Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bipodtarini Puja: আজ বিপত্তারিণী পুজো, এই ব্রতর ‘তেরো’র তাৎপর্য জানেন তো?

    Bipodtarini Puja: আজ বিপত্তারিণী পুজো, এই ব্রতর ‘তেরো’র তাৎপর্য জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিপত্তারিণী পুজো। দেবী দুর্গার (Goddess Durga) ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ হল মা বিপত্তারিণী (Bipodtarini Puja)।

    সকল বিপদ থেকে রক্ষা পেতেই এই ব্রতপালন

    বিপদ থেকে সন্তান ও পরিবারকে রক্ষা করতেই বিপত্তারিণী পুজো (Bipodtarini Puja) করে থাকেন মহিলারা। স্বামী, সন্তান এবং সমগ্র পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিবাহিত মহিলারা এই পুজো করে থাকেন। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত এই পুজো করা হয়ে থাকে। সাধারণত, সোজা রথ ও উল্টো রথের মাঝে শনি ও মঙ্গলবার বিপত্তারিণীর ব্রত রাখা হয়। অম্বুবাচী চলায় অনেক জায়গায় গত শনিবার হয়নি বিপত্তারিণী পুজো। তবে, এখন অম্বুবাচী কেটে গিয়েছে। আজ মহা সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে বিপত্তারিণী পুজো।

    আরও পড়ুন: কীর্তনের জনপ্রিয়তা ফেরাতে রিসার্চ অ্যাকাডেমি, তথ্যচিত্র তৈরির উদ্যোগ

    গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো (Bipodtarini Puja) চারদিন ধরে চলে। প্রথম দিনে দেবীর আরাধনা করা হয়। মহিলারা গঙ্গা বা কোনও নদীতে স্নান করে দণ্ডী কাটেন। তারপর দুই রাত্রি ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তন চলে। চতুর্থ দিনে বিসর্জন হয়। বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মেয়েরা উপবাস করেন। হিন্দুরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করেন। 

    এই পুজোয় তেরো-র তাৎপর্য

    এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সবকিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে। ব্রতর আচার হিসেবে সব কিছু দিতে হয় তেরোটি করে। যেমন— তেরোটি নৈবেদ্য সাজাতে হয়। ব্রত পালনে লাগে তেরো রকম ফুল, তেরো রকম ফল, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরি, তেরোটি এলাচ। পুজো শেষের পর খাদ্য গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও ১৩টি খাবার খেতে হবে, যেমন – ১৩টা লুচি, ১৩ রকমের ফল, ইত্যাদি। চাল-চিঁড়ে-মুড়ি এসব খাওয়া যায় না৷

    এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ হল তাগা বা ডুরি। ১৩টি লাল সুতোয় ১৩টি গিঁট এবং ১৩টি দুর্বা ঘাস দিয়ে ডুরি (চলিত কথায় ডোর) তৈরি করতে হয়। এই ডুরি পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করতে হয়। বিশ্বাস, এই সুতো বেঁধে রাখলে স্বামী-সন্তানের উপর আসা সমস্ত বিপদ দূর হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bipodtarini Puja: কেন পালন করা হয় বিপত্তারিণী পুজো, জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    Bipodtarini Puja: কেন পালন করা হয় বিপত্তারিণী পুজো, জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী বিপত্তারিণীর (Bipodtarini Puja) ব্রত আষাঢ় মাসে রথ (Rath Yatra) এবং উল্টোরথের মাঝে যে শনি এবং মঙ্গলবার পড়ে সেই দুই দিনেই পালিত হয়। কথিত আছে, এই ব্রত পালন করার সময় দেবীর চরণে উৎসর্গকৃত ‘লাল তাগা’ হাতে বাঁধা হলে বিপদ ধারকাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

    যিনি বিপদ তারণ করেন তিনিই বিপত্তারিণী

    দেবী দুর্গা (Goddess Durga) হিন্দুধর্মের দেবী। দেবাদিদেব মহাদেবের (Lord Shiva) অর্ধাঙ্গিনী আদি শক্তি। অন্যান্য দেবী তাঁরই অবতার বা ভিন্ন রূপ। দেবী দুর্গার ১০৮ রূপের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর এক রূপ, দেবী বিপত্তারিণী (Bipodtarini Puja)। সঠিক অর্থে বিশ্লেষণ করলে ‘বিপত্তারিণী’ বা ‘বিপদনাশিনী’ দেবীর নাম নয়, উপাধি। যিনি বিপদ তারণ করেন, তিনিই বিপত্তারিণী। আসলে, মহামায়ার আলাদা করে কোনও নাম হয় কি? ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ ইনিই। আবার ‘দশমহাবিদ্যা’ও তাঁরই রূপের প্রকাশ। 

    স্বামী-সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিপত্তারিণী

    বাংলায় ঘরে ঘরে বিবাহিত মহিলারা স্বামী-সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় মা বিপত্তারিণী (Bipodtarini Puja) পুজো করেন। গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো চারদিন ধরে চলে। প্রথম দিনে দেবীর আরাধনা করা হয়। মহিলারা গঙ্গা বা কোনও নদীতে স্নান করে দণ্ডী কাটেন। তারপর দুই রাত্রি ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তন চলে। চতুর্থ দিনে বিসর্জন হয়। বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মেয়েরা উপবাস করেন। কিন্তু জানেন কি এই পুজোর মাহাত্ম্য? দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে একাধিক বৃত্তান্ত রয়েছে। দেবীর বিপত্তারিণী রূপ নিয়ে ‘মার্কণ্ডেয় পুরাণে’ কাহিনীটি বেশ জনপ্রিয়—

    কথিত আছে, শুম্ভ-নিশুম্ভ, অসুর ভ্রাতৃদ্বয়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে দেবগণ একবার মহামায়ার স্তব করছেন, এমন সময় শিবজায়া পার্বতী সেখানে হাজির হয়ে শুধালেন, “তোমরা কার স্তব করছ গো?” যাঁর স্তব, তিনি স্বয়ংই এ প্রশ্ন করছেন। কিন্তু দেবতারা তাঁকে চিনতে পারলেন না। তখন পার্বতী নিজের স্বরূপ দেখিয়ে বললেন, “তোমরা আমারই স্তব করছ।” এর পরবর্তীতে দেবী শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেন। দেবতাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। সেই থেকে বিপত্তারিণী পুজোর উৎস।

    আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি

    দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে একাধিক বৃত্তান্ত রয়েছে

    এই পুজোর একটি কাহিনি রয়েছে। ব্রতকথা অনুযায়ী, বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের এক রানির এক নিম্নবর্ণের সখী ছিলেন। তিনি জাতে মুচি। এই মহিলা নিয়মিত গোমাংস খেতেন। রানিও একদিন কৌতূহলী হয়ে গোমাংস খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। প্রথমে তিনি নিমরাজি হন। পরে তিনি রানির আদেশ রক্ষার্থ গোমাংস আনেন। অন্তঃপুরে গোমাংস প্রবেশ করেছে— এই খবর রাজার কাছে পৌঁছে যায়। তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে রানিকে শাস্তি দিতে উদ্যত হন। রানি গোমাংস তাঁর বস্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে রেখে বিপত্তারিণী মা দুর্গাকে স্মরণ করতে থাকেন। রানিকে তল্লাশি করে রাজা দেখতে পান তাঁর বস্ত্র আড়ালে গোমাংস নয়, রয়েছে একটি লাল জবা ফুল। লাল জবা কালী পুজোর অন্যতম উপকরণ। মায়ের এই পুষ্প দেখে রাজা তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। রানিকে ক্ষমা করে দেন। মা বিপত্তারিণী দুর্গার কৃপায় রানির বিপদ কেটে গেল। এরপর থেকে রানি নিষ্ঠা-সহকারে বিপত্তারিণীর ব্রত করতে থাকলেন। সেই থেকেই বিপত্তরিণীর পুজো প্রচলিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    পুজোয় তেরো সংখ্যার তাৎপর্য

    এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সবকিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে। ব্রতর আচার হিসেবে সব কিছু দিতে হয় তেরোটি করে। যেমন— তেরোটি নৈবেদ্য সাজাতে হয়। ব্রত পালনে লাগে তেরো রকম ফুল, তেরো রকম ফল, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরি, তেরোটি এলাচ। এছাড়া, বিপত্তারিণী ব্রতপালনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে হাতে বাঁধতে হয় লাল ডুরি বা ডোর বা তাগা। এই ডোর তৈরির ক্ষেত্রেও তেরো সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ। তেরো গাছা লাল সুতোর সঙ্গে তেরোটি দূর্বা রেখে তেরোটি গিঁট বেঁধে তৈরি হয় এই পবিত্র তাগা বা ডোর। বিশ্বাস করা হয় যে, এই তাগা হাতে পরলে তাঁকে কোনও বিপদ স্পর্শ করতে পরে না৷ 

    বিপত্তারিণী (Bipodtarini Puja) পুজোর শেষে সকলেই হাতে ওই তাগা বেঁধে দেওয়া হয়৷ মেয়েরা বাম হাতে ও ছেলেরা ডান হাতে এটি পরেন৷ এটি শুধু ব্রত পালন যিনি করছেন তিনিই যে বাঁধেন তা নয়, পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাঁধেন বিপন্মুক্তির জন্য৷ ব্রতপালনের পর খাবার যা খেতে হয়, সেখানেও ১৩ সংখ্যা রাখা আবশ্যক৷ মায়েরা প্রসাদ হিসেবে খান, তেরোটি লুচি বা পরটা সঙ্গে তেরো রকমের ফল। চাল-চিঁড়ে-মুড়ি এসব খাওয়া যায় না৷ ফল বা ময়দার রান্না যাই খাওয়া হোক না কেন সেটা ১৩ সংখ্যায় গ্রহণ করার কথাই ব্রতে বলা হয়৷ তবে যদি সেটা না হয় তাহলে পুজো মিটে যাওয়ার পর বিজোড় সংখ্যাতেও খাদ্যগ্রহণ করা যায়৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: মা তারাও রথে চড়ে নগর ভ্রমণ করেন! জানেন এর প্রচলন কবে হয়েছিল?

    Tarapith: মা তারাও রথে চড়ে নগর ভ্রমণ করেন! জানেন এর প্রচলন কবে হয়েছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠের (Tarapith) মা তারা দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। সাধক বামাখ্যাপার সাধনভূমি সারা বছরই গমগম করে ভক্তদের ভিড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, মা তারা তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। সারা বছরে বিশেষ কিছু পবিত্র তিথিতে তারাপীঠে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রথযাত্রা। কথিত আছে, বামাখ্যাপার সময় থেকেই রথযাত্রার দিন মা তারা রথে চড়ে পথে পা বাড়ান। আবার অনেকে মনে করেন, তারাপীঠের দ্বিতীয় সাধক আনন্দনাথের সময় থেকে মায়ের এই নগর ভ্রমণ শুরু। সেই সময়ে মায়ের রথ তৈরি হয়েছিল পিতলে। এখনও সেই রথেই ওঠেন মা তারা। ভক্তরা টানেন মায়ের রথের দড়ি।

    রথের দিন কী কী হয় তারাপীঠে (Tarapith)?

    ফি বছর পিতলের রথকে পালিশ করে সাজানো হয়। রথের দিন দুপুরে অন্নভোগ দেওয়ার পরে মায়ের রথ বের হয় বিকাল ৩ টে নাগাদ। রথের সঙ্গে চলতে থাকে নামগান। ভক্তরা আনন্দে মেতে ওঠেন। ফলমূল সহযোগে নৈবেদ্য সাজান গৃহস্থরা। শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক। রীতি অনুযায়ী, উত্তরমুখে যাত্রা শুরু করে দ্বারকা সেতু পেরিয়ে রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রোড ধরে তিনমাথা মোড়ে পৌঁছয় মায়ের রথ। ওখান থেকে একই পথ ধরে মন্দিরে ফেরেন মা। রথ থেকে সেবায়েতরা মায়ের প্রসাদ বাতাসা ও পেঁড়া লুট দিতে থাকেন। এ এক অসামান্য দৃশ্য। ভক্তের ঢল নামে পথেঘাটে। রথের রশি স্পর্শ করলেই কেটে যাবে সব বিপদ, এমনই বিশ্বাস ভক্তদের। ‘জয় মা তারা’ ধ্বনি তুলে ভক্তরা প্রার্থনা করেন।

    কীভাবে প্রচলন তারা মায়ের রথযাত্রার?

    তারা মায়ের রথের কবে থেকে প্রচলন, তা নিয়ে অবশ্য ভিন্ন মত রয়েছে। একটি মহল বলে, বামাখ্যাপার আমল থেকেই রথযাত্রার শুরু। তাঁদের মতে, সাধক বামাখ্যাপার আমলেই তারা মাকে রথে বসিয়ে, জগন্নাথ রূপে বিশেষ পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। আবার অন্য একটি মহলের মতে, প্রখ্যাত সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ এই রথযাত্রার প্রচলন করেছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁরা তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখ করেন। সেখানেই রথযাত্রার সঙ্গে দ্বিতীয় আনন্দনাথের নাম জড়িয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adheenams: মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দেন অধিনমকর্তা! জানুন তাঁদের ইতিহাস

    Adheenams: মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দেন অধিনমকর্তা! জানুন তাঁদের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ২৮ মে নয়া সংসদ ভবনে সেঙ্গল স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাদুরাই অধিনমের (Adheenams) প্রধান পুরোহিত সেদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেঙ্গল তুলে দেন। এক কথায় সেঙ্গল হল রাজদণ্ড। এরপর থেকেই অধিনম নিয়ে চর্চা শুরু হয়। অধিনম কী? তাঁদের কাজ কী? এসব নিয়ে বাড়তে থাকে কৌতূহল।

    আরও পড়ুন: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই বাংলায় জনপ্রিয় হয়েছিল সিঙারা! কিন্তু এর উৎপত্তি কোথায়?

    অধিনম (Adheenams) কী?

    হিন্দু ধর্মের প্রচলিত আশ্রম বা মঠের সমার্থক হল অধিনম। কুড়িটি অধিনম দেখা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রচলিত রীতি অনুসারে এই অধিনমগুলির প্রধান পুরোহিত একজন অব্রাহ্মণ হন। সব থেকে প্রাচীনতম হল মাদুরাই অধিনম। যার প্রধান পুরোহিত শ্রী হরিহর দেশিকা, যিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দিয়েছিলেন। শ্রী হরিহর দেশিকা ২৯৩ তম প্রধান পুরোহিত বা অধিনমকর্তা। অধিনম একটি তামিল শব্দ যার সঙ্গে সম্পর্কিত শৈব উপাসনা। এটি এক ধরনের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র। এবং একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও বটে। অধিনমের প্রধানকে বলা হয় অধিনমপতি বা অধিনমকর্তা। যাঁর কাজ হল ধর্মীয় বিষয় দেখাশোনা এবং অনুষ্ঠান পালন করা। অধিনমের (Adheenams) অন্তর্গত ভক্তদের মধ্যে শিক্ষা প্রদান করেন প্রধান পুরোহিতরা। এক কথায় অধিনমের প্রধান পুরোহিত একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হন, তিনি যেমন উপদেশ প্রদান করেন ঠিক একইভাবে সেই জনগোষ্ঠীর অন্যতম নিয়ন্ত্রণ কর্তার ভূমিকাও পালন করেন। নির্দিষ্ট ওই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মমত প্রচার করা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার কাজও অধীনম করে থাকেন।

    গুরুত্বপূর্ণ অধিনম (Adheenams)

    মাদুরাই অধিনম

    মাদুরাই অধিনম হল সবথেকে প্রাচীনতম। এই মঠ তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। এখানে শৈব উপাসনা করা হয়।

    শৃঙ্গেরী সারদা পীঠ

    কর্নাটকের শৃঙ্গেরীতে এই অধিনম অবস্থিত, যা অদ্বৈত বেদান্ত দর্শন অনুযায়ী চলে। এই অধিনম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। আধ্যাত্মিক আলোচনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এ সমস্ত কিছুই হয় এখানে।

    কাঞ্চি কামাকোটি পীঠ

    কাঞ্চিপুরমে এই অধিনম অবস্থিত। বর্তমানে তামিলনাড়ুতে পড়ে। এখানে অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের চর্চা হয়। এখানে দেবী কামাক্ষীর উপাসনা করা হয়।

    দ্বারকা পীঠ

    গুজরাটে অবস্থিত এই অধিনম। বৈষ্ণব মতে চলে এই মঠ।

    জ্যোতির্মঠ 

    জ্যোতির্মঠ পরিচিত জোশীমঠ নামে। কয়েক মাস আগেও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল জোশীমঠ ধসের কারণ। উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অবস্থিত এটি। স্থাপন করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। 

    চোল, চের  এবং পাণ্ড রাজাদের সঙ্গে অধিনমের (Adheenams) সম্পর্ক 

    চোল সাম্রাজ্য খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দী থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছিল। অধিনামগুলির সহযোগিতাতেই দক্ষিণ ভারতে অজস্র মন্দির স্থাপন করেছিলেন চোল রাজারা।

    চের রাজত্ব দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে চলেছিল। চের রাজত্বেও অধিনমের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল অধিনমগুলি।

    সপ্তদশ শতক পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পাণ্ডুদের রাজত্ব চলত। পাণ্ডুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল অধিনমগুলির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jamai Shasthi: বৃহস্পতিবার জামাই ষষ্ঠী! কেন পালিত হয় এই তিথি? কীভাবে হল চালু এই প্রথা?

    Jamai Shasthi: বৃহস্পতিবার জামাই ষষ্ঠী! কেন পালিত হয় এই তিথি? কীভাবে হল চালু এই প্রথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালি হিন্দুর ষষ্ঠীর তালিকা নেহাত ছোট নয়। অশোক ষষ্ঠী, নীল ষষ্ঠী এসব তো রয়েছেই। জামাই ষষ্ঠী তবে বেশ জনপ্রিয়। খাওয়া দাওয়ার রাজকীয় আয়োজন। জামাই আপ্যায়নে ত্রুটি থাকে না কোনও শ্বশুরবাড়িতেই। সকাল থেকেই লুচি সমেত নানা ব্যঞ্জনে ভরে যায় জামাইয়ের পাত। দুপুরেও এ চিত্র বদলায় না। জামাই ষষ্ঠীকে (Jamai Shasthi) ঘিরে ভিড় দেখা যায়, ফলের স্টলে, বাজারে, পোশাকের দোকানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জামাই ষষ্ঠীর প্রথা অনেক প্রাচীন। সেই বৈদিক আমল থেকেই।

    জামাই ষষ্ঠীর প্রথা

    কন্যার সুখের জন্য জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় জ্যৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী তিথিতে ব্রত পালন করেন মা। এটাই প্রসিদ্ধ জামাই ষষ্ঠী নামে। জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের হাতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দেন শাশুড়ি মা। এরপর মঙ্গল কামনায় তেল-হলুদের ফোঁটা কপালে দিয়ে তালপাতার পাখা দিয়ে বাতাস করেন। মাথায় ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করেন মেয়ের মা। সেই সঙ্গে থালায় সাজিয়ে দেওয়া হয় পাঁচ রকমের গোটা ফল। পরে দুপুরে জামাইয়ের জন্য নানা পদ সাজিয়ে দেওয়া হয়। যা নিজের হাতে রান্না করেন শাশুড়ি মা।

    চলতি বছরে জামাই ষষ্ঠীর (Jamai Shasthi) তিথি ও ক্ষণ

    প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসে শুক্লা পক্ষের ষষ্ঠী তিথিকে জামাই ষষ্ঠী হিসেবে পালন করা হয়। এই বছর জামাই ষষ্ঠী পড়েছে ২৫ মে অর্থাৎ ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টা ০২ মিনিটে ষষ্ঠী লাগছে এবং ষষ্ঠী ছেড়ে যাবে ১১ জ্যৈষ্ঠ বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে।

    প্রচলিত লৌকিক কাহিনী

    কথিত আছে, কোন এক সময়ে এক পরিবারে এক বউ খেতে ভীষণ ভালোবাসত। বাড়িতে মাছ বা অন্য কিছু ভাল রান্না হলেই নিজে সব খেয়ে ফেলে দোষ চাপাত একটি কালো বিড়ালের ওপর। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বিড়াল হল মা ষষ্ঠীর বাহন। নিজের সম্পর্কে এই মিথ্যে অভিযোগ শুনে বিড়াল মা ষষ্ঠীর কাছে গিয়ে সব জানায়। নিজের বাহন সম্পর্কে এই মিথ্যে কথা শুনে মা ষষ্ঠী অত্যন্ত রেগে যান এবং অভিশাপ দেন। এরপর মা ষষ্ঠীর অভিশাপে ওই বউ এর একটি করে সন্তান হয়, আর জন্মের কিছু পরেই তার মৃত্যু হয়। সাত পুত্র ও এক কন্যা এই ভাবে জন্মের পরেই মারা যায়। স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে তখন বউকে অলক্ষণা বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বউ এরপর মনের দুঃখে বনে চলে যায়।

    একদিন জঙ্গলে বসে একা একা কাঁদছে, এমন সময় বৃদ্ধার ছদ্মবেশ ধারণ করে তাকে দেখা দেন মা ষষ্ঠী। কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বউ তখন সব সত্যিটা বলে ওই বৃদ্ধাকে। নিজের আগের অন্যায় আচরণের কথা স্বীকার করে মা ষষ্ঠীর কাছে ক্ষমা চায় সে। মা ষষ্ঠী তাঁকে ক্ষমা করে দেন এবং বলেন যে ঘরে ফিরে গিয়ে ভক্তিভরে তাঁর পুজো করলে নিজের মৃত সাত পুত্র ও এক কন্যার জীবন ফিরে পাবে। এরপর সংসারে ফিরে এসে মা ষষ্ঠীর পুজো করে নিজের সব পুত্র কন্যাদের ফিরে পায় বউ। এরপরেই ষষ্ঠী পুজোর মাহাত্ম্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় মেয়ে দীর্ঘদিন বাপের বাড়ি যায়নি। তাকে দেখার জন্য ব্যাকুল মা-বাবা একবার ষষ্ঠীপুজোর দিন জামাইকে সাদরে নিমন্ত্রণ জানান। জামাই ষষ্ঠী (Jamai Shasthi) পুজোর দিনে সস্ত্রীক উপস্থিত হন। সেই থেকে শুরু হয় জামাই ষষ্ঠী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali Sweets: বাংলার সবজির মোরব্বাও কম সুস্বাদু নয়! এর উৎপত্তির ইতিহাসও চমকপ্রদ

    Bengali Sweets: বাংলার সবজির মোরব্বাও কম সুস্বাদু নয়! এর উৎপত্তির ইতিহাসও চমকপ্রদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শেষ পাতে মিষ্টি না হলে বোধহয় চলে না! তাই তো রকমারি মিষ্টির (Bengali Sweets) বাহার আমাদের বাংলাতে। রসগোল্লা থেকে শুরু করে সন্দেশ, পান্তুয়া-কোনওটাই বাদ যায় না তালিকা থেকে। কিছু মিষ্টি আছে, যেগুলি স্বাদে ও আকারে অন্যান্য সাধারণ মিষ্টির থেকে অনেকটাই ভিন্ন। সেরকমই একটি মিষ্টি মোরব্বা। বীরভূমের সিউড়ি শহরের নাম মাথায় এলে মোরব্বা নামটা একবার উচ্চারণ করতেই হয়। সিউড়ির বিখ্যাত মিষ্টি হল মোরব্বা। বর্ধমানের যেমন মিহিদানা-সীতাভোগ, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কলকাতার রসগোল্লা, তেমনই বীরভূমের এই মোরব্বা। অনেকেই পছন্দ করেন এই মোরব্বা। কিন্তু এই মিষ্টির উৎপত্তি নিয়ে অনেক ইতিহাস আছে। আসলে এই মিষ্টি বাংলায় তৈরি না বিদেশে, তা নিয়েও আছে অনেক গল্প।

    কী এই মোরব্বা?

    ‘মোরব্বা’ শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ ‘মুরাব্বা’ থেকে, যার অর্থ সংরক্ষিত ফল। মোরব্বা হল একটি মিষ্টি যা ভারতের অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। কিন্তু মোরব্বা (Bengali Sweets) বিখ্যাত আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি শহরে। দক্ষিণ ককেশাস, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের অনেক অঞ্চলে জনপ্রিয় মিষ্টি এটি। সাধারণত মিষ্টি ফল যেমন আপেল, খেজুর, এমনকী পটল, চালকুমড়া, পেঁপে, বেল প্রভৃতিকে গাঢ় মিষ্টির রসে ডুবিয়ে রেখে বিভিন্ন মশলা সহযোগে তৈরি করা হয় এই মোরব্বা, যা অনেকদিন পর্যন্ত মিষ্টির রসে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে।

    মোরব্বার (Bengali Sweets) উৎপত্তি হল কীভাবে?

    আসলে এই মিষ্টির উৎপত্তি পর্তুগিজদের হাত ধরে। জানা যায়, প্রাচীন ভারতে ছানা খাওয়া অপবিত্র ছিল। তাই ছানা সহযোগে আগে ভারতে কোনওরকম মিষ্টি তৈরি হত না। কিন্তু পর্তুগিজরা ভারতে আসার পর ছানার ব্যাবহার শুরু করে। আর এই ছানা দিয়ে নানারকম মিষ্টিও তারা বানায়। এই সব মিষ্টির সঙ্গে তারা আরও এক ধরনের মিষ্টি তৈরি করে, যা মোরব্বা নামে পরিচিত। এই মিষ্টি তৈরিতে কোনও রকম ছানা লাগত না। বিভিন্ন ফলকে গাঢ় রসে ডুবিয়ে সেই ফলগুলিকে সংরক্ষণ করা হত, যা মিষ্টির আকার নিত। এই মোরব্বা প্রথম পর্তুগিজদের হাত ধরেই ভারতে প্রবেশ করে। আজ এই মোরব্বা গোটা বিশ্বে বিখ্যাত। লোক মুখে শোনা যায়, এই মোরব্বা প্রথম তৈরি হয় বীরভূমের রাজনগরে।    
    আবার বিভিন্ন বই-এর লেখা থেকে জানা যায়, পর্তুগিজ বণিকদের হাত ধরেই প্রবেশ করে এই মোরব্বা। সিউড়ির স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বীরভূমের বিখ্যাত মিষ্টি ব্যবসায়ী হরিপ্রসাদ দে একবার দিল্লি ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একরকম মিষ্টির সন্ধান পান, যেটি পেঠা নামে পরিচিত ছিল। সেই মিষ্টিটি তিনি খেয়ে দেখেন ও তার স্বাদ খুবই পছন্দ হয়। সেখান থেকেই এই মিষ্টি তৈরির প্রণালী শিখে আসেন এবং নিজের শহরে ফিরে এসে এই ধরনের মিষ্টি (Bengali Sweets) বানানোর সিদ্ধান্ত নেন, যা মোরব্বা নামে পরিচিত। বিভিন্ন ফল দিয়ে তিনি এই মিষ্টি বানাতে শুরু করেন। তাঁর বংশধর নন্দদুলাল দে এই ইতিহাস সত্যি বলেই দাবি করেন। আস্তে আস্তে এই মিষ্টি গোটা ভারত জুড়ে বিখ্যাত হতে শুরু করে। এটি হয়ে ওঠে বীরভূমের সিউড়ির বিখ্যাত মিষ্টান্ন। অনেক বড় বড় মানুষ এই মোরব্বার সন্ধানে সিউড়িতে এসেছেন।
    বর্তমানে ফল ছাড়া আরও বিভিন্ন সবজি দিয়েও এই মোরব্বা বানানো হয়। তার মধ্যে পটল, চালকুমড়া, শতমূলের মোরব্বা বিখ্যাত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Falharini Kali Puja: বৃহস্পতিবার ফলহারিণী অমাবস্যা, এদিন কালী পুজোর মাহাত্ম্য কী? জানুন ইতিহাস

    Falharini Kali Puja: বৃহস্পতিবার ফলহারিণী অমাবস্যা, এদিন কালী পুজোর মাহাত্ম্য কী? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কালীপুজোর চল সারা বছর ধরেই দেখা যায়। দুর্গাপুজোর পরে যে কালীপুজো হয় তা জনপ্রিয় দীপান্বিতা কালী পুজো নামে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে রক্ষাকালী পুজো। স্থানীয়ভাবেও বাংলার নানা প্রান্তে কালীপুজো হয়। কোনও কোনও গৃহস্থের বাড়িতেও কালী পুজো বছরের বিশেষ সময়ে দেখা যায়। জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে যে কালীপুজো হয় তা ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, মা কালী জীবের কর্মফল অনুসারে তাদের আশীর্বাদ প্রদান করেন। তিনি প্রসন্না হলে জীবের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি মেলে। পাশাপাশি জীবন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। জানা যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ফলহারিণী কালীপুজোর দিনে সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগত কল্যাণের জন্য। ১২৮০ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন সারদা মা’কে। পরবর্তীতে এই সময়ের কালী পুজো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফলহারিণী কালী (Falharini Kali Puja) পুজো নামেই প্রসিদ্ধি পায়।

    ফলহারিণী (Falharini Kali Puja) কালীপুজো ২০২৩  নির্ঘণ্ট

    ২০২৩ সালের ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) সম্পন্ন হবে ১৮ মে, বাংলার ৩ জৈষ্ঠ্য বৃহস্পতিবার। ১৮ মে রাত্রি ৯টা ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে যা চলবে ১৯ মে রাত্রি ৮টা ৪৩ মিনিট অবধি।

    কেন এই পুজো ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে পরিচিত?

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, জৈষ্ঠ্য মাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল সমেত নানারকম মরসুমী ফল পাওয়া যায়। ভক্তরা তাদের ইষ্ট দেবীকে এই ফল নিবেদন করে থাকেন। দেবী ভক্তদের কর্মফল হরণ করে তাদেরকে মোক্ষফল প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, ফলহারিণী কালীপুজো করলে বিদ্যা, কর্ম এবং অর্থ ভাগ্যের উন্নতি ঘটে প্রেম প্রণয়ের বাধা দূর হয়, দাম্পত্য সংসারী জীবনেও সুখ শান্তি বিরাজ করে। এককথায় এই বিশেষ পুজোয় ভক্তরা আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানসিক শক্তি পেয়ে থাকেন বলে তাদের বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buddha Purnima: বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনই হয় মা উলাইচণ্ডী পুজো! বীরনগরে এই পুজোর ইতিহাস জানেন?

    Buddha Purnima: বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনই হয় মা উলাইচণ্ডী পুজো! বীরনগরে এই পুজোর ইতিহাস জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডী মঙ্গলের বণিক খণ্ডের কাহিনী মনে আছে? সওদাগরের বাণিজ্যতরী ডুবে যাওয়া আর শেষপর্যন্ত দেবী চণ্ডীর পুজো করে চরম বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার গল্পটা? বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) সকালে নদিয়ার ‘উলা’-র মাটিতে এসে দাঁড়ালে সে কাহিনীতে একদম ডুবে যেতে পারেন আপনিও। লোকসংস্কৃতির এক প্রাচীন ধারাকে ছুঁতে তো পারবেনই, ব্যক্তিগত ধর্ম বিশ্বাস থাকলে পেয়ে যেতে পারেন দেবী চণ্ডীর আশীর্বাদও। 

    কীভাবে শুরু হল মা উলাই চণ্ডীপুজো?

    চণ্ডী মঙ্গলের এই কাহিনীর রেশ ধরেই জনশ্রুতি রয়েছে, উজানী নগর থেকে ত্রিবেণী যাওয়ার পথে এই উলা গ্রামে এসে বড় দুর্যোগের মধ্যে পড়েছিলেন ধনপতি সওদাগরের পুত্র শ্রীমন্ত সওদাগর। তখন এ গাঁয়ের পাশ দিয়েই নাকি গঙ্গা বইত। কুলীন বণিক ধনপতি ছিলেন শিবের উপাসক। কোন মতেই দেবী চণ্ডীর পুজো করতে চাইতেন না। এদিকে দেবী তার হাত দিয়ে পুজো পেতে নানা ছলনার আশ্রয় নিয়েছিলেন। উলা গাঁ অবশ্য জড়িয়ে আছে ধনপতিপুত্র শ্রীমন্তর গল্প ঘিরে। বড় রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়েও শ্রীমন্তের বাণিজ্য তরী শেষপর্যন্ত রক্ষা পেয়েছিল দেবী চণ্ডীর পুজো করেই। কী করে তিনি এ দেবীর ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন সে গল্প শোনা যায় কান পাতলেই। গাছ তলায় বসে তিনি এক খন্ড শিলাকে দেবী চণ্ডী রূপে পুজো করেছিলেন।

    পুজোকে কেন্দ্র করে বসে মেলা

    অনেক পরে নদিয়া রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সেই শিলা খন্ডে নিয়মিত পুজোর ব্যবস্থা হয়। আর এখন চন্ডী মাতা পুজো কমিটির হাতে এই প্রাচীন পুজোর ভার। প্রাচীন বট অশ্বত্থের সারির মাঝেই বর্তমানে বাঁধানো অবস্থায় আছে দেবীর বেদি তল। বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিন  কাক ভোর থেকে পুজো শুরু হয়। আর পুজো ঘিরে বেশ বড় এলাকা জুড়ে মেলা। তবে একবেলার মেলা। বলি প্রথা কবে থেকে যুক্ত হল তা অবশ্য সঠিক ভাবে জানা যায় না। সে প্রথা আজও টিকে। একবেলাতেও মেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় মনোকষ্টও ছিল স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষের। তাই চন্ডী পুজোর শেষে কোথাও বিন্ধ্যবাসিনি , কোথাও মহিষমর্দিনি ইত্যাদি দেবীর চারদিনের পুজো শুরু হয়। সেখানেও বসে যায় মেলা। এই মৃন্ময়ী দুর্গা পুজোগুলোও শতাধিক বছরের পুরনো।

    কীভাবে যাবেন?

    গল্প কাহিনী থেকে মেলার কথা সবই তো শোনা হল। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন ‘উলো’ জায়গাটা নদিয়ার ঠিক কোথায়? কিভাবেই বা যাবো? ‘উলা’ বা ‘উলো’ গ্রাম নামটা অনেক পুরোনো। পুরানো উলা গ্রামই এখন বীরনগর। নদিয়ার এই পুর শহরের নামটা বললে চিনতে অসুবিধে হয় না। শিয়ালদহ কৃষ্ণনগর ট্রেন লাইনে রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরের মাঝের একটি স্টেশন বীরনগর। বীরনগর স্টেশন থেকে উলাই চণ্ডীতলা এক কিমি তো বটেই। তবে বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিন সকালে স্টেশন সংলগ্ন বাস রাস্তা থেকে সোজা পথে চন্ডীতলায় যেতে হলে প্রায় আধ ঘন্টা হেঁটে জনস্রোত ঠেলে ঠেলে সেখানে পৌঁছাতে পারা যাবে। ঘুর পথে অবশ্য টোটো পাওয়া যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Paintings: কালীঘাটের পটচিত্র কিনেছিলেন পাবলো পিকাসো! বাংলার এই লোকশিল্প হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

    Bengal Paintings: কালীঘাটের পটচিত্র কিনেছিলেন পাবলো পিকাসো! বাংলার এই লোকশিল্প হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা লোকশিল্পের একটি প্রাচীনতম নিদর্শন হল পটচিত্র (Bengal Paintings)। যা আজ প্রায় শেষের পথে। শৈশবে আমরা সকলেই এই পটচিত্র দেখেছি। একজন শিল্পী এই পটচিত্রের মাধ্যমে গান করে করে কোনও পৌরাণিক বা গ্রাম বাংলার সাধারণ কাহিনী, মঙ্গলকাব্য প্রভৃতি বর্ণনা করতেন। এই গানগুলিকেই বলা হয় ‘পটের গান’।  আর তা শুনতেই ছুটে যেত সবাই। পটচিত্র যারা আঁকেন, তাঁদের বলা হয় পটুয়া। 

    কী এই পটচিত্রের ইতিহাস?

    ইতিহাস ঘাঁটলে এই পটচিত্রের (Bengal Paintings) ইতিহাস সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। দেখা যাচ্ছে, খ্রিষ্ট-জন্মপরবর্তী প্রথম শতকে যে সব বৌদ্ধ ভিক্ষুক ছিলেন, তাঁরা বুদ্ধদেবের জীবনী ও পূর্বজন্মসংক্রান্ত জাতকের গল্প নিয়ে এক বিশেষ পট মানুষকে দেখাতেন, যেটি তখন মস্করী পট নামে পরিচিত ছিল। আবার পরবর্তীতে কিছু প্রাচীন গ্রন্থ যেমন, হরিবংশ, কালিদাস রচিত অভিজ্ঞান শকুন্তলম ও মালবিকাগ্নিমিত্রম, বানভট্ট রচিত হর্ষচরিত এবং উত্তররামচরিতে পটচিত্রের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছিল। অষ্টম শতাব্দীতে বিশাখদত্তের বিখ্যাত নাটক মুদ্রারাক্ষস-এও যমপটের উল্লেখ পাওয়া গেছে। আবার ষোড়শ শতকে চৈতন্যদেবের বাণী প্রচার করার জন্য এই পটচিত্রের ব্যবহার করা হত। 

    পৌরাণিক মত অনুযায়ী পটুয়া সম্প্রদায়ের উৎপত্তি

    প্রচলিত মতামত অনুযায়ী পটুয়ারা হলেন বিশ্বকর্মার বংশধর। একসময় এঁরা গোপনে দেবাদিদেব মহাদেবের ছবি অঙ্কন করার সময় মহাদেব সেটি দেখে ফেলেন। নিজেদেরকে সেখান থেকে লুকানোর জন্য যে তুলি দিয়ে ছবি অঙ্কন করতেন, সেটি মুখে পুরে নেন, যাতে মহাদেব বুঝতে না পারেন। কিন্তু যখন মহাদেব জানতে পারেন যে তুলিটি তাঁরা এঁটো করে ফেলেছেন, তখন তাঁদের অভিশাপ দেন, এরা জাতে ‘মুসলমানের রীতি’ ও ধর্মে ‘হিন্দুর ধর্ম’ পালন করবে। সেই থেকে চিত্রকর পটুয়ারা মুসলমানদের মতো নামাজ পড়েন ও হিন্দুর মতো দেবদেবীর ছবি আঁকেন ও গান করে পটচিত্র প্রদর্শন করেন। ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণে এই পট চিত্রকরদের সন্ধান মেলে। ঘৃতাচীর নামক এক অপ্সরার গর্ভে নয়জন পুত্র জন্মলাভ করে, যথা মালাকার, কর্মকার, শঙ্খকার, কুন্দিবক, কুম্ভকার, কাংশ্যকার, সূত্রধর, চিত্রকার ও স্বর্ণকার। এখানে চিত্রকারই হলেন পটুয়াদের (Bengal Paintings) আদিপুরুষ। 

    বর্তমান বাংলায় কোথায় কোথায় এই পটচিত্র ও পটুয়াদের দেখা মেলে?

    বর্তমানে মানুষের বিনোদনের জন্য সবার হাতে ফোন, ল্যাপটপ। এরকম একটা যুগে পটচিত্র (Bengal Paintings) প্রায় হারিয়েই গেছে বলা যেতে পারে। কিন্তু এসবের উৎপত্তির আগে বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে বাংলার মানুষের কাছে বিনোদনের অন্যতম উপাদান ছিল পটের গান। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বীরভুম, পশ্চিম মেদিনীপুর, মেদিনীপুরের পিঙ্গলা ব্লকের নয়াগ্রাম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলায় এই পটগীত শোনা যায়। পিঙ্গলা ব্লকের নয়াগ্রাম এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে এখনও ধরে রেখেছে। এখানকার প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার পটশিল্প ও পটুয়া সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত আছে। বাংলাদেশের পটুয়াখালি, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ জেলায় এই পটুয়াদের বসবাস ছিল বলে জানা যায়। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার পটুয়াটোলা আর বাংলাদেশের পটুয়াখালির নামকরণ নাকি ‘পটুয়া’ থেকে হয়েছে বলে কেউ কেউ বিশ্বাস করেন। এই পট শিল্পের বিস্তার ছিল বহুদূর বিস্তৃত, যা ইতিহাস ঘাঁটলেই আমাদের চোখে পড়ে। সবথেকে যে বিষয়টি নজর কাড়ে সেটি হল, এই পটচিত্র অঙ্কনের জন্য যে সব রঙ ব্যবহার করা হয়, তা পটুয়ারা নিজেরাই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করেন। 

    কতরকম পট আছে? পটচিত্র পৌঁছে গেছে বিদেশের মাটিতেও?

    পট মূলত দুই প্রকার, চৌকশ পট ও জড়ানো পট। কিন্তু এছাড়াও চালচিত্র, সরা চিত্র, যমপট, চক্ষুষ্মান পট, লৌকিক পট, কালীঘাটের পট প্রভৃতি জনপ্রিয়। ১৯১৭ সালে  রুডিয়ার্ড কিপলিঙ অনেকগুলি চিত্রকর্ম সংগ্রহ করে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া ও অ্যালবার্ট মিউজিয়মে দান করেন। তার মধ্যে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া মিউজিয়ামে আছে ৬৪৫টি কালীঘাট পট (Bengal Paintings)। এই কালীঘাটের পট গোটা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়েছিল এক সময়। কথিত আছে প্যারিসে কালীঘাটের পট বিক্রিও হয়েছিল। তখন পাবলো পিকাসো নিজে এই পট কিনেছিলেন। এই চিত্রশৈলীর প্রভাব তাঁর কর্মধারায় অনেকটা লক্ষ্য করা যায়। ফার্নান্দ লেজের চিত্রণে কালীঘাটের পটের দেখা মেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohini Ekadashi 2023: আজ মোহিনী একাদশী! জানুন এর পৌরাণিক কাহিনী

    Mohini Ekadashi 2023: আজ মোহিনী একাদশী! জানুন এর পৌরাণিক কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মোহিনী একাদশী (Mohini Ekadashi 2023)। বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিটিকে বলা হয় মোহিনী একাদশী (Mohini Ekadashi 2023)। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি অত্যন্ত শুভ। এই বিশেষ একাদশী তিথির আলাদা মাহাত্ম্যও রয়েছে। পরিবারের মঙ্গলকামনায় এইদিনে নানা রকমের শুভকাজের অনুষ্ঠান করা হয়। পুরাণ অনুসারে, মোহিনী একাদশীতে (Mohini Ekadashi 2023) মোহিনী রূপ অর্থাত্‍ নারী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীবিষ্ণু। পণ্ডিতরা বলছেন, বিষ্ণুর অসংখ্য রূপের মধ্যে এই মোহিনী রূপই একমাত্র নারী রূপ। এই তিথিতে শ্রীবিষ্ণুর নারী-রূপের আরাধনা করা হয়। মনে করা হয়, মোহিনী একাদশীতে বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর পুজো করলে অর্থ লাভ হয়।

    মোহিনী একাদশী তিথি ও শুভক্ষণ 

    ২০২৩ সালে, মে মাসের প্রথম দিনেই পড়েছে মোহিনী একাদশী। একাদশী তিথি শুরু হয়েছে ৩০ এপ্রিল রাত ৮টা ২৮ মিনিটে এবং পয়লা মে রাত ১০টা ০৯ মিনিটে শেষ হবে। উদয় তিথি অনুসারে একাদশী উদযাপিত হবে পয়লা তারিখ। 
    একাদশী তিথির দিন দু’টি শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে – রবি যোগ সকাল ৫টা ৪১ থেকে সন্ধ্যা ৫টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। আর, ব্রহ্ম মুহূর্ত থেকে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে ধ্রুব যোগ।

    পুজো বিধি 

    একাদশীর দিন (Mohini Ekadashi 2023) ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নিন। এর পরে কলশ স্থাপন করুন। শ্রী বিষ্ণুর মূর্তি স্নান করিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিন। নতুন জামাকাপড় পরান। ফুল, ফল, অক্ষত, মালা, চন্দন, হলুদ বস্ত্র, হলুদ মিষ্টি নিবেদন করুন। ধূপ ও প্রদীপ জ্বালান। সঠিক বিধি মেনে পূজার্চনা করুন। পুজোর সময় বিষ্ণু মন্ত্র জপ করুন। পুজো শেষে আরতি করুন।

    পৌরাণিক আখ্যান…

    পুরাণ অনুসারে, সমুদ্র মন্থনে অমৃতের ভাণ্ড উঠেছিল এবং তা নিয়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। অসুররা দেবতাদের কাছ থেকে অমৃত ভাণ্ড ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। এতে দেবতারা ভয় পেয়ে যান। এমতাবস্থায় দেবতারা নারায়ণের শরণাপন্ন হন, তখন বিষ্ণু এক অপরূপ সুন্দরী নারীর রূপ ধারণ করেন। বিষ্ণুর সেই মনোমোহিনী রূপে অসুররা মোহিত হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে রূপে দ্বারা অসুরদের ভুলিয়ে তাদের থেকে অমৃত নেন বিষ্ণু। মোহিনী অবতার সত্ত্বেও বিষ্ণুকে চিনতে পেরে যান দুই অসুর, রাহু ও কেতু। অমৃত পান করার অভিলাসে, তারা দেবতার ছদ্মবেশে দেবতাদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তাদের চিনে ফেলে সূর্য ও চন্দ্র এবং বিষ্ণুকে তা জানান। বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দিয়ে রাহু ও কেতুর মাথা শরীর থেকে কেটে আলাদা করে দেন। কিন্তু ততক্ষণে অমৃত রাহু ও কেতুর গলা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। অমৃতের দৌলতে তাদের মাথা থেকে গলা অবধি অমর হয়ে যায়। সূর্য ও চন্দ্রর প্রতি রাগে রাহু, কেতু সুযোগ পেলেই সূর্য ও চন্দ্রকে গিলে ফেলে। কিন্তু রাহু, কেতুর ধড় না থাকায়, সূর্য ও চন্দ্র বেরিয়ে আসেন। এই পৌরাণিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই, পুরাণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share