Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Durga Puja 2023: সেন বাড়ির পুজোয় দেবীর ভোগের রান্নায় ব্যবহার করা হয় না তেল, হলুদ ও লবণ!

    Durga Puja 2023: সেন বাড়ির পুজোয় দেবীর ভোগের রান্নায় ব্যবহার করা হয় না তেল, হলুদ ও লবণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্গি মারাঠি আক্রমণে জর্জরিত হয়ে সেন বংশের কোনও এক বংশধর শ্যামচরণ সেন/গোবিন্দচন্দ্র সেন তাঁদের আদি নিবাস চক ইসলামপুর ত্যাগ করে বহরমপুরে চলে আসেন। পরবর্তীকালে অধুনা বহরমপুর মিউনিসিপ্যালিটির অন্তর্গত তিন নম্বর গিরিজা চক্রবর্তী লেনে প্রতিষ্ঠিত হয় সেন বাড়ির পুজো (Durga Puja 2023)। আনুমানিক ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে (সময়টি অনেক আগেও হতে পারে) সেন বাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন রাধাকৃষ্ণ সেন। যদিও এক্ষেত্রে কাণ্ডারির ভূমিকা নেন তাঁরই বাল্যবিধবা কন্যা বিন্দুবাসিনী দেবী। তবে বিন্দুবাসিনী দেবী অনেক আগে থেকেই এই বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো করতেন।

    পুজোর বৈশিষ্ট্য

    পরম্পরা অনুসারে সোজা রথের দিন পুরোহিত ও কারিগর দিয়ে প্রতিমার কাঠামোতে গঙ্গামাটি লেপানোর মাধ্যমে দুর্গাপুজো শুরু হয়। প্রতিমা গড়া হয় বাড়ির ঠাকুর দালানে। ভাদ্র মাসে সেন বাড়িতে প্রতিমা নির্মাণ বন্ধ থাকে। এটা এই বাড়ির রীতি তথা নিয়ম। সেন বাড়ির মূল পুজো (Durga Puja 2023) শুরু হয় ষষ্ঠীতে। এই সময় বাড়ির সধবা বউ কলস প্রদর্শন করেন। এরপর হয় দেবীর বোধন ও অধিবাস। ষষ্ঠীর দিন বাড়ির ঠাকুর দালানে টাঙানো হয় রচনা। সাত রকম ফল, বেলপাতা ও সোলার কদম ফুল দিয়ে তৈরি রচনা সেন বাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সেন বাড়ির সন্ধিপুজো বিশেষ বৈশিষ্ট্য বহন করে। ১০৮ পদ্ম, ১০৮ ঘের প্রদীপ এবং ১০৮ বেলপাতা দেবীকে নিবেদন করা হয়। আগে সন্ধির শুরু ও সমাপন হত শূন্যে গুলিবর্ষণের মাধ্যমে। যদিও আজ সেই প্রথা পারিবারিক কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেন বাড়ির পুজো হয় বৈষ্ণব মতে, তাই পশুবলি নিষিদ্ধ। তবে নবমীতে আখ ও চালকুমড়ো বালি দেওয়া হয়। সেন বাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য দশমীর অপরাজিতা পুজো, ঘট বিসর্জন ও দর্পণের বিসর্জনের মাধ্যমে পুজোর সমাপ্তি ঘটে। দশমীর বিকালে স্থানীয় মুটেদের ঘাড়ে চেপে বাড়ির দিকে মুখ করে দেবী বিসর্জনের জন্য যাত্রা করে।

    প্রতিমার বৈশিষ্ট্য

    সেন বাড়ির একচালার সাবেকি প্রতিমা (Durga Puja 2023)। তবে তথাকথিত খাস বাংলা প্রতিমা নয়, এটাই এ বাড়ির রীতি। সেন বাড়ির মা দুর্গা দ্বিতীয় ডানহস্তের পরিবর্তে শেষ হস্তে মহিষাসুরকে ত্রিশূল দ্বারা বধ করেন। দেবী দুর্গা একই কাঠামোতে সপরিবারে বিরাজমান। সেই ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে যে শাল কাঠের কাঠামোতে পুজো শুরু হয়েছিল, আজও সেই কাঠামোতেই পুজো হয়ে আসছে। যদিও কালের নিয়ম ও সংস্কারের প্রয়োজনে বেশ কয়েকবার কাঠামোটির সংস্কার করা হয়েছে।

    ভোগের বৈশিষ্ট্য

    সেন বাড়ির ভোগ হয় নিরামিষ। বাড়িতে দেবীকে কখনই রান্না করা অন্য ভোগ দেওয়া হয় না। পরবর্তীতে লুচি, তরকারি, পাঁচ ভাজা, পাঁপড় ও বাড়ির তৈরির নারকেল নাড়ু নিবেদন করা হয়। আর নবমীতে পাকা কলার বড়া, পটল পোড়া দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন ভোগের তালিকায় থাকে দই, ছানা, মিছরি, আদা, লেবু ও পান। দেবীর ভোগের রান্নায় কোনও রকম তেল, হলুদ ও লবণ ব্যবহার করা হয় না। তেলের পরিবর্তে গাওয়া ঘি ব্যবহার করা হয়, আর লবণের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় সন্দক লবণ। ষষ্ঠী থেকে নবমী (Durga Puja 2023) প্রতিদিন ১৭ টি করে নৈবেদ্য দেওয়া হলেও সন্ধি পুজোর সময় দেবীকে ১৯ টি নৈবেদ্য নিবেদন করা হয়। যদিও জমিদারি আমলে দেবীকে ১৭ রকমের চালের নৈবেদ্য চূড় করে দেওয়া হত। তবে আজও নৈবেদ্য প্রথমে কোনও ব্রাহ্মণের বাড়ি আগে যায়।

    পুজোর মাহাত্ম্য

    সেন বাড়ির ঠাকুর অত্যন্ত জাগ্রত। আজ থেকে বহু বছর আগে সপ্তমীর ঘট ভরে ফেরার পথে কোনও ভাবে ভুলক্রমে পুরোহিতের পা স্পর্শ করে। ওই দিনই পুরোহিতের মৃত্যু ঘটে, পুনরায় নতুন পুরোহিত দিয়ে পুজো শুরু হয়। অতীতে দুবার দেবীর কাঠামো ভাগীরথী নদীতে ভেসে গেলেও কোনও অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে দুবার তা ফেরত পাওয়া যায়। কয়েক বছর আগে তীব্র পারিবারিক বিবাদের ফলে পুজো প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ঠাকুরের মহিমায় পুজো (Durga Puja 2023) অতীতের সেই রীতি-নীতি, নিয়ম-নিষ্ঠা ও পরম্পরা বজায় রেখে আজও চলছে।

    মহিলাদের ভূমিকা

    যেহেতু এই পুজোটি বিন্দুবাসিনী দেবীর ইচ্ছা অনুসারে, তাই পরবর্তীকালে সুচন্দ্র বদনী দেবী তাঁর নিষ্ঠা, ভক্তি, একাগ্রতা ও সাধনার মাধ্যমে এই পুজোকে আগলে রাখেন। মূলত তাঁরই উদ্যোগে এই বাড়িতে কয়েক বছর সন্ধি পুজোর সময় কুমারী পুজো (Durga Puja 2023) অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ সরমা সেন আমৃত্যু পুজোর প্রতি কর্তব্য অবিচল ছিলেন।

    এই পুজো কারা করতেন

    রাধাকৃষ্ণ সেনের মৃত্যুর পর তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র যোগেশচন্দ্র সেন ও পুত্রবধূ সুচন্দ্র বদনী দেবী এই পুজোর (Durga Puja 2023) দায়িত্ব নেন। জমিদার যোগেশচন্দ্র সেনের সময়কালকে সেন বাড়ির পুজোর স্বর্ণযুগ বলা হয়। পুজো উপলক্ষ্যে সেন বাড়িতে বসত চাঁদের হাট, আসতেন কাশিমবাজারের মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী, কমলারঞ্জন রায়, স্থানীয় জমিদার হরিবাবু সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি। এই পুজোতে অনেক স্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আগমন ঘটত। সেন বাড়িতে নবমীতে বসত যাত্রার আসর। কবিওয়ালা শোনাতেন কবিগান। নবমীতে স্থানীয় মানুষের নিমন্ত্রণ থাকত। পেশায় আইনজীবী যোগেশবাবুর আমলে সেন বাড়ির পুজো উৎকর্ষতার শীর্ষে পৌঁছায়।
    পরবর্তীকালে যোগেশচন্দ্র সেন ও সুচন্দ্র বদনী দেবীর মৃত্যুর পর তাঁর বংশধররা এই পুজো চালাতে থাকেন। এ ব্যাপারে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, যোগেশচন্দ্র সেন ও সুচন্দ্র বদনী দেবীর ষষ্ঠ পুত্র স্বর্গীয় প্রশান্তকুমার সেনের নাম। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিভিল সার্ভিস অফিসার প্রশান্তবাবু পুজো পরিচালনা, সংস্কার ও অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে ওঠেনে। মূলত তাঁরই উদ্যোগে দশমীর সন্ধ্যায় দেবীর নৌকা ভাগীরথী ভ্রমণে সম্ভব হয়ে ওঠে।
    এখনও সেন বাড়িতে রীতিনীতি মেনেই সেই পুজো হয়ে আসছে এবং দূর দূরান্ত থেকে আসেন আত্মীয়-স্বজনরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: বেনারসের ১০ সন্ন্যাসী জলঙ্গি নদীর বিলে সন্ধ্যারতি করবেন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত

    Durga Puja 2023: বেনারসের ১০ সন্ন্যাসী জলঙ্গি নদীর বিলে সন্ধ্যারতি করবেন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার ধুবুলিয়ার চৌগাছা হাঁসাডাঙ্গা। এখানকার প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে সবুজের মাঝে গড়ে উঠেছে ‘মা দুর্গা আশ্রম’। সেখানকার শান্ত পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে দেশের দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন মন্দির প্রাঙ্গণে (Durga Puja 2023)। দুর্গা মন্দিরটি গড়ে উঠেছে জলঙ্গি নদীর একটি সুবিশাল বিলের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। পাশাপাশি মন্দির চত্বরে রয়েছে রংবেরঙের বাহারি ফুলের বাগান। এছাড়াও রয়েছে একাধিক আম ও পেয়ারার বাগান। সব মিলিয়ে ছোট-বড় গাছগাছালি দিয়ে সাজানো মা দুর্গা আশ্রমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নান্দনিকতা নজর কাড়ে দর্শনার্থী থেকে শুরু করে আবালবৃদ্ধবণিতাদের। পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে মন্দির প্রাঙ্গনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মন্দিরের এক ধারে রয়েছে নিরামিষ রেস্তোরাঁ। যেখানে সারা বছরই রকমারি নিরামিষ খাবারের সম্ভার লক্ষ্য করা যায়।

    মানুষজন ছুটে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে

    ধুবুলিয়ার চৌগাছা হাঁসাডাঙ্গা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী মা দুর্গা আশ্রমের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সময় কাটাতে সারা বছরই কমবেশি মানুষজন ছুটে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। বর্তমানে শরতের আগমন জানান দিয়ে যায় বিল সংলগ্ন এলাকায় গজিয়ে ওঠা ফুরফুরে সাদা মেঘের মতো কাশফুলের বাহার। যা মন্দিরের পরিবেশকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে। মন্দির প্রাঙ্গনে সারা বছরই মা দুর্গার আরাধনা (Durga Puja 2023) হয়। তবে দুর্গোৎসবের ক’দিন দেবী দুর্গার মূর্তি মন্দিরের বাইরে নিয়ে এসে পূজা-অর্চনা করেন ভক্তরা। তবে চলতি বছরে পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে সুদূর বেনারস থেকে ১০ সদস্যের এক সন্ন্যাসী দল এসে মহা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত (Durga Puja 2023) জলঙ্গি নদীর বিলে সন্ধ্যারতি করবেন। যা আশ্রমের এই বছরের পুজোর দিনগুলি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বহিরাগত দর্শনার্থীদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।

    ভোলানাথের মূর্তির সামনে হবে সন্ধ্যারতি

    আশ্রমের এক কর্মী বিদ্যুৎ ঘোষ বললেন, এখানে প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় পুজো হয়। সন্ধ্যায় হয় আরতি (Durga Puja 2023)। বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দির দর্শন করতে। সন্ধ্যায় আমরা তাঁদের হাতে ফল প্রসাদ তুলে দিই। একদিন মিষ্টান্নও দেওয়া হয়। এখানেই রয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, বিলে নৌকাও চলে। বাচ্চারা এলে খুবই উপভোগ করতে পারে। চারদিকে রয়েছে নানা ফুল গাছে ঘেরা বাগান। রয়েছে ফলের গাছ। তিনি জানান, দুর্গাপুজোয় এমন হয়েছে, একেক দিন ৫ হাজার লোক এসেছেন। জলে বাবা ভোলানাথের মূর্তির সামনে হবে সন্ধ্যারতি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: বিসর্জন নয়, দশমীতে ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয় ৪৫০ বছরের পুরনো চোঙদার বাড়ির পুজোয়

    Durga Puja 2023: বিসর্জন নয়, দশমীতে ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয় ৪৫০ বছরের পুরনো চোঙদার বাড়ির পুজোয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের ছোট্ট শহর গুসকরা। সেখানকার ঐতিহ্যবাহী চোঙদার বাড়ির দুর্গাপুজো, যার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কুনুর নদী। কথিত আছে সম্রাট শের শাহের আমলে এই বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়। প্রায় ৪৫০ বছর ধরে মহা সমারোহে বেশ রাজকীয়ভাবেই সম্পন্ন হয় এই বাড়ির পুজো (Durga Puja 2023)। বর্তমানে জৌলুস কিছুটা কমলেও পরিবারের সদস্যরা ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।

    ঘট বিসর্জন হয় না (Durga Puja 2023)

    গুসকরার জমিদার চতুর্ভুজ চোঙদারের হাত ধরেই এই পুজো শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়। জমিদার বাড়ির কেন্দ্রস্থলেই তৈরি হয় বিরাট দুর্গা মন্দির। এক সময় কলকাতার নামী কোম্পানির নট্টবাবুরা গুসকরার এই বাড়িতে গিয়ে যাত্রাপালার আসর জমাতেন। বারান্দার পলেস্তারা এখন প্রায় খসে পড়েছে। তবুও ধুমধাম করেই পুজোর (Durga Puja 2023) চারটে দিন মেতে ওঠেন বাড়ির বড় থেকে ছোট সবাই৷ যাঁরা বাইরে থাকেন, পুজোর সময় মোটামুটি সবাই একজোট হন। চোঙদার বাড়ির দুর্গাপুজোর কথা উঠলেই মনে পড়ে যাবে এখানকার রীতি ও প্রথার ছবি। যেমন, এখানে ঘট বিসর্জন হয় না, ঘট আহ্বান করা হয়৷ নিঃসন্দেহে এই প্রথা অন্যরকম একটি দিক। দশমীর দিন যে ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয়, তা রেখে দেওয়া হয় টানা এক বছর। পরের বছর ষষ্ঠীর দিন তা বিসর্জন হয়। বাড়ির বধূ মল্লিকা চোঙদার বলেন, ‘পরিবারের মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন এই ঘট বিসর্জন করা হয় না। এ ছাড়াও সপ্তমী থেকে দশমী, চার দিনই প্রদীপ জ্বেলে রাখা হয়।

    বন্দুকে ফায়ার করে সন্ধি পুজো (Durga Puja 2023)

    এক সময় কামান দাগা হত। এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এখন বন্দুকে ফায়ার করে সন্ধি পুজো শুরু হয়। শাক্ত মতে পুজো হয় এই বাড়িতে। ১৯৭৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় মারা যায় প্রচুর গবাদি পশু। সেই থেকে এখানে মোষ ও ছাগ বলি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে চালকুমড়ো বলির প্রথা চালু রয়েছে। ভোগ রান্না হয় ৫১ থালার। বাড়ির মহিলারাই সাধারণত ভোগ রান্না করেন। এছাড়াও থাকে এলাকাবাসীদের পাত পেড়ে খাওয়ানো। প্রায় ৪৫০ বছরের প্রাচীন এই পুজো নিঃশব্দে বলে দেয় ইতিহাসের কত কথা। পুজোর চারটে দিন বাড়ি মুখর হয়ে ওঠে ঢাকের আওয়াজ আর উলু-শঙ্খধ্বনিতে। সুদৃশ্য দুর্গা দালান আলো দিয়ে সাজানো হয় পুজোর (Durga Puja 2023) দিনগুলিতে।

    আগে সাতটি গ্রামের প্রজারা পুজোর দিনগুলিতে অন্নভোগ খাওয়ার নিমন্ত্রণ পেতেন। জমিদারি বিলোপের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রথা বিলুপ্ত হলেও নিষ্ঠার সঙ্গে মা আসেন চোঙদার বাড়ির এই দুর্গা দালানে। বাঁশের চোঙে রাজস্ব আসতো। তাই পদবি চোঙদার। বর্ধমান রাজার কাছ থেকে এলাকার জমিদারি পাওয়ার পর ত্রিপুরেশ্বর চোঙদার দুর্গা দালান তৈরি করেন। তার আগে তালপাতার ছাউনিতে দুর্গাপুজো হতো। জমিদারি পাবার পর পরিবারে আর্থিক সমৃদ্ধি আসে। দুর্গা দালান তৈরির পাশাপাশি জাঁকজমকের সঙ্গে দুর্গাপুজো শুরু হয়। সাতটি গ্রামে বিস্তৃত ছিল জমিদারি। পুজোর দিনগুলিতে সেই সাত গ্রামের বাসিন্দারা জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো দেখতে আসতেন। ভোগ খাওয়ার পর পালা গান, যাত্রা শুনে বাড়ি ফিরতেন তাঁরা। দুর্গা দালানের পাশে রয়েছে ভোগ ঘর। এলাকাজুড়ে রয়েছে শতাধিক উনানের ভগ্নাংশ। সেইসব উনানেই জমিদারি আমলে অন্নভোগ তৈরি হত। আশপাশের জমিদাররা নিমন্ত্রণ পেতেন। নামী শিল্পীরা আসতেন। আসতেন বর্ধমানের মহারাজের প্রতিনিধিরাও। এখন সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যরা পুজোর চারদিন বেশিরভাগ সময় এই দুর্গা দালানেই কাটান।

    দুর্গা মন্দিরে স্বেচ্ছামৃত্যু (Durga Puja 2023)

    কথিত আছে, দশমীতে চর্তুভুজ চোঙদার ও তাঁর স্ত্রী বিদ্যাসুন্দরী দেবী দুর্গা মন্দিরে (Durga Puja 2023) স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করেন। সেই থেকেই দশমীর দিনে মা দুর্গার সামনে চর্তুভুজ ও বিদ্যাসুন্দরীর শ্রাদ্ধ দেওয়া হয়। সময় ও অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলেও এখনও সেই প্রথা চালু রয়েছে। তবে সেইসব পর্ব শেষে দশমীতে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন পরিবারের মহিলারা। এখানে মা দুর্গার ছেলেমেয়েদের মধ্যে গণেশ ছাড়া অন্য কোনও দেবদেবীর বাহন নেই। সরস্বতীর শুভ্র বেশ। দেবী দুর্গা অষ্টমুখী ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে এখানে অধিষ্ঠান করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: শারদোৎসবে দুর্গাপুজো নয়, মনসা পুজোয় মাতেন বালুরঘাটের ফুলঘরাবাসী

    Durga Puja 2023: শারদোৎসবে দুর্গাপুজো নয়, মনসা পুজোয় মাতেন বালুরঘাটের ফুলঘরাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথিত আছে, প্রায় তিনশো থেকে সাড়ে তিনশাে বছরেরও বেশি সময় ধরে দুর্গার (Durga Puja 2023) আসনে মা মনসার পুজো হয়ে আসছে বালুরঘাটের ফুলঘরা গ্রামে। পুরনাে নিয়ম-রীতি এবং রেওয়াজ কিছুই বদলায়নি আজও। মায়ের কাছে নিষ্ঠা সহকারে কোনও কিছু চাইলে তা পূর্ণ হয়, এমনটাই বিশ্বাস গ্রামবাসীদের।

    কীভাবে শুরু?

    জনশ্রুতি রয়েছে, বহুকাল আগে ফুলঘরা গ্রামের অনেকেই সর্পাঘাতে মারা গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র মানুষ নয়, সর্পাঘাতে অনেক পশুও মারা গিয়েছিল। অনেক কিছু করেও সর্পাঘাতে মৃত্যু প্রতিরােধ করতে পারছিলেন না গ্রামবাসীরা। সেই সময় গ্রামের এক ব্যক্তি স্বপ্ন দেখেন, গ্রামে মনসা পুজো করলেই কেউ আর সর্পাঘাতে মারা যাবে না। এর পর আত্রেয়ী নদীতে এক দিন স্নান করতে গেলে মা মনসার কাঠামো ভেসে যেতে দেখেন তিনি। গ্রামবাসীরা সেই কাঠামো তুলে নিয়ে এসে মন্দিরে স্থাপন করে মা মনসার পুজো শুরু করেন। প্রথমে শ্রাবণ মাসে এই পুজো শুরু হয়। গােটা এলাকায় কোনও দুর্গাপুজো না হওয়ায় সেই পুজোর সময়টা বদলে শারদোৎসবে (Durga Puja 2023) মা মনসার পুজো শুরু হয়। সেই থেকে শুরু হয় দুর্গার আসনে মা মনসার পুজো।

    সবাই একত্রিত হন পুজোয়

    এখনও সেই একই নিয়ম-রীতিতেই এই পুজো করে আসছে ফুলঘরা বারােয়ারি মনসা পুজো কমিটি। পুজোর কয়েকটা দিন চন্ডী ও মনসামঙ্গল গান হয়। মেয়ে-আত্মীয়রা সব এই সব গ্রামে আসে। এখানে মা মনসার এক পাশে থাকেন দেবী লক্ষ্মী। অপর পাশে থাকেন দেবী সরস্বতী (Durga Puja 2023)। পুজোর চার দিন নিয়ম মেনে গ্রামের সকলে নিরামিষ খাবার খান। দেবী দুর্গার সমস্ত নিয়ম মেনেই ফুলঘরা গ্রামে মা মনসা পূজিতা হন। পুজোর সময় গ্রামে সবাই একত্রিত হন। আজও এই পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠেন গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। বহিরাগত শিল্পী ও স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা পুজো প্রাঙ্গনে নাটক থেকে যাত্রাগান অনুষ্ঠিত হয়। পুজোর কয়েকটা দিন মেলাও বসে ফুলঘরা গ্রামে। স্থানীয় ছেলেমেয়েরাও বেশির ভাগ সময় গ্রামেই কাটান। 

    আর কেউ সাপে কেটে মারা যাননি

    এবিষয়ে সান্ত্বনা মণ্ডল জানান, তাঁদের পূর্বসূরি গুদর মণ্ডল এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁদের জায়গাতেই পুজোটা হয় এখনও। তবে এখন বারােয়ারি হিসেবেই পুজোটা হয়। গুদর মণ্ডল বহু দিন আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করেন। তার পর থেকে এই গ্রামে সাপে কেটে বা বিষে কেউ আর মারা যায়নি। বংশ পরম্পরায় বাদ্যকর, পুরােহিত ও মৃৎশিল্পী কাজ করে আসছেন। এমনকি পুজোর বায়না দিতেও হয় না বা ডাকতে হয় না। সময় মতো চলে আসেন সকলেই। পুরােনাে সেই রীতি রেওয়াজ মেনেই আজও পুজো হয় এখানে। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শিরিষ মাহাতো জানান, পুজোর কয়েক দিন গ্রামে ফিরে আসে সব বাড়ির ছেলেমেয়েরা। পাশাপাশি গ্রামবাসীরা পুজোর কয়েকটা দিন আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। পুজোয় দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। মানত করেন তাঁরা। মানত পূরণ হলে মাকে বিভিন্ন অলঙ্কার দেন (Durga Puja 2023)। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sundarbans: ম্যানগ্রোভ অরণ্য, অজস্র দ্বীপ, ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে দেখা মিলতে পারে ‘মহারাজেরও’!

    Sundarbans: ম্যানগ্রোভ অরণ্য, অজস্র দ্বীপ, ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে দেখা মিলতে পারে ‘মহারাজেরও’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর কি কখনও সুন্দর হতে পারে? হ্যাঁ, পারে। আর যে জায়গায় বেড়াতে গেলে ভয়ঙ্করকেও সুন্দর বলে মনে হয়, তা আর কোনও জায়গা নয়, আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গেরই এক জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র “সুন্দরবন”। এখানে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ, আর গাছে সাপ। তবু এই অরণ্য সুন্দর। বলা হয়, সুন্দরী গাছের আধিক্য থাকার কারণেই নাকি এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের নাম হয়েছে সুন্দরবন (Sundarbans)।

    ১০২টি ছোট-বড় দ্বীপ

    সুন্দরী গাছ ছাড়াও এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যে আছে ধূধূল, কেওড়া, গরান, গেওয়া, গোলপাতা আর বাঘেদের লুকিয়ে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রিয় “হেতাল” গাছ। সুন্দরবনের (Sundarbans) মোট ১০২ টি ছোট-বড় দ্বীপের মধ্যে ৫৪ টি দ্বীপে জনবসতি আছে। বাকি দ্বীপগুলিতে শুধুই বাদাভূমির ওপর ম্যানগ্রোভের জঙ্গল, আর সেই জঙ্গলে বসবাসকারী অরণ্যাচারী প্রাণীর দল, যার মধ্যে আছে হরিণ, শজারু, বাঁদর, বুনো শুয়োর, বন বিড়াল, আর হ্যাঁ আছেন তিনি! বনের রাজা, স্বয়ং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। তবে তিনি চট করে কাউকে দেখা দেন না। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে তবেই মহারাজের দেখা মেলে। আর নদীর বুকে আছে কুমির। শীতকালে প্রায়শই দেখা যায়, নদীর চরে শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে বিশালাকার কুমির।

    ওয়ার্ল্ড ন্যাচারাল হেরিটেজ সাইট (Sundarbans)

    আর আছে বিভিন্ন প্রকারের পাখি। এখানে দেখা মেলে বক, শামুকখোল, নানান প্রজাতির মাছরাঙা, সিগাল, মাছ ধরা ঈগল, পানকৌড়ি প্রভৃতি পাখির। প্রায় ৪২১০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠা এই অরণ্যকে ১৯৮৪ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৭ সালে মেলে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি। ইউনেস্কো এই অরণ্যকে গ্লোবাল বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ ফরেস্ট বলে ঘোষণা করে। ১৯৮৭ সালের ১২ ডিসেম্বর এই সুন্দরবনকে ওয়ার্ল্ড ন্যাচারাল হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। গভীর অরণ্যের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে মাতলা, হোগল, বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গল প্রভৃতি নদী। সুন্দরবনের (Sundarbans) প্রাণকেন্দ্র হল সজনেখালি। এখান থেকেই জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতিপত্র দেওয়া হয়।

    ঘোরা এবং থাকা-খাওয়া (Sundarbans)

    ঘোরার জায়গা বলতে রয়েছে পাখিরালয়, বনবিবি ভাড়ানি, নেতি ধোপানির ঘাট, পীরখালি, বুড়ির ডাবরি, দোবাকি, পঞ্চ মুখানি প্রভৃতি। এগুলোর মধ্যে বহু জায়গাতেই ওয়াচ টাওয়ার আছে।যাতায়াতের উপায় কী? এক সময় ক্যানিং থেকে লঞ্চ নিয়ে সুন্দরবন (Sundarbans) যেতেন পর্যটকরা। এখন প্রায় অধিকাংশই যান গদখালি দিয়ে। এখানে থাকা-খাওয়ার জন্য রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ট্যুরিস্ট লজ “সজনেখালি ট্যুরিস্ট লজ”। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্যাকেজকারী সংস্থার নিজস্ব লজ। তবে যেহেতু এই সফরের প্রায় অধিকাংশটাই নদীবক্ষে এবং এখানে অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রর মতো থাকা-খাওয়ার হোটেল নেই, তাই এই ভ্রমণটি প্যাকেজ ট্যুরে ঘুরে নেওয়াই ভালো। অন্যথায় খরচ ও ঝামেলা, দুই-ই অনেকখানি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: উলুবেড়িয়া থেকে মা দুর্গা সপরিবারে পাড়ি দিচ্ছেন দুবাই ও লুক্সেমবার্গ 

    Durga Puja 2023: উলুবেড়িয়া থেকে মা দুর্গা সপরিবারে পাড়ি দিচ্ছেন দুবাই ও লুক্সেমবার্গ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরৎকাল মানেই কাশফুলের সমাহার ও আগমনীর বার্তা। শরতের নীল আকাশে এখন ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ভেলা। নদীর পাড়ের কাশ ফুলের সমাহার যেন সর্বত্র পুজো পুজো গন্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর হাতে অল্প কটা দিন। তাই ব্যস্ততাও এখন চরমে। শেষ মুহূর্তের পুজো (Durga Puja 2023) প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। সময় থাকতেই রাজ্যে বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন ও বাড়ির পুজোর জন্য প্রতিমার বায়না সারা হয়ে গিয়েছে। প্রতিমা শিল্পীরাও এখন শেষ মুহূর্তের কাজ সারতে ব্যস্ত। এই সবের মধ্যেই এই বছর কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে সঙ্গে নিয়ে উলুবেড়িয়ার ময়রাপাড়া থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিতে প্রস্তুত দেবী উমা। উচ্চতায় ২০ ইঞ্চির এই মাটির দুর্গা প্রতিমা এই সপ্তাহেই বিমানে করে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে। উলুবেড়িয়ার ময়রাপাড়ার মৃৎশিল্পী সঞ্জীব চন্দ্র প্রতিমাটি তৈরি করেছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই বরাত (Durga Puja 2023)

    মৃৎশিল্পী বলেন, ‘মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই আমি এই বরাত পেয়েছি। আমার একটি পেজ আছে সেখানে আমার কাজ দেখে কলকাতা নিবাসী দেবাশিষ ও তাঁর স্ত্রী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওনারাই কলকাতা থেকে বিমানে এই প্রতিমা নিয়ে দুবাইতে পাড়ি দেবেন। এই প্রতিমার (Durga Puja 2023) কাজ এখন সম্পূর্ণ। এছাড়াও গত বছর আমার তৈরি ফাইবারের প্রতিমা লুক্সেমবার্গে গিয়েছিল, এবারেও ১২ ইঞ্চির আরও একটি দুর্গা প্রতিমা লুক্সেমবার্গে যাবে।’ শুধু ভারতে নয়, দুর্গাপুজোর সময় দেশের বাইরে  বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিরাও একইভাবে আনন্দে মেতে ওঠেন। তাই বিদেশেও দুর্গা প্রতিমার চাহিদা বেশ ভালোই। ইতিমধ্যে কু্মোরটুলি থেকে দুর্গা প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দিলেও এবার উলুবেড়িয়া থেকেও দুবাই পাড়ি দিচ্ছেন মা দুর্গা।

    তৈরি করতে সময় লেগেছে ২২ দিন (Durga Puja 2023) 

    প্রতিমশিল্পী সঞ্জীব চন্দ্র আরও বলেন, ‘গত বছর আমার তৈরি কালী প্রতিমা বিদেশে গেলেও এই প্রথম আমার তৈরি দুর্গা প্রতিমা দুবাই যাচ্ছে। কলকাতার বাসিন্দা দেবাশিস সাধ্য এবং পাপিয়া সাধ্য আমাকে এই প্রতিমার (Durga Puja 2023) বায়না দিয়েছেন। প্রতিমার সমস্ত অস্ত্র এবং অলঙ্কার আমি এবং আমার স্ত্রী তৈরি করেছি। প্রতিমাটি তৈরি করতে আমার ২২ দিন সময় লেগেছে। মূলত মাটি, অ্যালুমিনিয়াম তার দিয়ে প্লাই-এর উপর তৈরি হয়েছে। এ বছর তিনি ছোট-বড় সব মিলিয়ে মোট ১০ টি প্রতিমা তৈরি করেছেন। এই বছর প্রতিমা তৈরির বরাত বিদেশ থেকে আসার কারণে যথেষ্টই আনন্দিত উলুবেড়িয়ার ময়রাপাড়ার বাসিন্দা চন্দ্র পরিবার। সামনের বছরেও এভাবেই প্রবাসে থাকা বাঙালিদের জন্য প্রতিমা তৈরিতে মনোনিবেশ করবেন। নিজের তৈরি প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দেওয়াতে যথেষ্টই খুশি শিল্পী সঞ্জীব চন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: মহিষাদল রাজবাড়ির পুজোয় ভালো ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে থাকে ধান

    Durga Puja 2023: মহিষাদল রাজবাড়ির পুজোয় ভালো ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে থাকে ধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেকার সেই জৌলুস, আড়ম্বর আজ অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু নিয়ম মেনেই প্রতিপদে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) দেখতে আজও ভিড় জমান দূরদূরান্তের পাশাপাশি  স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিমা দর্শন করতে আসেন ভিন রাজ্য, ভিন জেলার দর্শনার্থীরাও।

    অশ্বত্থ গাছের তলায় নটি ঘট ওঠে

    রানি জানকীর আমলে আনুমানিক ১৭৭৬ সালে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয়। সেই সময় থেকেই রাজবাড়ির ঠাকুরদালানে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। রাজত্ব চলে যাওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) জৌলুস কমেছে। কিন্তু, নিয়ম-আচারে ছেদ পড়েনি। তাই প্রথা অনুযায়ী মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদের দিন ঘট স্থাপন করে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। এ প্রসঙ্গে এই রাজবাড়ির সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ বলেন, ‘মহালয়ার পরের দিন রাজবাড়ির দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া অশ্বত্থ গাছের তলায় নটি ঘট ওঠে। ষষ্ঠী থেকে প্রতিদিনই ঘটপুজো হবে। সপ্তমী থেকে মূর্তি পুজো হবে। প্রতিমার একপাশে ঘট, অন্যপাশে ধান রাখা হয়। এই দুর্গাপুজো করার পরই শুষ্ক গ্রামে ধান ফলেছিল। তাই ভালো ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে ধান রাখা হয়।

    সাদা পদ্মে মায়ের পুজো

    পুজোয় ১০৮টি নীলপদ্ম দেওয়ার চলও রয়েছে, যা আসত উত্তরপ্রদেশ থেকে। কিন্তু এখন তা আর হয় না, সাদা পদ্মে মায়ের পুজো হয়। আগে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় যাত্রাপালা, ভোগ বিতরণ, কামান দেগে সন্ধিপুজো, বিসর্জনের শোভাযাত্রা সবই হত। এই রাজবাড়ির সদস্য হরপ্রসাদবাবু জানিয়েছেন, পুজোর দিনগুলিতে ঠাকুরদালানেই যাত্রা হত। রাজবাড়ির মহিলারা পর্দার আড়াল থেকে যাত্রা দেখতেন। পুজোর দিন অনুযায়ী ভোগ রান্না হত। যেমন, ষষ্ঠীতে ছয় মন, সপ্তমীতে সাত মন, অষ্টমীতে আট মন, নবমীতে নয় মন চালের প্রসাদ তৈরি করে বিতরণ করা হত। এখন তা আর সম্ভব হয় না। অষ্টমীর সন্ধ্যায় কামান দেগে রাজবাড়ি সহ আশপাশের এলাকার পুজোমণ্ডপে সন্ধিপুজো (Durga Puja 2023) শুরু হত। দশমীতে বড় নৌকায় করে শোভাযাত্রা বেরতো এবং রাজবাড়ির সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া হিজলি টাইডাল ক্যানাল হয়ে গেঁওখালিতে রূপনারায়ণ নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হত। এখন সে সবই অতীত। রাজত্ব ঘোচার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রাপালা বন্ধ হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে অবশ্য এখনও ভোগ রান্না করা হয়। কিন্তু তা যৎসামান্য।

    কামানের পরিবর্তে আতশবাজি

    এদিকে সরকার কামান দাগায় নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সেটাও ইতিহাসের খাতায় চলে গিয়েছে। এখন কামান দাগার পরিবর্তে আতসবাজির রোশনাইয়ের মধ্যে দিয়ে সন্ধিপুজো করা হয়। বিসর্জনের শোভাযাত্রাও অতীত। রাজবাড়ি লাগোয়া রাজদিঘিতেই প্রতিমা (Durga Puja 2023) বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে আড়ম্বর কমলেও ঐতিহ্যের টানে আজও বহু মানুষ মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় সামিল হন। দর্শনার্থীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধে না হয়, তার জন্য বর্তমান রাজ পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নজরে রেখেছেন। পুজোয় আগত দর্শনার্থী বা পর্যটকদের পরিষেবা দিতে রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে মূল্য দিয়ে থাকতে হবে। মহিষাদল রাজবাড়ির বর্তমান প্রজন্ম হিসাবে রাজবাড়ি দেখাশোনা করে থাকেন শংকরপ্রসাদ গর্গ ও হরপ্রসাদ গর্গ। রাজবাড়ির পুজো দেখতে এবং রাজবাড়ির অপরূপ পরিবেশের অনুভূতি নিতে আসতেই হবে মহিষাদলে।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: আয় নামমাত্র, তবুও জীর্ণ চেহারা নিয়ে এঁকে চলেছেন দেবী দুর্গার পটচিত্র!

    Durga Puja 2023: আয় নামমাত্র, তবুও জীর্ণ চেহারা নিয়ে এঁকে চলেছেন দেবী দুর্গার পটচিত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি বছর রাজ্যের পুজো (Durga Puja 2023) উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক অনুদান বাড়িয়ে চলেছেন। অথচ যাঁদের জন্য এই দুর্গাপুজো, তাঁরা পড়ে রয়েছেন সেই তিমিরেই। তাঁদের তৈরি দেবী দুর্গার পটচিত্রের দাম তো বাড়েইনি, একই সঙ্গে নেই কোনও সরকারি সাহায্য। বাধ্য হয়ে দিনের পর দিন বাড়িতে বসে স্বামী-শ্বশুরের এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন রেবাদেবীর মতো বৃদ্ধারা। বয়স ৫০ পার করেছে অনেকদিন আগে। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। তবুও জরাজীর্ণ বারান্দার নিচে বসে জনতার স্টোভে সাবুর আঠা জ্বাল দিয়ে পটচিত্র এঁকে চলেছেন ঘূর্ণির পটুয়াপাড়ার রেবা পাল।

    জীবন ধারণের একমাত্র পথ (Durga Puja 2023)

    পাল বাড়িতে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই দেখছেন শশুর ও স্বামীর পটচিত্র আঁকা। ধীরে ধীরে রেবাদেবীও স্বামী-শ্বশুরের মৃত্যুর পর তাঁদের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এসেছেন। আর এই শিল্পই এবার জীবন ধারণের একমাত্র পথ ও অবলম্বন। দেবদেবীকে নিয়ে তৈরি পটচিত্র কলকাতার কুমোরটুলি সহ রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। সারা বছর কমবেশি কাজ থাকলেও দুর্গাপুজোর সময় (Durga Puja 2023) পটচিত্রের চাহিদা থাকে বেশি। খাটুনি অনুসারে পয়সা নেই, তবুও জীবন জীবিকা নির্বাহ হিসেবে পটচিত্র শিল্পকেই বেছে নিয়েছেন রেবাদেবী।

    কী বলছেন বৃদ্ধা শিল্পী?

    দেখতে দেখতে ৫০ বছর হয়ে গেল এই কাজে। স্বামীর হেল্পার হিসেবে প্রথম জীবনে কাজ শুরু। কারণ, স্বামীর অঙ্গহানি হওয়ায় একটা হাত তিনি তুলতে পারতেন না। কলকাতায় নিজেই একা গিয়ে বিক্রি করে এসেছেন। গেছেন বিধাননগর, কুমোরটুলি। এখন একাই কাজ করছেন। সারা বছর কাজ হয়? উত্তরে তিনি বললেন, একদিনের কাজ এটা নয়। সারা বছর টুকটাক কাজ করে রাখি। কিন্তু একেকটা পটচিত্রের (Durga Puja 2023) দাম খুব কম, ১০০ টাকার মধ্যে। যে হারে পরিশ্রম করি, সেই অনুযায়ী কিছুই পাই না। সরকারি সাহায্য বলতে ওই এক হাজার টাকা বার্ধক্য ভাতা। কিন্তু এই শিল্পের জন্য কিচ্ছু সাহায্য পাই না। সবাই আসে, শুনে যায়, কিন্তু কেউই সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয় না। পরবর্তী প্রজন্ম কি এই ধরনের কাজে এগিয়ে আসছে? প্রশ্ন শুনে বৃদ্ধার সাফ জবাব, আসবে কী করে? পয়সা নেই তো। বিক্রিও যে আছে, তাও নয়। আগে দাম কম থাকলেও চাহিদা ভালোই ছিল। কিন্তু কম্পিউটার ওঠার পর থেকে সেটাও গেছে, আক্ষেপ ঝরে পড়ল বৃদ্ধার গলায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: ‘ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে’ দুর্গাপুজোয় আসতেন মহানায়ক উত্তম কুমার, ওড়াতেন ঘুড়িও

    Durga Puja 2023: ‘ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে’ দুর্গাপুজোয় আসতেন মহানায়ক উত্তম কুমার, ওড়াতেন ঘুড়িও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মুকুটটা তো পড়ে আছে, রাজাই শুধু নেই’। এ গান যিনি লিখেছিলেন, তখন কি তিনি জানতেন জানতেন যে তাঁর ভালোবাসার রাজপ্রাসাদেও এক সময় নিশুতি রাত গুমরে কাঁদবে? বাংলার প্রবাদপ্রতীম সংগীতকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান আজও বাঙালির মনের মণিকোঠায়৷ সেই পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘সালিখা হাউসের’ দুর্গাপুজোয় এক সময় আসতেন মহানায়ক উত্তমকুমার। গান গাওয়া ছাড়াও মহানায়ক ঘুড়ি ওড়াতেন ছাদ থেকে। এই বাড়িতে এসে গান গেয়েছেন অপরেশ লাহিড়ী, তবলা বাজিয়েছেন বাপী লাহিড়ীও। নানা ইতিহাসের সাক্ষী পুলক বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো (Durga Puja 2023) এবার ২৮৩ তম বর্ষে পা দিচ্ছে।

    মহালয়ার পর থেকেই ঘট পুজো 

    ‘বাবুদের বাড়ি’ নামে পরিচিতি এই বাড়িতেই প্রায় তিনশো বছর আগে আসেন জমিদার রাধামোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে বাবুডাঙ্গা নামে পরিচিত হয় এলাকাটি। এই বাড়িতেই জন্ম পুলকবাবুর, ১৯৩১ সালে। এই বাড়িতেই লেখা হয়েছে বাংলার কত কালজয়ী গান। শিল্পীর মৃত্যুর পর থেকেই জৌলুস কমেছে এই পুজোর। মহালয়ের পর থেকেই ঘট পুজো শুরু হয়ে যায়। আগে নবমীতে মোষ বলি হলেও এখন ফল বলি হয়। তবে এই পুজোয় (Durga Puja 2023) ঠাকুরকে বাসি ভোগ দেওয়া হয় দশমীতে। ঠাকুর বাইরে থেকে আনা হয় না। গায়কের বাড়ির দালানেই ঠাকুর তৈরি হয়।

    ভোগে ল্যাটা মাছ পোড়ানো

    ভাইপো সুস্মিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একই রীতি মেনে এখনও তিনি ও তাঁর পরিবার পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন। জন্মাষ্টমীতে প্রতিমায় মাটি লাগানোর কাজ শুরু হয় ঠাকুর দালানে। মহালয়ার  পরের দিন থেকে বাড়ির ঠাকুর ঘরে পুজো শুরু হয়। ষষ্ঠীতে বরণ করে শুরু হয় পুজো। সপ্তমীতে কলা বউ স্নান হয় গঙ্গায় নিজেদের ‘বাঁড়ুজ্জে ঘাটে’। অষ্টমীতে কুমারী পুজো ও ধুনো পোড়ানো হয়। সধবা পুজো এবং সন্ধি পুজো হয়৷ নবমীতে হয় ফল বলি। পুজোর (Durga Puja 2023) প্রতিদিন চণ্ডী পুজো হয়। দশমীর দিন দেবীকে দেওয়া হয় বিশেষ বাসি ভোগ, যা নবমীর দিন তৈরি করেন বাড়ির মহিলারা। সেই ভোগে থাকে পান্তা ভাত, চালতা দিয়ে মুসুর ডাল, কচুর শাক, চচ্চরি আর মূল হল ল্যাটা মাছ পোড়ানো৷ এরপর দশমীতে সন্ধ্যেবেলা বরণ হয়ে ‘বাঁড়ুজ্জে ঘাটে’ দেবীর নিরঞ্জন হয়। 

    সুস্মিতবাবু জানান, এখন বাড়িতে শুধু তাঁদের পরিবার থাকে। এভাবেই তাঁরা আগামী দিনে ঐতিহ্য বজায় রেখে পুজো (Durga Puja 2023) চালিয়ে যাবেন।

  • Durga Puja 2023: পুজোর মহাস্নানের তেল, অগরু, সুগন্ধি নিজে হাতে তৈরি করে কর্মসংস্থানের দিশা

    Durga Puja 2023: পুজোর মহাস্নানের তেল, অগরু, সুগন্ধি নিজে হাতে তৈরি করে কর্মসংস্থানের দিশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো ভারতবর্ষ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ খুবই নিষ্ঠা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে দুর্গাপুজো করে থাকেন। দুর্গাপুজোতে বেশ কিছু উপকরণের ব্যবহার করা হয়। এই সমস্ত উপকরণ একমাত্র দশকর্মা ভান্ডারেই সাধারণত পাওয়া যায়। উপকরণগুলির মধ্যে রয়েছে তিলের তেল, মহাস্নানের তেল, মহাস্নানের জল, অগরু, বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি তেল, মধু ইত্যাদি। এইসব উপকরণ ছাড়া কখনই দুর্গাপূজো (Durga Puja 2023) সম্পূর্ণ হয় না। পৌরাণিক নিয়মনীতি অনুযায়ী এই উপকরণগুলি ছাড়া দূর্গাপুজো অসম্পন্ন। আর এই সমস্ত উপকরণ নদিয়ার মাজদিয়ার বাসিন্দা সুনীল দাস নিজের হাতে তাঁর বাড়িতে তৈরি করেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তাঁর বাবার কাছ থেকেই তিনি এই ধরনের উপকরণ তৈরির পদ্ধতি শিখেছেন বলে জানান।

    নিষ্ঠার সঙ্গে তৈরি করতে হয় (Durga Puja 2023)

    সুনীল দাসের মতে, এই উপকরণগুলি তৈরি করতে হয় নিষ্ঠার সঙ্গে। যেহেতু এগুলি পুজোতে (Durga Puja 2023) ব্যবহৃত হয়, তাই তৈরি করতে কিছু নিয়ম মানতে হয়। স্নান করে, কখনও উপোস করে বা নিরামিষ খেয়ে উপকরণগুলি তৈরি করতে বসতে হয়। কখনই অনিয়ম করে এই উপকরণগুলি তৈরি করার নিয়ম নেই বলে তিনি দাবি করেন। ২৫ বছর ধরে তিনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। আলতা সিঁদুর, কৌটো সিঁদুর, পাতা সিঁদুর, অগরু, তিন রকমের তেল, মহাস্নানের জল, গোলাপ জল ,আতর, বিভিন্ন সুগন্ধি সমস্ত কিছুই একা নিজের হাতে তৈরি করতে পারেন তিনি।

    সুযোগ কর্মসংস্থানের (Durga Puja 2023)

    সুনীলবাবু বললেন, বর্তমানে এই উপকরণগুলির চাহিদা খুব। তিনি সময়মতো উপকরণগুলি তৈরি করে ফেলেন এবং সঠিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বর্তমানে একাধিক পুজো হওয়ার ফলে তার উপকরণগুলির (Durga Puja 2023) চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাঁর তৈরি উপকরণগুলি তিনি দিয়ে থাকেন রানাঘাট, কল্যাণী, চাকদা, কাঁচরাপাড়া, কৃষ্ণনগর ইত্যাদি এলাকায়। তবে তিনি সরকারের কাছে দাবি করেছেন কিছু আর্থিক সাহায্যের, যা দিয়ে তিনি একাধিক কর্মচারী নিয়োগ করে উপকরণগুলি আরও যাতে তাড়াতাড়ি ও নিষ্ঠাভাবে তৈরি করতে পারেন। যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে তিনি আরও বেশ কয়েকজনের সংসারের ভার একাই নিয়ে নিতে পারবেন বলে দাবি তাঁর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share