Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Kali Puja 2022: জানেন কালীপুজোর আগের দিন চোদ্দ রকমের শাক কেন খাওয়া হয় ?

    Kali Puja 2022: জানেন কালীপুজোর আগের দিন চোদ্দ রকমের শাক কেন খাওয়া হয় ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের উৎসব মানে বাহ্যিক দিক থেকে আলোক সজ্জা, মন্ডপ সজ্জা, থিমের জমজমাট পুজোতো রয়েছেই, তারসাথে জড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন আচার এবং অনুষ্ঠান। যেমন ধরুন খাওয়া দাওয়ার আচার। সরস্বতী পুজোর পরদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার প্রথা রয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে। আবার কিছু ব্রত রয়েছে যেগুলো তে গৃহস্থ কত্রীরা শুধু মাত্র ময়দার তৈরী খাবার খান। প্রতিটি খাওয়া দাওয়ার আচার, পরিবার এবং স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই পালিত হয়। রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে কালীপুজো উৎসব (Kali Puja)। দীপান্বিতা কালীপুজো। জানেন কি আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর আগের দিন অনেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে? এখন প্রশ্ন হলো, চৌদ্দ শাক খাওয়ার এই আচারের পিছনে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কাজ করছে ? কথিত আছে, মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর এই বিশেষ দিনেই নাকি পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে।  হিন্দুশাস্ত্র মতে,  আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি— প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষেরা। বিশ্বাস মতে, চৌদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের ছুঁয়ে থাকা যায়। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারিদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পূর্বের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে পরবর্তী সাতপুরুষের জন্য খাওয়া হয় শাক। তাই মোট চোদ্দ রকমের  শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এই শাক গুলি হলো , জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। এই প্রচলিত রীতি গুলির  পিছনে বিজ্ঞান সম্মত কারণ  রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। এদেশের সমস্ত আচার এবং অনুষ্ঠান বিজ্ঞান সম্মত হয় এবং প্রকৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। শরৎকালের শেষ এবং হেমন্তকালে শুরুতে অনেক রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ শাক দেয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।  এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এই চোদ্দ রকমের শাক গুলির কি কি গুণ রয়েছে। জয়ন্তী— উদরাময়, জ্বর, বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ করে।

    শাঞ্চে— রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

    হিংচে— পিত্তনাশক।

    ওল— অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ কমায়।

    পুঁই— হজমে সহায়ক।

    বেতো— কৃমিনাশক।

    সর্ষে— যকৃৎ, চোখ যত্নে রাখে।

    কালকাসুন্দে— অর্শ, কাশি দূর করে।

    নিম— যে কোনও চর্মরোগ নাশ করে।

    পলতা— শ্বাসযন্ত্র ভাল রাখে।

    শুলকা— হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখে।

    গুলঞ্চ— উচ্চ রক্তচাপ, যকৃৎ যত্নে রাখে।

    ভাঁটপাতা— ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।

    শুষণী— স্মৃতিবর্ধক

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kali Puja: কালীপুজোর দিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মন্দিরে কী কী ভোগ দেওয়া হয় মাকে, জানেন?

    Kali Puja: কালীপুজোর দিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মন্দিরে কী কী ভোগ দেওয়া হয় মাকে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কালীপুজা (Kali Puja)। দুর্গাপুজা শেষ হওয়ার পরেই কালী পুজোর প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে যায়। মা দুর্গা চলে গেলে সবার মন খারাপ থাকলেও আবার সবাই শ্যামা মায়ের অপেক্ষায় বসে থাকে। আর আজ সেই অপেক্ষার অবসান হল। প্রসঙ্গত, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রথম কালীপুজো আরম্ভ করেন। তারপর থেকেই সারা বাংলায় ধুমধাম করে শ্যামাপুজোর আরাধনা করা হয়।

    কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপুজা (Kali Puja) বিশেষ জাঁকজমক সহকারে পালিত হয়। দুর্গাপুজার পাশাপাশি কালী পুজোতেও বিভিন্ন আচার-নিয়ম থাকে। আর কালীপুজোর বিশেষ আকর্ষণই হল মায়ের ভোগ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শ্যামা মায়ের মন্দির। আর সেই এক এক মন্দিরের এক এক রকমের ভোগ মাকে ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়। কলকাতার সবচেয়ে বিখ্যাত কালীমন্দিরটি হল কালীঘাট মন্দির। এটি একটি সতীপীঠ। এছাড়া দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি, আদ্যাপীঠ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি ইত্যাদি কলকাতা অঞ্চলের বিখ্যাত কয়েকটি কালী মন্দির। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সেবকেশ্বরী কালী মন্দিরও বেশ বিখ্যাত। কালী পুজোর সময় মায়ের যে ভোগ হয় তা অন্যান্য পুজোর থেকে বেশ কিছুটা আলাদা। একনজরে দেখে নিন, কোন মন্দিরে মাকে কী কী ভোগ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: তারা মায়ের অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা! জানেন কী কী থাকে তারাপীঠে মায়ের ভোগে?

    কালীঘাট মন্দির

    সতীর একান্নপীঠের অন্যতম এই কালীঘাট (Kalighat)। সকালে মা-কে আমিষ পদ ভোগে দেওয়া হয়। সেই ভোগের মধ্যে রয়েছে বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপি, আলু ও কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস। তবে রাতে মা-কে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, দুধ, ছানার সন্দেশ আর রাজভোগ থাকে কালীঘাটের ভোগে।

    সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির

    আনুমানিক ১৭০৩ সালে উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সন্ন্যাসী সেই সময় জঙ্গলের মধ্যে পঞ্চমুণ্ডির আসনে ও ঘটে পুজো (Kalipuja) শুরু করেন। কালীপুজোর রাতে ভোগ দেওয়া হয় লুচি, পটলভাজা, ধোঁকা বা আলুভাজা, আলুর দম ও মিষ্টি।

    দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির

    ভোরে দেবী ভবতারিণীর বিশেষ আরতি দক্ষিণেশ্বরের পুজোর (Kalipuja) বিশেষ আকর্ষণ। আর ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি।

    তারাপীঠ মন্দির

    কালী পুজোর (Kalipuja) দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তাঁরা। কালীপুজোর দিন তাঁরা মা-এর ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা।

    সেবকেশ্বরী কালী মন্দির

    শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার পথে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই কালী মন্দির। কালীপুজোর (Kalipuja) দিনগুলোতে এই সেবকেশ্বরী কালীমন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। সেবক পাহাড়ের নির্জনতায় হয় কালী মায়ের আরাধনা। অনেকেরই বিশ্বাস, দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা। এখানে মা-এর ভোগে থাকে সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, তরকারি, পায়েস, লুচি, দই, মিষ্টি। আর এখানে ভোগের আকর্ষণ হল বোয়াল মাছ। এদিন এই মাছ দেবীর ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয়।

  • Akshaya Tritiya 2022: কেন উৎযাপিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া? জানুন এই শুভদিনের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য 

    Akshaya Tritiya 2022: কেন উৎযাপিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া? জানুন এই শুভদিনের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshaya Tritiya) দিনটিকে হিন্দু ধর্মে (Hinduism) একটি অত্যন্ত শুভ দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বৈশাখ মাসের (Baisakha) শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনটি শুভ এবং এদিনে শুভ কাজ করা যেতে পারে। এটি আখা তীজ নামেও পরিচিত। 

    এবার অক্ষয় তৃতীয়া ২০২২ সালের ৩ মে (বাংলার ১৯ বৈশাখ)  পড়ছে। এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর পূজার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই দিনে সোনা কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নিই কেন আমরা অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপন করি, এর তারিখ এবং শুভ সময়।

    অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ সময়

    অক্ষয় তৃতীয়ার তারিখ শুরু হয় – ৩ মে সকাল ৫ টা বেজে ১৯ মিনিটে
    অক্ষয় তৃতীয়া তিথি সমাপ্তি – ৪ মে সকাল ৭ টা বেজে ৩৩ মিনিটে।
    রোহিণী নক্ষত্র- ৩ মে বেলা ১২ টা বেজে ৩৪ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ৪ মে সকাল ৩ টে বেজে ১৮ মিনিটে শেষ হবে।

    অক্ষয় তৃতীয়ার তাৎপর্য

    অক্ষয় তৃতীয়া হল বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথি। এই তিথি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। 
    অক্ষয় শব্দের অর্থ যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন
    হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। 

    যদি ভালো কাজ করা হয় তার জন্যে আমাদের লাভ হয় অক্ষয় পূণ্য আর যদি খারাপ কাজ করা হয় তবে লাভ হয় অক্ষয় পাপ। এদিন পূজা, জপ, ধ্যান, দান, অপরের মনে আনন্দ দেয়ার মত কাজ করা উচিত। যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয় সতর্কভাবে।

    অক্ষয় তৃতীয়া দিনটি শুভ ও দাবীমূলক কাজের জন্য শুভ। বিবাহের পাশাপাশি জামাকাপড়, সোনা-রুপোর গয়না, যানবাহন, সম্পত্তি ইত্যাদির কেনাকাটাও এই দিনে শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে দান-খয়রাতেরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা করলে ধন-সম্পদ ও শস্যের অনেক বৃদ্ধি হয়।

    অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম্য

    ১) এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান পরশুরাম, ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে অক্ষয় তৃতীয়ার সঙ্গে পরশুরাম জয়ন্তীও পালিত হয়।
    ২) একইসঙ্গে এমনও বিশ্বাস আছে যে এই দিনে মা গঙ্গা ভগীরথের কঠোর তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন।
    ৩) এটাও বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে মা অন্নপূর্ণার জন্ম হয়েছিল। তাই এই দিনে রান্নাঘর ও খাদ্যশস্যের পুজো করা উচিত।
    ৪) অক্ষয় তৃতীয়ার দিন, ভগবান শঙ্কর কুবের-কে মা লক্ষ্মীর পূজা করতে বলেছিলেন। তাই এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করার বিধান রয়েছে।

     

  • Dakshin Dinajpur: বাণগড়কে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিরাট অনুদানের ঘোষণা

    Dakshin Dinajpur: বাণগড়কে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিরাট অনুদানের ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুরে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থান বাণগড়কে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে অনুমোদন কেন্দ্র সরকারের। শুক্রবার বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, “বাণগড়কে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে।” এর ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাণগড় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠলে জেলায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। জেলায় আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    ইতিহাস গবেষকদের মতামত (Dakshin Dinajpur)

    অপরদিকে জেলার (Dakshin Dinajpur) ইতিহাস গবেষক সমিত ঘোষ ও ইতিহাসবিদ সুকুমার সরকার বলেন, “বাণগড়ের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। এখানে কুশান, শুঙ্গ, মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং মুসলিম আমল সহ সাতটি স্তর খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এর রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি এখানে আরও গবেষণার ফলে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য উঠে আসবে। এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে রাজ্য এবং দেশের মানুষ, এক‌ই স্থানে বিভিন্ন যুগের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে ছুটে আসবেন। ছাত্রছাত্রী, গবেষক এবং অধ্যাপকেরা ভীষণভাবে উপকৃত হবেন। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের প্রচেষ্টায় বাণগড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক অনুমোদন দিয়েছে বলে একই মন্তব্য করেন গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। ভোটের চমক হোক, আর যাই হোক, বাণগড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ভারতীয় প্রত্নতত্ব বিভাগের প্রায় তিন কোটি টাকা অনুমোদনে আশার আলো দেখছেন জেলার ইতিহাসবিদ, ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ।

    সুকান্তের বক্তব্য

    এই বিষয়ে বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের জেলার ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র বাণগড়। আজকে আনন্দের সাথে জানাচ্ছি স্বাধীনতার পর বাণগড়ে অনেক খননকার্য হয়েছিল আগে, এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বহুবার জেলা থেকে চেষ্টা করার পর কিছু করা যায়নি। আজকে জেলাবাসীর জন্য সুখবর কেন্দ্রের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বাণগড়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের পক্ষ থেকে এটিকে রাজনৈতিক চমক বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, “পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলে জেলার ভালো খবর। তবে প্রশাসনিকভাবে আমরা জানতে না পেরে সুকান্তবাবুর মুখ থেকে জানতে পারছি। আমরা মনে করি লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চমক দিতেই তা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Basanti Puja 2024: চলতি বছরে বাসন্তী পুজো কবে? জেনে নিন পৌরাণিক আখ্যান

    Basanti Puja 2024: চলতি বছরে বাসন্তী পুজো কবে? জেনে নিন পৌরাণিক আখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র মাসের দুর্গা পুজো নামে পরিচিত বাসন্তী পুজো (Basanti Puja 2024)। শ্রী শ্রী চণ্ডীতে দুর্গার প্রথম পুজারী হিসেবে রাজা সুরথের নাম পাওয়া যায়। চলতি বছরে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি পড়ছে ৮ এপ্রিল বেলা ২টো ১১ মিনিট থেকে। কিন্তু উদয়া তিথি মেনে নবরাত্রির ঘট স্থাপন হবে ৯ এপ্রিল। সেই হিসেবে ২০২৪ সালে ৯ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে চৈত্র নবরাত্রি। নবরাত্রির অবসান হবে ১৭ এপ্রিল। পুরো ৯ দিন ধরে চলবে চৈত্র নবরাত্রি পালন।

    দেবীর আগমন ঘোটকে

    শাস্ত্র মতে, দেবীর আসা ও যাওয়ার বাহনের উপর নির্ভর করে গোটা বছর কেমন কাটতে চলেছে মর্ত্যবাসীর। দেবী দুর্গা কোনও বছর ঘোড়া, কোনও বছর হাতি, আবার কোনও বছর নৌকায় আসেন। চলতি বছরে চৈত্র নবরাত্রিতে দেবীর আগমন (Basanti Puja 2024) হবে ঘোটক বা ঘোড়ায়। ঘোড়ায় চড়ে দেবীর মর্ত্যে আগমন জ্যোতিষ অনুসারে শুভ লক্ষণ হিসাবে মানা হয় না। এর ফলে ক্ষমতার পরিবর্তন ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

    রামনবমীর তিথি 

    ২০২৪ সালে ১৬ এপ্রিল পড়ছে রামনবমীর তিথি। ওই দিন দুপুর ১টা ২৩ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে রামনবমীর তিথি। আর তিথি চলবে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৭ এপ্রিল দুপুর ৩টে ১৪ মিনিটে শেষ হচ্ছে রামনবমীর তিথি। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে উদয়া তিথিতে এই উৎসব (Basanti Puja 2024) পালিত হয়। সেই নিয়মেই ১৭ এপ্রিল রামনবমীর তিথি পালিত হবে।

    দুর্গা পুজোর পৌরাণিক আখ্যান

    একবার রাজা সুরথ প্রতিবেশী রাজ্যের আক্রমণে পরাজিত হন, এই সুযোগে তাঁর সভাসদরা লুঠপাঠ চালায়। নিজের লোকেদের এমন আচরণে তিনি হতাশ হয়ে যান। এই সময় তিনি নিরাশ হয়ে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঋষি মেধসের আশ্রমে পৌঁছান। ঋষি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন। কিন্তু রাজার মনে কোনও শান্তি ছিল না। এর মধ্যে একদিন তাঁর সঙ্গে সমাধি বলে একজন বৈশ্যর দেখা হয়। সুরথ জানতে পারেন সমাধিকেও তাঁর স্ত্রী ও ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, তবুও তিনি বউ ছেলের ভালো-মন্দ এখনও ভেবে চলেছেন। এমন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে কী করণীয়? ঋষির কাছে তা জানতে চান দুজনেই। ঋষি মহামায়ার আরাধনা করতে বলেন। সেই মতো রাজা বসন্তকালের শুক্লপক্ষে দেবী দুর্গার পুজো শুরু করেন। সেই সময় থেকে শুরু হয়েছিল বাসন্তী পুজো (Basanti Puja 2024)। এরপরেই রাজা সুরথ নিজের রাজ্য ফিরে পান। বৈশ্য সমাধি ফিরে পান নিজের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maha Shivratri 2024: অল্পতেই সন্তুষ্ট হন মহাদেব, শিবরাত্রির চার প্রহরের পুজোয় মেলে বিশেষ ফল

    Maha Shivratri 2024: অল্পতেই সন্তুষ্ট হন মহাদেব, শিবরাত্রির চার প্রহরের পুজোয় মেলে বিশেষ ফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সন্ধ্যা থেকেই শিবরাত্রি উপলক্ষে মেতে উঠবেন ভক্তরা। দুধ, গঙ্গাজল, ধুতুরা ফুল, বেল পাতা এসব কিছুই অর্পণ করা হবে দেবাদিদেব মহাদেবের (Maha Shivratri 2024) উদ্দেশে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, শঙ্কর ভগবান স্বল্পতেই সন্তুষ্ট হন। চতুর্দশী তিথি শুরু হচ্ছে শুক্রবার রাত আটটার দিকে। থাকবে শনিবার বিকেল পর্যন্ত। অর্থাৎ শিবরাত্রি তিথির রাত্রিকালীন সময় পড়ছে শুক্রবারে। যে কারণে ভক্তরা শুক্রবার রাতেই শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে পারেন। পুজো দিতে পারেন। যাঁরা বৈষ্ণব বা গোস্বামী মতে পুজো করেন, তাঁদের জন্য শিবরাত্রি পালনের সময় শনিবার। কারণ এই মতে তিথি শুরু হয় সূর্যোদয়ের পর থেকে। ফলে তাঁরা শনিবার শিবলিঙ্গের অভিষেক করবেন।

    চার প্রহরে শিবের পুজো বিশেষ ফলদায়ী

    শাস্ত্র অনুযায়ী, শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2024) তিথিতে চার প্রহরে শিব পুজোয় বিশেষ মাহাত্ম্য থাকে। এই সময়ের মধ্যে দেবাদিদেবের আরাধনায় সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায় ভক্তরা। 

    প্রথম প্রহর: চার প্রহরে মধ্যে শিবরাত্রির (Maha Shivratri 2024) প্রথম প্রহরে শিবের ঈশান সরূপের পুজো করা হয়। এই সময়ের মধ্যে দুধ দিয়ে শিবের অভিষেক করা হয়। সাধারণভাবে সন্ধ্যাবেলায় হয় প্রথম প্রহরের পুজো। এই সময়ে দুধ এবং জল দিয়ে শিবের অভিষেক করা হয়।

    দ্বিতীয় প্রহর: দ্বিতীয় প্রহরের পুজোতে শিবের অঘোর রূপের আরাধনার প্রচলন রয়েছে। এ সময়ে দই দিয়ে অভিষেক করার পরে জলাভিষেক করা হয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময় শিব পুজো করলে ব্যক্তি ধন সমৃদ্ধি লাভ করে।

    তৃতীয় প্রহর: অন্যদিকে তৃতীয় প্রহরে ঘি দিয়ে শিবের পুজো করা হয়। এই প্রহরে শিব স্তুতি বিশেষ ফলদায়ী বলেই মনে করেন শাস্ত্রকাররা। নিশীথকালে এই প্রহরের পুজো হয়।

    চতুর্থ প্রহর: এই প্রহরে মধু দিয়ে শিবের সদ্যোজাত স্বরূপের পূজা করা হয়। চতুর্থ প্রহরে মধু নিবেদনের পরে জলাভিষেক করতে হয়। মনে করা হয় চতুর্থ প্রহরের পুজো মোক্ষলাভকেই সম্প্রসারিত করে। ভোররাত তিনটে থেকে সকাল ছটার মধ্যে চতুর্থ প্রহরের পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

    কোন প্রহরের পুজো কখন হবে?

    প্রথম প্রহর- সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত

    দ্বিতীয় প্রহর- রাত ৯টা ২৮ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত

    তৃতীয় প্রহর- মাঝরাত ১২টা ৩১ মিনিট থেকে ভোররাত ৩টে ৩৪ মিনিট পর্যন্ত

    চতুর্থ প্রহর- ভোররাত ৩টে ৩৪ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maha Shivratri 2024: সামনেই শিবরাত্রি, জেনে নিন বাড়িতে শিব প্রতিষ্ঠার এই নিয়মগুলি

    Maha Shivratri 2024: সামনেই শিবরাত্রি, জেনে নিন বাড়িতে শিব প্রতিষ্ঠার এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ মার্চ শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2024)। দেবাদিদেব মহাদেবের বিশেষ পুজো। হিন্দু শাস্ত্র মতে, গঙ্গার সমতুল যেমন কোনও নদী নেই, তেমনি শিবরাত্রির মতো ব্রত নেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ব্রতীরা এদিন শিবলিঙ্গে জল ঢালেন। শিবরাত্রির পুজো হয় চার প্রহরে, চারবার। শিবের আর এক নাম আশুতোষ। অল্পেই সন্তুষ্ট হন। সামান্য একটা বেলপাতা মাথায় দিলেই হয়। শিব যোগী পুরুষ। শাস্ত্র অনুযায়ী, যেহেতু শালগ্রাম শিলা স্পর্শের অধিকার সব বর্ণের মানুষের নেই, তাই স্বয়ং নারায়ণই বানলিঙ্গ শিবের রূপ নিয়েছিলেন। সেই কারণেই বাণলিঙ্গ শিবের স্পর্শ দোষ নেই, নেই শুচি-অশুচিও।

    শিব প্রতিষ্ঠার নিয়ম

    শিবরাত্রিতে অনেকেই বাড়িতে শিব প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এই প্রতিষ্ঠা নিজে নিজে করলেই হয় না। শিব প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন বিশেষ আয়োজন। বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন পুরোহিত। তবে বাড়িতে শিব প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানতে হবে কিছু বিশেষ নিয়ম। কারণ মনে রাখতে হবে, শিবের আপাত শান্ত মূর্তির মধ্যে রয়েছে তাঁর প্রলয়ঙ্করী রূপও (Maha Shivratri 2024)। তিনি যেমন ত্রাতা, তেমনি তিনি প্রলয়কর্তাও।

    শিবের ছবি পুজো

    তাই শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা না করে শিবের ছবি পুজো করাই ভালো। আর যদি নিতান্তই শিব প্রতিষ্ঠার ইচ্ছে হয়, তাহলে শাস্ত্র সম্মতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিব যেহেতু যোগী পুরুষ, সব সময় যোগে নিমগ্ন থাকেন, তাই তাঁর ধ্যান ভাঙানো উচিত নয়। তাঁর যাতে ধ্যানভঙ্গ না হয়, সেজন্য শিবমন্দিরে জানালা পর্যন্ত থাকে না। বাড়িতে শিব প্রতিষ্ঠা করলে এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। শিব মন্দিরে নিয়মিত পুজো করতে হবে। দিতে হবে সন্ধেও।

    আরও পড়ুুন: মোদির সভায় যোগদান? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন তমলুকে?

    যাঁরা এসব নিয়মকানুন মানতে পারবেন না, অথচ দেবাদিদেবের পুজো করতে চান, তাঁরা বাণলিঙ্গ রাখতে পারেন। বাণলিঙ্গকে নর্মদেশ্বর লিঙ্গও বলা হয়। নর্মদা নদীতেই মেলে বাণলিঙ্গ শিব। এই বাণলিঙ্গ শিবের যেহেতু শুচি-অশুচি নেই, তাই পুজো করা সহজ। তবে কোন রংয়ের বাণলিঙ্গ ঘরে রাখবেন, তা জেনে নেবেন শাস্ত্রকারদের কাছ থেকে। তবে সাদা রংয়ের শিব কখনওই পুজো করবেন না। এটি পুজো করেন সন্ন্যাসীরা। গৃহীর এই রংয়ের শিবের পুজো করা উচিত নয়। শিবলিঙ্গকে সব সময় তামার কোনও পাত্রের ওপর রাখবেন। শিবের গৌরীপট্টটি সর্বদা রাখতে হবে উত্তর দিকে (Maha Shivratri 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mayapur Iskcon: শ্রীল প্রভুপাদের দুষ্প্রাপ্য ছবি, পাণ্ডুলিপি নিয়ে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ প্রদর্শনী মায়াপুর ইসকনে

    Mayapur Iskcon: শ্রীল প্রভুপাদের দুষ্প্রাপ্য ছবি, পাণ্ডুলিপি নিয়ে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ প্রদর্শনী মায়াপুর ইসকনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক গুরু, আচার্য ও গৌড়ীয় মঠের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদের জীবন ও তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে ২০০০ বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে ‘বিশ্বের বৃহত্তম প্রদর্শনী’ শুরু হল মায়াপুরে ইসকনের ‘টেম্পল অফ বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়ামে’ (Mayapur Iskcon)। সারস্বত বৈষ্ণব সমাজের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী সাজিয়ে তোলা হয়েছে কলকাতার ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে। উল্লেখ্য, ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদ গৌড়ীয় বৈষ্ণব  ধর্মের প্রচারে তৎকালীন ভারতে ৬৪টি মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভারতের বাইরে ব্রহ্মদেশ, জার্মানি এবং ইংল্যান্ডেও গৌড়ীয় বৈষ্ণব প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর সুবাদে দেশের বাইরেও কৃষ্ণনাম ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে বিশাল প্রদর্শনী খোলা হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য। বেশ কয়েক মাস ধরে এই প্রদর্শনী চলবে বলে ইসকন সূত্রে জানানো হয়েছে।

    কী কী রয়েছে? (Mayapur Iskcon)

    প্রভুপাদের পাণ্ডুলিপি, তাঁর লেখা বই, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পাশাপাশি প্রভুপাদের দুষ্প্রাপ্য ছবিও এই প্রদর্শনীতে দেখার সুযোগ থাকছে। গৌড়ীয় ধর্ম প্রচারে তাঁর অবদান এই প্রদর্শনীর মাধ্যমেই তুলে ধরা হয়েছে। এপর্যন্ত ইসকনে যতগুলি প্রদর্শনী হয়েছে তার মধ্যে এটিই অন্যতম ও সবচেয়ে বড় আকারের বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষে দাবি করা হচ্ছে। আধ্যাত্মিক জীবনে ধর্মপ্রচারের জন্য প্রভুপাদ যে পরিব্রাজক হিসেবে ভ্রমণ করেছিলেন, তাও তুলে ধরা হয়েছে এই প্রদর্শনীটিতে (Mayapur Iskcon)।

    ৫০০০ এর বেশি আর্টিকল (Mayapur Iskcon)

    প্রদর্শনীটি সাজিয়ে তুলেছেন বিশিষ্ট শিল্প নির্দেশক যাদব সেন। গবেষণা করেছেন ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের গ্রন্থাগারিক সৌরিশ দাস। ৯৬টি প্যানেলে ৫০০০ এর বেশি আর্টিকল এই প্রদর্শনীতে স্থান করে নিয়েছে। টেম্পল অফ বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম-এর নির্দেশক ব্রজবিলাস দাস প্রভু এই প্রদর্শনীর (Mayapur Iskcon) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইউনেস্কো শ্রীমৎ ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদের মতো দার্শনিক, সমাজ সংস্কারক ও বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক মহাপুরুষের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীকে তাদের বার্ষিকী উদযাপনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। মূলত ইসকন মন্দিরের জন্য মায়াপুরে সারা বছর পুণ্যার্থী থেকে সাধারণ পর্যটকের অভাব হয় না। এই প্রদর্শনী চলাকালীন মন্দিরের পাশাপাশি মায়াপুরেও পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Makar Sankranti 2024: আজ ‘মকর সংক্রান্তি’, জানুন এই পুণ্য তিথির মাহাত্ম্য

    Makar Sankranti 2024: আজ ‘মকর সংক্রান্তি’, জানুন এই পুণ্য তিথির মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার মকর সংক্রান্তি বা পৌষ সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2024)। সারা দেশজুড়েই পালন করা হয় এই উৎসব। মকর সংক্রান্তির দিন থেকে নতুন চাষ শুরুও হয় সারা দেশে। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আলাদা আলাদা নামে উৎসবটির উদযাপন চলে।  তামিলনাডুতে উৎসবটির নাম ‘পোঙ্গল’। পাঞ্জাবে উৎসবটির নাম ‘লোহরি’। চলতি বছরে অবশ্য লোহরির একদিন পরে পালন করা হচ্ছে মকর সংক্রান্তি। উত্তরপ্রদেশে এই উৎসব ‘খিচড়ি উৎসব’ নামে পরিচিত। এদিন ভক্তরা গঙ্গাস্নান করেন। মাঘ মেলার শুরু হয় সেখানে। গুজরাটে এদিন ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি দেখা যায়, বড়রা ছোটদের উপহার দেয়। গুজরাটে এই উৎসব ‘উত্তরায়ণ’ নামে প্রসিদ্ধ। অসমে, মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2024) উৎসব ‘মাঘ বিহু’ এবং ‘ভোগালী বিহু’ নামে পরিচিত। মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti 2024) সূর্য দক্ষিণায়ন থেকে উত্তরায়ণে যায়। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে দক্ষিণায়ণ হল দেবতাদের রাত এবং উত্তরায়ণ হল দেবতাদের দিন। এই দিনে পুজো ও দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, এই দিনে দান করলে এর ফল বহুগুণ হয়।

    মকর সংক্রান্তি পৌরাণিক কথা

    মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2024) দিনটি নিয়ে নানারকম পৌরাণিক ব্যাখ্যা রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, শনি মহারাজ সূর্যদেবের সন্তান। কিন্তু কৃষ্ণবর্ণ হওয়ায় শনি মহারাজ ও স্ত্রী ছায়াকে ত্যাগ করেন সূর্যদেব। এর পর এক সময় তিনি (সূর্য) কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন। সেই সময় তাঁর আরেক স্ত্রী সঞ্জনার সন্তান যমরাজ উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন পিতার অসুখে। যমরাজের চেষ্টায় সূর্যদেবের কুষ্ঠ সেরে যায়। সূর্যদেব সুস্থ হতেই তাঁর সমস্ত জ্যোতি গিয়ে পড়ে মকরের উপর। সেখানেই থাকতেন তাঁর ত্যাজ্য স্ত্রী ছায়া ও সন্তান শনিদেব। তাঁদের বাড়িঘর পুড়ে যায় সেই তেজে। সৎমা ও সৎভাইয়ের এই অবস্থা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যমরাজ। তিনি সূর্যদেবের কাছে গিয়ে অনুরোধ করেন তাঁদের ক্ষমা করতে। এই সময় সূর্যদেব এগিয়ে যান সেই উদ্দেশ্যেই (ক্ষমা করতে)। সেই সময় সব পুড়ে গেলেও শনিদেবের ঘরে কিছু তিল অবশ্য বাকি ছিল। ঘরে রাখা সেই তিল দিয়েই তিনি সূর্যদেবকে বরণ করে নেন। শনিদেবের এই শ্রদ্ধা নিবেদন দেখে তুষ্ট হন পিতা সূর্যদেব। সেই সময় তিনি একটি নতুন ঘর দেন শনিদেবকে। যার নাম ‘মকর’। এর পর সন্তানের সেই ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। সেই ক্ষণকেই মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti 2024) সূচক বলে মনে করা হয় হয়। মনে করা হয়, এই দিনই রাজা সগরের ষাট হাজার মৃত পুত্রের প্রাণ দানের কারণে গঙ্গাদেবীর মর্ত্যে তথা কপিল মুনির আশ্রমে আগমনের তিথি এই মকর সংক্রান্তি।   

    জ্যোতিষশাস্ত্র ও ভূগোলে মকর সংক্রান্তি

    জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, সূর্য প্রত্যেক রাশিতে এক মাস অর্থাৎ ৩০ দিন করে অবস্থান করে। রাশিচক্রে মোট ১২টি রাশির অবস্থান রয়েছে। প্রত্যেক রাশি ৩০ ডিগ্রি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রত্যেক ৩০ ডিগ্রি অন্তর রাশির পরিবর্তনকাল বিভিন্ন সংক্রান্তি হিসাবে চিহ্নিত।  বাংলার প্রথম মাস বৈশাখে সূর্য অবস্থান করে মেষ রাশিতে, জ্যৈষ্ঠ মাসে বৃষ রাশিতে। এইরূপে ধনু রাশিতে ৩০ দিনের অবস্থানের পর মকর রাশিতে গমনকাল ‘মকর সংক্রান্তি’ নামে পরিচিত। এই তিথি ‘উত্তরায়ণ সংক্রান্তি’ (Makar Sankranti 2024) নামেও পরিচিত। মকর সংক্রান্তি থেকে দিনের দৈর্ঘ্য বড় হতে থাকে। তাই দিনটির ভৌগোলিক গুরুত্বও রয়েছে।

    মকর সংক্রান্তির উদযাপন

    মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti 2024) দিন সাধারণত সূর্যদেবতার উপাসনা করা হয়। এই দিন ভক্তরা নদী, সমুদ্রে স্নান করে শুদ্ধ হন। এরপর ভক্তরা সূর্য দেবতার কাছে মন্ত্রপাঠ করে প্রার্থনা করেন। সংক্রান্তির বিশেষ ক্ষণে দানধ্যানের মতো পুণ্যকর্ম করার প্রচলনও রয়েছে। তিল, গুড়, দিয়ে পিঠে পুলি, সন্দেশ তৈরির রীতি তো রয়েছেই। এই দিন তিলের সন্দেশ তৈরি করার পিছনে বিশেষ কারণ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন বাংলায় কীভাবে? জানুন ইতিহাস

    Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন বাংলায় কীভাবে? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, ভাইফোঁটার পর এবার জগদ্ধাত্রী পুজো। জগদ্ধাত্রী পুজোকে (Jagadhatri Puja 2023) ঘিরে উৎসবমুখর বাঙালির নজর এবং গন্তব্য থাকে দুটি জায়গায়–একটি কৃষ্ণনগর এবং অপরটি চন্দননগর। রাজনৈতিক দলগুলির সমাবেশ ‘ব্রিগেড চলো’, ‘কলকাতা চলো’ ইত্যাদি নামে পরিচিত। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কোনও রাজনৈতিক দল ডাক না দিলেও ‘কৃষ্ণনগর চলো’ এবং ‘চন্দননগর চলো’ ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয় রাজ্যের বড় অংশের মানুষ। সুসজ্জিত মণ্ডপ, দুর্দান্ত আলোকসজ্জা, মাতা জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা দেখতে লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই দুই শহরে। জমজমাট জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) জন্য ভারতীয় রেল বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করে। রাত বাড়লে মানুষের ঢল নামতে দেখা যায়। কিন্তু জানেন কেন এই দুই শহরের জগদ্ধাত্রী পুজো এত জনপ্রিয়? এর নেপথ্যে ইতিহাস কী? কারা শুরু করেছিল এই পুজো?

    জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন কীভাবে হল?

    উত্তর জানতে আমাদের যেতে হবে নবাব আলিবর্দী খাঁ-এর আমলে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করেন নবাব‌। কৃষ্ণচন্দ্র রায় দিতে অপারগ হলে, তাঁকে বন্দি করে নবাবের বাহিনী। মুর্শিদাবাদ অথবা বিহারের মুঙ্গেরে রাজাকে রাখা হয় বলে জানা যায়। মুক্তির পর নদীপথে নিজের রাজ্যে ফিরছিলেন রাজা। এমন সময় বিজয়া দশমীর প্রতিমা নিরঞ্জনের বাজনা শুনে তাঁর অন্তরে আকুলতা তৈরি হয়। দুর্গাপুজোয় অংশ না নিতে পারার আকুলতা। প্রাসাদে ফিরে রাজা মনের দুঃখে ঘুমোতে যান। কথিত আছে, ওই রাতে মাতা দুর্গা রাজাকে স্বপ্ন দেন, শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) রূপে তাঁকে পুজো করতে হবে। তখন থেকেই নাকি কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা।

    অন্য একটি মতে, ১৭৬৬ সালে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়। আবার অনেকে কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্রকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তক মনে করেন। কৃষ্ণনগরের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোগুলোর মধ্যে চাষা পাড়াতে বুড়িমার পুজো অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। ৭৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দ্বারা মাতা জগদ্ধাত্রীকে (Jagadhatri Puja 2023) সাজানো হয় এখানে। এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত বলে এলাকার মানুষ মনে করেন এবং দেবী তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনাও পূর্ণ করেন বলেই বিশ্বাস। এই পুজো শুরু হয় ১৭৯০ সালে। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দরজা খুলে রাখার রীতি আজও চোখে পড়ে। তৎকালীন কৃষ্ণনগরের রানিমা রাজবাড়িতে বসেই প্রতিমা দর্শন করতেন। নিরঞ্জনের পূর্বে প্রতিমা রাজবাড়ির সামনে থেকে একবার ঘুরিয়ে আনতে হয়, এটাই এখানকার রীতি।

    চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাস

    অন্যদিকে ফরাসি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল চন্দননগর। এখানকার জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) পুজোর সূচনা করেন ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অত্যন্ত  ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইন্দ্রনারায়ণ। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। তাঁর প্রচলিত পুজো চন্দননগরে আদি পুজো নামে বিখ্যাত। জনশ্রুতি আছে, আদি প্রতিমাকে জলে নিরঞ্জন করা মাত্রই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত এবং ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share