের অনেকটাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে ভূমিকা পালন করে থাকে।

    ঘুম, শারীরিক ব্যায়াম এবং পুষ্টি হল কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনার মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ রাখতে পারে। যখন পুষ্টির কথা আসে, তখন কিছু খাবার আছে যা আমরা জানি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যগঠনে সাহায্য করতে পারে, যেমন— ওমেগা-৩, ফল, শাকসবজি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার।

    আরও পড়ুন: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    তবে ডায়টেশিয়ানদের মতে, মস্তিষ্কের ভালোর জন্য সবচেয়ে উপকারি হল মাছ। সামুদ্রিক মাছ পুরো স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারি, তবে মস্তিষ্কের জন্য বেশি উপকারি। সামুদ্রিক মাছ প্রোটিন, পুষ্টিকর ফ্যাট, ভিটামিন-বি, বিভিন্ন মিনারেলস যেমন— জিঙ্ক, আয়রন, আয়োডিন ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার। তবে মস্তিষ্কের জন্য স্যামন মাছ বেশি পুষ্টিকর।

    পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় অর্ধেক অংশই ফ্যাট, ওমেগা-৩ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (omega-3 polyunsaturated fatty acids) দিয়ে তৈরী। আর এই ফ্যাটের ৯০ শতাংশই docosahexaenoic acid (DHA)-এ পরিণত হয়ে থাকে। এই DHA-ই মস্তিষ্কের আকার তৈরীতে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: গরমকালে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন জাম, কী কী উপকারিতা জানেন?

    স্যামন মাছ ডিএইচএ (DHA) ,ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ইপিএ (Eicosapentaenoic acid)-তে সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ স্যামন মাছ মস্তিষ্কে brain-derived neurotrophic factor (BDNF) নামক প্রোটিন তৈরীতে সাহায্য করে যেটি মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধিতে ও নতুন কোষ তৈরীতে সহায়তা করে থাকে।সুতরাং স্যামন মাছ আপনার মস্তিষ্কের জন্য একেবারে উপযুক্ত খাবার।

    স্যামন মাছ আদতেও মস্তিষ্কের জন্য উপকারি কি না তা বুঝতে আপনাকে অবশ্যই সপ্তাহে দুবার এই মাছ খেয়ে দেখা উচিত। সপ্তাহে সেটি তিনবার খেলে আরও ভালো হয়। স্যামন মাছ ওভেনে সবজির সঙ্গে রোস্ট করে অথবা কারি বানিয়েও খেতে পারেন।

     

  • Bird Flu:  চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে  অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    Bird Flu: চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:করোনা-আবহেই আবার বার্ড-ফ্লু। মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ল চিনে। আক্রান্ত হয়েছে চার বছরের এক শিশু। চিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম। তবে এ বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন।

    চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, মধ্য হেনান প্রদেশে চার বছরের একটি শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায়, শিশুটি অ্যাভিয়ান ফ্লু-তে আক্রান্ত। জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই শিশুর বাড়িতে মুরগি এবং হাঁসের খামার রয়েছে, বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। সেখান থেকেই সরাসরি সংক্রমণ হয়েছে বলে অনুমান। 

    স্বাস্থ্য কমিশনের পরামর্শ, মৃত এবং অসুস্থ পাখির কাছে যেন নাগরিকরা না যান। যদি কোনও রকম উপসর্গ ধরা পড়ে তা হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে। বার্ড ফ্লু সাধারণত পাখি এবং হাঁস বা মুরগির হয়। মানবদেহে এই ফ্লু-র সংক্রমণের ঘটনা বিরল।

    ২০০২-এ উত্তর আমেরিকায় এই প্রজাতির সংক্রমণ ধরা পড়ে বুনো হাঁসের দেহে। ঘোড়া, কুকুর এবং সিল মাছের দেহেও এই ভাইরাস পাওয়া যায়। ২০১২-তে আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলে ১৬০টি সিল মাছের মৃত্যু হয়েছিল। তখন দাবি করা হয়, এইচ৩এন৮-এর সংক্রমণেই মৃত্যু হয় সিল মাছগুলির। ১৯৯৭ এবং ২০১৩ সালে বার্ড ফ্লু-র দু’টি প্রজাতি এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯ সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।

  • Non-Communicable Disease: সাবধান! সংক্রামক রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে ‘নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ’

    Non-Communicable Disease: সাবধান! সংক্রামক রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে ‘নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ কী, তা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করা হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ (World Health Organisation) থেকে। জানা গিয়েছে, প্রতি ২ সেকেন্ডে ১জন করে ৭০ বছরের কম বয়সী মারা যান নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ-এ।

    নন-কমিউনিকেবেল ডিজিজ (non communicable disease) কী?

    এগুলো এমন ধরনের রোগ যা এক ব্যক্তির দেহ থেকে আর এক ব্যক্তির দেহে যায় না। এগুলো সংক্রামক রোগ নয়। হৃদরোগ (cardiovascular disease), ক্যানসার, শ্বাসজনিত সমস্যা এবং ডায়াবেটিস- এই ধরনের রোগের সংখ্যা হঠাৎ করেই অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ভারতে, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো সবকটাই নন-কমিউনিকেবেল ডিজিজ (non communicable disease)।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, সেখানে লেখা আছে, “লক্ষ লক্ষ মানুষ – বিশেষ করে যেসব দেশে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই সেই দেশেই এই জাতীয় রোগে মারা যায় বেশি সংখ্যক মানুষ। প্রতি বছর ৭০ বছরের কম বয়সী ১৭ মিলিয়ন মানুষ এনসিডিতে মারা যায় এবং ৮৬ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছ তারা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে।”

    আরও পড়ুন: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    এতে উল্লেখ করা আছে যে, এই ননকমিউনিকেবল ডিজিসের মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার রোগ (হৃদরোগ এবং স্ট্রোক), ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ- বিশ্বে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মৃত্যুর কারণ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান এনসিডির পিছনের কারণগুলি হল সামাজিক, পরিবেশগত , বাণিজ্যিক এবং জেনেটিক। কিন্তু প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় – অর্থাৎ ৯৩ লক্ষ পরিবার প্রতি বছর ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে।

    তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সব রোগ এড়ানো যায় সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার, সময়মতো খাবার খাওয়া, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখার মাধ্যেমে সুস্থভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share