Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Navaratri 2023: মহাচতুর্থীর মাহাত্ম্য কী? জানুন দেবী কুষ্মাণ্ডার পৌরাণিক আখ্যান

    Navaratri 2023: মহাচতুর্থীর মাহাত্ম্য কী? জানুন দেবী কুষ্মাণ্ডার পৌরাণিক আখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণে কথিত আছে, হাসির দ্বারা তিনি এ জগৎ বা বিশ্বসংসার সৃষ্টি করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তাঁকেই জগজ্জননী মানেন ভক্তরা। তিনিই সূর্যের তেজ স্বরূপা। তিনিই আসুরিক শক্তির বিনাশক। নবরাত্রির চতুর্থীতে (Navaratri 2023) ভক্তদের দ্বারা পূজিতা হন দেবী কুষ্মাণ্ডা।

    দেবী কুষ্মাণ্ডার পৌরাণিক আখ্যান  

    পুরাণ অনুযায়ী, এ বিশ্ব যখন তৈরি হয়নি, প্রাণের স্পন্দন যখন কোথাও ছিল না, চারদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই ছিল ন, তখন এক মহাজাগতিক দৈব আলোকরশ্মি ক্রমশ নারী মূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। দৈব ক্ষমতার অধিকারী, জগতের সৃষ্টিকর্ত্রী এই নারী মাতা কুষ্মাণ্ডা নামে পরিচিত। মহাবিশ্বে প্রাণের উৎস, শক্তির উৎস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথের সৃষ্টিকর্ত্রী তিনি (Navaratri 2023)‌। তিনি সূর্যের কেন্দ্রে অবস্থান করেন। দিন ও রাত্রি তাঁর জন্যই হয়। জীবনের সমস্ত কর্মকাণ্ডের গতি তাঁর দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয় বলে মনে করেন ভক্তরা।

    কুষ্মাণ্ডা শব্দের অর্থ জানেন?

    সৌরমণ্ডলকে পরিচালিত করেন দেবী কুষ্মাণ্ডা (Navaratri 2023)। তাঁর মুখমণ্ডল সূর্যের মতোই দীপ্তিমান, তেজোদীপ্ত। পণ্ডিতমহলের মতে, ‘কু’ শব্দের অর্থ কুৎসিত এবং ‘উষ্মা’ শব্দের অর্থ ‘তাপ’; ‘কুষ্মা’ শব্দের অর্থ তাই দুঃখ। দেবী জগতের সমস্ত দুঃখ এবং কষ্ট হরণ করে নিজের উদরে ধারণ করেন বলে তাঁর নাম ‘কুষ্মাণ্ডা’ মনে করা হয়। দেবাদিদেব মহাদেব যেমন সমুদ্র মন্থনের সময় সমস্ত বিষ নিজের শরীরে ধারণ করে দেবতাদের রক্ষা করেছিলেন, একই ভাবে মাতা কুষ্মাণ্ডা এ জগতের সকল অশুভ প্রভাব, দুঃখ, কষ্ট, রোগ, যন্ত্রণা, পীড়াকে হরণ করে তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন।

    দেবী কুষ্মাণ্ডার বিবরণ

    ভক্তরা মনে করেন, যখন এ বিশ্বে অসুরদের অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল, তখন আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী কুষ্মাণ্ডা। দেবী সিংহে সওয়ার। তিনি অষ্টভূজা। আটটি হাত সাজানো রয়েছে অস্ত্র তথা অন্যান্য সামগ্রী দ্বারা। চারটি হাতে রয়েছে-চক্র, গদা, তির ও ধনুক। অন্য চারটি হাতে রয়েছে জপমালা, পদ্ম, কলস এবং কমণ্ডলু। দেবীর হাতে অস্ত্র ছাড়াও দুটো পাত্রের উল্লেখ করা হয়েছে। একটিতে থাকে অমৃত ও অপরটিতে থাকে রক্ত। অর্থাৎ দেবী কুষ্মাণ্ডার এক হাতে সৃষ্টি ও অপর হাতে ধ্বংস। দেবীর বাহন সিংহকে ধর্মের প্রতীক বলে মনে করা হয়। ধর্মের স্থাপন (Navaratri 2023) এবং ধর্মকে বহন করে মাতা কুষ্মাণ্ডার সিংহ।

    কীভাবে সন্তুষ্ট হন দেবী কুষ্মাণ্ডা 

    মাতা কুষ্মাণ্ডার সামনে কুমড়ো বলির প্রথা চালু আছে। দেবী কুষ্মাণ্ডার ভক্তরা মায়ের উদ্দেশে যে সব সামগ্রী নিবেদন বা অর্পণ করে থাকেন, সেগুলি হল-সিঁদুর, কাজল, চুড়ি, বিন্দি, পায়ের আংটি, চিরুনি, আয়না, পায়ের পাতা, সুগন্ধি, কানের দুল, নাকের পিন, গলার মালা, লাল চুনরি ইত্যাদি। ভক্তদের বিশ্বাস, মাতা কুষ্মাণ্ডাকে মালপোয়া, দই থেকে তৈরি যে কোনও পদ এবং হালুয়া নৈবেদ্যতে ভক্তিপূর্বক অর্পণ করলে মাতা প্রসন্ন হন। তিনি তাঁর ভক্তদের জীবনকে সুখী, শান্তি, সমৃদ্ধি, যশ, আয়ু দ্বারা পরিপূর্ণ করে তোলেন। ভক্তদের ব্রহ্ম জ্ঞানও তিনিই দান করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: নন্দীবাড়িতে বৃহৎ শঙ্খ বাজানোর পর শঙ্খচিল উড়তে দেখেই শুরু হত পুজো

    Durga Puja 2023: নন্দীবাড়িতে বৃহৎ শঙ্খ বাজানোর পর শঙ্খচিল উড়তে দেখেই শুরু হত পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের প্রাচীনতম বনেদি বাড়ির ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল হাটবসন্তপুর গ্রামের নন্দীবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে এই নন্দীরা ছিলেন জমিদার। সেই সময় তাঁদের কোনও এক বংশধর পরিবারের সুখশান্তি কমনায় দালান বানিয়ে শিবদুর্গার আরাধনা (Durga Puja 2023) শুরু করেছিলেন। তখন থেকে একই ভাবে এই পুজো হয়ে আসছে। এই পুজোর বিশেষত্ব হল, এখানে হরপার্বতী অর্থাৎ শিবদুর্গার শান্ত মূর্তি পূজিত হয় এবং প্রাচীনতম বৃহৎ আকারের একটি শঙ্খ ও তামার জালা আছে সেই সময়কার, যা এখনও ব্যবহার করা হয় এই পুজোতে। কথিত আছে, ওই বৃহৎ শঙ্খ বাজানোর পর আকাশে শঙ্খচিল উড়তে দেখেই শুরু হত পুজো। এছাড়াও ওই বড় তামার জালায় নৌকায় করে গঙ্গা থেকে জল আসে পুজোর জন্য। সেই গঙ্গা জল দিয়েই চার দিন ধরে চলে পুজো।

    ভগ্নদশা প্রাচীন দুর্গাদালানের (Durga Puja 2023)

    পরিবারের সদস্যরা জানান, এখন জমিদারি প্রথা না থাকলেও আজও প্রাচীন রীতিনীতি মেনেই পূজিত হন হরপার্বতী। তবে এখানে কোনও পশু বলি হয় না। এক সময় গোটা গ্রামের মানুষ পুজোর চার দিন নিমন্ত্রিত থাকত নন্দীবড়িতে। তবে তা এখন আর হয় না। পরিবারের সদস্যরা কর্মসূত্রে অনেকেই সারা বছর বাইরে থাকলেও পুজোর সময় সবাই ফিরে আসেন এই বাড়িতে। সকলে মিলে একসাথে পুজোর (Durga Puja 2023) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা, একে অপরের সাথে দেখা করা, সারা বছর ধরে জমিয়ে রাখা কথা, চার দিন ধরে চলে খুব আনন্দ। দশমীতে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে বাড়ির আট থেকে ৮০ সকলেই। তবে নন্দীবাড়ির বতর্মান সদস্যরা পুজোয় আধুনিকত্ব বাড়ালেও এবং ভগ্নদশা প্রাচীন দুর্গাদালানের রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা করলেও বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে গেছে। চুনসুরকি দেওয়া ইটের দেওয়াল। শালের কড়িকাঠের উপর চুনসুরকির বানানো ছাদে ফাটল ধরেছে অনেক জায়গাতেই। প্রাচীন ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের কাছে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন নন্দী পরিবারের সদস্যরা।

    হই হই করে কাটে পুজোর দিনগুলো (Durga Puja 2023)

    নন্দী পরিবারের সব থেকে বয়স্ক সদস্য বর্তমানে প্রশান্ত নন্দী। বয়স প্রায় ৮৬ বছর। তিনি বলেন, আমার ঠাকুরদা, দাদু, বাবা সবাই একই ভাবে পুজো করেছে, তা দেখে এসেছি। তাই আমিও সেই দায়িত্ব পালন করছি। এখন পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই কর্মসূত্রে বাইরে চলে গেছে। কিন্তু পুজোর (Durga Puja 2023) সময়ে সবাই ফিরে আসে। আনন্দে হই হই করে কাটে পুজোর দিনগুলো। তবে আগের মতো এখন আর সেই জৌলুস নেই। গোটা গ্রাম নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয় না। পুজোয় আধুনিকত্ব বেড়েছে, কিন্তু কোথাও যেন একটা ভাটা পড়েছে। এই এত বড় দুর্গাদালান রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা করেও সম্ভব হচ্ছে না, বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ভেঙে ভেঙে পড়ছে চুনসুরকির ছাদ। আগামী দিনে হয়তো এই দুর্গাদালান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে স্মৃতি হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পুজোয় সুরুলের সরকার বাড়ি আলোকিত হয়ে ওঠে বিদ্যুৎ নয়, তেলের প্রদীপে!

    Durga Puja 2023: পুজোয় সুরুলের সরকার বাড়ি আলোকিত হয়ে ওঠে বিদ্যুৎ নয়, তেলের প্রদীপে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের জাঁকজমক থেকে দূরে সরে আমাদের গ্রাম বাংলায় এমন দুর্গাপুজো হয়, যেগুলি গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের নজর কাড়ে। ঠিক সেরকম একটি ঐতিহ্যবাহী পুজো হল সুরুলের রাজবাড়ি তথা সুরুলের সরকার বাড়ির পুজো (Durga Puja 2023)। এই জমিদার বাড়ির প্রত্যেকটি দেওয়ালে আছে ইতিহাসের ছোঁয়া। পুজোর কটা দিন যেন অন্য রূপে সেজে ওঠে সরকার বাড়ি। ষষ্ঠীর দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো।

    কী এই রাজবাড়ির ইতিহাস?

    সুরুল রাজবাড়ির ইতিহাস জানতে গেলে একটা কথা প্রথমেই বলে রাখা দরকার। তা হল, এই রাজবাড়ির সমস্ত সদস্যর পদবী সরকার। কিন্তু এটি এঁদের আসল পদবী নয়। ইংরেজদের থেকে পাওয়া পদবী। এঁদের আসল পদবী ঘোষ। প্রায় অষ্টাদশ শতকের প্রথম দিকে বর্ধমানের নীলপুর থেকে সুরুলে আসেন ভরতচন্দ্র সরকার। এখানে বাসুদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে তিনি আশ্রয় নেন। সেখানে তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়, যার নাম কৃষ্ণ হরি। এর পর থেকে সুরুলেই থাকতে শুরু করে সরকার পরিবার। কৃষ্ণ হরির পরবর্তী প্রজন্ম তাঁর ছেলে শ্রীনিবাস ইংরেজদের সাথে ব্যবসার কাজে যুক্ত ছিলেন এবং খুব সুনাম অর্জন করেছিলেন। এতে তাঁর প্রভাব ও প্রতিপত্তি বেড়েছিল। জাহাজের পাল তৈরির কাপড় এবং নীল চাষের ব্যবসার সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। সুরুলের সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) ভরতচন্দ্রের আমল থেকেই শুরু হয়েছিল।

    জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের সম্পর্ক

    ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, সুরুল রাজ পরিবারের সঙ্গে জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারের খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত এই সরকার বাড়িতে আসতেন। একবার মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে কবিগুরু এই রাজবাড়িতে একটি রাতও কাটিয়েছেন। এখনও সুরুল রাজবাড়িতে (Durga Puja 2023) তাঁর স্মৃতি ধরে রাখা হয়েছে। শোনা যায়, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই রাজ পরিবারের কাছ থেকে শান্তিনিকেতনের বেশ অনেকটা জমি পেয়েছিলেন।

    কীভাবে হয় সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো?

    সরকার পরিবারের এক সদস্য জানান, রথের দিন থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। প্রতিমাকে ডাকের সাজে সাজিয়ে তোলা হয়। এছাড়াও পুজোর (Durga Puja 2023) কয়েকটি দিন রাজবাড়ির সোনার গহনা দিয়ে মা দুর্গাকে সাজানো হয়। পঞ্চমীর দিন নাটমন্দির থেকে সমস্ত রাজবাড়িতে বেলজিয়াম থেকে আনা রঙিন বাতি আর ঝাড়বাতিতে সাজিয়ে তোলা হয়। আর দেবীর হাতে থাকে প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো অস্ত্রশস্ত্র। এখানে আরও একটি বিশেষত্ব হল, পুজোর দিনগুলিতে কোনও ইলেকট্রিক লাইট ব্যবহার না করে গোটা রাজবাড়িকে তেলের প্রদীপে আলোকিত করা হয়। এখানে সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী–তিন দিনই বলি হয়। সপ্তমীতে চালকুমড়ো, অষ্টমীতে পাঁঠা, আর নবমীতে চালকুমড়ো ও আখ বলি দেওয়া হয়। এখানে দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও নারায়ণের পুজো করা হয়। আর নারায়ণ যেহেতু বলি প্রথার বিরুদ্ধে, তাই বলির সময় নারায়ণকে সরিয়ে অন্য মন্দিরে রেখে আসা হয়। অন্য সময়ে তাঁর নিজের স্থানে ফিরিয়ে আনা হয়। গোটা গ্রাম এই পুজোর কয়েকটা দিন এই  রাজবাড়িতে মেতে থাকে। রোজ সন্ধ্যায় মন্দিরের সামনে নাটমন্দিরে যাত্রার আসর বসে। দেশ-বিদেশ থেকে সরকার পরিবারের বর্তমান প্রজন্মরা পুজোর কয়েকটা দিন এখানে আসেন। এভাবেই প্রায় ৩০০ বছরের বেশি দিন ধরে একই ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলেছে এই সরকার বাড়ি বা সুরুল রাজবাড়ির পুজো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raja Surath: বাংলায় প্রথম দুর্গাপুজো কোন রাজা প্রচলন করেছিলেন জানেন?

    Raja Surath: বাংলায় প্রথম দুর্গাপুজো কোন রাজা প্রচলন করেছিলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী, সমাধি নামক বৈশ্যের সঙ্গে মিলে রাজা সুরথ (Raja Surath) বসন্তকালে ঋষি মেধসের আশ্রমে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। যা পরে বাসন্তী পুজো নামে প্রসিদ্ধ হয়। দেবী দুর্গার প্রথম পূজারি হিসাবে চণ্ডীতে রাজা সুরথের উল্লেখ রয়েছে। পরে রাবণ বধের উদ্দেশ্যে শ্রীরামচন্দ্র অকাল বোধন করেন এবং তখন থেকে দুর্গাপুজো শরৎকালে শুরু হয়।

    রাজা সুরথের কাহিনি

    রাজা সুরথকে (Raja Surath) চিত্রগুপ্তবংশী রাজা (চিত্রগুপ্তের বংশধর) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দুর্গা সপ্তশতী দেবী মাহাত্ম্য এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণে। সুরথ সুশাসক ও যোদ্ধা হিসেবে বেশ খ্যাত ছিলেন। কোনও যুদ্ধে নাকি তিনি কখনও হারেননি। কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্য একদিন তাঁকে আক্রমণ করে এবং সুরথ পরাজিত হন। এই সুযোগে তাঁর সভাসদরাও লুটপাট চালায়। কাছের মানুষের এমন আচরণে স্তম্ভিত হয়ে যান সুরথ। বনে ঘুরতে ঘুরতে তিনি মেধাসাশ্রমে পৌঁছোন। ঋষি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন। কিন্তু রাজা শান্তি পান না। এর মধ্যে একদিন তাঁর সমাধির সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জানতে পারেন, সমাধিকেও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তবুও তিনি স্ত্রী-ছেলের ভালোমন্দ এখনও ভেবে চলেছেন।

    বোলপুরেই কি দেবীর পুজো করেছিলেন রাজা সুরথ?

    তাঁরা দুজনেই (সুরথ ও সমাধি) তখন ভাবলেন, যাদের কারণে তাদের সব কিছু হারিয়েছে, তাদের ভালো আজও তাঁরা কামনা করছেন। ঋষিকে একথা বলায়, তিনি বলেন সবই মহামায়ার ইচ্ছা। এরপর ঋষি মহামায়ার কাহিনি বর্ণনা করেন। ঋষির উপদেশেই রাজা কঠিন তপস্যা শুরু করেন। কথিত রয়েছে এরপরেই রাজা সুরথ (Raja Surath) ও সমাধি বৈশ্য নিজেদের হারানো সব কিছু ফিরে পান। পরে মহামায়ার আশীর্বাদ পেতেই বসন্ত কালের শুক্ল পক্ষে রাজা সুরথ দেবীর পুজো শুরু করেন। মার্কণ্ডেয় পুরাণ বা শ্রী শ্রী চণ্ডী পুরাণ মতে বলিপুরের রাজা, যা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় শান্তিনিকেন বোলপুর, সেখানকার রাজা সুরথ প্রথম দুর্গাপুজো করেন। তিনি মা দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপকে পুজো করে। এই রূপেই দেবী দুর্গা বঙ্গে অধিক পূজিতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: নবদুর্গার তৃতীয় রূপ মাতা চন্দ্রঘণ্টা, কেন এমন নামকরণ জানেন?

    Navaratri 2023: নবদুর্গার তৃতীয় রূপ মাতা চন্দ্রঘণ্টা, কেন এমন নামকরণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিষাসুরের দখলে তখন সম্পূর্ণ স্বর্গরাজ্য। দেবতা, মুনি, ঋষি কেউই রম্ভাপুত্রের ভয়ঙ্কর অত্যাচারে টিকতে পারছেন না। দেবতারা পরাস্ত এবং বিতাড়িত। ব্রহ্মার বরদানে মহিষাসুরকে প্রতিহত করার কেউ নেই। মহিষাসুর জানতেন, ব্রহ্মার আশীর্বাদে কোনও পুরুষ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। বিতাড়িত দেবতা, মুনি, ঋষিরা শরণাপন্ন হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের। মহিষাসুরের অত্যাচারের কাহিনি শোনার পর ক্রোধান্বিত হলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। ক্রোধাগ্নির প্রচণ্ড তেজ সম্মিলিত হয়ে মহর্ষি কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে সৃষ্টি হল এক নারীর। তিনি মা দুর্গা। নবরাত্রির (Navaratri 2023) ন’দিনে মা দুর্গার নয়টি রূপ ধারণ করে অসুরদের সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধ করেছিলেন। নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজিতা হন মাতা চন্দ্রঘণ্টা। পৌরাণিক সাহিত্যের ভাষায়-
    পিণ্ডজপ্রবরারূঢা চন্দকোপাস্ত্রকৈর্য়ুতা ।
    প্রসাদং তনুতে মহ্য়ং চন্দ্রঘণ্টেতি বিশ্রুতা ।।

    মাতা চন্দ্রঘণ্টা নামকরণ কেন?

    প্রবল তেজসম্পন্না দেবী চন্দ্রঘণ্টা (Navaratri 2023), ঘণ্টা বাজিয়ে অসুরদের সতর্ক করেন। এখনকার ভাষায় ওয়ার্নিং বলা যেতে পারে। তাই দেবীর নাম চন্দ্রঘণ্টা। কালিকাপুরাণে দেবীর এমন নামকরণের উল্লেখ পাওয়া যায়। কাত্যায়ন মুনির আশ্রমে, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট নারীমূর্তিকে যখন সমস্ত দেবতা একে একে অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত করছিলেন, তখন দেবতাদের রাজা ইন্দ্র তাঁর বাহন ঐরাবৎ হাতির গলার ঘণ্টা থেকে একটি ঘণ্টা নিয়ে দেবীর একটি হাতে দিলেন।

    দেবী চন্দ্রঘণ্টার পৌরাণিক আখ্যান (Navaratri 2023)

    পুরাণে উল্লেখ রয়েছে, অসুরদের সঙ্গে প্রবল যুদ্ধ চলাকালীন মাতা চন্দ্রঘণ্টার এই তীব্র ঘণ্টানাদ বিকট শব্দ সৃষ্টি করেছিল। ঘণ্টার শব্দেই দৈত্যদের প্রাণ ভয়ে খাঁচাছাড়া অবস্থা হয়েছিল। অসুরদের অশুভ শক্তিকে হরণ করার জন্যই মাতা চন্দ্রঘণ্টা ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে কল্যাণকারী মাতা তাঁদের জীবন থেকে সমস্ত পাপবোধ, ভয়, শত্রুতা, বাধান, বিঘ্ন হরণ করে নেন। 
    পৌরাণিক কাহিনিতে আরও উল্লেখ রয়েছে, দেবী চন্দ্রঘণ্টা আসলে হিমালয়কন্যা ও শিবের স্ত্রী মাতা পার্বতী। শিব-পার্বতীর বিবাহ পণ্ড করতে তারকাসুর দৈত্য, দানবদের মিলিত এক বাহিনী (Navaratri 2023) নিয়ে আক্রমণ করে। এই অবস্থায় বিবাহকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে দেবী পার্বতী, মাতা চন্দ্রঘণ্টার রূপ ধারণ করেন। তিনি ছিলেন বাঘের পিঠে সওয়ার। চন্দ্রের মতো বিশালাকার ঘন্টা তিনি বাজাতে থাকেন। ঘণ্টার তীব্র আওয়াজে ভীত হয়ে দানবরা রণেভঙ্গ দেয়।

    মাতা চন্দ্রঘণ্টা কোন ভোগে সন্তুষ্ট হন? 

    ভক্তদের বিশ্বাস, মাতা চন্দ্রঘণ্টা জীবনের সকল বাধাবিঘ্ন দূর করে চলার পথকে সুগম করে তোলেন। এই দেবীর পছন্দের রং কমলা বলেই মনে করেন ভক্তরা (Navaratri 2023)। তাই এই নির্দিষ্ট রঙের পোশাক পরিধান করে মাতা চন্দ্রঘণ্টার আরাধনা করলে সুফল বা শুভ ফল মেলে বলে ভক্তদের ধারণা। মাতার উদ্দেশে তাঁর ভক্তরা সাধারণত দুগ্ধজাত ভোগ নিবেদন করেন মায়ের নৈবেদ্যতে, এটা সাধারণত মিষ্টি, ক্ষীর বা রাবড়ি হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এতে মাতা চন্দ্রঘণ্টা প্রসন্ন হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পুষ্পাঞ্জলি না দিলে পুজো অসমাপ্ত! জানেন অঞ্জলি কেন দেওয়া হয়? 

    Durga Puja 2023: পুষ্পাঞ্জলি না দিলে পুজো অসমাপ্ত! জানেন অঞ্জলি কেন দেওয়া হয়? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর প্রধান অঙ্গই হল অঞ্জলি। দেবতাকে অর্ঘ্য নিবেদন করাই অঞ্জলিদান। দুর্গাপুজোয় সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে অঞ্জলি দেওয়া যেতে পারে। তবে অধিকাংশ মানুষ অষ্টমীর দিন পুস্পাঞ্জলি দেন। যাঁদের বাড়িতে পুজো হয়, তাঁরা প্রতিদিন পুজো পর্যন্ত উপবাস করে অঞ্জলি দিয়ে প্রসাদ নেন। পুজোর চারদিন পুষ্পাঞ্জলি দিলেও মহাষ্টমী মানেই সকালবেলা স্নান সেরে নতুন জামাকাপড় পরে মণ্ডপে গিয়ে হাজিরা। তারপর দু’হাত ভরে ফুল নিয়ে মায়ের কাছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া।

    কেন অষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ

    পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণানবমী তিথিতে দেবতাদের তেজ ক্রমশ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করে। সপ্তমী তিথিতে সেই পুঞ্জিভূত তেজরাশি অবয়ব ধারণ করে। তাই সপ্তমী থেকে দেবীর মূর্তিতে পুজো শুরু হয়। মহাষ্টমী তিথিতে দেবতারা দুর্গাকে নানান অস্ত্র, রত্নহার, পদ্মের মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। যেহেতু মহাষ্টমীতে দেবী দুর্গাকে দেবতারা সাজিয়ে দিয়েছিলেন, তাই ওই দিন আমরাও মা দুর্গাকে সাজিয়ে দেবার চেষ্টা করি। সবচেয়ে উৎকৃষ্ট জিনিস দিয়ে সেদিন পুজো করা হয়। আমরা নিজেরাও সেরা বস্ত্রটি পরে মায়ের কাছে গিয়ে ফুল দিয়ে অঞ্জলি দিই। তাই মহাষ্টমীর অঞ্জলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

    অঞ্জলির ফল

    কথিত আছে, মহাষ্টমীতে দেবীর পুজো করার সময় সঠিক নিয়ম মেনে চললে জীবনে কখনও আর্থিক দিক থেকে অবনতি ঘটে না। সব সময় সাফল্য আসে। জীবনে বহুদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। তাই ভোরে উঠে স্নান সেরে, নতুন পোশাক পরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি (Pushpanjali) দেওয়ার জন্য ভিড়ের ছবি চোখে পড়ে সকাল থেকেই। শক্তির আরাধ্যা দেবী দুর্গার (Goddess Durga) কাছে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে প্রার্থনা করার শুভ সময় এটাই। এমনটাই মনে করেন শাক্তরা। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে স্বর্গরাজ্য রক্ষা করেছিলেন সর্বশক্তিমান দেবী মহিষাসুরমর্দিনী। প্রতি বছর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুর্গাষ্টমী ব্রত পালন করা হয়। বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে এই দুর্গাষ্টমীর ব্রত রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুত্রকন্যা নয়, দেবী দুর্গা ঘটক পরিবারের পুজোয় আসেন জয়া-বিজয়ার সঙ্গে

    এবার কখন অঞ্জলি?

    অক্টোবরের শেষ বা কার্তিক মাসের শুরুতে দুর্গাপুজো পড়েছে এবার। ২ কার্তিক বা ইংরেজির ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী। শনিবার ২১ অক্টোবর বা ৩ কার্তিক সপ্তমী। যদিও ষষ্ঠীর দিন রাত ১১ টা বেজে ২৮ মিনিটে সপ্তমী তিথি পড়ে যাচ্ছে। সপ্তমীর দিন রাত ৯ টা ৫৪ মিনিটে অষ্টমী তিথি পড়ে যাচ্ছে। পরের দিন অর্থাৎ রবিবার ২২ অক্টোবর বা ৪ কার্তিক দিনভর রয়েছে অষ্টমী তিথি। অষ্টমীর রাত ৭ টা ৫৯ মিনিটে নবমী তিথি পড়ছে। ২২ অক্টোবর বিকেল ৪ টে ৫৪ মিনিটে পড়ছে সন্ধিপুজোর সময়। ৪ টে ৫৪ মিনিট ৫ টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে সন্ধিপুজোর সময়। সোমবার ২৩ অক্টোবর বা ৫ কার্তিক নবমী তিথি থাকছে। নবমীর বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে লাগবে দশমী তিথি। ২৪ অক্টবার বা ৬ কার্তিক দশমী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ দেবী ব্রহ্মচারিণী, জানুন তাঁর পৌরাণিক আখ্যান

    Navaratri 2023: নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ দেবী ব্রহ্মচারিণী, জানুন তাঁর পৌরাণিক আখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির (Navaratri 2023) দ্বিতীয় দিনে ব্রহ্মচারিণীর পুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, সঠিক নিয়ম মেনে মা ব্রহ্মচারিণীর পুজো করলে সব ইচ্ছা পূরণ হয়। মা ব্রহ্মচারিণীকে প্রেম, আনুগত্য, প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও জ্ঞানের প্রতীক বলে মানা হয়। তাঁর আশীর্বাদে ভক্তের জীবনে সুখ-শান্তি আসে। দেবী ব্রহ্মচারিণীকে জবা এবং পদ্মফুলও প্রদান করা হয়। দেবীর এই রূপে এক হাতে মালা এবং অন্য হাতে কমণ্ডলু ধারণ করা অবস্থায় দেখা যায়। ধর্মীয় বিশ্বাস (Navaratri 2023) অনুযায়ী, দেবী ব্রহ্মচারিণী হলেন নবদুর্গার অবিবাহিত রূপ। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে দেবী ব্রহ্মচারিণীর ভোগে চিনি নিবেদন করতে  হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এর ফলে দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

    মাতা ব্রহ্মচারিণীর পৌরাণিক আখ্যান

    পৌরাণিক কাহিনি (Navaratri 2023) অনুসারে, দেবী পার্বতী ভগবান শিবকে স্বামী হিসেবে পেতে ব্রহ্মচারিণী হয়ে কয়েক হাজার বছর ধরে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। মায়ের এই তপস্যার কারণেই তাঁর নাম হয় দেবী ব্রহ্মচারিণী। কথিত আছে, সতী পরবর্তীকালে পর্বতরাজ হিমালয়ের কন্যা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তাঁর নাম হয় পার্বতী বা হেমাবতী। পার্বতী ভগবান শিবকে তাঁর স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে চান। কিংবদন্তি অনুসারে, তখন ব্রহ্মার মানসপুত্র নারদ তাঁকে কঠোর তপস্যা করার পরামর্শ দেন। নারদ মুনির কথা শুনে তিনি কঠোর তপস্যা করতে শুরু করেন। তপস্যার ফলে তিনি ভগবান শিবকে স্বামী হিসেবে পান পরবর্তীকালে।

    কীভাবে করবেন মাতা ব্রহ্মচারিণীর পুজো

    ১) নবরাত্রির (Navaratri 2023) দ্বিতীয় দিনে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠুন। 

    ২) স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। 

    ৩) নিয়ম অনুযায়ী, মা ব্রহ্মচারিণীর পুজোর আগে যথাযথভাবে কলস দেবতা এবং ভগবান গণেশের পুজো করুন।

    ৪) মা ব্রহ্মচারিণীর পুজো শুরু করুন। প্রথমে মাকে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করান। তারপর মাকে ফুল, অক্ষত, কুমকুম, সিঁদুর দিয়ে সাজান।

    ৫) পান, সুপারি, মিষ্টি ইত্যাদি প্রদান করুন।

    ৬) মা ব্রহ্মচারিণীর ব্রতকথা পাঠ করুন।

    ৭)  মায়ের আরতি করুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দেবীর দশ হাতে কোন দেবতা কী অস্ত্র দিয়েছিলেন? জানেন তার গুরুত্ব?

    Durga Puja 2023: দেবীর দশ হাতে কোন দেবতা কী অস্ত্র দিয়েছিলেন? জানেন তার গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজননী দেবী দুর্গার কোনও নির্দিষ্ট রূপ নেই। তাঁকে কোনও এক রূপের আধারে ধরা যায় না বলেই তাঁর অনেক রূপ। দেবী দুর্গার এক নাম দশভূজা। তাঁর দশ হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। নানা অস্ত্রে সজ্জিতা দেবী অশুভকে সংহার করতে মর্ত্যে আসেন। মানব-জাতির সকল অন্ধকার দূর করতে, অশুভের বিনাশে তিনি অস্ত্র হাতে তুলে নেন। জানেন কি দেবীর নানা অস্ত্রের মাহাত্ম্য?

    দেবীকে রণসাজে সাজালেন কারা?

    ত্রিশূল: দেবাদিদেব মহাদেব ত্রিশূল দান করেছিলেন মা দুর্গাকে। ত্রিশূলের তিনটি ফলা আসলে ‘ত্রিগুণ’-এর প্রতীক। প্রত্যেক জীবের মধ্যেই বর্তমান থাকে সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ—এই ত্রিগুণ। সত্ত্ব হল ধর্ম জ্ঞান, রজঃ মানে অহঙ্কার এবং তমঃ মানে অন্ধকার।

    সুদর্শন চক্র: ভগবান শ্রীবিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্রটি দিয়েছিলেন দেবীকে। এই চক্র নির্দেশ করে, বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হয় দেবীর দ্বারা এবং ব্রহ্মাণ্ড আবর্তিত হয় সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে।

    পদ্ম: দেবীকে পদ্ম দিয়েছিলেন ব্রহ্মাদেব। পদ্ম হল ব্রহ্মের প্রতীক বা জ্ঞানের প্রতীক। অর্ধস্ফুট পদ্ম মানব চেতনে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জাগরণকে নির্দেশ করে।

    তির এবং ধনুক: পবনদেব ও সূর্যদেব দেবীকে দিয়েছিলেন তির ও ধনুক। তির ও ধনুক হল প্রাণশক্তির প্রতীক। ধনুক যেখানে সম্ভাব্য ক্ষমতাকে নির্দেশ করে, তির নির্দেশ করে গতিময়তা। একইসঙ্গে তির ও ধনুক দ্বারা বোঝানো হয় যে মা দুর্গা ব্রহ্মাণ্ডের সকল শক্তির উৎস।

    অসি: গণেশদেব মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন অসি। এই অস্ত্র জ্ঞান এবং ধীশক্তির প্রতীক। অসি দ্বারা বোঝানো হয়, জ্ঞানের তীক্ষ্ণতা এবং দীপ্তি নির্দেশ করে বুদ্ধিকে।

    বজ্র: ইন্দ্রদেব মা দুর্গাকে দেন বজ্র অস্ত্রটি। বজ্র হল আত্মশক্তির প্রতীক। সামান্য মেঘের ঘর্ষণ থেকে যেভাবে অমিত বজ্রশক্তি উৎপন্ন হয় তেমনই আত্মশক্তি তৈরি হয় কর্ম থেকেই।

    বর্শা:  এই অস্ত্র পবিত্রতা এবং ভুল ও ঠিকের প্রতীক। অগ্নিদেব বর্শা প্রদান করেছিলেন মা দুর্গাকে।

    সর্প: মহাদেব অস্ত্র হিসেবে মা দুর্গাকে প্রদান করেছিল সাপ। সর্প হল চেতনা ও শক্তির প্রতীক। দেবীর হাতে সাপ বোঝায়—চেতনার নিম্ন স্তর থেকেও সাধনার মাধ্যমে যে উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছনো যায়।

    কুঠার: বিশ্বকর্মা কুঠার প্রদান করেছিলেন দেবীকে। অশুভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক কুঠার। একই সঙ্গে যে কোনও পরিস্থিতিতে ভীত না হওয়ার প্রতীকও হল কুঠার।

    শঙ্খ: বরুণ দেব মহামায়াকে দিয়েছিলেন শঙ্খ। যার ধ্বনি মঙ্গলময়। শঙ্খের আওয়াজে স্বর্গ, মর্ত্য ও নরক জুড়ে থাকা সব অশুভ শক্তি ভীত ও দুর্বল হয়ে পড়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: আসানসোল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আগুরিপাড়ার ৯টি দুর্গাপুজো

    Durga Puja 2023: আসানসোল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আগুরিপাড়ার ৯টি দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এখানকার একটি গ্রামের বহু পুরনো দুর্গাপুজোর ইতিহাস (Durga Puja 2023)। আসানসোলেরই গ্রাম আগুরিপাড়ার দুর্গাপুজো তারই সাক্ষী হয়ে রয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, আসানসোল গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা নকড়ি রামকৃষ্ণ রায় এইসব দুর্গাপুজোর পত্তন করেন। আগুরিপাড়ায় মোট ৯টি দুর্গাপুজো হয। যার মধ্যে আটটিতে হয় মূর্তি পুজো এবং একটিতে হয় ঘট পুজো। বলা হয়, আসানসোল শহরের প্রথম জনবসতি এই আগুরিপাড়া। ২৮৯ বছর ধরে এখানে পুজো হয়ে আসছে।

    পুজোর সঙ্গে প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের যোগ (Durga Puja 2023)

    এই পুজো শুরুর সঙ্গে রয়েছে আসানসোল প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের যোগ। কাশিপুরের রাজা সম্পত্তি, জমি এবং গাছপালা রক্ষা করতে নকড়ি রামকৃষ্ণ রায়কে পাঠিয়েছিলেন এখানে। তারপরে তাঁরা আসানসোল গ্রামে বসতি শুরু করেন। সেখানে আসান গাছের আধিক্য থাকায়, নাম হয় আসানসোল। তাঁর হাত ধরেই শুরু হয় এই দুর্গাপুজো। তিনি দুটি দুর্গা মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বড় এবং মেজ। সেখান থেকেই পরে আরও পুজোর সূচনা হয়। দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) সময় আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠেন আসানসোলের বাসিন্দারা। দেখার মতো হয় দোলা বিসর্জন। একসঙ্গে নটি দুর্গা মন্দিরের দোলা একত্রিত হয় নানান বাজনার মাধ্যমে এবং সিঁদুর খেলে রাম শায়রে যায়। এক সময় পুজোয় মহিষ বলি করা হত। সময় বদলেছে, এখন পাঁঠা বলি করা হয়।

    দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন হয় দেখার মতো (Durga Puja 2023)

    এখানকারই একটি পুজোর কোষাধ্যক্ষ শ্রীকান্ত রায় বললেন, যখন বর্গি হানা হয়েছিল, তখন নকড়ি রামকৃষ্ণ রায় এদেরকে রুখে দিয়েছিল। সেই থেকে আমরা উগ্র ক্ষত্রিয় নামে পরিচিত। তিনিই জমিজমা, সম্পত্তি দিয়ে আমাদের এখানে বসবাস শুরু করান। এখানে যত ঠাকুর-দেবতা আছে, যেমন ঠাকুর বুড়ি, শিব মন্দির বা মা কালী, ন’টি দুর্গা প্রতিমা, সব উনিই তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। তখন থেকেই আমাদের পুজোর সৃষ্টি। তারপর থেকেই আমাদের দাদুরা বা পূর্ব পুরুষরা এই পুজো করে আসছেন। এখানে ৯ টি পুজো হয়। তার মধ্যে একটিতে ঘট পুজো হয়। বড় মা, সেজ মা, ছোট মা এইভাবে আমরা নাম দিয়েছি। এখানে কোনও চাঁদা তোলা হয় না। দুর্গা মায়ের যে সম্পত্তি (পুকুর ইত্যাদি) আছে, তা থেকেই এইসব পুজোর অনুষ্ঠান করা হয়। এখন আরও জাঁক জমক করে হচ্ছে। রাম শায়রে নব পত্রিকা আনতে যায় পুরো গ্রাম। কয়েক হাজার লোক হয়। দশমীর দিনও প্রতিমা বিসর্জন হয় দেখার মতো (Durga Puja 2023)। ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ জমা হন। হয় আতশবাজির প্রদর্শনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: সিউড়ির বসাক বাড়িতে দেবী মনসার পুজো শেষ করে তবেই শুরু হয় দুর্গাপুজো

    Durga Puja 2023: সিউড়ির বসাক বাড়িতে দেবী মনসার পুজো শেষ করে তবেই শুরু হয় দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের সিউড়ি শহরের বুকে বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোগুলির (Durga Puja 2023) মধ্যে অন্যতম সিউড়ির বসাক বাড়ির দুর্গাপুজো। শহরের ঐতিহ্যপূর্ণ পুজোর মধ্যে এটি একটি। সব থেকে নজর কাড়ে যে বিষয়টি, সেটি হল এই দুর্গাপুজো মানেই দুই বাংলার মিলন ক্ষেত্র। এর রীতিনীতি পালিত হয়ে আসছে ওপার বাংলার রীতিনীতি মেনেই। পঞ্চমীর দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো।

    কত বছরের পুরনো এই দুর্গাপুজো? কী এর ইতিহাস?

    আনুমানিক কত বছরের পুরনো এই বসাক বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023), তা এখনও সঠিক জানা যায়নি। সিউড়িতে বসাক বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয় বসাক পরিবারের তৎকালীন প্রধান যামিনী বসাকের হাত ধরে। আজ এই পুজোর ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলেছেন তাঁরই বংশধররা। পরিবারের বর্তমান সদস্য মৌমিতা বসাক জানান, এই পুজোর ইতিহাস বহু বছরের পুরনো। এটি শুরু হয় প্রথমে বাংলাদেশের ঢাকার ধামরাই গ্রামে। পঞ্চমীর দিন থেকেই পুজো শুরু হয়ে যেত, এখনও সেটাই হয়ে আসছে। আগে মাটির মূর্তিতে পুজো হলেও বর্তমানে দেবীর চিরস্থায়ী পিতলের মূর্তিতেই তা হয়ে থাকে। পাঁচদিন ধরে চলত পুজো। আর দশমীতে বিসর্জন করা হত (Durga Puja 2023)। সময় বদলের সাথে সাথে বাংলাদেশের এই পুজোর স্থানও পরিবর্তিত হয়েছে। দেশ ভাগের পর ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় চলে আসেন বসাক পরিবারের তৎকালীন সদস্যরা। আর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়িতে আবার নতুন করে শুরু হয় বাংলাদেশের ধামরাই গ্রামের সেই ঐতিহ্যবাহী পুজো। কিন্তু রীতিনীতিতে কোনও ভেদাভেদ হয়নি আজও। সেই পুরনো নিয়ম ধরে আজও পুজো হয় বসাক বাড়িতে। বাংলাদেশের সেই ধামরাই গ্রামের দুর্গা বেদির আদলেই তৈরি হয়েছে সিউড়ির বসাক বাড়ির দুর্গা বেদি। আর যে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি হুবহু বাংলাদেশের পুরনো মন্দিরটির আদলেই। সামনে আছে একটি বিশাল নাট মন্দির।

    আগেই দেবী মনসার পুজো

    সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি রীতিতে এখানে পুজো শুরু হয়। বসাক পরিবার যখন দেশভাগের সময় এপার বাংলায় আসে, তখন সঙ্গে করে নিয়ে আসে তাদের পূজিতা দেবী মনসার ঘট। আর সেই ঘটকে এই মন্দিরেই প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই থেকে আজও দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশের মন্দিরের মতোই পঞ্চমীর দিন সর্বপ্রথম দেবী মনসার পুজো শেষ করে দুর্গাপুজো আরম্ভ হয়। পুজোর পাঁচটি দিন বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষের সমাগম ঘটে এই বসাক বাড়িতে। আগে বাংলাদেশ থেকে বসাক বাড়িতে পরিচিতরা এলেও এখন আর কেউ আসেন না বলেই জানান পরিবারের সদস্যরা। পুজোর কটা দিন আনন্দে মেতে ওঠেন সবাই। দিন বদল হলেও আজও সেই ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলেছে এই বসাক বাড়ির প্রাচীন পুজো (Durga Puja 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share