Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Climate change: তাপমাত্রার রকমফেরে ভোগান্তির শেষ নেই! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    Climate change: তাপমাত্রার রকমফেরে ভোগান্তির শেষ নেই! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শেষ নাকি বসন্তের শুরু, স্পষ্ট করে বোঝা মুশকিল। সকালে গাঢ় কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া। আবার বেলা বাড়তেই অস্বস্তি! সব মিলিয়ে আবহাওয়ার হাবভাব (Climate change) টের পাওয়া কঠিন। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে! আর তার জেরেই বাড়ছে ভোগান্তি। বিশেষত প্রবীণ ও শিশুদের নিয়ে বাড়তি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা জরুরি। না হলেই বাড়াবাড়ি হতে পারে।

    কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে? (Climate change)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। আর তার জেরেই বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ছে। সক্রিয় হচ্ছে নানান ব্যাকটেরিয়া। আর তার জেরেই নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ভাইরাস ঘটিত রোগের জেরে দেখা দিচ্ছে সর্দি-কাশি এবং জ্বর। বিশেষত শিশুদের এই সময়ে জ্বরের প্রকোপ বেশি‌ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রবীণদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্রবীণ মানুষই‌ ফুসফুসের অসুখে কাবু। বায়ুদূষণ সহ একাধিক কারণে তাঁদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। তার উপরে বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হওয়ায় শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাশি কমতে অনেকটাই সময় নিচ্ছে। অর্থাৎ সংক্রমণের দাপট অত্যন্ত বেশি। তাই ভোগান্তি বাড়ছে।
    শ্বাসনালীর সংক্রমণের জেরেও নানান ভোগান্তি দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাঁপানির সমস্যায় আক্রান্তদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি। তাই বছরের এই সময়ে তাঁদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
    তাছাড়া, এই সময়ে পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে পেটের অসুখ দেখা দিচ্ছে। হজমের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।

    চিকেন পক্স

    তবে বছরের এই সময়ে চিকেন পক্স নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়েই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই এই সময়ে যাতে সর্দি-জ্বর কাবু করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এসবের পাশপাশি বছরের এই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে (Climate change) অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এই সময়ে আবহাওয়ার জেরে এক ধরনের শুষ্কতা দেখা দেয়। তার ফলেই ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Climate change)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ভোরে বা সন্ধ্যায় বাইরে থাকলে গলা ও মাথা হালকা কাপড়ে ঢেকে রাখলে ভালো। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণদের জন্য এই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা হাওয়ার জেরে অনেক সময়েই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে ইনফেকশন হয়ে যায়। আর তার থেকেই জ্বর-কাশির মতো ভোগান্তি শুরু হয়। তাই সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
    পাশপাশি রাতে ঘুমানোর সময় পাতলা চাদর অবশ্যই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাতে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমবে।
    দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীর শক্তিশালী থাকা দরকার। তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন। তাই এই সময়ে (Temperature variation) নিয়মিত লেবুর রস খাওয়া দরকার। কারণ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমায়। আবার ভিটামিন সি ত্বকের জন্যও উপকারী। তাই এই লেবু, কিউই জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ত্বকের শুষ্কতার সমস্যাও কমবে।
    পেটের অসুখ মোকাবিলায় এই সময়ে (Climate change) অতিরিক্ত পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে আবহাওয়া শুষ্ক হয়। শরীরে যাতে জলের পরিমাণ কমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তাতে কমবে।
    সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ-মাংস-ডিমের মতো প্রাণীজ প্রোটিন হোক কিংবা সব্জি, যেকোনও রান্না কম তেলমশলায় করতে হবে। যাতে হজম সহজেই হয়। তাহলে একাধিক অসুখ মোকাবিলা সহজ হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Indian jujube: সরস্বতী পুজোর পরেই শুরু হয়েছে কুল খাওয়া! জানেন শরীরে কী প্রভাব পড়ছে?

    Indian jujube: সরস্বতী পুজোর পরেই শুরু হয়েছে কুল খাওয়া! জানেন শরীরে কী প্রভাব পড়ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাঙালির বাণীবন্দনা পর্বের পরেই শুরু হয় কুল! সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) পরেই বাজারে পাওয়া যায় অঢেল কুল। কেউ আচার বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ ফল হিসেবে খান। কেউ কেউ আবার নুন মাখিয়ে বিকেলে কুলমাখা খান! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ফলের শরীরে গভীর প্রভাব রয়েছে! কেউ‌ কেউ কুল থেকে একাধিক উপকারিতা লাভ করতে পারেন, আবার কুল বিপদও ডেকে আনতে পারে। তাই কুল (Indian jujube) খাওয়ার আগে এই ফল সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি। আসুন জেনে নিই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা।

    কুল থেকে কী উপকার পাওয়া যায় (Indian jujube)?

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বাঁচাবে সর্দি-কাশির হাত থেকে! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কুল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। এই সময়ে আবহাওয়ার রকমফের হয়। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করে। আর তার ফলে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। সর্দি-কাশিতে ভোগান্তি কম হবে।

    কুল (Indian jujube) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার!

    কুলের (Indian jujube) পুষ্টিগুণ প্রচুর। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এই ফল খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ থেকে সাধারণ জীবাণু বাহিত অসুখ, সবকিছুই মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই কুল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফল হিসেবে নিয়মিত কাঁচা কুল (Indian jujube) খেলে এর দুটো‌ বড় উপকার পাওয়া যেতে পারে। কুল রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কুল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্যও তাই এই ফল উপকারী। আবার ওজন কমাতেও এই ফল খুব সাহায্য করে। এই ফল প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে ডিটক্স করে। তাই ওজনেও নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্থুলতা রুখতে কুল খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    চামড়ার জন্য খুবই উপকারী কুল!

    ত্বকের সমস্যা মোকাবিলায় কুল (Indian jujube) বাড়তি সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার রকমফেরে‌ বছরের এই সময়ে ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায়। ফলে ত্বক রুক্ষ্ম হয়ে যায়। কুল এক্ষেত্রে খুবই উপকারী। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে চামড়া মসৃণ থাকে। রুক্ষ্মতা কমে।

    কাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে কুল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কুল (Indian jujube) কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, তার উপরেই এর বিপদ নির্ভর করছে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নুন মিশিয়ে কুল খান। নিয়মিত বাড়তি নুন খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। আবার কিডনির উপরেও বাড়তি চাপ তৈরি করে। বিশেষত যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এই নুন মেশানো কুল খুবই বিপজ্জনক। তাই কুল ফল হিসাবে শুধু খেলে এবং পরিমিত পরিমাণে খেলে এর উপকার পাওয়া যাবে।‌ না হলে এই ফল থেকেও নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Cancer: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! ভারতে এর সংখ্যা বাড়ছে কেন?

    Cancer: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি! ভারতে এর সংখ্যা বাড়ছে কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জীবন যাপনে বদল হয়েছে অনেকখানি। আধুনিক জীবনে ব্যস্ততা বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাসের ধরন। তার সঙ্গে বদল হচ্ছে ঘুমের সময়ের। পাশাপাশি পরিবেশ, আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। আর এই সবকিছুর শরীরে গভীর প্রভাব পড়ছে। বিশেষত শিশুদের (Children) শরীরে এর প্রভাব মারাত্মক। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের রিপোর্ট জানাচ্ছে শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের (Cancer) প্রকোপ বাড়ছে। যা যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে রিপোর্ট?

    ন্যাশনাল ক্যান্সার (Cancer) রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, ১৫ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে ০ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৪ শতাংশ। যা বছর দশেক আগেও অনেকটাই কম ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে শিশু (Children) ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কন্যাসন্তানের তুলনায় পুত্রসন্তানের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। সদ্যোজাত থেকে ১৪ বছর বয়সি এক মিলিয়ন ছেলের মধ্যে ২০৩ জন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে। সেই তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা ১২৫ জন।

    কেন শিশু শরীরে ক্যান্সার বাড়ছে?

    ক্যান্সার (Cancer) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিনগত মিউটেশনের জন্যই শরীরে ক্যান্সার হয়। হঠাৎ করেই শরীরের কোষে, জিনে এক ধরনের পরিবর্তন শুরু হয়। যার ফলেই ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ তৈরি হয়। এর নির্দিষ্ট কারণ বলা কঠিন। তবে‌ বেশ কিছু কারণের জেরেই এই জিনগত পরিবর্তন। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘জেনেটিক মিউটেশন’ বলা হয়।

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষত শিশুদের (Children) প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একাধিক প্রক্রিয়াজাত খাবার থাকছে। যার প্রভাব শরীরে মারাত্মকভাবে পড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নানান রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত মাংস নিয়মিত খেলে কিডনির, লিভার এবং পাকস্থলীতে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। দেহের ওজনও মারাত্মক বাড়তে থাকে।‌ স্থুলতা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

    নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ফল, সবজি, ডাল, রুটি খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের (Children) মধ্যে কমছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। কিন্তু অধিকাংশ শিশু এখন সবজি খায় না। নিয়মিত রুটি, ফলও খায় না। তার ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব দেখা দেয়। তাই ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকও বাড়ে।

    শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত পর্যাপ্ত বিশ্রাম। অনেক সময়েই শিশুদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয় না। নিয়মিত শরীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম হলে তবেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। নানান রোগের ঝুঁকি কমে। তাই ক্যান্সারের (Cancer) মতো‌ জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর রুটিন থাকা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

    ক্যান্সার (Cancer) বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুদের প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করতে হবে। সেদিকে অভিভাবকদের নজর দেওয়া দরকার। সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার‌ খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত রুটিন মাফিক শারীরিক কসরত, এগুলো যাতে হয় সেদিকে নজরদারি করলে রোগের ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • World Cancer Day 2025: দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা, ১২ থেকে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধির শঙ্কা

    World Cancer Day 2025: দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা, ১২ থেকে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধির শঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষয় হচ্ছে। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত হয়। সারা বিশ্বে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এদিন নানা পদক্ষেপ করা হয়। গত কয়েক দশকে, ক্যান্সার দেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠেছে। রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি ক্যান্সার। ভারতের জন্য ক্রমে এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর নতুন তথ্য অনুযায়ী, আগামী দিনে ভারতে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১২ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ বাড়বে।

    ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ

    আজকাল, দ্রুত নগরায়ন, অলস জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং দূষণের প্রতি বাড়তি এক্সপোজারের কারণে ক্যান্সার বিভিন্ন বয়সের মানুষকে আক্রান্ত করছে। বিশেষ করে বয়স্কদের চেয়ে তরুণদের মধ্যে বেশি ক্যান্সারের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহিলাদের মধ্যে সাধারণত সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ব্রেস্ট ক্যান্সার। পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। লাং ক্যান্সারও দুটি লিঙ্গের মধ্যেই সাধারণ। সিগারেট খাওয়া, স্থূলতা, দেরিতে ডায়াগনোসিস এবং সচেতনতার অভাব এই সমস্যার বাড়তি কারণ। ধূমপান করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যাদের ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, যারা ক্ষতিকর রাসায়নিক বা বিকিরণের সংস্পর্শে আসে, এবং যারা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ যেমন হেপাটাইটিস বা এইচপিভি আক্রান্ত, তাঁদের ক্যান্সার বেশি হয়। জীবনযাত্রার কারণে যেমন প্রসেসড খাবারের অতিরিক্ত ব্যবহার, অনুশীলনের অভাব এবং মদ্যপানের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

    ক্যান্সারের ধরন এবং প্রভাব

    বৈচিত্র্যময় খাদ্যাভ্যাস, ভৌগোলিক অবস্থান এবং জীবনযাত্রার কারণে ভারতে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পুরুষরা লাং এবং মুখগহ্বর ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হন, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট এবং সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। পেট, যকৃত এবং কোলন ক্যান্সারের প্রবণতাও বাড়ছে। ক্যান্সার শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যেই প্রভাব ফেলে না, এর চিকিৎসার ব্যয় অনেক সময় পরিবারগুলোর ওপর মানসিক ও আর্থিক চাপ তৈরি করে। যেমন, তামাক চিবানোর কারণে মুখগহ্বরের ক্যান্সার কেবল মুখের বিকৃতি ঘটায় না, এটি ভাষণ, খাওয়া এবং জীবিকার ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে।

    ক্যান্সারের চিকিৎসা

    ভারতে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয় একাধিক পদ্ধতির মাধ্যমে, যেমন সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি। প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সারে, বেশিরভাগ সময়, সার্জারি চিকিৎসার প্রথম ধাপ। বিশেষত কোলন ক্যান্সার বা মাথা এবং গলার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সার্জারি ছাড়া উপায় নেই। অনেক ক্যান্সার দেরিতে ধরা পড়ে, যার জন্য প্রথমে কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি বা ইমিউনোথেরাপি দিয়ে সেগুলি ছোট করা হয় এবং পরে সার্জারি করা হয়। তবে অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে দেরি করেন, ফলে রোগ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব হয় না। তখন কেবল রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

    রেডিয়েশন থেরাপি: ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হাতিয়ার

    রেডিয়েশন থেরাপি ক্যান্সার চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ক্যান্সার সেলের প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের ধ্বংস করে। রেডিয়েশন বেশিরভাগ ক্যান্সারের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষত ব্রেস্ট এবং সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, রেডিয়েশন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তবে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীদের ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এগুলি রেডিয়েশনের প্রভাবকে আরও খারাপ করতে পারে এবং জটিলতা তৈরি করতে পারে। এটি স্পষ্ট যে, ক্যান্সার মোকাবিলার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অপরিহার্য।

    ক্যান্সার প্রতিরোধে কেন্দ্রের ভূমিকা

    আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় ক্যান্সার আক্রান্ত বহু রোগী উপকৃত হয়েছেন, বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ রোগী তথা তাঁদের পরিবারের চিকিৎসার জন্য আর্থিক বোঝা অনেক কমে গিয়েছে ৷ ক্যান্সার মোকাবিলায় মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের একটি সমীক্ষা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী জানান, ওই সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে সময়মতো ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করার প্রবণতা আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে ৷ আগের থেকে অনেক বেশি সতর্ক হয়েছেন দেশের নাগরিকরা ৷ মারণ রোগে আক্রান্ত রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ভূমিকার উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রের এই প্রকল্পের জন্য ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশ সময়মতো চিকিৎসা শুরু করতে পেরেছেন ৷ আগে অর্থের অভাবে মারণ এই রোগের চিকিৎসা থেকে সরে দাঁড়াতেন দরিদ্র রোগীরা ৷ কিন্তু, আয়ুষ্মান ভারতের কারণে আজ তাঁরা নিজেরাই চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের এই প্রকল্প ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ অনেক কমিয়ে দিয়েছে ৷

    চলতি বছর বাজেটে ক্যান্সারের ভাবনা

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে সমস্ত জেলা হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী জানান, ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধের উপর মৌলিক শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে। এতে করে বড় রকমের সুবিধে পাবেন, ক্যান্সার, বিভিন্ন বিরল রোগ এবং অন্যান্য গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।

  • Hot Chocolate: শীতের সন্ধ্যায় সন্তানের বায়না হট চকলেটের! কোন রোগের উপশম হয় জানেন?

    Hot Chocolate: শীতের সন্ধ্যায় সন্তানের বায়না হট চকলেটের! কোন রোগের উপশম হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রার পারদ নামছে! শীতের আমেজ রাজ্য জুড়ে! নতুন বছরে শীতের যেন ঝড়ো ব্যাটিং! তবে, কতদিন স্থায়ী হবে সেই আমেজ, সে নিয়ে হাওয়া অফিস কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি। তবে শীত মানেই বাঙালির কাছে উৎসবের মেজাজ! পরিবারের খুদে সদস্যদের বায়নাও বাড়ে! কখনো বেড়াতে যাওয়ার আবার কখনো নানান রকমের খাবারের আবদার! শীতে কচিকাঁচাদের অন্যতম পছন্দের খাবার হট চকলেট! সন্ধ্যা হলেই অনেক খুদেই এককাপ হট‌ চকলেট তৈরি করে দেওয়ার আবদার করে! কিন্তু কতখানি স্বাস্থ্যকর এই খাবার? শরীরে কী প্রভাব ফেলে এ নিয়ে চিন্তায় থাকেন বহু বাবা-মা! তবে, ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে হট চকলেট (Hot Chocolate) শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী! তাই এই খাবার নিয়মিত খেলেও সমস্যা নেই (Disease Relief)।

    হট চকলেট খেলে কী উপকার হয়? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা ?

    হজম শক্তি বাড়ায়, স্থুলতা নিয়ন্ত্রণে রাখে! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হট চকলেট হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে (Disease Relief)। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই এই খাবার খেলে হজম শক্তি বাড়ে। পাশপাশি, ফাইবার দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই হট চকলেট (Hot Chocolate) ওজন নিয়ন্ত্রণে ও বাড়তি সাহায্য করে।

    স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি কমায় হট চকলেট!

    ইংল্যান্ডের এক সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, হট চকলেটে (Hot Chocolate) থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থ। এর ফলে এই খাবার স্নায়ুর জন্য বাড়তি উপকারী (Disease Relief) বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার খেলে স্নায়ু রোগের ঝুঁকি অনেক পরিমাণে কমে যায়।

    মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী!

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের নানান হরমোনের নিঃসরণের জন্যই মানসিক চাপ এবং অবসাদের মতো সমস্যা তৈরি হয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জেরেই সম্প্রতি নানান মানসিক রোগের প্রকোপ বাড়ছে। হট চকলেট (Hot Chocolate) জাতীয় খাবার শরীরে এন্ডোরফিনের ক্ষরণ বাড়ায়। স্ট্রেস হরমোনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে এই খাবার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভীষণ ভাবে উপকারী (Disease Relief)।

    হৃদযন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হট চকলেট (Hot Chocolate) খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার। তাই এই খাবার খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ভালো ভাবে হয়। শীতে, তাপমাত্রার পতনের কারণে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। তাই রক্ত সঞ্চালন ওঠানামা করে। ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগের মতো ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে হট চকলেট খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও (Disease Relief) কমে। শিশুদের পাশপাশি‌ তাই বড়দের জন্যও এই খাবার বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    হট চকলেট (Hot Chocolate) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ এই খাবারে রয়েছে ভালো কোলেস্টেরল। তাই দেহের জন্য এই খাবার বিশেষ উপকারী।

    ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বক ভালো রাখতে হট চকলেট বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হট চকলেটে (Hot Chocolate) থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড। এই উপাদান সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকেও‌ ত্বককে রক্ষা করে!

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়!

    সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হট চকলেটে (Hot Chocolate) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হট চকলেট খেলে সর্দি-কাশি‌ জাতীয় রোগের‌ মোকাবিলা (Disease Relief) ও সহজ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

    দেশেরখবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vitamin Deficiencies: শরীর অসাড়! আপনি কি অবসাদে ভুগছেন? কোন ভিটামিনের অভাব জানেন?

    Vitamin Deficiencies: শরীর অসাড়! আপনি কি অবসাদে ভুগছেন? কোন ভিটামিনের অভাব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর অসাড় থেকে অবসাদ, কোন ভিটামিনের অভাবে (Vitamin Deficiencies) এই একাধিক রোগ হতে পারে? ভারতে এই ভিটামিনের অভাবে ভুগছে কতজন? কীভাবে হবে সমাধান? এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৪৭ শতাংশ ভারতীয় ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে ভুগছেন! শিশু থেকে প্রবীণ বিভিন্ন বয়েসের মানুষ এই ভোগান্তির শিকার। তার ফলে একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। যা নিয়ে সচেতনতা বিশেষ নেই। এর জেরেই দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন আমাদের এই প্রতিবেদনটি।

    ভিটামিনের অভাবে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা বাড়ছে (Vitamin Deficiencies)

    হঠাৎ করেই অসাড় হয়ে যাচ্ছে হাত কিংবা পা, অথবা মন খারাপ হচ্ছে অকারণেই! কোনও কাজ করতেই আর ইচ্ছে হচ্ছে না! চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটি নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবেই (Vitamin Deficiencies) দেখা দিচ্ছে এই সব একাধিক উপসর্গ! শরীর সুস্থ রাখতে জরুরি একাধিক উপাদান। আর ভিটামিন সেই তালিকায় অন্যতম! রোগ মোকাবিলা শক্তি বাড়িয়ে শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিনের ভূমিকা খুব জরুরি‌। ভিটামিনের ঘাটতিতে বাড়তে পারে ভোগান্তি। আর সেই সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ভারতে ভিটামিনের অভাবে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। আর সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে ভিটামিন বি-১২।

    ভিটামিন বি-১২ মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই দীর্ঘসময় বসে থাকলে বা ঘুমোলে হাতে বা পায়ে এক ধরনের অসাড়তা অনুভব করেন। ভিটামিন বি-১২ অভাবে (Vitamin Deficiencies) এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। ভিটামিন বি-১২ স্নায়ুকে সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে শরীরের বিভিন্ন অংশের অস্থায়ী অসাড়তা দেখা দিতে পারে।

    ভিটামিন বি-১২ মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে মস্তিষ্কে এক ধরনের ক্লান্তিবোধ গ্রাস করে। এর ফলে ভুক্তভোগী কোনও কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন বি-১২ শরীরের বিশেষত মস্তিষ্কের কোষ সক্রিয় রাখতে খুব সাহায্য করে। তাই এই ভিটামিনের অভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে।

    ভিটামিন বি-১২ শরীরে একাধিক ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের ভিতরে বাজে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে ভিটামিন বি-১২। তাই এই ভিটামিনের অভাবে (Vitamin Deficiencies) শরীরে নানান ব্যাকটেরিয়া ঘটিত অসুখ হয়। বিশেষত নিয়মিত পেটের সমস্যার অন্যতম কারণ ভিটামিন বি-১২ অভাব। তাছাড়া, এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে জীবাণু সংক্রমণ বাড়ে। তাই শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন বি-১২ খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন বি-১২ অভাব মানসিক অবসাদ‌ তৈরি করে। কারণ, দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই ভিটামিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ!

    কীভাবে হবে সমাধান?

    আবার চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবার থেকে সহজেই ভিটামিন বি-১২ জোগান হতে পারে‌। তাই এই ভিটামিনের অভাব এবং তার উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন হলেই সমাধানের পথ সহজ হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ শিশুর আট থেকে দশ মাস বয়স থেকেই ভিটামিন বি-১২ জোগান সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও খাবারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রাণীজ খাবার থেকে সহজেই ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। নিয়মিত মাংস, ডিম জাতীয় খাবার খেলে শরীর সহজেই ভিটামিন বি-১২ পাবে (Vitamin Deficiencies)। তাছাড়া, দুধ, ঘি, পনীর থেকেও ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত এই দুধ জাতীয় খাবার মেনুতে রাখলেও এই ঘাটতি সহজেই পূরণ করা সম্ভব।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশেরখবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gulen Bari: গুলেন বারি! কেন হচ্ছে এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? কতটা বিপজ্জনক জানেন?

    Gulen Bari: গুলেন বারি! কেন হচ্ছে এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? কতটা বিপজ্জনক জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরেক আতঙ্ক হাজির! নাম গুলেন বারি (Gulen Bari)! মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই কয়েকশো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন! বাদ নেই কলকাতাও! আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে! তাই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে! করোনা মহামারির স্মৃতি এখনও টাটকা! তার মধ্যেই আরেকটি জটিল রোগের প্রকোপ বেড়ে চলায়, আতঙ্ক বাড়ছে! কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং, সতর্ক থাকলেই মোকাবিলা করা যাবে এই রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, গুলেন বারি এক বিরল প্রজাতির স্নায়ুঘটিত রোগ! তবে এই রোগ নিরাময় সম্ভব। প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদের ঝুঁকিও কম। মহামারির (Epidemic) আকার নেবে না। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং সচেতনতা জরুরি।

    গুলেন বারি কী (Gulen Bari)?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুলেন বারি (Gulen Bari) একটা স্নায়ু ঘটিত রোগ। যাকে অটোইমিউন ডিজঅর্ডার বলা হয়। অর্থাৎ এই রোগে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি, নিজের স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। হাত ও পায়ে অসাড়তা দেখা দেয়। আক্রান্ত খুব দ্রুত পক্ষাঘাতগ্রস্ত (Epidemic) হয়ে যেতে পারে।

    কেন হচ্ছে এই রোগ?

    স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম্পাইলো ব্যাক্টেরিয়া, সাইটোমেগালো ভাইরাসের মতো নানান জীবাণুর সংক্রমণ থেকে গুলেন বারি (Gulen Bari) সংক্রমণ হতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকলে এই রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। বিশেষত ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মতো সমস্যায় আক্রান্তদের এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগের সংক্রামক ক্ষমতা শক্তিশালী নয়। অর্থাৎ একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে এই রোগ ছড়ায় না। তবে, দূষিত জল এবং বিষাক্ত খাবার থেকেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই জল ও খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। বিশেষত শিশুদের পরিশ্রুত জল দেওয়া দরকার। যাতে এই রোগের প্রকোপ কমানো‌ যায়।

    কীভাবে চিনবেন এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উপসর্গ (Epidemic) সম্পর্কে সতর্কতা জরুরি (Gulen Bari)। তাহলে এই রোগ মোকাবিলা সহজ হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে কথা বলার ক্ষমতা কমে যায়। হাত ও পায়ে শিথিলতা দেখা যায়। হাঁটাচলার ক্ষমতা কমতে থাকে। মস্তিষ্কের ক্ষমতাও কমে। তাই দিনের স্বাভাবিক কাজের ক্ষমতা কমে যায়। আক্রান্ত হওয়ার দিন দশেকের মধ্যেই সমস্যা জটিল হয়ে যায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। রেসপিরেটরি যন্ত্রে অসাড়তা তৈরি হলেই আক্রান্ত শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তখন রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে।

    এই রোগ মোকাবিলা সম্ভব?

    স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গুলেন বারি (Gulen Bari) মোকাবিলা সম্ভব। যদি প্রাথমিক পর্বেই রোগ নির্ণয় করা যায় এবং চিকিৎসা শুরু হয় তাহলে সহজেই এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হয়। আবার স্বাভাবিক জীবনেও ফিরে আসা সম্ভব। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাহলে নির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এই‌ রোগে আক্রান্ত (Epidemic) হলে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। আক্রান্তের শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে। এর ফলে রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন হয়। আর তার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকা দরকার। অনেক সময়েই রোগীকে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস হাসপাতালে থাকতে হয়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Children’s Disease:  সন্তান পেটের অসুখে কাবু? শীতের মরশুমে কেন বাড়ছে এই ভোগান্তি?

    Children’s Disease: সন্তান পেটের অসুখে কাবু? শীতের মরশুমে কেন বাড়ছে এই ভোগান্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের মরশুমে (Winter Season) দাপট বাড়াচ্ছে পেটের অসুখ! বিশেষত শিশুরা পেটের অসুখে (Children’s Disease) বেশি কাবু হচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি মরশুমে শিশুদের পেটের অসুখ বাড়ছে। সঙ্গে হচ্ছে জ্বর। আর এই ভোগান্তি বেশ দীর্ঘমেয়াদি। ফলে, একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর তাই প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা এবং ডাক্তারদের পরামর্শ।

    কেন শিশুদের পেটের অসুখ বাড়ছে?

    শিশুরোগ (Children’s Disease) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের এই মরশুমে (Winter Season) পেটের অসুখ বাড়ছে! তার কারণ আবহাওয়া এবং খাবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় শরীরের ভিতর গরম হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যায়। তাই শরীর নিজস্ব ভাবে তাপমাত্রা তৈরি করে, যাতে এই আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে পারে। তার সঙ্গে শীতের মরশুমে নানান উৎসব থাকে। চলে নানান রকমের খাবার খাওয়া। আর এই দুইয়ের জেরেই বাড়ছে পেটের অসুখ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর গরম থাকার কারণে অনেক সময়েই হজমের গোলমাল হয়। তার জেরেই পেটের অসুখ হতে পারে। আবার শীতে অনেকেই অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খায়। বাড়ির ছোটদেরও দেওয়া হয় ওই খাবার। আর প্রাণীজ প্রোটিন‌ সহজপাচ্য হয় না। তাই পেটের সমস্যাও হতে পারে।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া যাবে না।‌ বিশেষত শিশুদের রাতের দিকে অতিরিক্ত মশলা জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন দেওয়া যাবে না। তাতে হজমের গোলমাল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। মাছ, মাংস কিংবা ডিম জাতীয় খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত সবজি থাকা জরুরি। এতে হজম ভালো‌ হয়, অন্ত্র সুস্থ থাকে। ফলে পেটের অসুখের ঝুঁকি কমে। নিয়মিত স্নান জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের আবহাওয়ায় (Winter Season) শরীর প্রাকৃতিক ভাবেই গরম থাকে। তাই পেটের গোলমাল এড়াতে নিয়মিত স্নান জরুরি। নিয়মিত স্নান করলে শরীর সুস্থ থাকবে। অসুখের ঝুঁকিও কমবে।

    নিয়মিত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া দরকার

    খাবারের জলের দিকে বাড়তি নজরদারি দরকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের পেটের অসুখের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত পরিশ্রুত জল নিশ্চিত করতে হবে। পাশপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ জল শিশু খাচ্ছে কিনা সেটাও নজরদারি জরুরি‌। কারণ, শরীরে জলের ঘাটতি হলে অন্ত্র এবং পাকস্থলীর নানান অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। শীতকালে (Winter Season) আরও বেশি পেটের সমস্যা দেখা যায়। নিয়মিত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া দরকার। তাছাড়া, হাত পরিষ্কার করার দিকেও‌ নজর দিতে হবে। খাওয়ার আগে এবং পরে, বাইরে থেকে এসে হাত পরিষ্কার করা হচ্ছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ, হাত থেকেই নানান ব্যাক্টেরিয়া শরীরে পৌঁছয়, যার থেকে একাধিক অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Guillain Barre Syndrome: আতঙ্কের আরেক নাম গুলেন বারি, মহারাষ্ট্রে মৃত ১ রোগী, পুণেতেই আক্রান্ত ১০১

    Guillain Barre Syndrome: আতঙ্কের আরেক নাম গুলেন বারি, মহারাষ্ট্রে মৃত ১ রোগী, পুণেতেই আক্রান্ত ১০১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এক বিরল স্নায়বিক রোগকে নিয়ে। মহারাষ্ট্রে লাফিয়ে বাড়ছে গুলেন বারি সিনড্রোমে (Guillain Barre Syndrome) আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে শুধু এমনটাই নয়, ইতিমধ্যেই এই অসুখ কেড়ে নিচ্ছে প্রাণও। সূত্রের খবর, গুলেন বারি সিনড্রোমে (Guillain Barre Syndrome) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের সোলাপুর থেকে একজনের সন্দেহভাজন জিবিএস-আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের পুণেতে গুলেন বারি আক্রান্তের সংখ্যা ১০১-এ পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। এনিয়ে সতর্কবার্তাও জারি করেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন।

     

    সংক্রমণ মানবদেহের স্নায়ুতে আক্রমণ করে (Guillain Barre Syndrome)

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরল স্নায়ুজনিত (Maharashtra) রোগ হল গুলেন বারি সিনড্রোম। এই সংক্রমণ মানবদেহের স্নায়ুতে আক্রমণ করে। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে ক্রমেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায় মানুষের। এরফলে অসাড় হয়ে যেতে থাকে শরীর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এরফলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন রোগীরা।

     

    মৃত ব্যক্তি ভর্তি ছিলেন সোলাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে

    জানা গিয়েছে, বিরল এই রোগে (Guillain Barre Syndrome) আক্রান্ত ব্যক্তি ভর্তি ছিলেন সোলাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই রোগীর ডায়েরিয়া ছিল। একইসঙ্গে সর্দিকাশিতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। হাসাপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ১৮ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা প্রথম থেকেই খারপ ছিল, তাই তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। পরে ওই ব্যক্তির অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে রেগুলার বেডে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, রবিবার হঠাৎ করেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই ব্যক্তির। এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়।

     

    প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে 

    বিরল রোগ ছড়িয়ে পড়াতে প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আক্রান্তদের স্বাস্থ্য নিয়মিত মনিটরিং করছেন চিকিৎসকরা। তবে কীভাবে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি, তবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, অস্বাস্থ্যকর খাবার বা পানীয় জল থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।

     

    বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোট ১০১জন রোগী

    তবে শুধুমাত্র সোলাপুর বা পুণে নয়, মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়, পুণে গ্রামীণ এবং আশেপাশের আরও কয়েকটি জেলায় জিবিএস-উপসর্গ নিয়ে আরও কয়েকজনকে শণাক্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সংখ্যা ১৮। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোট ১০১ জন আক্রান্ত। এর মধ্যে ১৬ জন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রোগীদের মধ্যে ৬৮ জন পুরুষ,৩৩ জন মহিলা।

     

    এটি আসলে স্নায়বিক অটোইমিউন রোগ

    বিরল রোগের ব্যাখা হিসেবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এটি আসলে স্নায়বিক অটোইমিউন রোগ। এই রোগের উপসর্গ হালকা থেকে বেশ গুরুতর হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অসুখে আক্রান্ত হলে পেশী একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে। ভিতরে কাঁপুনি আসতে পারে। একইসঙ্গে গায়ে-হাতে-পায়ে অসম্ভব ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অন্যদিকে, শ্বাসকষ্ট, হার্ট ও রক্তচাপের সমস্যাও হতে পারে এই রোগ থাকলে। পক্ষাঘাতেও আক্রান্ত হতে পারেন রোগী।

     

    বিরল এই অসুখ নিয়ে কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, গুলেন-বারি সিনড্রোম (Guillain Barre Syndrome) আসলে বিরল রোগের মধ্যেই পড়ে। তবে এর কারণ সম্পূর্ণরূপে জানা যায় না বলেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত বলে মনে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এটি ইমিউন সিস্টেমকে সরাসরি আক্রমণ করে। আরও জানানো হয়েছে, প্রথমে এই রোগের উপসর্গ হিসবে দেখা যায় বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া। তবে এরই মাঝে আশার কথাও শুনিয়েছে হু। এই অসুখ থেকে সেরে ওঠার হার বেশ ইতিবাচক বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু এর মতে, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। উপসর্গ অনুসারেই চিকিৎসা করা দরকার বলে মনে করে হু। একইসঙ্গে প্রয়োজন হতে পারে কিছু ইমিউনোলজিক্যাল থেরাপিরও।

     

    কোন কোন উপসর্গ দেখলে আপনি সতর্ক হবেন (Guillain Barre Syndrome)

    হাত-পায়ে দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।

    শরীর কাঁপতে পারে।

    পেশী দুর্বলতা, প্যারালিসিসের মতো অবস্থা হতে পারে।

    হাত এবং পায়ে সাড় চলে যেতে পারে।

    গিলতে বা কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে।

    পায়ে বা পিঠে তীব্র ব্যথা অনুভব হতে পারে।

    হতে পারে শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা।

    ঝাপসা দৃষ্টি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন বা উচ্চ রক্তচাপও এর লক্ষণ।

  • Excess work: সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করেন? অতিরিক্ত কাজের চাপ শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে?

    Excess work: সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করেন? অতিরিক্ত কাজের চাপ শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অফিস নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয়। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা মেপে শেষ হয় কি? বর্তমানে অধিকাংশ পেশাতেই বাড়ছে কাজের চাপ (Excess work)! বিশেষত বহুজাতিক সংস্থার কর্মীদের কাজের সময়সীমা নিয়ে অনেক সময়েই নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে! অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা কিংবা ভারত, সব দেশেই কর্মীরা কতক্ষণ কাজ করবেন, ছুটির পরেও অফিসকর্তার ফোন ধরবেন কিনা, শনিবার-রবিবার ছুটি পাবেন কিনা, এই সব নিয়ে নানান বিতর্ক চলছেই। আর এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে।

    কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নয়া রিপোর্ট? (Excess work)

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়‌। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে ১৭ শতাংশ। একই সঙ্গে বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও। অর্থাৎ, প্রতিদিন সাত ঘণ্টার বেশি সময় একটানা কাজ করলে তা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে শরীরে স্ট্রেস বেড়ে যায় (Pressure)। এছাড়াও একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। এমনকী অতিরিক্ত কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও কমতে থাকে।

    কেন অতিরিক্ত কাজ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত কাজ (Excess work) করলে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তার প্রধান কারণ হল স্ট্রেস। তাঁরা জানাচ্ছেন, একটানা কাজ করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন বের হয়। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ বারবার ওঠানামা করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে রক্তবাহী শিরার কার্যক্ষমতা কমে। শরীরে ঠিকমতো রক্ত সরবরাহ হয় না। এর জেরেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। 
    কাজের চাপে অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে‌ খাওয়ার সুযোগ পান না। যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। আর এই কারণেই ডায়াবেটিস থেকে স্থূলতা, কোলেস্টেরলের মতো একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার  ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্নায়ুর উপরেও মারাত্মক চাপ (Pressure) পড়ে বলে‌ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। একটানা স্নায়বিক চাপ নেওয়ার জেরে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে‌। ঠিকমতো বিশ্রাম না পেলেই তা গভীর প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্ক ঠিকমতো কার্যশক্তি পায় না। ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Excess work)

    কর্মস্থলের জেরে যাতে স্বাস্থ্যহানি না হয়, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি। কর্মীরা সুস্থ থাকলে তবেই কাজ ঠিকমতো হবে, এই নিয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। দরকার প্রয়োজনীয় কর্মশালা, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবার ও পেশাগত জীবনের মধ্যে ব্যালান্স হলে তবেই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্য দেখা যাবে। যার ফলে সহজেই শরীরের একাধিক জটিল রোগ আটকানো সহজ হবে। পাশপাশি ঘুমের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। শরীর যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, সেইভাবেই সারাদিনের রুটিন তৈরি করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share