Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Adi Shankaracharya: ২৫ এপ্রিল আদি শঙ্করাচার্যের আবির্ভাব তিথি! জানুন তাঁর জীবন কথা

    Adi Shankaracharya: ২৫ এপ্রিল আদি শঙ্করাচার্যের আবির্ভাব তিথি! জানুন তাঁর জীবন কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধ্যাত্মিক ভূমি ভারতবর্ষে যুগে যুগে আবির্ভাব ঘটেছে মহান সন্ন্যাসীদের। যাঁদের উপদেশ, শিক্ষাদান এবং কর্মে প্রভাবিত হয়েছে এদেশের বৃহত্তর সমাজ। ভক্তদের কাছে আজও সমান ভাবে তাঁরা শ্রদ্ধেয়, সমাদৃত এবং পূজনীয়। আদিগুরু শঙ্করাচার্য, মাত্র ৩২ বছরের জীবন কালে সারাদেশে হিন্দুধর্মের নবজাগরণ এনেছিলেন। ভক্তরা তাঁকে ভগবান শিবের অবতার মানেন। চলতি বছরে আদিগুরু শঙ্করাচার্যের আর্বিভাব তিথি ২৫ এপ্রিল।

    জন্ম বৃত্তান্ত

    অষ্টম শতাব্দীর সেই সময়টায়, দেশের ধর্মীয় জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বৌদ্ধ ধর্মের মধ্যে নানা কুসংস্কার প্রবেশ করেছে। বৌদ্ধ ধর্মের তন্ত্রবিদ্যা, কালাজাদুতে তখন দেশে অন্ধকারময় যুগ নেমে এসেছে। হিন্দু ধর্ম তখন সংকটে। এই যুগসন্ধিক্ষণে ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দের বৈশাখী শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে দক্ষিণ ভারতের কেরল রাজ্যের কালাডি গ্রামে শঙ্করাচার্য জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শিবগুরু ও মাতা আর্যাম্বা। কথিত আছে, শিবগুরু শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণ এবং শিবভক্ত ছিলেন। শোনা যায়, গ্রামে দানধ্যান করার জন্য ব্রাহ্মণ দম্পতির যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। জানা যায়, গ্রামে ছিল চন্দ্রমৌলীশ্বর শিবের মন্দির। সেই মন্দিরে স্বামী স্ত্রী প্রতি দিনই পুত্র সন্তানের জন্য প্রার্থনা করতেন। দেবাদিদেব মহাদেবের আশীর্বাদে কালাডি গ্রামের ওই নাম্বুদ্রি দম্পতি এক পুত্র লাভ করেন। শিবের এক নাম শঙ্কর। আবার অন্য একটি মত হল, শঙ্কর (Adi Shankaracharya) শব্দের অর্থ হল সমৃদ্ধিদাতা। তাই পুত্রের নাম রাখা হল শঙ্কর। শৈশবেই পিতৃহীন হন শঙ্কর। মেধাবী, স্মৃতিধর শঙ্কর অল্পদিনের মধ্যেই আয়ত্ত করে ফেলেন হিন্দুধর্মের জটিল তত্ত্বগুলি। জীবনের উদ্দেশ্য তখনই তিনি ঠিক করে ফেলেছেন, সন্ন্যাস জীবন। কিন্তু মা আর্যাম্বার তাতে সায় নেই।

    নদীতে কুমিরের আক্রমণ ও সন্ন্যাস গ্রহণ

    কিংবদন্তি অনুসারে, পিতার মৃত্যুর পর তাঁর মায়ের সঙ্গে প্রতিদিনই নদীতে স্নান করতে যেতেন বালক শঙ্কর (Adi Shankaracharya)। এদিকে সন্ন্যাস নেওয়ার প্রবল ইচ্ছা, কিন্তু মায়ের অনুমতি ছাড়া তিনি সন্ন্যাসও নিতে পারছেন না। স্নান করার মুহূর্তে একদিন ঘটল বিপত্তি, যাকে অলৌকিক কান্ডও বলা যেতে পারে। হঠাৎই বালক শঙ্করের পা’ টেনে নিয়ে যেতে থাকল একটি কুমির।

    মাতা আর্যাম্বার পক্ষে সম্ভব ছিলনা, কুমিরের মুখ থেকে নিজের সন্তানকে উদ্ধার করার। হঠাৎই বালক শঙ্কর (Adi Shankaracharya) শেষবারের মতো মা’কে জিজ্ঞেস করলেন, সন্ন্যাসী হওয়ার অনুমতি দেবে? তাহলে কুমির আমায় ছেড়ে দেবে! নিরুপায় আর্যাম্বা দেবী অনুমতি দিলেন, কিন্তু বললেন, তুমি আমার সন্তান। সন্ন্যাসীদের পরিবার থাকেনা, আমার শেষকৃত্যে তুমি অবশ্যই উপস্থিত থেকো। পরক্ষণেই শঙ্কর জপ শুরু করেন এবং কুমির তাঁর পা ছেড়ে দেয়। এভাবেই তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন।

    গুরুর সন্ধানে গৃহত্যাগ

    মায়ের অনুমতি নিয়ে শঙ্কর তাঁর জন্মস্থান ছাড়লেন। গুরুর সন্ধানে একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত হাঁটতে থাকলেন। অবশেষে পেলেন সন্ধান। গুরু গোবিন্দপাদ। শিষ্যদের বিশ্বাসে তিনি ছিলেন পূর্বজন্মে মহর্ষি পতঞ্জলি। গোবিন্দপাদ শিষ্যরূপে গ্রহণ করলেন শঙ্করকে। শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) হয়ে ওঠার যাত্রা শুরু হল কালাডির শঙ্করের। অসামান্য পাণ্ডিত্যের অধিকারী হয়ে তিনি বের হলেন ভারত পরিভ্রমণে।

    চারমঠ স্থাপন 

    আদিগুরু শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) হিন্দু ধর্মকে একসূত্রে গাঁথার জন্য দেশের চারকোণায় চারটি মঠ স্থাপন করেন। দক্ষিণে কর্ণাটকের শৃঙ্গেরীতে, পশ্চিমে গুজরাটের দ্বারকায়, পূর্বে ওড়িশার পুরীতে গোবর্ধন মঠ এবং উত্তরে উত্তরাখন্ডের জ্যোতির্মঠে (জোশীমঠ)। তাঁর চারজন শিষ্যকে তিনি এই চারটি মঠের দায়িত্ব দেন। তাঁরা হলেন, সুরেশ্বরাচার্য, হস্তামলকাচার্য, পদ্মপাদাচার্য এবং তোটকাচার্য। আজও চারটি মঠের প্রত্যেক প্রধান আদিগুরু শঙ্করাচার্যের নামানুসারে শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) উপাধি গ্রহণ করেন।

    বাণী ও রচনা

    অদ্বৈত বেদান্তের কথাই প্রচার করে গেছেন শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya)। তাঁর মতে, ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা। তিনি মনে করতেন ‘সঠিক বিদ‍্যা না থাকার ফলে মানুষ ব্রহ্মকে বুঝতে পারে না’। আত্মাই হল ব্রহ্ম । এই ব্রহ্ম নির্গুণ এবং আনন্দময় । কিন্তু ব্রহ্ম আবার পারমার্থিক দৃষ্টিতে ব্রহ্ম হলেও ব‍্যবহারিক দৃষ্টিতে ঈশ্বর বলে প্রতিভাত হয় । অবিদ‍্যা ব্রহ্মের শক্তিবিশেষ যার ফলে জীব নিজেকে ব্রহ্মের থেকে ভিন্ন মনে করে । প্রকৃতপক্ষে , জীবাত্মা ও পরমাত্মা অভিন্ন। অসংখ্য ভাষ্য রচনা করে গেছেন তিনি। মহাভারত থেকে গীতাকে আলাদা তিনিই করেন। হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন দেবদেবীর উপর স্তোত্র রচনাও করে গেছেন তিনি। হিন্দুদের তিনখানি অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল উপনিষদ, ব্রহ্মসূত্র ও ভাগবত গীতা। এই তিনটি বইয়ের উপর শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) যে ভাষ্য বা টীকা লিখেছিলেন, তা খুবই বিখ্যাত এবং হিন্দু ধর্মে আজও সমান জনপ্রিয়। এছাড়া কয়েকটি দর্শন গ্রন্থও রচনা করেছিলেন তিনি। গবেষকদের মতে, সেসময় হিন্দুধর্ম নানাভাবে পিছিয়ে পড়েছিল। শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) সেই পিছিয়ে পড়া হিন্দুধর্মের নবজাগরণ ঘটাতে সক্ষম হন।

    কীভাবে পালন করা হয় শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) জয়ন্তী

    ভক্তরা এদিন সকালে উঠে স্নান করে, নতুন পোশাক গায়ে চড়িয়ে ভগবান শিবের পুজো করেন। উপোস করার রীতিও দেখা যায় শঙ্কর জয়ন্তীতে। এদিন শিব ছাড়াও লক্ষীদেবী, গণেশ, ভগবান বিষ্ণুরও পুজো হয়। দেশের অসংখ্য মঠ এবং মন্দির যেগুলি শঙ্করাচার্যের (Adi Shankaracharya) নামে নামাঙ্কিত সেগুলিতে ভক্তরা সকাল থেকেই ভিড় করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Akshay Trtiya 2023: লেগে গেছে অক্ষয় তৃতীয়া তিথি! সোনা কেনার শুভ সময় জানেন তো?

    Akshay Trtiya 2023: লেগে গেছে অক্ষয় তৃতীয়া তিথি! সোনা কেনার শুভ সময় জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি অক্ষয় তৃতীয়া নামে পরিচিত। দীপাবলি অথবা ধনতেরাসের থেকে এই তিথির গুরুত্ব কোনও অংশে কম নয়। এদিন প্রতিটি হিন্দু বাঙালি বাড়িতেই পুজো হয়ে থাকে। পরিবারে মঙ্গল কামনায় অনেকেই মন্দিরে যান। ভক্তদের বিশ্বাস এই তিথির ব্রত পালন করলে জীবনে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি নেমে আসে। 

    অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Trtiya 2023) পুজোর শুভ সময়

    অক্ষয় তৃতীয়া পুজোর শুভ সময় ২২ এপ্রিল সকাল ০৭টা ৪৯ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত হবে। পুজোর মোট সময়কাল হবে ৪ ঘণ্টা ৩১ মিনিট।

    তৃতীয়া তিথি ২২ এপ্রিল সকাল ০৭টা ৪৯ মিনিট থেকে শুরু হবে।

    তৃতীয়া তিথি শেষ হবে ২৩ এপ্রিল সকাল ০৭টা ৪৭ মিনিট মিনিটে।

    সোনা কেনার জন্য শুভ সময়

    অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshay Trtiya 2023) সোনা কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। সোনা কিনলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়ে। আপনি যদি সোনা কিনতে না পারেন তবে সোনা ছাড়াও এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে কেনা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনার সময় ২২ এপ্রিল ২০২৩ সকাল ০৭টা ৪৯ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ২৩ এপ্রিল সকাল ০৫টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। সোনা কেনার মোট সময়কাল হবে ২১ ঘন্টা ৫৯ মিনিট।

    কী কী হয় এদিন

    এই দিনে চারধাম যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীর দরজা খোলা হয়। ছয়মাস বন্ধ থাকার পর এইদিনেই দ্বার উদ্‌ঘাটন করা হয়। এর কয়েকদিন পর খোলে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা। দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ যা ছয়মাস আগে জ্বালিয়ে রাখা হয়েছিল। পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রথ নির্মাণ শুরু হয় এই শুভ দিন থেকেই। 

    শুভ কাজ

    বৈদিক মত অনুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোনও শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। 

    বর্তমানে অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা ও রুপো কেনার পাশাপাশি নতুন ব্যবসা শুরু করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এ দিনে বিবাহ করলে দম্পত্তিদের জীবনে সর্বদা সুখ ও সমৃদ্ধি থাকে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশ করা বা একটি নতুন বাহন কেনাও খুব শুভ বলে মনে করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Akshay Tritiya 2023: মহাভারতের রচনা থেকে গঙ্গার মর্ত্যে আগমন! কী কী মাহাত্ম্য রয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ার?

    Akshay Tritiya 2023: মহাভারতের রচনা থেকে গঙ্গার মর্ত্যে আগমন! কী কী মাহাত্ম্য রয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  হিন্দুধর্মে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023)। দীপাবলি বা ধনতেরাসের মতোই গুরুত্বপূর্ণ এই তিথি। অনেকে এদিন সোনা কিনে থাকেন। দেশের নানা প্রান্তে অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023) ‘আখা তিজ’ নামেও পরিচিত। শুধুমাত্র হিন্দুদের কাছেই নয়, জৈন সমাজের কাছেও দিনটির মাহাত্ম্য রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস এই তিথিতে পূজা-অর্চনায় জীবনে সমৃদ্ধি বিরাজ করে। সাধারণত, অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya 2023) দিনে ব্যবসায়ীরা সিদ্ধিদাতা গণেশ ও সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন। পয়লা বৈশাখের মতো অনেক দোকানে অক্ষয় তৃতীয়া থেকেও হালখাতা শুরু করা হয়। অনেক বাড়িতেও অক্ষয় তৃতীয়ায় লক্ষ্মী পুজো করা হয়। পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিভিন্ন মন্দিরেও পুজো দেন অনেকে। ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, অক্ষয় তৃতীয়ার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বেশ কিছু পৌরাণিক আখ্যান।

    অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya 2023) মাহাত্ম্য

    পুরাণ মতে, অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshay Tritiya 2023) বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের জন্ম হয়।

    অক্ষয় তৃতীয়াকে দেশের অনেক প্রান্তে পরশুরাম জয়ন্তীও বলা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিন জন্মেছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম।

    ঋষি জমদগ্নি ও মাতা রেণুকার পুত্র পরশুরাম জাতিতে ব্রাহ্মণ হলেও আচার আচরণে ছিলেন ক্ষত্রিয়। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে তিনি পৃথিবীকে ২১ বার ক্ষত্রিশূন্য করেছিলেন। ব্রহ্মক্ষত্রিয় পরশুরামের রাজত্ব ছিল দেশের বিস্তীর্ণ অংশে।

    অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023) থেকেই সত্য যুগের অবসান ও ত্রেতা যুগের শুরু হয়।

    অক্ষয় তৃতীয়া থেকে নতুন যুগের শুরু করা হয়। ভবিষ্যপুরাণ অনুসারে সত্য, ত্রেতা ও কলিযুগের সূচনা হয়। দ্বাপর যুগের অবসান ঘটে অক্ষয় তৃতীয়াতেই।

    সত্যযুগে নারায়ণ মত্‍স্য, কূর্ম, বরাহ ও নরসিংহ অবতার রূপে ধরাধামে আসেন। ত্রেতাযুগে তিনি বামন অবতার, পরশুরাম অবতার ও রাম অবতার রূপে জন্ম নেন। অধর্মের বিনাশ করে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করতে বারবার অবতার-রূপে পৃথিবীতে এসেছেন বিষ্ণু।

    বিশ্বাস মতে, অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshay Tritiya 2023) শ্রীকৃষ্ণের বাল্যবন্ধু সুদামা তাঁকে অন্ন ভোগ দেন।

    পুরাণ অনুযায়ী, এই বিশেষ তিথিতেই  সুদামা তাঁর বাল্যবন্ধু শ্রীকৃষ্ণকে অন্নভোগ দেন। তার পরিবর্তে কৃষ্ণ তাঁর এই প্রিয় বন্ধুকে সুখ ও সমৃদ্ধির কামনা করেন।

    এরপর থেকেই সুদামার জীবন সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে যায়। ভক্তদের বিশ্বাস এইদিন দান করলে তার ফল খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়।

    মহাভারত অনুসারে বনবাসে থাকাকালীন অক্ষয় তৃতীয়াতেই (Akshay Tritiya 2023) শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে অক্ষয়পাত্র দান করেন।

    এই দিনই দ্রোপদীকে অক্ষয়পাত্র দান করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ, যাতে বনবাসে তাঁদের কখনও খাদ্যাভাব না হয়।

    পুরাণ মতে দেবী অন্নপূর্ণার কাছেই এই পৃথিবীর সমস্ত খাদ্য রয়েছে। এদিন খাদ্যসামগ্রী দান করলে কোনও খাবারের অভাব হয় না বলে প্রচলিত বিশ্বাস। এই কারণে অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই ক্ষেতে বীজ রোপণ করা শুরু করেন কৃষকরা। 

    অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023) থেকেই বেদব্যাস মহাভারত লেখা শুরু করেন।

    মহাভারতকে বলা হয় পঞ্চম বেদ। অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023) থেকেই মহর্ষি বেদব্যাস মহাভারত রচনা শুরু করেন।

    মহাভারতের মধ্যেই রয়েছে শ্রীমদ ভগবত্‍ গীতা। বলা হয়ে থাকে, গীতার অষ্টদশ অধ্যায় যিনি পাঠ করেন, তাঁকে কোনও দুঃখ কষ্ট স্পর্শ করতে পারে না।

    অক্ষয় তৃতীয়াতেই (Akshay Tritiya 2023) ভগীরথের প্রার্থনায় স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন গঙ্গা।

    পুরাণ অনুসারে অক্ষয় তৃতীয়াতেই (Akshay Tritiya 2023) স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আসেন দেবী গঙ্গা।

    এদিন থেকে মর্ত্যে প্রবাহিত হতে শুরু করে এই পূণ্যসলিলা নদী। রাজা ভগীরথ তপস্যায় খুশি হয়ে মহাদেবের বরে অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে মর্ত্যে নেমে আসেন গঙ্গা। ভক্তদের বিশ্বাস, গঙ্গার জলে স্নান করলে গত সাত জন্মের পাপ ধুয়ে যায় বলে মনে করা হয়।

    কুবেরকে এই বিশেষ তিথিতে বরদান করেছিলেন মহাদেব।

    পুরাণ মতে, এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেছিলেন। এ দিনেই কুবেরের লক্ষ্মীলাভ হওয়ায় বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।

    চারধামযাত্রা ও চন্দন উৎসব

    পুরীতে জগন্নাথের রথযাত্রার জন্য রথ তৈরি শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya 2023) থেকেই।

    অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই (Akshay Tritiya 2023) রথ তৈরির কাজে হাত লাগানো হয়।

    পুরীর জগন্নাথ ধামে এদিন থেকেই ধুমধাম করে শুরু হয় চন্দনযাত্রা উৎসব। টানা ২১ দিন চলে।

    চারধামযাত্রা শুরু হয় এদিন থেকেই।

    এদিন থেকেই খুলে যায় চারধামের অন্যতম বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা।

    তার সঙ্গে এদিনই মথুরায় বাঁকে বিহারীর দর্শন পাওয়া যায়। সারা বছর পোশাকের আড়ালে ঢাকা থাকেন বাঁকে বিহারী। তাঁর চরণ দর্শন করতে পারলে মৃত্যুর পর স্বর্গে স্থান হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandanyatra Utsav: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন চন্দনযাত্রা উৎসব শুরু হয় পুরীতে! জানুন এর মাহাত্ম্য

    Chandanyatra Utsav: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন চন্দনযাত্রা উৎসব শুরু হয় পুরীতে! জানুন এর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ মাসের শুক্লাপক্ষের তৃতীয়া তিথি অক্ষয় তৃতীয়া নামে প্রসিদ্ধ। ভক্তদের কাছে, এই দিনটির গুরুত্ব দীপাবলীর থেকে কোনও অংশে কম নয়। ব্যবসায়ীরা হালখাতা পুজো, লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা করেন এদিন। তাছাড়াও বাংলার ঘরে ঘরে বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে দিনটির। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। এদিন থেকেই জগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয় চন্দনযাত্রা উৎসবের (Chandanyatra Utsav)। 

    কী এই চন্দনযাত্রা উৎসব (Chandanyatra Utsav)

    প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পুরীর জগন্নাথধামে চন্দনযাত্রা উৎসবের (Chandanyatra Utsav) সূচনা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনটিকেই এই রথ নির্মাণের কাজ শুরুর জন্য বেছে নেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। এদিন থেকেই জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার জন্য তিনটি বড় মালা বয়ে আনেন তিনজন সেবায়েত। সব মিলিয়ে কার্যত উৎসবের মেজাজ ধরা পড়ে এদিন জগন্নাথদেবের মন্দিরে।

    ইংরেজি মাস হিসেবে ধরলে জুলাই এবং বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আষাঢ় মাসে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসব। ওই দিন মন্দিরে তৈরি এই রথে চেপেই মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রা। অগণিত মানুষের ঢল নামে সেই দিন পুরীতে। রথের পবিত্র দড়ি একবার স্পর্শ করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে জগন্নাথ ভক্তরা ভিড় জমান পুরীতে। চন্দনযাত্রা উৎসব শেষে এই রথযাত্রা উৎসবের সূচনা হয়। এই সময়টা অত্যন্ত ব্যস্ততার সঙ্গেই কাটে মন্দিরের সেবায়েতদের।

     শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত অনুযায়ী চন্দনযাত্রার (Chandanyatra Utsav) ব্যাখা

    শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে দেখা যায়, বৃন্দাবনে পরম বৈষ্ণব শ্রীমাধবেন্দ্র পুরীকে স্বপ্নে তাঁর আরাধ্য শ্রীগোপাল বলছেন, “আমার শরীরের তাপ জুড়োচ্ছে না। মলয় প্রদেশ থেকে চন্দন নিয়ে এসো এবং তা ঘষে আমার অঙ্গে লেপন কর, তা হলে তাপ জুড়োবে।” তার পর বৃদ্ধ মাধবেন্দ্র পুরীপাদ পূর্বভারতে নীলাচলে জগন্নাথধাম পুরীতে এসে রাজার কাছে পূর্ব স্বপ্নগত সমস্ত কথা বললেন। রাজা গোপালের জন্য এক মণ মলয়জ চন্দন, ২০ তুলা কর্পূর এবং এই চন্দন বহে নিয়ে আসার জন্য দুইজন সেবকের ব্যবস্থা করেদিলেন। মাধবেন্দ্র পুরীপাদ রাজার কাছে মলয়জ চন্দন ও কর্পূর নিয়ে বৃন্দাবনে ফিরছিলেন। পথে রেমুণাতে শ্রীগোপীনাথ মন্দিরে আসেন। সেই রাত্রে সেখানে শয়ন কালে স্বপ্ন দেখেন, গোপাল এসে বলছেন, “হে মাধবেন্দ্র পুরী, আমি ইতিমধ্যেই সমস্ত চন্দন ও কর্পূর গ্রহণ করেছি। এখন কর্পূর সহ এই চন্দন ঘষে ঘষে শ্রীগোপীনাথের অঙ্গে লেপন কর। গোপীনাথ ও আমি অভিন্ন। গোপীনাথের অঙ্গে চন্দন লাগালেই আমার অঙ্গ শীতল হবে।” সকালে শ্রীমাধবেন্দ্র পুরিপাদ পূজারীর নিকট রাত্রের স্বপ্নের সমস্ত কথা বলিলেন। পূজারী প্রভু শুনে খুব খুশি হলেন এবং কর্পূর আর চন্দন ঘষে শ্রীগোপীনাথের শ্রীঅঙ্গে লেপন করলেন। দীর্ঘ ২১ দিন ধরে এইভাবে প্রত্যহ পূজারী প্রভু গোপীনাথের শ্রীঅঙ্গে লেপন করলেন। ভক্তদের মতে, সেইদিন থেকেই চন্দন যাত্রা শুরু হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali New Year: শিখদের বৈশাখী থেকে কেরলে বিশু! জানুন সারা দেশে পয়লা বৈশাখ কী কী নামে পালিত হয়

    Bengali New Year: শিখদের বৈশাখী থেকে কেরলে বিশু! জানুন সারা দেশে পয়লা বৈশাখ কী কী নামে পালিত হয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়লা বৈশাখ (Bengali New Year) পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে বাঙালিরা পালন করে। বাংলায় যেমন পয়লা বৈশাখের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে তেমনি এই দিনটি দেশের অন্যান্য রাজ্যেও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়। অনেকে এদিনটিকে গুড়িপাড়োয়া ও উগাদি বলে উদযাপন করেন, আবার কেউ কেউ বৈশাখী ও পয়লা বৈশাখ উদযাপন করে। এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি আসলে ফসল কাটার উৎসব। সেই কারণেই মানুষজন অনেক আনন্দ ও ভক্তির সঙ্গে দিনটি উদযাপন করা হয়।

    একনজরে দেখে নেব কোথায় কী নামে পালিত হয় বিশেষ দিনটি

     বিহু

    বহাগ বিহু অসম, মণিপুর, বাংলার কিছু প্রান্তে এই সময়ে উদযাপিত হয়। জানা যায়, অসমের মেয়েরা বছরে তিনবার বিহু উদযাপন করে।

    এই বিহুর দিন মাংস, চিড়া ও পিঠা জাতীয় খাবার তৈরি করা হয় বাড়িতে বাড়িতে। একে অপরকে উপহার বিনিময়ও করেন তারা। বড়দের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেন ছোটরা, নতুন জামা কাপড় পরে ঐতিহ্যবাহী বিহু উৎসবে মেতে উঠতে দেখা যায় অসমীয়াদের।

    পুঠাণ্ডু

    আমাদের এখানে যেদিন পয়লা বৈশাখ (Bengali New Year) পালিত হয়, নববর্ষের হালখাতা করি আমরা। দক্ষিণ ভারতে তামিলনাড়ুতে সেদিন পুঠাণ্ডু উৎসব পালন করা হয়।

    বাড়ি ঘর পরিষ্কার করে আলো দিয়ে সাজানো হয় বাড়ি। এছাড়াও সকলের বাড়িতে বিভিন্ন পূজোর আয়োজন করা হয়। স্থানীয় মন্দিরগুলিতে বছরের প্রথম দিন দেবমূর্তি দর্শন করে অনেকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নেন। নতুন জামা কাপড় পরে একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় ও খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে দিয়ে পালন করা হয় বিশেষ দিনটি।

    বৈশাখী

    বছরের এই সময় উত্তর ও মধ্য ভারতে বৈশাখী উৎসব উদযাপন করা হয়। জানা যায় ১৬৯৯ সালে এইদিন দশম শিখগুরু গুরু গোবিন্দ সিং ধর্ম অনুসরণ করার কথা বলেছিলেন এবং খালসা প্রথার প্রবর্তন করেছিলেন।

    পঞ্জাব এবং হরিয়ানার উত্তর দিক ও দিল্লির কিছু অংশ এই দিনটি খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। সকলে সমবেত হয়ে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নাচ গান করেন, এছাড়া ফসল ফলনের জন্য ভগবানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনেরও দিন এটি। ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে এই দিনটি পালন করা হয়।

    বিশু

    দক্ষিণ ভারতে কেরল কর্ণাটকের কিছু অংশে বছরের এই সময় বিশু উৎসব পালিত হয়। আতশবাজি আলোর মালায় সেজে ওঠে প্রতিটি বাড়ি ঘর।

    স্থানীয়ভাবে বিশ্বুপদাক্কম নামে পরিচিত এই উৎসব। নতুন জামাকাপড় পড়ে রকমারির খাওয়া-দাওয়া, শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয় এই দিন। ভগবান বিষ্ণুর সামনে ফল চাল শাকসবজি অর্পণ করে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali New Year: হালখাতা থেকে মঙ্গলচিহ্ন! জানুন নববর্ষে এর ঐতিহ্য ও তাৎপর্য

    Bengali New Year: হালখাতা থেকে মঙ্গলচিহ্ন! জানুন নববর্ষে এর ঐতিহ্য ও তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র শেষে রেশ এখনও কাটেনি। এই আবহেই চলে এল নতুন (Bengali New Year) একটি বছর। গবেষক মহলের একাংশের দাবি, এইদিনেই হয়েছিল শশাঙ্কের রাজ্যাভিষেক। বাংলার ব্যবসায়ীরা নববর্ষের (Bengali New Year) প্রথম দিনটাকে হালখাতা হিসেবেও পালন করে থাকেন। পুজো হয় লক্ষ্মী-গণেশের, পাশাপাশি ক্রেতাদের মিষ্টিমুখও করানো হয়। বিতরণ করা হয় নতুন বাংলা ক্যালেণ্ডার। তাই বাংলা নববর্ষের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছে হালখাতা। টেনিদার হালখাতার খাওয়াদাওয়া, আজও নিশ্চয়ই মনে পড়ে আমাদের। বাঙালির ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এই হালখাতা।

    হালখাতা মানে কী

    বিশেষজ্ঞদের মতে, হাল মানে নতুন, হালখাতা অর্থাত্‍ নতুন খাতা। পুরনো বছরের সব হিসেব মিটিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় নতুন খাতায় হিসেব-নিকেশ করা। জানা যায়, চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে প্রজারা খাজনা পরিশোধ করতেন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে প্রজাদের মিষ্টিমুখ করাতেন জমিদাররা।

    নতুন যে খাতায় ব্যবসার হিসেব রাখা হবে, সেই খাতাটি কোনও মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুজো করিয়ে আনার প্রথা আছে। খাতার প্রথম পাতায় সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ব এঁকে দেন পুরোহিতরা। পশ্চিমবঙ্গের অনেক প্রসিদ্ধ মন্দিরে এদিন চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা যায়। কালীঘাট মন্দিরে উপচে পড়ে ব্যবসায়ীদের ভিড়। হিন্দুধর্মে স্বস্তিক চিহ্ন বিশেষ মঙ্গল বার্তা বহন করে। তাই যে কোনও পুজো বা শুভ অনুষ্ঠানে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক এঁকে দেওয়া হয়।

    বাড়িতে বা ব্যবসার স্থানে এদিন আঁকা হয়  মঙ্গলচিহ্ন 

    হালখাতা খোলার সময় স্বস্তিক চিহ্ন আঁকেন অনেকে। তবে বাঙালিদের কাছে মঙ্গল চিহ্ন আরও গুরুত্বপূর্ণ।  পুজো, শুভ অনুষ্ঠানের এই মঙ্গল চিহ্ন আঁকা হয়। একে আবার বাঙালির শাশ্বত প্রতীক পুত্তলিকাও বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই শুভ চিহ্ন নতুন নয়, প্রায় সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন নিদর্শনে দেখা গিয়েছে। কোনও পুতুল বা মানুষের নয়, এটি দেবী লজ্জা গৌরীর মূর্তির আদলে নির্মিত।

    তিনি পুরাণ মতে মাতৃকাদেবী। অনেক বিশিষ্টদের মতে, এটি পরমেশ্বরের পালনকর্তা রূপের স্বরূপ। ভগবান বিষ্ণুর চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়। মঙ্গল ঘটটিকে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ও মানব দেহের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। পঞ্চদেবতা বা পরমেশ্বরের পাঁচ রূপকেই এখানে বর্ণিত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Basanti Puja: বাসন্তী পুজোর ইতিহাস জানুন

    Basanti Puja: বাসন্তী পুজোর ইতিহাস জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী, সমাধি নামক বৈশ্যের সঙ্গে মিলে রাজা সুরথ বসন্তকালে ঋষি মেধসের আশ্রমে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। যা পরে বাসন্তী পুজো (Basanti Puja) নামে প্রসিদ্ধ হয়। দেবী দুর্গার প্রথম পুজারী হিসাবে চণ্ডীতে রাজা সুরথের উল্লেখ রয়েছে। পরে রাবণ বধের উদ্দেশে শ্রীরামচন্দ্র অকাল বোধন করেন এবং তখন থেকে দূর্গাপুজো শরৎকালে শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: ‘এবছর নৌকায় আগমন দেবী দুর্গার! জেনে নিন বাসন্তী পুজোর তিথি, শুভক্ষণ

    রাজা সুরথের কাহিনী

    রাজা সুরথকে চিত্রগুপ্তবংশী রাজা (চিত্রগুপ্তের বংশধর) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দূর্গা সপ্তশতী দেবী মাহাত্ম্য এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণে। সুরথ সুশাসক ও যোদ্ধা হিসেবে বেশ খ্যাত ছিলেন। কোনও যুদ্ধে নাকি তিনি কখনও হারেননি। কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্য একদিন তাঁকে আক্রমণ করে এবং সুরথ পরাজিত হন। এই সুযোগে তাঁর সভাসদরাও লুটপাট চালায়। কাছের মানুষের এমন আচরণে স্তম্ভিত হয়ে যান সুরথ। বনে ঘুরতে ঘুরতে তিনি মেধাসাশ্রমে পৌঁছোন। ঋষি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন। কিন্তু রাজা শান্তি পান না। এর মধ্যে একদিন তাঁর সমাধির সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জানতে পারেন, সমাধিকেও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তবুও তিনি স্ত্রী-ছেলের ভালোমন্দ এখনও ভেবে চলেছেন।

    আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু নবরাত্রি, ন’দিনে নয় দেবীর আরাধনা, কোন দিন কী পুজো?

    তাঁরা দুজনেই তখন ভাবলেন, যাদের কারণে তাদের সব কিছু হারিয়েছে, তাদের ভালো আজও তারা কামনা করছেন। ঋষিকে একথা বলায়, তিনি বলেন সবই মহামায়ার ইচ্ছা। এরপর ঋষি মহামায়ার কাহিনি বর্ণনা করেন। ঋষির উপদেশেই রাজা কঠিন তপস্যা শুরু করেন। পরে মহামায়ার আশীর্বাদ পেতেই বসন্ত কালের শুক্ল পক্ষে রাজা পুজো শুরু করেন। শুরু হয় বাসন্তী পুজো (Basanti Puja)। এই পুজো এখন কয়েকটি বাড়িতেই শুধু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Sri Ramakrishna: আজ রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি, মহাসমারোহে নানা উৎসবে পালিত হচ্ছে দিনটি

    Sri Ramakrishna: আজ রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি, মহাসমারোহে নানা উৎসবে পালিত হচ্ছে দিনটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Sri Ramakrishna) ১৮৮-তম জন্মতিথি। ঠাকুরের ভক্তরা নিজ নিজ গৃহে পালন করছে এই দিনটি এছাড়াও বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর মন্দির, জন্মস্থান কামারপুকুর , কাশীপুর উদ্যানবাটি, সারদা মায়ের বাড়ি সহ বিশ্বের যেখানে রামকৃষ্ণ মিশনের মঠ রয়েছে সর্বত্র ভক্তি-নিষ্ঠায় পালিত হচ্ছে এই দিনটি।

    বেলুড় মঠে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে দিনটি

    বেলুড় মঠে ভোর সাড়ে চারটের সময় মূল মন্দিরে রামকৃষ্ণদেবের (Sri Ramakrishna) মূর্তির সামনে মঙ্গলারতি দিয়ে জন্মোৎসব পালনের সূচনা হয়। সেখানেই হয় বেদপাঠ ও স্তবগান।  এরপর সন্ন্যাসী ও ভক্তরা খোল-করতাল সহ সারা মঠ ঘুরে কীর্তন করেন। তারপর হয় বিশেষ পুজো ও হোম।

    সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠগুলিতে। রামকৃষ্ণ বন্দনা, রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ ও ব্যাখ্যা, ভক্তিগীতি, বংশীবাদন, ভজন, যন্ত্র সংগীত, ধর্মসভা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে চলবে অনুষ্ঠান। এরই মাঝে বেলা ১১টা থেকে ভক্তদের জন্য খিচুড়ি প্রসাদও দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে করোনা পরবর্তী কালে  বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বেলুড় মঠে পালিত হচ্ছে রামকৃষ্ণদেবের (Sri Ramakrishna) জন্মতিথি উৎসব।

    ঠাকুরের (Sri Ramakrishna) জন্মভিটেতেও মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে দিনটি 

     রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Sri Ramakrishna) জন্মস্থান হুগলির গোঘাট থানার কামারপুকুর মঠে এই দিনটি পালিত হচ্ছে মহাসমারোহে। ভোরে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে ঠাকুরের পূজাপাঠ শুরু হয়। সকালে একটি শোভাযাত্রাও বের করা হয়। তাতে অংশ নেন অসংখ্য রামকৃষ্ণ ভক্ত। সারাদিন ধরে চলবে নানান ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান। এছাড়াও  প্রায় কয়েক হাজার ভক্তের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনদিন ধরে চলবে নানান ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই দিনগুলোতে অসংখ্য ভক্তরা ভিড়ে গমগম করে কামারপুকুর মঠ। স্থানীয়রা ছাড়াও দূর-দূরান্তের জেলা থেকে অসংখ্য মানুষ মঠ প্রাঙ্গণে হাজির হন। পাশাপাশি ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে মঠের কাছেই একটি মাঠে আজ থেকে শুরু হয়েছে মেলা। ১৫ দিন ধরে চলবে এই মেলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Falgun Amavasya: শিবরাত্রির পরে আজ সোমবতী অমাবস্যা, জানুন এর তাৎপর্য 

    Falgun Amavasya: শিবরাত্রির পরে আজ সোমবতী অমাবস্যা, জানুন এর তাৎপর্য 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পণ্ডিতরা বলছেন শিবরাত্রির পরের অমাবস্যা (Falgun Amavasya) বিশেষ ফলদায়ক। আবার সোমবার যে অমাবস্যা তিথি থাকে, তাকে সোমবতী অমাবস্যা (Falgun Amavasya) বলা হয়। বছরে একটি বা দুটি অমাবস্যাই সোমবারে পড়ে। তাই এর মাহাত্ম্য অন্য অমাবস্যার থেকে অনেক বেশি।   বিবাহিত মহিলারাও এই অমাবস্যার তিথিতে তাঁদের স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে উপবাস করেন এবং বট গাছের পূজা করার রীতিও দেখা যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই তিথিতে স্নান ও দান করা শ্রেষ্ঠ, এর ফলে পুণ্যফল লাভ করা যায়। পণ্ডিতদের মতে ব্যাস বলে গেছেন যে, এই তিথিতে ধ্যান বিশেষ পুণ্য ফল লাভ করা যায়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদে, একজন ব্যক্তির জন্য উন্নতির নতুন পথ খুলে যায় সোমবতী অমাবস্যার (Falgun Amavasya) ব্রতপালনে। এর পাশাপাশি পরিবারে সুখ শান্তি বিরাজ করে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পিতৃপুরুষদের ক্রোধের কারণে আমাদের অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে গৃহে কলহ ও হয় এবং ব্যক্তির উন্নতিতে বাধার সৃষ্টি হয়। 

    অমাবস্যায় (Falgun Amavasya) বট পুজোর তাৎপর্য-

    বিশ্বাসমতে, ত্রিদেব বাস করেন বট গাছে। ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর। এদিন বটগাছের মূলে জল ও দুধ নিবেদন করে ফুল, অক্ষত, চন্দন ইত্যাদি দিয়ে পূজা করতে হবে।

    ১. বট গাছটিকে একটি সুতো দিয়ে ১০৮ বার প্রদক্ষিণ করতে হবে।

    ২. বট গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালাতে হবে।

    ৩. এরপর দান করাকেও শুভ বলে মনে করা হয়।

    ৪. শাস্ত্রবিদরা বলছেন, এই নিয়মগুলি মেনে চললে পিতৃদোষ, গৃহ দোষ ও শনি দোষ দূর হয়, পরিবারে শান্তি বজায় থাকে।

     

    সোমবতী অমাবস্যায় (Falgun Amavasya) পুজো পদ্ধতি-

    ১. ব্রাহ্ম মুহূর্তে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে স্নান করা।

    ২. এই দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়।

    ৩. সোমবতী অমাবস্যার দিনে গঙ্গাস্নানের গুরুত্ব বেশি। তাই গঙ্গায় স্নান করুন।

    ৪. আপনি যদি স্নান করতে বাইরে যেতে না পারেন তবে স্নানের জলে সামান্য গঙ্গাজল যোগ করে বাড়িতে স্নান করুন।

    ৫. পণ্ডিতরা বলছেন এইদিনে ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর পূজা করুন।

    ৬. সোমবতী অমাবস্যার দিন বিবাহিত মহিলারা বট গাছের পূজা করে।

    ৭. সোমবতী অমাবস্যার দিনে ভগবান শঙ্করকে যথাযথভাবে পূজা করা হয়, এটি বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান শিবের পূজা চাঁদকে শক্তিশালী করে।

    ৮. এই দিনে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে হবে।

    ৯. পূর্বপুরুষদের পূজা করা উচিত এবং মোক্ষ কামনা করা উচিত।

    ১০. পূজার পর যেকোনও ধরনের দান করা উচিত।

    ১১. এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করাও শুভ বলে মনে করা হয়।

    আজ সোমবতী অমাবস্যার দিনে কিছু বিশেষ মন্ত্র জপ করলে সমস্ত কষ্ট লাঘব হতে পারে, আজ কোন কোন মন্ত্র জপ করবেন জানুন

    পণ্ডিতদের মতে, সোমবতী অমাবস্যার (Falgun Amavasya) দিনে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলে মানসিক ও শারীরিক বল পাওয়া যায়। পাশাপাশি আর্থিক লোকসান থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।

    ওম ভূর্ভুবঃ স্বঃ তত্সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ

    সোমবতী অমাবস্যা (Falgun Amavasya) তিথিতে স্নানের সময়ে এই মন্ত্র জপ করলে ব্যক্তি জন্মমৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পায়।

     গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু কাবেরী জলেস্মিনেসংনিধি কুরু

    সোমবতী অমাবস্যায় (Falgun Amavasya) শিবের পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র জপ করতে বলছেন পণ্ডিতরা। 

    অযোধ্যা, মথুরা, মায়া, কাশী, কাঞ্চী অবন্তিকাপুরী, দ্বারবতী জ্ঞেয়াঃসপ্তৈতা মোক্ষ দায়িকা

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

     

     

  • Shivaji: আজ শিবাজী মহারাজের জন্মদিন, জানুন তাঁর জীবনকথা

    Shivaji: আজ শিবাজী মহারাজের জন্মদিন, জানুন তাঁর জীবনকথা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী ধ্রুবদী ঐতিহাসিক উপন্যাস হল ‘মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত’। বিদেশী মোঘল শাসনের সময় শিবাজী (Shivaji) মহারাজের বীরত্বগাথা এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদের গৌরবময় উত্থানের কাহিনী লিপিবদ্ধ রয়েছে এই গ্রন্থখানিতে। রচয়িতা রমেশচন্দ্র দত্ত। এখানে অবশ্য উপন্যাসের মূল চরিত্র হলেন শিবজী। যিনি বলছেন, “যদি বিপদকে ভয় করিতাম, মোঘলদের অধীনে সামান্য জায়গীরদার মাত্র থাকিতাম”। বিপদকে পায়ের ভৃত্য করে অত্যাচারী মোঘল শাসক ঔরঙ্গজেবকে যিনি নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন, আজ তাঁর জন্মদিন। হিন্দু সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছত্রপতি শিবাজী হোক অথবা রমেশচন্দ্র দত্তের রাজা শিবজী জন্মগ্রহণ করেন ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৬৩০ সালে। রাজা শিবাজীর (Shivaji) রোমাঞ্চকর জীবন এবং বীরত্বগাথা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন ‘শিবাজী উৎসব’

    তার পরে একদিন মারাঠার প্রান্তর হইতে

                      তব বজ্রশিখা

         আঁকি দিল দিগ্‌দিগন্তে যুগান্তের বিদ্যুদ্‌বহ্নিতে

                      মহামন্ত্রলিখা।

         মোগল-উষ্ণীষশীর্ষ প্রস্ফুরিল প্রলয়প্রদোষে

                      পক্কপত্র যথা–

         সেদিনও শোনে নি বঙ্গ মারাঠার সে বজ্রনির্ঘোষে

                      কী ছিল বারতা।

    মাতা জীজাবাঈ-এর কাছে বাল্যকালে শুনতেন রামায়ণ-মহাভারতের গল্প

     
    শিবাজী মহারাজের জন্ম মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার পাহাড়ী দুর্গ শিবনেরিতে। তাঁর পিতা ছিলেন শাহজী ভোঁসলে, মাতার নাম জীজাবাঈ। শিবাজির পিতা শাহজী বিজাপুরের সুলতানের অধীনে কার্যভার গ্রহণ করায়, শিশুপুত্র শিবাজীসহ জীজাবাঈ দাদাজী কোণ্ডদেব নামে এক বিচক্ষণ ব্রাহ্মণের তত্ত্বাবধানে পুনায় থেকে যান। বালক শিবাজী (Shivaji)  সংস্কার লাভ করতে থাকেন তাঁর মাতার কাছ থেকেই। হিন্দুধর্মশাস্ত্র বিশেষত রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনীতে বালক শিবাজীর আগ্রহ ছিল খুব বেশি। মাতা জীজাবাঈ-এর কাছেই তিনি শৈশবের সংস্কার, শিক্ষা পান। ধর্মপরায়ণ মাতার কাছ থেকে প্রাপ্ত সংস্কার শিবাজীর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।  শিশুকালেই শিবাজীর মনে বীরত্ব ও দেশপ্রেমের সঞ্চার হয়েছিল মাতা জীজাবাঈ-এর কাছে বিভিন্ন গল্প শুনে।

    মাত্র ১৬ বছর বয়সে প্রথম দূর্গ জয় করেন 

    শিবাজী মহারাজ ছিলেন গেরিলা যুদ্ধের জনক।  ১৬৪৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে সর্বপ্রথম তোরণা দুর্গটি দখল করেন তিনি। এরপর একে একে বড়মতি, রায়গড়, পুরন্দর, প্রভৃতি দুর্গগুলি মোঘলদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন।  শিবাজীকে (Shivaji)  উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিজাপুরের সুলতান শিবাজীর পিতা শাহজীকে কারারুদ্ধ করেন। এরপর কিছুকাল শিবাজী নিশ্চুপ থাকেন। পরবর্তীকালে ১৬৫৬ থেকে আবার মনোনিবেশ করেন রাজ্য বিস্তারে।

    বাঘনখের সাহায্যে আফজল খাঁ-কে হত্যা করেন 


    বিজাপুরের সুলতান শিবাজীকে দমন করার জন্য সেনাপতি আফজল খাঁকে পাঠান। আফজল খাঁ শিবাজীকে (Shivaji)  শান্তিচুক্তির জন্য শান্তি শিবিরে আমন্ত্রণ জানান। চতুর শিবাজী আফজল খাঁর উপর আস্থা না রাখতে পেরে বাঘনখ নিয়ে যান। প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতেই আফজল খাঁ আলিঙ্গনের সুযোগে শিবাজীকে পিঠে ছুরির আঘাত করতে উদ্যত হলে শিবাজী লোহার তৈরি বাঘনখের সাহায্য-এ আফজল খাঁকে হত্যা করেন। সেনাপতির মৃত্যুতে বিজাপুরের সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে শিবাজী কোলাপুর দখল করে নেন।

    হিন্দু সাম্রাজ্য দিবসের সূচনা 

    জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী , ১৭৩১ বিক্রমসম্বত, ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ৬ জুন, ১৬৭৪ সালে নিজেকে রাজা ঘোষণা করেন শিবাজী মহারাজ। রাজধানী রায়গড় দুর্গে বিপুল জনসমাবেশে, মহাপণ্ডিত গাগা ভট্টের পৌরোহিত্যে শিবাজী নিজের গুরু রামদাস স্বামী এবং মাতা জীজাবাঈকে বন্দনা করে তাঁদের আশীর্বাদ গ্রহণ করলেন। ‘ছত্রপতি’ উপাধিতে ভূষিত হলেন। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের রাজ্যাভিষেকের এই দিনটিই ‘হিন্দু সাম্রাজ্য দিনোৎসব’ হিসেবে পালিত হয়।

    ১৬৮০ সালের ৩ এপ্রিল  ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ রাজধানী রায়গড়ে প্রয়াত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share