Category: স্বাস্থ্য

Get updates on Health News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Fatty liver disease : লিভারে জমেছে মেদ ! সতর্ক হোন নাহলে হতে পারে লিভার ফেলইয়রও

    Fatty liver disease : লিভারে জমেছে মেদ ! সতর্ক হোন নাহলে হতে পারে লিভার ফেলইয়রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভার বা যকৃৎ সংক্রান্ত রোগ থেকে মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর ১৯ এপ্রিল বিশ্ব যকৃৎ দিবস (World Liver Day) পালন করা হয়। যকৃৎ আমাদের শরীরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর জটিলতা সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জানা যাক। লিভার সংক্রান্ত একটি বড় সমস্যা হল ফ্যাটি লিভার।

    Fatty liver disease :  ফ্যাটি লিভারের সমস্যা – এখন প্রায় ঘরে ঘরে। হজমের সমস্যা, পেটের যন্ত্রণা, খাবারের তালিকায় একটু রদবদল হলেই বদহজম হতে পারে। ঠিক কোন কোন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হল

    পেট ফুলে যাওয়া ( Abdominal swelling)
    ত্বকের নিচে থাকা ব্লাড ভেসেল ফুলে যাওয়া  (Enlarged blood vessels just beneath the skin’s surface)
    প্লীহা বেড়ে যাওয়া ( Enlarged spleen) 
    হাতের পাতা লাল হয়ে যাওয়া (Red palms)
    অনেক ক্ষেত্রে চোখে হলুদ ভাব (Yellowing of the skin and eyes)

    Fatty Liver Syndrome কখন হয় ? 

    পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় লিভার। খাদ্যে মূলত ৬ রকমের পুষ্টি উপকরণ থেকে থাকে। কার্বোহাইড্রেট, শর্করা , প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন , মিনারেল ও জল। ক্ষুদ্রান্ত্রের ইলিয়ামে (ileum intestine) এই ছ’টি জিনিস পরিপাকের পর শোষণ হয়। তারপর তা একটি সার্কুলেশনে যায়। যাকে পোর্টাল সার্কুলেশন হয়। পোর্টাল ভেইনের মারফত এই খাবারগুলো লিভারে পৌঁছায়। লিভারই এই খাদ্যকে বিভিন্ন দিকে চালিত করে। শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলে প্রোটিন বা ফ্যাট থেকে শর্করা তৈরি করতে পারে লিভার। গ্লুকোনিওজেনেসিস (gluconeogenesis)  বলে। গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলে, গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন হিসেবে স্টোর করে লিভার।

    ফ্যাটের পরিমাণ বাড়লে লিভার ফ্যাট নিজের মধ্যে স্টোর করতে পারে। যদি অতিরিক্তি ফ্যাট আসে লিভারে, তখন তার কিছুটা জমা হয় লিভারে, কিছুটা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে স্থান পায়। তাতে একজন মানুষ স্থূলকায় হয়ে পড়েন। লিভারের অধিকাংশ কোষে যদি ফ্যাট স্টোর হয়ে যায়, তখনই তাকে ফ্যাটি লিভার সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে।

    ওই কোষগুলি তখন খাদ্য পরিপাকের কাজটি ভালভাবে করে উঠতে পারে না। লিভারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফ‍্যাট জমে লিভার বড় হয়ে যায়। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে যে ফ্যাটি লিভার হয়, তাকে অ্যালকোহলিক ফ‍্যাটি লিভার বলা হয়ে থাকে।

    Alcoholic fatty liver disease : 
    অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে যে অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে জমা হয়, তার থেকে লিভার স্থূল হয়ে যায়। লিভারের কোষগুলি অতিরিক্ত ফ্যাটের ভাণ্ডার হয়ে ওঠে।

    Nonalcoholic fatty liver disease : 
    নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিসিজ হয়ে থাকে  অতিরিক্ত তেল-চর্বি জাতীয় ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে। 

    ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনশৈলিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। তার কয়েকটি হল  –

    তেল-চর্বি, ঝাল, ভাজাভুজি খাবার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন ।
    খাবারের পরিমান শরীরের প্রয়োজন ও ক্যালরির খরচের সঙ্গে তাল রেখে নিয়ন্ত্রণ করুন।
    শহুরে জীবনযাত্রার অন্যতম অঙ্গ হয়ে গিয়েছে ফাস্ট ফুড । এই খাবারগুলি সহজপাচ্য তো নয়ই, উপরন্তু অপকারী ফ্যাটের সম্ভার।
    এড়িয়ে চলুন পেস্ট্রি -বার্গার.. এই জাতীয় খাবার ।
    অতিরিক্ত চিনি দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। প্যাকেজড  ফ্রুট জুস খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
    সফট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন।
    সেডেন্টারি লাইফ স্টাইল নয় ! ফ্যাট এনার্জি যোগায়। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি হলেই বিপত্তি। তাই অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে রোজ এক্সারসাইজ করুন। হাঁটুন। দরকারে জিমে যান। 

  • Reduce salt intake:নুন নৈব নৈব চ! ভাল থাকবে শরীর

    Reduce salt intake:নুন নৈব নৈব চ! ভাল থাকবে শরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মশলা ছাড়া রান্না হয় কিন্তু নুন ছাড়া নয়। নুন হল সেই উপাদান যেটি ছাড়া কোনও খাবারই সুস্বাদু হয়ে ওঠে না। লবণ ছাড়া খাবার অসম্পূর্ণ। তবে রান্নায় নুন কম হলে যেমন খাওয়া যায় না, তেমনই বেশি হলেও মুখে তোলা দায়। কম বা বেশি লবণ খাবারের স্বাদ একেবারেই নষ্ট করে দেয়। আবার পরিমাণমতো লবণ সেই খাবারকেই সুস্বাদু করে তোলে। নুনের মূল উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইডও আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, আমাদের শরীরে ঠিক কতটা নুনের প্রয়োজন। অনেক সময়ই আমরা না বুঝে দৈনিক খাদ্যতালিকায় বেশি লবণ গ্রহণ করে ফেলি, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)এর মতে, অত্যধিক নুন শরীরে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা তৈরি করে। হু-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আমরা দৈনিক প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে নুন খাচ্ছি। যা আমাদের ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,  দৈনিক মাত্র পাঁচ গ্রাম নুন গ্রহণ করার কথা বলছে।
    হু-এর অভিমত, অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ, মূলত লবণের মাধ্যমে এবং অপর্যাপ্ত পটাশিয়াম গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈনিক পাঁচ গ্রামের কম লবণ গ্রহণ করা, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, করোনারি হার্ট অ্যাটাক, প্রভৃতির ঝুঁকি কম করে। WHO-এর মতে, বেশিরভাগ মানুষই প্রতিদিন গড়ে ৯-১২ গ্রাম লবণ গ্রহণ করে। যদি বিশ্বব্যাপী লবণ গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে বছরে আনুমানিক ২৫ লক্ষ মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হতে পারে।

    কখন নুন খাবেন না 
    বিশ্বজুড়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার প্রতিদিনের সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ দ্রুত বাড়াচ্ছে।

    হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে: হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের রক্তচাপ কমাতে চিকিৎসকেরা প্রথমেই নুন খাওয়া কমানোর পরামর্শ দেন। কারণ কি জানেন? নুন শরীরে প্রবেশ করা মাত্র শরীরে জলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ফলে শরীরের ভিতরে প্রেসার বেড়ে যায়। যা উচ্চ রক্তচাপে (high pressure)ভোগা রোগীদের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। তাই তো রক্তচাপ বাড়লেই নুনকে টাটা-বাইবাই করতেই।

    শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মাত্রাতিরিক্ত নুন খেলে কিছু বিশেষ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, ফলে শরীরের ভিতরে জল জমতে শুরু করে। এই ধরনের সমস্য়া হলেই তাই নুন খাওয়া ছাড়তে হবে। নচেৎ কিন্তু বিপদ!

    মুখের ভিতর শুকিয়ে যাওয়া: এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে মুখের ভিতর খুব শুকিয়ে যায়, সেই সঙ্গে জল তেষ্টাও বেড়ে যায়। এমনটা কেন হয় জানা আছে? আসলে যেসব খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে সেই সব খাবার খেলেই সাধারণত এমন ধরনের লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে শুরু করে। এই সময় অনেক পরিমাণে জল খান। দেখবেন সমস্য়া কমে যাবে।

    কিডনির সমস্যা: অতিরিক্ত নুন গ্রহণ করলে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। আসলে শরীরে নুনের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেই অতিরিক্ত নুনকে শরীর থেকে বের করে দিতে কিডনি মাত্রাতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে, ফলে বার বার প্রস্রাব পেতে থাকে। তাই সমস্যা দেখা যায়।

    কোন খাবারে নুন বেশি থাকে
    চিপস জাতীয় খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই ধরনের খাবার নিয়মিত গ্রহণ করা অনুচিত। 

    আমরা সকলেই জানি যে, লবণ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। লবণ ছাড়া প্রায় প্রতিটি খাবারই অসম্পূর্ণ। লবণ যে শরীরকে শুধুমাত্র হাইড্রেট রাখে তা নয়, থাইরয়েড গ্রন্থি যাতে সঠিকভাবে কাজ করে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয় ব্লাড প্রেসার কম থাকলে বা শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে, লবণ বিশেষভাবে সাহায্য করে। এমনকি লবণের মাধ্যমেই শরীরে আয়োডিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু যদি লবণ অতিরিক্ত গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি সমস্যার মতো রোগ, বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ে। অতএব নুন খান কিন্তু পরিমাণ মেপে।

  • Health tips: ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে, খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই চারটি খাবার

    Health tips: ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে, খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই চারটি খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা তো জানেনই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা কতটা প্রয়োজনীয়।  আর যাদের ডায়াবেটিস নেই, তাদেরও উচিৎ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা। এতে পরবর্তীতে টাইপ টু ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি কম থাকে। আর ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকলে শরীরটাও ভালো থাকে। বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগী ঘরে ঘরেই দেখা যায়। আর ডায়াবেটিসের মূল কারণই হল সঠিক লাইফস্টাইল মেনে না চলা। আর তার ফলেই জীবনধারায় পরিবর্তন আনাটা খুবই জরুরী। কোন খাবার কতটা পরিমাণে খাবেন তা এই ক্ষেত্রে খুব জরুরি। এমনও কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। সেগুলো কোনগুলি চলুন দেখে নেওয়া যাক।

    ডিম

    ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে কোনও কার্বোহাইড্রেট নেই। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    ব্রকলি

    ক্রুসিফেরাস সবজি ব্রকলিতে কার্বের পরিমাণ কম এবং এই সবজি ভিটামিন, মিনারেলসএ সমৃদ্ধ। এই সবজি খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পায় না। বরং সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে ভুল করেও খাবেন না এই খাবারগুলো, নয়তো হতে পারে বিপদ

    ব্রাউন রাইস

    ব্রাউ সুগারে কার্বস আছে তবে তা ক্ষতিকারক নয়, ফলে ব্রাউ রাইস খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা সহজেই তাঁদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। এছাড়াও এতে ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে যা শরীরের অন্য কাজ করতে সাহায্য করে থাকে।

    সয়বীন

    পুষ্টিবিদদের মতে, টোফু ও সয়বীনে অল্প পরিমণে কারবস থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষতি করে না। এতে প্রোটিন ও উপকারী ফ্যাটে সমৃদ্ধ। এই জাতীয় খাবার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    আরও পড়ুন: সারাক্ষণ খেতে ইচ্ছে করে? এই পাঁচটি খাবার খেলে কমবে খিদে 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • COVID-19: দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনা আক্রান্ত, ৪৫ বার পজিটিভ, পারসিসটেন্স কোভিডে নয়া তথ্য

    COVID-19: দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনা আক্রান্ত, ৪৫ বার পজিটিভ, পারসিসটেন্স কোভিডে নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৫০৫ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন লন্ডনের এক ব্যক্তি। ৪৫ বার কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অবশেষে মারণ ব্যাধির কাছে জীবন যুদ্ধে হার মানতে হলেও কোভিড নিয়ে গবেষণার নতুন দিক খুলে দিয়েছেন ওই ব্যাক্তি। তবে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ইনিই একমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগী কি না, তা এখনও জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। 

    ‘দ্য গাইস অ্যান্ড সেন্ট থমাস এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এর ভাইরাল রোগ বিশেষজ্ঞ ড. লুক ব্ল্যাগডন স্নেল জানান, রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে ইনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ৫০৫ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। অনেকেই বারবার একটানা করোনা পরীক্ষা করান না। ফলে রিপোর্টে সেভাবে ধরা পড়ে না। এখনও পর্যন্ত “লং কোভিড” সম্পর্কে অনেকেই অবগত। কিন্তু এই ধরনের রোগীরা পারসিসটেন্স কোভিড নিয়ে গবেষণায় নতুন তথ্য জোগাবেন বলে অভিমত চিকিৎসকদের। 

    লং কোভিড মানে, করোনামুক্ত হওয়ার পরেও রোগের উপসর্গ দীর্ঘদিন পর্যন্ত থেকে যায় শরীরে। অন্যদিকে পারসিসটেন্স কোভিডের অর্থ হল, ভাইরাস দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরেই বাসা বেঁধে থাকে। মিউটেশনও হয়। বিশেষত অত্যন্ত কম ইমিউনিটি যাঁদের,তাঁদের পারসিসটেন্স কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যাঁদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে, এইচআইভি, ক্যানসার, এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। 

    টানা আট সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত এমন ৯ জন রোগীর সন্ধান পেয়েছিলেন স্নেল এবং তাঁর দল। তাঁদের মধ্যে দু’জন এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে পাঁচজন এখনও বেঁচে আছেন। চারজন মারা গেছেন। যে পাঁচজন বেঁচে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন এখন করোনা নেগেটিভ। তবে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আর একজন এখনও পজিটিভ। যিনি ৪১২ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত।   

    স্নেল জানান, টানা ৫০৫ দিন ধরে আক্রান্ত থাকা লন্ডনের ওই ব্যাক্তি ২০২০ সালে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, সমস্ত অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ দেওয়ার পরেও ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় তাঁর মৃত্যু হয়। বারবার পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ওই ব্যক্তির সংক্রমণ গড়ে ৭৩ দিন ধরে দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। তাঁর শরীরে করোনার প্রায় ১০ বার মিউটেশন ঘটে। তিনি আলফা, গামা, ওমিক্রন সবরকম ভ্যরিয়েন্টেই আক্রান্ত ছিলেন।

    গবেষকরা জানান, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক রোগী টানা ৩৩৫ ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। সংক্রমণের এমন স্থায়িত্ব বিরল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ বিরল হলেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ধরনের রোগীরা হয়তো করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতিকে জন্ম দিতে পারে। 

    করোনার ঝুঁকি নিয়ে জানা-অজানা তথ্যের পরিধি বাড়াতে এধরনের দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণের ওপর গবেষণা দরকার বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিংস কলেজ লন্ডন এবং গাই’স অ্যান্ড সেন্ট থমাস’ এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের  বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই পারসিসটেন্স কোভিডের চিকিৎসাও শুরু হবে।

     

  • Fibre-Rich Vegetables: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থেকেও কমতে পারে ওজন! খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭টি সবজি

    Fibre-Rich Vegetables: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থেকেও কমতে পারে ওজন! খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭টি সবজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যখনই ওজন কমানের কথা আসে তখনই বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন রকমের কথা বলে থাকেন। কেউ বলেন কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত আবার কেও বলেন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন আমাদের ডায়েটে রাখা উচিত। সুতরাং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এক-একজনের এক-একরকমের মতামত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকতে ডায়েটে সবসময় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত।

    বিশেষ করে ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। শস্য, ফল এবং সবজিতে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে এবং এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়,  ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। কিছু ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে সেগুলো হল-

    ব্রকলি

    ডায়েটারি ফাইবার এবং ভিটামিন সি উভয়ই ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। গবেষণা অনুসারে, ব্রকলিতে প্রতি কাপে পাঁচ গ্রাম ফাইবার থাকে। এই সবজি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

    পালং শাক

    এই শাক চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে এবং রক্তচাপ কমাতে পারে। পালং শাক স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।

    সবুজ মটর

    সবুজ মটর সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং ফাইবার, আয়রন এবং ভিটামিন এ এবং সি এর একটি চমৎকার উৎস। এছাড়াও, সবুজ মটর দিয়ে রান্না করাও সহজ।

    আরও পড়ুন: কম ঘুমোলেই বাড়তে পারে ওজন! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    ঢেঁড়শ

    এটি একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। এতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, এনজাইম এবং বিভিন্ন ধরণের খনিজ উপাদান রয়েছে। উচ্চ ফাইবার সামগ্রীর কারণে, লেডিফিঙ্গার অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে।

    কুমড়ো

    এটি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং কে এর একটি ভাল উৎস। এটি মিষ্টি এবং স্বাদযুক্ত উভয় জিনিস তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কুমড়ো ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

    ফুলকপি

    এটি ভারতের একটি জনপ্রিয় সবজি এবং বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই সবজিটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

    বেগুন

    দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবারের পাওয়ার হাউস হল বেগুন। বেগুনের খোসা অদ্রবণীয় ফাইবার ও বেগুনের ভেতরের অংশ দ্রবণীয়। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো ও ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Heart Attack: কেন অল্প বয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Heart Attack: কেন অল্প বয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকের মত অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সামনে এসেছে। ভারতে হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই কিছু চিকিৎসকদের মতে,  ভারত ধীরে ধীরে “diabetes capital”-এ পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ভারতে যে কী পরিমাণে হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ বেড়েছে, তার প্রমাণ কিছুদিন আগেই দেখা গেল।

    সদ্যই প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক কে কে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে এই ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও এর আগেও বেশ কিছু তারকা যেমন সিদ্ধার্থ শুক্লা, পুনীত রাজকুমাক, অমিত মিস্ত্রি হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। জনপ্রিয় কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবও হার্ট রোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।  

    বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও বয়স লাগে না, বরং দেখা গিয়েছে দেশের কমবয়সীদের মধ্যেই এই ঘটনা সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এমনটা হওয়ার কারণ কী তা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন?

    হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হল ধূমপান। ধূমপান, মদ্যপানের ফলেই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা, উচ্চ রক্ততাপ, ডায়াবেটিসের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, লাইফস্টাইলে পরিবর্তন, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, এক্সারসাইজ না করা ইত্যাদি অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাকের।

    হার্ট অ্যাটাকের আরও এক অন্যতম কারণ হল স্ট্রেস। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা একটু বেশিই স্ট্রেসের মধ্যে ভোগে। করোনা আবহেও মানুষের মধ্যে স্ট্রেসের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নানা কারণে স্ট্রেস দেখা দেয় তাদের মধ্যে। ব্যক্তিগত জীবন, পেশাগত জীবন, কাজের চাপ, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এসবই স্ট্রেসের কারণ হতে পারে।

    এর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হিসেবে লাইফস্টাইলকেও দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বর্তমান প্রজন্মের লাইফস্টাইল একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। শরীরচর্চা না করার ফলে নানা অসুখের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।

    এছাড়া হৃদরোগের ক্ষেত্রে পরিবারেরও কিছু ভূমিকা থাকে। যদি আপনার পরিবারের কোনও সদস্যের হৃদরোগ থেকে থাকে, তবে সেক্ষেত্রেও হার্টের সমস্যা আপনার মধ্যেও দেখা দিতে পারে।

     

  • Covid Among Children: শিশুদের মধ্যে কোভিড নিয়ে অযথা উদ্বেগের কিছু নেই, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    Covid Among Children: শিশুদের মধ্যে কোভিড নিয়ে অযথা উদ্বেগের কিছু নেই, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনা (Covid-19) সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমূখী। রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। করোনার চতুর্থ ঢেউ (Covid 4th Wave) কী এসে গেল? ঘুরছে প্রশ্ন। 
    দীর্ঘ দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর সবে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পঠন-পাঠন। এর মধ্যে স্কুল বন্ধ হলে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হবে বলেই মনে করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে অভিভাবকরা। কিন্তু স্কুল খোলা থাকলে কী শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে না? ইতিউতি ঘুরছে সেই প্রশ্নও। 

    তবে দেশে করোনার প্রকোপ বাড়লেও এখনই শিশুদের নিয়ে কোনও উদ্বেগের কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, স্কুল খোলা থাকলেই চতুর্থ ঢেউয়ে করোনা এসে বেছে বেছে শিশুদের আক্রমণ করবে, এমন ভাবনার কোনও বিজ্ঞান-ভিত্তি নেই। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন AIIMS -এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria)।  তবে সতর্কতায় যাতে একচুল খামতি না-থাকে, সে কথাও পইপই করে মনে করিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    চিকিৎসকদের বক্তব্য, মিউটেশনের ফলে করোনা কী রূপ নেবে, সে সম্পর্কে এখনও তেমন ধারণা নেই কারও। অতএব, শিশুদের উপরে তা কতটা কামড় বসাবে, তা নিয়ে আগাম কিছু বলা অসম্ভব।  AIIMS-র ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, “আমার মনে হয় না, ভবিষ্যতে শিশুরা সঙ্কটজনক ভাবে সংক্রামিত হবে। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই যেখানে বলা হচ্ছে শিশুরা বেশি সংক্রামিত হবে। আগের তিনবার দেখা গিয়েছে, শিশুরা সংক্রামিত হলেও তারা খুব একটা অসুস্থ হয়ে পড়েনি। সাধারণ সর্দি-কাশি জ্বরের মতোই উপসর্গ থাকবে তাদের। সাধারণ ভাইরাল ইনফেকশনের মতোই কিছু ওষুধ এবং প্রচুর পরিমাণে জল বা ফলের রস খেলেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবে তারা। পৃথিবীর যে সব প্রান্তে নতুন করে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়তে শুরু করেছে, সেখানেও শিশুদের মধ্যে এর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা সেভাবে দেখা যায়নি।”

    তবে শিশুদের যদি কো-মর্বিডিটি থাকে, তা হলে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিন্তার কিছুটা কারণ থাকতে পারে। গুলেরিয়া জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যে শিশুরা কোভিড-আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ৬০-৭০ শতাংশেরই কো-মর্বিডিটি (co-morbidity) রয়েছে। তাই অকারণে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এর সঙ্গেই তাঁর হুঁশিয়ারি, শিশুদের টিকা (child vaccination) হয়নি, এটা অবশ্যই একটি বিষয়। সে ক্ষেত্রে বাড়ির লোকেরা সতর্ক থাকুন। যে সব বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার সময় এসেছে তাদের টিকাকরণ জরুরি।  

  • Embolism after covid: করোনা সেরে যাওয়ার ছয় মাস পরেও রক্ত জমাট বাঁধত পারে , গবেষণায় মিলল প্রমাণ 

    Embolism after covid: করোনা সেরে যাওয়ার ছয় মাস পরেও রক্ত জমাট বাঁধত পারে , গবেষণায় মিলল প্রমাণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড-১৯ একটি জটিল রোগ। কখনও এই রোগের সংক্রমণে তেমন কোনও উপসর্গই থাকে না। আবার কখনও এটি মানুষকে টেনে নিয়ে যায় মৃত্যুর দোরগোড়ায়। একের পর এক রূপ পরিবর্তন করে গত তিন বছর ধরে ঝড়ো ব্যাটিং করে চলেছে কোভিড-১৯। সেরে গেলেও কোভিড পরবর্তী সময়ে মানবশরীরে নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। কোভিড-১৯-এর একটি অন্যতম জটিলতা হলো এটি শরীরের রক্তনালিতে বহমান রক্ত জমাট বাঁধাতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলা হয় ক্লটিং(clotting) বা এম্বোলিজম(embolism)। আর তখনই শরীরে জটিলতার সূত্রপাত।
     ফুসফুসের পালমোনারি ধমনিতে ক্লট বা রক্ত জমাট বাঁধলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভয়ানক শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আবার হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে ক্লট হলে হার্ট অ্যাটাক (heart attack)হতে পারে। মস্তিষ্কের রক্তনালি আটকে হতে পারে স্ট্রোক। এ ছাড়া অন্ত্রনালি, কিডনি, হাত-পা এসব অঙ্গেরও রক্তনালি আটকে সমস্যা তৈরি হয়। 
    কেন করোনাভাইরাস এভাবে রক্ত জমাট বাঁধিয়ে রক্তনালি আটকে দেয়—এ নিয়ে গবেষণা চলছে। সম্প্রতি, সুইডেনের (sweden)উমেয়া 
    বিশ্ববিদ্যালয়ের (University)গবেষকরা জানিয়েছেন করোনা থেকে সেরে ওঠার ছয় মাস পরেও এর প্রভাবে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস বা পায়ের পেশিতে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে করোনা নেগেটিভ হওয়ার তিনমাস পরেও। আর ফুসফুসে রক্ত জমাট (pulmonary embolism)হতে পারে ছয় মাস পর্যন্ত।
    দেখা গিয়েছে ভাইরাসের প্রভাবে ছোট ছোট রক্তনালি বা কৌশিক জালিকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা যখন উদ্দীপ্ত হয় তখন এমন কিছু উপাদান তৈরি হয় যা রক্ত জমাট বাঁধতে ইন্ধন জোগায়। ভাইরাস শরীর ত্যাগ করলেও এর প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারী।
    রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি সবার সমান নয়। কারও কারও ঝুঁকি অনেক বেশি। বিশেষত যাঁরা বয়স্ক, ওজন বেশি, ডায়াবেটিস, কিডনি বা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত তাঁদের রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বেশি হয়।
    তাই করোনা পরবর্তী সময়ে রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করতে কী করণীয়, তা জেনে রাখা ভাল:
    ১) নিজেকে সচল রাখা। দীর্ঘ সময় শুয়ে-বসে থাকলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। সে জন্য কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলেও নিজেকে হালকা কাজের মধ্য রাখা জরুরি। হালকা ব্যায়াম বা ফিজিওথেরাপি করে পায়ের রক্ত জমাট বাঁধা আটকানো যায়।
    ২ ) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। শরীরের ওজন বেড়ে গেলে সমস্যাও বেড়ে যায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্জন করুন।
    ৩) চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে রক্ত জমাট বাঁধায় সহায়ক কোনও ওষুধ এসময় না খাওয়া ভাল। বিশেষত জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ, হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ইত্যাদি।
    ৪) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। ফলের রস, ডাবের জল, দইয়ের ঘোল খেতে পারেন। ৫) চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রক্ত পরীক্ষা করান। রক্ত পরীক্ষা (blood test)করে ঝুঁকি নির্ণয় করা যায়। রক্তে ডি-ডাইমার নামক একটি উপাদান বেড়ে গেলে বুঝতে হবে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া উদ্দীপ্ত হচ্ছে। এমনটি হলে চিকিৎসকের কথামতো রক্ত পাতলা করার (blood thiner) ওষুধ শুরু করতে হবে। 

  • Covid Among Children: শিশুদের মধ্যে কোভিড নিয়ে অযথা উদ্বেগের কিছু নেই, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    Covid Among Children: শিশুদের মধ্যে কোভিড নিয়ে অযথা উদ্বেগের কিছু নেই, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনা (Covid-19) সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমূখী। রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। করোনার চতুর্থ ঢেউ (Covid 4th Wave) কী এসে গেল? ঘুরছে প্রশ্ন। 
    দীর্ঘ দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর সবে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পঠন-পাঠন। এর মধ্যে স্কুল বন্ধ হলে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হবে বলেই মনে করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে অভিভাবকরা। কিন্তু স্কুল খোলা থাকলে কী শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে না? ইতিউতি ঘুরছে সেই প্রশ্নও। 

    তবে দেশে করোনার প্রকোপ বাড়লেও এখনই শিশুদের নিয়ে কোনও উদ্বেগের কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, স্কুল খোলা থাকলেই চতুর্থ ঢেউয়ে করোনা এসে বেছে বেছে শিশুদের আক্রমণ করবে, এমন ভাবনার কোনও বিজ্ঞান-ভিত্তি নেই। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন AIIMS -এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria)।  তবে সতর্কতায় যাতে একচুল খামতি না-থাকে, সে কথাও পইপই করে মনে করিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    চিকিৎসকদের বক্তব্য, মিউটেশনের ফলে করোনা কী রূপ নেবে, সে সম্পর্কে এখনও তেমন ধারণা নেই কারও। অতএব, শিশুদের উপরে তা কতটা কামড় বসাবে, তা নিয়ে আগাম কিছু বলা অসম্ভব।  AIIMS-র ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, “আমার মনে হয় না, ভবিষ্যতে শিশুরা সঙ্কটজনক ভাবে সংক্রামিত হবে। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই যেখানে বলা হচ্ছে শিশুরা বেশি সংক্রামিত হবে। আগের তিনবার দেখা গিয়েছে, শিশুরা সংক্রামিত হলেও তারা খুব একটা অসুস্থ হয়ে পড়েনি। সাধারণ সর্দি-কাশি জ্বরের মতোই উপসর্গ থাকবে তাদের। সাধারণ ভাইরাল ইনফেকশনের মতোই কিছু ওষুধ এবং প্রচুর পরিমাণে জল বা ফলের রস খেলেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবে তারা। পৃথিবীর যে সব প্রান্তে নতুন করে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়তে শুরু করেছে, সেখানেও শিশুদের মধ্যে এর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা সেভাবে দেখা যায়নি।”

    তবে শিশুদের যদি কো-মর্বিডিটি থাকে, তা হলে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিন্তার কিছুটা কারণ থাকতে পারে। গুলেরিয়া জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যে শিশুরা কোভিড-আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ৬০-৭০ শতাংশেরই কো-মর্বিডিটি (co-morbidity) রয়েছে। তাই অকারণে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এর সঙ্গেই তাঁর হুঁশিয়ারি, শিশুদের টিকা (child vaccination) হয়নি, এটা অবশ্যই একটি বিষয়। সে ক্ষেত্রে বাড়ির লোকেরা সতর্ক থাকুন। যে সব বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার সময় এসেছে তাদের টিকাকরণ জরুরি।  

  • Omicron: বুস্টার ডোজ নিলেও হতে পারে ওমিক্রন, গবেষণায় মিলল প্রমাণ

    Omicron: বুস্টার ডোজ নিলেও হতে পারে ওমিক্রন, গবেষণায় মিলল প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ভ্যাকসিন ও বুস্টার শট দেওয়ার পর উৎপাদিত অ্যান্টিবডিগুলি আগের করোনভাইরাস স্ট্রেনের তুলনায় ওমিক্রন ভাইরাসের বিরুদ্ধে কম কার্যকর হতে পারে বলে মনে করছেন আমেরিকার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। 

    ভারতেও দেখা গিয়েছে কোভিডের টিকা নেওয়ার পরও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। এর কারণ হিসেবে মনে করা হয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা অ্যান্টিবডিগুলি নতুন এই প্রজাতির কাছে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ১৮ জন সুস্থ এবং কোভিডের বুস্টার ডোজ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের উপর একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানেই দেখা যায়, ১৪ থেকে ৯২ দিনের মধ্যে তাঁরা আবারও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ২১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এঁরা সকলেই কোভিড টিকা ও বুস্টার ডোজ পেয়েছিলেন। কিন্তু এর আগে কোভিডের কোনও সংক্রমণের আঁচ তাঁদের উপর এসে পড়েনি।

    জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক সিনিয়র লেখক ড. জোয়েল ব্ল্যাঙ্কসন জানান, এই রোগীদের উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিবডি রয়েছে যা করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে কোষের উপরিভাগে বাঁধতে বাধা দেয়, কিন্তু অ্যান্টিবডিগুলি আসল স্ট্রেনের তুলনায় ‘ওমিক্রন স্ট্রেনের সাথে প্রতিক্রিয়ার সময় সেই কাজটি সম্পাদন করেনি। গবেষকরা জানান, সার্স কোভ-২-এর ভাইরাস আমাদের শরীরে মূল স্ট্রেনের প্রতি প্রতিক্রিয়া ঘটায়। ভাইরাসের অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২ (সাধারণত ACE2 নামে পরিচিত) এর সঙ্গে তা যুক্ত হলেই কোভিড সংক্রমণ হয়। ওমিক্রনের ভাইরাস এই ACE2 এপ স্পাইপ প্রোটিনের সঙ্গে কোভিড অ্যান্টিবডিকে সংযুক্ত হতে বাধা দেয়। যা সংক্রমণের প্রধান কারণ। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই টি-কোশই প্রধান ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে ওমিক্রনের সংক্রমণ ততটাও শরীরে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি। 

LinkedIn
Share