Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amaranth Yatra: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    Amaranth Yatra: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ জুন শুরু হবে এ বছরের অমরনাথ যাত্রা (Amaranth Yatra)। শেষ হবে ১৯ অগাস্ট। হিমালয়ের বুকে একটি পাহাড়ে গুহায় তুষারবিন্দু জমে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় শিবলিঙ্গ। পবিত্র সেই লিঙ্গ দর্শনেই ফি বছর যান দেশ-বিদেশের লাখ লাখ পুণ্যার্থী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অমরনাথের উচ্চতা ৩ হাজার ৮৮৮ মিটার।

    পথের ক্লান্তি ভুলে (Amaranth Yatra)

    অমরনাথ যাত্রার বেসক্যাম্প জম্মুতে। যদিও দেবদর্শনে যেতে হবে কাশ্মীরে। পহেলগাঁও থেকে শুরু হয় আসল ট্রেক (Amaranth Yatra)। পাহাড়ি এই পথের প্রতিটি বাঁকে ওত পেতে রয়েছে বিপদ। সেই বিপদ উপেক্ষা করেই প্রায় ৪৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন ভক্তরা। এই পথেই পুণ্যার্থীদের বিশ্রামের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে জায়গায় জায়গায়। চন্দনওয়াড়ি, শেষনাগ এবং পঞ্চতরণীর শোভা ভুলিয়ে দেয় পথের ক্লান্তি।

    পৌরাণিক আখ্যান

    একটি বড় লিঙ্গের পাশাপাশি গুহায় রয়েছে তুষারে তৈরি দুটি ছোট লিঙ্গও। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দুটির একটি দেবী পার্বতীর, অন্যটি গণেশের। পুরাণ মতে, সৃষ্টি রহস্য ব্যাখ্যা করতে শিব পার্বতীকে নিয়ে যান অমরনাথ গুহায়। বাহন নন্দীকে তিনি রেখে আসেন পহেলগাঁওতে। চন্দনওয়াড়িতে শিব জটামুক্ত করেন চন্দ্রকে। শেষনাগে রাখেন তাঁর মাথায় থাকা সাপকে। পঞ্চতরণীতে ছেড়ে দেন ক্ষিত্যাদি পঞ্চভূতকে। গুহায় প্রবেশের আগে বাইরে রেখে আসেন পুত্র গণেশকে।

    আরও পড়ুন: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠির কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    অমরনাথ গুহায় পৌঁছানো যায় দুই পথে। একটি পহেলগাঁও দিয়ে। অন্যটি শর্টকাট রুটে, বালতাল হয়ে। এই পথে গুহার দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। বালতাল রুটটি তুলনামূলকভাবে খাড়াই পথ। তাই এই পথে অমরনাথ যাত্রা অনেক বেশি কষ্টকর। তবে পুণ্যার্থীরা যাতে নিরুপদ্রবে গুহায় পৌঁছতে পারেন, সেজন্য স্থানীয়দের পাশাপাশি তৎপর নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনও। অমরনাথ যাত্রার যাবতীয় ব্যবস্থা করেন অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড। ২০০০ সালে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আইন করে এই বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের চেয়ারম্যান জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল।

    অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিতে গেলে প্রয়োজন হয় পুণ্যার্থীর নিজের রাজ্যের হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের দেওয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। ওয়ান এমবি-র বেশি হবে না এমন একটি ছবি। পিডিএফ ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। ১৩ থেকে ১৭ বছরের ছেলেমেয়েরা এই যাত্রায় অংশ নিতে পারবে না। গর্ভকাল ছমাস হয়ে গেলেও কোনও গর্ভবতী মহিলা এই যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। যাত্রার সময় সঙ্গে রাখতে হবে অরিজিনাল ফোটো আইডি এবং মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (Amaranth Yatra)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 59: “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    Ramakrishna 59: “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    অনেকদিন পরে কাপ্তেনের সঙ্গে সৌরীন্দ্র ঠাকুরের বাড়িতে গিছলাম। তাকে দেখে বললাম, তোমাকে রাজা-টাজা বলতে পারব না, কেননা, সেটা মিথ্যাকথা হবে। আমার সঙ্গে খানিকটা কথা কইলে। তারপর দেখলাম, সাহেব-টাহেব আনাগোনা করতে লাগল। রজোগুণী লোক, নানা কাজ লয়ে আছে। যতীন্দ্রকে খবর পাঠানো হল। সে বলে পাঠালে, আমার গলায় বেদনা হয়েছে।

    সেই উন্মাদ (Ramakrishna) অবস্থায় একদিন বরানগরে ঘাটে দেখলাম, জয় মুখুজ্জে জপ করছে, কিন্তু অন্যমনস্ক! তখন কাছে গিয়ে দুই চাপড় দিলাম।

    একদিন রাসমণি ঠাকুরবাড়িতে এসেছে। কালীঘরে এল। পূজার সময় আসত আর দুই-একটা গান গাইতে বলত। গান গাচ্ছি, দেখি যে অন্যমনস্ক হয়ে ফুল বাচ্ছে। অমনি দুই চাপড়। তখন ব্যস্তসমস্ত হয়ে হাতজোড় করে রইল।

    হলধারীকে বললাম, দাদা একি স্বভাব হল! কি উপায় করি, তখন মাকে ডাকতে ডাকতে ও-স্বভাব গেল।

    মথুরের সঙ্গে তীর্থ ১৮৬৮—কাশীতে বিষয় কথা শ্রবণ ঠাকুরের রোদন

    ওই অবস্থায় ঈশ্বরকথা (Ramakrishna) বই আর কিছু ভাল লাগে না। বিষয়ে কথা হচ্ছে শুনলে বসে বসে কাঁদতাম। মথুরবাবু যখন সঙ্গে করে তীর্থে লয়ে গেলে, তখন কাশীতে রাজাবাবুর বাড়িতে কয়দিন আমরা ছিলাম। মথুরাবাবুর সঙ্গে বৈঠকখানায় বসে আছি, রাজাবাবুরাও বসে আছে। দেখি তারা বিষয়ের কথা কইছে। এত টাকা লোকসান হয়েছে—এই সব কথা। আমি কাঁদতে লাগলাম, বললাম, মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম, তীর্থ করতে এসেও সেই কামিনী-কাঞ্চনের কথা। কিন্তু সেখানে (দক্ষিণেশ্বরে) তো বিষয়ের কথা শুনতে হয় নাই।

    ঠাকুরের ভক্তদের, বিশেষঃ নরেন্দ্রকে, একটু বিশ্রাম করিতে বলিলেন। নিজেও ছোট খাটটিতে একটু বিশ্রাম করিতে গেলেন।

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 58: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    Ramakrishna 58: তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ?

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    আমায় বলেছিল, পৈতেটা ফেললে কেন? যখন আমার এই অবস্থা হল, তখন আশ্বিনের ঝড়ের মতো একটা কি এসে কোথায় কি উড়িয়ে লয়ে গেল! আগেকার চিহ্ন কিছুই রইল না। হুঁশ নাই! কাপড় পড়ে যাচ্ছে, তা পৈতে থাকবে কেমন করে! আমি বললাম, তোমার একবার উন্মাদ (Ramakrishna) হয়, তাহলে তুমি বোঝ!

    তাই হল! তার নিজের উন্মাদ হল। তখন সে কেবল ওঁ ওঁ বলত আর একঘরে চুপ করে বসে থাকত। সকলে মাথা গরম হয়েছে বলে কবিরাজ ডাকলে। নাটাগড়ের রাম কবিরাজ এল। কৃষ্ণকিশোর তাকে বললে, ওগো আমার রোগ আরাম কর, কিন্তু দেখো, যেন আমার ওঁকারটি আরাম করো না। (সকলের হাস্য)

    একদিন গিয়ে দেখি, বসে ভাবছে (Ramakrishna)। জিজ্ঞাসা করলাম, কি হয়েছে? বললে টেক্সোয়ালা এসেছিল—তাই ভাবছি। বলেছে টাকা না দিলে ঘটি-বাটি বেচে লবে। আমি বললাম, কি হবে ভেবে? না হয় ঘটি-বাটি লয়ে যাবে। যদি বেঁধে লয়ে যায় তোমাকে তো লয়ে যেতে পারবে না। তুমি তো ‘খ’ গো! (নরেন্দ্রাদির হাস্য) কৃষ্ণকিশোর বলত, আমি আকাশবৎ। আধাত্ম পড়ত কিনা। মাঝে মাঝে তুমি খ বলে, ঠাট্টা করতাম। হেসে বললাম, তুমি খ টেক্স তোমাকে তো টানতে পারবে না।

    উন্মাদ অবস্থায় লোককে ঠিক ঠিক কথা, হক কথা, বলতু! কারুকে মানতাম না। বড়লোক দেখালে ভয় হত না।

    যদু মল্লিকের বাগানে যতীন্দ্র এসেছিল। আমিও সেখানে ছিলাম। আমি তাকে বললাম, কর্তব্য কি? ঈশ্বরচিন্তা করাই আমদের কর্তব্য কি না? যতীন্দ্র বললে, আমরা সংসারী লোক। আমাদের কি আর মুক্তি আছে! রাজা যুধিষ্ঠিরই নরক দর্শন করেছিলেন। তখন আমার বড় রাগ হল। বললাম, তুমি কি রকম লোক গা! যুধিষ্ঠিরের কেবল নরকদর্শনই মনে রেখেছ? যুধিষ্ঠিরের সত্যকথা ক্ষমা, ধৈর্য, বিবেক, বৈরাগ্য, ঈশ্বরের (Ramakrishna) ভক্তি—এ-সব কিছু মনে হয় না। আর কত কি বলতে যাচ্ছিলাম। হৃদে আমার মুখ চেপে ধরলে। যতীন্দ্র একটু পরেই আমার একটি কাজ আছে বলে চলে গেল।  

    আরও পড়ুনঃ “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • The Rise Of Wokeism: জাগরণবাদের উত্থান এবং সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদ, কী বললেন নন্দকুমার?

    The Rise Of Wokeism: জাগরণবাদের উত্থান এবং সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদ, কী বললেন নন্দকুমার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই দানা বাঁধছে ভারত-বিরোধী আন্দোলন। এমতাবস্থায় ভারত-মুখী চিন্তাভাবনার প্রসার এবং দেশপ্রেমের গোড়ায় জল দিতে উদ্যোগী হল চেন্নাইয়ের ‘ভিজিল’ নামে একটি সংস্থা (The Rise Of Wokeism)। এরাই জাগরণবাদ ও সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদের প্রবণতা সম্পর্কে বিশিষ্ট বক্তাদের আলোচনার আয়োজন করেছিল।

    ‘ভিজিলে’র উদ্দেশ্য

    ‘ভিজিলে’র উদ্দেশ্য হল, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ক্রমাগত ভারত-বিরোধী প্রচার চলছে, তা প্রতিহত করা। এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা আরএসএস মতাদর্শী জে নন্দকুমার। কেরলের পান্ডালম থেকে আসা নন্দকুমার সে রাজ্যে আব্রাহামিক ধর্মের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘কেশরী’ এবং ‘প্রাগ্য প্রভার’ জাতীয় আহ্বায়ক হিসেবেও দেশজুড়ে হিন্দুত্বের প্রসারে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি।

    নন্দকুমারের উল্লেখযোগ্য় গ্রন্থ

    তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে কয়েকটি হল ‘স্ব: স্ট্রাগল ফর ন্যাশনাল সেল্ফহুড পাস্ট’, ‘প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার’, ‘হিন্দুত্ব ফর দ্য চেঞ্জিং টাইমস’, ‘কনটুরস অফ হিন্দু রাষ্ট্র’। এই বইগুলিতে ভারতীয় সংস্কৃতির পরিচয় সম্পর্কে বিশদে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে (The Rise Of Wokeism) নন্দকুমারের উপস্থিতি এবং বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি কেরলের মালাবার এলাকায় বৃটিশ আমলে মোপলা মুসলমানদের দ্বারা হিন্দুদের যে গণহত্যা হয়েছিল, তারও উল্লেখ করেন। বর্তমানে ভারতে আদর্শগত যে যুদ্ধ চলছে, তার ওপরও আলোকপাত করেন নন্দকুমার।

    কর্মক্ষেত্রে যে জাগরণবাদের প্রয়োজন রয়েছে, একাধিক উদাহরণ দিয়ে তিনি তা বুঝিয়ে দেন। জাগরণবাদের ম্যানিফেস্টেশন নিয়েও আলোকপাত করেন তিনি। কীভাবে স্কুলে ছোট বাচ্চাদের তাদের নিজস্ব সর্বনাম (হি না শি) দাবি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং কীভাবে জাগরণ তত্ত্বটি প্রমাণ করে যে লিঙ্গ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে, তারও উল্লেখ করেন তিনি।

    আর পড়ুন: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি, অমলিন সংবিধানের গায়ে ইন্দিরার ‘কলঙ্কে’র স্মৃতি

    জেগে ওঠা এবং সচেতন হওয়ার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তাও স্পষ্ট হয়ে ওঠে নন্দকুমারের ভাষণে। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে উপনিষদের এবং স্বামী বিবেকানন্দের বাণী “উত্তিষ্ঠত, জাগ্রত, প্রাপ্য বরান্নিবোধত” (ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না) বাক্যবন্ধেরও উল্লেখ করেন। ক্ল্যাসিক্যাল মার্ক্সবাদের ব্যর্থতা থেকেই যে জাগণরবাদের উৎপত্তি, তাও জানিয়ে দেন নন্দকুমার। তিনি বলেন, “কমিউনিজম ধরাছোঁওয়ার বাইরে চলে যাওয়ায় এর প্রবক্তারা তাদের ধারণাগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নয়া পথের সন্ধান করেছিল। এ থেকে কালচারাল মার্ক্সবাদের জন্ম হয়েছিল, যেটা শ্রমিক শ্রেণি থেকে শিফ্ট করেছিল বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্রদের কাছে।” তার পরেই তিনি দেখান, কীভাবে তা ধীরে ধীরে পথ প্রশস্ত করেছিল জাগরণবাদের। তাঁর মতে, যাঁরা ট্র্যাডিশনাল ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সামাজিক ঐক্যকে মূল্য দেন, তাঁরা জেগে উঠুন, ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে সরব হোন এবং ভারতীয় সংস্কৃতি বাঁচাতে উদ্যোগী হোন (The Rise Of Wokeism)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 57: “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    Ramakrishna 57: “সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে, অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে!”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্রাদি ভক্তের প্রতি—আমার এই অবস্থার পর কেবল ঈশ্বরের কথা শুনিবার জন্য ব্যাকুলতা হত। কোথায় ভগবত, কোথায় আধাত্ম্য, কোথায় মহাভারত খুঁজে বেড়াতাম। এঁড়েদার কৃষ্ণকিশোরের কাছে আধ্যাত্ম শুনতে যেতাম।

    কৃষ্ণকিশোরের কি বিশ্বাস! বৃন্দাবনে গিছিল, সেখানে একদিন জলতৃষ্ণা পেয়েছিল। কুয়ার কাছে গিয়ে দেখে, একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। জিজ্ঞাসা করাতে সে বললে, আমি নীচ জাতি, আপনি ব্রাহ্মণ; কেমন করে আপনার জল তুলে দেব? কৃষ্ণকিশোর বললে, তুই বল শিব। শিব শিব বললেই তুই শুদ্ধ হয়ে যাবি। সে শিব শিব বলে জল তুলে দিলে। অমন আচারী ব্রাহ্মণ সেই জল খেলে! কি বিশ্বাস!

    এঁড়েদার ঘাটে একটি সাধু এসেছিল। আমরা একদিন দেখতে যাব ভাবলুম। আমি কালীবাড়িতে হলধারীকে বললাম, কৃষ্ণকিশোর আর আমি সাধু দেখতে যাব। তুমি যাবে? হলধারী বললে, একটা মাটির খাঁচা দেখতে গিয়ে কি হবে? হলধারী গীতা-বেদান্ত পড়ে কি না! তাই সাধুকে বললে মাটির খাঁচা। কৃষ্ণকিশোরকে গিয়ে আমি ওই-কথা বললাম। সে মহা রেগে গেল। আর বললে, কি! হলধারী এমন কথা বলেছে? যে ঈশ্বর (Ramakrishna) চিন্তা করে, যে রাম চিন্তা করে, আর সেইজন্য সর্বত্যাগ করেছে, তার দেহ মাটির খাঁচা। সে জানে না যে, ভক্তের দেহ চিন্ময়। এত রাগ-কালীবাড়িতে ফুল তুলতে আসত, হলধারীর সঙ্গে দেখা হলে মুখ ফিরিয়ে নিত! কথা কইবে না!

    আমায় বলেছিল, পৈতেটা ফেললে কেন? যখন আমার এই অবস্থা হল, তখন আশ্বিনের ঝড়ের মতো একটা কি এসে কোথায় কি উড়িয়ে লয়ে গেল! আগেকার চিহ্ন কিছুই রইল না। হুঁশ নাই! কাপড় পড়ে যাচ্ছে, তা পৈতে থাকবে কেমন করে! আমি বললাম, তোমার একবার উন্মাদ হয়, তাহলে তুমি বোঝ!

    হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 56: হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    Ramakrishna 56: হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এসব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    গুরুশিষ্য-সংবাদ—গুহ্য কথা

    সাত্ত্বিক ও রাজসিক জ্ঞান

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঈশ্বরলাভ করলে তাঁর বাহিরের ঐশ্বর্য, তাঁর জগতের ঐশ্বর্য ভুল হয়ে যায়; তাঁকে দেখলে তাঁর ঐশ্বর্য মনে থাকে না। ঈশ্বরের আনন্দ মগ্ন হলে ভক্তের আর হিসাব থাকে না। নরেন্দ্রকে দেখলে, তোর নাম কি; তোর বাড়ি কোথা—এ-সব জিজ্ঞাসা করার দরকার হয় না। জিজ্ঞাসা করবার অবসর কই? হনুমানকে একজন জিজ্ঞাসা করেছিল, আজ কি তিথি? হনুমান বললে, “ভাই, আমি বার তিথি নক্ষত্র—এ-সব কিছুই জানি না, আমি এক ‘রাম’ চিন্তা করি।”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রথম প্রেমোন্মাদ কথা—১৮৫৮

    কৃষ্ণকিশোর এঁড়েদার সাধু, হলধারী, যতীন্দ্র, জয় মুখুজ্জে, রাসমাণি

    আজ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মহানন্দে আছেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে নরেন্দ্র আসিয়াছেন। আরও কয়েকটি অন্তরঙ্গ আছেন। নরেন্দ্র ঠাকুরবাড়িতে আসিয়া স্নান করিয়া প্রসাদ পাইয়াছেন।

    আজ (৩১ শে) আশ্বিন, শুক্লা চতুর্থী তিথি; ১৬ অক্টোবর ১৮৮২, সোমবার। আগামী বৃহস্পতিবার। সপ্তমী তিথিতে শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে রাখাল, রামলাল ও হাজরা আছেন। নরেন্দ্রের সঙ্গে আরও দুই একটি ব্রহ্মজ্ঞানী ছোকরা আসিয়াছেন। আজ মাস্টার আসিয়েছেন।

    নরেন্দ্র ঠাকুরের কাছেই আহার করিলেন। আহারান্তে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহার ঘরের মেঝেতে বিছানা করিয়া দিতে বলিলেন, নরেন্দ্র আদি ভক্তেরা বিশেষতঃ নরেন্দ্র বিশ্রাম করিবেন। মাদুরের উপর লেপ ও বালিশ পাতা হইয়াছে। ঠাকুরও বালকের ন্যায় নরেন্দ্রের কাছে বিছানায় বসিলেন। ভক্তদের সহিত, বিশেষতঃ নরেন্দ্রের দিকে মুখ করিয়া হাসিমুখে মহা আনন্দে কথা কহিতেছেন। নিজের অবস্থা, নিজের চরিত্র, গল্পচ্ছলে বলিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamakhya Temple: অম্বুবাচীতে কামাখ্যা মন্দিরে কী হয় জানেন?

    Kamakhya Temple: অম্বুবাচীতে কামাখ্যা মন্দিরে কী হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে অম্বুবাচী। এই সময় তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দ্বার। প্রচলিত বিশ্বাস, এই সময় মা কামাখ্যা (Kamakhya Temple) ঋতুমতী হন। অম্বুবাচী উপলক্ষে তিন ধরে চলে বিশেষ পুজো-পাঠ-মেলা।

    রজঃস্বলা হন দেবী (Kamakhya Temple)

    পুরাণ অনুযায়ী, শিবনিন্দা সহ্য করতে না পেরে দেহত্যাগ করেন সতী। তাঁকে নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য করতে শুরু করেন সতী-পতি মহাদেব। শুরু হয় প্রলয়। শিবকে শান্ত করতে সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেন বিষ্ণু। সতীর যোনিদেশ গিয়ে পড়ে কামাখ্যায়। এই কামাখ্যা প্রসিদ্ধ সিদ্ধপীঠ। প্রতিবছর ৭ আষাঢ় রজঃস্বলা হন দেবী কামাখ্যা। নীল পর্বতে অবস্থিত দেবী কামাখ্যার মন্দির (Kamakhya Temple) চত্বর তন্ত্র সাধনার পবিত্র ক্ষেত্র। তাই অম্বুবাচীর সময় দেশ-বিদেশের নানা স্থান থেকে তান্ত্রিক ও অঘোরিরা এসে উপস্থিত হন এখানে। মগ্ন থাকেন জপ-তপে। লোকবিশ্বাস, এই সময় দেবী জাগ্রত হন। তাই যা কিছু কামনা, দেবীর কাছে তা করতে হয় এই সময়।

    মন্দিরের দ্বার বন্ধ

    প্রতি বছর ২২ জুন থেকে বন্ধ থাকে মন্দিরের দ্বার। খোলা হয় ২৫ জুন। এই সময় মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না ভক্ত কিংবা পুরোহিতরা। মন্দির বন্ধের দিন সতীর প্রস্তরীভূত যোনিমণ্ডলের ওপর রেখে দেওয়া হয় একটি সাদা কাপড়। মন্দির খোলা হলে দেখা যায়, সেটি রক্তে রাঙা। সেই কাপড়ের টুকরোই প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয় ভক্তদের।

    মন্দিরের দ্বার বন্ধ হলেও, পুজো-পাঠ বন্ধ থাকে না। এই সময় দেবীর ভোগরাগ হয় বাইরে দেবী মূর্তির সামনে। অবশ্য প্রতিদিনই তাই হয়। পার্থক্য কেবল, বছরের ৩৬২ দিন ভক্তরা যোনিপীঠ দর্শন করতে পারলেও, অম্বুবাচী চলাকালীন তা করা যায় না। রজঃনিবৃত্তির পর ঋতুস্নান করিয়ে খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দ্বার। তারপর ফের ভক্তরা দর্শন করতে পারেন সতীর প্রস্তরীভূত যোনি।

    আর পড়ুন: বাংলায় জাল নথি বানিয়ে হিন্দু ‘সেজে’ বাস অনুপ্রবেশকারীর, গ্রেফতার বাংলাদেশি

    অম্বুবাচী চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই গরম খাবার খান না। পুরোহিতরাও এই তিনদিন গরম কোনও খাবার খান না। অনেকে আবার ফলমূল খেয়েই কাটান অম্বুবাচীর দিনগুলি। যেহেতু অম্বুবাচীতে দেবীর মহিমা প্রকটিত হয়, তাই এই সময় তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না কামাখ্যায়। মেলা উপলক্ষেও প্রচুর মানুষের আগমন হয় (Kamakhya Temple)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 55: “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    Ramakrishna 55: “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    গুরুশিষ্য-সংবাদ—গুহ্য কথা

    আদ্যাশক্তি মহামায়া ও শক্তিসাধনা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর কৃপা পেতে গেলে আদ্যাশক্তিরূপিণী তাঁকে প্রসন্ন করতে হয়। তিনি মহামায়া। জগৎকে মুগ্ধ করে সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় করছেন। তিনি অজ্ঞান করে রেখে দিয়েছেন। সেই মহামায়া দ্বার ছেড়ে দিলে তবে অন্দরে যাওয়া যায়। বাহিরে পড়ে থাকলে বাহিরের জিনিস কেবল দেখা যায়।–সেই নিত্য সচ্চিদানন্দ পুরুষকে জানতে পারা যায় না। তাই পুরাণে কথা আছে—চণ্ডীতে—মধুকৈটভ বধের সময় ব্রহ্মাদি দেবতারা মহামায়ার স্তব করছেন।

    শক্তিই জগতের মূলাধার। সেই আদ্যাশক্তির (Ramakrishna) ভিতরে বিদ্যা ও অবিদ্যা দুই আছে,–অবিদ্যা—মুগ্ধ করে। অবিদ্যা—যা থেকে কামিনী-কাঞ্চন—মুগ্ধ করে। বিদ্যা-যা থেকে ভক্তি, দয়া, জ্ঞান, প্রেম–ঈশ্বরের পথে লয়ে যায়।  

    সেই অবিদ্যাকে প্রসন্ন করতে হবে। তাই শক্তির পূজা পদ্ধতি।

    তাঁকে প্রসন্ন করার জন্য নানাভাবে পূজা—দাসীভাব, বীরভাব, সন্তানভাব। বীরভাব-অর্থাৎ রমণ দ্বারা তাঁকে প্রসন্ন করা।

    শক্তিসাধনা—সব ভারী উৎকট সাধনা ছিল, চালাকি নয়।

    আমি মার দাসীভাবে, সখীভাবে দুই বৎসর ছিলাম। আমার কিন্তু সন্তানভাব, স্ত্রীলোকের স্তন মাতৃস্তন মনে করি।

    মেয়েরা এক একটি শক্তির রূপ। পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে; অর্থাৎ ওই শক্তিরূপা কন্যার সাহায্যে বর মায়াপাশ ছেদন করবে। এটি বীরভাব। আমি বীরভাবে পূজা করি নাই। আমার সন্তানভাব।

    কন্যা শক্তিরূপা (Ramakrishna)। বিবাহের সময় দেখে নাই—বর বোকাটি পিছনে বসে থাকে? কন্যা কিন্তু নিঃশঙ্ক।

    দর্শনের পর ঐশ্বর্য ভুল হয়—নানা জ্ঞান, অপরা-বিদ্যা- “Religion and Science”—

    আরও পড়ুনঃ “ছেলেটি পেট ভরে খেলে তবেই মা সন্তুষ্ট, যশোদা কৃষ্ণ খাবে বলে ননী হাতে করে বেড়াতেন”

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বরলাভ-এর মানে কি? ঈশ্বরদর্শন কাকে বলে? কেমন করে হয়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 54: “প্রদীপের শিখার দিকে যদি একদৃষ্টে চেয়ে থাক, তবে খানিকক্ষণ পরে চারিদিক শিখাময় দেখা যায়”

    Ramakrishna 54: “প্রদীপের শিখার দিকে যদি একদৃষ্টে চেয়ে থাক, তবে খানিকক্ষণ পরে চারিদিক শিখাময় দেখা যায়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    গুরুশিষ্য-সংবাদ—গুহ্য কথা

    তখন আবার তিনিই আমি এইটি বোধ হয়। মাতালের নেশা বেশি হলে বলে, আমিই কালী।

    গোপীরা প্রেমোন্মত্ত হয়ে বলতে লাগল আমিই কৃষ্ণ।

    তাঁকে রাতদিন চিন্তা করলে তাঁকে চারিদিকে দেখা যায়, যেমন—প্রদীপের শিখার দিকে যদি একদৃষ্টে চেয়ে থাক, তবে খানিকক্ষণ পরে চারিদিক শিখাময় দেখা যায়।

    ঈশ্বরদর্শন কি মস্তিস্কের ভুল? সংশয়াত্মা বিনশ্যতি

    মাণি ভাবিতেছেন যে, সে শিখা তো সত্যকার শিখা নয়।

    ঠাকুর (Ramakrishna) অন্তর্যামী, বলিতেছেন চৈতন্যকে চিন্তা করলে অচৈতন্য হয় না। শিবনাথ বলেছিল, ঈশ্বরকে একশোবার ভাবলে বেহেড হয়ে যায়। আমি তাকে বললাম, চৈতন্যকে চিন্তা করলে কি অচৈতন্য হয়?

    মণি—আজ্ঞা বুঝেছি। এ-তো অনিত্য কোন বিষয় চিন্তা করা নয়?—যিনি নিত্যচৈতন্যস্বরূপ তাঁতে মন লাগিয়ে দিলে মানুষ কেন অচৈতন্য কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (প্রসন্ন হইয়া)—এইটি তাঁর কৃপা—তাঁর কৃপা—না হলে সন্দেহ ভঞ্জন হয় না।

    আত্মার সাক্ষাৎকার না হলে সন্দেহ ভঞ্জন হয় না।

    তাঁর কৃপা হলে আর ভয় নাই। বাপের হাত ধরে গেলেও ছেলে পড়তে পারে। কিন্তু ছেলের হাত যদি বাপ ধরে, আর ভয় নাই। তিনি কৃপা করে যদি সন্দেহ ভঞ্জন করেন, আর দেখা দেন আর কষ্ট নাই।–তবে তাঁকে পাবার জন্য খুব ব্যাকুল হয়ে ডাকতে ডাকতে—সাধনা করতে করতে তবে কৃপা হয়। ছেলে অনেক দৌড়াদৌড়ি কচ্ছে, দেখে মার দয়া হয়। মা লুকিয়ে ছিল, এসে দেখা দেয়।

    মণি ভাবিতেছেন, তিনি দৌড়াদৌড়ি কেন করান।–ঠাকুর অমনি বলিতেছেন, তাঁর ইচ্ছা যে খানি দৌড়াদৌড়ি হয়; তবে আমোদ হয়। তিনি লীলায় এই সংসার রচনা করেছেন। এরি নাম মহামায়া। তাই সেই শক্তিরূপিণী মার শরণাগত হতে হয়। মায়াপাশে বেঁধে ফলেছে, এই পাশ ছেদন করতে পারলে তবেই ঈশ্বরদর্শন (Ramakrishna) হতে পারে।

    আরও পড়ুনঃ “ছেলেটি পেট ভরে খেলে তবেই মা সন্তুষ্ট, যাশোদা কৃষ্ণ খাবে বলে ননী হাতে করে বেড়াতেন”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Snan Yatra 2024: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    Snan Yatra 2024: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার, প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024)। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্নানযাত্রা হয়। যে কারণে, এই পূর্ণিমাকে দেবস্নান পূর্ণিমা বা স্নান পূর্ণিমা বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এদিন বাংলা, ওড়িশা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা মহাসমারোহে পালিত হয়। তবে, সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয় পুরী ধামে। ফলে, সারা বিশ্বের চোখ এখন পুরীতে। এছাড়া, এ রাজ্যের মাহেশেও বড় করে হয় এই উৎসব। এদিনের এই শুভ তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শুভ বা পুণ্য কাজ সারেন। 

    রথযাত্রার (Rath Yatra) ঢাকে কাঠি…

    জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2024) থেকেই ঢাকে কাঠি পড়ে গেল রথযাত্রার। প্রস্তুতি-পর্ব যদিও আরও সপ্তাহ তিনেক আগে প্রভুর চন্দন-যাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। দীর্ঘগরমে ভক্তদের মতোই কষ্ট পান জগন্নাথ। সঙ্গে মাথা ধরে। তাই গ্রীষ্মকালে তাঁর কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়, যাকে বলে চন্দন উৎসব। বর্ষার আগমনে হয় স্নানযাত্রা। যা থেকেই কার্যত রথযাত্রার কাউন্টডাউন শুরু হয় বলে ধরে নেওয়া হয়। এদিন জগন্নাথ ধাম মন্দিরের স্নান কক্ষে (Snan Yatra 2024) রীতি মেনে ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০৮ কলসে সুগন্ধি জল দিয়ে স্নান করানোর পালা চলে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা ত্রয়ীকে। প্রথমে জগন্নাথ, তারপর বলরাম এবং শেষে সুভদ্রার পুজো করে নিয়ে যাওয়া হয় স্নানের জন্য৷ অনুষ্ঠানের পর গজাননের পোশাকে সজ্জিত হন প্রভু জগন্নাথ।

    জ্বর আসবে জগন্নাথদেবের…

    সাধারণত বছরে একবার মহাপ্রভু শ্রীজগন্নাথ তার ভাই বোনদের সঙ্গে স্নান করেন (Snan Yatra 2024)। এই দিনটি জগন্নাথের জন্মদিন হিসেবেও পালিত হয়। যার ফলে, এদিন ধুম জ্বর আসে জগন্নাথদেবের। ফলে, ১৫ দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে। এই সময়ে শ্রীমন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকে। ভক্তরা প্রভুর দর্শন করতে পারেন না। অন্তরালেই রাখা হয়ে এই তিন দেবদেবীকে। বিশ্বাস, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক পাঁচন খেয়ে ১৫ পর সুস্থ হয়ে ওঠেন জগন্নাথদেব। চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করে দরজা খোলা হয়। সুস্থ হয়ে উঠেই জগন্নাথদেব নতুন বেশভূষায় সুসজ্জিত হয়ে দর্শন দেন। তখন জগন্নাথধামে পালিত হয় নেত্রোৎসব বা নবযৌবন উৎসব। এরপর, তিন ভাই-বোন মাসির বাড়ি যাওয়ার তোড়জোড় করেন। রাজবেশে সজ্জিত হয়ে, মহাসমারোহে রথে চেপে তাঁদের মাসির বাড়ি যান। তাই স্নানযাত্রার সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে রথযাত্রা(Rath Yatra)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share