Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mahadev: শিবপুজোর জন্য সোমবার কেন বিশেষ দিন? কীভাবে করবেন মহাদেবের আরাধনা?

    Mahadev: শিবপুজোর জন্য সোমবার কেন বিশেষ দিন? কীভাবে করবেন মহাদেবের আরাধনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি সোমবারেই ভক্তরা দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশে পুজো অর্পণ করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, মহাদেবের (Mahadev) আশীর্বাদে দূর হয় জীবনের যাবতীয় সমস্যা ও বাধা বিঘ্ন। জীবনে নেমে আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। এমনিতে দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো সব বারেই করা যায়, তবে সোমবার কেন বিশেষ দিন? পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, চন্দ্রদেবতা সোমবারে দেবাদিদেব মহাদেবকে পুজো করেন। খুশি হয়ে শিব (Shiva Puja) চন্দ্র দেবতাকে বরদান করেছিলেন। আবার শিবকে পতি রূপে পাওয়ার জন্য দেবী পার্বতী ১৬টি সোমবার ব্রত করেছিলেন বলে জানা যায়। তাই সোমবার শিব পুজোর জন্য বিশেষ দিন হয়ে রয়েছে। সোমবারে (Mahadev) ভগবান শিবের পুজো অত্যন্ত ফলদায়ক ও শুভ বলে মনে করা হয়।

    পূর্ণিমা অনুযায়ী আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার

    হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাসের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। সনাতন ধর্মে এই মাসটি শিবকে (Shiva Puja) সমর্পিত করা হয়েছে। এই মাসে নিয়ম মেনে শিবের আরাধনা করলে মহাদেবের কৃপায় সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়। এ বছর শ্রাবণ মাসে দুর্লভ সংযোগ পাওয়া গিয়েছে। দুটি পদ্ধতিতে শ্রাবণ মাসের গণনা করা হয়। সংক্রান্তি অনুযায়ী ও পূর্ণিমা অনুযায়ী। পূর্ণিমা তিথি অনুযায়ী গত ২২ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাস শুরু হয়েছিল এবং শেষ হচ্ছে আজ সোমবার অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট। অন্য দিকে সংক্রান্তি অনুযায়ী ১৬ জুলাই সূর্য কর্কট রাশিতে প্রবেশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রান্তির পরের দিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাসের সূচনা ধরা হয় এবং তা শেষ হয় গত ১৭ অগাস্ট। অর্থাৎ পূর্ণিমা অনুযায়ী দেখলে এ বছর ৫টি সোমবার থাকছে। আবার সংক্রান্তি অনুযায়ী গণনা করলে ৪টি সোমবার পাওয়া যায়। পূর্ণিমা অনুযায়ী তাই আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। শ্রাবণ মাসের সোমবার পালনের সময় বিশেষ কিছু রীতি পালন করলে সন্তুষ্ট হন মহাদেব (Mahadev), এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রয়েছে বিশেষ কিছু পুজোর পদ্ধতিও। শ্রাবণ মাসের সোমবার পালন নিয়ে জ্যোতিষীরা বলছেন, যদি কারও কুণ্ডলীতে বিবাহের যোগ না থাকে বা বিবাহে বাধা আসে, তাহলে শ্রাবণ মাসের সোমবার পালনে সে বাধা কেটে যায়।

    সোমবার শিব (Mahadev) পুজোর পদ্ধতি

    সোমবার ভগবান শিবের বিশেষ পুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবাদিদেব মহাদেব অত্যন্ত ভক্তবৎসল এবং নিষ্ঠা ও ভক্তি সহযোগে পুজো করলেই তিনি তুষ্ট হয়ে যান। শাস্ত্র বিশারদরা বলেন, শুধু বেলপাতা, ফুল, ফল, জলেই তুষ্ট হন মহাদেব।  তবে তার সঙ্গে শিবলিঙ্গে কিছু বিশেষ জিনিস নিবেদন করলে ভগবান সহজেই প্রসন্ন হন। সোমবার শিবলিঙ্গে কী কী নিবেদন করলে তিনি তুষ্ট হবেন?

    শিবলিঙ্গের পুজো করার আগে শ্রী গণেশ, ভগবান বিষ্ণু, নবগ্রহ এবং দেবী পার্বতীর পুজো করার বিধান দিচ্ছেন পণ্ডিতরা। শিবলিঙ্গে বেলপত্র, ফুল ইত্যাদি উৎসর্গ করুন। কাঁচা দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন, এরপর পঞ্চমেব, পঞ্চামৃত, মিষ্টি, ফল, ধাতুরা, ভাং ইত্যাদি নিবেদন করুন এবং সব শেষে শিবের আরতি করুন।
            
    শিবের রুদ্রাভিষেক করলেও ভালো ফল মেলে। ভক্তরা নিজেদের ইচ্ছাপূরণের জন্য বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভগবান শিবের রুদ্রাভিষেক করেন।  ঘি দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করলে সন্তানের সুখ হয়। অন্যদিকে গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করলে দুঃখ ও পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। 
            
    অন্যদিকে, আখের রস দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এতে মহাদেব সহজেই খুশি হন এবং ভক্তের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে।
            
    শিব মন্দিরে প্রদীপ দান করলেও দেবাদিদেব মহাদেব ভক্তদের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। বিশ্বাস করা হয়, এদিন কাঁচা চালের সঙ্গে কালো তিল মিশিয়ে দান করলে পিতৃদোষ দূর হয়। 
            
    শিবলিঙ্গে প্রিয় জিনিসগুলি অর্পণ করার পর ‘ওম নমঃ শিবায়’ মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করার বিধান দিচ্ছেন পণ্ডিতরা, এতে শুভ ফল পাওয়া যায়। আবার শিব মন্দিরে রুদ্রাক্ষ নিবেদন করলে দাম্পত্য জীবন খুবই সুখের হয় বলে ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

    শিবপুজোর আরও খুঁটিনাটি

    অবশ্যই সকালে স্নান করে শিবলিঙ্গের পুজো করা উচিত। 
            
    শিবলিঙ্গে (Mahadev) জাফরান অর্পণ করলে ভক্তদের জীবনে সুখ-শান্তি আসে বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে চিনি দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং দারিদ্র্য দূর হয়।
            
    ভোলেনাথ সুগন্ধিও খুব পছন্দ করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে। শিবলিঙ্গে সুগন্ধি লাগালে মনের চিন্তা শুদ্ধ হয় বলে ধারণা। শিবলিঙ্গে দুধ অর্পণ করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।

    শিব পুরাণ অনুসারে, শিবলিঙ্গের পুজো জীবনের অনেক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে। এছাড়া মানসিক ও শারীরিক কষ্ট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় শিব পুজোর মাধ্যমে। শিবলিঙ্গ সম্পর্কে একটি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে যে, কলিযুগে কুষমান্ড ঋষির পুত্রই সর্বপ্রথম শিবলিঙ্গের পুজো শুরু করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raksha Bandhan 2024: আজ রাখি বন্ধন, কখন বাঁধবেন ভাইয়ের হাতে রাখি?

    Raksha Bandhan 2024: আজ রাখি বন্ধন, কখন বাঁধবেন ভাইয়ের হাতে রাখি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রাখি বন্ধন (Raksha Bandhan 2024), হিন্দু ধর্মের অন্যতম বড় উৎসব। প্রতি বছর ভাই-বোনের সম্পর্কের এই পবিত্র উৎসব পালিত হয় শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনে। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু-সুখী-সমৃদ্ধ জীবনের জন্য প্রার্থনা করা হয়। ভাইয়েরা তাঁদের বোনদের সারা জীবন রক্ষা করার আশ্বাসও দেন। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, ভাই বা দাদাকে রাখি বাঁধার আগে আরতি করা হয় এবং তারপর কপালে তিলক লাগানো হয়। এর পর ভাই দিদির পা স্পর্শ করেন অথবা বোন দাদার পা স্পর্শ করেন।

    কখন শুরু হল তিথি (Raksha Bandhan 2024)? 

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথি আজ অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট সোমবার ভোর ৩:০৪ মিনিট থেকে শুরু গিয়েছে এবং রাত ১১:৫৫ মিনিটে শেষ হবে।

    রাখি বাঁধার শুভক্ষণ কখন

    এ বছর রাখি (Raksha Bandhan 2024) বাঁধার শুভ সময় হল দুপুর ১:৪৬ থেকে ৪:১৯ মিনিট পর্যন্ত, প্রায় ২ ঘন্টা ৩৭ মিনিট। এর পাশাপাশি সন্ধ্যা ০৬:৫৬ মিনিট থেকে ০৯:০৭ মিনিট পর্যন্তও থাকবে শুভ সময়, প্রায় ২ ঘন্টা ১১ মিনিট। এবার রাখি বন্ধনে (Hindu Festival) ভদ্রা থাকবে সকালে। ভদ্রা থাকবে সকাল ০৫ টা ৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ০১ টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে রাখি বাঁধতে বারণ করছেন জ্যোতিষীরা। তাঁদের মতে, ভদ্রা যেখান থেকেই হোক না কেন, এটি অশুভ ফল দেয়। ভদ্রা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। 

    সারা দেশেই পালিত হবে উৎসব 

    রাখি বন্ধনের (Raksha Bandhan 2024) হরেক নাম রয়েছে। কোথাও রক্ষাবন্ধন উত্‍সব, কোথাও আবার শ্রাবণী পূর্ণিমা, আবার কোথাও অবনী আবিত্তম, কোথাও আবার পবিত্রতা বলেও অভিহিত করা হয়। কিছু জায়গায়, বোনেরা ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বাঁধার আগে নারকেলের ওপর তিলক লাগান এবং কলবা অর্থাৎ সুতো বাঁধেন। তারপর সেই নারকেলটি প্রথমে ভাইয়ের হাতে দেন এবং তারপরই ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বেঁধে দেন। ভাই-বোনের সম্পর্কের অটুট বন্ধন রাখতে (Hindu Festival) ও সম্মান জানাতে এই উত্‍সব পালন করা হয়ে থাকে।

    রাখি নিয়ে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনি

    মহাভারত অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের নিজের বোন ছিলেন সুভদ্রা। কিন্তু তিনি দ্রৌপদীকেও নিজের বোনের মতো স্নেহ করতেন। একবার শ্রীকৃষ্ণের হাত কেটে যায় এবং সেখান থেকে রক্তপাত শুরু হয়। তখন সেখানে সুভদ্রা এবং দ্রৌপদী দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। সুভদ্রা তখন সেই রক্ত বন্ধ করবার জন্য কাপড় খুঁজছিলেন। কিন্তু দ্রৌপদী একটুও দেরী না করে নিজের পরিহিত মূল্যবান রেশমী শাড়ি ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের সেই কেটে যাওয়া স্থানটি বেঁধে দেন তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ করার জন্য। এবং শ্রীকৃষ্ণ তখন দ্রৌপদীকে বলেন, তার বেঁধে দেওয়া কাপড়ের প্রতিটি সুতোর প্রতিদান দেবেন তিনি। এরপর শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রাজসভায় বস্ত্রহরণের চরম কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করেন।

    মোট ৬টি শুভ ও বিরল যোগ

    চলতি বছরে রাখি পূর্ণিমার দিন মোট ৬টি শুভ ও বিরল যোগ রয়েছে, বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা। যার ফলে রাখি পূর্ণিমার দিন অত্যন্ত শুভ হতে চলেছে। রাখির দিন রাজ পঞ্চক, শ্রাবণ সোমবার, শ্রাবণ পূর্ণিমার উপবাস ও স্নান, অন্যদিকে সবার্থ সিদ্ধি যোগ, রবি যোগ ও শোভন যোগ গঠিত হতে চলেছে।

    শ্রাবণ পূর্ণিমা ও রাখি (Raksha Bandhan 2024) পূর্ণিমা একসঙ্গেই পালিত হচ্ছে এবছর 

    শ্রাবণ পূর্ণিমা ও রাখি পূর্ণিমা একসঙ্গেই পালিত হচ্ছে এবছর। ভক্তি ভরে এদিন পুজো ও দান করলে ব্যাপক পুণ্যলাভ হয় বলেই ভক্তদের বিশ্বাস। এদিন নিয়ম মেনে বাড়িতে সত্যনারায়ণের পুজো করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna: বাঙালির নবজাগরণকে দিশা দিয়েছিলেন, আজ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের প্রয়াণ দিবস

    Ramakrishna: বাঙালির নবজাগরণকে দিশা দিয়েছিলেন, আজ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের প্রয়াণ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১৬ অগাস্ট শুক্রবার, রামকৃষ্ণ (Ramakrishna) পরমহংসদেবের প্রয়াণ বার্ষিকী। ১৮৮৬ সালের এই দিনেই পরলোক গমন করেন তিনি। প্রসঙ্গত, কামারপুকুরের ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান গদাধর চট্টোপাধ্যায় পরবর্তীকালে বিখ্যাত হন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব (Ramakrishna Death Anniversary) নামে। ১৮৩৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন হুগলি জেলার কামারপুকুরে। তাঁর পিতার নাম ছিল ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়, মাতার নাম ছিল চন্দ্রমণি দেবী। প্রসঙ্গত, বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। উনিশ শতকে বাঙালি নবজাগরণে অন্যতম বড় ভূমিকা পালন করেন তিনি। বাঙালিকে নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন, আধ্যাত্মিক-সামাজিক ক্ষেত্রে। তাঁর প্রধান শিষ্য ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।

    ৫২ বছর বয়সে কাশীপুর উদ্যান বাটিতে প্রয়াত হন রামকৃষ্ণ (Ramakrishna) পরমহংসদেব

    মাত্র ৫২ বছর বয়সে কাশীপুর উদ্যান বাটিতে প্রয়াত হন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় কাশীপুর শ্মশানে। প্রসঙ্গত, গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েই তিনি মারা যান বলে জানা যায়। ঠাকুরের শেষ দিনগুলি সম্পর্কে বৈকুণ্ঠ নাথ সান্যাল লিখছেন, ‘‘ঠাকুর সেই সময় মন্তব্য করতেন, ভিতরে এত খিদে যে হাড়ি হাড়ি খিচুড়ি খাই মনে হচ্ছে। কিন্তু মহামায়া কিছুই খেতে দিচ্ছেন না।’’ শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) পরমহংসদেবের পরলোক গমন সম্পর্কে স্বামী অভেদানন্দ তাঁর একটি লেখায় বর্ণনা করেছেন যে মৃত্যুর দিন তিনি একপাশে গড়িয়ে পড়েন ঠাকুর। নরেন্দ্রনাথ দত্ত অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দ তখন ঠাকুরের পা লেপ দিয়ে ঢেকে দেন এবং ছুটে সিঁড়িতে নেমে আসেন কারণ এই দৃশ্য স্বামী বিবেকানন্দ সহ্য করতে পারছিলেন না। পরে দেখা যায় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের নাড়ি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভক্তরা মনে করতে থাকেন যে তিনি হয়ত সমাধিতে চলে গিয়েছেন কিন্তু ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার ১৬ অগাস্ট সকালে এসে জানান যে ঠাকুর পরলোক গমন করেছেন।

    গল্পের রাজা ঠাকুর (Ramakrishna)

    গৃহস্থ মানুষকে সহজ-সরল ভাষায় ধর্মবিষয়ে উপদেশ দান করতেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ। তাঁকে বলা হত গল্পের রাজা। মানী-গুণী পণ্ডিত ব্যক্তি থেকে প্রত্যেকেই তাঁর কাছে হাজির হতেন বাণী শোনার জন্য। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাণী নিয়েই পরবর্তীকালে লিপিবদ্ধ হয় কথামৃত। তাঁর কিছু বিখ্যাত বাণী হল—

    – লোভী মানুষের মন অনেকটা নর্দমায় বেড়ে ওঠা কীটের মতো, তাকে যতই ভালো জায়গায় রাখো না কেন সে তো ফিরে নর্দমাতে যাবেই।

    – যদি তুমি মনের মধ্যে অহংকারের কালো মেঘ পুষে রাখো, স্বয়ং ঈশ্বর তোমাকে আলোর পথ দেখাতে পারবেন না। 

    – জীবনে শান্তি পেতে মনের ময়লাগুলোকে ধুয়ে ফেলতে হবে। মনে যতক্ষণ কাম-ক্রোধ-লোভের বাস সেখানেই সর্বনাশ।

    – যেমন মুক্ত পেতে হলে ঝিনুকের প্রয়োজন, ঠিক তেমনি পরম ঈশ্বরকে পেতে হলে সত্‍ কর্ম ও ঈশ্বরে ভক্তির প্রয়োজন।

    – তোমার ধর্ম আমার ধর্ম বলে লড়াই করে কী লাভ? যখন তোমার আমার সবার গন্তব্য সেই এক জনেরই কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 109: “ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন”

    Ramakrishna 109: “ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হ্যাঁ, আমি শুনেছি জন্মান্তর আছে। ঈশ্বরের কার্য আমরা ক্ষুদ্রবুদ্ধিতে কি বুঝব? অনেকে বলে গেছে, তাই অবিশ্বাস করতে পারি না। ভীস্মদেব দেহত্যাগ করবেন, শরশয্যায় শুয়ে আছেন, পাণ্ডবেরা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে সব দাঁড়িয়ে। তাঁরা দেখলেন যে, ভীস্মদেবের চক্ষু দিয়ে জল পড়ছে। অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে বললেন, ভাই, কি আশ্চর্য! পিতামহ, যিনি স্বয়ং ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, অষ্টবসুর এক বসু, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন। শ্রীকৃষ্ণ ভীস্মদেবকে এ-কথা বলাতে (Kathamrita) তিনি বললেন, কৃষ্ণ, তুমি বেশ জানো, আমি সেজন্য কাঁদছি না! যখন ভাবছি যে, যে পাণ্ডবদের স্বয়ং ভগবান নিজে সারথি, তাদের দুঃখ-বিপদের শেষ নাই, তখন এই মনে করে কাঁদছি যে, ভগবানের কার্য কিছু বুঝতে পারলাম না।

    কীর্তনানন্দে—ভক্তসঙ্গে

    সমাজগৃহে এইবার সন্ধ্যাকালীন উপসনা হইল। রাত্রি প্রায় সাড়ে আটটা। সন্ধ্যার চারপাঁচ দণ্ডের পর রাত্রী জ্যোৎস্নাময়ী হইল। উদ্যানের বৃক্ষরাজি লতাপল্লব শরচ্চন্দ্রের বিমলকিরণের যেন ভাসিতে লাগিল। এদিকে সমাজগৃহে সংকীর্তন আরম্ভ হইয়াছে। ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ হরিপ্রেমে মাতোয়ারা হইয়া নাচিতেছেন। সকলেই ভাবে (Kathamrita) মত্ত, যেন শ্রীভগবানের সাক্ষাৎকার লাভ করিয়াছেন! হরিনামের রোল উত্তোরত্তর উঠিতেছে। চারিদিকে গ্রামবাসীরা হরিনাম শুনিতেছেন, আর মনে মনে উদ্যানস্বামী ভক্ত বেণীমাধবকে কতই ধন্যবাদ দিতেছেন।      

    কীর্তনান্তে শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভূমিষ্ঠ হইয়া জন্মগতাকে প্রণাম করিতেছেন। প্রণাম করিতে করিতে বলিতেছেন, ভগবত-ভক্ত-ভগবান, জ্ঞানীর চরণে প্রণাম, সাকারবাদী ভক্তের চরণে, নিরাকারবাদী ভক্তের চরণে প্রণাম; আগেকার ব্রহ্মজ্ঞানীদের ইদানিং ব্রহ্মজ্ঞানীদের চরণে প্রণাম।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 110: রাম! একি বলুন দেখি, এই নিকষা এত বুড়ী, কত পুত্রশোক পেয়েছে, তার প্রাণের ভয়!

    Ramakrishna 110: রাম! একি বলুন দেখি, এই নিকষা এত বুড়ী, কত পুত্রশোক পেয়েছে, তার প্রাণের ভয়!

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণন

    আবার সেই গন্ধর্বনিন্দিত কণ্ঠে সেই মধুরিমাপূর্ণ (Kathamrita) গানঃ 

    ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে আমার মন।

    তলাতল পাতাল খুঁজলে পাবি রে প্রেম রত্নধন।।

    খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজলে পাবি হৃদয়মাঝে বৃন্দাবন।

    দীপ্‌ দীপ্‌ দীপ্‌ জ্ঞানের বাতি, জ্বলবে হৃদে অনুক্ষণ।।

    ড্যাং ড্যাং ড্যাং ডাঙায় ডিঙে, চালায় আবার সে কোন্‌ জন।

    কুবীর বলে শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌ ভাব গুরুর শ্রীচরণ।।

    তবে দর্শনের পর ভক্তের সাধ হয় তাঁর লীলা কি, দেখি। রামচন্দ্র রাবণবধের পর রাক্ষসপুরী প্রবেশ করলেন; বুড়ী নিকষা দৌড়ে পালাতে লাগল। লক্ষ্মণ বললেন, রাম! একি বলুন (Kathamrita) দেখি, এই নিকষা এত বুড়ী, কত পুত্রশোক পেয়েছে, তার এত প্রাণের ভয়, পালাচ্ছে! রামচন্দ্র (Ramakrishna) নিকষাকে অভয় দান করে সম্মুখে আনিয়ে জিজ্ঞাসা করাতে নিকষা বললে, রাম এতদিন বেঁচে আছি বলে তোমার এত লীলা দেখলাম। তাই আরও বাঁচার সাধ আছে। তোমার আরো কত লীলা দেখব। (সকলের হাস্য)

    (শিবনাথের প্রতি)—তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করে। শুদ্ধাত্মাদের না দেখলে কি নিয়ে থাকব? শুদ্ধাত্মাদের পূর্বজন্মের বন্ধু বলে বোধ হয়।

    একজন ব্রহ্মভক্ত (Ramakrishna) জিজ্ঞাসা করলেন, মহাশয়! আপনি জন্মান্তর মানেন?

    জন্মান্তর—বহুনি মে ব্যতীতানি জন্মানি তব চার্জুন

    আরও পড়ুনঃ “যদি আমার একঘটি জলে তৃষ্ণা যায়, পুকুরে কত জল আছে, মাপবার কি দরকার?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 108: “এ গয়না তোমার পক্ষেই ভারী একটা জিনিস, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে কতগুলো মাটির ড্যালা”

    Ramakrishna 108: “এ গয়না তোমার পক্ষেই ভারী একটা জিনিস, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে কতগুলো মাটির ড্যালা”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণন

     যখন রাধাকান্তের গয়না চুরি গেল, সেজোবাবু (রাসমণির জামাই) রাধাকান্তের মন্দিরে গিয়ে ঠাকুরকে (Ramakrishna) বলতে লাগল, ছি! ঠাকুর! তোমার গয়না রক্ষা করতে পারলে না! আমি সেজোবাবুকে বললাম, “ও তোমার কি বুদ্ধি! স্বয়ং লক্ষ্মী যাঁর দাসী, পদসেবা করেন, তাঁর কি ঐশ্বর্যের অভাব! এ গয়না তোমার পক্ষেই ভারী একটা জিনিস, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে কতগুলো মাটির ড্যালা! ছি! অমন হীনবুদ্ধির কথা বলতে নেই; কি ঐশ্চর্য তুমি তাঁকে দিতে পার? তাই বলি, যাঁকে নিয়ে আনন্দ হয়, তাঁকেই লোকে চায়, তার বাড়ি কোথায়, কখানা বাড়ি, কটা বাগান, কত ধন-জন, দাস-দাসী এ খবরে কাজ কি? নরেন্দ্রকে যখন দেখি, তখন আমি সব ভুলে যাই। তার কোথা বাড়ি, তার বাবা কি করে, তার কটি ভাই এ-সব কথা একদিন ভুলেও জিজ্ঞাসা করি নাই। ঈশ্বরের (Ramakrishna) মাধুর্যরসে ডুবে যাও! তাঁর অনন্ত সৃষ্টি, অনন্ত ঐশ্বর্য! অত খবরে আমাদের কাজ কি।  

    আবার সেই গন্ধর্বনিন্দিত কণ্ঠে সেই মধুরিমাপূর্ণ (Kathamrita) গানঃ

    ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে আমার মন।

    তলাতল পাতাল খুঁজলে পাবি রে প্রেম রত্নধন।।

    খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজলে পাবি হৃদয়মাঝে বৃন্দাবন।

    দীপ্‌ দীপ্‌ দীপ্‌ জ্ঞানের বাতি, জ্বলবে হৃদে অনুক্ষণ।।

    ড্যাং ড্যাং ড্যাং ডাঙায় ডিঙে, চালায় আবার সে কোন্‌ জন।

    কুবীর বলে (Kathamrita) শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌ ভাব গুরুর শ্রীচরণ।।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 107: “কাঠ নিজেও ভেসে যায়, আবার উপরে কত মানুষ, গরু, হাতি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে”

    Ramakrishna 107: “কাঠ নিজেও ভেসে যায়, আবার উপরে কত মানুষ, গরু, হাতি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

                                                                 যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ।

    আত্মন্যেব চ সন্তুষ্টস্তস্য কার্যং ন বিদ্যতে।। গীতা/১৭/

    ঈশ্বরলাভের লক্ষণসপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    অবতারাদি শরীর সমাধি পর—লোকশিক্ষা জন্য

    সমাধিস্থ হবার পর প্রায় শরীর থাকে না। কারু কারু লোকশিক্ষার জন্য শরীর থাকে—যেমন নারদাদির আর চৈতন্যদেবের মতো অবতারদের। কূপ খোঁড়া হয়ে গেলে, কেহ কেহ ঝুড়ি-কোদাল বিদায় করে দেয়। কেউ কেউ রেখে দেয়—ভাবে, যদি পাড়ায় কারুর দরকার হয়। এরূপ মহাপুরুষ জীবের দুঃখে কাতর। এরা স্বার্থপর নয় যে, আপনাদের জ্ঞান হলেই হল। স্বার্থপর লোকের কথা তো জানো। এখানে মোত বললে (Kathamrita) মুতবে না, পাছে তোমার উপকার হয়। এক পয়সার সন্দেশ দোকান থেকে আনতে দিলে চুষে চুষে এনে দেয়। (সকলের হাস্য)

    কিন্তু শক্তিবিশেষ। সামান্য আধার লোকশিক্ষা দিতে ভয় করে। হাবাতে কাঠ নিজে এরকম করে ভেসে যায়, কিন্তু একটা পাখি এসে বসলে ডুবে যায়। কিন্তু নারদাদি (Ramakrishna) বাহাদুরী কাঠ। এ-কাঠ নিজেও ভেসে যায়, আবার উপরে কত মানুষ, গরু, হাতি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।

                                                                                                                                                      সপ্তম পরিচ্ছেদ

                                                                                                                      অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণনা

    পূর্বকথা—দক্ষিণেশ্বরে রাধাকান্তের ঘরে গয়না চুরি—১৮৬৯

    শ্রীরামকৃষ্ণ (শিববাথের প্রতি)হ্যাঁগা, তোমার ঈশ্বরের (Ramakrishna) ঈশ্বর্য অত বর্ণনা কর কেন? আমি কেশব সেনকে ওই কথা বলেছিলাম। এদিন তারা সব ওখানে (কালীবাড়িতে) গিছিল। আমি বললুম, তোমার কিরকম লেকচার দাও, আমি শুনব। তা গঙ্গার ঘাটের চাঁদনিতে সভা হল, আর কেশব বলতে লাগল। বেশ বলল, আমার ভাব হয়ে গিছিল। পরে কেশবকে আমি বললুম, তুমি এগুলো এত বল কেন?—হে ঈশ্বর, তুমি কি সুন্দর ফুল করিয়াছ, তুমি আকাশ করিয়াছ, তুমি সমুদ্র করিয়াছ, এই সব? যারা নিজে ঐশ্বর্য ভালবাসে তারা ঈশ্বরের ঐশ্বর্য বর্ণনা করতে (Kathamrita) ভালবাসে।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 106: “ঈশ্বরের পথে যত এগুবে ততই কর্ম কমবে, শেষে কর্মত্যাগ আর সমাধি”

    Ramakrishna 106: “ঈশ্বরের পথে যত এগুবে ততই কর্ম কমবে, শেষে কর্মত্যাগ আর সমাধি”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ।

    আত্মন্যেব চ সন্তুষ্টস্তস্য কার্যং ন বিদ্যতে।। গীতা—৩/১৭/

    ঈশ্বরলাভের লক্ষণ—সপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    আমার এই অবস্থার পর গঙ্গাজলে তর্পণ করতে গিয়ে দেখি যে, হাতের আঙুলের ভিতর দিয়ে জলে গলে পড়ে যাচ্ছে। তখন হলধারীকে কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করলাম, দাদা, একি হল! হলধারী বললে একে গলিতহস্ত বলে। ঈশ্বরদর্শনের (Ramakrishna) পর তর্পণাদি কর্ম থাকে না।

    সংকীর্তনে প্রথমে বলে নিতাই আমার মাতা হাতি! নিতাই আমার মাতা হাতি! ভাব গাঢ় হলে শুধু বলে হাতি! হাতি তারপর কেবল হাতি এই কথাটি মুখে থাকে। শেষে হা বলতে বলতে ভাবসমাধি হয়। তখন সে ব্যক্তি, এতক্ষণ কীর্তন করছিল, চুপ হয়ে যায়।

    যেমন ব্রাহ্মণভোজনে—প্রথমে খুব হৈ-চৈ। যখন সকলে পাতা সম্মুখে করে বসলে, তখন অনেক হৈ-চৈ কমে গেল, কেবল লুচি আন লুচি আন শব্দ হতে থাকে। তারপর যখন লুচি তরকারি খেতে আরম্ভ করে, তখন আনা শব্দ কমে গেছে। যখন দই এল তখন সুপসুপ (সকলের হাস্য)—শব্দ নাই বললেও হয়। খাবার পর নিদ্রা। তখন সব চুপ।

    তাই বলছি (Kathamrita), প্রথম প্রথম কর্মের খুব হৈ-চৈ থাকে। ঈশ্বরের (Ramakrishna) পথে যত এগুবে ততই কর্ম  কমবে। শেষে কর্মত্যাগ আর সমাধি।

    গৃহস্থের বউ অন্তঃসত্ত্বা হলে শাশুড়ি কর্ম কমিয়ে দেয়, দশমাসে কর্ম প্রায় করতে হয় না। ছেলে হলে একেবারে কর্মত্যাগ। মা ছেলেটি নিয়ে কেবল নাড়াচাড়া করে। ঘরকন্নার কাজ শাশুড়ী, ননদ, জা—এরা সব করে।

     

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 105: “সমাধি হলে সব কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়, পূজা-জপাদি কর্ম, বিষয়কর্ম সব ত্যাগ হয়”

    Ramakrishna 105: “সমাধি হলে সব কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়, পূজা-জপাদি কর্ম, বিষয়কর্ম সব ত্যাগ হয়”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ।

    আত্মন্যেব চ সন্তুষ্টস্তস্য কার্যং ন বিদ্যতে।। গীতা—৩/১৭/

    ঈশ্বরলাভের লক্ষণ—সপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    মনের পঞ্চভূমি—কণ্ঠ। মন যার কণ্ঠে উঠছে, তার অবিদ্যা অজ্ঞান সব দিয়ে, ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) কথা বই অন্য কোন কথা শুনতে বা বলতে ভাল লাগে না। যদি কেউ অন্য কথা বলে, সেখান থেকে উঠে যায়।

    মনের ষষ্ঠভূমি—কপাল। মন সেখানে গেলে অহর্নিশ ঈশ্বরীয় দর্শন হয়। তখনও একটু আমি থাকে। সে ব্যক্তি সেই নিরুপম রূপদর্শন করে, উন্মত্ত হয়ে সেই রূপকে স্পর্শ আর আলিঙ্গন করতে যায়, কিন্তু পারে না। যেমন লণ্ঠনের ভিতর আলো আছে, মনে হয় এই আলো ছুঁলাম ছুঁলাম, কিন্তু কাচ ব্যবধান আছে বলে (Kathamrita) ছুঁতে পাড়া যায় না।

    শিরোদেশ—সপ্তভূমি—সেখানে মন গেলে সমাধি হয় ও ব্রহ্মের (Ramakrishna) প্রত্যক্ষ দর্শন হয়। কিন্তু সে-অবস্থায় শরীর অধিক দিন থাকে না। সর্বদা বেহুঁশ, কিছু খেতে পারে না, মুখে দুধ দিলে গড়িয়ে যায়। এই ভূমিতে একুশ দিনে মৃত্যু। এই ব্রহ্মজ্ঞানীর অবস্থা। তোমাদের ভক্তিপথ। ভক্তিপথ খুব ভাল আর সহজ।

    সমাধি হলে কর্মত্যাগ-পূর্বকথা-ঠাকুরের তর্পণাদি কর্মত্যাগ

    আমায় একজন বলেছিলেন (Kathamrita), মহাশয়! আমাকে সমাধিটা শিখিয়ে দিতে পারেন? (সকলের হাস্য)

    সমাধি হলে সব কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়। পূজা-জপাদি কর্ম, বিষয়কর্ম সব ত্যাগ হয়। প্রথমে কর্মের বড় হৈ-চৈ থাকে। যত ঈশ্বরের (Ramakrishna) দিকে এগুবে ততই কর্মের আড়ম্বর কমে। এমন কি তাঁর নামগুণগান পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। (শিবনাথের প্রতি) যতক্ষণ তুমি সভায় আসনি তোমার নাম, গুণকথা অনেক হয়েছে। যাই তুমি এসে পড়েছ, অমনি সে-সব কথা বন্ধ হয়ে গেল। তখন তোমার দর্শনেতেই আনন্দ। তখন লোকে বলে, এই যে শিবনাথ বাবু এসেছেন। তোমার বিষয়ে অন্য সব কথা বন্ধ হয়ে যায়।  

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Aurobindo: ‘বিপ্লবী’ থেকে ‘ঋষি’, অরবিন্দর জীবন কেমন ছিল জানেন?

    Sri Aurobindo: ‘বিপ্লবী’ থেকে ‘ঋষি’, অরবিন্দর জীবন কেমন ছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৫ অগাস্ট দেশের স্বাধীনতার ৭৮ তম দিন। দেশ জুড়ে প্রবল উৎসাহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হচ্ছে। আর আজকের দিনেই ১৮৭২ সালে জন্ম নিয়েছিলেন বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং আধ্যাত্মিক গুরু (Revolutionary) শ্রীঅরবিন্দ (Sri Aurobindo)। তিনি ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা চাননি, চেয়েছিলেন সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক, ধর্মীয় এবং আর্থিক পরিসরে ভারত মাতার পুনর্জাগরন। দেশের ‘স্ব’কে নির্মাণ করাই ছিল তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য। আলিপুর বোমা মামলায় তাঁকে ব্রিটিশ পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত করে জেলে বন্দি করেছিল। সরকারের নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তিনি শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামী বা বিপ্লবী ছিলেন না, একাধারে ‘বন্দেমাতরম্‌’ পত্রিকার সম্পাদক আবার লেখক, দার্শনিক ও সংগঠক ছিলেন। তাঁর কথা ইতিহাসের পাতায় অবিস্মরণীয়।

    পড়াশুনা ও বিপ্লবী কর্মজীবন (Sri Aurobindo)

    বিপ্লবী (Revolutionary) অরবিন্দ ঘোষের (Sri Aurobindo) বাবা চিকিৎসক কৃষ্ণধন ঘোষ ও মাতা স্বর্ণলতা দেবী। মাতামহ ছিলেন রাজনারায়ণ বসু। শৈশব বয়স থেকে অরবিন্দ দার্জিলিংয়ের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পড়াশুনা শুরু করেছিলেন। এরপর ইংল্যান্ডে বাকি পড়াশুনা করেন। সেখানে থাকার সময়ে ইতালি, আয়ারল্যান্ডের রাজনৈতিক ঘটনাবলি দ্বারা দারুণ প্রভাবিত হয়েছিলেন। ভারতে এসে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেসের আবেদন-নিবেদন নীতির চরম বিরোধী ছিলেন। তিনি তাঁর লেখা দিয়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যুবসমাজকে ভীষণ ভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। দেশমাতৃকার মুক্তি ছিল তাঁর জীবনের প্রধান লক্ষ্য। তিনি ভারতীয় ইতিহাস, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত, বেদ, উপনিষদ দ্বারা প্রভাবিত হন এবং ভারত আত্মার মুক্তির কথা যুব সমাজের কাছে তুলে ধরেছিলেন। তবে বিশেষ করে গীতার ‘নিষ্কাম কর্ম’ এবং ‘আত্মত্যাগ’-এর কথা দ্বারা ভারত মায়ের মুক্তির কথাকে বেশি করে নিজের লেখায় উপস্থাপন করতেন। তাঁর লেখা নিয়ে ব্রিটিশ সরকার যে চাপের মধ্যে থাকত, তা বলাই বাহুল্য। তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ দ্বারা ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হন। অনুশীলন সমিতির মতো গুপ্ত সমিতির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। তাঁর ভবানী মন্দিরে বঙ্গজননী ভারত মায়ের মুক্তির কথা প্রচার করে বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা যোগাতেন। ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ সরকারের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বঙ্গীয় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গড়ে তোলেন। বরোদার ৭০০ টাকার বেতন ত্যাগ করে আজকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করেছিলেন। স্বদেশী শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলে রাইটার্সের গোলদীঘির গোলামখানার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম করেছিলেন তিনি।

    আলিপুর বোমা মামলা

    অরবিন্দকে (Sri Aurobindo) ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলা চলে ১ বছর। টানা এক বছরের জেল জীবন কাটান। জেলের বন্দি জীবন নিয়ে ‘কারা কাহিনী’ লেখেন। ব্রিটিশ সরকার কতটা নির্মম ছিল সেই কথা বলে গিয়েছেন তাঁর লেখায়। ভারতবাসীর মুক্তির জন্য জেলে বসেই নরের মধ্যে নারায়ণকে দর্শন করেন। বিপ্লবী বিপিন চন্দ্র পালকে স্মরণ করেছিলেন। ১৯০৯ সালে মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এরপর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মতাদর্শ-ভাবাদর্শকে আধ্যাত্মিক আন্দোলনে রূপান্তর করে নিজেকে পরিবর্তন করেন। ১৯১০ সালে পন্ডিচেরিতে চলে যান। এরপর ধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতা নিয়ে কাজে মনোনিবেশ করেন। এভাবেই অরবিন্দ ‘ঋষি’ অরবিন্দে পরিণত হন। ১৯৫০ সালের ৫ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ “যদি আমার একঘটি জলে তৃষ্ণা যায়, পুকুরে কত জল আছে, মাপবার কি দরকার?”

    তাঁর কিছু বাণী

    অরবিন্দের (Sri Aurobindo) কিছু বাণী সাধারণ মানুষের মনকে আজও প্রভাবিত এবং অনুপ্রাণিত করে।

    ১> “দেশকে ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়, তবে আমি অপরাধী”

    ২> “কোনও দেশ বা জাতিই এখন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে না।“

    ৩> “যেমন সারা সংসারের পরিবর্তন হচ্ছে, তেমনই ভারতকেও পরিবর্তিত হতে হবে।“ 

    ৪> “ভারত বৈষয়িক সমৃদ্ধিহীন। কিন্তু আধ্যাত্মিকতার উচ্ছ্বাস তার জীর্ণ দেহে বাস করে।“

    ৫> “পড়াশোনা কর, লেখ, এগিয়ে যাও, কাজ করো, একমাত্র মাতৃভূমির জন্য, মায়ের সেবার জন্য।”

    ৬> “ভারত যদি পাশ্চাত্য সভ্যতার ভালো দিকগুলি গ্রহণ করে এবং নিজের ক্ষমতা ধ্বংস হতে না দেয়, তাহলে এর সংমিশ্রণে এখানে যে সংস্কৃতি বেরিয়ে আসবে, তা সমগ্র বিশ্বের জন্য উপকারী হবে। সেই সংস্কৃতি হয়ে উঠবে বিশ্বের পরবর্তী সংস্কৃতি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share