Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Durga Puja 2023: আসানসোলের গ্রামে সুপ্রাচীন ‘আদি দুর্গাপুজো’ চলে টানা ১৫ দিন ধরে!

    Durga Puja 2023: আসানসোলের গ্রামে সুপ্রাচীন ‘আদি দুর্গাপুজো’ চলে টানা ১৫ দিন ধরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশে বাতাসে পুজোর ছোঁয়া। দেবীপক্ষ শুরুর অপেক্ষায় মানুষ। তার মধ্যে শুরু গেল দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। আসানসোলের গাড়ুই গ্রামে শুরু হয়ে গেল আদি দুর্গাপুজো। টানা ১৫ দিন ধরে চলবে এই পুজো। এমনই রীতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কৃষ্ণ পক্ষের নবমী থেকে গাড়ুই গ্রামে এই পুজো শুরু হয়। পুজো চলে মহা নবমী পর্যন্ত।

    গ্রামের সবচেয়ে প্রাচীন পুজো (Durga Puja 2023)

    কয়েক শতাব্দী ধরে এই পুজো চলে আসছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা অনিমেষ মুখার্জি বলেন, এটি গ্রামের সবচেয়ে প্রাচীন পুজো (Durga Puja 2023)। তাঁদের জন্মের আগে থেকে এই পুজো চলে আসছে। পূর্ব পুরুষরা এই পুজো করে আসছেন। এই পুজোর ইতিহাস সঠিকভাবে বলতে না পারলেও, তিনি জানিয়েছেন, কৃষ্ণপক্ষের নবমী থেকে এই পুজো শুরু হয়ে যায়। চলে ১৫ দিন ধরে। ১৫ দিন ধরে হয় পুজোপাঠ, চণ্ডীপাঠ। গ্রামের সকলেই এই পুজোর প্রতি ভক্তিশীল বলেও তিনি জানিয়েছেন। পুজোর যাবতীয় রীতিনীতি যতটা সম্ভব মেনে চলা হয়।

    আনন্দে মেতে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন (Durga Puja 2023)

    এই পুজোর পুরোহিত বিপত্তারণ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, পুজোটি (Durga Puja 2023) প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো। এটি একটি সাবেকি পুজো। সর্বজনীন যে সব পুজো হয়, এটা কিন্তু সেরকম নয়। এই পুজোর অনেকজন সেবাইত আছে, তারাই এই পুজোটা করে। এই পুজোর বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। নিষ্ঠা ভরে এই পুজো করতে হয়। এটি তাঁদের কাছে কোন উৎসব নয়। এটি শুধু তাঁদের কাছে পুজো। এই পুজোয় নবম্যাদি কল্পারম্ভ হয়। অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের নবমী থেকে মহা নবমী পর্যন্ত এই পুজো চলে। প্রতিদিনই ভোগ হয়, আরতি হয়। দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার আগে থেকেই গাড়ুই গ্রামের এই আদি দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন। তবে আগে এই মন্দির পুরনো ছিল। পরে সবাই মিলে এর সংস্কার করেছে। ছোঁয়া লেগেছে আধুনিকতার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: আজ নবরাত্রির প্রথম দিনেই পূজিতা হন মাতা শৈলপুত্রী, জানুন দেবীর পৌরাণিক কাহিনি

    Navaratri 2023: আজ নবরাত্রির প্রথম দিনেই পূজিতা হন মাতা শৈলপুত্রী, জানুন দেবীর পৌরাণিক কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির প্রথম দিনেই আরাধনা করা হয় মাতা শৈলপুত্রীর। নবদুর্গার (Navaratri 2023) প্রথম রূপ মানা হয় তাঁকে। শৈলপুত্রী নামকরণের কারণ? শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলেন, পর্বতরাজ হিমালয়ের ঘরে কন্যা রূপে জন্ম নেওয়ার কারণে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল শৈলপুত্রী। শৈলপুত্রী একটি সংস্কৃত শব্দ, যার আক্ষরিক অর্থ পাহাড়ের কন্যা। শৈল মানে পর্বত আর পুত্রী মানে কন্যা।

    দক্ষযজ্ঞের কাহিনি 

    পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, একবার রাজা দক্ষ যজ্ঞ করছিলেন। সমস্ত দেবতাদের যজ্ঞ গ্রহণ করার জন্য ডাকা হলেও শিবকে সেই যজ্ঞে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে দক্ষ কন্যা সতী শুনলেন, তাঁর বাবা একটি বিশাল যজ্ঞের অনুষ্ঠান করছেন। একথা শোনা মাত্রই তিনি ওই অনুষ্ঠানে যেতে চাইলেন। এরপর দেবাদিদেব মহাদেবকে নিজের ইচ্ছার কথা বললেন সতী। প্রত্যুত্তরে শিব যজ্ঞের অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোর কথা বলেন। সতীকে সেখানে যেতেও নিষেধ করেন শিব। তবে দেবাদিদেব মহাদেবের কথা মানতে চাননা সতী। বাবার কাছে যাওয়ার তীব্র আগ্রহ দেখে ভগবান মহাদেব তাঁকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেন।

    সতী পরবর্তীকালে পর্বতরাজ হিমালয়ের কন্যা রূপে জন্ম নেন

    সতী তাঁর বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেখলেন যে কেউ তাঁর সঙ্গে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে কথা বলছেন না। সব মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাঁর মা তাঁকে স্নেহের সঙ্গে জড়িয়ে ধরেছিলেন। বোনের কথায় ছিল কটাক্ষ ও উপহাস। প্রতি মুহূর্তে শিবকে নিয়ে উপহাসও করা হতে থাকে। এই সব দেখে সতী খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেই যজ্ঞের মধ্যে নিজেকে সমর্পণ করেন এবং পুড়ে ছাই হয়ে যান। সেই দুঃসংবাদ মহাদেব শোনামাত্রই দক্ষের যজ্ঞ পুরোপুরি ধ্বংস করে দেন। ভক্তদের বিশ্বাস, পরবর্তী জীবনে শৈলরাজ হিমালয়ের কন্যা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সতী। তাই তিনি শৈলপুত্রী (Navaratri 2023) নামে পরিচিত। পার্বতী, হেমাবতীও তাঁর নাম।

    মাতা শৈলপুত্রীর পুজোর পদ্ধতি

    শৈলপুত্রী রূপকে (Navaratri 2023) অত্যন্ত কোমল হৃদয় এবং দয়ালু প্রকৃতির বলে মনে করেন ভক্তরা। তাঁর পুজো করার জন্য নবরাত্রির প্রথম দিনে ব্রাহ্মমুহূর্তে উঠে স্নানকার্য সেরে, পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করুন। তারপর প্রথম পুজো করে গণপতিকে আবাহন করুন। শৈলপুত্রীকে ষোড়শপচার পদ্ধতিতে পুজো করা হয়। পরে মায়ের পবিত্র চরণে কুমকুম নিবেদন করুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: ৮০০ বছরের প্রাচীন জমিদারি বাড়ির পুজোয় মিলল কেন্দ্রের হেরিটেজ তকমা

    Durga Puja 2023: ৮০০ বছরের প্রাচীন জমিদারি বাড়ির পুজোয় মিলল কেন্দ্রের হেরিটেজ তকমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শোনা যায়, রাজা নরপতি ঘোষ এলাকার মানুষজনের মঙ্গল কামনার্থে ৮০০ বছর আগে পাঁচথুপি পুরাতন বাটি চণ্ডী মণ্ডপের এই পুজো চালু করেছিলেন। দিনের হিসেবে প্রাচীনতম না হলেও পাঁচথুপি পুরাতন বাটির পুজোয় (Durga Puja 2023) কেন্দ্রীয় হেরিটেজ তকমা পেয়ে মিলল এক নতুন পালক। এই পুজো নিয়ে জনশ্রুতি অনেক আছে। শোনা যায়, একবার পূজোর সময় এই বাড়িতেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু দেবীর অলৌকিক মহিমায় সেই অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে সবাই রেহাই পান। পরিবারে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। এখানে একসঙ্গে শাক্ত ও বৈষ্ণব মতে দেবীর পুজো হওয়ার কারণে অন্যান্য পুজোর থেকে এই পুজো কিছুটা আলাদা।

    কীভাবে এল হেরিটেজ তকমা? (Durga Puja 2023)

    পরিবারের এক কর্তা জানান, ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রাচীন দুর্গা নিয়ে একটি অনুসন্ধান চালায়। সেখানে এই পুজোর আচার এবং সংস্কৃতিগত তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রককে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছিল। সেখান থেকেই এই পুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। গত বছর কলকাতা জাদুঘরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজা নরপতি ঘোষের ৮০০ বছরের আগের এই পুজোকে (Durga Puja 2023) হেরিটেজ সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বীকৃতিতেই খুশি ঘোষ হাজরা পরিবার। এই পুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করায় তাঁরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককে।

    বোধন হয় কৃষ্ণা নবমীর দিন (Durga Puja 2023)

    এই পুজোর বোধন হয় কৃষ্ণা নবমীর দিন। চলে দশমী পর্যন্ত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমিদারি বিলুপ্ত হওয়া সত্বেও তাদের বংশধরেরা আজও এই পুজো চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও বা উনিশ শতকের প্রথম দিকে এই পাঁচথুবিতে ৩০ টি দুর্গাপুজোর অস্তিত্ব ছিল তার মধ্যে ১৩ টি বর্তমানে বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে সর্বজনীন পুজো হিসাবে কিছু পুজো আত্মপ্রকাশ করেছে। এই গ্রামের লৌকিক পুজোর বৈশিষ্ট্য ও প্রতিমার প্রাচীন রীতি ও অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য মানুষকে আজও টানে। পাঁচথুপি পুরাতন বাটি চণ্ডী মণ্ডপের দুর্গাপূজো বোধনের দিন থেকে শুরু হয়, এই দুর্গাপুজোয় নবমীর দিন মহিষ বলির প্রচলন আছে বলে জানান প্রদ্যুৎ ঘোষ হাজরা। পাঁচথুপির পুরাতন বাটি চণ্ডী মণ্ডপের দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) আজও তার প্রাচীন নিদর্শন বহন করে চলেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: তালচিনানের পাঠক বাড়ির দুর্গাপুজোয় বিসর্জনেও থাকে অনন্য বৈশিষ্ট্য

    Durga Puja 2023: তালচিনানের পাঠক বাড়ির দুর্গাপুজোয় বিসর্জনেও থাকে অনন্য বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধি পুজোর আগে নিয়ম করে শূন্যে গুলির আওয়াজে মায়ের আগমনী বার্তা (Durga Puja 2023) জানানোই ছিল এই বাড়ির রেওয়াজ। ২২৯ বছরে পড়ল পাঠক বাড়ির দুর্গাপূজা। এই সাবেকি পুজো চালু করেছিলেন তালচিনানের জমিদার কৃষ্ণকান্ত পাঠক। সূত্র অনুযায়ী, বর্ধমান মহারাজার জনার্দন মন্দিরের সেবাইত ছিলেন পাঠকরা। মহারাজা তাঁদের খুশি হয়ে হুগলির তালচিনান গ্রামের জমিদারির স্বত্ব দেন। কৃষ্ণকান্ত পাঠক হয়ে যান তালচিনানের জমিদার। চুঁচুড়া স্টেশন থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে পোলবা-দাদপুর ব্লকের একটি গ্রাম এই তালচিনান। ওই জমিদার বংশের বংশধর রাজকমল পাঠক জানান, কৃষ্ণকান্ত শুধু তালচিনান নয় এরপর ক্রমশ চাঁদপুর, মহেশপুর, হিরণ্যবাটি তৌজির মালিক হয়ে যান। দশ হাজার বিঘা খাস জমি ছিল তাঁদের। ভাবতে পারা যায়! প্রজাদের দেওয়া খাজনায় চলত জমিদারি।

    কুলদেবতা জনার্দন

    পাঠকদের কুলদেবতা জনার্দন। তাই জমিদারির পাশাপাশি জনার্দনের মন্দিরও গড়ে ওঠে। কৃষ্ণকান্ত জমিদারি পেয়েই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) চালু করেন। তবে জনার্দনের পূজারি হওয়ায় এখানে পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। আজও তালচিনানে পাঠক বাড়ির দুর্গাপুজো দেখতে ভিড় করেন গ্রামের পর গ্রামের মানুষজন। আসলে এঁরাই ছিলেন এক সময় এই জমিদারের প্রজা। বছরভর এই পাঠকবাড়ি সুনসান থাকলেও পুজোর কটা দিন প্রায় সমস্ত আত্নীয়স্বজন চলে আসেন। ভবনের খান বত্রিশেক ঘর তখন গমগম করে। বাড়ির সামনে বিশাল দুর্গা দালান, সেখানে তিনখিলানের মাঝে একচালা কাঠামোয় দেবী বিরাজ করেন। কথিত আছে এই পুজোর শুরু থেকে আজ অবধি কাঠামোর কোনও পরিবর্তন হয়নি। এখানে বলি হয় তবে আখ, চালকুমড়ো, বাতাবি লেবু, শসা ভিন্ন কিছু নয়। অষ্টমী-নবমীতে কুমারী পুজোর প্রচলনও আছে।

    অদ্ভুত এক মানসিক শান্তি

    এই জমিদার বাড়িতে অদ্ভুত একটা মানসিক শান্তি বিরাজ করে। নিস্তব্ধ নিঝুম মহলের চারপাশে পায়রার বক বকম…। মনটা যেন ফিরে যেতে চায় পিছনে, আরও পিছনে। “আসলে আমি ছাড়া আর কেউ আসে না এই বাড়িতে পুজোর সময়টুকু ছাড়া। প্রত্যেকেই বাইরে থাকেন, কেউ রাজ্যের, কেউ দেশের। সময় কোথায়? তাই আমিই মাঝে মাঝে কলকাতা থেকে ছুটে আসি। কাটিয়ে দিই কয়েকটা দিন।” জানালেন রাজকমল পাঠক। তিনি বলেন, যে রীতি পূর্বপুরুষরা করে গিয়েছিলেন, সেই রীতিই যতটা সম্ভব আমরা পালন করি। যেমন এই জমিদার বাড়িরই নিজস্ব পুকুর থেকে মাটি এনে দেবীর মূর্তি (Durga Puja 2023) গড়া হয়। পুরোহিত বংশ সেই একই। আগে বাড়ির দোনলা বন্দুক থেকে তোপ ফাটানো হত সন্ধিক্ষণে, এখন আমার লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক থেকে ফাটাই। পুজোর প্রতিটা দিন আমাদের কাছে বিশেষ দিন।

    নিরঞ্জনেরও কিছু বৈশিষ্ট্য

    ষষ্ঠীর (Durga Puja 2023) দিন বোধন। ওইদিন পরিবারের সদস্যরা সবাই একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। সপ্তমীর দিন আমিষ হয়। আগে নিজেদের পুকুর থেকে মাছ ধরে খাওয়ানো হত। এখন পুকুর লিজে দেওয়ার ফলে বাজার থেকেই কাতলা মাছ এনে এই গ্রামের জ্ঞাতি, ব্রাম্ভণরা এখানে ভুরিভোজ করেন একসঙ্গে। অষ্টমীর দিন গ্রামের মহিলারা এখানে দুপুরে লুচি খান। নবমীতে বর্গক্ষত্রিয়রা আসেন। দশমীতে থাকে লুচি, বোঁদে আর সিদ্ধি। ঠাকুর বরণের পর হয় সিঁদুর খেলা। তাতে গ্রামের মহিলারাও যোগ দেন। পাঠকবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনেরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। বাঁশের মাচায় তোলা হলে গ্রামের বর্গক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের মানুষজন কাঁধে করে প্রতিমা গোটা গ্রাম ঘুরিয়ে স্থানীয় পুকুরে বিসর্জন দেন। পাঠক বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন না হলে গ্রামের অন্য কোনও প্রতিমার বিসর্জন হয় না। এটাই এই গ্রামের রীতি। এটাই পুরনো জমিদারবাবুদের প্রতি গ্রামের মানুষের শ্রদ্ধা। আর এইভাবেই চলে আসছে বাংলার বনেদি বাড়ির পুজো। জমিদারি প্রথা উঠে গেলেও জমিদারি রীতিনীতি এখনও প্রাণপণে রক্ষা করতে মরিয়া উত্তরসূরিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: নবদুর্গার কোন রূপ কোন ভোগে প্রসন্ন হয়? আসুন দেখে নিন এক নজরে

    Navaratri 2023: নবদুর্গার কোন রূপ কোন ভোগে প্রসন্ন হয়? আসুন দেখে নিন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে এল ২০২৩ সালের শারদীয়া নবরাত্রি (Navaratri 2023)। শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বী নয়, শিখ ও জৈন সমাজের মধ্যেও নবরাত্রি পালনের রীতি দেখা যায়। সারা বিশ্বজুড়ে ভক্তরা ন’দিন শুদ্ধ আচারে মতে ওঠেন মায়ের আরাধনায়। নবরাত্রির দিনগুলিতে আরাধনা করা হয় দেবীর নয় রূপের। দেবীর নয় রূপকে প্রসন্ন করতে এবং আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা ভোগও অর্পণ করেন আলাদা আলাদা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন দিনে কোন কোন ভোগ নিবেদন করা হয়।

    মাতা শৈলপুত্রীর ভোগ

    প্রথম দিনে মাতা শৈলপুত্রীকে (Navaratri 2023) গরুর দুধের তৈরি ঘি অর্পণ করেন ভক্তরা। বিশ্বাস রয়েছে, এতে মাতা শৈলপুত্রী সন্তুষ্ট হন। এছাড়া লবঙ্গ ও এলাচ সহযোগে পানও দেওয়া হয়।

    মাতা ব্রহ্মচারিণীর ভোগ

    নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে মা ব্রহ্মচারিণীকে (Navaratri 2023)  চিনি নিবেদন করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই ভোগ অর্পণ করলে মাতা দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ প্রদান করেন। এছাড়া মা ব্রহ্মচারিণীকে দুধ নিবেদনের রীতিও দেখা যায়।

    মাতা চন্দ্রঘণ্টার ভোগ

    নবরাত্রির (Navaratri 2023) তৃতীয় দিনে আরাধনা করা হয় মাতা চন্দ্রঘণ্টার। তৃতীয় দিনে দুধের তৈরি খাদ্য অর্পণ করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। ভক্তরা মাখন, ক্ষীর আর ফল দিয়ে এদিন মাতা চন্দ্রঘণ্টাকে ভোগ দেন।

    মাতা কুষ্মাণ্ডার ভোগ

    নবরাত্রির চতুর্থ দিনে পূজিতা হন দেবী কুষ্মাণ্ডা। সারাদিন উপবাসের পরে ভক্তরা মাতাকে পুজো অর্পণ করেন। মাতাকে মালপোয়া অর্পণ করার রীতি দেখা যায়।

    মাতা স্কন্দমাতার ভোগ

    নবরাত্রির (Navaratri 2023) পঞ্চম দিনে উপাসনা করা হয় মাতা স্কন্দমাতার। এদিন ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় কলা থেকে তৈরি যে কোনও রকমের খাবার। ভক্তদের বিশ্বাস এতে মাতা সন্তুষ্ট হন।

    মাতা কাত্যায়নীর ভোগ

    নবরাত্রির (Navaratri 2023) ষষ্ঠ দিনে দেবী কাত্যায়নীর পুজো হয়। এদিন ভক্তরা মাকে আলুর তৈরি সবজি ভোগ দেন। এছাড়াও ভোগ হিসেবে মধু দেওয়ার রীতিও দেখা যায়। ভক্তদের বিশ্বাস মাতা এতে খুশি হন।

    মাতা কালরাত্রির ভোগ

    নবরাত্রির (Navaratri 2023) সপ্তম দিনে পূজিতা হন দেবী কালরাত্রি। এদিন ভোগ হিসেবে গুড়ের তৈরি খাবার অর্পণ করার রীতি দেখা যায়। গুড়ের খাবার অর্পণে মাতা খুশি হন বলেই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের।

    মাতা মহাগৌরির ভোগ

    নবরাত্রির অষ্টম দিনে পূজিতা হন দেবী মহাগৌরী। অষ্টমীতে নারকেলের তৈরি মিষ্টি দেবীকে অর্পণ করা হয়।

    মাতা সিদ্ধিদাত্রীর ভোগ

    নবরাত্রির নবম দিনে পূজিতা হন দেবী সিদ্ধিদাত্রী। এদিন দেবীকে হালুয়া পুরী ও ছোলার খাবার দেওয়ার রীতি দেখা যায়। এছাড়া তিল দেওয়ারও রীতি রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি মহাতীর্থ তারাপীঠ ঘুরে আসতে পারেন সহজেই

    Tarapith: সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি মহাতীর্থ তারাপীঠ ঘুরে আসতে পারেন সহজেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বীরভূম জেলার তারাপীঠ (Tarapith)। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তারাপীঠ এক অন্যতম শক্তিপীঠ বলেই পরিচিত। সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি এই মহাতীর্থ। মূলত ভক্তজনেরা এখানে আসেন তারা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার অভিপ্রায়ে। তারাপীঠের তারা মায়ের মন্দিরটি প্রায় ২০৪ বছর আগে নির্মাণ করেন জগন্নাথ রায়। মন্দিরে রয়েছেন বিবিধ অলংকারে ভূষিতা তারা মা। এছাড়াও আছে কষ্টি পাথরের মাতৃমূর্তি। মহাকাল মহাদেবকে স্তন্যদুগ্ধ পান করাচ্ছেন দেবী। তবে এই মূর্তির দর্শন সর্বদা মেলে না।

    সেই বিখ্যাত শ্মশানঘাট

    দেখে নিন তারাপীঠের (Tarapith) সেই বিখ্যাত শ্মশান ঘাটটি, যেখানে বসে সাধক শ্রেষ্ঠ বামাক্ষ্যাপা সাধনা করেছিলেন। তিনি ছাড়াও বহু সিদ্ধ পুরুষ এই শ্মশানে সাধনা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বশিষ্ঠদেব, রাজা রামকৃষ্ণ প্রমুখ। এখানে রয়েছে বামাখ্যাপার মন্দির। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের ২ তারিখ বামাখ্যাপার তিরোধান দিবসে এখানে পুজো এবং উৎসব হয়। এছাড়াও দেখে নিন বামাখ্যাপার জন্মস্থান আটলা গ্রাম।

    ঘুরে নিতে পারেন নলহাটি, বক্রেশ্বর

    ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে ঘুরে নিতে পারেন রামপুরহাট থেকে প্রায়  ১২-১৩ কিমি দূরে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম নলহাটি থেকেও। বাস যাচ্ছে সরাসরি এই পথে। রামপুরহাট থেকে নলহাটি যেতে বাসে সময় লাগে প্রায় ২৫-৩০ মিনিট। কথিত, এখানে সতীর কন্ঠ পতিত হয়েছিল। এখানে দেবী ললাটেশ্বরী নামে পূজিতা। ললাটেশ্বরী মন্দিরটি আকারে ছোট। সিঁদুর মাখানো পাথরের খন্ডের ওপর রূপোর চোখ, নাক, অধর বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে দেবীর মুখাবয়ব। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই মন্দির এক পরম পবিত্র স্থান। এছাড়াও তারাপীঠ (Tarapith) থেকে ঘুরে নেওয়া যায় বীরভূম জেলারই আর এক পবিত্র স্থান, বিখ্যাত শৈব তীর্থ “বক্রেশ্বর” থেকেও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন

    যাতায়াত–কলকাতা থেকে ট্রেনে এলে নামতে হবে রামপুরহাট ষ্টেশনে। যাচ্ছে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কলকাতা-জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, হাওড়া-মালদা টাউন এক্সপ্রেস, হাওড়া-রামপুরহাট এক্সপ্রেস, কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-রামপুরহাট এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। রামপুরহাট থেকে তারাপীঠের দূরত্ব প্রায় ৮ -৯ কিমি। যেতে হবে অটো অথবা ট্রেকারে। আর কলকাতার ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাস যাচ্ছে তারাপীঠ (Tarapith)। থাকা খাওয়া –তারাপীঠে থাকা খাওয়ার জন্য আছে বহু হোটেল, লজ প্রভৃতি। দাম ও মান অনুযায়ী এগুলোর মধ্যে থেকে পছন্দমত একটি বেছে নেওয়া যেতেই পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: হাওড়ায় এই বাড়ির দুর্গাপুজোতেই আসতেন ঠাকুরবাড়ির সরলা দেবী চৌধুরানী

    Durga Puja 2023: হাওড়ায় এই বাড়ির দুর্গাপুজোতেই আসতেন ঠাকুরবাড়ির সরলা দেবী চৌধুরানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ‍্য হাওড়ার ২৮ নম্বর কালী কুণ্ডু লেনের প্রাচীন বন্দ‍্যোপাধ্যায় পরিবারের বাড়িটির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সেই একই রয়ে গিয়েছে মন্দির এবং চাতাল নিয়ে উঠোনটি, যে মন্দিরে সাবেকি আদলে ১১৫ বছর ধরে পূজিতা হচ্ছেন মৃন্ময়ী মা দুর্গা। এই পুজোর (Durga Puja 2023) প্রতিষ্ঠাতা বিংশ শতাব্দীর এক ঋজুদেহী, পৌরোহিত‍্যে মৌলিকতার অনুষঙ্গী বিজয়কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়। হুগলির বাসিন্দা বিজয়কৃষ্ণই হাওড়ার কালি কুণ্ডু লেনে নিবারণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই পুজো প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রিটিশ ভারতে অখণ্ড বঙ্গদেশের অন্তত দশ-দশটি জেলার পুণ‍্যার্থীরা আসতেন এই পুজো দেখতে। আসতেন প্রতিষ্ঠিত ব‍্যক্তিরাও। যেমন আসতেন ঠাকুরবাড়ির সরলা দেবী চৌধুরানী। রবীন্দ্রনাথের ভাগ্নী ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৪ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কখনও দুর্গাপুজোয়, কখনও জগন্মাতা পুজোয় উপস্থিত হতেন।

    সরলা দেবী চৌধুরানীর পরিচয়

    এই বাড়িতে ‘জগন্মাতা’ পুজোও হয়ে এসেছে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত। পরে সেটি স্থানান্তরিত হয় কালী ব‍্যানার্জি লেনের ‘মাতৃ মন্দিরে’। যে সরলা দেবী স্বদেশি যুগে পঞ্জাবের শ্বশুরবাড়ি থেকে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত‍্যাকাণ্ডের বিবরণ নিজের গানের স্বরলিপির মধ‍্যে সুকৌশলে এই বাংলায় পৌঁছে দেন, যিনি মা স্বর্ণকুমারী দেবীর ‘সখি সমিতি’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল’ গঠনে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছিলেন, সকল মহিলাদের অন্তঃপুরে থেকেও ক্ষমতাবান করে তোলার প্রচেষ্টায় যিনি নিয়ত থেকেছেন, যিনি নিরাকার ব্রাহ্ম আবহে মানুষ হওয়া ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ঠাকুরবাড়ির বিদূষী প্রতিনিধি, তিনি কেমনভাবে সাকার দেবীর পুজোয় অংশগ্রহণ করেন, তা এখনও অনেকের কাছে বিস্ময় বলে মনে করেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অনুপম মুখোপাধ্যায়। যিনি ৭২ বছর বয়সেও নিয়মিত এই পুজোয় (Durga Puja 2023) অংশ নেন। অনুপমবাবু বলেন, আদপে ওই মাথা উঁচু করে চলা সরলা দেবী ১৯৩৫ সালেই জীবনবোধের কিছু মূল প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এই দুর্গাপুজোর প্রবর্তকের কাছে। যিনি প্রতি বছর এই পুজোতে হাজির হতেন ও লিখে রাখতেন বিজয়কৃষ্ণের উপদেশাবলী ও বিজয়কৃষ্ণের দুর্গাপুজো পদ্ধতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার হাত থেকে বাঁচাতে শ্রুতিলিখনে সংগৃহীত সেই উপদেশাবলী লুকিয়ে রেখেছিলেন ব‍্যাঙ্কের ভল্টে। পরে যেগুলি পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয়।

    কারা আসতেন এই পুজোয়? (Durga Puja 2023)

    সরলাদেবীর সঙ্গে কোনওবার হায়দরাবাদ নিজামের প্রধান সরকারি কর্মচারী, কোনওবার কলকাতার বিজ্ঞান সভায় যোগ দিতে আসা বিদেশি বিজ্ঞানীরা চলে আসতেন এই পুজো প্রাঙ্গনে পুজো দেখতে। যেমন স্বতন্ত্রভাবে আসতেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, সেরাইকেলার রাজারা, বিখ্যাত ডাক্তার থেকে মহিলা শিল্পীরা, ঢাকার বিখ্যাত পরিবার ভাগ‍্যকুলের রায়েরা কিংবা ব্রিটিশ পুলিশের জাঁদরেল আইবি অফিসার। ঘটনাচক্রে ওই প্রাঙ্গনেই হাওড়ার জাতীয়তাবাদী অনুশীলন সমিতির সদস‍্যরাও অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে পুজো নিবেদন করতেন ধরা পড়ার ভয়ে। সাত ঘড়া পবিত্র জলে মৃন্ময়ী দেবীকে স্নান করানো হত, যা এখনও হয়। এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা বিজয়কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় নিজেই পুজো (Durga Puja 2023) করতেন তাঁর সৃষ্ট সংস্কৃত মন্ত্র ও সঙ্গে বাংলা তর্জমায়। যা বিজয়কৃষ্ণের থেকে শুনে পরবর্তীকালে বই আকারে লিখে রেখেছিলেন সরলা দেবী। এখনও সেই বই মেনেই পুজো হয় এখানে।

    বাসন্তী রঙের ত্রিনয়নী মূর্তি (Durga Puja 2023)

    বিংশ‍ শতাব্দীর প্রথম দশকে বিজয়কৃষ্ণের গীতার যৌগিক ব‍্যাখ‍্যা সাড়া ফেলেছিল বঙ্গ যুবদের মধ‍্যেও। তৎকালীন বাংলা পারিবারিক ইতিহাসেও তা মুদ্রিত হয়েছিল। এই বংশের বর্তমান সদস্য বিজয়কৃষ্ণের সুযোগ্য শিষ্য দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাতি চণ্ডীদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজয়কৃষ্ণ একজন পণ্ডিত মানুষ ছিলেন। যিনি হুগলি জেলার বাসিন্দা হলেও কলকাতায় চাকরি সূত্রে হাওড়ায় থাকতেন। দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা নিবারণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সদর ঘরে প্রতিদিন গীতা পাঠ করতেন। সেখানেই তিনি প্রথমে ঘটপুজো চালু করেন। পরে নিবারণবাবুর স্ত্রী শরতসুন্দরী দেবীর চোদ্দ টাকা আর্থিক সাহায্যে মাটির প্রতিমা এনে পুজো (Durga Puja 2023) শুরু করেন। বর্তমানে একই ধরনের জটাধারী বাসন্তী রঙের ত্রিনয়নী মূর্তি প্রতি বছর পুজো হয়। পুজোর মাস খানেক আগে থেকেই শুরু হয় মূর্তি তৈরির কাজ। প্রতিমাকে চার দিনই স্নান করিয়ে নতুন বেনারসি কাপড় পরানো হয় এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয়। সন্ধি পুজোয় মাকে চামুন্ডা কালী রূপে পুজো করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahalaya 2023: পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া! এই দুই পক্ষ আসলে কী?

    Mahalaya 2023: পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া! এই দুই পক্ষ আসলে কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়া (Mahalaya 2023) মানেই বাঙালির কাছে নস্টালজিয়া। রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে শুরু হয়েছে সকাল। মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে, দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এদিনই আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। চাঁদের হ্রাস ও বৃদ্ধির ফলে দুটি পক্ষ তৈরি হয়। এই পক্ষ দুটি হচ্ছে শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষ। চাঁদ যে পক্ষে হ্রাস পায়, সেটি হল কৃষ্ণপক্ষ। এই পক্ষে চাঁদ ক্ষয় হতে থাকে এবং অমাবস্যায় সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। অন্যদিকে যে পক্ষে চাঁদ বৃদ্ধি পায়, সেটি হল শুক্লপক্ষ। এই পক্ষে চাঁদের আকার ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং পূর্ণিমায় পূর্ণচন্দ্রে পরিণত হয়।

    পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ

    বছরের ১২ মাসে মোট ২৪টি পক্ষ রয়েছে, তার মধ্যে ২টি পক্ষ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই পক্ষ দুটি হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ। ভাদ্র পূর্ণিমার পরের কৃষ্ণ পক্ষকে বলা হয় পিতৃপক্ষ। এই পক্ষের অমাবস্যাকে বলা হয় মহালয়া। মহালয়ার পরের পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। অর্থাৎ মহালয়া (Mahalaya 2023) হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ নামক পক্ষ দুটির মিলনক্ষণ। পিতৃপক্ষ হল স্বর্গত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে পার্বণ শ্রাদ্ধ ও তর্পণাদির জন্য প্রশস্ত এক বিশেষ পক্ষ। সনাতন শাস্ত্র মতে, সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষ সূচিত হয়।

    পুরাণে পিতৃপক্ষ

    মহালয়ায় তর্পণের সঙ্গে পুরাণেরও যোগ রয়েছে। মহাভারতে কর্ণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সূর্য-পুত্র দানধ্যান করলেও তা ছিল স্বর্ণ, রত্ন, মণিমাণিক্য। তিনি পিতৃপুরুষের পরিচয় না জানায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে কখনও জল বা খাদ্য দান করেননি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে মৃত্যুর পর স্বর্গে গেলে খাদ্য হিসেবে তাই তাঁকে দেওয়া হয় শুধুই সোনা-রত্ন। জীবিত অবস্থায় যা দান করেছেন তারই অংশ। তখনই কর্ণকে দেবরাজ ইন্দ্র জানান, পিতৃপুরুষকে কখনও তিনি জল দেননি বলেই মৃত্যুর পরে তিনি জল পাবেন না। এই ভুল সংশোধনের জন্য এক পক্ষকাল মর্ত্যে ফিরে পিতৃপুরুষকে জল ও অন্ন দিয়ে পাপস্খলন করেন কর্ণ। সেই এক পক্ষ কালই পিতৃপক্ষ। যার শেষ মহলয়ায় (Mahalaya 2023)।

    আরও পড়ুন: কান্দির দত্ত পরিবারের পুজোয় অন্ন নয়, মাকে ৩ দিনই দেওয়া হয় লুচি ভোগ

    রামায়ণে দেবীপক্ষ 

    রামায়ণ অনুসারে ত্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে অর্থাত্‍ সূর্যের দক্ষিণায়ন চলার সময় দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য। শাস্ত্র মতে দুর্গাপুজো বসন্তকালে হওয়াই নিয়ম। শ্রীরামচন্দ্র অকালে দুর্গাপুজো করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন বলা হয়। সনাতন ধর্মে কোনও শুভ কাজের আগে প্রয়াত পূর্বপুরুষের উদ্দেশে অঞ্জলি প্রদান করতে হয়। লঙ্কা বিজয়ের আগে এমনটাই করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। সেই থেকে দুর্গাপুজোর আগে মহালয়ায় (Mahalaya 2023) তর্পণ অনুষ্ঠানের প্রথা প্রচলিত বলে মনে করা হয়। আর দেবী পুজোর এই পক্ষই হল দেবীপক্ষ।

    দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব

    শ্রী শ্রী চণ্ডীতে রাজা সুরথের কাহিনি রয়েছে। সুরথ যবনদের কাছে পরাজিত হয়ে মনের দুঃখে বনে চলে যান। সেখানেই দেখা হয় মেধা ঋষির সঙ্গে। সেখানে তিনি শোনেন মহাময়ার কাহিনি। বলা হয়, মহালয়ার দিনে তর্পণ করে সমাধি নদীর তীরে তিন বছর তপস্যার পরে দুর্গাপুজো শুরু করেন রাজা সুরথ। পিতৃপক্ষে আত্মসংযম করে দেবী পক্ষে শক্তি সাধনায় প্রবেশ করতে হয়। দেবী শক্তির আদিশক্তি, তিনি সর্বভূতে বিরাজিত। তিনি মঙ্গল দায়িনী করুণাময়ী। সাধক সাধনা করে দেবীর বর লাভের জন্য, দেবীর মহান আলয়ে প্রবেশ করার সুযোগ পান বলেই এ দিনটিকে বলা হয় মহালয়া (Mahalaya 2023)। পুরাণ মতে এই দিনেই দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আবির্ভূতা হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahalaya 2023: কাল মহালয়া, জেনে নিন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    Mahalaya 2023: কাল মহালয়া, জেনে নিন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya) তপর্ণ (Tarpan)। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার দিন। শাস্ত্র মতে, এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। শাস্ত্রের এই বিধান মেনে মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করা হয়।

    কেন এই দিনে তর্পণ?

    আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষে তর্পণ করাই বিধেয়। ভাদ্র পূর্ণিমার পরবর্তী প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত এই ১৬ দিন পিতৃপক্ষ। পুরাণ (Puranas) অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় আমাদের প্রয়াত পূর্বপুরুষরা মর্তে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই সময় তাঁরা উত্তর পুরুষের হাতে জল-পিণ্ড আশা করেন। এই পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে জল ও পিণ্ড দান করলে, তাঁরা শক্তি লাভ করেন। এটাই তাঁদের চলার পাথেয়। মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষ দিন হওয়ায় এর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। দেশের অনেক জায়গাতেই এই দিনটি পিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া অমাবস্যা বা পিতৃ মোক্ষ অমাবস্যা নামে পরিচিত। এদিন প্রয়াত সমস্ত পূর্বপুরুষের উদ্দেশেই শ্রাদ্ধ তর্পণ করা যায়।

    পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনায় তর্পণ

    অনেকেই মনে করেন, তর্পণ শুধুই পূর্বপুরুষদের জন্য। কিন্তু শাস্ত্র মতে তা নয়। পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনা মিশে থাকে তর্পণে। তাই তর্পণ মন্ত্রে বলা হয়, ‘তৃপ্যন্তু সর্বমানবা’। অর্থাৎ মানব সভ্যতাকে তৃপ্ত করার দিন মহালয়া। তৃপ্তি সাধনের জন্যই তর্পণ। সিংহভাগ বাঙালি তর্পণ করেন কেবল মহালয়ার দিন। এদিন নদ্যাদি জলাশয়ে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এদিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধও করেন।

    পূর্বপুরুষের স্মরণে তর্পণ

    আসলে তর্পণ হল স্মৃতি তর্পণ। বছরের একটি দিন শাস্ত্রজ্ঞরা উৎসর্গ করেছেন পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার জন্য। আমরা নির্দিষ্ট দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করি। এঁদের থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের কাছে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই দৈনন্দিন কাজের চাপে ভুলে যাওয়া পিতৃপুরুষকে স্মরণ করতেই শ্রাদ্ধের আয়োজন। মহালয়ার দিন এই শ্রাদ্ধ করতে পারলে পরিবারের মঙ্গল হয় বলে লোকবিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: পুত্রকন্যা নয়, দেবী দুর্গা ঘটক পরিবারের পুজোয় আসেন জয়া-বিজয়ার সঙ্গে

    মহালয়া শুভ না অশুভ?

    অনেকেই মনে করেন, এদিন থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা, অশুভ শক্তির বিনাশ হয়, তাই মহালয়া শুভ। দুর্গাপুজোর সূচনা হয় এই দিন। এছাড়াও হিন্দু ধর্মের যে কোনও শুভ কাজেই পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়। এছাড়াও তর্পণের বৃহত্তর অর্থ মিলন। তাই এই দিন কোনওভাবেই অশুভ হতে পারে না। আবার অনেকে মনে করেন, মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে জলদান করার রীতি রয়েছে। পিতৃপুরুষদের স্মরণ করার দিনকে অনেকেই শোক পালনের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। তাই মহালয়াকে তাঁরা শুভ মানতে নারাজ। মহালয়া শুভ না অশুভ এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। তব এই দিনটি দিয়েই শুরু হয় দুর্গাপুজো, বাঙালির মিলন উৎসব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দেবীপক্ষের আগেই ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল

    Durga Puja 2023: দেবীপক্ষের আগেই ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের আগেই ঝাড়গ্রাম শহরের পুরাতন ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) শুরু হল। আশ্বিন মাসের জীতাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে অর্থাৎ শনিবার থেকেই শুরু হল দুর্গাপুজো। চলবে বিজয়া দশমী পর্যন্ত। প্রায় চারশো বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা। তবে এখানে দেবী হল পটেশ্বরী। এদিনই রাজ পরিবারের কূলদেবতার মন্দির থেকে প্রাচীন একটি খড়্গ নিয়ে এসে পুজো শুরু হয়। এই অস্ত্রপুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়।

    চারশো বছরের পুরনো হলেও ইতিহাস অজানা

    রাজ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজবাড়ির সেই দস্তাবেজে পুজো শুরুর আনুমানিক সনের উল্লেখ ছিল ১০১৬ বঙ্গাব্দে। সেই অনুযায়ী এবার পুজোর ৪১৬ তম বর্ষ। ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের এই পুজো অনুমানিক চারশো বছরের পুরনো হলেও পুজো শুরুর ইতিহাস অজানা। এখানে রয়েছে রাজবংশের কয়েক শতাব্দীর প্রাচীন কুলদেবী সাবিত্রী দেবীর মন্দির। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে পৃথক চণ্ডীমণ্ডপ। সেখানেই পটে আঁকা ছবিতে দুর্গাপুজো হয়। কুলদেবী সাবিত্রীর নিত্যপুজো হয় দুর্গার ধ্যানমন্ত্রে। সেই জন্য কুলদেবী থাকায় আলাদা প্রাচীন পটটি ছিল শালপাতার ঝালরের আঁকা। বর্তমানে চণ্ডীমণ্ডপের বেদীর সামনে দেওয়ালে চিত্রিত দেবীর পটে নবকলেবর করা হয়। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের জীতাষ্টমী তিথিতে সাবিত্রী মন্দিরের প্রাঙ্গণে বেলগাছের তলায় মঙ্গলঘট স্থাপন করা হয়। একে অধিবাস বলে। জীতাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি থেকে পুজো (Durga Puja 2023) শুরু হয়। নবমী তিথি থেকেই আবার অস্ত্রপুজো শুরু হয়।

    দেবীপক্ষের আগে কেন পুজো শুরু?

    তবে দেবীপক্ষের আগে কেন পুজো শুরু হল, তা নিয়ে নানা জনশ্রুতি রয়েছে। জনশ্রুতি, কয়েকশো বছর আগে গড় ঝাড়গ্রামের জংলি মাল রাজাকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে হারিয়ে রাজ্যপাট দখল করেন রাজপুতানার সর্বেশ্বর। তাঁর রাজ্যাভিষেকের দিনটিকে স্মরণ করে রাখার জন্য ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে ইন্দ্রাভিষেক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। জনশ্রতি, সেই উৎসবের রেশ ধরেই আশ্বিন মাসে পরিবারের সমৃদ্ধি ও প্রজাদের মঙ্গলকামনায় রাজবাড়িতে জীমূতবাহন অর্থাৎ ইন্দ্রের পুজো হয়। এর পাশাপাশি, শক্তিলাভের কামনায় জীতাষ্টমীর পর দিন কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে অস্ত্রপুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়। আবার মহাষষ্ঠীর দিন রাতে বেলগাছের তলায় মঙ্গলঘট স্থাপন করা হয়। তারপর সপ্তমীর দিন সকালে শোভাযাত্রা সহকারে খড়্গ, রাজলক্ষ্মী, শালগ্রাম শিলা ও ঘট মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় (Durga Puja 2023)।

    প্রাচীন খড়্গ নিয়ে এসে পুজো শুরু

    রাজ পরিবারের উত্তরসূরী দুর্গেশ মল্লদেব ও জয়দীপ মল্লদেব বলেন, কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে রাজ পরিবারের প্রাচীন খড়্গ নিয়ে এসে পুজো (Durga Puja 2023) শুরু হয়। রাজ পরিবারের এই পুজোটি ঝাড়গ্রামে সবচেয়ে প্রাচীন। রাজ পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী, বিজয়া দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন দেবীর পুজো ও চণ্ডীপাঠ-হোম চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share