Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Durga Puja 2023: চাঁদপাল ঘাটের সঙ্গে বাঁকুড়ার সোমসারের মেলবন্ধন ঘটায় পালবাড়ির দুর্গাপুজো

    Durga Puja 2023: চাঁদপাল ঘাটের সঙ্গে বাঁকুড়ার সোমসারের মেলবন্ধন ঘটায় পালবাড়ির দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর (Durga Puja 2023) কটা দিন জমিদার বাড়ি সেজে উঠত আলোর রোশনাইয়ে। নহবতের মূর্ছনা আর ঢাকের বাদ্যিতে মুখর হত ঠাকুর দালান। থাকত যাত্রাপালা, কবিগান, রামলীলা, পুতুল নাচের আসর। এখন সে সব অতীত। জমিদারির রমরমা আর নেই। নেই আগের মতো পুজোর জৌলুস। তবে পরম্পরা মেনে আজও পাল পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ফি বছর ব্রতী হন দেবী দুর্গার আরাধনায়। গত কয়েক বছর কোভিডের জেরে এই পুজোর ছন্দপতন ঘটেছিল। গত বছর থেকে পুরনো ছন্দে ফেরা শুরু। এবার স্বাভাবিক ভাবেই পুজোর আয়োজনে খানিক জৌলুস বাড়াতে চাইছেন পাল পরিবারের সদস্যরা।

    ইট, কাঠ, পাথরে জমিদারির সাক্ষ্য

    জেলার অন্যতম প্রাচীন এই জমিদার বাড়ির পুজোর (Durga Puja 2023) সঙ্গে রয়েছে কলকাতার চাঁদপাল ঘাটের যোগসূত্র। কথিত আছে, যার নামে চাঁদপাল ঘাট, তাঁর পোশাকি নাম চন্দ্রমোহন পাল। তিনিই সোমসারের এই দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন৷ এই চন্দ্রমোহন পাল সেই সময় কলকাতায় বিলিতি কাপড়ের ব্যবসা করে ফুলে-ফেঁপে উঠেছিলেন। তিনিই কাপড়ের ব্যবসার জন্য গঙ্গায় গড়ে তুলেছিলেন ফেরি ঘাট, যা বর্তমানে চাঁদপাল ঘাট নামে পরিচিত। চন্দ্রমোহনবাবুই আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগে বর্ধমান রাজাদের কাছ থেকে ইন্দাসের ৬ টি মৌজা কিনে নিয়ে জমিদারির পত্তন করেন। সোমসারে গড়ে তোলেন সুবিশাল জমিদার বাড়ি। সেই বাড়ি আজও ইতিহাস বহন করে চলেছে। তবে সেই বাড়ি জুড়ে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। ২৫০ বছরের পুরনো এই বাড়ির প্রতিটি ইট, কাঠ, পাথর জমিদারির সাক্ষ্য বয়ে চলেছে আজও। চন্দ্রমোহন পাল সেই সময় সোমসারের প্রজাদের জন্য দামোদর ঘাটে কলকাতা থেকে পুজো উপলক্ষ্যে বিলিতি কাপড় আনতেন এবং বিলি করতেন গ্রাম জুড়ে।

    অষ্টমী ও নবমীতে মাসকলাই বলি (Durga Puja 2023)

    চন্দ্রমোহনের আমল থেকে এখানে হিন্দু, মুসলিম সকলেই সমান ভাবে অংশ নেন পুজোর উৎসবে। ফলে পুজোর (Durga Puja 2023) চার দিন মিলন মেলায় পরিণত হয় সোমসারের পালবাড়ির ঠাকুর দালান। পালবাড়ির সকল সদস্য, আত্মীয়স্বজন সবাই পুজোর কটা দিন সোমসারে আসেন। এই পরম্পরা সমানে চলে আসছে। সোমসার পালবাড়ির অন্যতম সদস্য উদয়কুমার পাল তাঁর ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, ছোটবেলায় এই পুজোর যে জৌলুস ও জাঁকজমক ছিল, তা দিন দিন ফিকে হয়ে আসছে। তবে সেই পুজোর গোড়পত্তনের দিন থেকে একই নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে পুজো চলে আসছে। সেই রীতি মেনে এখনও অষ্টমী ও নবমীতে মাসকলাই বলি দেওয়া হয়। এখন পঞ্জিকা দেখে বলিদান হলেও আগে বর্ধমানের রাজবাড়ির সর্বমঙ্গলা দেবীর মন্দিরের তোপধ্বনি শুনে সন্ধিক্ষণ নির্ধারণ করা হত। এখন অবশ্য সেই প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে। তবে, পাল পরিবারের দেশে-বিদেশে যেখানে যাঁরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন, তাঁরা এই দুর্গাপুজোর সময় এসে মিলিত হন। ফলে কার্যত এই পুজো চাঁদপাল ঘাটের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটায় সোমসারের। জমিদারি নেই, নেই এই পুজোর আগের মতো আড়ম্বর। তবে জমিদারির ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবার এখানে পুজোর বাদ্যি বেজে ওঠে। এবারও পাল বাড়িতে মা আসছেন। চলছে সাজ সাজ রব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পাঁচথুপির সিংহবাহিনী বাড়ির দুর্গাপুজোয় নবমীতে হয় মহিষ বলি

    Durga Puja 2023: পাঁচথুপির সিংহবাহিনী বাড়ির দুর্গাপুজোয় নবমীতে হয় মহিষ বলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে একটি ছোট্ট গ্রাম, নাম তার পাঁচথুপি। এই গ্রামের অন্যতম প্রধান উৎসব হল সিংহবাহিনী বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। শোনা যায়, এই পুজো সাতশো বছরের পুরনো। এই গ্রামে ২২ টি দুর্গাপুজো হত, তার মধ্যে ষোলটি পারিবারিক। এদের বংশধরদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৩৪৯ বঙ্গাব্দে এই মন্দিরটির নির্মাণ করেন হরিপদ ঘোষ হাজরা। তারপর জমিদার পরিবারের ষষ্ঠ পুরুষ দেবী দাস ঘোষ হাজরা আনুমানিক ১৭ শতকে হুগলি জেলার পাণ্ডুয়া থেকে অষ্টধাতু নির্মিত দেবী সিংহ বাহিনীকে প্রতিষ্ঠা করেন।

    ১২৫ ফুট উঁচু সুদৃশ্য মন্দির

    যে মন্দিরে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেটি ১২৫ ফুট উঁচু সুদৃশ্য এবং ত্রিতল বিশিষ্ট। মন্দিরের প্রথম দুটি তল অষ্টকোণ বিশিষ্ট, দোতলায় হচ্ছে মূল মন্দিরটি। আর তৃতীয় তলটি অষ্টকোণ বিশিষ্ট সরু হয়ে চূড়ার সৃষ্টি করেছে। সেই চূড়ার উপরে আমলোক এবং পতাকা দণ্ড। অষ্টধাতু নির্মিত দেবী এই পরিবারের গৃহদেবতা, যেটি প্রতিদিন পুজো (Durga Puja 2023) করা হয়। বাড়ির বর্তমান সদস্যরা জানিয়েছেন, অষ্টধাতুর মূর্তির সঙ্গে দুর্গোৎসবে মাটির প্রতিমা দেবী দুর্গা পূজিতা হন। এখানে বোধনের আগের দিন জীতাষ্টমী থেকে পুজোর সূচনা হয় এবং দশমীর দিনে প্রতিমা নিরঞ্জন।

    চতুর্দশীর দিন মায়ের পুজো শেষ (Durga Puja 2023)

    অতীতে জমিদারি প্রথা অনুযায়ী দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হলেও আজ তা সবই অতীত। সপ্তমীর দিন মধ্যরাত্রিতে পুজো হয়। বিশেষত্ব ঢাক-কাঁসর না বাজিয়ে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। যদিও পুজোপাঠ সার্ত্যক মতে হয়, তবুও প্রতিদিন পায়েস ভোগ দেওয়া হয়। এছাড়া পুজোর চার দিন দেবীর পুজোপাঠের জন্য সমস্ত নতুন পিতলের বাসন ব্যবহার করা হয়। এই বাসন প্রতিদিনই নতুন দেওয়া হয় বলে জানান বাড়ির সদস্যরা। এই সিংহবাহিনীর পুজোয় (Durga Puja 2023) অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন দুটি করে ছাগ বলি হয়, নবমীর দিন এখানে মহিষ বলির প্রচলন আছে। দশমী পুজোর বিসর্জনের পর বাড়িতে এসে অপরাজিত পুজো অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্দশীর দিন মায়ের পুজো শেষ হয়। ওইদিনও ছাগ বলি হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে পরিবারের সকল সদস্য, এমনকি যাঁরা বাইরে থাকে, সবাই একত্রে মিলিত হন। শুধু তাই নয়, এই পুজোকে কেন্দ্র করে পারিপার্শ্বিক গ্রামের লোকজনের ভিড় থাকে সব সময়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Joyrambati: জয়রামবাটিতে মা সারদার স্মৃতিধন্য মাতৃ মন্দির, ঘুরে আসতে পারেন একদিনেই

    Joyrambati: জয়রামবাটিতে মা সারদার স্মৃতিধন্য মাতৃ মন্দির, ঘুরে আসতে পারেন একদিনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারপুকুর থেকে মাত্র ৬-৭ কিমি দূরে আর একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক অন্যতম পবিত্র স্থান হল বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটি। এখানেই এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকলের “মা”, মা সারদামণি। ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর (মৃত্যু ২০ জুলাই, ১৯২০, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা) রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং শ্যামাসুন্দরী দেবীর ঘর আলো করে জন্ম নেন তাঁদের প্রথম সন্তান সারদা মুখোপাধ্যায়। যদিও প্রথমে তাঁর নাম “সারদা” ছিল না। জন্মানোর পর প্রথমে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল “ক্ষেমঙ্করী”। পরে সেই নাম পাল্টে “সারদা” রাখা হয়। তাঁর পরের ভাই-বোনদের নাম ছিল যথাক্রমে কাদম্বিনী (বোন), প্রসন্ন কুমার, উমেশ চন্দ্র, কালীকুমার, বরদাপ্রসাদ এবং অভয়চন্দ্র (ভাই)। কথিত আছে, সারদা মায়ের জন্মের (Joyrambati) আগে নাকি তাঁর বাবা এবং মা, দুজনেই দিব্যদর্শনে দেখেছিলেন যে স্বয়ং মহাশক্তি তাঁদের ঘরে তাঁদের কন্যা হয়ে জন্মগ্রহণ করতে চলেছেন।

    মা সারদার স্মৃতিতে মাতৃ মন্দির (Joyrambati)

    শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে সারদামণির বিবাহ হয় সারদার বাল্য বয়সেই। আর তার পর থেকে তিনি প্রত্যেকটি মুহূর্তে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন ঠাকুরকে। হয়ে উঠেছিলেন সকলের “মা”। হয়ে উঠেছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্ঘজননী। এই জয়রামবাটিতে মা সারদার স্মৃতিতে গড়ে তোলা হয়েছে মাতৃ মন্দির (Joyrambati)। মন্দিরের শিল্পশৈলীও অপূর্ব। অভ্যন্তরে রয়েছে মা সারদার মর্মর মূর্তি। এই মাতৃ মন্দির দর্শন করে দেখে নিন কাছেই শিহর গ্রামে শান্তিনাথ মহাদেবের মন্দির।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Joyrambati)

    যাতায়াত–কলকাতা থেকে জয়রামবাটির দূরত্ব প্রায় ১১৫-১২০ কিমি। প্রতিদিন বাস যাচ্ছে কলকাতার ধর্মতলার শহিদ মিনার বাসস্ট্যান্ড থেকে। আবার কামারপুকুরের মতোই তারকেশ্বর অবধি ট্রেনে এসে সেখান থেকে বাসেও আসা যায় এই জয়রামবাটি (Joyrambati)। থাকা-খাওয়া–কামারপুকুরের মতোই জয়রামবাটিও সকালে এসে সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় ফিরে আসা যায় কলকাতায়। আবার বেশিরভাগ মানুষই এক যাত্রায় ঘুরে নেন জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর। আর জয়রামবাটিতে থাকতে চাইলে থাকার জন্য রয়েছে মাতৃ মন্দির যাত্রী নিবাস। যোগাযোগ–অধ্যক্ষ, শ্রীমাতৃমন্দির, বাঁকুড়া-৭২২১৬১। এছাড়াও আছে বিবেকানন্দ মিশনের অতিথিশালা। যোগাযোগ–সেক্রেটারি, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন, ৭  রিভার সাইড রোড, বারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা। এছাড়াও এখানে রয়েছে কয়েকটি বেসরকারি হোটেল ও লজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarpukur: সহস্রদল পদ্মের ওপর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি! পুজোয় ঘুরে আসুন কামারপুকুর

    Kamarpukur: সহস্রদল পদ্মের ওপর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি! পুজোয় ঘুরে আসুন কামারপুকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের এক অন্যতম জনপ্রিয় এবং পবিত্র হিন্দু তীর্থস্থান হুগলি জেলা ছোট্ট, সুন্দর এবং গ্রাম্য পরিবেশে অবস্থিত “কামারপুকুর” (Kamarpukur)। শুধুমাত্র ভক্তজনদের নয়, সাধারণ পর্যটকদের কাছেও অন্যতম প্রিয় স্থান এই কামারপুকুর। বিশেষ করে যাঁরা গাছ-গাছালির ছায়ায় ঢাকা সবুজের গালিচায় বসে দু-দণ্ড সময় কাটাতে চান, তাঁদের কাছে এক আদর্শ জায়গা হল এই কামারপুকুর।

    শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মভিটে (Kamarpukur)

    অবশ্য কামারপুকুরের খ্যাতি সম্পূর্ণ অন্য কারণে। এখানে, এই মাটিতেই ১৮৩৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন যুগাবতার শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। এখানে রয়েছে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্মৃতিতে গড়ে তোলা মন্দির। মন্দিরের অভ্যন্তরে রয়েছে সহস্রদল পদ্মের ওপর বসা শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি। মন্দিরের শিল্পশৈলীও দেখার মতো। প্রতিদিন ভোর ৪ টের সময় এখানে হয় মঙ্গলারতি। ফাল্গুন মাসে ঠাকুরের আবির্ভাব তিথিতে এখানে বিশেষ পুজো হয়। সেই দিন এখানে এই বিশেষ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। রীতিমতো মেলার চেহারা নেয় সেদিন এই কামারপুকুর। এছাড়াও দেখে নেওয়া যায় রঘুবীর মন্দির, যুগী শিবমন্দির, ঠাকুরের ভিটেবাড়ি, তাঁর ভিক্ষামাতা ধনী কামারনির বাড়ি প্রভৃতি। এখান থেকে সামান্য কিছু দূরে শিহর গ্রামে রয়েছে শ্রী রামকৃষ্ণর নিত্য সহচর ও ভাগ্নে হৃদয়ের বাড়ি। যেতে পারেন প্রায় দেড় কিমি দূরে বিশালাক্ষী মন্দিরটি দর্শন করতেও। আবার ইচ্ছে হলে ঘুরে নেওয়া যায় কাছেই সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে বর্ণিত সেই বিখ্যাত “গড় মান্দারণ”ও (Kamarpukur)।

    কীভাবে যাবেন, থাকার কী ব্যবস্থা? (Kamarpukur)

    কলকাতা থেকে কামারপুকুরের দূরত্ব প্রায় ১১০ কিমি। কলকাতার ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাস যাচ্ছে। যেতে সময় লাগে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। আবার তারকেশ্বর অবধি ট্রেনে এসে সেখান থেকে বাসেও আসা যায় কামারপুকুর। এখানে সকালে এসে সারাদিন ঘুরে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা যায় কলকাতায়। আবার কেউ যদি এখানে একটি রাত কাটাতে চান, তবে থাকতে পারেন শ্রী রামকৃষ্ণ মঠের অতিথি নিবাসে। এর জন্য যোগাযোগ করতে হবে এই ঠিকানায়>অধ্যক্ষ, শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ, কামারপুকুর, হুগলি-৭১২৬১২। এছাড়াও আছে দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের অতিথিশালা (ফোন-০৩২১১  ২৪৪৬৬২)। এছাড়াও এখানে রয়েছে কয়েকটি বেসরকারি হোটেল ও লজ (Kamarpukur)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: বারুইপুরের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং

    Durga Puja 2023: বারুইপুরের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিদারি প্রথা চলে গিয়েছে। কিন্তু আজও জমিদারি প্রথার রীতি বহন করে ১৪১ বছর ধরে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) হয়ে আসছে বারুইপুরের রামনগরের ঘোষবাড়িতে। ইংরেজ আমলে তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং ছিলেন জমিদার নরেন ঘোষের অতি ঘনিষ্ঠ। তাই ক্যানিং যাওয়ার পথে দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন লর্ড ক্যানিং। পুজোয় কয়েক ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। ছাগ বলি প্রথা বন্ধ হয়ে গেলেও নিয়ম করে আখ, চালকুমড়ো বলি হয়ে আসছে পুজোয়। অষ্টমীর দিন ঘোষবাড়ির পুজোয় নিরামিষ আহার খেতেই ভিড় জমান গ্রামের লোকজন, এমনই বললেন পরিবারের প্রবীণ সদস্য মলয় ঘোষ।

    ইংরেজ আমলে ঘোষবাড়িতে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)

    রামনগরের ঘোষ বাড়ির প্রথম জমিদার ছিলেন কৈলাস ঘোষ। তাঁর নামানুসারে বাড়ির নাম কৈলাস ভবন। কৈলাসবাবুর ছেলে নরেন ঘোষ ইংরেজ আমলে ঘোষবাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন। বাড়ির দুর্গা দালানে এখন চলছে প্রতিমা তৈরির জোর প্রস্তুতি। কয়েকদিন পরেই সাজ সাজ রব পড়ে যাবে জমিদার বাড়িতে। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন ঘোষ পরিবারের সদস্যরা। সবাই পুজোর কয়েকদিন মিলিত হয়ে যান ঘোষবাড়ির দুর্গা দালানে (Durga Puja 2023)। আগে ষষ্ঠীর দিন রাঁধুনি সোনা ঠাকুরের কচু, দেশি চিংড়ির ঝোল রান্না খেতে প্রচুর মানুষের সমাগম হত। অষ্টমীর দিন এখনও নিরামিষ লুচি, ফুলকপির ডালনা খেতে গ্রামের মানুষজন আসেন। তবে সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সপ্তমী থেকে দশমী চালকুমড়ো বলি হয়। সন্ধি পুজো দেখতেই আশপাশের গ্রামের মহিলারাও জড়ো হয়ে যান।

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে পুজো (Durga Puja 2023)

    প্রবীণ সদস্য মলয় ঘোষ বলেন, ইরেজ আমলে বারুইপুর থেকে ক্যানিং যাওয়ার রাস্তা ছিল মাটির। তাই ক্যানিং যাওয়ার সময় বড়লাট লর্ড ক্যানিং তাঁর ফিয়ট গাড়ি বাড়ির পিছনে রেখে দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে ক্যানিং যেতেন। পূর্বপুরুষ নরেন ঘোষের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দুর্গাপুজোয় তিনি বাড়িতে এসে পুজো দেখেওছিলেন। এছাড়া প্রায় সময়ই ইংরেজ সাহেবরা তাঁদের গাড়ি রাখার জন্য আসতেন বাড়িতে। পরিবারের আর এক সদস্য প্রিয়জিত সেন বলেন, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে আমাদের পুজো (Durga Puja 2023) হয়ে আসছে। জমিদারি প্রথার রীতি মেনেই বিসর্জনের দিন কাঁধে করেই ঢাক ঢোল বাজিয়ে মাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির পুকুরে। সেই পুকুর হেদুয়ার পুকুর বলে এলাকায় পরিচিত। এই পুকুরেই ইংরেজ সাহেবরাও স্নান করতে আসতেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: কান্দির দত্ত পরিবারের পুজোয় অন্ন নয়, মাকে ৩ দিনই দেওয়া হয় লুচি ভোগ

    Durga Puja 2023: কান্দির দত্ত পরিবারের পুজোয় অন্ন নয়, মাকে ৩ দিনই দেওয়া হয় লুচি ভোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির জজান গ্রামে দত্ত পরিবারের দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) এবার ১৮৫ বর্ষে পদার্পণ করল। কথিত আছে, তৎকালীন সময়ে প্রাণকৃষ্ণ দত্ত নামে এক বণিক ভরতপুরের ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে দেবী দশভূজার স্বপ্ন দেখতে পান। তারপরই তিনি এই দুর্গাপুজো শুরু করেন। সেই সময় থেকে এই ২০২৩ সাল পর্যন্ত উমা বন্দনায় মেতে ওঠে গোটা জজান গ্রাম সহ পারিপার্শ্বিক গ্রামগুলি।

    মা দুর্গার বাহন নৃসিংহ (Durga Puja 2023)

    মা দুর্গার বাহন আমরা জানি সিংহ। কিন্তু এখানে মা দুর্গার বাহন নৃসিংহ বা নরসিংহ অবতার। সাবেকি মূর্তিতে প্রথম থেকেই এই দেবীকে পুজো করার রীতি চলে আসছে বলে জানান অসিতকুমার দত্ত। এই পুজোয় আজ পর্যন্ত বনেদিয়ানার ছাপ (Durga Puja 2023) স্পষ্ট। পুজোকে কেন্দ্র করে দত্ত বাড়ির সঙ্গে এলাকার মানুষের উদ্দীপনা থাকে দেখার মতো। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বোধনের দিন থেকে নবমীর দিন পর্যন্ত প্রতিদিন দু’বেলা করে টেকরা বাজে। তাঁদের দাবি, এই ধরনের বাজনা অনেক জায়গায় দেখতেই পাওয়া যাবে না। টেকরা এক ধরনের বাজনা, ওর সঙ্গে থাকে সানাই।

    কোনও অন্ন ভোগের ব্যবস্থা নেই (Durga Puja 2023)

    এই দুর্গাপুজোয় কোনও অন্ন ভোগের ব্যবস্থা নাই। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী- দু’বেলা মাকে লুচি ভোগ এবং ওর সঙ্গে সাত রকম ভাজা দেওয়া হয়। এখানের পুজো পুরোপুরি বৈষ্ণব মতে হয়। প্রবীর দত্ত নামে এক সদস্য জানান, মায়ের পুজোর এই তিন দিন মা দুর্গাসহ সাত জনকে প্রতিদিন শরবত দেওয়া হয়। তিনি বলেন, কোনও অতিথি বাড়িতে এলে আমরা যেমন প্রথমেই তাঁকে শরবত দিই, ঠিক তেমনি মা বাড়িতে আসার কারণে তাঁদেরকে শরবত দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, বিসর্জনের (Durga Puja 2023) সময় ৩০-৪০ জন মানুষ কাঁধে করে মাকে নিয়ে যাবেন। তারপর সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সামনে পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পুত্রকন্যা নয়, দেবী দুর্গা ঘটক পরিবারের পুজোয় আসেন জয়া-বিজয়ার সঙ্গে

    Durga Puja 2023: পুত্রকন্যা নয়, দেবী দুর্গা ঘটক পরিবারের পুজোয় আসেন জয়া-বিজয়ার সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উমা আসছেন ঘরে ঘরে (Durga Puja 2023)। শিউলির গন্ধ আর কাশফুলের শুভ্রতায় প্রকৃতিও আহ্বান করতে প্রস্তুত ঘরের মেয়ে উমাকে। কৈলাস থেকে সপরিবারে আসছেন দেবী দুর্গা বাঙালির মন্দিরে মন্দিরে। কিন্তু মলানদিঘির ঘটক পরিবারের দেবী দুর্গা পুত্রকন্যাদের সঙ্গে নয়, দুই সখী জয়া-বিজয়ার সঙ্গে আসেন এবং চারদিন ধরে ধুমধামের সঙ্গে পূজিতা হন। কিন্তু এমন কেন? পুত্র-কন্যা নয়, দুই সখী জয়া-বিজয়া কেন? প্রশ্নের উত্তরে দুই প্রবীণ সদস্য গিরিজাশঙ্কর ভট্টাচার্য এবং শ্যামাচরণ ভট্টাচার্য বলেন, “দেবীর সৃষ্টির মধ্যেই এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। দেবীর সৃষ্টি হয় ধ্যানের মন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সেই সময় তাঁর পুত্রকন্যাদের সৃষ্টি হয়নি। দেবী মহিষাসুর বধে যান তাঁর দুই সখী জয়া-বিজয়াকে নিয়ে। দেবীর রণংদেহী মূর্তির আরাধনা করা হয় তাই পুত্রকন্যাদের সঙ্গে নয়, তাঁর সঙ্গে থাকেন দুই সখী”।

    ভট্টাচার্য কীভাবে হয়ে গেল ঘটক?

    কাঁকসা থানার মলানদিঘির ঘটক পরিবার। আসলে এই পরিবারের আদি পদবী ছিল ভট্টাচার্য। হেতমপুরের মহারাজা মলানদিঘির ভট্টাচার্য পরিবারকে সংস্কৃত ভাষায় শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত হওয়ার জন্য ঘটক পদবী উপাধি হিসাবে দেন। সেই থেকেই এই পরিবার মলানদিঘির ঘটক পরিবার (Durga Puja 2023) নামেই পরিচিত। মলানদিঘির ঘটক পরিবার সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত পরিবার। এই পরিবারের এক গর্বের ইতিহাস রয়েছ। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত পরিবারের ইতিহাস গর্বে ভরিয়ে দেয় জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের। শ্যামাচরণ ভট্টাচার্যের পিতা ছিলেন কাব্যতীর্থ অন্নদাচরণ ভট্টাচার্য আর গিরিজাশঙ্কর ভট্টাচার্যের পিতা ছিলেন সপ্ততীর্থ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন বিধবা বিবাহ নিয়ে বিভিন্ন শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতের কাছে মতামত নিচ্ছিলেন, সেই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় মলানদিঘির ঘটক পরিবারের বিখ্যাত শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত ন্যায়রত্ন তর্কালঙ্কার বিষ্ণুপদ ভট্টচার্য মহাশয়ের কাছে পরামর্শ চেয়ে চিঠি পাঠান। বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য শাস্ত্র ব্যাখ্যা করে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে দেখান বিধবা বিবাহ হিন্দু শাস্ত্রমতে শাস্ত্রসম্মত। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পত্রালাপ হয় উভয়ের মধ্যে। জানা গিয়েছে, সেই চিঠি আর এখন ঘটক পরিবারের হাতে নেই। পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক সেই চিঠিগুলি গবেষণার জন্য নিয়ে যান। কিন্তু তারপরে আর ফেরত দেননি তিনি। এভাবেই মহামূল্যবান চিঠি হাতছাড়া হয়ে যায় ঘটক পরিবারের সদস্যদের হাত থেকে।

    আনুমানিক ৪০০ বছরের পুরনো (Durga Puja 2023)

    মলানদিঘির ঘটক পরিবারের দেবী দুর্গা ঠিক কত বছরের, তা পরিবার সূত্রে বলা সম্ভব হয়নি। অনুমান ৪০০ বছরের কাছাকাছি তাঁদের পরিবারের এই দেবী দুর্গা। কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তারও কোনও ইতিহাস নেই বর্তমান প্রজন্মের কাছে। ঘটক পরিবারের দেবীর আরাধনা (Durga Puja 2023) সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিবারের দেবীর আরাধনায় শুদ্রজাত কোনও ব্যক্তির দান গ্রহণ করা হয় না। সপ্তমীর দিন নবপত্রিকা আনা হয়। পরিবারের নিজস্ব তালপাতার পুঁথি থেকে পাঠ করা হয় মন্ত্র। এই মন্ত্র আসলে ধ্যান মন্ত্র। মহাষ্টমীতে সন্ধীপুজোর আগে এক চক্রাকারের ভিতরে প্রাকৃতিক রঙে আটতি পদ্ম আকারের পাপড়ি আঁকা হয়। এই সময় তালপাতার পুঁথি থেকে ধ্যান মন্ত্র পাঠ করা হয়। এরপরে বলি দেওয়া হয় চালকুমড়ো এবং আখ। পুর্বে ঘটক ছাগবলির প্রথা ছিল। কিন্তু প্রায় ৫৫ বছর আগে অন্নদাচরণ ভট্টাচার্য এই ছাগবলি প্রথা তুলে দিয়ে চালকুমড়ো বলি প্রথা নিয়ে আসেন। পরিবারের গৃহবধূদের মধ্যে সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে সিঁদুর খেলার প্রচলন আছে। সপ্তমীতে নবপত্রিকা আসার পরে, অষ্টমীতে বলির পরে এবং বিজয়াতে নিরঞ্জনের জন্য বরণের পরে। মহিলারা নবপত্রিকা নিরঞ্জনের পরে নবপত্রিকার ভিতরে থাকা হলুদ প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: আউশগ্রামের কালিকাপুর রাজবাড়ির পুজোয় বোধন হয় ১৩ দিন আগে!

    Durga Puja 2023: আউশগ্রামের কালিকাপুর রাজবাড়ির পুজোয় বোধন হয় ১৩ দিন আগে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান রাজার দেওয়ান ছিলেন পরমানন্দ রায়। তিনি ৪০০ বছর আগে দেওয়ান ছিলেন রাজবাড়ির। রাজার সুনজরে পড়ায় তিনি কাঁকসার এক বড় অঞ্চলের জমিদারিত্ব পান। তখন তিনি সেখানে সমস্ত জঙ্গল কেটে বাড়ি বানিয়ে থাকতে শুরু করেন। তিনিই সেখানে তৈরি করেন দুর্গামন্দির থেকে পুকুর, বাগান, সমস্ত কিছুই। পরবর্তীকালে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এই বাড়ি কালিকাপুর রাজবাড়ি নামে খ্যাতি অর্জন করে। কিন্তু একটা সময় এখানে সাতজন ভাই মিলে একত্রে পুজো (Durga Puja 2023) করতেন বলে সকলে এই পুজোটিকে সাত ভাইয়ের পুজো বলেই চেনেন।

    নবমীতে দেওয়া হত মহিষ বলি (Durga Puja 2023)

    এখানে একটি আটচালা মণ্ডপে পুজো হয়, যার তিনদিক ঘেরা। অতীতের সমস্ত রীতিনীতি মেনেই এখনও পুজো হয়ে থাকে এখানে। তবে সেই জৌলুস হারিয়েছে। কৃষ্ণনবমীতে পাঁঠাবলি দিয়ে দেবীর বোধন করা হয় এই পুজোতে। এছাড়া পুজোর মধ্যেও তিনদিন বলি দেওয়ার প্রথা আছে (Durga Puja 2023)। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত বলি হয় এই রাজবাড়িতে। আগে অবশ্য নবমীতে মহিষ বলি দেওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    একাধিক ছবির শ্যুটিং

    এই বাড়িতে একাধিক ছবির শ্যুটিং হয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গয়নার বাক্স ও গুপ্তধন রহস্য। এমনকি খণ্ডহর ছবি যা মৃণাল সেন পরিচালনা করেছিলেন, তারও শ্যুটিং হয়েছিল এখানে। অভিনয় করেছিলেন নাসিরউদ্দিন শাহ, শাবানা আজমি। এই বাড়ির আনাচে কানাচে রয়েছে একাধিক ইতিহাস। পুজোর (Durga Puja 2023) কটা দিন গ্রামের সমস্ত মানুষ এই পুজো দেখতে আসেন। এখনও সেখানে গেলেই সাত ভাইয়ের পুজোর গল্প শোনা যায়।

    সপ্তমীর দিন কলা বৌকে চতুর্দোলায় স্নান

    দুর্গাপুজোয় বোধন হয় পুজোর ১৩ দিন আগে। পুজোর (Durga Puja 2023) তিন দিন হয় ছাগবলিও। পূর্ব বর্ধমানের কালিকাপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় এ ধরনের বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। প্রায় ৩৫০ বছর প্রাচীন এই পুজোর ঐতিহ্য আজও রয়ে গিয়েছে। কথিত, ৩৫০ বছর আগে এ পুজো শুরু করেন বর্ধমানের তৎকালীন মহারাজার দেওয়ান পরমানন্দ রায়। সে ধারা বজায় রেখেছেন তাঁর অষ্টম পুরুষেরা। কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকলেও পুজোর সময় তাঁরা জড়ো হন কালিকাপুর রাজবাড়িতে। আজও যেখানে মহারাজ বিজয়চাঁদ এবং মহারাজ উদয়চাঁদের নামে ফি-বছর পুজো দেওয়া হয়। দুর্গাপুজোর প্রতি দিনই টেরাকোটার প্রাচীন একটি শিবের মূর্তি পুজো হয়। এই সপ্তমীর দিন কলাবৌকে চতুর্দোলায় করে স্নান করানো হয়। দুর্গাপুজোয় এক সময় প্রতি দিনই নাটক, যাত্রানুষ্ঠান হত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: ন’টি তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবীর আরাধনায় ব্রতী সারা মল্লভূমবাসী

    Durga Puja 2023: ন’টি তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবীর আরাধনায় ব্রতী সারা মল্লভূমবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামানের ৯টি তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মল্লরাজ বংশের কুলদেবী মৃন্ময়ীর মন্দিরে সূচনা হল শারদীয়ার দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। এই পুজো বলিনারায়ণী রীতি মেনে হয়ে আসছে। তাই নবম্যাদি কল্পারম্ভে শুরু হয় পুজো। পটে আঁকা বড় ঠাকুরানি, মেজ ঠাকুরানি ও ছোট ঠাকুরানির পুজো এখানকার মুল বৈশিষ্ট্য। ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে উনবিংশতম মল্লরাজ জগৎ মল্লের প্রতিষ্ঠিত এই পুজো এবার ১০২৭ বছরে পড়ল। এই পুজো মল্লভূম তথা বিষ্ণুপুরের রাজ পরিবারের ইতিহাসকে প্রতি বছর মনে করিয়ে দেয় প্রতিটি মল্লভূমবাসীকে। মল্লরাজাদের রাজ্যপাট না থাকলেও মল্লভূম তথা সারা বিষ্ণুপুরের বাসিন্দারা আজও এই পুজোয় মাতেন। রাজ পরিবারের সদস্যরা পুজোর আয়োজন করে আসছেন যথারীতি।

    কী জানালেন পরিবারের সদস্য? (Durga Puja 2023)

    মল্লরাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য জ্যোতিপ্রকাশ সিংহ ঠাকুর বলেন, রাজ পরিবারের এই পুজোয় জৌলুস, জাঁকজমকের থেকেও প্রাধান্য দেওয়া হয় নিয়ম, নিষ্ঠার ওপর। আজও রাজ পুরোহিত মল্লভূমের হাজার বছরেরও প্রাচীন পুঁথি মেনে পুজো করে আসছেন। এখানকার রীতি অনুযায়ী মল্লভূমে আজ থেকেই সূচনা হয়ে গেল শারদ উৎসব অর্থাৎ দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023)।

    কী জানালেন পরিবারের পুরোহিত? (Durga Puja 2023)

    মল্লরাজ পরিবারের পুরোহিত সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, জিতা অষ্টমীতেই এখানে দেবীর আবাহন হয় এবং নবম্যাদিকল্পে দেবীর পুজোর (Durga Puja 2023) সুচনা হয়। এই পুজোর আচার বলিনারায়ণী রীতি অনুযায়ী হয়ে থাকে। যার সঙ্গে অন্য কোনও পুজোর মিল নেই। এক সময় দেবী মৃন্ময়ীর পুজোর জৌলুস ছিল নজরকাড়া। এখানকার কামানের তোপধ্বনি শুনে সারা মল্লভূম জুড়ে সন্ধিক্ষণ নির্ণয়ের চল ছিল। এখনও নবম্যাদিকল্প থেকে সন্ধিক্ষণ পর্যন্ত কামানের তোপধ্বনির রেওয়াজ চালু আছে। তবে আগের বিশালাকার কামান ফাটানো হয় না। আকারে অনেক ছোট কামানের তোপ দাগা হয়। আজ নটি তোপধ্বনি দিয়ে দেবীর আরাধনায় ব্রতী হলেন সারা মল্লভূমবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: ঝাড়গ্রাম শহরে সেন পরিবারের পুজোয় মহানবমীর অন্নভোগে থাকে এঁচড়ের ডালনা

    Durga Puja 2023: ঝাড়গ্রাম শহরে সেন পরিবারের পুজোয় মহানবমীর অন্নভোগে থাকে এঁচড়ের ডালনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ববঙ্গের জমিদারের পুজোয় মহানবমীতে দেবীর নৈবেদ্যর পাতে থাকত থরে থরে পাকা কাঁঠালের কোয়া। ময়মনসিংহের আকুয়াপাড়ায় সেন পরিবারের বাগানে কাঁঠাল গাছের সংখ্যাও ছিল অগুনতি। আশ্বিন মাস পর্যন্ত ফল মিলত গাছগুলি থেকে। পূর্ববঙ্গের সেই ঐতিহ্যের পুজো (Durga Puja 2023) ঠাঁইনাড়া হয়ে এখন হয় ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবায় সেন পরিবারের উত্তরসূরীদের বাড়ির চণ্ডীমণ্ডপে।

    কাঁঠালের বদলে এঁচড় (Durga Puja 2023)

    ভাদ্রের পর ঝাড়গ্রামের বাজারে পাকা কাঁঠাল মেলে না। সেনদের চারটি গাছেও এই সময় পাকা কাঁঠাল থাকে না। তাই সাবেক প্রথা ধরে রাখতে কাঁঠালের পরিবর্তে মহানবমীর দিন দেবীকে নিবেদন করা হয় এঁচড়। তবে দক্ষিণ ভারতের সেই এঁচড় কিনে আনা হয় কলকাতার বাজার থেকে। ময়মনসিংহের আকুয়াপাড়ায় সেনবাড়ির দুর্গাপুজোর জাঁক ছিল দেখার মতো। ১২৩৫ বঙ্গাব্দে পুজোটি শুরু করেছিলেন ভূস্বামী রামরতন সেনশর্মা। সেই ঐতিহ্যের পুজো (Durga Puja 2023) ঠাঁইনাড়া হয় দেশভাগের পরে। রামরতনের উত্তরসূরীরা চলে আসেন ঝাড়গ্রামে। পূর্ববঙ্গে পুজো হত একচালার প্রতিমায়। পঞ্চাশের দশকের গোড়ায় ঝাড়গ্রামে পুজো শুরু হয় ঘটে। প্রায় ছ’দশক পরে ২০১৩ সাল থেকে ফের মূর্তি গড়ে পুজো হচ্ছে। পূর্ববঙ্গের সময় থেকে ধরলে এ বার পুজোর ১৯৬তম বর্ষ। এ ছাড়াও সেনবাড়িতে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোও হয়। আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও পারিবারিক ঐতিহ্যের পুজো ও অনুষ্ঠান বন্ধ হতে দেননি রামরতনের উত্তরসুরীরা।

    নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার ছোঁয়া (Durga Puja 2023)

    পরিবারের প্রবীণ সদস্য সুবোধ সেন জানালেন, পূর্ববঙ্গের পুজোর (Durga Puja 2023) দিনগুলিতে হাজার খানেক পাত পড়ত। যাঁরা প্রসাদ গ্রহণ করতেন, তাঁদের সকলকে নতুন কাপড় ও নগদ পঞ্চাশ পয়সা দেওয়া হত। জমিদারের পুজোর সেই জৌলুস আজ ইতিহাস। তবে সেন পরিবারের পুজোয় রয়েছে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার ছোঁয়া। এখনও দর্শনার্থীদের দেবীর প্রসাদ দেওয়া হয়। দেবীপক্ষের প্রতিপদে দেবীর ঘট ওঠে। চণ্ডীপাঠও হয়। সাধ্যমতো আয়োজন হয়। পুজোর সময় পরিবারের কেউই আমিষ স্পর্শ করেন না। পুজোয় বলিদানের প্রথা নেই। সপ্তমী থেকে নবমী তিনদিনই দেবীকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয়। প্রথা অনুযায়ী, মহাষ্টমীর নৈবেদ্যে আম এবং মহানবমীর নৈবেদ্যে কাঁঠাল দিতেই হয়।

    পরিবারের সকলকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে পুজো

    সেন পরিবারের আর এক প্রবীণ সদস্য বরুণকুমার সেনের আক্ষেপ, “পূর্ববঙ্গে পুজোর (Durga Puja 2023) সময় কাঁঠাল মিলত। কিন্তু আশ্বিন মাসে ঝাড়গ্রামের বাজারে কাঁঠাল পাওয়া যায় না। সেই কারণে এখন কলকাতা থেকে এঁচড় কিনে আনা হয়। মহানবমীতে দেবীকে অন্নভোগের সঙ্গে এঁচড়ের ডালনা দেওয়া হয়। পরিবারের তরুণ সদস্য দেবব্রত সেন বলেন, “করোনা কালে এঁচড় পেতে খুবই সমস্যা হয়েছিল। তাই সেবার অনলাইনে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থার কাছ থেকে অনলাইনে এঁচড় কেনা হয়।” দেবব্রত জানালেন, পুজোর সময় দূরে থাকা সদস্যরা আসেন। পরিবারের সকলকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে পুজোর চারটে দিন ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share