Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Baranagar: দক্ষিণেশ্বরে মা  ভবতারিণীর আগে তৈরি হয়েছিল কৃপাময়ী কালী মন্দির, জানুন ইতিহাস

    Baranagar: দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর আগে তৈরি হয়েছিল কৃপাময়ী কালী মন্দির, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরানগর-মালপাড়ার (Baranagar) কুঠিঘাট অঞ্চলের কৃপাময়ী কালীবাড়ি দেবী দর্শনে আসেন বহু ভক্ত। এই মন্দিরও দেখার মতো। তবে, এই মন্দির কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা এখনকার প্রজন্মের কাছে অজানা। এই প্রতিবেদনে কালীবাড়ি তৈরির ইতিহাস তুলে ধরা হল।

    মন্দির কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? (Baranagar)

    শোভাবাজার (Baranagar) অঞ্চলের বাসিন্দা জয়নারায়ণ মিত্র (Joy Mitra Kalibari) ছিলেন সে যুগের এক স্বনামধন্য বিত্তবান বাবু মানুষ। বাড়িতে দোল- দুর্গোৎসবের মতো অনুষ্ঠান হত মহা সমারোহে। তাঁর অর্থ-বিত্ত নিয়ে অনেক গল্প আছে। নাম উহ্য রেখে হুতোম পেঁচার নকশাতেও জয় মিত্রের দুর্গাপুজোর এই বর্ণনা আছে। যাইহোক, ১৮৫৫ সালে দক্ষিণেশ্বরে রানি রাসমণির ভবতারিণী কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারও আগে ১৮৪৮  সালে বরানগর কুঠিঘাট (Kuthi Ghat) এলাকায় এই কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি কালী ভক্ত ছিলেন। তাই, গঙ্গার ধারে মন্দির স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। কৃপাময়ী কালীর বিগ্রহ যুক্ত একটা নবরত্ন মন্দির ও বারোটা আটচালা শিবমন্দির নিয়ে এই মন্দির-চত্বর নির্মাণ করা হয়। প্রতিষ্ঠাতার নাম অনুসারে এই কৃপাময়ী কালীর মন্দিরটি ‘জয় মিত্রের মন্দির’ নামেই পরিচিত। খুবই প্রাচীন এই মন্দিরে আগে বিভিন্ন পুজোয় খুব সমারোহ হত। এখনও বারোমাস নিত্যপুজো এবং কালীপুজো হলেও আগের সে রমরমা আর নেই। বস্তুত মূল কোনও কালী মন্দিরের সঙ্গে চার-ছয়-আট-বারো বা তারও বেশি আটচালা শিবমন্দির যুক্ত যে সমস্ত ‘টেম্পল-কমপ্লেক্স’ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দেখা যায়, এটাও তার ব্যাতিক্রম নয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় এক সময়ে জীর্ণতার ছাপ লেগেছিল এই মন্দিরগুলোর গায়ে। তবে কয়েক বছর আগে বিপুল অর্থব্যয় করে সংস্কার করার ফলে সৌন্দর্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে কৃপাময়ী কালী মন্দিরের।

    ঠাকুর রামকৃষ্ণ আসতেন এই মন্দিরে!

    স্থাপত্যশৈলীর বিচারে কৃপাময়ী মন্দির ‘নবরত্ন’ শ্রেণির। রত্ন’ শব্দটি মন্দির নির্মাণ শিল্পে কথাটি চূড়ার সমার্থক। ঢালু ছাদ ও বাঁকানো কার্নিসযুক্ত মন্দির শীর্যের ওপর চুড়া বসিয়ে এই রীতির মন্দির নির্মিত হয়। কৃপাময়ী কালীর নবরত্ন শৈলীর মন্দির (Baranagar)  হলেও এর স্থাপত্য অন্যান্য নবরত্ন মন্দিরের থেকে কিছুটা অন্য রকম। এখানে চিরাচরিত বাঁকানো চালের শৈলী লঙ্ঘন করে দোতলা দালান মন্দিরের প্রতি তলে চারটে করে মোট আটটা রত্ন বা চূড়া বসিয়ে এবং একেবারে শীর্ষদেশে আকারে বড় আরও একটা রত্ন বসিয়ে নবরত্ন মন্দিরের চেহারা দেওয়া হয়েছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ এই মন্দিরে একাধিকবার এসেছেন বলে জানা যায়।

    মন্দিরের শিবলিঙ্গগুলির কী নাম?

    মন্দিরের (Baranagar) ঠিক সামনে একটা বড় নাটমন্দির ছিল। কিন্তু তার ছাদ ভেঙে পড়েছে বহুকাল আগে। টিকে ছিল শুধু গোলাকার থামগুলি। সম্প্রতি অবশ্য নতুন করে নির্মিত হয়েছে নাটমন্দির। কিন্তু তা পুরনো স্থাপত্যের সঙ্গে একেবারেই বেমানান। নবরত্ন মন্দিরের পাশে প্রতি সারিতে ছটা করে, মুখোমুখি দুসারি মোট বারোটা আটচালা শিবমন্দির রয়েছে। গর্ভগৃহে রক্ষিত শিবলিঙ্গগুলি ‘অমরনাথ’, ‘বৈদ্যনাথ’, ‘পশুপতিনাথ’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘ভুবনেশ্বর’ প্রভৃতি বিভিন্ন নামে পরিচিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 210: “সমাধিস্থ লোকের মন যখন নিচে আসে, সত্ত্বগুণী লোকের সঙ্গে বিলাস করে”

    Ramakrishna 210: “সমাধিস্থ লোকের মন যখন নিচে আসে, সত্ত্বগুণী লোকের সঙ্গে বিলাস করে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    দক্ষিণেশ্বরে ফলহারিণী—পূজাদিবসে ভক্তসঙ্গে

    মণিলাল, ত্রৈলোক্য বিশ্বাস, রাম চাটুজ্যে, বলরাম, রাখাল 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তা এইবার যা হয়েছে। দেখো যেন অন্যবার এরূপ না হয়! যেমন নিয়ম আছে, সেইরকমই বরাবর হওয়া ভাল।

    ত্রৈলোক্য যথোচিত উত্তর দিয়া চলিয়া গেলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে বিষ্ণুঘরের পুরোহিত শ্রীযুক্ত রাম চাটুজ্যে আসিলেন।

    ঠাকুর(Ramakrishna)—রাম! ত্রৈলোক্যকে বললুম, যাত্রা হয় নাই, দেখো যেন এরূপ আর না হয় তা এ-কথাটা (Kathamrita) বলা কি ভাল হয়েছে?

    রাম চাটুজ্যে—মহাশয়, তা আর কি হয়েছে! বেশই বলেছেন। যেমন নিয়ম আছে, সেইরকমই তো বরাবর হওয়া উচিত।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বলরামের প্রতি)—ওগো, আজ তুমি এখানে খেও।

    আহারের কিঞ্চিৎ পূর্বে ঠাকুর নিজের অবস্থার বিষয় ভক্তদের অনেক বলিতে লাগিলেন। রাখাল, বলরাম, মাস্টার, রামলাল, এবং আরও দু-একটি ভক্ত বসিয়াছিলেন।

    হাজরার উপর রাগ—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও মানুষে ইশ্বরদর্শন 

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—হাজরা আবার শিক্ষা দেয়, তুমি কেন ছোকরাদের জন্য অত ভাব? গাড়ি করে বলরামের বাড়ি যাচ্ছি, এমন সময় পথে মহা ভাবনা হল। বললুম “মা, হাজরা বলে, নরেন্দ্র আর সব ছোকরাদের জন্য আমি অত ভাবি কেন; সে বলে, ঈশ্বরচিন্তা ছেড়ে এ-সব ছোকরাদের জন্য চিন্তা করছ কেন?” এই কথা বলতে বলতে একেবারে দেখালে যে, তিনিই মানুষ হয়েছেন। শুদ্ধ আধারে স্পষ্ট প্রকাশ হন। সেইরূপ দর্শন করে যখন সমাধি একটু ভাঙল, হাজরার উপর রাগ করতে লাগলুম। বললুম(Kathamrita), শালা আমার মন খারাপ করে দিছল। আবার ভাবলুম, সে বেচারীরই বা দোষ কি, সে জানবে কেমন করে?

    নরেন্দ্রের সহিত শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম দেখা 

    “আমি এদের জানি, সাক্ষাৎ নারায়ণ (Ramakrishna)। নরেন্দ্রের সঙ্গে প্রথম দেখা হল। দেখলুম, দেহবুদ্ধি নাই। একটু বুকে হাত দিতেই বাহ্যশূন্য হয়ে গেল। হুঁশ হয়ে বলে উঠল, ‘ওগো, তুমি আমার কি করলে? আমার যে মা-বাপ আছে!’ যদু মল্লিকের বাড়িতেও ঠিক ওইরকম হয়েছিল। ক্রমে তাকে দেখবার জন্য ব্যাকুলতা বাড়তে লাগল, প্রাণ আটু-পাটু করতে লাগল। তখন ভোলানাথকে বললুম, হ্যাঁগা, আমার মন এমন হচ্ছে কেন? নরেন্দ্র বলে একটি কায়েতের ছেলে, তার জন্য এমন হচ্ছে কেন? ভোলানাথ বললে(Kathamrita), ‘এর মানে ভারতে আছে। সমাধিস্থ লোকের মন যখন নিচে আসে, সত্ত্বগুণী লোকের সঙ্গে বিলাস করে। সত্ত্বগুণী লোক দেখলে তবে তার মন ঠাণ্ডা হয়।’ এই কথা শুনে তবে আমার মনের শান্তি হল। মাঝে মাঝে নরেন্দ্রকে দেখব বলে বসে বসে কাঁদতুম।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 209: “তুমি স্বর্গ, তুমি মর্ত মা, তুমি সে পাতাল, তোমা হতে হরি ব্রহ্মা, দ্বাদশ গোপাল”

    Ramakrishna 209: “তুমি স্বর্গ, তুমি মর্ত মা, তুমি সে পাতাল, তোমা হতে হরি ব্রহ্মা, দ্বাদশ গোপাল”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    দক্ষিণেশ্বরে ফলহারিণী—পূজাদিবসে ভক্তসঙ্গে

    মণিলাল, ত্রৈলোক্য বিশ্বাস, রাম চাটুজ্যে, বলরাম, রাখাল 

    আজ জৈষ্ঠ কৃষ্ণা চতুর্দশী। সাবিত্রী চতুর্দশী। আবার অমাবস্যা ও ফলহারিণী-পূজা। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে নিজ মন্দিরে বসিয়া আছেন। ভক্তেরা তাঁহাকে দর্শন করিতে আসিতেছেন। সোমবার, ইংরেজী ৪ঠা জুন, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ।

    মাস্টার পূর্বদিন রবিবারে আসিয়াছেন। ওই রাত্রে কাত্যায়নীপূজা। ঠাকুর প্রেমাবিষ্ট হইয়া নাটমন্দিরে মার সম্মুখে দাঁড়াইয়া, বলিতেছেন(Kathamrita), “মা, তুমিই ব্রজের কাত্যায়নী:

    তুমি স্বর্গ, তুমি মর্ত মা, তুমি সে পাতাল।
    তোমা হতে হরি ব্রহ্মা, দ্বাদশ গোপাল।
    দশ মহাবিদ্যা মাতা দশ অবতার।
    এবার কোনরূপে আমায় করিতে হবে পার।”

    ঠাকুর গান করিতেছেন ও মার সঙ্গে কথা কহিতেছেন। প্রেমে একেবারে মাতোয়ারা! নিজের ঘরে আসিয়া চৌকির উপর বসিলেন।

    রাত্রি দ্বিপ্রহর পর্যন্ত ওই রাত্রে মার নাম হইতে লাগিল।

    সোমবার সকালে বলরাম এবং আরও কয়েকটি ভক্ত আসিলেন। ফলহারিনী-পূজা উপলক্ষে ত্রৈলোক্য প্রভৃতি বাগানের বাবুরা সপরিবারে আসিয়াছেন।

    বেলা নয়টা। ঠাকুর সহাস্যবদন—গঙ্গার উপর গোল বারান্দাটিতে বসিয়া আছেন। কাছে মাস্টার। ক্রীড়াচ্ছলে ঠাকুর রাখালের মাথাটি কোলে লইয়াছেন! রাখাল শুইয়া। ঠাকুর কয়েকদিন রাখালকে সাক্ষাৎ গোপাল দেখিতেছেন।

    ত্রৈলোক্য সম্মুখ দিয়া মা-কালীকে দর্শন করিতে যাইতেছেন। সঙ্গে অনুচর ছাতি ধরিয়া যাইতেছে। ঠাকুর (Ramakrishna) রাখালকে বললেন(Kathamrita), “ওরে, ওঠ্‌ ওঠ্‌।”

    ঠাকুর বসিয়া আছেন। ত্রৈলোক্য নমস্কার করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ত্রৈলোক্যের প্রতি)— হ্যাঁগা, কাল যাত্রা হয় নাই?

    ত্রৈলোক্যে—হাঁ, যাত্রার তেমন সুবিধা হয় নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 208: “আলাপ কল্লে আমরা কি শেষে দ্বিচারিণী হব! আমাদের পীতধড়া, মোহনচূড়া-পরা সেই প্রাণবল্লভ কোথায়!”

    Ramakrishna 208: “আলাপ কল্লে আমরা কি শেষে দ্বিচারিণী হব! আমাদের পীতধড়া, মোহনচূড়া-পরা সেই প্রাণবল্লভ কোথায়!”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    মুক্তি ও ভক্তি—গোপীপ্রেম—গোপীরা মুক্তি চান নাই 

    “এই প্রেমাভক্তিতে দুটি জিনিস আছে। ‘অহংতা’ আর ‘মমতা’। যশোদা ভাবতেন, আমি না দেখলে গোপালকে কে দেখবে, তাহলে গোপালের অসুখ করবে। কৃষ্ণকে (Ramakrishna) ভগবান বলে যশোদার বোধ ছিল না। আর ‘মমতা’—আমার জ্ঞান, আমার গোপাল। উদ্ধব বললেন, ‘মা! তোমার কৃষ্ণ সাক্ষাৎ ভগবান, তিনি জগৎ চিন্তামণি। তিনি সামান্য নন।’ যশোদা বললেন (Kathamrita), ‘ওরে, তোদের চিন্তামণি নয়, আমার গোপাল কেমন আছে জিজ্ঞাসা করছি।—চিন্তামণি না, আমার গোপাল।’

    “গোপীদের কি নিষ্ঠা! মথুরায় দ্বারীকে অনেক কাকুতি-মিনতি করে সভায় ঢুকল। দ্বারী কৃষ্ণের কাছে তাদের লয়ে গেল। কিন্তু পাগড়ি-বাঁধা শ্রীকৃষ্ণকে দেখে তারা হেঁটমুখ হয়ে রইল। পরস্পর বলতে লাগল, ‘এ পাগড়ি-বাঁধা আবার কে! এঁর সঙ্গে আলাপ কল্লে আমরা কি শেষে দ্বিচারিণী হব! আমাদের পীতধড়া, মোহনচূড়া-পরা সেই প্রাণবল্লভ (Ramakrishna) কোথায়!’

    “দেখেছ, এদের কি নিষ্ঠা! বৃন্দাবনের ভাবই আলাদা। শুনেছি, দ্বারকার কাছে লোকেরা অর্জুনের কৃষ্ণকে পূজা করে। তারা রাধা চায় না।”

    গোপীদের নিষ্ঠা—জ্ঞানভক্তি ও প্রেমাভক্তি 

    ভক্ত—কোন্‌টি ভাল, জ্ঞানমিশ্রিতা ভক্তি, না প্রেমাভক্তি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরে খুব ভালবাসা না হলে প্রেমাভক্তি হয় না। আর ‘আমার’ জ্ঞান। তিন বন্ধু বন দিয়ে যাচ্ছে, বাঘ এসে উপস্থিত। একজন বললে, “ভাই! আমরা সব মারা গেলুম!” একজন বললে, “কেন? মারা যাব কেন? এর ঈশ্বরকে ডাকি।” আর-একজন বললে (Kathamrita), “না, তাঁকে আর কষ্ট দিয়ে কি হবে? এস, এই গাছে উঠে পড়ি।”

    “যে লোকটি বললে, ‘আমরা মারা গেলুম’, সে জানে না যে ঈশ্বর রক্ষাকর্তা আছেন। যে বললে, ‘এস, আমার ঈশ্বরকে (Ramakrishna) ডাকি’, সে জ্ঞানী; তার বোধ আছে যে, ইশ্বর সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় সব করেছেন। আর যে বললে (Kathamrita), ‘তাঁকে কষ্ট দিয়ে কি হবে, এস, গাছে উঠি,’ তার ভিতরে প্রেম জন্মেছে, ভালবাসা জন্মেছে। তা প্রেমের স্বভাবই এই—আপনাকে বড় মনে করে, আর প্রেমের পাত্রকে ছোট মনে করে। পাছে তার কষ্ট হয়। কেবল এই ইচ্ছা যে, যাকে সে ভালবাসে তার পায়ে কাঁটাটি পর্যন্ত না ফোটে।”

    ঠাকুর (Ramakrishna) ও ভক্তদিগকে রাম উপরে লইয়া গিয়া নানাবিধ মিষ্টান্ন দিয়া সেবা করিলেন। ভক্তেরাও মহানন্দে প্রসাদ পাইলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 207: “আমরা মুক্তি—এ-সব কথা বুঝি না, আমরা আমাদের প্রাণের কৃষ্ণকে দেখিতে চাই”

    Ramakrishna 207: “আমরা মুক্তি—এ-সব কথা বুঝি না, আমরা আমাদের প্রাণের কৃষ্ণকে দেখিতে চাই”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    মুক্তি ও ভক্তি—গোপীপ্রেম—গোপীরা মুক্তি চান নাই 

    কথক বলিলেন, যখন উদ্ধব শ্রীবৃন্দাবনে আগমন করিলেন, রাখালগণ ও ব্রজগোপিগণ তাঁহাকে দর্শন করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া ছুটিয়া আসিলেন। সকলেই জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করিলেন, “শ্রীকৃষ্ণ কেমন আছেন। তিনি কি আমাদের ভুলে গেছেন? তিনি কি আমাদের নাম করেন?” এই বলিয়া কেহ কাঁদিতে লাগিলেন, কেহ কেহ তাঁহাকে লইয়া বৃন্দাবনের নানা স্থান দেখাইতে লাগিলেন ও বলিতে লাগিলেন, “এই স্থানে শ্রীকৃষ্ণ (Ramakrishna) গোবর্ধন ধারণ করিয়াছিলেন, এখানে ধেনুকাসুর বধ, এখানে শকটাসুর বধ করিয়াছিলেন। এই মাঠে গরু চড়াইতেন, এই যমুনাপুলিনে তিনি বিহার করিতেন। এখানে রাখালদের লইয়া ক্রীড়া করিতেন; এইসকল কুঞ্জে গোপীদের সহিত আলাপ করিতেন।” উদ্ধব বলিলেন, “আপনারা কৃষ্ণের জন্য অত কাতর হইতেছেন কেন? তিনি সর্বভূতে আছেন। তিনি সাক্ষাৎ ভগবান। তিনি ছাড়া কিছুই নাই।” গোপীরা বলিলেন, “আমরা ও-সব বুঝিতে পারি না। আমরা লেখাপড়া কিছুই জানি না। কেবল আমাদের বৃন্দাবনের কৃষ্ণকে জানি, ইনি এখানে নানা ক্রীড়া করিয়া গিয়াছেন।” উদ্ধব বলিলেন, “তিনি সাক্ষাৎ ভগবান, তাঁকে চিন্তা করিলে আর এ-সংসারে আসিতে হয় না, জীব মুক্ত হয়ে যায়।” গোপীরা বলিলেন, “আমরা মুক্তি—এ-সব কথা বুঝি না। আমরা আমাদের প্রাণের কৃষ্ণকে দেখিতে চাই।”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এই সকল কথা এক মনে শুনিতে লাগিলেন ও ভাবে বিভোর হইলেন। বলিলেন(Kathamrita), “গোপীরা ঠিক বলেছেন।” এই বলিয়া তাঁহার সেই মধুরকন্ঠে গান গাহিতে লাগিলেন:

    আমি মুক্তি দিতে কাতর নই,
        শুদ্ধাভক্তি দিতে কাতর হই (গো)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কথকের প্রতি)—গোপীদের ভক্তি প্রেমাভক্তি; অব্যভিচারিণী ভক্তি, নিষ্ঠাভক্তি। ব্যভিচারিণী ভক্তি কাকে বলে জানো? জ্ঞানমিশ্রা ভক্তি। যেমন, কৃষ্ণই সব হয়েছেন। তিনিই পরব্রহ্ম, তিনিই রাম, তিনিই শিব, তিনিই শক্তি। কিন্তু ও জ্ঞানটুকু প্রেমাভক্তির সঙ্গে মিশ্রিত নাই। দ্বারকায় হনুমান এসে বললে, “সীতা-রাম দেখব।” ঠাকুর রুক্মিণীকে বললেন, “তুমি সীতা হয়ে বস, তা না হলে হনুমানের কাছে রক্ষা নাই।” পাণ্ডবেরা যখন রাজসূয় যজ্ঞ করেন, তখন যত রাজা সব যুধিষ্ঠিরকে সিংহাসনে বসিয়া প্রণাম করতে লাগল। বিভীষণ বললেন, “আমি এক নারায়ণকে (Ramakrishna) প্রণাম করব, আর কারুকে করব না।” তখন ঠাকুর নিজে যুধিষ্ঠিরকে ভুমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করতে লাগলেন। তবে বিভীষণ রাজমুকুটসুদ্ধ সাষ্টাঙ্গ হয়ে যুধিষ্ঠিরকে প্রণাম করে।

    “কিরকম জানো(Kathamrita)? যেমন বাড়ির বউ! দেওর, ভাশুর, শ্বশুর, স্বামী—সকলকে সেবা করে, পা ধোবার জল দেয়, গামছা দেয়, পিঁড়ে পেতে দেয়, কিন্তু এক স্বামীর সঙ্গেই অন্যরকম সম্বন্ধ।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 206: “কত শবদেহ জ্বলিতেছে, কত ভস্মাবশেষ…সেই অন্ধকার রজনীতে শ্মশান কি ভয়ঙ্কর হইয়াছে”

    Ramakrishna 206: “কত শবদেহ জ্বলিতেছে, কত ভস্মাবশেষ…সেই অন্ধকার রজনীতে শ্মশান কি ভয়ঙ্কর হইয়াছে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita) 

    রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা (Kathamrita) চলিতে লাগিল। বিশ্বামিত্র বলিলেন, “মহারাজ! আমাকে সসাগরা পৃথিবী দান করিয়াছ, অতএব ইহার ভিতর তোমার স্থান নাই। তবে ৺কাশীধামে তুমি থাকিতে পার। সে মহাদেবের স্থান। চল, তোমাকে, তোমার সহধর্মিণী শৈব্যা ও তোমার পুত্র সহিত সেখানে পৌঁছাইয়া দিই। সেইখানে গিয়া তুমি দক্ষিণা যোগাড় করিয়া দিবে।” এই বলিয়া রাজাকে লইয়া ভগবান (Ramakrishna) বিশ্বামিত্র ৺কাশীধাম অভিমুখে যাত্রা করিলেন। কাশীতে পৌঁছিয়া সকলে ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন করিলেন।

    ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন কথা হইবামাত্র, ঠাকুর একেবারে ভাবাবিষ্ট; ‘শিব’ ‘শিব’ এই কথা অস্পষ্ট উচ্চারণ করিতেছেন।

    রাজা হরিশ্চন্দ্র দক্ষিণা দিতে পারিলেন না—কাজে কাজেই শৈব্যাকে বিক্রয় করিলেন। পুত্র রোহিতাশ্ব শৈব্যার সঙ্গে রহিলেন। কথকঠাকুর শৈব্যার প্রভু ব্রাহ্মণের বাড়ি রোহিতাশ্বের পুষ্পচয়ন কথা ও সর্পদংশন কথাও বলিলেন। সেই তমসাচ্ছন্ন কালরাত্রে সন্তানের মৃত্যু হইল। সৎকার করিবার কেহ নাই। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ প্রভু শয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিলেন না—শৈব্যা একাকী পুত্রের শবদেহ ক্রোড়ে করিয়া শ্মশানাভিমুখে আসিতে (Kathamrita) লাগিলেন। মাঝে মাঝে মেঘগর্জন ও অশনিপাত—নিবিড় অন্ধকার যেন বিদীর্ণ করিয়া এক-একবার বিদ্যুৎ খেলেতেছিল। শৈব্যা ভয়াকুলা শোকাকুলা,—রোদন করিতে করিতে আসিতেছেন।

    হরিশ্চন্দ্র দক্ষিণার টাকা সমস্ত হয় নাই বলিয়া চণ্ডালের কাছে নিজেকে বিক্রয় করিয়াছেন। তিনি শ্মশানে চণ্ডাল হইয়া বসিয়া আছেন। কড়ি লইয়া সৎকার কার্য সম্পাদন করিবেন। কত শবদেহ জ্বলিতেছে, কত ভস্মাবশেষ হইয়াছে। সেই অন্ধকার রজনীতে শ্মশান কি ভয়ঙ্কর হইয়াছে। শৈব্যা সেই স্থানে আসিয়া রোদন করিতেছেন—সে ক্রন্দন-বর্ণনা শুনিলে কাহার না হৃদয় বিদীর্ণ হয়, কোন্‌ দেহধারী জীবের হৃদয় বিগলিত না হয়? সমবেত শ্রোতাগণ হাহাকার করিয়া কাঁদিতেছেন।

    ঠাকুর (Kathamrita) কি করিতেছেন? স্থির হইয়া শুনিতেছেন—একেবারে স্থির—একবার মাত্র চক্ষের কোণে একটি বারিবিন্দু উদ্‌গত হইল, সেইটি মুছিয়া ফেলিলেন। অস্থির হইয়া হাহাকার করিলেন না কেন?

    শেষে বিশ্বামিত্রের আগমন, রোহিতাশ্বের জীবনদান, সকলে ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন ও হরিশ্চন্দ্রের পুনরায় রাজ্যপ্রাপ্তি বর্ণনা করিয়া, কথকঠাকুর কথা সাঙ্গ করিলেন। ঠাকুর বেদীর সম্মুখে বসিয়া অনেকক্ষণ হরিকথা শ্রবণ করিলেন। কথা সাঙ্গ হইলে তিনি বাহিরের ঘরে গিয়া বসিলেন। চতুর্দিকে ভক্তমণ্ডলী, কথকঠাকুরও (Ramakrishna) কাছে আসিয়া বসিলেন। ঠাকুর কথককে বলিতেছেন, “কিছু উদ্ধব-সংবাদ বল।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vastu Dosh: কী করে বুঝবেন বাড়িতে বাস্তুদোষ আছে কি না? রইল সমাধানের টিপস

    Vastu Dosh: কী করে বুঝবেন বাড়িতে বাস্তুদোষ আছে কি না? রইল সমাধানের টিপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে বাস্তু (Vastu Dosh) ব্যবহার করলে পরিবারের সদস্যদের উন্নতি হয় এবং মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে বাড়িতে বাস্ত দোষ থাকলে পরিবারের সদস্যদের জীবনে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই, হিন্দু ধর্মে বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বাস্তুশাস্ত্র হল একটি প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্য এবং নকশা প্রণালী, যার লক্ষ্য বাসস্থান এবং কাজের স্থানগুলির মধ্যে শক্তি প্রবাহকে সামঞ্জস্য এবং ভারসাম্য করা। আসুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক আপনার বাড়িতে বাস্ত দোষ আছে কি না। আর দোষ থাকলে কী করলে সেখান থেকে মুক্তি পাবেন।

    বাস্তু দোষের লক্ষণ (Vastu Dosh)

    বাস্তুশাস্ত্র (Vastu Dosh) অনুসারে যে বাড়িতে মানুষ বারবার যদি আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন বা আপনি না চাইলেও হঠাৎ করে অপ্রয়োজনীয় খরচ দেখা দেয়, তাহলে এর মানে হল আপনার বাড়িতে (Home) বাস্ত ত্রুটি রয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ির কোনও সদস্য যদি ক্রমাগত অসুস্থ থাকে এবং চিকিৎসা করেও সেরে না ওঠে, তাহলে এগুলো বাস্ত দোষের লক্ষণ। এমনকী, যে বাড়িতে বাস্ত দোষ আছে, সেখানে মানুষকে মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়। যদি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসার অবসান ঘটে এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বা তর্ক চলতে থাকে, তাহলে এর অর্থ হল বাড়িতে বাস্তু দোষ রয়েছে। সর্বদা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করা এবং এর কারণে ঘুমাতে না পারা বাস্ত ত্রুটি নির্দেশ করে। এছাড়া পরিবারের সদস্যরা সারাক্ষণ অলস বোধ করে। সারাদিন ফোন বা টিভিতে ব্যস্ত থাকে। আপনার মনে যদি বারবার নেতিবাচক চিন্তা আসে বা জীবন শেষ করার কথা ভাবছেন, তাহলে বাড়ির বাস্তু ঠিক নয়।

    বাস্তু দোষ সংশোধনের উপায়

    বাড়ির মূল দরজার দিকে নজর দিন। অনেক সময় বাড়ির মূল দরজা সঠিক দিকে না থাকার কারণে বাড়ির বাস্তু (Vastu Dosh) নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিদিন বাড়ির প্রধান গেটে হলুদ এবং কুমকুম দিয়ে একটি স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করুন। এতে নেতিবাচক শক্তি চলে যায় এবং বাস্তু দোষও দূর হয়। যদি পরিবারের লোকেদের মধ্যে ঝগড়া হয়, তবে ঘর মোছার সময়, জলে সামান্য নুন মিশিয়ে তারপর মুছুন। রান্নাঘরের অগ্নিকোণে একটি লাল বাল্ব রাখুন, এটি করলে সমস্ত অকল্যাণ দূর হয় এবং ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। যখন কোনও ব্যক্তির গ্রহের অবস্থানের অবনতি ঘটে, তখন নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ শুরু হয়, এমন পরিস্থিতিতেও অনেক ধরণের সমস্যায় পড়তে হয়। তাই, ঘর থেকে বাস্তু দোষ দূর করতে সময়ে সময়ে রামচরিতমানস বা সুন্দরকাণ্ড পাঠ করতে থাকুন। যদি বাড়ির কোনও জায়গায় বাস্তু দোষ তৈরি হয়, তবে প্রথমে একটি কপূরের পুরিয়া রাখুন। সেই কপূর শেষ হলে আরেকটি পুরিয়া রাখুন। এভাবে কপূরের পুরিয়া বদলাতে থাকলে বাস্তু দোষ থাকবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 205: “মহারাজ! আমাকে সসাগরা পৃথিবী দান করিয়াছ, অতএব ইহার ভিতর তোমার স্থান নাই”

    Ramakrishna 205: “মহারাজ! আমাকে সসাগরা পৃথিবী দান করিয়াছ, অতএব ইহার ভিতর তোমার স্থান নাই”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতায় ভক্তমন্দিরে — শ্রীযুক্ত রামচন্দ্র দত্তের বাড়ি কীর্তনানন্দে

    ঠাকুর (Ramakrishna) অধরের বাড়ি হইতে কলহান্তরিতা কীর্তন শ্রবণ করিয়া রামের বাড়ি আসিয়াছেন। সিমুলিয়া মধু রায়ের গলি।

    রামচন্দ্র ডাক্তারী শিক্ষা করিয়া ক্রমে মেডিক্যাল কলেজে সহকারী কেমিক্যাল এক্‌জামিনার হইয়াছিলেন ও Science Association-এ রসায়নশাস্ত্রের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি স্বোপার্জিত অর্থে বাড়িটি নির্মাণ করিয়াছেন। এ-স্থানে ঠাকুর কয়েকবার শুভাগমন করিয়াছিলেন, তাই ভক্তদের কাছে এটি আজ মহাতীর্থস্থান। রামচন্দ্র শ্রীগুরুর করুণাবলে বিদ্যার সংসার করিতে চেষ্টা করিতেন। ঠাকুর (Ramakrishna) দশমুখে রামের সুখ্যাতি করিতেন—বলিতেন (Kathamrita), রাম বাড়িতে ভক্তদের স্থান দেয়, কত সেবা করে, তাদের বাড়ি ভক্তদের একটি আড্ডা। নিত্যগোপাল, লাটু, তারক (শিবানন্দ), রামচন্দ্রের একরকম বাড়ির লোক হইয়া গিয়াছিলেন। তাঁহার সহিত অনেকদিন একসঙ্গে বাস করিয়াছিলেন। আর বাড়িতে ৺নারায়ণের নিত্য সেবা।

    রাম ঠাকুরকে (Ramakrishna) বৈশাখী পূর্ণিমার দিন—ফুলদোলের দিন—এই ভদ্রাসন বাটীতে পূজার্থে প্রথম লইয়া আসিবেন। প্রায় প্রতিবর্ষে ওই দিনে ঠাকুরকে লইয়া গিয়া ভক্তদের লইয়া মহোৎসব করিতেন। রামচন্দ্রের সন্তানপ্রতিম শিষ্যেরা এখনও অনেকে ওই দিনে উৎসব করেন।

    আজ রামের বাড়ি উৎসব! প্রভু আসিবেন। রাম শ্রীমদ্‌ভাগবত-কথামৃত তাঁহাকে শুনাইবার আয়োজন করিয়াছেন। ছোট উঠান কিন্তু তাহার ভিতরই কত পরিপাটি। বেদী রচনা হইয়াছে, তাহার উপর কথকঠাকুর উপবিষ্ট। রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা হইতেছে, এমন সময় বলরাম ও অধরের বাড়ি হইয়া ঠাকুর আসিয়া উপস্থিত। রামচন্দ্র আগুয়ান হইয়া ঠাকুরের পদধূলি মস্তকে গ্রহণ করিলেন (Kathamrita) ও তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে আসিয়া বেদীর সম্মুখে তাঁহার পূর্ব হইতে নির্দিষ্ট আসনে বসাইলেন। চতুর্দিকে ভক্তেরা। কাছে মাস্টার।

    রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ 

    রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা চলিতে লাগিল (Kathamrita)। বিশ্বামিত্র বলিলেন, “মহারাজ! আমাকে সসাগরা পৃথিবী দান করিয়াছ, অতএব ইহার ভিতর তোমার স্থান নাই। তবে ৺কাশীধামে তুমি থাকিতে পার। সে মহাদেবের স্থান। চল, তোমাকে, তোমার সহধর্মিণী শৈব্যা ও তোমার পুত্র সহিত সেখানে পৌঁছাইয়া দিই। সেইখানে গিয়া তুমি দক্ষিণা যোগাড় করিয়া দিবে।” এই বলিয়া রাজাকে লইয়া ভগবান বিশ্বামিত্র ৺কাশীধাম অভিমুখে যাত্রা করিলেন। কাশীতে পৌঁছিয়া সকলে ৺বিশ্বেশ্বর-দর্শন করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakhineswar: দক্ষিণেশ্বরে নবীন ভাস্কর তৈরি করেছিলেন মা কালীর তিনটি বিগ্রহ, বাকি দুটি কোথায়?

    Dakhineswar: দক্ষিণেশ্বরে নবীন ভাস্কর তৈরি করেছিলেন মা কালীর তিনটি বিগ্রহ, বাকি দুটি কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বর (Dakhineswar) মন্দিরের মা ভবতারিণীকে দর্শন করতে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করেন। কিন্তু, এই মূর্তি তৈরি হওয়ার আগে আরও দুটি মূর্তি তৈরি করেছিলেন শিল্পী নবীন ভাস্কর। মা ভবতারিণীর সঙ্গে আজও কলকাতায় পূজিত হন আরও দুটি মূর্তি। সেই মূর্তি দুটি কোথায়? কী নামে ডাকা হয় তা অনেকের কাছে অজানা। মা ভবতারিণীসহ তিনটি কষ্টি পাথরের মূর্তিকে তিন বোন বলা হয়। তবে, তাঁদের বোন বলার নেপথ্যে কী কারণ আছে? এই ঘটনার বিষয়ে জানতে গেলে একটু ইতিহাসের পাতা ওল্টাতে হবে।

    মূর্তি তৈরির ইতিহাস (Dakhineswar)

    জানা গিয়েছে, কাশীতে দেবী অন্নপূর্ণার পুজো দিতে যাচ্ছিলেন কলকাতার (Dakhineswar) জানবাজারের রানি রাসমণি। ঠিক যাত্রার প্রাক্কালেই মা কালীর স্বপ্নাদেশ পান তিনি। স্বপ্নে স্বয়ং মা কালী রানিমাকে কাশিধামে না গিয়ে বরং কলকাতাতেই গঙ্গাতীরে একখানা মন্দির নির্মাণ করার নির্দেশ দেন। মায়ের নির্দেশ পেয়ে জমি খোঁজা শুরু করলেন। অবশেষে বরানগরের পাশে দক্ষিণেশ্বর গ্রামে গঙ্গার ধারে মিলল জমি। সেই জমিতেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে রানিমা মন্দির নির্মাণে মন দিলেন। কিন্তু শুধু মন্দির হলেই তো হবে না। মায়ের মূর্তিও তো গড়াতে হবে। কার ওপর দায়িত্ব দেবেন এই মূর্তি নির্মাণের? শুরু হল খোঁজ। শেষ পর্যন্ত বরাত পেলেন কাটোয়ার কাছে দাইহাঁটের নবীন ভাস্কর। তিনি তখন সদ্য যুবা হলেও তাঁর শিল্পনৈপুণ্যতার প্রশংসা সারা কলকাতা শহরে ছড়িয়ে পড়েছিল। জনশ্রুতি আছে, কেবলমাত্র পেশাদার ভাস্কর হিসেবে নবীন এ কাজ করেননি। যেরকম ভক্তি থাকলে মায়ের এমন রূপ ফুটিয়ে তোলা যায়, সেরকম ভক্তিভাবই ছিল তাঁর কাজে। একজন সাধকের মতোই এ কাজে মগ্ন হয়েছিলেন তিনি। বিহার থেকে এল বিশেষ কষ্টি পাথর। কলকাতায় এসে নবীন ভাস্কর সেই পাথর কেটে তৈরি করলেন মূর্তি।

    মূর্তি তৈরির পরই হল সমস্যা

    জানা যায়, সে সময় হবিষ্যান্ন খেয়ে নিষ্ঠা সহকারে মূর্তি তৈরির কাজ শেষ করেছিলেন নবীন। কিন্তু কাজ যেন শেষ হয়েও শেষ হল না। মূর্তি নির্মাণ হয়ে গেলে রানি রাসমণি (Dakhineswar) মাতৃমূর্তি দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু, মূর্তি পছন্দ হয়নি তাঁর। আসলে সেই মূর্তিটি দক্ষিণেশ্বরের গর্ভগৃহের বেদীর তুলনায় ছোট হয়েছিল। এরপর আবার মূর্তি নির্মাণের কাজে হাত লাগালেন নবীন। হাত লাগালে তাতেও দেখা দিয়েছিল আর-এক সমস্যা। সেই মূর্তিটি আবার গর্ভগৃহের মাপের থেকে কিঞ্চিৎ বড় হয়ে গিয়েছিল। তাই পুনরায় মূর্তি তৈরি শুরু করেছিলেন নবীন। তবে তৃতীয়বার যে মূর্তি নির্মিত হল, আমরা আজও সেই রূপেই মায়ের দর্শন পাই দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে। এই মা’ই হলেন জগদীশ্বরী কালীমাতা ভবতারিণী ঠাকুরানী।

    বাকি দুটি মূর্তি কোথায়?

    জানা যায়, নবীন ভাস্কর (Dakhineswar) একই কষ্টি পাথর খণ্ড থেকেই মোট তিনটি মূর্তি তৈরি করেছিলেন। তবে, আর দুটি মূর্তি কোথায় আছে? শোনা যায়, নবীন ভাস্কর নির্মিত সবচেয়ে বড়ো মূর্তিটি হেদুয়ার গুহ বাড়িতে নিস্তারিণী কালী নামে পূজিতা হন। আর সবচেয়ে ছোট মূর্তিটি বরানগরের প্রামাণিক ঘাট রোডে দে প্রামাণিক পরিবারে ব্রহ্মময়ী কালী নামে পূজিতা হচ্ছেন। জনশ্রুতি আছে, এই ব্রহ্মময়ী কালীকে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ ছোট মাসি এবং নিস্তারিণী কালীকে বড় মাসি বলে ডাকতেন। জানা গিয়েছে, মা ভবতারিণীর মূর্তি নির্মাণের পর থেকেই নবীন ভাস্কর সারা বাংলাতে খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 204: “গোপীরা কাত্যায়নীপূজা করেছিলেন, সকলেই সেই মহামায়া আদ্যাশক্তির অধীনে”

    Ramakrishna 204: “গোপীরা কাত্যায়নীপূজা করেছিলেন, সকলেই সেই মহামায়া আদ্যাশক্তির অধীনে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    কলিকাতায় বলরাম ও অধরের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    শ্রীমতী—সখি, মান তো আমার নয়। যার মান তার সঙ্গে গেছে।

    ললিতা শ্রীমতীর হয়ে দুটো কথা বলছেন—

        সবহুঁ মিলি কয়লি প্রীত…
    কোই দেখাইলি ঘাটে মাঠে, বিশাখা দেখালি চিত্রপটে!

    এইবার কীর্তনে গোস্বামী বলছেন যে, সখীরা রাধাকুণ্ডের নিকট শ্রীকৃষ্ণকে (Ramakrishna) অন্বেষণ করিতে লাগিল। তারপর যমুনাপুলিনে শ্রীকৃষ্ণদর্শন, শ্রীদাম-সুদাম মধুমঙ্গল সঙ্গে, বৃন্দার সহিত শ্রীকৃষ্ণের কথা, শ্রীকৃষ্ণের যোগিবেশ, জটিলা সংবাদ, রাধার ভিক্ষা দেন, রাধার হাত দেখে যোগীর গণনা ও ফাঁড়া কথন। কাত্যায়নীপূজায় যাওয়ার আয়োজন কথা (Ramakrishna)।

    The Humanity of Avatars 

    কীর্তন সমাপ্ত হইল। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে আলাপ করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—গোপীরা কাত্যায়নীপূজা করেছিলেন। সকলেই সেই মহামায়া আদ্যাশক্তির অধীনে। অবতার আদি পর্যন্ত মায়া আশ্রয় করে তবে লীলা করেন। তাই তাঁরা আদ্যাশক্তির পূজা করেন। দেখ না, রাম সীতার জন্য কত কেঁদেছেন। “পঞ্চভূতের ফাঁদে, ব্রহ্ম পড়ে কাঁদে।”

    “হিরণ্যাক্ষকে বধ করে বরাহ অবতার ছানা-পোনা নিয়ে ছিলেন। আত্মবিস্মৃত হয়ে তাদের মাই দিচ্ছিলেন! দেবতারা পরামর্শ করে শিবকে পাঠিয়ে দিলেন। শিব শূলের আঘাতে বরাহের দেহ ভেঙে দিলেন; তবে তিনি স্বধামে চলে গেলেন। শিব জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তুমি আত্মবিস্মৃত হয়ে আছ কেন? তাতে তিনি বলেছিলেন (Ramakrishna), আমি বেশ আছি!”

    অধরের বাটী হইয়া এইবার ঠাকুর রামের বাটীতে গমন করিতেছেন। সেখানে কথকঠাকুরের (Ramakrishna) মুখে উদ্ধব-সংবাদ শুনিলেন। রামের বাটীতে কেদারাদি ভক্তগণ উপস্থিত ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share