Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kalpataru Utsav: আজ রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘কল্পতরু উৎসব’, জানুন এই দিনটির মাহাত্ম্য

    Kalpataru Utsav: আজ রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘কল্পতরু উৎসব’, জানুন এই দিনটির মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের পয়লা দিন বলে কথা। বাঙালি মেতেছে বর্ষবরণের আনন্দে। এ আর নতুন কী! তবে ফি বছর ১ জানুয়ারির গুরুত্ব বাঙালির কাছে অন্যভাবেও রয়েছে, এদিন কল্পতর উৎসব (Kalpataru Utsav)। এদিনই বিশ্ববন্দিত হিন্দু ধর্মের প্রচারক স্বামী বিবেকানন্দের গুরু, ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁর শিষ্যদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “তোমাদের চৈতন্য হউক”। সকাল থেকেই দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে শুরু করে রাজ্যের সর্বত্র ভক্তরা পালন করছেন কল্পতরু দিবস। ভোর থেকেই ভক্তদের ঢল দক্ষিণেশ্বর-কাশীপুর উদ্যানবাটিতে। এই দিনটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের স্মৃতি। আজ থেকে ১৩৮ বছর আগে, ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি কল্পতরু রূপে ভক্তদের আশীর্বাদ করেছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ।

    ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার কামারপুকুর গ্রামে ১৮৩৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এক দরিদ্র বৈষ্ণব ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং চন্দ্রমণি দেবীর সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। কথিত আছে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে গয়া তীর্থ ভ্রমণে গিয়ে ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়, গদাধর বিষ্ণুকে স্বপ্নে দর্শন করেন। তাই নিজের চতুর্থ সন্তানের নাম তিনি রাখলেন গদাধর চট্টোপাধ্যায়। দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ১৮৫৫ সালে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতায় আগমন ঘটে। কারণ মাহিষ্য সমাজের জমিদার পত্নী রানি রাসমণি দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন। রানিমা প্রধান পুরোহিতের দায়িত্বভার অর্পণ করেছেন কামারপুকুরের রামকুমারের হাতে। তরুণ গদাধর দাদাকে পূজা-অর্চনাতে সাহায্য করবেন। ১ বছরের মধ্যে ছন্দপতন। আকস্মিকভাবেই ১৮৫৬ সালে মৃত্যু হল রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন গদাধর চট্টোপাধ্যায়।

    দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের প্রধান পুরোহিতের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন তিনি। মন্দিরের ঠিক উত্তর-পশ্চিম কোনে তরুণ পুরোহিতের জন্য একটি ছোট্ট ঘর বরাদ্দ করা হল। শোনা যায় এরপরেই রানি রাসমনির জামাতা মথুরামোহন গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের নামকরণ রামকৃষ্ণ করেন, তবে এ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে, কেউ কেউ বলেন যে তাঁর এই নামকরণ করেন ঠাকুরের অন্যতম গুরু তোতাপুরী। প্রথাগত শিক্ষা তাঁর কিছুই ছিল না সেভাবে। কিন্তু মুখে মুখে বলে দিতেন হিন্দু শাস্ত্রের সমস্ত গূঢ়তত্ত্ব, অতি সরলভাষায়, একেবারে গল্পের ছলে। এজন্য তাঁকে গল্পের রাজাও বলা হয়। পরবর্তীকালে তাঁর এই বাণী সংকলিত হয় কথামৃত নামক গ্রন্থে। এরমধ্যে ঠাকুরের (Kalpataru Utsav) বিবাহ সম্পন্ন হয় কামারপুকুরের তিন মাইল উত্তর-পশ্চিমে জয়রামবাটী গ্রামের রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কন্যা সারদাদেবীর সঙ্গে। সেটা ১৮৫৯ সালে। এতদিনে বঙ্গীয় শিক্ষিত সমাজ তাঁকে গুরুর আসনে বসিয়ে ফেলেছে। শিষ্য তালিকায় স্থান পেয়েছেন কেশব চন্দ্র সেন সমেত অন্যান্য গন্যমান্যরা। 

    ১ জানুয়ারী ১৮৮৬

    শরীরে মারণ রোগ বাসা বাঁধলে, ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকারের নির্দেশে তিনি নিজেকে গৃহবন্দি রাখেন প্রায় এক মাস। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যানবাটিতে উপস্থিত রয়েছেন প্রায় ৩০ জন মতো গৃহী ভক্ত। সকলে হাতে ফুল নিয়ে উপস্থিত। আজ ঠাকুরের দর্শন পাওয়া যাবে। ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক দুপুর তিনটে। দোতলা ঘর থেকে তিনি নেমে এলেন বাগানে। পরনে সেই চিরাচরিত পোশাক। লাল পেড়ে ধুতি। উপস্থিত গৃহী ভক্তরা তাঁদের হাতে রাখা ফুল ঠাকুরের চরণে অঞ্জলি দিতে থাকেন। কথিত আছে, ঠাকুর তখন নাট্যকার গিরিশ ঘোষকে বলেন, “হ্যাঁ গো, তুমি যে আমার নামে এত কিছু চারিদিকে বলো, তো আমি আসলে কী?” গিরিশ ঘোষ উত্তর দিলেন, “তুমিই নররূপ ধারী পূর্ণব্রহ্ম ভগবান, আমার মত পাপী-তাপীদের মুক্তির জন্যই তোমার মর্ত্যে আগমন।” সবাই তখন ঠাকুরের চরণ স্পর্শ করল এবং ঠাকুর বললেন, “তোমাদের চৈতন্য হউক”।

    এদিনের উৎসবকে কল্পতরু (Kalpataru Utsav) কেন বলা হয়?

    এর জন্য অবশ্য আমাদের পুরাণে ফিরতে হবে। হরিবংশ ইত্যাদি পুরাণে ‘কল্পতরু’র উল্লেখ রয়েছে। দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে সমুদ্র মন্থন হয়েছিল, পুরাণ অনুযায়ী সমুদ্র মন্থনকালে অমৃত, লক্ষ্মীদেবী, ঐরাবত ইত্যাদির সঙ্গে উঠে আসে একটি বৃক্ষ-ও। যাকে পারিজাত বৃক্ষ বলা হত। পরবর্তীতে দেবরাজ ইন্দ্রের বিখ্যাত নন্দনকাননের স্থান পায় এই পারিজাত বৃক্ষ এবং সেখান থেকে স্ত্রী সত্যভামার আবদারে শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে নিয়ে আসেন এই বৃক্ষ। এই পারিজাত বৃক্ষকে-ই ‘কল্পতরু’ বলা হয়েছে। অর্থাৎ সেই বৃক্ষ, যার কাছে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়। কল্পতরু উৎসবের (Kalpataru Utsav) দিন ঠাকুরের ভক্তরা তাঁকে অবতার রূপে মেনে নেন। কথিত আছে, সেদিন উপস্থিত সমস্ত ভক্তের মনোবাঞ্ছা ঠাকুরের কৃপায় পূরণ হয়েছিল। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, এই দিন ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব সকলের মনের ইচ্ছা পূরণ করেন।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Purulia: অযোধ্যা পাহাড়ে শ্রীরামচন্দ্রের ‘পাতালভেদী’ বাণে সৃষ্টি হয়েছিল সীতাকুণ্ডের

    Purulia: অযোধ্যা পাহাড়ে শ্রীরামচন্দ্রের ‘পাতালভেদী’ বাণে সৃষ্টি হয়েছিল সীতাকুণ্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পুরুলিয়া (Purulia) জেলার অযোধ্যা পাহাড়। পুরুলিয়া শহর থেকে ৪০-৪২ কিমি দূরে সবুজের গালিচায় মোড়া আর ঢেউ খেলানো পাহাড় দিয়ে সাজানো অযোধ্যা শুধুমাত্র প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকেরই নয়, ট্রেকার এবং পাখি দেখতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্যও এক আদর্শ স্থান। আদিবাসী অধ্যুষিত এই অঞ্চলটি শাল, শিরীষ, মহুয়া, সেগুন প্রভৃতি গাছের ছায়ায় আবৃত। চারদিকে উঁকি দিচ্ছে একের পর এক পাহাড়ের সারি। এখানকার সর্বোচ্চ গিরিশিখরটির নাম “গোর্গাবুরু, যার উচ্চতা প্রায় ২৮৫০ ফুট। অযোধ্যা পাহাড়ের অরণ্যের ব্যাপ্তি প্রায় ৩৪৫১৭ একর। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসা এই অরণ্যে বাস হরিণ, নেকড়ে, বুনো শুকর, হাতি প্রভৃতি প্রাণীর। আর দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির।

    পুরাণে কী বলা আছে?

    পুরাণ মতে, অজ্ঞাতবাসকালে দণ্ডক যাওয়ার পথে শ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গে এই পাহাড়ের পথে যাচ্ছিলেন সীতাদেবী। সেই সময় তাঁর হঠাৎ-ই খুব তৃষ্ণা পায়। সেই তৃষ্ণা মেটানোর জন্য তখন “পাতালভেদী” বাণ প্রয়োগ করে মাটি-পাথরের বুক থেকে জল নির্গত করেন শ্রীরামচন্দ্র। সৃষ্টি হয় এক কুণ্ড বা কূপ (Purulia)। এখনও বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন “দিসুম সেন্দ্রা” অর্থাৎ শিকার উৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে আসা আদিবাসী মানুষ এখানে থাকা দুটি জলপ্রপাত, বামনি ফলস আর তুরগা ফলসে স্নান করেন। তারপর এই সীতাকুণ্ড, যার অপর নাম “বুড়বুড়ি”, তার পবিত্র জল পান করে পবিত্র হয়ে ” বুইয়া” নিনাদে মেতে ওঠেন শিকার করার জন্য। এই বুড়বুড়ি কুণ্ডের সামনের শাল জঙ্গলে রয়েছে “সীতাকেশ”। সীতাদেবীর পায়ের চিহ্নও রয়েছে “সীতা চাতালে”। দেখে নেওয়া যায় যোগিনী বা ময়ূরী পাহাড়ের চূড়ায় বসে চারদিকের অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

    আর কী কী দেখবেন? (Purulia)

    এছাড়াও এক যাত্রাতেই দর্শন করে নেওয়া যায় অযোধ্যা পাহাড়ে চড়ার শিক্ষাপ্রদান কেন্দ্র, এশিয়ার দ্বিতীয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি, ঠান্ডেশ্বরী ফলস, মুরগুমা ড্যাম প্রভৃতি। আর প্রাণ ভরে উপভোগ করে নেওয়া যায় প্রকৃতির অমলিন, অনাবিল, সবুজ সৌন্দর্য।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Purulia)

    যাতায়াত–হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে যেতে হবে পুরুলিয়া। যাচ্ছে ১২৮২৭ পুরুলিয়া এক্সপ্রেস , ১২৮৮৩ রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। পুরুলিয়া থেকে বাস অথবা গাড়ি নিয়ে যেতে হবে অযোধ্যা পাহাড়। থাকা খাওয়া–এখানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের বনবাংলো, পুরুলিয়া (Purulia) পাম্পড স্টোরেজ প্রজেক্টের গেস্ট হাউজ, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের আশ্রম। এছাড়াও রয়েছে কয়েকটি হোটেল। প্রয়োজনে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে নেওয়া যায় এগুলিতেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Picnic: পিকনিক বা বনভোজনের উদ্ভব কীভাবে? এর মূল উদ্দেশ্যই বা কী?

    Picnic: পিকনিক বা বনভোজনের উদ্ভব কীভাবে? এর মূল উদ্দেশ্যই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের মরশুম শুরু হতে না হতেই মানুষের পিকনিক (Picnic) করার ধুম পড়ে যায়। বছরের এই সময়টার জন্যই যেন সবাই অপেক্ষা করে থাকে। বাড়ি থেকে দূরে নিরিবিলি, প্রাকৃতিক পরিবেশে পিকনিক করার মজাই আলাদা। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই পিকনিক বা বনভোজনের উদ্ভব কীভাবে? বনভোজন বা পিকনিক শব্দটির উৎপত্তি ফরাসি শব্দ ‘Pique-nique’ থেকে। এই বনভোজনের মূল উদ্দেশ্য প্রকৃতির মাঝে বসে মনকে ভালো রাখা ও ভালো খাবার খাওয়া। এই পিকনিকের উদ্ভবের আছে কিছু ইতিহাস, যা আজও বর্তমানে সেই ধারা বয়ে নিয়ে চলেছে। মূলত শীতপ্রধান দেশে গরমকালকে পিকনিকের মূল সময় হিসাবে বেছে নেওয়া হয় অর্থাৎ জুন মাসকে। এই মাসের ১৮ জুনকে আন্তর্জাতিক পিকনিক দিবসের মর্যাদাও দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে ভারতের মতো উষ্ণতার দেশগুলিতে প্রধানত শীতকালকেই পিকনিকের মোক্ষম সময় হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।

    বনভোজনের উদ্ভব হল কীভাবে? (Picnic)

    বিভিন্ন ঐতিহাসিকের বিভিন্ন মত আছে এই বনভোজন বা পিকনিকের উদ্ভব নিয়ে। কিছু ঐতিহাসিক বলেন, ১৭৯৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের শেষের দিকে এই পিকনিকের উদ্ভব হয়। এই সময় অর্থাৎ ফরাসি বিপ্লবের আগে সেখানকার স্থানীয় পার্কগুলিতে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারতেন না। পরবর্তীতে ফরাসি বিপ্লবের শেষে এই পার্কগুলি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর এই সময় মানুষ সেই পার্কে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া, সময় কাটানো ইত্যাদি করতে শুরু করেন। আর এই সময় থেকেই ইতিহাসবিদরা মনে করেন এই পিকনিকের (Picnic) উদ্ভব হয়।
    কিন্তু কিছু ঐতিহাসিক এই মতবাদকে মানেন না। তাঁদের মতে, এই পিকনিকের উদ্ভব ভিক্টোরিয়ান যুগেও হতে পারে। কারণ এই ভিক্টোরিয়ান যুগে অনেক মানুষ বাইরে সময় কাটাতে এবং বাইরে খাওয়াদাওয়া করতে ভালোবাসতেন। আবার কিছু ঐতিহাসিকের মতে, বাংলায় গুপ্ত যুগের পুণ্ড্র নগরে সর্বপ্রথম বনভোজনের আয়োজন করা হয়। সেই থেকেই বর্তমানে এই বনভোজনের রীতি চলে আসছে।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় বনভোজন (Picnic)

    ২০০৯ সালে পর্তুগালের লিসবনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনভোজনের আয়োজন করা হয়। এই বনভোজনে প্রায় ২২ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। যেটি এখনও পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে আছে। অস্ট্রেলিয়াতে অগাস্ট মাসের প্রথম সোমবারকে পিকনিক দিবস হিসাবে পালন করা হয়, যেটি ‘অস্ট্রেলিয়ান নর্দান টেরিটরি’ নামে পরিচিত (Picnic)।

    পিকনিকের অর্থ কী? (Picnic)

    যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজ বিশ্ব অভিধানে বলা হয়েছে, যখন কোনও উদ্দেশ্য ছাড়াই মানুষ বাইরে খেতে, ঘুরতে যান, সেটিই পিকনিক নামে পরিচিত। বনভোজন এমন একটি আয়োজন যা মানুষের কর্মব্যস্ততা, মানসিক চাপ প্রভৃতিকে ভুলিয়ে একদিনের জন্য আনন্দ উপভোগ করায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Netarhat: নেতারহাটের ‘ম্যাগনোলিয়া পয়েন্ট’-এর ইতিহাস শুনলে আজও যেন গায়ে কাঁটা দেয়!

    Netarhat: নেতারহাটের ‘ম্যাগনোলিয়া পয়েন্ট’-এর ইতিহাস শুনলে আজও যেন গায়ে কাঁটা দেয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এখানকার অন্যতম জনপ্রিয় এবং অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক পর্যটনকেন্দ্র হল নেতারহাট। বিশেষ করে যাঁরা বেতলা অরণ্যে গিয়েছেন, নেতারহাট (Netarhat) না গেলে ভ্রমণটাই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সাধারণত বেতলা আর নেতারহাট একসঙ্গেই বেড়িয়ে নেন প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকেরা। বেতলা থেকে নেতারহাটের সড়কপথে দূরত্ব প্রায় ১২০ কিমি। পথ হল এই রকম-বেতলা-কেড়-ছুপাদোহর-গাড়ু-মারুমার-বারেসাদ (এখান থেকেই জঙ্গলের ভিতরে রয়েছে আর একটি স্পট ‘সুগাবাধ’)।

    বারেসাদ থেকে মহুয়াডার। এখানে থেকে বাঁ দিকের উঁচু-নিচু, জঙ্গলাকীর্ণ পথে খানিকটা পথ গেলে দেখা যাবে এক অপূর্ব জলপ্রপাত ‘লোধ ফলস’। মহুয়াডার থেকে প্রায় ১৪ কিমি দূরে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি বুরহা নদীর জলধারা থেকে সৃষ্ট। এটি ঝাড়খণ্ডের উচ্চতম এবং ভারতের ২১ তম উচুঁ ফলস। প্রায় ১৪৩ মিটার উচ্চতা থেকে পাহাড়ের কঠিন পাথরের বুকে ধাক্কা খেতে খেতে নেমে এসেছে জলধার, যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আসামান্য।

    ‘ম্যাগনোলিয়া পয়েন্ট’ (Netarhat)

    মহুয়াডার থেকে আরও প্রায় ১৯ কিমি পথ নেতারহাট। নেতারহাটের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্পট হল সান সেট পয়েন্ট, যার অপর নাম ‘ম্যাগনোলিয়া পয়েন্ট’। এই নামের পিছনে রয়েছে এক হৃদয়বিদারক ব্যর্থ প্রেমের গল্প। এক বৃটিশ তরুণী আর এক রাখাল যুবকের মধ্যেকার অসম প্রেম মেনে নিতে পারেননি তরুণীর উচ্চপদস্থ বৃটিশ রাজ কর্মচারীর বাবা। হঠাৎ-ই একদিন কোনও অজ্ঞাত কারণে নিখোঁজ হয়ে যান রাখাল যুবক। এর ঠিক পরেই সকলে দেখেন, এক বৃটিশ তরুণী প্রবল গতিতে ঘোড়া ছুটিয়ে এসে পাহাড়ের অতল খাদে মরণঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করলেন। সেই থেকে এই জায়গার নাম ‘ম্যাগনোলিয়া পয়েন্ট’। কারণ, সেই বিরহের যন্ত্রণাকাতর বৃটিশ তরুণীর নাম ছিল যে ‘ম্যাগনোলিয়া’। এখানে দাঁড়িয়ে চতুর্দিকে ঢেউ খেলানো পাহাড়ের সারির মধ্যে ধীরে চারদিকে রক্তিম আলো ছড়িয়ে সূর্যের অস্ত যাওয়ার মনোরম দৃশ্য দেখতেই মানুষ এখানে (Netarhat) আসেন। ঘুরে নেওয়া যায় আপার ঘাঘড়ি নামের একটি ছোট্ট, কিন্তু অপূর্ব সুন্দর ঝর্নাও।

    লোয়ার ঘাঘড়ি ফলস (Netarhat)

    নেতারহাটের অন্যতম আকর্ষণ প্রায় ১০ কিমি দূরের লোয়ার ঘাঘড়ি ফলস। ঘন অরণ্যের অভ্যন্তরে, নির্জন পরিবেশে এই ফলসটি। ঘাঘড়ি নদীর জলধারা থেকে সৃষ্ট এই ফলসটি ভারতের ৩৩ তম উচুঁ ফলস। প্রায় ৩২২ ফুট উচ্চতা নেমে এসেছে জলধারা। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দেখে নিন এখানকার (Netarhat) ন্যাশপাতি বাগানগুলো, বিখ্যাত রেসিডেন্সিয়াল স্কুল প্রভৃতি।

    যাতায়াত এবং থাকা (Netarhat)

    দুভাবে ঘোরা যায় নেতারহাট-১) ট্রেনে বেতলা এসে গাড়ি নিয়ে নেতারহাট ঘুরে রাঁচি হয়ে ফেরা যায়। আবার রাঁচি গিয়ে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে নেতারহাট-বেতলা ঘুরে ট্রেনে কলকাতা ফিরে আসা যায়। আর এই পথে রয়েছে বেশ কিছু বন বাংলো, ট্রি হাউজ প্রভৃতি (Netarhat)। এগুলোর বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ: ডিএফও, ডাল্টনগঞ্জ অথবা ফোন করুন ০৯৯৫৫৫২৭৩৭১ নম্বরে। আর নেতারহাটে আছে জেটিডিসি-র হোটেল বনবিহার (ফোন ০৯১০২৪০৩৮৮২) অথবা কলকাতায় এদের অফিস ১২-এ, ক্যামাক স্ট্রিট, কল-১৭ থেকে। আর জঙ্গল সাফারি প্রভৃতির জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০৬২০৬২২০৩১৪ নম্বরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: জৈন মন্দির বলে পরিচিত, তবুও ভৈরবনাথ জ্ঞানে পুজো করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা!

    Purulia: জৈন মন্দির বলে পরিচিত, তবুও ভৈরবনাথ জ্ঞানে পুজো করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা তথা ভারতের অন্যতম প্রাচীন হল পাকবিড়রা মন্দির (Purulia)। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এক প্রত্নস্থল এই পাকবিড়রা মন্দির। প্রকৃতপক্ষে পাকবিড়রার এই জৈন মন্দিরটি তিনটি মন্দির নিয়ে গড়া। নবম এবং দশম শতাব্দী থেকেই মন্দিরটির অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এখানকার একটি স্মৃতি ফলকে তার উল্লেখ পাওয়া যায়।

    শিল্পশৈলীর উৎকৃষ্ট উদাহরণ (Purulia)

    এখানকার অধিকাংশ ভাস্কর্যই বেশ উঁচু। তার মধ্যে শীতলনাথ মূর্তিটি প্রায় সাড়ে সাত ফুট এবং পদ্মপ্রভা মূর্তিটি প্রায় ৮ ফুট উঁচু। এখানে রয়েছে জৈন তীর্থঙ্কর ধর্মাচরণ, মহাবীর, রিষভনাথ, সম্ভবনাথ, চন্দ্রপ্রভা প্রভৃতি ভাষ্কর্য। যদিও এটি মূলত একটি জৈন মন্দির বলেই পরিচিত, তবুও এখানকার পদ্মপ্রভা মন্দিরটিকে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভৈরবনাথ জ্ঞানে বিশ্বাস এবং পুজো করেন। এছাড়াও পাকবিড়রা মন্দিরে (Purulia) রয়েছে দেবি অম্বিকা, পদ্মাবতী প্রভৃতি ভাস্কর্য। মন্দিরের মোল্ডিং এবং প্রাচীরের কুলুঙ্গী এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। প্রধান মন্দিরে রয়েছে প্রাথমিক কক্ষ এবং পবিত্র স্থান, কঞ্চি মন্দির, আটজন তীর্থঙ্করের ভাস্কর্য। সব মিলিয়ে মন্দিরটি যেন প্রাচীন ভারতের ইতিহাস এবং শিল্পশৈলীর এক অনন্য দক্ষতা ও নিপুণতার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

    যাবেন কীভাবে? (Purulia)

    যাতায়াত-পাকবিড়রা যাওয়া যায় পুরুলিয়া থেকেও। পুরুলিয়া থেকে দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। আর এখান থেকে তুলনামূলক ভাবে কাছে হয় পুরুলিয়ারই আর এক দারুণ সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর স্থান “ফুটিয়ারি ড্যাম”। দূরত্ব প্রায় ৩৬ কিমি। যেতে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। সেক্ষেত্রে রাস্তা হবে এই রকম “ফুটিয়ারি-হুড়া-লালপুর-বাগদা-দাদখা-পুঞ্চা রোড-পাকবিড়রা।” আর কলকাতা থেকে ট্রেনে গেলে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস (Purulia) প্রভৃতি ট্রেনে পুরুলিয়া এসে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে যেতে হবে পাকবিড়রা মন্দির।

    থাকা খাওয়া-ফুটিয়ারি থেকে ঘুরে আসতে চাইলে থাকতে পারেন “ফুটিয়ারি রিট্রিট”-এ । ফোন-৯০৫১১৬৬৫৬৩। আর পুরুলিয়ায় থাকতে চাইলে এখানে রয়েছে বেশ কিছু হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bharat Sevashram Sangha: লক্ষ্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, ফের স্থায়ী সেবাকেন্দ্র গড়ছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ

    Bharat Sevashram Sangha: লক্ষ্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, ফের স্থায়ী সেবাকেন্দ্র গড়ছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামীণ অঞ্চলে গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট ছাড়াও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার দূর্বাচটীর কৃষ্ণপুর গ্রামে সঙ্ঘের গ্রামীণ সেবাকেন্দ্র মন্মথপুর প্রণব মন্দিরের উদ্যোগে একটি স্থায়ী সেবাকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রবিবার এক অনুষ্ঠানে সেবাকেন্দ্র ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের শুভ ভিতপুজো হয় ৷ সঙ্ঘের পক্ষে স্বামী অন্বেষানন্দজী মহারাজ এর সূচনা করেন (Bharat Sevashram Sangha)।

    কবে চালু হবে? (Bharat Sevashram Sangha)

    এই উপলক্ষ্যে শতাধিক দুঃস্থ পরিবারের হাতে শীতবস্ত্র এবং মায়েদের শাড়ি তুলে দেওয়া হয় সঙ্ঘের পক্ষ থেকে, এলাকার দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রয়াত হারাধন দাস ও প্রয়াত বিমলা দাসের স্মৃতির উদ্দেশ্যে৷ এছাড়া ২৫ জন বিশিষ্ট মানুষের হাতে স্বামী প্রণবানন্দ ভাবপ্রচার পরিষদের পক্ষে সঙ্ঘবাণী সম্মিলিত একটি স্মারক সম্মান তুলে দেওয়া হয়৷ আগামী ২০২৫ সালের জন্মাষ্টমীর সময় এই মন্দির ও সেবাকেন্দ্র সাধারণ মানুষের জন্যে খুলে দেবেন সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দজী মহারাজ (Bharat Sevashram Sangha)।

    কী জানালেন সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক? (Bharat Sevashram Sangha) 

    স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, পাথরপ্রতিমা ব্লকের বহু গ্রাম পিছিয়ে পড়া। সেখানে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা গড়ে ওঠেনি। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ইতিমধ্যেই এই সব পিছিয়ে পড়া গ্রামে মোবাইল মেডিক্যাল পরিষেবা শুরু করেছে। এবার সেখানে স্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই জোকাতে দ্বিতীয় ফেজের হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আরও বেশ কয়েকটি চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে৷ ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের (Bharat Sevashram Sangha) গ্রামীণ সেবাকেন্দ্রের উদোগে এবার পাথরপ্রতিমায় এই নতুন সেবাকেন্দ্র গড়ে উঠবে। যেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি অন্যান্য প্যাথলজিক্যাল টেস্টের সুবিধা থাকবে৷ বিনামূল্যে দেওয়া হবে ওষুধ। এই কেন্দ্র থেকে এলাকার মানুষের সেবার কাজও হবে বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গল! দেখা মেলে ময়ূরেরও

    Paschim Bardhaman: শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গল! দেখা মেলে ময়ূরেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার এই জঙ্গল ‘গড় জঙ্গল’ নামে খ্যাত হলেও এর অন্য পরিচিতি ‘কাঁকসার জঙ্গল’ নামে। না, এই জঙ্গলের নেই কোনও অভয়ারণ্য, ন্যাশনাল পার্ক বা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙচুয়ারির স্বীকৃতি। তবে আছে অরন্যের শিহরণ, প্রাচীন ইতিহাসের গন্ধ। একই সঙ্গে রয়েছে ধর্মের যোগ। শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গলে দেখা মেলে হরেক রং-এর হরেক প্রজাতির পাখির। মাঝে মাঝেই দেখা মেলে ময়ূরের। ঘন জঙ্গলের বুক চিরে ইতিউতি চলে গেছে রাঙা মাটির বনপথ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ।

    উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও

    বলা হয় এই গড় জঙ্গল (Paschim Bardhaman) হল ভারতের অন্যতম প্রাচীন স্থান। গড় জঙ্গলের কথা উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। সুপ্রাচীন কালে এই জঙ্গলে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মেধস মুনি। শ্রী শ্রী চণ্ডীপুরাণ মতে, রাজা সুরথ এই মেধস ঋষির আশ্রমে মিলিত হন বৈশ্য সমাধির সঙ্গে। রাজা সুরথ এই জঙ্গলে তিনটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ১) মহাকালী মন্দির ২) মহা সরস্বতী মন্দির এবং ৩) মহালক্ষ্মী মন্দির। বর্তমানে এখানে রয়েছে মেধস মুনির আশ্রম, মহাকাল ভৈরবীর মন্দির। এক সময় এখানে ১৬ টি মন্দির ছিল। এর মধ্যে শ্যামরূপা মন্দির এবং শিব মন্দির দুটি এখনও পর্যন্ত অবশিষ্ট আছে।

    দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তোপধ্বনি?

    চণ্ডী পুরাণ এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে, রাজা সুরথ এখানেই (Paschim Bardhaman) করেছিলেন দুর্গাপুজো। তিনি এখানে দুর্গাপুজো করেছিলেন বসন্তকালে। বলা হয় রাজা সুরথের করা সেই দুর্গাপুজোই পৃথিবীর প্রথম দুর্গাপুজো। দ্বাদশ শতকে নির্মিত এই শ্যামরূপা মন্দিরটিতে বহু ভক্ত আজও পুজো দিতে আসেন। এও শোনা যায়, এখনও এখানে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তোপধ্বনি শোনা যায়। গড় জঙ্গল থেকে সামান্য দূরে অজয় নদ। প্রায় নদের তীরেই রয়েছে আর একটি দারুণ সুন্দর দ্রষ্টব্য। সেটি হল বহু লোককথা এবং প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে দাঁড়িয়ে থাকা “ইছাই ঘোষের দেউল”।

    দুর্গাপুরের কাছেই

    এক কথায় বলা চলে, অরণ্য, নদ, ধর্ম, ইতিহাস-সব মিলিয়ে একটা দুটো দিন বেড়িয়ে আসার জন্য এক অন্যতম আদর্শ স্থান এই ‘গড় জঙ্গল’ (Paschim Bardhaman)। গড় জঙ্গল যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে দুর্গাপুর। হাওড়া থেকে প্রচুর ট্রেন আসছে সরাসরি দূর্গাপুর। আবার কলকাতার ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে বহু বাস আসছে সরাসরি দুর্গাপুর। দুর্গাপুর থেকে গাড়ি নিয়ে ঘুরে নিতে হবে গড় জঙ্গল।
    দুর্গাপুরে থাকার ও খাওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন দামের ও বিভিন্ন মানের প্রচুর হোটেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে চলেছে হংসেশ্বরী মন্দির

    Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে চলেছে হংসেশ্বরী মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার একদম কাছেই রয়েছে কত সুন্দর বেড়ানোর জায়গা, যার খবর আমরা অনেকেই রাখি না। এই যেমন বাঁশবেড়িয়া (Hooghly)। ব্যান্ডেল থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে এক কালের বন্দর নগরী “সপ্তগ্রাম” বর্তমানে পরিচিত “বাঁশবেড়িয়া” নামে। এক কালে এখান দিয়েই বয়ে যেত হুগলি বা গঙ্গা, কুন্তী এবং সরস্বতী নদী। প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি সময় আগে কুন্তী নদী এবং ৮০০ বছরেরও বেশি সময় আগে সরস্বতী নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ার ফলে লুপ্ত হয়ে যায় সেই বন্দর। কিন্তু বন্দর হারিয়ে গেলেও এখানকার অনন্তবাসুদেব মন্দির এবং হংসেশ্বরী মন্দির দুটি আজও দাঁড়িয়ে আছে সেদিনের সেই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে। আজও এই দুটি মন্দিরের আকর্ষণে মানুষ ছুটে আসেন এই বাঁশবেড়িয়ায়।

    অনিন্দ্যসুন্দর পোড়ামাটির কাজ (Hooghly)

    এখানকার অনন্তবাসুদেব মন্দিরটি (Hooghly) নির্মাণ করেন রাজা রামেশ্বর দত্ত। তিনি ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। অষ্টকোণা শিখর, মন্দিরগাত্রের শিল্প, পোড়ামাটির শিল্পশৈলীতে তৈরি অলংকরণ রীতিমতো দর্শনীয়। গর্ভগৃহে খোদাই করা হয়েছে বাসুদেব, অর্থাৎ বিষ্ণুমূর্তি। তার চারপাশের ঘরগুলোতে রয়েছে শিবলিঙ্গ। এর ঠিক পাশেই বাঁশবেড়িয়ার বিখ্যাত হংসেশ্বরী মন্দির। রাজবাড়ির প্রাঙ্গনে এই মন্দিরের অবস্থান। ১৮০১-এ এই সুন্দর মন্দিরটির নির্মাণকার্য শুরু করেন বাঁশবেড়িয়ার রাজা নৃসিংহদেব। কিন্তু এই নির্মাণের কাজ শেষ করেন ১৮১৪ সালে রানী শংকরী। তিনি প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এর জন্য পাথর আনা হয়েছে চূনার থেকে। কারিগর আনা হয়েছে জয়পুর থেকে। এখানে রয়েছে অনিন্দ্যসুন্দর কিছু পোড়ামাটির কাজও। প্রায় ২১ মিটার উঁচু এই মন্দিরের চুড়োটিতে রয়েছে ১৩ টি মিনার। দেখে মনে হয় যেন একটি পদ্মফুল। মন্দিরের নির্মাণশৈলীর অভিনবত্ব এবং সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। মন্দিরের অভ্যন্তরে রয়েছে পাথরের তৈরি শিবের নাভি থেকে বেরিয়ে আসা ডাঁটার ওপর পদ্মফুল। সেই পদ্মফুলের ওপর বসে আছেন মা দক্ষিণাকালীর বীজ দেবি হংসেশ্বরী। নিমকাঠের তৈরি দেবীর মূর্তিটি চতুর্ভূজাে। কালীপুজোর দিন দেবীকে সোনার জিহ্বা এবং রূপোর কিরীটে সজ্জিত করা হয়।

    কীভাবে যাবেন? (Hooghly)

    হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকালে গিয়ে নামতে হবে ব্যান্ডেল স্টেশনে (Hooghly)। সেখান থেকে টোটো বা রিকশায় যাওয়া যায় হংসেশ্বরী মন্দিরে। আবার ষ্টেশন থেকে বাস অথবা অটোতেও যাওয়া যায় এই মন্দিরে। আর গাড়িতে গেলে জি টি রোড বা দিল্লি রোড ধরে ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে না উঠে পাশের ডান দিকের রাস্তা ধরে সরাসরি চলে যাওয়া যায় হংসেশ্বরী মন্দিরে। কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে সারাদিন এই মন্দির ঘুরে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা যায় কলকাতায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো চলবে সারা রাত, ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত মা

    Kali Puja 2023: বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো চলবে সারা রাত, ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বোল্লা কালীপুজো (Kali Puja 2023)। রাস পূর্ণিমা তিথির পরের শুক্রবার এই রক্ষাকালী পুজো হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের সবথেকে বড় কালীপুজো বলে পরিচিত বোল্লা কালী। এছাড়া বলিদান প্রথাও রয়েছে। শুধু উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা নয়, দক্ষিণবঙ্গ, এমনকি রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন রাজ্য থেকেও পুণ্যার্থীরা আসেন অংশগ্রহণ করার জন্য। শুক্রবার শুরু হয় এই পুজো, শেষ হয় রবিবার। উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন, সকলেই মনে করছেন, এবার রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটবে। পুজোকে কেন্দ্র করে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বোল্লা মন্দির চত্বরে। পাশাপাশি সিসিটিভি লাগানো রয়েছে পুজো প্রাঙ্গণ জুড়ে।

    কোথায় এই মন্দির?

    বালুরঘাট-মালদা ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বোল্লা বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বোল্লা কালীমন্দির (Kali Puja 2023)৷ রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবারে এই মন্দিরের পুজোকে কেন্দ্র করে চারদিন ব্যাপী বিরাট মেলার আয়োজন হয়ে থাকে৷ মেলায় হিন্দুরা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও অংশ নেন। মেলা প্রাঙ্গণের ঠিক সামনেই মুসলিমদের কবরস্থান থাকলেও তা নিয়ে কখনও কোনও তরফ থেকে আপত্তি বা অভিযোগ ওঠেনি। হিন্দু-মুসলিম-দুই ধর্মের পবিত্র দুটি স্থান পাশাপাশি অবস্থানের এই নজিরকে সম্মান দিয়ে কবরস্থানের নাম রাখা হয়েছে “সম্প্রীতি”৷

    বয়স তিনশো বছরেরও বেশি

    জেলায় জনশ্রুতি রয়েছে যে আগে এই এলাকার জমিদার ছিলেন বল্লভ মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর নাম অনুসারেই জায়গাটির নাম হয়েছে বোল্লা। আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে এলাকারই এক মহিলা স্বপ্নাদেশে কালো একটি পাথরখণ্ড কুড়িয়ে পেয়ে সেটিকে প্রথম মাতৃরূপে পুজো শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন নথিপত্রে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও এই বোল্লা কালীর পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। যা থেকে খুব সহজেই এই মেলার বয়স তিনশো বছরেরও বেশি বলে জানা যায়। পুজো সম্পর্কে নানান যে জনশ্রুতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মুরারিমোহন চৌধুরী নামের জমিদার৷ তিনি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। বোল্লা কালীর কাছে মানত করে ওই মামলায় তিনি জয়লাভ করলে সেই বছর থেকে রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার তিনি ঘটা করে এই পুজো (Kali Puja 2023) শুরু করেন বলে জানা যায়। সুতরাং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কালের কথা উঠতেই মেলার বয়স যে সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি, তা স্পষ্ট হয়ে যায়৷

    সাড়ে সাত হাতের রক্ষাকালী প্রতিমা

    এবছর শতাব্দীপ্রাচীন বোল্লা মেলার মূল আকর্ষণ সাড়ে সাত হাতের রক্ষাকালী প্রতিমা (Kali Puja 2023)। সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সেজে উঠেছেন মা। সেই তালিকায় রয়েছে প্রায় দু’ কেজির বেশি ওজনের গলার হার, কারুকার্যময় অপর একটি গলার মালা, দেড় কেজি ওজনের হাতের খড়্গ। মায়ের হাতের গোটা খড়্গ সোনার। দুই হাতে চুর, চিক, কানপাশা, মাথার টিকলি, বাজুবন্ধ। রুপোর অলঙ্কারের মধ্যে থাকছে কোমরের বিছা, পায়ের নূপুর সহ আরও বিবিধ। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কার। এবার নতুন অলঙ্কার হিসেবে থাকছে ভক্তের দেওয়া হিরের আংটি।

    সারারাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো

    এই বিষয়ে বোল্লা মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের এই বোল্লা পুজো (Kali Puja 2023) খুবই জাগ্রত। রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার বোল্লা মায়ের পুজো হয়। পুজোর দিন ভোরে মঙ্গল আরতির মধ্যে দিয়ে মাকে জাগানো হয়। সকাল ৬ টার পর থেকে পুণ্যার্থীদের ভোগ দেওয়া শুরু হয়, যা সারাদিন চলে। রাত ১০ টায় মায়ের ঘট ভরানো হয়। রাত ১১ টা থেকে পুজো শুরু হবে। সারারাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো। তার মাঝে চণ্ডী পাঠ হয়। তবে গত বছর প্রবেশের ক্ষেত্রে জিগজাগ পদ্ধতি করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল ভক্তদের। যে দিকটি এবারে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2023: রাস উৎসবে নবদ্বীপে হাজার হাজার দর্শনার্থী, হয়ে গেল কুমারী পুজোও!

    Rash Yatra 2023: রাস উৎসবে নবদ্বীপে হাজার হাজার দর্শনার্থী, হয়ে গেল কুমারী পুজোও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে চৈতন্যভূমি নবদ্বীপের রাসযাত্রা উৎসব (Rash Yatra 2023)। এখানকার ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা মাতা পুজো কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও করা হল কুমারী পুজো। শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলাকে কেন্দ্র করে পালন করা হলেও মন্দিরনগরী নবদ্বীপে এই রাসযাত্রা উৎসব উপলক্ষ্যে করা হয় একাধিক দেবতার পুজো। তবে শুধু দেব-দেবতাই নয়, দুর্গাপুজোয় বেলুড় মঠ এবং অন্যান্য কিছু জায়গায় যেমন কুমারীকে দেবী সাজিয়ে পুজো করা হয়, ঠিক তেমনি নবদ্বীপের বুড়োশিবতলা রোডের অন্তর্গত ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা মাতা পুজো কমিটির পক্ষ থেকেও করা হয় কুমারী পুজো। প্রত্যেক বছরই এই কুমারী পুজো করা হয় বলে পুজো কমিটি সূত্রে জানা যায়।

    ১২৭ তম বর্ষে পদার্পণ (Rash Yatra 2023)

    কমিটির কর্মকর্তারা জানান, এই পুজোটি এ বছর ১২৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল। ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা বারোয়ারি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এত বছর ধরে পুজো (Rash Yatra 2023) করে আসছে। এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট্যই হল কুমারী পুজো। পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার পরে করা হয় এই কুমারী পুজো। এটি চলে আসছে বহু কাল ধরে। সেই কারণে এখনকার প্রজন্মও সেই পরম্পরাকে বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছেন। কুমারী পুজো এই কারণেই করা হয়, অন্নপূর্ণা যেমন অন্নের মা, ঠিক সেই রকম নারী জাতিকে মা রূপে পুজো করার লক্ষ্যেই এই কুমারী পুজো এবং সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য এটাই বলে মনে করেন কমিটির কর্মকর্তারা।

    হাজার হাজার দর্শনার্থী নবদ্বীপে (Rash Yatra 2023)

    উল্লেখ্য সোমবার থেকে সারা নবদ্বীপ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাস উৎসব। দেশ এবং বিদেশ মিলিয়ে হাজার হাজার দর্শনার্থী নবদ্বীপে এসে মিলিত হয়েছেন রাস (Rash Yatra 2023) উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য। প্রশাসনের ভূমিকাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সিসিটিভি থেকে শুরু করে শহরের অলিতে গলিতে পুলিশ কর্মীদের কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে গোটা নবদ্বীপ শহর। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য সতর্ক রয়েছেন তাঁরা সর্বত্রই। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। সুতরাং বলাই বাহুল্য, রাস উৎসবে শামিল হতে আগত দর্শনার্থীরা সুন্দর ও সাবলীলভাবেই উপভোগ করতে পারছেন এই দিনগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share