Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bengali New Year: শিখদের বৈশাখী থেকে কেরলে বিশু! জানুন সারা দেশে পয়লা বৈশাখ কী কী নামে পালিত হয়

    Bengali New Year: শিখদের বৈশাখী থেকে কেরলে বিশু! জানুন সারা দেশে পয়লা বৈশাখ কী কী নামে পালিত হয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়লা বৈশাখ (Bengali New Year) পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে বাঙালিরা পালন করে। বাংলায় যেমন পয়লা বৈশাখের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে তেমনি এই দিনটি দেশের অন্যান্য রাজ্যেও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়। অনেকে এদিনটিকে গুড়িপাড়োয়া ও উগাদি বলে উদযাপন করেন, আবার কেউ কেউ বৈশাখী ও পয়লা বৈশাখ উদযাপন করে। এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি আসলে ফসল কাটার উৎসব। সেই কারণেই মানুষজন অনেক আনন্দ ও ভক্তির সঙ্গে দিনটি উদযাপন করা হয়।

    একনজরে দেখে নেব কোথায় কী নামে পালিত হয় বিশেষ দিনটি

     বিহু

    বহাগ বিহু অসম, মণিপুর, বাংলার কিছু প্রান্তে এই সময়ে উদযাপিত হয়। জানা যায়, অসমের মেয়েরা বছরে তিনবার বিহু উদযাপন করে।

    এই বিহুর দিন মাংস, চিড়া ও পিঠা জাতীয় খাবার তৈরি করা হয় বাড়িতে বাড়িতে। একে অপরকে উপহার বিনিময়ও করেন তারা। বড়দের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেন ছোটরা, নতুন জামা কাপড় পরে ঐতিহ্যবাহী বিহু উৎসবে মেতে উঠতে দেখা যায় অসমীয়াদের।

    পুঠাণ্ডু

    আমাদের এখানে যেদিন পয়লা বৈশাখ (Bengali New Year) পালিত হয়, নববর্ষের হালখাতা করি আমরা। দক্ষিণ ভারতে তামিলনাড়ুতে সেদিন পুঠাণ্ডু উৎসব পালন করা হয়।

    বাড়ি ঘর পরিষ্কার করে আলো দিয়ে সাজানো হয় বাড়ি। এছাড়াও সকলের বাড়িতে বিভিন্ন পূজোর আয়োজন করা হয়। স্থানীয় মন্দিরগুলিতে বছরের প্রথম দিন দেবমূর্তি দর্শন করে অনেকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নেন। নতুন জামা কাপড় পরে একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় ও খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে দিয়ে পালন করা হয় বিশেষ দিনটি।

    বৈশাখী

    বছরের এই সময় উত্তর ও মধ্য ভারতে বৈশাখী উৎসব উদযাপন করা হয়। জানা যায় ১৬৯৯ সালে এইদিন দশম শিখগুরু গুরু গোবিন্দ সিং ধর্ম অনুসরণ করার কথা বলেছিলেন এবং খালসা প্রথার প্রবর্তন করেছিলেন।

    পঞ্জাব এবং হরিয়ানার উত্তর দিক ও দিল্লির কিছু অংশ এই দিনটি খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। সকলে সমবেত হয়ে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নাচ গান করেন, এছাড়া ফসল ফলনের জন্য ভগবানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনেরও দিন এটি। ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে এই দিনটি পালন করা হয়।

    বিশু

    দক্ষিণ ভারতে কেরল কর্ণাটকের কিছু অংশে বছরের এই সময় বিশু উৎসব পালিত হয়। আতশবাজি আলোর মালায় সেজে ওঠে প্রতিটি বাড়ি ঘর।

    স্থানীয়ভাবে বিশ্বুপদাক্কম নামে পরিচিত এই উৎসব। নতুন জামাকাপড় পড়ে রকমারির খাওয়া-দাওয়া, শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয় এই দিন। ভগবান বিষ্ণুর সামনে ফল চাল শাকসবজি অর্পণ করে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali New Year: হালখাতা থেকে মঙ্গলচিহ্ন! জানুন নববর্ষে এর ঐতিহ্য ও তাৎপর্য

    Bengali New Year: হালখাতা থেকে মঙ্গলচিহ্ন! জানুন নববর্ষে এর ঐতিহ্য ও তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র শেষে রেশ এখনও কাটেনি। এই আবহেই চলে এল নতুন (Bengali New Year) একটি বছর। গবেষক মহলের একাংশের দাবি, এইদিনেই হয়েছিল শশাঙ্কের রাজ্যাভিষেক। বাংলার ব্যবসায়ীরা নববর্ষের (Bengali New Year) প্রথম দিনটাকে হালখাতা হিসেবেও পালন করে থাকেন। পুজো হয় লক্ষ্মী-গণেশের, পাশাপাশি ক্রেতাদের মিষ্টিমুখও করানো হয়। বিতরণ করা হয় নতুন বাংলা ক্যালেণ্ডার। তাই বাংলা নববর্ষের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছে হালখাতা। টেনিদার হালখাতার খাওয়াদাওয়া, আজও নিশ্চয়ই মনে পড়ে আমাদের। বাঙালির ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এই হালখাতা।

    হালখাতা মানে কী

    বিশেষজ্ঞদের মতে, হাল মানে নতুন, হালখাতা অর্থাত্‍ নতুন খাতা। পুরনো বছরের সব হিসেব মিটিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় নতুন খাতায় হিসেব-নিকেশ করা। জানা যায়, চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে প্রজারা খাজনা পরিশোধ করতেন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে প্রজাদের মিষ্টিমুখ করাতেন জমিদাররা।

    নতুন যে খাতায় ব্যবসার হিসেব রাখা হবে, সেই খাতাটি কোনও মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুজো করিয়ে আনার প্রথা আছে। খাতার প্রথম পাতায় সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ব এঁকে দেন পুরোহিতরা। পশ্চিমবঙ্গের অনেক প্রসিদ্ধ মন্দিরে এদিন চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা যায়। কালীঘাট মন্দিরে উপচে পড়ে ব্যবসায়ীদের ভিড়। হিন্দুধর্মে স্বস্তিক চিহ্ন বিশেষ মঙ্গল বার্তা বহন করে। তাই যে কোনও পুজো বা শুভ অনুষ্ঠানে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক এঁকে দেওয়া হয়।

    বাড়িতে বা ব্যবসার স্থানে এদিন আঁকা হয়  মঙ্গলচিহ্ন 

    হালখাতা খোলার সময় স্বস্তিক চিহ্ন আঁকেন অনেকে। তবে বাঙালিদের কাছে মঙ্গল চিহ্ন আরও গুরুত্বপূর্ণ।  পুজো, শুভ অনুষ্ঠানের এই মঙ্গল চিহ্ন আঁকা হয়। একে আবার বাঙালির শাশ্বত প্রতীক পুত্তলিকাও বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই শুভ চিহ্ন নতুন নয়, প্রায় সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন নিদর্শনে দেখা গিয়েছে। কোনও পুতুল বা মানুষের নয়, এটি দেবী লজ্জা গৌরীর মূর্তির আদলে নির্মিত।

    তিনি পুরাণ মতে মাতৃকাদেবী। অনেক বিশিষ্টদের মতে, এটি পরমেশ্বরের পালনকর্তা রূপের স্বরূপ। ভগবান বিষ্ণুর চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়। মঙ্গল ঘটটিকে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ও মানব দেহের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। পঞ্চদেবতা বা পরমেশ্বরের পাঁচ রূপকেই এখানে বর্ণিত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Basanti Puja: বাসন্তী পুজোর ইতিহাস জানুন

    Basanti Puja: বাসন্তী পুজোর ইতিহাস জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী, সমাধি নামক বৈশ্যের সঙ্গে মিলে রাজা সুরথ বসন্তকালে ঋষি মেধসের আশ্রমে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। যা পরে বাসন্তী পুজো (Basanti Puja) নামে প্রসিদ্ধ হয়। দেবী দুর্গার প্রথম পুজারী হিসাবে চণ্ডীতে রাজা সুরথের উল্লেখ রয়েছে। পরে রাবণ বধের উদ্দেশে শ্রীরামচন্দ্র অকাল বোধন করেন এবং তখন থেকে দূর্গাপুজো শরৎকালে শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: ‘এবছর নৌকায় আগমন দেবী দুর্গার! জেনে নিন বাসন্তী পুজোর তিথি, শুভক্ষণ

    রাজা সুরথের কাহিনী

    রাজা সুরথকে চিত্রগুপ্তবংশী রাজা (চিত্রগুপ্তের বংশধর) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দূর্গা সপ্তশতী দেবী মাহাত্ম্য এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণে। সুরথ সুশাসক ও যোদ্ধা হিসেবে বেশ খ্যাত ছিলেন। কোনও যুদ্ধে নাকি তিনি কখনও হারেননি। কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্য একদিন তাঁকে আক্রমণ করে এবং সুরথ পরাজিত হন। এই সুযোগে তাঁর সভাসদরাও লুটপাট চালায়। কাছের মানুষের এমন আচরণে স্তম্ভিত হয়ে যান সুরথ। বনে ঘুরতে ঘুরতে তিনি মেধাসাশ্রমে পৌঁছোন। ঋষি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন। কিন্তু রাজা শান্তি পান না। এর মধ্যে একদিন তাঁর সমাধির সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জানতে পারেন, সমাধিকেও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তবুও তিনি স্ত্রী-ছেলের ভালোমন্দ এখনও ভেবে চলেছেন।

    আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু নবরাত্রি, ন’দিনে নয় দেবীর আরাধনা, কোন দিন কী পুজো?

    তাঁরা দুজনেই তখন ভাবলেন, যাদের কারণে তাদের সব কিছু হারিয়েছে, তাদের ভালো আজও তারা কামনা করছেন। ঋষিকে একথা বলায়, তিনি বলেন সবই মহামায়ার ইচ্ছা। এরপর ঋষি মহামায়ার কাহিনি বর্ণনা করেন। ঋষির উপদেশেই রাজা কঠিন তপস্যা শুরু করেন। পরে মহামায়ার আশীর্বাদ পেতেই বসন্ত কালের শুক্ল পক্ষে রাজা পুজো শুরু করেন। শুরু হয় বাসন্তী পুজো (Basanti Puja)। এই পুজো এখন কয়েকটি বাড়িতেই শুধু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Sri Ramakrishna: আজ রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি, মহাসমারোহে নানা উৎসবে পালিত হচ্ছে দিনটি

    Sri Ramakrishna: আজ রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি, মহাসমারোহে নানা উৎসবে পালিত হচ্ছে দিনটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Sri Ramakrishna) ১৮৮-তম জন্মতিথি। ঠাকুরের ভক্তরা নিজ নিজ গৃহে পালন করছে এই দিনটি এছাড়াও বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর মন্দির, জন্মস্থান কামারপুকুর , কাশীপুর উদ্যানবাটি, সারদা মায়ের বাড়ি সহ বিশ্বের যেখানে রামকৃষ্ণ মিশনের মঠ রয়েছে সর্বত্র ভক্তি-নিষ্ঠায় পালিত হচ্ছে এই দিনটি।

    বেলুড় মঠে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে দিনটি

    বেলুড় মঠে ভোর সাড়ে চারটের সময় মূল মন্দিরে রামকৃষ্ণদেবের (Sri Ramakrishna) মূর্তির সামনে মঙ্গলারতি দিয়ে জন্মোৎসব পালনের সূচনা হয়। সেখানেই হয় বেদপাঠ ও স্তবগান।  এরপর সন্ন্যাসী ও ভক্তরা খোল-করতাল সহ সারা মঠ ঘুরে কীর্তন করেন। তারপর হয় বিশেষ পুজো ও হোম।

    সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠগুলিতে। রামকৃষ্ণ বন্দনা, রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ ও ব্যাখ্যা, ভক্তিগীতি, বংশীবাদন, ভজন, যন্ত্র সংগীত, ধর্মসভা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে চলবে অনুষ্ঠান। এরই মাঝে বেলা ১১টা থেকে ভক্তদের জন্য খিচুড়ি প্রসাদও দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে করোনা পরবর্তী কালে  বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বেলুড় মঠে পালিত হচ্ছে রামকৃষ্ণদেবের (Sri Ramakrishna) জন্মতিথি উৎসব।

    ঠাকুরের (Sri Ramakrishna) জন্মভিটেতেও মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে দিনটি 

     রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Sri Ramakrishna) জন্মস্থান হুগলির গোঘাট থানার কামারপুকুর মঠে এই দিনটি পালিত হচ্ছে মহাসমারোহে। ভোরে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে ঠাকুরের পূজাপাঠ শুরু হয়। সকালে একটি শোভাযাত্রাও বের করা হয়। তাতে অংশ নেন অসংখ্য রামকৃষ্ণ ভক্ত। সারাদিন ধরে চলবে নানান ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান। এছাড়াও  প্রায় কয়েক হাজার ভক্তের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনদিন ধরে চলবে নানান ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই দিনগুলোতে অসংখ্য ভক্তরা ভিড়ে গমগম করে কামারপুকুর মঠ। স্থানীয়রা ছাড়াও দূর-দূরান্তের জেলা থেকে অসংখ্য মানুষ মঠ প্রাঙ্গণে হাজির হন। পাশাপাশি ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে মঠের কাছেই একটি মাঠে আজ থেকে শুরু হয়েছে মেলা। ১৫ দিন ধরে চলবে এই মেলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Falgun Amavasya: শিবরাত্রির পরে আজ সোমবতী অমাবস্যা, জানুন এর তাৎপর্য 

    Falgun Amavasya: শিবরাত্রির পরে আজ সোমবতী অমাবস্যা, জানুন এর তাৎপর্য 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পণ্ডিতরা বলছেন শিবরাত্রির পরের অমাবস্যা (Falgun Amavasya) বিশেষ ফলদায়ক। আবার সোমবার যে অমাবস্যা তিথি থাকে, তাকে সোমবতী অমাবস্যা (Falgun Amavasya) বলা হয়। বছরে একটি বা দুটি অমাবস্যাই সোমবারে পড়ে। তাই এর মাহাত্ম্য অন্য অমাবস্যার থেকে অনেক বেশি।   বিবাহিত মহিলারাও এই অমাবস্যার তিথিতে তাঁদের স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে উপবাস করেন এবং বট গাছের পূজা করার রীতিও দেখা যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই তিথিতে স্নান ও দান করা শ্রেষ্ঠ, এর ফলে পুণ্যফল লাভ করা যায়। পণ্ডিতদের মতে ব্যাস বলে গেছেন যে, এই তিথিতে ধ্যান বিশেষ পুণ্য ফল লাভ করা যায়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদে, একজন ব্যক্তির জন্য উন্নতির নতুন পথ খুলে যায় সোমবতী অমাবস্যার (Falgun Amavasya) ব্রতপালনে। এর পাশাপাশি পরিবারে সুখ শান্তি বিরাজ করে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পিতৃপুরুষদের ক্রোধের কারণে আমাদের অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে গৃহে কলহ ও হয় এবং ব্যক্তির উন্নতিতে বাধার সৃষ্টি হয়। 

    অমাবস্যায় (Falgun Amavasya) বট পুজোর তাৎপর্য-

    বিশ্বাসমতে, ত্রিদেব বাস করেন বট গাছে। ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর। এদিন বটগাছের মূলে জল ও দুধ নিবেদন করে ফুল, অক্ষত, চন্দন ইত্যাদি দিয়ে পূজা করতে হবে।

    ১. বট গাছটিকে একটি সুতো দিয়ে ১০৮ বার প্রদক্ষিণ করতে হবে।

    ২. বট গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালাতে হবে।

    ৩. এরপর দান করাকেও শুভ বলে মনে করা হয়।

    ৪. শাস্ত্রবিদরা বলছেন, এই নিয়মগুলি মেনে চললে পিতৃদোষ, গৃহ দোষ ও শনি দোষ দূর হয়, পরিবারে শান্তি বজায় থাকে।

     

    সোমবতী অমাবস্যায় (Falgun Amavasya) পুজো পদ্ধতি-

    ১. ব্রাহ্ম মুহূর্তে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে স্নান করা।

    ২. এই দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়।

    ৩. সোমবতী অমাবস্যার দিনে গঙ্গাস্নানের গুরুত্ব বেশি। তাই গঙ্গায় স্নান করুন।

    ৪. আপনি যদি স্নান করতে বাইরে যেতে না পারেন তবে স্নানের জলে সামান্য গঙ্গাজল যোগ করে বাড়িতে স্নান করুন।

    ৫. পণ্ডিতরা বলছেন এইদিনে ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর পূজা করুন।

    ৬. সোমবতী অমাবস্যার দিন বিবাহিত মহিলারা বট গাছের পূজা করে।

    ৭. সোমবতী অমাবস্যার দিনে ভগবান শঙ্করকে যথাযথভাবে পূজা করা হয়, এটি বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান শিবের পূজা চাঁদকে শক্তিশালী করে।

    ৮. এই দিনে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে হবে।

    ৯. পূর্বপুরুষদের পূজা করা উচিত এবং মোক্ষ কামনা করা উচিত।

    ১০. পূজার পর যেকোনও ধরনের দান করা উচিত।

    ১১. এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করাও শুভ বলে মনে করা হয়।

    আজ সোমবতী অমাবস্যার দিনে কিছু বিশেষ মন্ত্র জপ করলে সমস্ত কষ্ট লাঘব হতে পারে, আজ কোন কোন মন্ত্র জপ করবেন জানুন

    পণ্ডিতদের মতে, সোমবতী অমাবস্যার (Falgun Amavasya) দিনে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলে মানসিক ও শারীরিক বল পাওয়া যায়। পাশাপাশি আর্থিক লোকসান থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।

    ওম ভূর্ভুবঃ স্বঃ তত্সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ

    সোমবতী অমাবস্যা (Falgun Amavasya) তিথিতে স্নানের সময়ে এই মন্ত্র জপ করলে ব্যক্তি জন্মমৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পায়।

     গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু কাবেরী জলেস্মিনেসংনিধি কুরু

    সোমবতী অমাবস্যায় (Falgun Amavasya) শিবের পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র জপ করতে বলছেন পণ্ডিতরা। 

    অযোধ্যা, মথুরা, মায়া, কাশী, কাঞ্চী অবন্তিকাপুরী, দ্বারবতী জ্ঞেয়াঃসপ্তৈতা মোক্ষ দায়িকা

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

     

     

  • Shivaji: আজ শিবাজী মহারাজের জন্মদিন, জানুন তাঁর জীবনকথা

    Shivaji: আজ শিবাজী মহারাজের জন্মদিন, জানুন তাঁর জীবনকথা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী ধ্রুবদী ঐতিহাসিক উপন্যাস হল ‘মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত’। বিদেশী মোঘল শাসনের সময় শিবাজী (Shivaji) মহারাজের বীরত্বগাথা এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদের গৌরবময় উত্থানের কাহিনী লিপিবদ্ধ রয়েছে এই গ্রন্থখানিতে। রচয়িতা রমেশচন্দ্র দত্ত। এখানে অবশ্য উপন্যাসের মূল চরিত্র হলেন শিবজী। যিনি বলছেন, “যদি বিপদকে ভয় করিতাম, মোঘলদের অধীনে সামান্য জায়গীরদার মাত্র থাকিতাম”। বিপদকে পায়ের ভৃত্য করে অত্যাচারী মোঘল শাসক ঔরঙ্গজেবকে যিনি নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন, আজ তাঁর জন্মদিন। হিন্দু সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছত্রপতি শিবাজী হোক অথবা রমেশচন্দ্র দত্তের রাজা শিবজী জন্মগ্রহণ করেন ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৬৩০ সালে। রাজা শিবাজীর (Shivaji) রোমাঞ্চকর জীবন এবং বীরত্বগাথা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন ‘শিবাজী উৎসব’

    তার পরে একদিন মারাঠার প্রান্তর হইতে

                      তব বজ্রশিখা

         আঁকি দিল দিগ্‌দিগন্তে যুগান্তের বিদ্যুদ্‌বহ্নিতে

                      মহামন্ত্রলিখা।

         মোগল-উষ্ণীষশীর্ষ প্রস্ফুরিল প্রলয়প্রদোষে

                      পক্কপত্র যথা–

         সেদিনও শোনে নি বঙ্গ মারাঠার সে বজ্রনির্ঘোষে

                      কী ছিল বারতা।

    মাতা জীজাবাঈ-এর কাছে বাল্যকালে শুনতেন রামায়ণ-মহাভারতের গল্প

     
    শিবাজী মহারাজের জন্ম মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার পাহাড়ী দুর্গ শিবনেরিতে। তাঁর পিতা ছিলেন শাহজী ভোঁসলে, মাতার নাম জীজাবাঈ। শিবাজির পিতা শাহজী বিজাপুরের সুলতানের অধীনে কার্যভার গ্রহণ করায়, শিশুপুত্র শিবাজীসহ জীজাবাঈ দাদাজী কোণ্ডদেব নামে এক বিচক্ষণ ব্রাহ্মণের তত্ত্বাবধানে পুনায় থেকে যান। বালক শিবাজী (Shivaji)  সংস্কার লাভ করতে থাকেন তাঁর মাতার কাছ থেকেই। হিন্দুধর্মশাস্ত্র বিশেষত রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনীতে বালক শিবাজীর আগ্রহ ছিল খুব বেশি। মাতা জীজাবাঈ-এর কাছেই তিনি শৈশবের সংস্কার, শিক্ষা পান। ধর্মপরায়ণ মাতার কাছ থেকে প্রাপ্ত সংস্কার শিবাজীর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।  শিশুকালেই শিবাজীর মনে বীরত্ব ও দেশপ্রেমের সঞ্চার হয়েছিল মাতা জীজাবাঈ-এর কাছে বিভিন্ন গল্প শুনে।

    মাত্র ১৬ বছর বয়সে প্রথম দূর্গ জয় করেন 

    শিবাজী মহারাজ ছিলেন গেরিলা যুদ্ধের জনক।  ১৬৪৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে সর্বপ্রথম তোরণা দুর্গটি দখল করেন তিনি। এরপর একে একে বড়মতি, রায়গড়, পুরন্দর, প্রভৃতি দুর্গগুলি মোঘলদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন।  শিবাজীকে (Shivaji)  উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিজাপুরের সুলতান শিবাজীর পিতা শাহজীকে কারারুদ্ধ করেন। এরপর কিছুকাল শিবাজী নিশ্চুপ থাকেন। পরবর্তীকালে ১৬৫৬ থেকে আবার মনোনিবেশ করেন রাজ্য বিস্তারে।

    বাঘনখের সাহায্যে আফজল খাঁ-কে হত্যা করেন 


    বিজাপুরের সুলতান শিবাজীকে দমন করার জন্য সেনাপতি আফজল খাঁকে পাঠান। আফজল খাঁ শিবাজীকে (Shivaji)  শান্তিচুক্তির জন্য শান্তি শিবিরে আমন্ত্রণ জানান। চতুর শিবাজী আফজল খাঁর উপর আস্থা না রাখতে পেরে বাঘনখ নিয়ে যান। প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতেই আফজল খাঁ আলিঙ্গনের সুযোগে শিবাজীকে পিঠে ছুরির আঘাত করতে উদ্যত হলে শিবাজী লোহার তৈরি বাঘনখের সাহায্য-এ আফজল খাঁকে হত্যা করেন। সেনাপতির মৃত্যুতে বিজাপুরের সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে শিবাজী কোলাপুর দখল করে নেন।

    হিন্দু সাম্রাজ্য দিবসের সূচনা 

    জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী , ১৭৩১ বিক্রমসম্বত, ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ৬ জুন, ১৬৭৪ সালে নিজেকে রাজা ঘোষণা করেন শিবাজী মহারাজ। রাজধানী রায়গড় দুর্গে বিপুল জনসমাবেশে, মহাপণ্ডিত গাগা ভট্টের পৌরোহিত্যে শিবাজী নিজের গুরু রামদাস স্বামী এবং মাতা জীজাবাঈকে বন্দনা করে তাঁদের আশীর্বাদ গ্রহণ করলেন। ‘ছত্রপতি’ উপাধিতে ভূষিত হলেন। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের রাজ্যাভিষেকের এই দিনটিই ‘হিন্দু সাম্রাজ্য দিনোৎসব’ হিসেবে পালিত হয়।

    ১৬৮০ সালের ৩ এপ্রিল  ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ রাজধানী রায়গড়ে প্রয়াত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sankashti Chaturthi: আজ সংকষ্টী চতুর্থী, এই ব্রতপালনে কী কী ফল মেলে জানেন?

    Sankashti Chaturthi: আজ সংকষ্টী চতুর্থী, এই ব্রতপালনে কী কী ফল মেলে জানেন?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: আজ অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি হল সংকষ্টী চতুর্থী (Sankashti Chaturthi) বা সংকটহরা চতুর্থী। পার্বতী পুত্র গণেশের পূজা করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি মাসের কৃষ্ণা চতুর্থীর দিনকে বলে সংকষ্টী চতুর্থী। এই তিথিটি মঙ্গলবারে পড়লে তখন এর নাম হয় অঙ্গারকী সংকষ্টী চতুর্থী। সকল সংকষ্টী চতুর্থী তিথির মধ্যে অঙ্গারকী সংকষ্টী চতুর্থীকে অনেক বেশি পবিত্র মানা হয়।

    সংকষ্টী চতুর্থীর (Sankashti Chaturthi)  ব্রত কীভাবে পালন করা হয়

    সংকষ্টী চতুর্থী (Sankashti Chaturthi)  তিথিতে ভক্তরা কঠিন উপবাস করেন। কোনও কোনও ভক্ত জল পর্যন্ত স্পর্শ করেন না। রাত্রিতে চন্দ্র দর্শনের পর গণেশ বন্দনা করে, উপবাস ভঙ্গ করার রীতি দেখা যায়। ভক্তরা মনে করেন গণেশ বিঘ্ননাশকারী এবং বুদ্ধি ও সিদ্ধিদাতা। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিন উপবাস করলে সকল সমস্যার সমাধান হয়, সব বাধা বিপত্তি দূর হয়। চন্দ্র দর্শনের আগে গণেশের আশীর্বাদ লাভ করার জন্য গণপতি অথর্বশীর্ষ পাঠ করা হয়।

    প্রতি মাসে গণেশ বন্দনা আলাদা আলাদা নামে করা হয়। সংকষ্টী চতুর্থীর (Sankashti Chaturthi)  পূজাকে ‘সংকষ্টী গণপতি পূজা’ বলা হয়। প্রত্যেকটি ব্রতের একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। এই উদ্দেশ্যগুলি একটি ব্রতকথার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়। সংকষ্টী চতুর্থী (Sankashti Chaturthi)  ব্রতের ১৩টি ব্রতকথার উল্লেখ রয়েছে। ১২টি ব্রতকথা বছরের ১২ মাসে পাঠ করা হয়। ১৩ তম ব্রতকথাটি ‘অধিক’ বা ‘মল’ মাসে পাঠ করা হয়।

            মাস     গণেশের নাম                     পীঠের নাম

    • চৈত্র   বিকট মহাগণপতি                বিনায়ক পীঠ
    • বৈশাখ  চক্ররাজ একদন্ত গণপতি     শ্রীচক্রপীঠ
    • জ্যৈষ্ঠ   কৃষ্ণপিঙ্গল মহাগণপতি      শ্রীসংকষ্টী গণপতি পীঠ
    • আষাঢ়   গজানন গণপতি                  বিষ্ণুপীঠ
    • শ্রাবণ  হেরম্ব মহাগণপতি                গণপতি পীঠ
    • ভাদ্র  বিঘ্নরাজ মহাগণপতি           বিঘ্নেশ্বর পীঠ
    • আশ্বিন  বক্রতুণ্ড মহাগণপতি       ভুবনেশ্বরী পীঠ
    • কার্তিক  গণাধিপ মহাগণপতি          শিবপীঠ
    • মাঘ        অকুরথ মহাগণপতি            দুর্গাপীঠ
    • পৌষ  লম্বোদর মহাগণপতি           সৌরপীঠ
    • মাঘ    দ্বিজপ্রিয় মহাগণপতি               সামান্যদেব পীঠ
    • ফাল্গুন  বালচন্দ্র মহাগণপতি          আগমপীঠ
    • অধিক মাস  বিভুবন পলক মহাগণপতি   দূর্বা বিল্বপত্র পীঠ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Maghi Purnima: ভারতীয় ধর্মগুলিতে মাঘী পূর্ণিমার মাহাত্ম্য জানুন 

    Maghi Purnima: ভারতীয় ধর্মগুলিতে মাঘী পূর্ণিমার মাহাত্ম্য জানুন 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: বাংলা ক্যালেন্ডারের দশম মাস হল মাঘ। আবার রাষ্ট্রীয় শকাব্দের একাদশ তম মাস হল মাঘা। দুটো আসলে একই। মনে করা হয় মঘা নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে এই মাসের নামকরণ হয়েছে মাঘ। ভারতীয় ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মাঘ মাসের পূর্ণিমা হল অতি পবিত্র। এবছর মাঘী পূর্ণিমা হল ৫ ফেব্রুয়ারি। হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় সমাজের কাছেই মাঘী পূর্ণিমার  তাৎপর্য, ইতিহাস, মাহাত্ম্য এবং গুরুত্ব রয়েছে। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীও প্রচলিত রয়েছে এই দিনটিকে ঘিরে। আমরা সেগুলি জানব।

    হিন্দু ধর্মের প্রচলিত কাহিনী

    পুরাকালে কান্তিকা নগরীতে ধনেশ্বর নামে একজন গরীব ব্রাহ্মণ বাস করতেন। ব্রাহ্মণের কোনও সন্তান ছিলনা। ব্রাহ্মণের দিন কাটছিল খুবই দুঃখে।  ভিক্ষা করে কোনও রকমে দিন গুজরান হচ্ছিল। এমনই একদিন ভিক্ষায় বের হলেন ব্রাহ্মন, সেসময় নগরীর বাইরে কোনও এক জনৈক ধনীর বাড়িতে তিনি ঢুকলেন ভিক্ষা করতে। কিন্তু সেখান থেকে ব্রাহ্মনকে খালি হাতেই ফিরতে হল কারণ নিঃসন্তান ব্রাহ্মনকে ভিক্ষা দিতে চাননি বাড়ির মালিক। ব্রাহ্মন ঘরে ফিরে কাঁদতে লাগল আর তার স্ত্রীকে সবটা খুলে বলল। সব শুনে স্ত্রী রূপবতী উপায় খুঁজতে লাগল। তখনই জনৈক একজন এসে বলল তোমরা মা কালীর পুজো কর এবং চন্দ্রিকা দেবীর আরাধনা কর, এতে তোমরা সন্তান লাভ করতে পারবে। তাই শুনে ব্রাহ্মন নাকি মাঘী পূর্নিমার এই পুজো করে এবং ব্রাহ্মন দম্পতির সন্তান লাভ হয়।

    বৌদ্ধ ধর্মের আখ্যান

    বিশ্বাস মতে মাঘী পূর্ণিমার এই বিশেষ দিনেই ভগবান বুদ্ধ তাঁর মহাপরিনির্বাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই বিশেষ তিথিতে তাই ভগবান বুদ্ধের পুজো করা হয়। বুদ্ধের এই ঘোষণায় তাঁর ভক্তকূল শোকবিহ্বল হয়ে পড়লে ভগবান তাঁদের তখন উপদেশ দিয়েছিলেন, তোমরা শোক করোনা, জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যধি সবই এই সংসারের নিয়ম। তাকে অগ্রাহ্য করা যাবেনা। সকল প্রকার মায়া থেকে মুক্তি লাভ করতে পারলেই জীবনে কোনও দুঃখ থাকবে না। এইদিন তাই বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রদীপ পুজো করেন, আরতি করেন। বৌদ্ধদের কাছে এই দিনটির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।

    অনেক জায়গায় মাঘী পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে নানা রকমের উৎসব ও মেলা বসে। ভক্তদের বিশ্বাস এইদিন দেবতারা স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন। এই দিন নদী স্নানকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     

  • Saraswati Puja: কালনাতে ব্যাপক জনপ্রিয় সরস্বতী পুজো, এবছর কোন ক্লাব কী  থিম করল জানেন?

    Saraswati Puja: কালনাতে ব্যাপক জনপ্রিয় সরস্বতী পুজো, এবছর কোন ক্লাব কী থিম করল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবদ্বীপের রাস বলুন অথবা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো! ধুমধাম, আলোর সাজ, প্রতিমা হোক বা থিম দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই দুই শহরে। তবে দুই শহরের থেকে কোনও অংশে কম যায়না কালনার সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)। পূর্ব বর্ধমানের এই শহরে সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) উপলক্ষে ভিড় করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। পার্শ্ববর্তী নদীয়া সমেত দূরের জেলাগুলি থেকেও অসংখ্য মানুষ মাতেন কালনার সরস্বতী পুজোতে।

    কালনাতে সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) ইতিহাস

    বাকি সব পুজো থাকতে কালনাতে হঠাৎ সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) এত জনপ্রিয় হল কেন? উত্তর পাওয়া গেল শহরের বাসিন্দা সঞ্জীব দাসের কাছে। তিনি মতে, শোনা যায় কোনও একসময় একজন কুষ্ঠরোগীকে কাঁধে করে কালনার পুরনো হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর। তারপর থেকেই কালনার কয়েকজন মিলে ঠিক করে বিদ্যাসাগর যখন এই জনপদে এসেছেন, তখন তাঁর সম্মানে আমরা সবাই এবার থেকে বিদ্যার দেবীর আরাধনা করব। তখন থেকেই নাকি ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হতে থাকে কালনাতে সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)।

    এবছরের কয়েকটি পুজো

    আলোর মালা, থিমের পুজোতে এবারও জমজমাট কালনার সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)। গত ২ বছর করোনার কারণে সেভাবে পুজো হয়নি। তবে এবছর কালনার সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) ফিরেছে ঠিক তার নিজের ছন্দে।

    কালনা সপ্তর্ষি সঙ্ঘের এবছরের থিম মালয়েশিয়ার ট্যুইন টাওয়ার

    লালবাগান নটরাজ ক্লাবের থিম ভগবান বুদ্ধের মন্দির

    বারুইপাড়া দক্ষিণ বারোয়ারীর থিম কাশী বিশ্বনাথ মন্দির

    সূর্য সমিতির থিম বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয়া মন্দির

    শহরের লক্ষ্মণপাড়া ঐকতান ক্লাবের পুজো ৩০ বছরে পা দিল, তাদের থিম দেশপ্রেম

    শহরের চারবাগান সবুজ সমিতির পুজো এবছর ৫১ তে পা দিল, তাদের থিম মুখোশের আড়ালে

    যোগীপাড়া পুরাতন সঙ্ঘের থিম খড়ের প্রতিমা ও প্যান্ডেল

    অধিকারীপাড়া যুবক সঙ্ঘ ৯৯ বছরে পা দিল তাদের থিম ভাবনা

    জুবিলি স্টার ক্লাবের পুজোর ভাবনা এবার গুজরাটের স্বামী নারায়ন মন্দির, এবছর তাদের ৩০ তম পুজো

    শহরের আমলাপুকুর ইয়ংবয়েজের ৩৩ তম পুজোতে এবারের ভাবনা প্রকৃতি রতনে সাজাবো যতনে

    রূপালিকা ক্লাবের থিম এবছর বরফের দেশ

    ত্রিধারা সঙ্ঘ এবছর প্রথম পুজো করছে তাদের থিম নীলকন্ঠ ধাম

    শ্যামগঞ্জ পাড়া বারোয়ারীর ২৩ তম বছরে নিবেদন সহজ পাঠ

    শীতলা সঙ্ঘের এবছরের থিম বৃন্দাবনের কৃষ্ণ মন্দির

    বারুইপাড়া বারোয়ারীর এবছরের ভাবনা ডোকরা ও কাঁচাবাদামের প্রতিমা

    অগ্নিবীণা ক্লাবের এবছরের থিম এক টুকরো পুরুলিয়া

    সমন্বয় সঙ্ঘ এবছর করছে দিল্লির লালকেল্লা

    নেতাজী তরুণ সমিতির এবছরের থিম সুন্দরবন

    যোগীপাড়ার নিউ নবীন সঙ্ঘ এবছর ৫২ ফুটের সরস্বতী প্রতিমা করছে

    কিশোর সমিতির এবছরের থিম বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস

    বহ্নিশিখা ক্লাবের থিম বর্ণিল

    তালবোনা প্রান্তিক ক্লাবের থিম যুদ্ধ নয় বুদ্ধ চাই  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saraswati Puja: সরস্বতী পুজোর পৌরাণিক গল্পগুলি জানেন?

    Saraswati Puja: সরস্বতী পুজোর পৌরাণিক গল্পগুলি জানেন?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) গুরুত্ব বর্তমানে দেবী আরাধনার মধ্যেই আটকে নেই। পুজো পুজো ভাব প্রায় ১ মাস আগেই শুরু হয়ে যায়, বালক বা বালিকারা এইসময় মনে করে সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) দিনই কুল খাওয়া শুরু করতে হয়। এর আগে কুল খেলে পরীক্ষার ফল খারাপ হতে পারে। যেমনটা আমরা সবাই ছেলেবেলায় বা মেয়েবেলায় ভাবতাম। বয়ঃসন্ধিকালে এই পুজোর দিন মনে প্রেমভাব জাগ্রত হয়না এমন কিশোর কিশোরী খুঁজে পাওয়া যায়না। স্কুল কলেজে আলপনা, চিত্রপ্রদর্শনী, পুষ্পাঞ্জলি, পাত পেড়ে খিচুড়ি প্রসাদ গ্রহণে জমজমাট হয়ে ওঠে সরস্বতী পুজো।

    সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) সঙ্গে সম্পর্কিত পৌরাণিক কাহিনীগুলি জানব

     গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বা বিক্রমাদিত‍্যের “নবরত্ন” সভার কথা নিশ্চয় সবাই শুনেছি। এখানে অন‍্যতম শ্রেষ্ঠরত্ন ছিলেন মহাকবি কালিদাস। ঋক বৈদিক যুগ থেকেই সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) প্রচলন শুরু হলেও, দেবী সরস্বতীর পৌরাণিক আখ্যান মূলত কালিদাসের সঙ্গেই সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু কীভাবে ? আসুন জেনে নিই। 
    প্রথম জীবনে খুবই বোকা ছিলেন কালিদাস। বিভিন্ন কাহিনী অনুযায়ী তিনি থাকতেন উজ্জ্বয়িনীতে শিপ্রা নদীর তীরে। কথিত আছে উজ্জ্বয়িনীর রাজকন্যার কাছে তর্কে পরাস্ত হয়ে তাঁকে জব্দ করতে চাইছিলেন পরাজিত পণ্ডিতদের দল। পণ্ডিতরা ভাবলেন রাজকন্যার সঙ্গে একজন বোকার বিয়ে যেভাবেই হোক দিতে হবে। এতেই জব্দ করা যাবে রাজকন্যাকে।
    পথে যেতে যেতে এক জায়গায় পণ্ডিতরা দেখলেন, একজন লোক একটি গাছের ডালের ডগায় বসে তার গোঁড়ার দিকটা কুড়ুল দিয়ে কাটছে। কিন্তু কাটার পর ডালটা যে তাকে নিয়েই মাটিতে পড়বে, সেটা বোঝার মতো জ্ঞান তার নেই। ইনিই কালিদাস।
    এরপর কোনওভাবে রাজকন্যার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হল লোকটির। চরম প্রতিশোধ নিলেন পণ্ডিতরা। বিছানায় মশারির দরজা খুঁজে না পেয়ে কালিদাস  ঝাঁপ দিলেন রাজকন্যার গায়েই। এবার রাজকন্যা বুঝে গেলেন, দেশের পণ্ডিতরা তাঁর সঙ্গে এক নির্ভেজাল বোকার বিয়ে দিয়েছে!
     কালিদাস স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিলেন। মনের জ্বালায় শুরু হল কালিদাসের অনিশ্চিত পথ চলা। চলতে চলতে একটি সরোবরের ধারে এসে বিশ্রাম। ঠিক করলেন, এখানকার জলে ডুবেই প্রাণ বিসর্জন দেবেন। কিন্তু তার আগেই অবাক হয়ে কালিদাস দেখলেন, সরোবরের ঘাটের পাথরের ওপর গর্ত। মেয়েরা জল নিতে এসে ওই পাথরের ওপরেই কলসি রাখে আর তাতেই ক্ষয়ে গেছে কঠিন পাথর। দেখে কালিদাস ভাবলেন, শক্ত পাথর যদি ক্ষয় হতে পারে, তবে তার বুদ্ধি হবে না কেন! ওখানেই শুরু হলো কালিদাসের সরস্বতী তপস্যা।
    তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী সরস্বতী (Saraswati Puja) কালিদাসকে দেখা দিয়ে শ্রেষ্ঠ কবি হবার বর দিলেন। বর পেয়েই সরস্বতীর (Saraswati Puja) বরপুত্র মুখে মুখেই রচনা করে ফেললেন সরস্বতী বন্দনা।

    অনেকেই বলেন, তাঁর সাধনস্থল বীরভূম জেলার নানুরের “সরস্বতী তলা।” কেউ বলেন, তাঁর সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের ব‍র্ণনার সঙ্গে হুবহু মিলে যায় মেদিনীপুরের কাঁথি এলাকার সমুদ্র উপকূল। তাই তিনি মেদিনীপুরের কাঁথির লোক। 
    আরেকটি মতবাদ প্রচলিত আছে, বীরভূম জেলার নানুরের কাছে বেলুটি গ্রামে মহাকবি কালিদাসের আবির্ভাব ও সরস্বতী সাধনায় সিদ্ধিলাভ ঘটে। এখানে আজও রয়েছে কালিদাসের স্মৃতিবিজড়িত “সরস্বতী তলা।” 

    অপর একটি পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী সতীর আত্মদাহের পর শিবের মনে কাম ও প্রেম জাগৃত করার জন্য দেবতারা কামদেবের সহযোগিতা প্রার্থনা করেন। যাতে শিবের ধ্যানভঙ্গ হয় এবং পার্বতীর সঙ্গে তাঁর পুনরায় মিলন হয়। এ কারণে রতির সঙ্গে মিলে কামদেব শিবের ধ্যান ভঙ্গ করেন। তখনই রেগে গিয়ে শিব কামদেবকে তৃতীয় চক্ষু দিয়ে ভস্ম করে দেন। এর পর রতি বিলাপ করেন। তখন শিব রতিকে আশীর্বাদ দেন যে কামদেব আবেগ রূপে বিরাজ করবেন। শিব জানান যে, কামদেবের মৃত্যু হয়নি, তিনি অনঙ্গ। কারণ তাঁর শরীর নষ্ট হয়েছে এবং তিনি কোনও শরীরে বাস করবেন না। কামদেবকে কৃষ্ণের পুত্র প্রদ্যুম্ন রূপে শরীর লাভ করার আশীর্বাদ দিয়েছিলেন শিব। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী বসন্ত পঞ্চমীর দিন তাই কামদেবেরও পুজো করা হয়ে থাকে।

    বসন্ত পঞ্চমী হোক বা সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) এদিন হলুদ পোশাককে শুভ মানা হয়। এতে দেবী সরস্বতী সন্তুষ্ট হন বলেই ভক্তদের বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share