Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ramakrishna 198: “সখি, এ প্রাণ তো থাকিবে না—রেখো দেহ তমালের ডালে, আর আবার গায়ে কৃষ্ণনাম লিখে দিও”

    Ramakrishna 198: “সখি, এ প্রাণ তো থাকিবে না—রেখো দেহ তমালের ডালে, আর আবার গায়ে কৃষ্ণনাম লিখে দিও”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৩ই মে

    শ্রীরামকৃষ্ণ হরিকীর্তনানন্দে — হরিভক্তি-প্রদায়িনী সভায় ও রামচন্দ্রের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কলিকাতায় কাঁসারীপাড়া হরিভক্তি-প্রদায়িনী সভায় শুভাগমন করিয়াছেন; রবিবার (৩১শে) বৈশাখ, শুক্লা সপ্তমী, ১৩ই মে, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। আজ সভার বার্ষিক উৎসব হইতেছে। মনোহরসাঁই-এর কীর্তন হইতেছে।

    ‘মান’ এই পালা গান হইতেছে। সখীরা শ্রীমতীকে বলছেন (Kathamrita), “মান কেন করলি, তবে তুই বুঝি কৃষ্ণের সুখ চাস না।” শ্রীমতী বলছেন, “চন্দ্রাবলীর কুঞ্জে, যাবার জন্য নয়। সেখানে যাওয়া কেন? সে যে সেবা জানে না!”)

    পরের রবিবার (২০-৫-৮৩) রামচন্দ্রের বাটীতে আবার কীর্তন হইতেছে, মাথুর গান। ঠাকুর আসিয়াছেন। বৈশাখ, শুক্লা চতুর্দশী; ৭ই জ্যৈষ্ঠ। মাথুর গান হইতেছে, শ্রীমতী কৃষ্ণের বিরহে অনেক কথা বলিতেছেন, ”বালিকা অবস্থা থেকেই শ্যামকে দেখতে ভালবাসতাম। সখি, নখের ছনদ দিন গুণিতে ক্ষয় হয়ে গেছে। দেখ, তিনি যে মালা দিয়েছেন, সে মালা শুকায়ে গিয়েছে, তবু ফেলি নাই। কৃষ্ণচন্দ্রের উদয় কোথা হল? সে চন্দ্র, মান রাহুর ভয়ে বুঝি চলে গেল! হায়, সেই কৃষ্ণ মেঘকে আবার কবে দর্শন হবে; আর কি দেখা হবে! বঁধু, প্রাণ ভরে তোমায় কখনও দেখিতে পাই নাই; একে দুটি চোখ তাতে নিমিখ্‌, তাতে বারিধারা। তাঁর শিরে ময়ূর পাখা যেন স্থির বিজলী। ময়ূরগণ সেই মেঘ দেখে পাখা তুলে নৃত্য করত।

    “সখি, এ প্রাণ তো থাকিবে (Kathamrita) না—রেখো দেহ তমালের ডালে, আর আবার গায়ে কৃষ্ণনাম লিখে দিও!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বলিতেছেন (Kathamrita), “তিনি আর তাঁর নাম অভেদ; তাই শ্রীমতী এইরূপ বলছেন। যেই রাম সেই নাম।” ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়া এই মাথুর কীর্তন গান শুনিতেছেন। গোস্বামী কীর্তনিয়া এই সকল গান গাইতেছেন। আগামী রবিবারে আবার দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ওই গান হইবে। তাহার পরের শনিবারে আবার অধরের বাড়িতে ওই কীর্তন হইবে।

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: নাগপুরের রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে শুরু আরএসএসের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির

    RSS: নাগপুরের রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে শুরু আরএসএসের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস (RSS) ২৫ দিনের বিশেষ কার্যকর্তা বিকাশ বর্গ শুরু করেছে নাগপুরের রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে (Dr. Hedgewar)। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণবর্গের সাধারণ যে কাঠামো তার থেকে এই বর্গ কিছুটা আলাদা। এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্যে হল, ব্যক্তি মনে রাষ্ট্রীয় ঐক্য এবং সহানুভূতির পুনঃজাগরণ ঘটানো। সামাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঙ্ঘের স্বয়ং সেবকদের পূর্ণ সমর্পণের ভাবনা নিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।

    মোট ৮৬৮ জন অংশ গ্রহণ করেন (RSS)

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আরএসএস-এর (RSS) সহ সরকার্যবাহ কৃষ্ণগোপালজি, মুকুনন্দজি এবং রামদত্তাজি। একই ভাবে উপস্থিত ছিলেন, অখিল ভারতীয় সহ সেবা প্রমুখ এবং বর্গ পালক রাজকুমারজি মাতালে। এছাড়াও ছিলেন, যোধপুর প্রান্ত সঙ্ঘচালক হরদয়াল ভার্মাজিও উপস্থিত ছিলেন। সকলেই ভারত মায়ের মূর্তিতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরের (Dr. Hedgewar) এই প্রশিক্ষণ বর্গে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে মোট ৮৬৮ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৫ দিন ধরে এই প্রশিক্ষণ শিবির চলবে। শিবির সমাপ্ত হবে ১২ ডিসেম্বর। এই বর্গে সামজিক সচেতনতা এবং দায়িত্ব-কর্তব্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    মানুষের সেবা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রই প্রকৃত ধর্ম

    রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার (Dr. Hedgewar) স্মৃতি মন্দিরের (RSS) এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, বর্গের পালক রাজকুমারজি মাতালে বলেন, “সমাজ জীবনে ব্যক্তি নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, দেশপ্রেম এবং পরস্পর সহাবস্থান একান্ত অপরিহার্য। সঙ্ঘে এই প্রশিক্ষণ একান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে একাধিক প্রদেশে প্রশিক্ষণ বর্গেরও আয়োজন করা হয়। তবে নাগপুরের এই বর্গ বিশেষ বর্গ। একে কার্যকর্তা প্রশিক্ষণ বর্গ বলা হয়। অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা শিক্ষা গ্রহণ করবেন এবং এরপর বাস্তব জীবনে গিয়ে তার প্রয়োগ করবেন। মানুষের সেবা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রই প্রকৃত ধর্ম। মহতি শাখা থেকে ডাক্তারজি কাজ শুরু করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন যে কোনও ভালো কাজ করতে গেলে নানা বাধা আসে। উপহাস, সমালোচনা হয়। কিন্তু পরে পরেই গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ে। আজ সঙ্ঘ সামাজিক কাজে মানুষের মনে বিরাট জায়গা করে নিয়েছে। যারা প্রথমে সমালোচনা করেছে, তারা আজ সঙ্ঘের কাজে যোগদান করছে।”

    ১৯২৫ সালে নাগপুরে বিজয় দশমীর দিনে স্থাপনা

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS) ১৯২৫ সালে নাগপুরে বিজয় দশমীর দিনে স্থাপনা করেছিলেন ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার (Dr. Hedgewar)। কলকাতায় ডাক্তারি পড়তে এসেছিলেন তিনি। বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতি, যুগান্তর দল, গুপ্ত সমিতির সঙ্গে পরিচিত হন। স্বাধীনতার আন্দোলনে যোগদান করেন। দেশ রক্ষা ধর্ম রক্ষার প্রয়োজন অনুভব করেন। এরপর হিন্দু সমাজকে রক্ষার জন্য আরএসএস স্থাপনা করেন নাগপুরে। ১৯২৭ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রশিক্ষণ বর্গ শুরু করেন। প্রথম প্রশিক্ষণে মাত্র ১৭ জন যোগদান করেছিলেন। একমাত্র জরুরি অবস্থা এবং করোনার সময় প্রশিক্ষণ শিবির বন্ধ ছিল। বর্গের ধারার এখনও প্রবাহ বয়ে চলছে।

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    অধিক কাজের জন্য অধিক কার্যকর্তা

    সময়ের প্রয়োজন এবং সমাজের চাহিদাকে সামনে রেখে সঙ্ঘ নিজের প্রশিক্ষণেও পরিবর্তন এনেছে। কঠিন সঙ্কটে কী করণীয়, কীভাবে অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখে সংগ্রাম করতে হয় সেই বিষয়ে বিশেষ শিক্ষা দেওয়া হয়। একই ভাবে ভারতীয় ইতিহাসবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরম্পরা-ঐতিহ্যের বিশেষ পাঠ দেওয়া হয়। শুধু সমাজের সামালোচনাই নয়, সেই সঙ্গে গঠন মূলক ইতিবাচক সমাধানের রাস্তার কথাও বলতে হয়। এই বছর থেকে সঙ্ঘের শতবর্ষ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। প্রত্যেক গ্রাম, নগর এবং শহরে সঙ্ঘকাজকে (RSS) নিয়ে যাওয়ার বিরাট পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই অধিক কাজ এবং অধিক কাজের জন্য বেশি সংখ্যক মানুষকে যোগদান করানো প্রধান কাজ বলে মনে করে আরএসএস। তাই স্বয়ং সেবকদের সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 197: “তুমি আমাদের পিতা, আমাদের সদ্বুদ্ধি দাও—তোমাকে নমস্কার, আমাদিগকে বিনাশ করিও না”

    Ramakrishna 197: “তুমি আমাদের পিতা, আমাদের সদ্বুদ্ধি দাও—তোমাকে নমস্কার, আমাদিগকে বিনাশ করিও না”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা মে

    নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    শ্রীমন্দিরদর্শন ও উদ্দীপন—শ্রীরাধার প্রেমোন্মাদ

    ব্রাহ্মোপাসনা ও শ্রীরামকৃষ্ণ 

    এইবার উপাসনা আরম্ভ হবে। উপাসনার বৃহৎ প্রকোষ্ঠ ব্রাহ্মভক্তে পরিপূর্ণ হইল। কয়েকটি ব্রাহ্মিকা ঘরের উত্তরদিকে চেয়ারে আসিয়া বসিলেন—হাতে সঙ্গীতপুস্তক।

    পিয়ানো ও হারমোনিয়াম সংযোগে ব্রহ্মসঙ্গীত গীত হইতে জাগিল। সঙ্গীত শুনিয়া ঠাকুরের (Ramakrishna) আনন্দের সীমা রহিল না। ক্রমে উদ্বোধন—প্রার্থনা—উপাসনা। বেদীতে উপবিষ্ট আচার্যগণ বেদ হইতে মন্ত্রপাঠ করিতে লাগিলেন:

    ‘ওঁ পিতা নোঽসি পিতা নোবোধি। নমস্তেস্তু মা মা হিংসীঃ।

    ‘তুমি আমাদের পিতা, আমাদের সদ্বুদ্ধি দাও—তোমাকে নমস্কার। আমাদিগকে বিনাশ করিও না।’

    ব্রাহ্মভক্তেরা সমস্বরে আচার্যের সহিত বলিতেছেন:

    ওঁ সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্ম। আনন্দরূপমমৃতংযদ্বিভাতি।
    শান্তং শিবমদ্বৈতম্‌ শুদ্ধমপাপবিদ্ধম্‌।

    এইবার আচার্যগণ স্তব করিতেছেন:

    ওঁ নমস্তে সতে তে জগৎকারণায়
    নমস্তে চিতে সর্বলোকাশ্রয়ায়। ইত্যাদি।

    স্তোত্রপাঠের পর আচার্যেরা প্রার্থনা করিতেছেন:

    অসতো মা সদ্‌গময়। তমসো মা জ্যোতির্গময়।
    মৃত্যোর্মাঽমৃতং গময়। …আবিরাবীর্ম এধি।
    …রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যম্‌।

    স্ত্রোত্রাদি পাঠ শুনিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) ভাবাবিষ্ট হইতেছেন। এইবার আচার্য প্রবন্ধ পাঠ করিতেছেন।

    অক্রোধ পরমানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণ—অহেতুক কৃপাসিন্ধু 

    উপাসনা হইয়া গেল। ভক্তদের লুচি, মিষ্টান্ন আদি খাওয়াইবার উদ্যোগ হইতেছে। ব্রাহ্মভক্তেরা অধিকাংশই নিচের প্রাঙ্গণে ও বারান্দায় বায়ুসেবন করিতেছেন।

    রাত নয়টা হইল। ঠাকুরের দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ফিরিয়া যাইতে হইবে। গৃহস্বামীরা আহূত সংসারীভক্তদের লইয়া খাতির করিতে করিতে এত ব্যতিব্যস্ত হইয়াছেন যে, ঠাকুরের আর কোন সংবাদ (Kathamrita) লইতে পারিতেছেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (রাখাল প্রভৃতির প্রতি)—কিরে কেউ ডাকে না যে রে!

    রাখাল (সক্রোধে)—মহাশয়, চলে আসুন—দক্ষিণেশ্বরে যাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্য)—আরে রোস্‌—গাড়িভাড়া তিন টাকা দুআনা কে দেবে!—রোখ করলেই হয় না। পয়সা নাই আবার ফাঁকা রোখ! আর এত রাত্রে খাই (Kathamrita) কোথা!

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2024: শান্তিপুরে ভাঙা রাসে ‘রাইরাজা’, শোভাযাত্রা ঘিরে উন্মাদনা

    Rash Yatra 2024: শান্তিপুরে ভাঙা রাসে ‘রাইরাজা’, শোভাযাত্রা ঘিরে উন্মাদনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিপুরে ভাঙা রাসের (Rash Yatra 2024) প্রধান আকর্ষণ ‘রাইরাজা’, রাধার কৃষ্ণ সাজার পটভূমিতে পৌরাণিক বিশ্বাস। জানা যায় বিশ্বে শুধু শান্তিপুরেই (Santipur) এই রীতি আজও বিরাজমান। নদিয়ার শান্তিপুর শহরে ভাঙা রাসের মূল আকর্ষণ রাধিকা রাজা, যাকে সাধারণভাবে রাইরাজা বলেন এলাকার মানুষ।

    রাইরাজার ইতিহাস (Rash Yatra 2024)

    চৈতন্য চরিতামৃত অনুয়ায়ী, দ্বাপর যুগে বৃন্দাবনে শ্রী কৃষ্ণ যখন ষোলশ গোপিনীর সঙ্গে রাস লীলায় মত্ত ছিলেন তখন স্বয়ং মহাদেব গোপিনীর ছদ্মবেশে বৃন্দাবনে প্রবেশ করেন। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ মহাদেবকে চিনে ফেলতে সক্ষম হন। মহাদেবকে দেখার পরমুহূর্তেই শ্রী কৃষ্ণ অন্তর্হিত হন। কিন্তু, শ্রীকৃষ্ণ ব্যাতিত রাসলীলা অসম্ভব, আর ঠিক সেই কারণেই সমস্ত গোপিনীরা রধিকাকেই রাজা সাজিয়ে রাসলীলা (Rash Yatra 2024) সম্পন্ন করেন। সেই থেকেই রাধিকা রাজা বা রাই রাজার উদ্ভব। অন্যদিকে আরেকটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ, শ্রীকৃষ্ণ যে মুহূর্তে রাসলীলার মঞ্চ থেকে অন্তর্হিত হলেন, সেই মুহূর্ত বা সময়টি ভাঙা রাস নামে সুপরিচিত। অর্থাৎ একদিকে ভাঙা রাস ও অন্য দিকে রাই রাজা একই সন্ধিক্ষণ থেকেই সৃষ্ট। সেই কারণেই ভাঙা রাসে রাই রাজাকে নগর পরিক্রমা করানোর রীতি রয়েছে প্রায় প্রতিটি পরিবারিক বিগ্রহের।

    প্রতিটি বিগ্রহ পরিবারে হয় ‘রাইরাজা’

    সুসজ্জিত রাইরাজাকে বিগ্রহ বাড়ির হাওদায় তোলার আগে তাকে বরণ করার রীতিও রয়েছে বিগ্রহ পরিবারগুলির মধ্যে। মূলত, ব্রাহ্মণ পরিবারের কুমারী নাবালিকাকে সুসজ্জিত ও দৃষ্টি নন্দন সাজসজ্জায় সাজিয়ে তুলেই নগর পরিক্রমায় (Rash Yatra 2024) বের করার রীতি রয়েছে। শান্তিপুর শহরের প্রতিটি বিগ্রহ পরিবার যেমন  বড় গোস্বামী, পাগলা গোস্বামী, বাঁশ বুনিয়া গোস্বামী, চাক ফেরা, মদন গোপাল সহ আরও অন্যান্য বিগ্রহ পরিবারগুলি রাইরাজা সহ তাদের রাধাকৃষ্ণের নয়নাভিরাম যুগল মূর্তি সহ শোভা যাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। শান্তিপুর শহরে বেশ কিছু অব্রাহ্মণ পরিবারেরও রাইরাজাকে নগর পরিক্রমা করানোর রীতি রয়েছে। যেমন সাহা বাড়ি, পুট পুঁটি জিউ আবার আশানন্দ বারোয়ারি র শোভা যাত্রায় রাই রাজা দেখতে পাওয়া যায়। শান্তিপুরের ভাঙা রাসের শোভাযাত্রায় আরাধ্য শ্রীবিগ্রহদের পাশাপাশি এক বিশেষ আকর্ষণ থাকে এই রাইরাজা। পূর্বে গোস্বামীদের গৃহ থেকে বিভিন্ন নিয়ম আচার মেনে, নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ বংশের অরজস্বলা, সুন্দরী এবং সুলক্ষণা কিশোরীদের নির্বাচন করা হত, তাঁরাই বস্ত্রালঙ্কারে সেজে হাতির পিঠে রাইরাজা-রূপে শোভাযাত্রায় অংশ নিতেন। এখন নিয়ম কিছুটা শিথিল হয়েছে, বিভিন্ন গোষ্ঠীর তরফ থেকেই রাইরাজারা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। আর এই শোভাযাত্রা দেখতে উপচে পড়ে ভিড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 196: “সংসারী লোকদের ঈশ্বরে অনুরাগ ক্ষণিক—যেমন তপ্ত লৌহে জলের ছিটে দিলে, জল তাতে যতক্ষণ থাকে”

    Ramakrishna 196: “সংসারী লোকদের ঈশ্বরে অনুরাগ ক্ষণিক—যেমন তপ্ত লৌহে জলের ছিটে দিলে, জল তাতে যতক্ষণ থাকে”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা মে

    নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    শ্রীমন্দিরদর্শন ও উদ্দীপন—শ্রীরাধার প্রেমোন্মাদ

    “মন্দির দেখলে তাঁকেই মনে পড়ে—উদ্দীপন হয়। যেখানে তাঁর কথা হয় সেইখানে তাঁর আবির্ভাব হয়,—আর সকল তীর্থ উপস্থিত হয়। এ-সব জায়গা দেখলে ভগবানকেই মনে পড়ে।

    “একজন ভক্ত বাবলাগাছ দেখে ভাবাবিষ্ট হয়েছিল!—এই মনে করে যে, এই কাঠে ঠাকুর (Ramakrishna) রাধাকান্তের বাগানের জন্য কুড়ুলের বাঁট হয়।

    “একজন ভক্তের এরূপ গুরুভক্তি যে, গুরুর পাড়ার লোককে দেখে ভাবে বিভোর হয়ে গেল!

    “মেঘ দেখে—নীলবসন দেখে—চিত্রপট দেখে—শ্রীমতীর কৃষ্ণের উদ্দীপন হত। তিনি এই সব দেখে উন্মত্তের ন্যায় ‘কোথায় কৃষ্ণ!’ বলে (Kathamrita) ব্যাকুল হতেন।”

    ঘোষাল—উন্মাদ তো ভাল নয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সে কি গো? একি বিষয়চিন্তা করে উন্মাদ, যে অচৈতন্য হবে? এ অবস্থা যে ভগবানচিন্তা করে হয়! প্রেমোন্মাদ, জ্ঞানোন্মাদ—কি শুন নাই?

    উপায়—ঈশ্বরকে ভালবাসা ও ছয় রিপুকে মোড় ফিরানো 

    একজন ব্রাহ্মভক্ত—কি উপায়ে তাঁকে পাওয়া যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর উপর ভালবাসা।—আর এই সদাসর্বদা বিচার—ঈশ্বরই সত্য, জগৎ অনিত্য।

    “অশ্বত্থই সত্য—ফল দুদিনের জন্য।”

    ব্রাহ্মভক্ত—কাম, ক্রোধ, রিপু রয়েছে, কি করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ছয় রিপুকে ঈশ্বরের দিকে মোড় ফিরিয়ে দাও।

    “আত্মার সহিত রমণ করা, এই কামনা।

    “যারা ঈশ্বরের পথে বাধা দেয় তাদের উপর ক্রোধ। তাঁকে পাবার লোভ। ‘আমার আমার’ যদি করতে হয়, তবে তাঁক লয়ে। যেমন—আমার কৃষ্ণ, আমার রাম। যদি অহংকার করতে হয় তো বিভীষণের মতো!—আমি রামকে প্রণাম করেছি—এ-মাথা আর কারু কাছে অবনত করব না।”

    ব্রাহ্মভক্ত—তিনিই যদি সব করাচ্ছেন, তাহলে আমি পাপের জন্য দায়ী নই?

    Free Will, Responsibility (পাপের দায়িত্ব

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—দুর্যোধন ওই কথা বলেছিল (Kathamrita),

    “ত্বয়া হৃষিকেশ হৃদিস্থিতেন, যথা নিযুক্তোঽস্মি তথা করোমি।

    “যার ঠিক বিশ্বাস—‘ঈশ্বরই কর্তা আর আমি অকর্তা’—তার পাপ কার্য হয় না। যে নাচতে ঠিক শিখেছে তার বেতালে পা পড়ে না।

    “অন্তর শুদ্ধ না হলে ঈশ্বর আছেন বলে বিশ্বাসই হয় না!”

    ঠাকুর উপাসনাগৃহে সমবেত লোকগুলিকে দেখিতেছেন ও বলিতেছেন—“মাঝে মাঝে এরূপ একসঙ্গে ঈশ্বরচিন্তা ও তাঁর নামগুণকীর্তন করা খুব ভাল।

    “তবে সংসারী লোকদের ঈশ্বরে অনুরাগ ক্ষণিক—যেমন তপ্ত লৌহে জলের ছিটে দিলে, জল তাতে যতক্ষণ থাকে!”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 195: “নরেন্দ্র আমায় বলেছিল, সমাজমন্দির প্রণাম করে কি হয়?”

    Ramakrishna 195: “নরেন্দ্র আমায় বলেছিল, সমাজমন্দির প্রণাম করে কি হয়?”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা মে

    নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    শ্রীমন্দিরদর্শন ও উদ্দীপন—শ্রীরাধার প্রেমোন্মাদ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নন্দনবাগান ব্রাহ্মসমাজ-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। ব্রাহ্মভক্তদের সহিত কথা (Kathamrita) কহিতেছেন। সঙ্গে রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি আছেন। বেলা পাঁচটা হইবে।

    ৺কাশীশ্বর মিত্রের বাগান বড়ি নন্দনবাগানে। তিনি পূর্বে সদরওয়ালা ছিলেন। আদি ব্রাহ্মসমাজভুক্ত ব্রহ্মজ্ঞানী। তিনি নিজের বাড়িতেই দ্বিতলায় বৃহৎ প্রকোষ্ঠমধ্যে ঈশ্বরের উপাসনা করিতেন, আর ভক্তদের নিমন্ত্রণ করিয়া মাঝে মাঝে উৎসব করিতেন। তাঁহার স্বর্গরোহণের পর শ্রীনাথ, যজ্ঞনাথ প্রভৃতি তাঁহার পুত্রগণ কিছুদিন ওইরূপ উৎসব করিয়াছিলেন। তাঁহারাই ঠাকুরকে অতি যত্ন করিয়া নিমন্ত্রণ করিয়া আনিয়াছেন।

    ঠাকুর প্রথমে আসিয়া নিচে একটি বৈঠকখানাঘরে আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন। সে ঘরে ব্রাহ্মভক্তগণ ক্রমে ক্রমে আসিয়া একত্রিত হইয়াছিলেন। শ্রীযুক্ত রবীন্দ্র (ঠাকুর) প্রভৃতি ঠাকুরবংশের ভক্তগণ এই উৎসবক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন।

    আহূত হইয়া ঠাকুর ভক্তসঙ্গে দ্বিতলায় উপাসনামন্দিরে গিয়া উপবেশন করিলেন। উপাসনার গৃহের পূর্বধারে বেদী রচনা হইয়াছে। দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি ইংরেজী বাদ্যযন্ত্র (Piano) রহিয়াছে। ঘরের উত্তরাংশে কয়েকখানি চেয়ার পাতা আছে। তাহারই পূর্বধারে দ্বার আছে—অন্তঃপুরে যাওয়া যায়।

    সন্ধ্যার সময় উৎসবের উপাসনা আরম্ভ হইবে। আদি ব্রাহ্মসমাজের শ্রীযুক্ত ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায় দু-একটি ভক্তসঙ্গে বেদীতে বসিয়া উপাসনাকার্য সম্পন্ন করিবেন।

    গ্রীষ্মকাল—আজ বুধবার (২০শে বৈশাখ), চৈত্র কৃষ্ণা দশমী তিথি। ২রা মে, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। ব্রাহ্মভক্তেরা অনেকে নিচের বৃহৎ প্রাঙ্গণে বা বারান্দায় বেড়াইতেছেন। শ্রীযুক্ত জানকী ঘোষাল প্রভৃতি কেহ কেহ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কাছে উপাসনাগৃহে আসিয়া আসন গ্রহণ করিয়াছেন। তাঁহার মুখে ঈশ্বরীয় কথা শুনিবেন। ঘরে প্রবেশ করিবামাত্র বেদীর সম্মুখে ঠাকুর প্রণাম করিলেন। আসন গ্রহণ করিয়া রাখাল, মাস্টার প্রভৃতিকে কহিতেছেন—

    নরেন্দ্র আমায় বলেছিল(Kathamrita), ‘সমাজমন্দির প্রণাম করে কি হয়?’

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 194: “সত্ত্বগুণ যেন সিঁড়ির শেষ ধাপ, তারপরেই ছাদ, মানুষের স্বধাম হচ্ছে পরব্রহ্ম”

    Ramakrishna 194: “সত্ত্বগুণ যেন সিঁড়ির শেষ ধাপ, তারপরেই ছাদ, মানুষের স্বধাম হচ্ছে পরব্রহ্ম”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচার্য শ্রীবেচারাম — বেদান্ত ও ব্রহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যখন তিনি সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় করেন তখন তাঁকে সগুণ ব্রহ্ম, আদ্যাশক্তি বলি। যখন তিনি তিন গুণের অতীত তখন তাঁকে নির্গুণ ব্রহ্ম, বাক্য-মনের অতীত বলা যায়; পরব্রহ্ম।

    “মানুষ তাঁর মায়াতে পড়ে স্ব-স্বরূপকে ভুলে যায়। সে যে বাপের অনন্ত ঐশ্বর্যের অধিকারী তা ভুলে যায়। তাঁর মায়া ত্রিগুণময়ী। এই তিনগুণই ডাকাত, সর্বস্ব হরণ করে; স্ব-স্বরূপকে ভুলিয়ে দেয়। সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ—তিন গুণ। এদের মধ্যে সত্ত্বগুণই ঈশ্বরের পথ দেখিয়ে দেয়। কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সত্ত্বগুণও নিয়ে যেতে পারে না।

    “একজন ধনী বনপথ দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় তিনজন ডাকাত এসে তাকে ঘিরে ফেলল ও তার সর্বস্ব হরণ করলে। সব কেড়ে-কুড়ে নিয়ে একজন ডাকাত বললে, ‘আর একে রেখে কি হবে? একে মেরে ফেল’—এই বলে তাকে কাটতে এল। দ্বিতীয় ডাকাত বললে, ‘মেরে ফেলে কাজ নেই, একে আষ্টে-পিষ্টে বেঁধে এইখানেই ফেলে রেখে যাওয়া যাক। তাহলে পুলিসকে খবর দিতে পারবে না।’ এই বলে ওকে বেঁধে রেখে ডাকাতরা চলে গেল। খানিকক্ষণ পরে তৃতীয় ডাকাতটি ফিরে এল। এসে বললে, ‘আহা তোমার বড় লেগেছে, না? আমি তোমার বন্ধন খুলে দিচ্ছি।’ বন্ধন খুলবার পর লোকটিকে সঙ্গে করে নিয়ে ডাকাত পথ দেখিয়ে দেখিয়ে চলতে লাগল। সরকারী রাস্তার কাছে এসে বললে, ‘এই পথ ধরে যাও, এখন তুমি অনায়াসে নিজের বাড়িতে যেতে পারবে।’ লোকটি বললে, ‘সে কি মহাশয়, আপনিও চলুন; আপনি আমার কত উপকার করলেন। আমাদের বাড়িতে গেলে আমরা কত আনন্দিত হব।’ ডাকাতটি বললে, ‘না, আমার ওখানে যাবার জো নাই, পুলিশে ধরবে।’ এই বলে সে পথ দেখিয়ে দিয়ে চলে গেল।

    “প্রথম ডাকাতটি তমোগুণ, যে বলেছিল, ‘একে রেখে আর কি হবে, মেরে ফেল।’ তমোগুণে বিনাশ হয়। দ্বিতীয় ডাকাতটি রজোগুণ; রজোগুণে মানুষ সংসারে বদ্ধ হয়, নানা কাজ জড়ায়। রজোগুণ ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়। সত্ত্বগুণ যেন সিঁড়ির শেষ ধাপ। তারপরেই ছাদ। মানুষের স্বধাম হচ্ছে পরব্রহ্ম। ত্রিগুনাতীত না হলে ব্রহ্মজ্ঞান হয় না।”

    আচার্য—বেশ সব কথা হল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—(সহাস্যে)—ভক্তের স্বভাব কি জানো? আমি বলি তুমি শুন, তুমি বল আমি শুনি! তোমরা আচার্য, কত লোককে শিক্ষা দিচ্ছ। তোমরা জাহাজ, আমরা জেলেডিঙি। (সকলের হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2024: ঐতিহ্য আর থিমের মেলবন্ধন! শান্তিপুরে রাসযাত্রা শুরুর পিছনে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব!

    Rash Yatra 2024: ঐতিহ্য আর থিমের মেলবন্ধন! শান্তিপুরে রাসযাত্রা শুরুর পিছনে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৫৫০  বছর আগে অদ্বৈত আচার্যের হাত ধরে প্রথম শুরু হয় শান্তিপুরের (Santipur) রাসযাত্রা। আজও একইভাবে নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হচ্ছে রাস উৎসব। এবারও রাসযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি তুঙ্গে। নিত্যনতুন থিমে সেজে উঠেছে গোটা শহর। পুরানো ঐতিহ্যের সঙ্গে থিমের মেলবন্ধনে রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) আরও জাঁকজমক হয়ে উঠেছে।

    শান্তিপুরে রাস লীলার ইতিহাস (Rash Yatra 2024)

    কথিত আছে, দ্বাপর যুগে বৃন্দাবনে তখন প্রতিদিন রাসলীলা (Rash Yatra 2024) হচ্ছে। যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ব্যতীত কোনও পুরুষের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তখন মহাদেবের মনে প্রশ্ন জাগল, রাসলীলা কীভাবে হয়। সেখানে কেন পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ? এই প্রশ্ন থেকেই তিনি মহিলা রূপে রাসলীলায় প্রবেশ করেন। সেদিন শ্রীকৃষ্ণ বুঝতে পারেন, রাসলীলার মধ্যে কোনও পুরুষ প্রবেশ করেছে। তিনি কাউকে কিছু না বলেই রাসলীলা থেকে হঠাৎ বেরিয়ে যান। তখন যোগমায়া অর্থাৎ দুর্গা বুঝতে পারেন, রাসলীলার ভিতর কোনও পুরুষ প্রবেশ করেছেন। তিনি জানতে পারেন, মহাদেব নিজে নারীরূপ ধারণ করে রাসলীলায় সামিল হয়েছেন। তখন তিনি মহাদেবকে রাসলীলা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মহাদেব বলেন, দ্বাপরে আমার রাসলীলা দেখার সৌভাগ্য না হলেও আমি অন্য যুগে রাসলীলা দেখব এবং প্রসার ঘটাব।

    শান্তিপুরের অদ্বৈত আচার্যকে মহাদেব এবং বিষ্ণুর অবতার বলা হত। প্রায় ৫৫০ বছর আগে তিনি প্রথম নারায়ণ পুজো করে রাসের শুভ আরম্ভ করেন। প্রথমে মূলত বিভিন্ন গোস্বামী এবং বিগ্রহ বাড়িতেই শান্তিপুরে রাসযাত্রা চলত। এরপর হঠাৎ গোস্বামী বাড়ি থেকে রাধারমন জিউ অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের বিগ্ৰহ চুরি হয়ে যায়। এরপর অদ্বৈত আচার্যের পৌত্র মথুরেশ গোস্বামী বাংলাদেশের যশোর থেকে পুনরায় সেই মূর্তি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। গোস্বামী বাড়ির পরবর্তী বংশধররা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ একাই মন্দিরে আছেন, তাকে যুগল রূপে পুজো করতে হবে। এরপরই রাধারানিকে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে বৈষ্ণবদের মতামত নিয়ে একটি ভালো দিন দেখে রাধারানির বিগ্রহ স্থাপন করা হয়। আর সেই দিন থেকেই শুরু হয়ে আসছে শান্তিপুরের রাসযাত্রা। আর ঠিক যখন রাধারানির মূর্তি স্থাপন করা হয়, তখন বাড়ির সকলেই বলেন, যেহেতু রাধা কৃষ্ণের মিলন ঘটেছে সে কারণে একটি অনুষ্ঠানের প্রয়োজন। সেই কারণেই শান্তিপুরে তিন দিন উৎসব পালন করা হয়। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে শান্তিপুরের রাসযাত্রা। শেষ হবে রবিবার।

    কোথায় কী থিম?

    আজও শান্তিপুরে সেই একই নিয়ম মেনে রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) হয়ে আসছে। এই রাসযাত্রা এখন শুধুমাত্র গোস্বামী বাড়ি বা বিগ্রহ বাড়িতে থেমে নেই। ছোট-বড় অনেক বারোয়ারি বিভিন্ন মণ্ডপ সাজিয়ে রাসযাত্রা করছে। এবারও বিভিন্ন বারোয়ারি তাদের সেরা উপহার তুলে দিতে চাইছে দর্শনার্থীদের মধ্যে। শ্যামবাজার রাস উৎসব কমিটি এ বছর বিভিন্ন প্রকার লৌহসামগ্রী দ্বারা নির্মিত করেছে মণ্ডপ। থানার মাঠ রাস উৎসব কমিটির এ বছরের নিবেদন অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপ। শান্তিপুর লিডার্স ক্লাবের এবছর থিম, ‘এবার রাসে শান্তিপুর, আলোক মালায় ভরপুর’। অন্যদিকে লক্ষ্মীতলা বারোয়ারির এ বছরের থিম বদ্রিনাথ ধাম। পঞ্চাননতলা যুব সঙ্ঘর এ বছরের নিবেদন ময়ূর মহল। রাধাকৃষ্ণ কলোনি ক্লাব এবার তাদের থিম রেখেছে যন্ত্রই জীবন। এর পাশাপাশি একাধিক উল্লেখযোগ্য বারোয়ারি রয়েছে যারা বিভিন্ন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে। আলোকসজ্জায় ফুটিয়ে তুলেছে গোটা শান্তিপুরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rashmela 2024: হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ ধর্মের সংমিশ্রণে তৈরি রাসচক্র ঘুরিয়েই শুরু হয় কোচবিহারের রাস উৎসব

    Rashmela 2024: হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ ধর্মের সংমিশ্রণে তৈরি রাসচক্র ঘুরিয়েই শুরু হয় কোচবিহারের রাস উৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের রাস জগৎ-বিখ্যাত। বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ এই মদনমোহনের পুজো দেখতে হাজির হন। ১৮১২ সাল নাগাদ মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণ ভেটাগুড়িতে রাসপূর্ণিমার দিন বিশেষ পুজো করে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন। সেই উপলক্ষ্যে ভেটাগুড়িতে ১৫ দিন ব্যাপী মেলা বসে। পরবর্তীতে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ বৈরাগিদিঘির পাড়ে মদনমোহন মন্দির গড়ে তুললে সেখানে রাস উৎসব শুরু হয়। পাশাপাশি মন্দিরের পাশের মাঠে বিশাল এলাকা জুড়ে মেলা বসে, যা রাসমেলা বলে পরিচিত।

    কোচবিহারে রাস উৎসবের সূচনা

    কোচবিহারের রাজ পরিবারের কুলদেবতা মদনমোহন। ১৮৯০ সালে কোচবিহারের তৎকালীন মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের রাজত্বকালে মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় কোচবিহারের রাজপ্রাসাদ থেকে মদনমোহন দেবকে নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। তারপর থেকেই এই রাস উৎসবের সূচনা। বংশপরম্পরায় এই রাস উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ রাসচক্র তৈরি করে আসছে আলতাফ মিঞার পরিবার। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। আলতাফ মিঞা অসুস্থ হলেও, তাঁর ছেলে এবার ঐতিহ্যবাহী সেই রাসচক্র তৈরির দায়িত্ব নিয়েছেন। হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মের সংমিশ্রণে তৈরি এই রাসচক্র, যা ঘুরিয়ে পুণ্য অর্জন করেন অগণিত মানুষ। ১৫  দিনের এই উৎসব উপলক্ষে মদনমোহনবাড়ি চত্বরে বসে মেলা। থাকে যাত্রাপালা, ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান। এছাড়াও কোচবিহারের লোকসংস্কৃতির ছোঁয়া দেখা যায় মদনমোহন মন্দিরের সাংস্কৃতিক মঞ্চে। শুধুমাত্র কোচবিহার জেলা নয়, পার্শ্ববর্তী অসম থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এই উৎসবে।  

    বিপুল ভক্ত সমাগম 

    বর্তমান সময়ে এই মেলা জেলা কোচবিহারের পাশাপশি উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন ও বড় মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় জমে কোচবিহারের মধ্যে। দূর-দূরান্তের মানুষ এই মেলার সময় মদনমোহন বাড়িতে আসেন ঘুরতে। একটা সময় এই মেলার ও মদনমোহনবাড়ি মন্দিরের দায়িত্ব ভার সামলাতেন রাজারা। তবে বর্তমানে এই মেলার ও মদনমোহন বাড়ি মন্দিরের দায়িত্ব পালন করেন দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মকর্তারা। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, “মেলা উপলক্ষে বহু ভক্তরা মন্দিরে এসে থাকেন। তাই মন্দিরের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে। এছাড়া মন্দিরের রঙ ও সংস্কারের কাজ করা হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।” তিনি আরও জানান, “দীর্ঘ প্রাচীন এই মেলাকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। সবচেয়ে বড় আবেগের বিষয় রাস মেলার রাসচক্র। প্রাচীন সমস্ত নিয়ম-রীতি পালন করা হচ্ছে প্রথা মেনে।” 

    আরও পড়ুন: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?

    মেলা ঘিরে বিশাল আয়োজন

    আগে রাজারা রাসচক্র ঘুরিয়ে এর সূচনা করলেও বর্তমানে কোচবিহারের জেলাশাসক এই রাস উৎসবের সূচনা করেন। এখন রাসচক্র ঘুরিয়ে ১৫ দিন ব্যাপী রাস উৎসবের সূচনা করেন জেলাশাসক। আগে অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাসমেলা উপলক্ষে মানুষ কোচবিহার আসতেন। সে সময় বিশেষ ট্রেনও চলত। এখনও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আসেন। কোচবিহারের রাসমেলায় গেলে ওপার বাংলার জামদানি শাড়ি থেকে শুরু করে পদ্মার ইলিশ ও খেজুরের গুড় সবই মিলবে। ভারতেরও বিভিন্ন রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা যোগদান করেন এই মেলায়। প্রায় কয়েক’শ কোটি টাকার কেনাবেচা হয় কোচবিহারের রাসমেলায়। এ বছর রয়েছে আরও চমক। বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, মালেশিয়া, তাইওয়ান ও ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরাও যোগদান করে কোচবিহারের রাসমেলায়। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কোচবিহারের এই রাসমেলার গুরুত্ব যেমন অপরিসীম, তেমনি আর্থিক দিক থেকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 193: “তাঁকে দর্শন হলে মানুষ আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায়, চুপ হয়ে যায়। খবর কে দেবে? বুঝাবে কে?”

    Ramakrishna 193: “তাঁকে দর্শন হলে মানুষ আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায়, চুপ হয়ে যায়। খবর কে দেবে? বুঝাবে কে?”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচার্য শ্রীবেচারাম — বেদান্ত ও ব্রহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে

    আচার্য—আজ্ঞা হাঁ, বেদান্তে ওইরূপ কথাই (Kathamrita) আছে।

    নির্গুণ ব্রহ্ম ‘অবাঙ্মনসোগোচরম্‌’—ত্রিগুণাতীতম্‌ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—লবণপুত্তলিকা সাগর মাপতে গিছিল, ফিরে এসে আর খবর দিলে না। এক মতে আছে শুকদেবাদি দর্শন-স্পর্শন করেছিল, ডুব দেয় নাই।

    “আমি বিদ্যাসগরকে বলেছিলাম, সব জিনিস এঁটো হয়ে গেছে, কিন্তু ব্রহ্ম উচ্ছিষ্ট হয় নাই। অর্থাৎ ব্রহ্ম কি, কেউ মুখে বলতে পারে নাই। মুখে বললেই জিনিসটা এঁটো হয়। বিদ্যাসাগর পণ্ডিত, শুনে ভারী খুশি।

    “কেদারের ওদিকে শুনেছি বরফে ঢাকা পাহাড় আছে। বেশি উচ্চে উঠলে আর ফিরতে হয় না। যারা বেশি উচ্চেতে কি আছে, গেলে কিরূপ অবস্থা হয়—এ-সব জানতে গিয়েছে, তারা ফিরে এসে, আর খবর দেয় নাই।

    “তাঁকে দর্শন হলে মানুষ আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায়, চুপ হয়ে যায়। খবর কে দেবে? বুঝাবে কে?

    “সাত দেউড়ির পর রাজা। প্রত্যেক দেউড়িতে এক-একজন মহা ঐশ্বর্যবান পুরুষ (Ramakrishna) বসে আছেন। প্রত্যেক দেউড়িতেই শিষ্য জিজ্ঞাসা করছে, এই কি রাজা? গুরুও বলছেন, না; নেতি নেতি। সপ্তম দেউড়িতে গিয়ে যা দেখলে, একেবারে অবাক! আনন্দে বিহ্বল। আর জিজ্ঞাসা করতে হল না ‘এই কি রাজা?’ দেখেই সব সংশয় চলে গেল।”

    আচার্য—আজ্ঞে হাঁ, বেদান্তে (Kathamrita) এইরূপই সব আছে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share