Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ramakrishna 92: “কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়”

    Ramakrishna 92: “কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    দশম পরিচ্ছেদ

    সুরেন্দ্রের বাড়ি নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে

    গাড়ি চলিতে লাগিল। ইংরেজটোলা। সুন্দর রাজপথ। পথের দুইদিকে সুন্দর সুন্দর অট্টালিকা। পূর্ণচন্দ্র উঠিয়াছে, অট্টালিকা যেন বিমল শীতল চন্দ্রকিরণে বিশ্রাম করিতেছেন। দ্বারদেশে বাষ্পীয় দীপ, কক্ষমধ্যে দীপমালা, স্থানে স্থানে হার্মোনিয়াম, পিয়ানো সংযোগে ইংরেজ মহিলারা গান করিতেছেন। ঠাকুর আনন্দ হাস্য করিতে করিতে যাইতেছেন। হঠাৎ বলিলেন (Kathamrita), আমার জলতৃষ্ণ পাচ্ছে; কী হবে? কি করা যায়! নন্দলাল ইন্ডিয়া ক্লাবের নিকট গাড়ি থামাইয়া উপরে জল আনিতে গেলেন, কাচের গ্লাসে করিয়া জল আনিলেন। ঠাকুর সহাস্যে জিজ্ঞাসা করিলেন, গ্লাসটি ধোয়া তো? নন্দলাল বললেন, হাঁ। ঠাকুর (Ramakrishna) সেই গ্লাসে জলপান করিলেন।

    বালকের স্বভাব। গাড়ি চালাইয়া দিলে ঠাকুর মুখ বাড়াইয়া লোকজন গাড়ি-ঘোড়া চাঁদের আলো দেখিতেছেন। সকল তাতেই আনন্দ।

    নন্দলাল কলুটোলায় নামিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) গাড়ি সিমুলিয়া স্ট্রীটে শ্রীযুক্ত সুরেশ মিত্রের বাড়িতে আসিয়া লাগিল। ঠাকুর তাঁহাকে সুরেন্দ্র বলিতেন। সুরেন্দ্র ঠাকুরের পরম ভক্ত।

    কিন্তু সুরেন্দ্র বাড়িতে নাই। তাঁহাদের নূতন বাগানে গিয়াছেন। বাড়ির লোকেরা বসিতে নিচের ঘর খুলিয়া দিলেন। গাড়িভাড়া দিতে হবে। কে দিবে? সুরেন্দ্র থাকিলে সেই দিত। ঠাকুর একজন ভক্তকে বলিলেন, ভাড়াটা মেয়েদের কাছে থেকে চেয়ে নে না। ওরা কি জানে না, ওদের ভাতাররা যায় আসে। (সকলের হাস্য)

    নরেন্দ্র পাড়াতেই থাকেন। ঠাকুর (Ramakrishna) নরেন্দ্রকে ডাকিতে পাঠাইলেন। এদিকে বাড়ির লোকেরা দোতলার ঘরে ঠাকুরকে বসাইলেন (Kathamrita)। ঘরের মেঝেতে চাদর পাতা, দু-চারটে তাকিয়া তার উপর; কক্ষ-প্রাচীরে সুরেন্দ্রের বিশেষ যত্নে প্রস্তুত ছবি (oil painting) যাহাতে কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়। আর বৈষ্ণব, শাক্ত, শৈব ইত্যাদি সম্প্রদায়ের সমন্বয়।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pingali Venkayya: জাতীয় পতাকার রূপকার, স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার জন্মদিন

    Pingali Venkayya: জাতীয় পতাকার রূপকার, স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার জন্মদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া (Pingali Venkayya) নামটা হয়ত অনেকের কাছেই অপরিচিত। তিনি ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তবে, তার চেয়েও বড় কথা, তিনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় পতাকার (National Flag) একজন রূপকার। তিনি মুক্ত ও স্বাধীন ভারত চেতনার সমর্থক ছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি একজন কৃষিবিদ, ভাষাবিদ এবং ভূতাত্ত্বিক ছিলেন। গান্ধীবাদী মতাদর্শে দীক্ষিত পিঙ্গালি পরাধীন ভারতে সক্রিয়ভাবে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছিলেন। আজ আমরা যে জাতীয় পতাকা দেখি, তা ছিল তাঁরই তৈরি করা নকশা। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই, ভারতের গণপরিষদ এই নকশা গ্রহণ করেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

    জন্ম ও পড়াশুনা (Pingali Venkayya)

    ১৮৭৬ ​​সালের ২ অগাস্ট অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া (Pingali Venkayya)। তেলুগু, হিন্দি, উর্দু, বাংলা, তামিল, ইংরেজি এবং জাপানির মতো অনেক ভাষা জানতেন তিনি। স্বদেশি পোশাক এবং বস্ত্র ব্যবহারের উপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাবার নাম হনুমন্ত রাও এবং মা ছিলেন রুক্মিনাম্মা। তিনি মাছিলিপত্তনমের স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্ব ডিগ্রি লাভ করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানের আগে তিনি শিক্ষক, ভূতত্ত্ববিদ ও কৃষি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছিলেন।

    রাজনৈতিক জীবন

    ভেঙ্কায়া (Pingali Venkayya) আফ্রিকায় অ্যাংলো বোয়ার যুদ্ধের সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গান্ধীবাদী নীতিতে দৃঢ় বিশ্বাসী এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন তিনি। বিজয়ওয়াড়ায় পতাকার বিভিন্ন নকশার সঙ্গে তাঁর নকশাটিও দেখান। এরপর একটি জাতীয় পতাকার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে, গান্ধীজি ভেঙ্কাইয়াকে ১৯২১ সালে জাতীয় কংগ্রেসের সভায় একটি নতুন পতাকার নকশা করতে বলেন।

    আরও পড়ুনঃআজ শ্রাবণ শিবরাত্রি, কীভাবে করবেন পুজো? কখন লাগছে তিথি?

    ২০০৯ স্ট্যাম্প জারি করেছিল ভারত সরকার

    প্রাথমিকভাবে, ভেঙ্কাইয়া (Pingali Venkayya) পতাকায় কমলা এবং সবুজ রঙের ব্যবহার করেছিলেন। পরে তার কেন্দ্রে একটি চরকা এবং তৃতীয় আরও একটি সাদা রঙ যোগ করেছিলেন। ১৯৩১ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে এই পতাকাটি (National Flag) গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৯৫৫ সালে তাঁঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে স্মরণ করে একটি স্ট্যাম্পও জারি করেছিল। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ২০১৪ সালে ভারতরত্ন নামের জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করেছিল। ২০১৫ সালে, তৎকালীন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নায়ডু বিজয়ওয়াড়ার নাম পরিবর্তন করে ভেঙ্কাইয়া রাখেন এবং সেখানে তাঁর মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shravan Shivratri: আজ শ্রাবণ শিবরাত্রি, কীভাবে করবেন পুজো? কখন লাগছে তিথি?

    Shravan Shivratri: আজ শ্রাবণ শিবরাত্রি, কীভাবে করবেন পুজো? কখন লাগছে তিথি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার শ্রাবণ শিবরাত্রি (Shravan Shivratri)। প্রতি মাসেই একটি করে শিবরাত্রি আছে কিন্তু মহাশিবরাত্রি ছাড়াও শ্রাবণ শিবরাত্রি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় হিন্দু ধর্মে। কিংবদন্তি অনুসারে, এই দিনেই শিব-পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল। আবার এই দিনেই সমুদ্র মন্থনে ওঠা বিষ দেবাদিদেব মহাদেব পান করেছিলেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। এই দিনটি শিব-শক্তির মিলন হিসাবে পরিচিত। শ্রাবণ হল ভগবান শিবের প্রিয় মাস। শ্রাবণ শিবরাত্রিতে (Shravan Shivratri) দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করলে জীবন সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে ভরে যায় বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

    শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর দিনে পড়ে শ্রাবণ শিবরাত্রি (Shravan Shivratri)

    শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর দিনে পড়ে শ্রাবণ শিবরাত্রি। এই বছর শ্রাবণ শিবরাত্রি (Shravan Shivratri) আজ অর্থাৎ ২ অগাস্ট। ভগবান শিবকে জল নিবেদনের জন্য এই দিনটিকে সবচেয়ে বিশেষ বলে মনে করা হয়। শ্রাবণ কৃষ্ণ চতুর্দশী তারিখ ২ অগাস্ট ২০২৪ দুপুর ৩ টে ২৬ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ৩ অগাস্ট  ২০২৪ দুপুর ৩ টে ৫০ মিনিটে শেষ হবে। গঙ্গার জল ভরে নিয়ে আসা ভক্তরা শ্রাবণ শিবরাত্রির দিনেই ভগবান শিবের জলাভিষেক করেন। কথিত আছে যে এর দ্বারা ব্যাক্তি মোক্ষ লাভ করেন।

    কীভাবে করবেন পুজো?

    শিবরাত্রিতে (শ্রাবণ শিবরাত্রি) চার প্রহর পুজো করতে হয়। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, প্রথমার্ধে দুধ, দ্বিতীয়ার্ধে দই, তৃতীয়ার্ধে ঘি এবং চতুর্থাংশে মধু দিয়ে পুজো করলে বিশেষ ফল মেলে। প্রতি পুজোতেই জল ব্যবহার করা উচিত, কারণ জল ভগবান শিবের খুব প্রিয় বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে শিব যখন সমুদ্র মন্থন থেকে বেরিয়ে আসা বিষ পান করেছিলেন, তখন কেবল জলের দ্বারাই তাঁর ব্যথা উপশম হয়। তাই শ্রাবণ মাসে যে ব্যক্তি মহাদেবকে (Lord Mahadev) জল নিবেদন করেন তাঁর সমস্ত কষ্ট ভোলেনাথ দূর করেন।

    শ্রাবণ মাসের শিবরাত্রিকে অহোরাত্রি কেন বলে?

    পুরাণে শ্রাবণ মাসের শিবরাত্রিকে (Shravan Shivratri) অহোরাত্রিও বলা হয়েছে। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী শ্রাবণ মাসের শিবরাত্রিতে ঘুমালে ভাগ্যও ঘুমিয়ে পড়ে। তাই এই শিবরাত্রিতে রাত্রি জাগরণ এবং শিব (Lord Mahadev) পুরাণের কাহিনি পাঠ করা উচিত ভক্তদের, এমনটাই জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা। এই বিশেষ দিনে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করতে পারেন। এর ফলে ভাগ্যোদয় হয় এবং পরিবারে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির আগমন ঘটে। রাত্রি জাগরণ করলে সমস্ত কষ্ট দূর হয়, পাশাপাশি মোক্ষ লাভ করা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 91: “বেদান্তবাদীদের মতো তোমরা হরিনাম কর, মায়ের নামগুণগান”

    Ramakrishna 91: “বেদান্তবাদীদের মতো তোমরা হরিনাম কর, মায়ের নামগুণগান”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    নবম পরিচ্ছেদ

    তস্মাদসক্তঃ সততং কার্যং কর্ম সমাচার

    অসক্তো হ্যাচরন্কর্ম পরমাপ্নোতি পুরুষঃ।।

    গীতা/১৯/

    পূর্বকথাশম্ভু মল্লিকের সহিত দানাদি কর্মকাণ্ডের কথা 

    কর্মযোগ (Kathamrita) বড় কঠিন। শাস্ত্রে যে-কর্ম করতে বলেছে, কালিকালে করা বড় কঠিন। অন্নগত প্রাণ। বেশি কর্ম চলে না। জ্বর হলে কবিরাজী চিকিৎসা করতে গেলে এদিকে রোগীর হয়ে যায়। বেশি দেরি সয় না। এখন ডি গুপ্ত! কলিযুগে ভক্তিযোগ, ভগবানের (Ramakrishna) নামগুণগান আর প্রার্থনা। ভক্তিযোগই যুগধর্ম। (ব্রাহ্মভক্তদের প্রতি) তোমাদেরও ভক্তিযোগ, তোমরা হরিনাম কর, মায়ের নামগুণগান কর, তোমরা ধন্য! তোমাদের ভাবটি বেশ। বেদান্তবাদীদের মতো তোমরা হরিনাম কর, মায়ের নামগুণগান কর, তোমার ধন্য! তোমাদের ভাবটি বেশ। বেদান্তবাদীদের মতো তোমরা জগৎকে স্বপ্নবৎ বল না। ওরূপ ব্রহ্মজ্ঞানী তোমরা নও, তোমরা ভক্ত। তোমরা ঈশ্বরকে ব্যক্তি (Person) বল, এও বেশ। তোমরা ভক্ত। ব্যাকুল হয়ে ডাকলে তাঁকে অবশ্য পাবে।    

    দশম পরিচ্ছেদ

    সুরেন্দ্রের বাড়ি নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে

    জাহাজ কয়লাঘাটে এইবার ফিরিয়া আসিল। সকলে নামিবার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। ঘরের বাহিরে আসিয়া দেখেন, কোজাগরের পূর্ণচন্দ্র হাসিতেছেন, ভাগীরথী-বক্ষ কৌমুদির লীলাভূমি হইয়াছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের(Ramakrishna) জন্য গাড়ি আনিতে দেওয়া হইল। কিয়ৎক্ষণ পরে মাস্টার ও দু-একটি ভক্তের সহিত ঠাকুর গাড়িতে উঠিলেন। কেশবের ভ্রাতৃপুত্র নন্দলালও গাড়িতে উঠিলেন, ঠাকুর সঙ্গে খানিকটা যাবেন (Kathamrita)।

    গাড়িতে সকলে বসিলে পর ঠাকুর (Ramakrishna) জিজ্ঞাসা করিলেন, কই তিনি কই–অর্থাৎ কেশব কই? দেখিতে দেখিতে কেশব একাকী আসিয়া উপস্থিত। মুখে হাসি! আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, কে কে এঁর সঙ্গে যাবে? সকলে গাড়িতে বসিলে পর, কেশব ভূমিষ্ঠ হইয়া ঠাকুরের পদধূলি গ্রহণ করিলেন। ঠাকুরও সস্নহে সম্ভাষণ করিয়া বিদায় দিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “কর্ম ত্যাগ করবে কেন? ঈশ্বরের চিন্তা, তাঁর নামগুণগান, নিত্যকর্ম—এসব করতে হবে”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 90: “কর্ম ত্যাগ করবে কেন? ঈশ্বরের চিন্তা, তাঁর নামগুণগান, নিত্যকর্ম—এসব করতে হবে”

    Ramakrishna 90: “কর্ম ত্যাগ করবে কেন? ঈশ্বরের চিন্তা, তাঁর নামগুণগান, নিত্যকর্ম—এসব করতে হবে”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    নবম পরিচ্ছেদ

    তস্মাদসক্তঃ সততং কার্যং কর্ম সমাচার

    অসক্তো হ্যাচরন্কর্ম পরমাপ্নোতি পুরুষঃ।।

    গীতা/১৯/

    কেশবাদি ব্রাহ্মদিগকে কর্মযোগ সমন্ধে উপদেশ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেশবাদি ভক্তের প্রতি)—তোমরা বল জগতের উপকার করা। জগৎ কি এতটুকু গা! আর তুমি কে, যে জগতের উপকার করবে? তাঁকে সাধনের দ্বারা সাক্ষাৎকার কর। তাঁকে (Ramakrishna) লাভ কর। তিনি শক্তি দিলে তবে সকলের হিত করতে পার। নচেৎ নয়।

    একজন ভক্ত—যতদিন না লাভ হয়, ততদিন সব কর্ম (Kathamrita) ত্যাগ করব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না; কর্ম ত্যাগ করবে কেন? ঈশ্বরের চিন্তা, তাঁর নামগুণগান, নিত্যকর্ম—এ-সব করতে হবে।

    ব্রাহ্মভক্ত—সংসারের কর্ম? বিষয়কর্ম?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হ্যাঁ, তাও করবে, সংসারযাত্রা জন্য যেটুকু দরকার। কিন্তু কেঁদে নির্জনে তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে হবে, যাতে ওই কর্মগুলি নিষ্কামভাবে করা যায়। আর বলবে, হে ঈশ্বর, আমার বিষয়কর্ম কমিয়ে দাও, কেন না ঠাকুর দেখছি যে, বেশি কর্ম জুটলে তোমায় ভুলে যাই। মনে করছি, নিষ্কামকর্ম করছি, কিন্তু সকাম হয়ে পড়ে হয়তো দান সদাব্রত বেশি করতে গিয়ে লোকমান্য হতে ইচ্ছা হয়ে পড়ে।

    পূর্বকথাশম্ভু মল্লিকের সহিত দানাদি কর্মকাণ্ডের কথা

    শম্ভু মল্লিকের হাসপাতাল, ডাক্তারখান, স্কুল, রাস্তা, পুস্করিণীর কথা বলেছিল। আমি বললাম (Kathamrita) যেটা পড়ল, না করলে নয়, সেটাই নিষ্কাম হয়ে করতে হয়। ইচ্ছা করে বেশি কাজ জড়ানো ভালো নয়—ঈশ্বরকে ভুলে যেতে হয়। কালীঘাটে দানই করতে লাগল; কালীদর্শন আর হলো না। (হাস্য) আগে জো-সো করে, ধাক্কাধুক্কি খেয়েও কালীদর্শন করতে হয়, তারপর দান যত কর আর না কর। ইচ্ছা হয় খুব কর। ঈশ্বরলাভের জন্যই কর্ম। শম্ভুকে তাই বললুম, যদি ঈশ্বর সাক্ষাৎকার হন, তাঁকে কি বলবে কতগুলো হাসপাতাল, ডিসস্পেন্সারি করে দাও? (হাস্য) ভক্ত কখনও তা বলে না বরং বলবে, ঠাকুর (Ramakrishna)! আমায় পাদপদ্মে স্থান দাও, নিজের সঙ্গে সর্বদা রাখ, পাদপদ্মে শুদ্ধাভক্তি দাও।

    আরও পড়ুনঃ “আমি কর্তা, আমি কর্তা—এই বোধ থেকেই যত দুঃখ, অশান্তি”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajrappa Chhinnamasta: উদ্ধত খড়্গ, ছিন্ন মস্তক! ভয়াল রূপের পিছনেও রয়েছে মাতৃরূপ

    Rajrappa Chhinnamasta: উদ্ধত খড়্গ, ছিন্ন মস্তক! ভয়াল রূপের পিছনেও রয়েছে মাতৃরূপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের অন্যতম প্রধান শক্তিপীঠ রাজরাপ্পা ছিন্নমস্তা মন্দির (Rajrappa Chhinnamasta)। দামোদর আর ভোরা বা ভৈরবী নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত এই দেবী ছিন্নমস্তা দশমহাবিদ্যার অন্যতম। রাজরাপ্পা নামটির পিছনেও এক লোককথা প্রচলিত আছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, “রাজা” নামের এক জনপ্রিয় স্থানীয় রাজার স্ত্রীর নাম ছিল “রুম্পা”। এই রাজা এবং রুম্পার নাম থেকেই নাম হয়েছে “রাজরাপ্পা”। এই মন্দিরের আরাধ্যা দেবী হলেন মা ছিন্নমস্তা। তাঁর দুই হাতের এক হাতে উদ্ধত খড়্গ এবং অপর হাতে তিনি ধারণ করে রয়েছেন তাঁর ছিন্ন মস্তক। তাঁর মুণ্ডবিহীন গলদেশ থেকে তিনটি ধারায় ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরছে। লোল জিহ্বায় তিনি সেই শোনিত ধারা পান করে চলেছেন। তাঁর কণ্ঠে নরমুণ্ড মালা। কাম ও রতির ওপরে দেবী দন্ডায়মান। তবে তাঁর এই ভয়াল রূপে ভয়ের চেয়েও বেশি করে ধরা পড়ে তাঁর মাতৃরূপের।

    কী সেই চমকপ্রদ লোককাহিনি? (Rajrappa Chhinnamasta)

    মায়ের এই রূপের পিছনেও রয়েছে এক চমকপ্রদ লোককাহিনি। কথিত, একদা ডাকিনী ও যোগিনীর সঙ্গে এক সরোবরে স্নান করছিলেন দেবী। সেই সময় ডাকিনী, যোগিনীর প্রচণ্ড ক্ষুধা পেলে তাঁদের ক্ষুধাতুর অবস্থা দেখে এবং অন্য কোথাও কোনও খাবারের সন্ধান করতে না পেরে বিচলিত হয়ে নিজেই নিজের মুণ্ডচ্ছেদ করেন। তাঁর মুণ্ডহীন গলদেশ থেকে যে রক্তের তিনটি ধারা নির্গত হয়, তা এসে পড়ে ডাকিনী, যোগিনী এবং স্বয়ং দেবীর মুখে। এভাবেই তিনি ডাকিনী, যোগিনীর ক্ষুধা নিবারণ করেন। এর থেকেই দেবীর মমতাময়ী মাতৃরূপের পরিচয় দেন দেবী। একদিকে দামোদর আর অন্যদিকে ভৈরবী নদীর সঙ্গমস্থলে এক অনুচ্চ টিলার উপর অবস্থিত এই দেবী ছিন্নমস্তা মন্দির।

    ৬০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন (Jharkhand)

    এখানকার এই ছিন্নমস্তা মন্দিরের সঠিক ইতিহাস জানা যায় না। তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই অভিমত, এই মন্দিরটি (Rajrappa Chhinnamasta) প্রায় ৬০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন। এখানে এই মন্দিরটি ছাড়াও রয়েছে মহাদেব ও দক্ষিণাকালীর মন্দির। এর কাছেই অষ্টমাতৃকা মন্দির। মায়ের ভৈরবরূপী শিবলিঙ্গটিও প্রকাণ্ড এবং সুউচ্চ। ইচ্ছে হলে নৌবিহার করাও যায় দামোদর নদের বুকে। আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অসাধারণ। আবার ফেরার পথে দেখে নেওয়া যায় রামগড়ের সুপ্রাচীন শিবমন্দিরটিও। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই শিবমন্দিরটির বহুলাংশই বর্তমানে বিনষ্ট হয়ে গেলেও যতটুকু অবশিষ্ট আছে সেটুকুই সেই অতীত দিনের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

    কীভাবে যাবেন? (Rajrappa Chhinnamasta)

    যাতায়াত–ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ৬৮ কিমি দূরে এই স্থান। রাঁচি থেকে বাসে আসতে হবে রামগড়। রামগড় থেকে অটো বা গাড়িতে আসতে হবে রাজরাপ্পা। আবার রাঁচি থেকে গাড়ি নিয়ে এসে আবার রাঁচি ফিরে গিয়ে রাত্রিবাস করা যায় রাঁচিতেই। রাজরাপ্পায় থাকার ব্যবস্থা অত্যন্ত অপ্রতুল। কাজেই রাঁচি থেকে ঘুরে নেওয়াই ভালো। রাঁচিতে থাকা খাওয়া, গাড়ি অথবা প্যাকেজ ট্যুরে রাজরাপ্পা (Jharkhand) ঘুরে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০৯৮৩১৩৯০৫২৪ অথবা ০৭৭৩৯০৮৯০৫২ নম্বরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Tipu Sultan: কাফেরদের রক্তেই জ্বলজ্বল করে তাঁর অস্ত্র! এমনটাই তলোয়ারের হাতলে লিখেছিলেন টিপু

    Tipu Sultan: কাফেরদের রক্তেই জ্বলজ্বল করে তাঁর অস্ত্র! এমনটাই তলোয়ারের হাতলে লিখেছিলেন টিপু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আমার তলোয়ার কাফেরদের রক্তের জন্যই জ্বলজ্বল করছে’’, এমন কথা বলেছিলেন টিপু সুলতান (Tipu Sultan)। শুধু বলা নয়, নিজের তলোয়ারের হাতলেও এই কথা খোদাই করে রেখেছিলেন টিপু, যিনি একাধিক হিন্দু হত্যার নিষ্ঠুর খলনায়ক বলে বিবেচিত হন। কাফের বা বিধর্মী হিন্দুদের প্রতি তাঁর নৃশংসতার অসংখ্য নজির রয়েছে। সাধারণভাবে আঠারো শতকের শেষের দিকে মহীশূরের শাসক টিপু সুলতানকে বামপন্থী ইতিহাসবিদরা সবসময়ই একজন মহান বীর হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি নাকি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন বলেও প্রচার করা হয়। তবে আসল সত্য হল, তিনি ছিলেন একজন বর্বর শাসক এবং নিপীড়ন করাই ছিল তাঁর কাজ। তৎকালীন ভারতবর্ষের কর্নাটক সমেত মহীশূর এবং মালাবার অঞ্চলে টিপু সুলতান ব্যাপকভাবে ধর্মান্তকরণের কাজ শুরু করেন। জানা যায়, তলোয়ারের জোরে তিনি ৪ লাখেরও বেশি হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করেন।

    সাংবাদিক সুশান্ত সিন্হার একটি ইউটিউব ভিডিও (Tipu Sultan) ভাইরাল হয়েছে 

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘টাইমস নাও নব ভারতে’র এডিটর সুশান্ত সিন্হার একটি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে তিনি টিপু সুলতানের (Tipu Sultan) নিষ্ঠুরতা এবং নৃশংসতাকে তুলে ধরেছেন। এক্ষেত্রে বেশ কতগুলি ঐতিহাসিক বইয়ের উল্লেখ করেছেন সুশান্ত সিন্হা যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ‘মালাবার ম্যানুয়াল’, ‘মহীশূর গেজেটিয়ার’ এবং ‘কেট ব্রিটলব্যাঙ্ক’ ও ‘দ্য লাইফ অফ টিপু সুলতান’। উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই ভিডিওতে সুশান্ত সিন্হা তথ্য ও প্রমাণ সমেত তুলে ধরেছেন যে কীভাবে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করতেন টিপু। এনিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন সুশান্ত সিন্হা, যা বিভিন্ন ইতিহাসবিদ সমেত ব্রিটিশ আধিকারিকরাও মেনে নিয়েছেন। এখানেই সুশান্ত সিন্হা উল্লেখ করেন যে টিপু সুলতানের তলোয়ারের হাতলে লেখা ছিল, ‘‘আমার তলোয়ার কাফেরদের রক্তের জন্যই জ্বলজ্বল করছে।’’

    টিপু সুলতানের (Tipu Sultan) আতঙ্কে ৩০ হাজারেরও বেশি হিন্দু ত্রাভাঙ্কোরে আশ্রয় নিয়েছিলেন 

    তাঁর এই ধরনের মনোভাবই প্রতিফলন ঘটায় ঠিক কতটা নৃশংস তিনি ছিলেন! হিন্দুদের প্রতি ঠিক কী মনোভাব রাখতেন টিপু! কতটা ধর্মান্ধ তিনি ছিলেন! তবে বামপন্থী সমেত বেশ কিছু রাজনৈতিক দল তোষণের রাজনীতির কারণে এই সমস্ত তথ্যগুলিকে বিকৃত করে এবং জনগণের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ানোর উদ্দেশ্যে টিপু সুলতানকে এক মহান শাসক হিসেবে আখ্যায়িত করে। টিপু সুলতান (Tipu Sultan) কাফের অর্থাৎ হিন্দু এবং খ্রিস্টানদের ইসলামের ধর্মান্তরিত করার জন্য বেশ কতগুলো নৃশংস পদ্ধতি নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, জনগণের মধ্যে জোরপূর্বক খতনা করা অর্থাৎ যাকে পোশাকি ভাষায় বলে মুসলমানীকরণ, হিন্দুদের জোর করে গরুর মাংস খাওয়াতেন, এর পাশাপাশি মন্দির ও গির্জাগুলিতে আক্রমণও চালাতেন টিপু। তৎকালীন দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক রাজ্যের মহীশূর, মালাবার অঞ্চলের ব্রাহ্মণ, নায়ার সমেত অন্যান্য বেশিরভাগ শ্রেণির প্রতিই তিনি ছিলেন অত্যন্ত নৃশংস। তিনি  হিন্দু অভিজাতদের অপহরণ করতেন বলেও অভিযোগ ওঠে। শুধুমাত্র টিপু সুলতানের আতঙ্কে, অত্যাচারে সন্ত্রস্ত হয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি হিন্দু ত্রিবাঙ্কুরে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

    টিপুর এমন অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন রাজা রাম বর্মা

    তবে টিপুর এমন অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৎকালীন ভারতবর্ষের এগিয়ে এসেছিলেন বেশ কিছু হিন্দু রাজা। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন দক্ষিণ মালাবারের রাজা রাম বর্মা। টিপু সুলতানের অত্যাচারের (Brutality of Tipu Sultan) বিরুদ্ধে তিনি একটি বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন বলে জানা যায়। পরবর্তীকালে কোদাভার হিন্দুরাও বিদ্রোহ ঘোষণা করে টিপুর বিরুদ্ধে। এখানেও টিপু বিদ্রোহ দমন করে হিন্দুদের ইসলাম ধর্মে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করেন। যার সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারেরও বেশি। এর পাশাপাশি নারী-শিশু সহ হাজার হাজার হিন্দুকে হত্যা করেছিলেন টিপু সুলতান।

    কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার টিপু সুলতান জয়ন্তীও পালন করেছে  

    নিজের দখলে থাকা অঞ্চলগুলিকে ইসলামীকরণের (Brutality of Tipu Sultan) উদ্দেশ্যে অসংখ্য হিন্দু মন্দিরও টিপু ধ্বংস করেছিলেন বলে জানা যায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে শ্রী রঙ্গনাথ স্বামী মন্দির। কেরল রাজ্যের গুরুভায়ুর মন্দির তিনি লুট করেন বলে জানা যায়, কান্নুরের থালিপারাম্বা মন্দিরকেও ধ্বংস করেছিলেন টিপু। হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, মন্দির ধ্বংস, ধর্মান্তকরণ সমেত অন্যান্য বর্বর কাজ করে খলনায়ক হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন টিপু সুলতান, তারপরেও শুধুমাত্র তোষণের রাজনীতির কারণেই স্কুলের পাঠ্যপুস্তকগুলিতে তাঁকে নায়ক হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার টিপু সুলতান জয়ন্তীও পালন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vastu Tips For Home: কোন দিকে ঠাকুরঘর করলে সংসারে শান্তি আসে? কী বলছে বাস্তুশাস্ত্র?

    Vastu Tips For Home: কোন দিকে ঠাকুরঘর করলে সংসারে শান্তি আসে? কী বলছে বাস্তুশাস্ত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের সবার জীবনেই বাস্তুশাস্ত্রের (Vastu shastra) প্রচুর অবদান রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে যাঁরা কিছু জানেন না, তাঁরা হয়ত অবৈজ্ঞানিক বলে উড়িয়ে দেবেন। কিন্তু আদতে এই বাস্তুশাস্ত্রের নিজস্ব কিছু যুক্তি আছে যা অত্যন্ত কার্যকারী। আর বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী ঠাকুর ঘর সঠিক দিকে হওয়া খুবই জরুরি। বাস্তুশাস্ত্রের (Vastu Tips For Home) সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বিজ্ঞানের। বাস্তুশাস্ত্র মতে ঠাকুরঘর উত্তর–পূর্ব কোণ অর্থাৎ যাকে আমরা ঈশান কোণ বলি সেখানেই হওয়া উচিত।  

    ঈশান কোণে ঠাকুরঘর রাখার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী? 

    বাস্তুশাস্ত্র মতে, (Vastu Tips For Home) ওই দিককার অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন বৃহস্পতি। ফলত, পুজোপাঠের জন্য বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ঘর বানানো সবচেয়ে সঠিক। আর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আমাদের দশ দিকের প্রধান দিক হলো উত্তর ও পূর্ব। উত্তর হলো পৃথিবীর উত্তর মেরু অর্থাৎ যেখান থেকে চৌম্বকীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়ে বাহিত হয় দক্ষিণ দিকে। তবে আমরা এই ম্যাগনেটিক ফিল্ডকে দেখতে পাই না, ঠিক যেভাবে আমরা বিদ্যুৎকেও দেখতে পাই না। কিন্তু বিদ্যুৎ বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। আমাদের এই ম্যাগনেটিক এনার্জি সর্বদা উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পূর্ব দিক হল যেদিক থেকে সূর্যদেব উদিত হন এবং পশ্চিম দিকে অস্ত যান। এই পূর্ব দিক হল সোলার এনার্জি বা সৌর শক্তির উৎস। ফলে এই দুটি এনার্জি উত্তর ও পূর্ব কোণ থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ – পশ্চিম কোণে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই বৈজ্ঞানিক মতেই হোক বা বাস্তুশাস্ত্র মতে ঈশান কোণেই ঠাকুর ঘর করা উচিত।

    তবে বাস্তুশাস্ত্র (Vastu shastra) না জানা মানুষের অনেকের কাছে এটা হয়তো অবৈজ্ঞানিক। কিন্তু বাস্তুর (Vastu Tips For Home) আবার নিজস্ব কিছু যুক্তি আছে, যেগুলি অত্যন্ত জরুরি। কারণ জীবনের নানা ওঠাপড়া, সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ, সার্বিক উন্নতি— সব কিছুর জন্য আমরা নিজের নিজের দেবতার উপর নির্ভরশীল। তার জন্যই বাড়িতে ঠাকুরঘর বানানো অতি আবশ্যক এবং সেই ঠাকুরঘর বাড়ির সঠিক দিকে থাকা উচিত। কারণ সেটা ভুল হলে জীবনে তার কুপ্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। আর সেটা সঠিক হলে সাংসারিক জীবনে সুখশান্তি আসার সম্ভাবনা থাকে ও মানসিক দিকেও শান্তি থাকে।  

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ‘টপস’ এবং ‘খেলো ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের প্রশংসা ব্রোঞ্জ জয়ী মনু ভাকেরের

    কী করবেন, কী করবেন না? (Vastu Tips For Home)  

    ঠাকুর ঘর সবসময় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সুগন্ধি ধুপ ও ফুল দিয়ে পুজো করতে হবে। যেহেতু ঈশান কোণ পজিটিভ এনার্জিকে সৃষ্টি করে, তাই পুজোপাঠের সময় পুরো বাড়ি পজিটিভ শক্তি দ্বারা ভরে থাকে। আর বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি থাকলে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। তবে বেডরুম বা শোওয়ার ঘরে ঠাকুর রাখা একদম ঠিক নয়। কিন্তু জায়গা একান্তই না থাকলে শোওয়ার ঘরে ঠাকুর রাখলেও, রাতে সেই জায়গায় পর্দা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর বাড়ির ঈশান কোণে কখনওই বাথরুম, কিচেন, সিঁড়ি করবেন না, তার কারণ হল এইগুলি সবসময়ই নেগেটিভ এনার্জি সৃষ্টি করে। আর নেগেটিভ এনার্জি মানুষের শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পারে না।

      
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 89: “আমি কর্তা, আমি কর্তা—এই বোধ থেকেই যত দুঃখ, অশান্তি”

    Ramakrishna 89: “আমি কর্তা, আমি কর্তা—এই বোধ থেকেই যত দুঃখ, অশান্তি”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    পিতাহসি লোকস্য চরাচরস্য ত্বমস্য পূজ্যশ্চ গুরুর্গরীয়ান্

    ত্বৎসমোহস্ত্যভ্যধিকঃ কুতোহন্যো, লোকত্রয়েহপ্যপ্রতিমপ্রভাব।।

    গীতা১১/৪৩/

    পূর্বকথাভাবচক্ষে হালদারপুকুর দর্শন (Ramakrishna)

    ও-দেশে হালদার-পুকুর বলে (Kathamrita) একটা পুকুর আছে। পাড়ে রোজ সকালবেলা বাহ্যে করে রাখত। যারা সকালবেলায় আসে, খুব গালাগাল দেয়। আবার তার পরদিন সেইরূপ। বাহ্যে আর থামে না (সকলের হাস্য) লোকে কোম্পানিকে জানালে। তারা একটা চাপরাসী পাঠিয়ে দিলে। সে যখন একটা কাগজ মেরে দিলে, বাহ্যে করিও না তখন সব বন্ধ!(সকলের হাস্য)

    লোকশিক্ষা দেবে তার চাপরাস চাই। না হলে হাসির কথা হয়ে পড়ে। আপনারই হয় না, আবার অন্যলোক। কানা কানাকে পথ দেখিয়ে যাচ্ছে। (হাস্য) হিতে-বিপরীতে। ভগবানলাভ হলে অর্ন্তদৃষ্টি হয়, কার কি রোগ বোঝা যায়। উপদেশ দেওয়া যায়।

    অহংকারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহম্ইতি মন্যতে

    আদেশ না থাকলে আমি লোকশিক্ষা (Kathamrita) দিচ্ছি এই অহংকার হয়। অহংকার হয় অজ্ঞানে। অজ্ঞানে বোধ হয়, আমি কর্তা। ঈশ্বর (Kathamrita) কর্তা, ঈশ্বর সব করছেন, আমি কিছু করছি না—এ-বোধ হলে তো সে জীবন্মুক্ত। আমি কর্তা, আমি কর্তা—এই বোধ থেকেই যত দুঃখ, অশান্তি।

    নবম পরিচ্ছেদ

    তস্মাদসক্তঃ সততং কার্যং কর্ম সমাচার।

    অসক্তো হ্যাচরন্‌ কর্ম পরমাপ্নোতি পুরুষঃ।।

    গীতা—৩/১৯/

    কেশবাদি ব্রাহ্মদিগকে কর্মযোগ সমন্ধে উপদেশ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেশবাদি ভক্তের প্রতি)—তোমরা বল জগতের উপকার করা। জগৎ কি এতটুকু গা! আর তুমি কে, যে জগতের উপকার করবে? তাঁকে সাধনের দ্বারা সাক্ষাৎকার কর। তাঁকে (Ramakrishna) লাভ কর। তিনি শক্তি দিলে তবে সকলের হিত করতে পার। নচেৎ নয়।

    একজন ভক্ত—যতদিন না লাভ হয়, ততদিন সব কর্ম (Kathamrita) ত্যাগ করব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না; কর্ম ত্যাগ করবে কেন? ঈশ্বরের চিন্তা, তাঁর নামগুণগান, নিত্যকর্ম—এ-সব করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 88: “কলকাতার হুজুগ তো জানো! যতক্ষণ কাঠে জ্বাল, দুধ ফোঁস করে ফোলে”

    Ramakrishna 88: “কলকাতার হুজুগ তো জানো! যতক্ষণ কাঠে জ্বাল, দুধ ফোঁস করে ফোলে”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    পিতাহসি লোকস্য চরাচরস্য ত্বমস্য পূজ্যশ্চ গুরুর্গরীয়ান্

    ত্বৎসমোহস্ত্যভ্যধিকঃ কুতোহন্যো, লোকত্রয়েহপ্যপ্রতিমপ্রভাব।।

    গীতা১১/৪৩/

    কেশবকে শিক্ষাগুরুগিরি ব্রাহ্মসমাজেগুরু এক সচ্চিদানন্দ

    সকলে আনন্দ করিতেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) কেশবকে বলিতেছেন, তুমি প্রকৃতি দেখে শিষ্য কর না, তাই এইরূপ ভেঙে ভেঙে যায়।

    মানুষগুলি দেখতে সব একরকম, কিন্তু ভিন্ন প্রকৃতি। কারু ভিতর সত্ত্বগুণ বেশি, কারু রজোগুণ বেশি, কারু তমোগুণ। পুলিগুলি দেখতে সব একরকম। কিন্তু কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর। (সকলের হাস্য)

    আমার কি ভাব জানো? আমি খাই-দাই, আর মা সব জানে। আমার তিন কথাতে গায়ে কাঁটা বেঁধে গুরু, কর্তা আর বাবা।

    গুরু (Ramakrishna) এক সচ্চিদ্দানন্দ। তিনিই শিক্ষা দিবেন। আমার সন্তানভাব। মানুষ গুরু মেলে লাখ লাখ। সকলেই গুরু হতে চায়। শিষ্য কে হতে চায়?

    লোকশিক্ষা (Kathamrita) দেওয়া বড় কঠিন। যদি তিনি সাক্ষাৎকার হন আর আদেশ দেন, তাহলে হতে পারে। নারদ শুকদেবাদির আদেশ হয়েছিল। শঙ্করের আদেশ হয়েছিল। আদেশ না হলে কে তোমার কথা শুনবে? কলকাতার হুজুগ তো জানো! যতক্ষণ কাঠে জ্বাল, দুধ ফোঁস করে ফোলে। কাঠ টেনে নিলে কোথাও কিছু নাই। কলকাতার লোক হুজুগে। এই এখানটায় কুয়া খুঁড়ছে।–বলে জল চাই। সেখানে পাথর হল তো ছেড়ে দিলে! আবার এক জায়গায় খুঁড়তে আরম্ভ করলে। সেখানে বালি মিলে গেল; ছেড়ে দিলে! আর-এক জায়গায় খুঁড়তে আরম্ভ হল! এইরকম!

    আবার মনে-মনে আদেশ হলে হয় না। তিনি (Ramakrishna) সত্য-সত্যই সাক্ষাৎকার হন, আর কথা কন। তখন আদেশ হতে পারে। সে-কথা জোর কত? পর্বত টলে যায়। শুধু লেকচার? দিন কতক লোকে শুনবে, তারপর ভুলে যাবে। কথা (Kathamrita) অনুসারে সে কাজ করবে না।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share