Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rash Yatra 2024: ঐতিহ্য আর থিমের মেলবন্ধন! শান্তিপুরে রাসযাত্রা শুরুর পিছনে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব!

    Rash Yatra 2024: ঐতিহ্য আর থিমের মেলবন্ধন! শান্তিপুরে রাসযাত্রা শুরুর পিছনে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৫৫০  বছর আগে অদ্বৈত আচার্যের হাত ধরে প্রথম শুরু হয় শান্তিপুরের (Santipur) রাসযাত্রা। আজও একইভাবে নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হচ্ছে রাস উৎসব। এবারও রাসযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি তুঙ্গে। নিত্যনতুন থিমে সেজে উঠেছে গোটা শহর। পুরানো ঐতিহ্যের সঙ্গে থিমের মেলবন্ধনে রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) আরও জাঁকজমক হয়ে উঠেছে।

    শান্তিপুরে রাস লীলার ইতিহাস (Rash Yatra 2024)

    কথিত আছে, দ্বাপর যুগে বৃন্দাবনে তখন প্রতিদিন রাসলীলা (Rash Yatra 2024) হচ্ছে। যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ব্যতীত কোনও পুরুষের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তখন মহাদেবের মনে প্রশ্ন জাগল, রাসলীলা কীভাবে হয়। সেখানে কেন পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ? এই প্রশ্ন থেকেই তিনি মহিলা রূপে রাসলীলায় প্রবেশ করেন। সেদিন শ্রীকৃষ্ণ বুঝতে পারেন, রাসলীলার মধ্যে কোনও পুরুষ প্রবেশ করেছে। তিনি কাউকে কিছু না বলেই রাসলীলা থেকে হঠাৎ বেরিয়ে যান। তখন যোগমায়া অর্থাৎ দুর্গা বুঝতে পারেন, রাসলীলার ভিতর কোনও পুরুষ প্রবেশ করেছেন। তিনি জানতে পারেন, মহাদেব নিজে নারীরূপ ধারণ করে রাসলীলায় সামিল হয়েছেন। তখন তিনি মহাদেবকে রাসলীলা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মহাদেব বলেন, দ্বাপরে আমার রাসলীলা দেখার সৌভাগ্য না হলেও আমি অন্য যুগে রাসলীলা দেখব এবং প্রসার ঘটাব।

    শান্তিপুরের অদ্বৈত আচার্যকে মহাদেব এবং বিষ্ণুর অবতার বলা হত। প্রায় ৫৫০ বছর আগে তিনি প্রথম নারায়ণ পুজো করে রাসের শুভ আরম্ভ করেন। প্রথমে মূলত বিভিন্ন গোস্বামী এবং বিগ্রহ বাড়িতেই শান্তিপুরে রাসযাত্রা চলত। এরপর হঠাৎ গোস্বামী বাড়ি থেকে রাধারমন জিউ অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের বিগ্ৰহ চুরি হয়ে যায়। এরপর অদ্বৈত আচার্যের পৌত্র মথুরেশ গোস্বামী বাংলাদেশের যশোর থেকে পুনরায় সেই মূর্তি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। গোস্বামী বাড়ির পরবর্তী বংশধররা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ একাই মন্দিরে আছেন, তাকে যুগল রূপে পুজো করতে হবে। এরপরই রাধারানিকে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে বৈষ্ণবদের মতামত নিয়ে একটি ভালো দিন দেখে রাধারানির বিগ্রহ স্থাপন করা হয়। আর সেই দিন থেকেই শুরু হয়ে আসছে শান্তিপুরের রাসযাত্রা। আর ঠিক যখন রাধারানির মূর্তি স্থাপন করা হয়, তখন বাড়ির সকলেই বলেন, যেহেতু রাধা কৃষ্ণের মিলন ঘটেছে সে কারণে একটি অনুষ্ঠানের প্রয়োজন। সেই কারণেই শান্তিপুরে তিন দিন উৎসব পালন করা হয়। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে শান্তিপুরের রাসযাত্রা। শেষ হবে রবিবার।

    কোথায় কী থিম?

    আজও শান্তিপুরে সেই একই নিয়ম মেনে রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) হয়ে আসছে। এই রাসযাত্রা এখন শুধুমাত্র গোস্বামী বাড়ি বা বিগ্রহ বাড়িতে থেমে নেই। ছোট-বড় অনেক বারোয়ারি বিভিন্ন মণ্ডপ সাজিয়ে রাসযাত্রা করছে। এবারও বিভিন্ন বারোয়ারি তাদের সেরা উপহার তুলে দিতে চাইছে দর্শনার্থীদের মধ্যে। শ্যামবাজার রাস উৎসব কমিটি এ বছর বিভিন্ন প্রকার লৌহসামগ্রী দ্বারা নির্মিত করেছে মণ্ডপ। থানার মাঠ রাস উৎসব কমিটির এ বছরের নিবেদন অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপ। শান্তিপুর লিডার্স ক্লাবের এবছর থিম, ‘এবার রাসে শান্তিপুর, আলোক মালায় ভরপুর’। অন্যদিকে লক্ষ্মীতলা বারোয়ারির এ বছরের থিম বদ্রিনাথ ধাম। পঞ্চাননতলা যুব সঙ্ঘর এ বছরের নিবেদন ময়ূর মহল। রাধাকৃষ্ণ কলোনি ক্লাব এবার তাদের থিম রেখেছে যন্ত্রই জীবন। এর পাশাপাশি একাধিক উল্লেখযোগ্য বারোয়ারি রয়েছে যারা বিভিন্ন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে। আলোকসজ্জায় ফুটিয়ে তুলেছে গোটা শান্তিপুরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rashmela 2024: হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ ধর্মের সংমিশ্রণে তৈরি রাসচক্র ঘুরিয়েই শুরু হয় কোচবিহারের রাস উৎসব

    Rashmela 2024: হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ ধর্মের সংমিশ্রণে তৈরি রাসচক্র ঘুরিয়েই শুরু হয় কোচবিহারের রাস উৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের রাস জগৎ-বিখ্যাত। বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ এই মদনমোহনের পুজো দেখতে হাজির হন। ১৮১২ সাল নাগাদ মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণ ভেটাগুড়িতে রাসপূর্ণিমার দিন বিশেষ পুজো করে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন। সেই উপলক্ষ্যে ভেটাগুড়িতে ১৫ দিন ব্যাপী মেলা বসে। পরবর্তীতে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ বৈরাগিদিঘির পাড়ে মদনমোহন মন্দির গড়ে তুললে সেখানে রাস উৎসব শুরু হয়। পাশাপাশি মন্দিরের পাশের মাঠে বিশাল এলাকা জুড়ে মেলা বসে, যা রাসমেলা বলে পরিচিত।

    কোচবিহারে রাস উৎসবের সূচনা

    কোচবিহারের রাজ পরিবারের কুলদেবতা মদনমোহন। ১৮৯০ সালে কোচবিহারের তৎকালীন মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের রাজত্বকালে মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় কোচবিহারের রাজপ্রাসাদ থেকে মদনমোহন দেবকে নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। তারপর থেকেই এই রাস উৎসবের সূচনা। বংশপরম্পরায় এই রাস উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ রাসচক্র তৈরি করে আসছে আলতাফ মিঞার পরিবার। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। আলতাফ মিঞা অসুস্থ হলেও, তাঁর ছেলে এবার ঐতিহ্যবাহী সেই রাসচক্র তৈরির দায়িত্ব নিয়েছেন। হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মের সংমিশ্রণে তৈরি এই রাসচক্র, যা ঘুরিয়ে পুণ্য অর্জন করেন অগণিত মানুষ। ১৫  দিনের এই উৎসব উপলক্ষে মদনমোহনবাড়ি চত্বরে বসে মেলা। থাকে যাত্রাপালা, ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান। এছাড়াও কোচবিহারের লোকসংস্কৃতির ছোঁয়া দেখা যায় মদনমোহন মন্দিরের সাংস্কৃতিক মঞ্চে। শুধুমাত্র কোচবিহার জেলা নয়, পার্শ্ববর্তী অসম থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এই উৎসবে।  

    বিপুল ভক্ত সমাগম 

    বর্তমান সময়ে এই মেলা জেলা কোচবিহারের পাশাপশি উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন ও বড় মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় জমে কোচবিহারের মধ্যে। দূর-দূরান্তের মানুষ এই মেলার সময় মদনমোহন বাড়িতে আসেন ঘুরতে। একটা সময় এই মেলার ও মদনমোহনবাড়ি মন্দিরের দায়িত্ব ভার সামলাতেন রাজারা। তবে বর্তমানে এই মেলার ও মদনমোহন বাড়ি মন্দিরের দায়িত্ব পালন করেন দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মকর্তারা। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, “মেলা উপলক্ষে বহু ভক্তরা মন্দিরে এসে থাকেন। তাই মন্দিরের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে। এছাড়া মন্দিরের রঙ ও সংস্কারের কাজ করা হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।” তিনি আরও জানান, “দীর্ঘ প্রাচীন এই মেলাকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। সবচেয়ে বড় আবেগের বিষয় রাস মেলার রাসচক্র। প্রাচীন সমস্ত নিয়ম-রীতি পালন করা হচ্ছে প্রথা মেনে।” 

    আরও পড়ুন: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?

    মেলা ঘিরে বিশাল আয়োজন

    আগে রাজারা রাসচক্র ঘুরিয়ে এর সূচনা করলেও বর্তমানে কোচবিহারের জেলাশাসক এই রাস উৎসবের সূচনা করেন। এখন রাসচক্র ঘুরিয়ে ১৫ দিন ব্যাপী রাস উৎসবের সূচনা করেন জেলাশাসক। আগে অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাসমেলা উপলক্ষে মানুষ কোচবিহার আসতেন। সে সময় বিশেষ ট্রেনও চলত। এখনও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আসেন। কোচবিহারের রাসমেলায় গেলে ওপার বাংলার জামদানি শাড়ি থেকে শুরু করে পদ্মার ইলিশ ও খেজুরের গুড় সবই মিলবে। ভারতেরও বিভিন্ন রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা যোগদান করেন এই মেলায়। প্রায় কয়েক’শ কোটি টাকার কেনাবেচা হয় কোচবিহারের রাসমেলায়। এ বছর রয়েছে আরও চমক। বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, মালেশিয়া, তাইওয়ান ও ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরাও যোগদান করে কোচবিহারের রাসমেলায়। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে কোচবিহারের এই রাসমেলার গুরুত্ব যেমন অপরিসীম, তেমনি আর্থিক দিক থেকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 193: “তাঁকে দর্শন হলে মানুষ আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায়, চুপ হয়ে যায়। খবর কে দেবে? বুঝাবে কে?”

    Ramakrishna 193: “তাঁকে দর্শন হলে মানুষ আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায়, চুপ হয়ে যায়। খবর কে দেবে? বুঝাবে কে?”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচার্য শ্রীবেচারাম — বেদান্ত ও ব্রহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে

    আচার্য—আজ্ঞা হাঁ, বেদান্তে ওইরূপ কথাই (Kathamrita) আছে।

    নির্গুণ ব্রহ্ম ‘অবাঙ্মনসোগোচরম্‌’—ত্রিগুণাতীতম্‌ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—লবণপুত্তলিকা সাগর মাপতে গিছিল, ফিরে এসে আর খবর দিলে না। এক মতে আছে শুকদেবাদি দর্শন-স্পর্শন করেছিল, ডুব দেয় নাই।

    “আমি বিদ্যাসগরকে বলেছিলাম, সব জিনিস এঁটো হয়ে গেছে, কিন্তু ব্রহ্ম উচ্ছিষ্ট হয় নাই। অর্থাৎ ব্রহ্ম কি, কেউ মুখে বলতে পারে নাই। মুখে বললেই জিনিসটা এঁটো হয়। বিদ্যাসাগর পণ্ডিত, শুনে ভারী খুশি।

    “কেদারের ওদিকে শুনেছি বরফে ঢাকা পাহাড় আছে। বেশি উচ্চে উঠলে আর ফিরতে হয় না। যারা বেশি উচ্চেতে কি আছে, গেলে কিরূপ অবস্থা হয়—এ-সব জানতে গিয়েছে, তারা ফিরে এসে, আর খবর দেয় নাই।

    “তাঁকে দর্শন হলে মানুষ আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায়, চুপ হয়ে যায়। খবর কে দেবে? বুঝাবে কে?

    “সাত দেউড়ির পর রাজা। প্রত্যেক দেউড়িতে এক-একজন মহা ঐশ্বর্যবান পুরুষ (Ramakrishna) বসে আছেন। প্রত্যেক দেউড়িতেই শিষ্য জিজ্ঞাসা করছে, এই কি রাজা? গুরুও বলছেন, না; নেতি নেতি। সপ্তম দেউড়িতে গিয়ে যা দেখলে, একেবারে অবাক! আনন্দে বিহ্বল। আর জিজ্ঞাসা করতে হল না ‘এই কি রাজা?’ দেখেই সব সংশয় চলে গেল।”

    আচার্য—আজ্ঞে হাঁ, বেদান্তে (Kathamrita) এইরূপই সব আছে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rash Purnima 2024: আজ রাধাকৃষ্ণের রাস উৎসব! এর তাৎপর্য কী? জেনে নিন, কখন থেকে পূর্ণিমা শুরু

    Rash Purnima 2024: আজ রাধাকৃষ্ণের রাস উৎসব! এর তাৎপর্য কী? জেনে নিন, কখন থেকে পূর্ণিমা শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাসযাত্রা (Rash Purnima 2024) মূলত বৈষ্ণবদের উৎসব। জয়দেবের ‘গীতগবিন্দম্‌, চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’, মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যে রাসের কথা বলা হয়েছে। বৃন্দাবন রাস, বসন্ত রাস খুব উল্লেযোগ্য। এই বৈষ্ণব ভাবনায় শ্রীকৃষ্ণপ্রেম এবং প্রকৃতিস্বরূপ রাধা (Radha-Krishna) সাধনাই হল রাস। এই উৎসবের কথা বিভিন্ন পুরাণেও রয়েছে। শারদ রাস এবং বসন্ত রাস-দুটিই বৈষ্ণবদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

    শুক্রবার রাসযাত্রা। এই রাস পূর্ণিমা বাংলার আপামার বাঙালির কাছে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলায় শ্রীচৈতন্যদেবের রাস উৎসব পালনের কথা জানা যায়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সময়ের পরবর্তী সময়ে রাস পূর্ণিমা আরও জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়।

    রাসের তাৎপর্য কী (Rash Purnima 2024)?

    প্রেমভাব বৈষ্ণব ভাবনার একটি প্রধান ভাব। রাস শব্দ এসেছে রস থেকে। রসের বিরাট ব্যাপ্তি। আনন্দ আস্বাদনই মূল কথা রাসের। বৈষ্ণব রসশাস্ত্রে পঞ্চম রস, শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য মধুর রস সম্পর্কে বিস্তৃত ভাবে বলা হয়েছে। বৃন্দাবনদাসের ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত’ এবং কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’-কাব্যে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে রস বা লীলা সম্পর্কে। রাস মানেই মিলন (Rash Purnima 2024)। কৃষ্ণ (Radha-Krishna) প্রেমের ক্ষুদ্র আত্মা পরমাত্মায় মিলনের বাসনাই রাসের মূল ভরকেন্দ্র। পূর্ণ অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মহাভাবের একমাত্র অধিকারিণী শ্রীরাধারানি। কৃষ্ণ হলেন জগতের আসল পুরুষ, বাকি মানবসামজ প্রকৃতিতুল্য। তাই সকল গোপিনী এবং নরনারী রাধাভাব বা মঞ্জরী ভাবনায় ভাবিত হন। এই পরম জ্ঞানের কথা জানানোর জন্যই কৃষ্ণের বৃহৎ লীলা বা রাসের প্রকাশ।

    মুক্তির পথ দেখান কৃষ্ণস্বরূপ জ্ঞান

    কৃষ্ণপ্রেমে মুগ্ধ হয়ে গোপিনীরা সংসার ত্যাগ করে বৃন্দাবনে চলে যান। সেখানে গিয়ে সকলে কৃষ্ণপ্রেমে সমবেত হন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের সংসারে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু গোপিনীরা মানতে অস্বীকার করেন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের এই ভাবনায় মনে অহংকার ভাব এলে রাধাকে নিয়ে চলে যান। পরে গোপিনীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। অহংকার ভুলে গিয়ে কৃষ্ণপ্রেমে স্তব পাঠ শুরু করেন। এদিকে তাঁদের স্তবে কৃষ্ণ সন্তুষ্ট হলে কৃষ্ণ ফিরে আসেন। এরপর গোপিনীদের জীবন সম্পর্কে গভীর তত্ত্বকথার উপদেশ দেন। প্রত্যক গোপিনীর মনোবাঞ্ছা পূরণ করে জাগতিক দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির পথ দর্শান। এই কৃষ্ণ (Rash Purnima 2024) হলেন প্রকৃত জ্ঞানের আধার। আর জগতস্বরূপ জ্ঞান হলেন স্বয়ং রাধা। সকল গোপিনীরা হলেন রাধা (Radha-Krishna) শক্তির প্রকাশ মাত্র।

    নাম-সংকীর্তন এবং নগর পরিক্রমা

    এই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস (Rash Purnima 2024) বাংলা, মথুরা, বৃন্দাবন, ওড়িশা, অসম, মণিপুর, পূর্ববঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক ভাবে দেখা যায়। তবে মূল আরাধ্য রাধাকৃষ্ণ হলেও অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো করতে দেখা যায়। যেমন-কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে রাস হয় এবং এক মাস মেলা বসে এখানে। এই মেলা বিরাট বিখ্যাত। এখানে রাসে দুর্গাপুজো, কালীপুজোও করতে দেখা যায়। আবার নবদ্বীপ, শান্তিপুর, ফুলিয়া, বর্ধমানের বেশ কিছু বৈষ্ণবপাট বাড়ি, সমাজবাড়ি এবং আখড়ায় মাটির মূর্তিতে রাধাকৃষ্ণের পুজো হয়। গৌর-নিতাই, পঞ্চতত্ত্বের নামে চলে নাম-সংকীর্তন এবং নগর পরিক্রমা। শ্রীচৈতন্যের স্মৃতি বিজড়িত জায়াগায় পালন হয় বিশেষ পুজো। কীর্তন, পদাবলী, পালাগান এবং রাসের সখীদের অষ্টকলা প্রদর্শন মূল আকর্ষণ থাকে।

    আরও পড়ুনঃ “দেখ ঈশ্বরকে কতভাবে সম্ভোগ করে! শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর—নানাভাবে”

    পঞ্জিকা মতে রাসপূর্ণিমার তিথি কখন?

    আজ শুক্রবার ১৫ নভেম্বর, বাংলায় ২৯ কার্তিক শ্রীরাধা-শ্রীকৃষ্ণের প্রেম উৎসব রাসযাত্রা (Rash Purnima 2024)। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসারে তিথি হল, বাংলা–২৯ কার্তিক, শুক্রবার পূর্ণিমা শুরু সময় সকাল ৬টা ২১ মিনিট। পূর্ণিমা তিথি শেষ বাংলা ২৯ কার্তিক, শুক্রবার রাত ২ টো ৫৯ মিনিট। পূর্ণিমায় ব্রতোপবাস চলে। একই ভাবে আবার গুপ্ত পঞ্জিকা মতে, পূর্ণিমা শুরু বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ভোর ৫টা ১৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ড। আর শেষ হবে ২৯ কার্তিক শুক্রবার, রাত ৩টে ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে।

    এই পূর্ণিমাকে অনেকে কার্তিক পূর্ণিমা বলে থাকেন। এই সময়ে সূর্য ওঠার আগে স্নান করলে শুভকর্ম ফল হয়। অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পুণ্যলাভ হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে এই রাস পূর্ণিমায় ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই পূর্ণিমা ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও অনেক জায়গায় পরিচিত। ভগবান শ্রীবিষ্ণু (Radha-Krishna) এই দিনে মৎস্য অবতার ধারণ করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kartik Puja 2024: ব্রহ্মার বরে বলীয়ান তারকাসুরকে বধ করেছিলেন স্বয়ং কার্তিক! কী সেই পৌরাণিক কাহিনি?

    Kartik Puja 2024: ব্রহ্মার বরে বলীয়ান তারকাসুরকে বধ করেছিলেন স্বয়ং কার্তিক! কী সেই পৌরাণিক কাহিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক (Kartik Puja 2024)। তাঁর অপর নাম স্কন্দ। স্কন্দমাতা মানে হল কার্তিকের মাতা। দেবী পার্বতীর এই রূপেরই পুজো করা হয় নবরাত্রির পঞ্চমীর দিন। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, বজ্রাঙ্গ নামে এক অসুর রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন দিতির পুত্র। দেবতাদের রাজা ইন্দ্রকে বজ্রাঙ্গ সিংহাসনচ্যুত করে বন্দি করেন। দেবতাদের প্রতি বজ্রাঙ্গের এই রোষ আসলে ছিল তাঁর প্রতিশোধ। কারণ ইতিপূর্বে দিতির অসংখ্য পুত্রকে মানে বজ্রাঙ্গের নিজ ভাইদের দেবতারা হত্যা করেছিল। বজ্রাঙ্গের হাতে বন্দি ইন্দ্রকে মুক্ত করতে আসেন ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনি। কাশ্যপ মুনি ছিলেন বজ্রাঙ্গের পিতা, অর্থাৎ দিতির স্বামী। ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনির অনুরোধে বজ্রাঙ্গ তখনকার মতো ইন্দ্রকে মুক্ত করেন। 

    দৈত্য হয়েও এমন দয়ার ভাব বজ্রাঙ্গের মধ্যে দেখতে পেয়ে ব্রহ্মা তাঁকে বরদান করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। বজ্রাঙ্গ তখন তপস্বী হওয়ার বর প্রার্থনা করলেন এবং বাকি জীবন যেন তিনি ধর্মপথে চলতে পারেন, সেই আশীর্বাদ ব্রহ্মার কাছে চাইলেন। ব্রহ্মা তাঁর মানসকন্যা বরাঙ্গীর সঙ্গে বজ্রাঙ্গের বিবাহ দিলেন। বজ্রাঙ্গ এবং বরাঙ্গী বনের মধ্যে কুটির বানিয়ে ধর্মকর্ম করতে লাগলেন। বজ্রাঙ্গ তপস্যায় রত থাকতেন এবং বরাঙ্গী গৃহকর্ম সম্পাদন করতেন।

    আমাকে এমন পুত্র দিন

    একদিন দেবরাজ ইন্দ্র ওই কুটিরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বরাঙ্গীকে দেখতে পেয়ে পুরনো অপমানের বদলা নিতে চাইলেন। কখনও বানর সেজে, কখনও ভেড়া বা কখনও সাপ হয়ে কুটির লন্ডভন্ড করতে লাগলেন। ক্রন্দনরত অবস্থায় বরাঙ্গী তাঁর স্বামী বজ্রাঙ্গকে এসব বিষয়ে বললে, বজ্রাঙ্গ ব্রহ্মাকে স্মরণ করলেন। ব্রহ্মা প্রকট হয়ে বর দিতে চাইলে বজ্রাঙ্গ বললেন, ‘‘আমাকে এমন পুত্র দিন, যে দেবতাদের উপর অত্যাচার করতে সমর্থ হবে।’’ ব্রহ্মা বজ্রাঙ্গের মনোমত বরদান করলেন। বরাঙ্গীর গর্ভে জন্ম হল তারক নামের অসুরের‌।

    পরবর্তীতে তারকাসুরের উপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে ‘একমাত্র শিবের বালকপুত্র ছাড়া, কারও হাতে তিনি হত হবেন না।’’ ব্রহ্মার বরদানে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন তারকাসুর। কারণ তিনি জানতেন শিব কখনও বিবাহ করবেন না এবং ত্রিভুবনে ব্রহ্মার বরদানে তাঁকে হত্যা করতে পারে এমন ক্ষমতা কোনও দেবতা, মানুষ বা জীবজন্তুর নেই। তারকাসুর দেবলোক নিজের দখলে আনেন। দেবরাজ ইন্দ্র সিংহাসনচ্যুত হলেন। বিতাড়িত দেবতারা বুঝতে পারলেন, শিবের বিয়ে দিতে পারলে তবে তাঁর পুত্রই তারকাসুরকে বধ করতে পারবেন।

    ইন্দ্র কার্তিককে সেনাপতি নিযুক্ত করেন

    আয়োজন শুরু হল শিব-পার্বতীর বিবাহের। সেখানেও তারকাসুরের আক্রমণ হল। সেই সময় মাতা চন্দ্রঘন্টার রূপ ধারণ করে পার্বতী দেবী অসুরদের বিতাড়িত করেন। এরপর সুসম্পন্ন হয় শিব-পার্বতীর বিবাহ। জন্ম হয় কার্তিকের (Kartik Puja 2024)। মাতা পার্বতী তখন হন স্কন্দমাতা অর্থাৎ কার্তিকজননী। দৈববাণী পেয়ে দেবরাজ ইন্দ্র কার্তিককে (Mythological Story of Kartik) সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। এক প্রবল যুদ্ধে কার্তিকের হাতে তারকাসুর হত হলেন। দেবতারা তাঁদের হৃত স্বর্গরাজ্য পুনরায় নিজেদের দখলে আনলেন। এমনটাই লেখা রয়েছে ‘স্কন্দপুরাণে’। শিব-পার্বতীর পুত্রের জন্মই হয়েছিল তারকাসুরের বধ এবং স্বর্গ রাজ্যে দেবতাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য। তাই প্রতিটি সন্তান যেন  ‘কার্তিক’ এর মতো হয় এই কামনায় বাড়ি বাড়ি পুজো হয় কার্তিকের।

    কার্তিকের প্রণাম মন্ত্র

    দেব সেনাপতি কার্তিকের প্রণাম মন্ত্রটি হল-

    ওঁ কার্তিকের মহাভাগ দৈত্যদর্পনিসূদন। প্রণোতোহং মহাবাহো নমস্তে শিখিবাহন। রুদ্রপুত্র নমস্তুভ্যং শক্তিহস্ত বরপ্রদ। ষান্মাতুর মহাভাগ তারকান্তকর প্রভা। মহাতপস্বী ভগবান্ পিতুর্মাতুঃ প্রিয় সদা। দেবানাং যজ্ঞরক্ষার্থং জাতত্ত্বং গিরিশিখরে। শৈলাত্মজায়াং ভবতে তুভ্যং নিত্যং নমো নমঃ।

    অনুবাদ: হে মহাভাগ, দৈত্যদলনকারী কার্তিক দেব তোমায় প্রণাম করি। হে মহাবাহু, ময়ূর বাহন, তোমাকে নমস্কার। হে রুদ্রের (শিব) পুত্র, শক্তি নামক অস্ত্র তোমার হাতে। তুমি বর প্রদান কর। কৃত্তিকা তোমার ধাত্রীমাতা। জনক-জননী প্রিয় হে মহাভাগ, হে ভগবান, তারকাসুর বিনাশক, হে মহাতপস্বী প্রভু তোমাকে প্রণাম। দেবতাদের যজ্ঞ রক্ষার জন্য পর্বতের চূড়ায় তুমি জন্মগ্রহণ করেছ। হে পার্বতী দেবীর পুত্র তোমাকে সতত প্রণাম করি।

    বাংলায় কার্তিক পুজো বেশ জনপ্রিয়

    বাংলায় কার্তিক পুজো (Kartik Puja 2024) প্রায় সর্বত্রই হয়। এর মধ্যে হুগলির বাঁশবেড়িয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কার্তিক পুজো ব্যাপক জনপ্রিয়। এই দুই জায়গায় কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবে মাতেন লাখ লাখ মানুষ। সুসজ্জিত আলোর মালা, মণ্ডপসজ্জার কারুকার্য, বিভিন্ন হিন্দু দেব-দেবীদের বিশালাকার প্রতিমার সঙ্গে থাকে নানা রকমের বাজনা।

    ১৭৫০ নাগাদ ধুমধাম করে কাটোয়াতে কার্তিক পুজো শুরু

    চলতি বছরে কাটোয়ার একাধিক পুজোমণ্ডপে আগের দিন থেকেই প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিউ আপনজন, জনকল্যাণের মতো ক্লাবগুলিতে এবারও থিমের পুজো লক্ষ্য করা যাবে। কাটোয়ার কার্তিক পুজো রাজ্যজুড়ে জনপ্রিয় কার্তিক লড়াই নামে। ১৭৫০ নাগাদ ধুমধাম করে কাটোয়াতে কার্তিক (Mythological Story of Kartik) পুজোর সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। অন্যদিকে বাঁশবেড়িয়াতেও কার্তিক পুজোর বেশ ধুমধাম চোখে পড়ছে। যেমন, চলতি বছরে ৪৮ বর্ষে পদার্পণ করছে বাঁশবেড়িয়ায় অনির্বাণের জামাই কার্তিক পুজো। বিগত বছরগুলিতে একের পর এক দারুণ থিম নিয়ে এসেছে এই অনির্বাণ। আর এবার তাদের থিম নয়া সংসদ ভবন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kartik Puja 2024: কাল দেব সেনাপতির পুজো! কেন নবদম্পতির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয় জানেন?

    Kartik Puja 2024: কাল দেব সেনাপতির পুজো! কেন নবদম্পতির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো মেটার পর এবার বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের পরবর্তী উৎসব হল কার্তিক পুজো। ১৬ নভেম্বর শনিবার পালিত হতে চলেছে কার্তিক পুজো (Kartik Puja 2024 )। প্রতি বছর কার্তিক সংক্রান্তি, অর্থাৎ কার্তিক মাসের শেষ দিনে পালিত হয় কার্তিক পুজো। আমাদের রাজ্যে হেমন্তকালের দেখা মেলে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য। এই হেমন্তকালে যে কয়েকটি উৎসব হয়, তার মধ্যে অন্যতম কার্তিক পুজো।

    কেন বাড়িতে কার্তিক ফেলা হয়? (Kartik Puja 2024 )

    নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক (Kartik Puja 2024) রেখে এসেছে, এমন বন্ধু আমাদের পরিচিত মহলে নিশ্চয়ই রয়েছে। স্বয়ং মহাদেব-পুত্র তাঁদের বাড়িতে এসেছেন বলে কথা! গৃহকর্তা বা কর্ত্রীকে তাই প্রচলিত নিয়ম মেনে পরপর চার বছর এই পুজো করতে হয়। কিন্তু বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর কেন রাখা হয়? নিছক মজার উদ্দেশ্যেই নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর রাখা হয় না। এর মধ্যে লোকাচার রয়েছে। কী সেই লোকাচার? তা হল, নবদম্পতির কোলে যেন কার্তিকের মতো পুত্র আসে। কিন্তু হঠাৎ কার্তিকের মতো পুত্রের আকাঙ্খাই কেন? পৌরাণিক মতে, মা দুর্গা এবং মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। এই পৌরাণিক দেবতা অত্যন্ত বীর ও সাহসী। তিনি সুদর্শন ও বলিষ্ঠ চেহারার অধিকারী। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, দেব সেনাপতি কার্তিকের পুজো করলে পুত্রসন্তান লাভ হয়। তাঁর মতো সাহসী ও সুদর্শন সন্তান লাভ করতেই অনেক নববিবাহিত দম্পতি কার্তিক পুজো করে থাকেন। এই কারণে আমাদের রাজ্যে নববিবাহিত দম্পতির ঘরে লুকিয়ে লুকিয়ে কার্তিক ফেলে আসার প্রথা রয়েছে। পাড়ার বন্ধুবান্ধবরাই সাধারণত এই কাজ করে থাকেন। সেই কার্তিক তুলে এনে বাড়িতে পুজো করার রীতি রয়েছে। কার্তিকের আরাধনা করলে সাংসারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায় এবং আয় বৃদ্ধি হয়। কার্তিকের সঙ্গে বীরত্বের সম্পর্ক থাকার কারণে দেব সেনাপতির আরাধনায় যশ ও বল লাভ হয় বলে মনে করা হয়। দেব সেনাপতি কার্তিকের উপাসনা করলে মঙ্গল গ্রহের অশুভ প্রভাব কেটে যায় বলেও অনেকে মনে করেন। পশ্চিমবঙ্গে কার্তিক ঠাকুর চিরকুমার। দক্ষিণ ভারতে মুরুগান নামে কার্তিকের যে রূপের উপাসনা করা হয়, সেখানে তাঁর দুই স্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 192: “দেখ ঈশ্বরকে কতভাবে সম্ভোগ  করে! শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর—নানাভাবে”

    Ramakrishna 192: “দেখ ঈশ্বরকে কতভাবে সম্ভোগ  করে! শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর—নানাভাবে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও আচার্য শ্রীবেচারাম — বেদান্ত ও ব্রহ্মতত্ত্ব প্রসঙ্গে

    সন্ধ্যার পর আদিসমাজের আচার্য শ্রীযুক্ত বেচারাম বেদীতে বসিয়া উপাসনা করিলেন। মাঝেমাঝে ব্রহ্মসঙ্গীত ও উপনিষদ্‌ হইতে পাঠ হইতে লাগিল। উপাসনান্তে শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) সঙ্গে বসিয়া আচার্য অনেক আলাপ করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আচ্ছা, নিরাকারও সত্য আর সাকারও সত্য; আপনি কি বল?

    সাকার-নিরাকার চিন্ময়রূপ ও ভক্ত 

    আচার্য—আজ্ঞা, নিরাকার যেমন Electric Current (তড়িৎ-প্রবাহ) চক্ষে দেখা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, দুই সত্য। শুধু নিরাকার বলা কিরূপ জানো (Kathamrita)? যেমন রোশনচৌকির একজন পোঁ ধরে থাকে—তার বাঁশির সাত ফোকর সত্ত্বেও। কিন্তু আর-একজন দেখ কত রাগ-রাগিণী বাজায়! সেরূপ সাকারবাদীরা দেখ ঈশ্বরকে কতভাবে সম্ভোগ  করে! শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর—নানাভাবে।

    “কি জানো, অমৃতকুণ্ডে কোনও রকমে পড়া। তা স্তব করেই হোক অথবা কেউ ধাক্কা মেরেছে আর তুমি কুণ্ডে পড়ে গেছ, একই ফল। দুই জনেই অমর হবে!

    “ব্রাহ্মদের পক্ষে জল বরফ উপমা ঠিক। সচ্চিদানন্দ যেন অনন্ত জলরাশি। মহাসাগরের জল, ঠান্ডা দেশে স্থানে স্থানে যেমন বরফের আকার ধারণ করে, সেইরূপ ভক্তি হিমে সেই সচ্চিদানন্দ (সগুণ ব্রহ্ম) ভক্তের জন্য সাকার রূপ ধারণ করেন। ঋষিরা সেই অতীন্দ্রিয় চিন্ময় রূপ দর্শন করেছিলেন, আবার তাঁর সঙ্গে কথা কয়েছিলেন। ভক্তের প্রেমের শরীর, ‘ভাগবতীতনু’ দ্বারা সেই চিন্ময় রূপ দর্শন হয়।

    আবার আছে, ব্রহ্ম (Ramakrishna) অবাঙ্মনসোগোচর। জ্ঞানসূর্যের তাপে সাকার বরফ গলে যায়। ব্রহ্মজ্ঞানের পর, নির্বিকল্পসমাধির পর, আবার সেই অনন্ত, বাক্যমনের অতীত, অরূপ নিরাকার ব্রহ্ম!

    “ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা (Kathamrita) যায় না, চুপ হয়ে যায়। অনন্তকে কে মুখে বোঝাবে! পাখি যত উপরে উঠে, তার উপর আরও আছে, আপনি কি বল?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 191: “মা-কালী, মা-দুর্গার পূজা করে, ‘মা’ ‘মা’ বলে কত ডাকে কত ভালবাসে.. মূর্তি না-ই বা মানলে”

    Ramakrishna 191: “মা-কালী, মা-দুর্গার পূজা করে, ‘মা’ ‘মা’ বলে কত ডাকে কত ভালবাসে.. মূর্তি না-ই বা মানলে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজে ব্রাহ্মভক্তসঙ্গে

    ব্রাহ্মভক্ত ও ভোগান্ত—বিদ্যারূপিণী স্ত্রীর লক্ষণ—বৈরাগ্য কখন হয় 

    “আবার আছে খোসাটি আছে বলে (Kathamrita) তবে আমটি বাড়ে ও পাকে। আমটি তয়ের হয়ে গেলে তবে খোসা ফেলে দিতে হয়! মায়ারূপ ছালটি থাকলে তবেই ক্রমে ব্রহ্মজ্ঞান হয়। বিদ্যা-মায়া, অবিদ্যা-মায়া আমের খোসার ন্যায়; দুই-ই দরকার।”

    ব্রাহ্মভক্ত—আচ্ছা, সাকারপূজা, মাটিতে গড়া ঠাকুরপূজা—এ-সব কি ভাল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তোমরা সাকার মান না, তা বেশ; তোমাদের পক্ষে মূর্তি নয়, ভাব। তোমরা টানটুকু নেবে, যেমন কৃষ্ণের উপর রাধার টান, ভালবাসা। সাকারবাদীরা যেমন মা-কালী, মা-দুর্গার পূজা করে, ‘মা’ ‘মা’ বলে কত ডাকে কত ভালবাসে—সেই ভাবটিকে তোমরা লবে, মূর্তি না-ই বা মানলে।

    ব্রাহ্মভক্ত—বৈরাগ্য কি করে হয়? আর সকলের হয় না কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ভোগের শান্তি না হলে বৈরাগ্য হয় না। ছোট ছেলেকে খাবার আর পুতুল দিয়ে বেশ ভুলানো যায়। কিন্তু যখন খাওয়া হয়ে গেল, আর পুতুল নিয়ে খেলা হয়ে গেল, তখন “মা যাব” বলে (Kathamrita)। মার কাছে নিয়ে না গেলে পুতুল ছুঁড়ে ফেলে দেয়, আর চিৎকার করে কাঁদে।

    সচ্চিদানন্দই গুরু—ঈশ্বরলাভের পর সন্ধ্যাদি কর্মত্যাগ 

    ব্রাহ্মভক্তেরা গুরুবাদের বিরোধী। তাই ব্রাহ্মভক্তটি এ-সম্বন্ধে কথা কহিতেছেন।

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়, গুরু না হলে কি জ্ঞান হবে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—সচ্চিদানন্দই গুরু; যদি মানুষ গুরুরূপে চৈতন্য করে তো জানবে যে, সচ্চিদানন্দই ওই রূপ ধারণ করেছেন। গুরু যেমন সেথো; হাত ধরে নিয়ে যান। ভগবানদর্শন হলে আর গুরুশিষ্য বোধ থাকে না। ‘সে বড় কঠিন ঠাঁই, গুরুশিষ্যে দেখা নাই!’ তাই জনক শুকদেবকে বললেন, ‘যদি ব্রহ্মজ্ঞান চাও আগে দক্ষিণা দাও।’ কেননা, ব্রহ্মজ্ঞান হলে আর শিষ্য ভেদবুদ্ধি থাকবে না। যতক্ষণ ঈশ্বরদর্শন না হয়, ততদিনই গুরুশিষ্য সম্বন্ধ।

    ক্রমে সন্ধ্যা হইল। ব্রাহ্মভক্তেরা কেহ কেহ ঠাকুরকে বলিতেছেন, “আপনার বোধহয় এখন সন্ধ্যা করতে হবে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—না, সেরকম নয়। ও-সব প্রথম প্রথম এক-একবার করে নিতে হয়। তারপর আর কোশাকুশি বা নিয়মাদি দরকার হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 190: “খোসাটি আছে বলে তবে আমটি বাড়ে ও পাকে…মায়ারূপ ছালটি থাকলে তবেই ক্রমে ব্রহ্মজ্ঞান হয়”

    Ramakrishna 190: “খোসাটি আছে বলে তবে আমটি বাড়ে ও পাকে…মায়ারূপ ছালটি থাকলে তবেই ক্রমে ব্রহ্মজ্ঞান হয়”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজে ব্রাহ্মভক্তসঙ্গে

    ব্রাহ্মভক্ত ও ভোগান্ত—বিদ্যারূপিণী স্ত্রীর লক্ষণ—বৈরাগ্য কখন হয় 

    ব্রাহ্মভক্ত—ভোগান্ত কিরূপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কামিনী-কাঞ্চন ভোগ। যে ঘরে আচার তেঁতুল আর জলের জালা, সে ঘরে বিকারের রোগী থাকলে মুশকিল! টাকা-কড়ি, মান-সম্ভ্রম, দেহসুখ এই সব ভোগ একবার না হয়ে গেলে—ভোগান্ত না হলে—সকলের ইশ্বরের জন্য ব্যাকুলতা আসে (Kathamrita) না।

    ব্রাহ্মভক্ত—স্ত্রীজাতি খারাপ, না আমরা খারাপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—বিদ্যারূপিণী স্ত্রীও আছে, আবার অবিদ্যারূপিণী স্ত্রীও আছে। বিদ্যারূপিণী স্ত্রী ভগবানের দিকে লয়ে যায়, আর অবিদ্যারূপিণী ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়, সংসারে ডুবিয়ে দেয়।

    তাঁর মহামায়াতে এই জগৎসংসার (Kathamrita)। এই মায়ার ভিতর বিদ্যা-মায়া অবিদ্যা-মায়া দুই-ই আছে। বিদ্যা-মায়া আশ্রয় করলে সাধুসঙ্গ, জ্ঞান, ভক্তি, প্রেম, বৈরাগ্য—এই সব হয়। অবিদ্যা-মায়া—পঞ্চভূত আর ইন্দ্রিয়ের বিষয়—রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ; যত ইন্দ্রিয়ের ভোগের জিনিস; এরা ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়।”

    ব্রাহ্মভক্ত—অবিদ্যাতে যদি অজ্ঞান করে, তবে তিনি অবিদ্যা করেছেন কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—তাঁর লীলা, অন্ধকার না থাকলে আলোর মহিমা বোঝা ঝায় না। দুঃখ না থাকলে সুখ বোঝা যায় না। ‘মন্দ’ জ্ঞান থাকলে তবে ‘ভাল’ জ্ঞান (Kathamrita) হয়।

    “আবার আছে খোসাটি আছে বলে তবে আমটি বাড়ে ও পাকে। আমটি তয়ের হয়ে গেলে তবে খোসা ফেলে দিতে হয়! মায়ারূপ ছালটি থাকলে তবেই ক্রমে ব্রহ্মজ্ঞান হয়। বিদ্যা-মায়া, অবিদ্যা-মায়া আমের খোসার ন্যায়; দুই-ই দরকার।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 189: “অনুরাগ আগে, পরে প্রার্থনা…ডাক দেখি মন ডাকার মতো, কেমন শ্যামা থাকতে পারে”

    Ramakrishna 189: “অনুরাগ আগে, পরে প্রার্থনা…ডাক দেখি মন ডাকার মতো, কেমন শ্যামা থাকতে পারে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজে ব্রাহ্মভক্তসঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) শ্রীযুক্ত বেণী পালের সিঁথির বাগানে শুভাগমন করিয়াছেন। আজ সিঁথির ব্রাহ্মসমাজের ষান্মাসিক মহোৎসব। চৈত্র পূর্ণিমা (১০ই বৈশাখ, রবিবার), ২২শে এপ্রিল, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ; বৈকাল বেলা। অনেক ব্রাহ্মভক্ত উপস্থিত; ভক্তেরা ঠাকুরকে ঘিরিয়া দক্ষিণের দালানে বসিলেন। সন্ধ্যার পর আদি সমাজের আচার্য শ্রীযুক্ত বেচারাম উপাসনা করিবেন।

    ব্রাহ্মভক্তেরা ঠাকুরকে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করিতেছেন (Kathamrita)।

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়, উপায় কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—উপায় অনুরাগ, অর্থাৎ তাঁকে ভালবাসা। আর প্রার্থনা।

    ব্রাহ্মভক্ত—অনুরাগ না প্রার্থনা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অনুরাগ আগে, পরে প্রার্থনা।

    “ডাক দেখি মন ডাকার মতো, কেমন শ্যামা থাকতে পারে”—

    শ্রীরামকৃষ্ণ সুর করিয়া এই গানটি গাইলেন (Kathamrita)।

    “আর সর্বদাই তাঁর নামগুণগান-কীর্তন, প্রার্থনা করতে হয়। পুরাতন ঘটি রোজ মাজতে হবে, একবার মাজলে কি হবে? আর বিবেক, বৈরাগ্য, সংসার অনিত্য, এই বোধ।”

    ব্রাহ্মভক্ত ও সংসারত্যাগ—সংসারে নিষ্কামকর্ম 

    ব্রাহ্মভক্ত—সংসারত্যাগ কি ভাল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—সকলের পক্ষে সংসারত্যাগ নয়। যাদের ভোগান্ত হয় নাই তাদের পক্ষে সংসারত্যাগ নয়। দুআনা মদে কি মাতাল হয়?

    ব্রাহ্মভক্ত—তারা তবে সংসার করবে (Kathamrita)?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, তারা নিষ্কামকর্ম করবার চেষ্টা করবে। হাতে তেল মেখে কাঁঠাল ভাঙবে। বড় মানুষের বাড়ির দাসী সব কর্ম করে, কিন্তু দেশে মন পড়ে থাকে; এরই নাম নিষ্কামকর্ম। এরই নাম মনে ত্যাগ। তোমরা মনে ত্যাগ করবে। সন্ন্যাসী বাহিরের ত্যাগ আবার মনে ত্যাগ দুইই করবে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share