Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • ISL Kolkata Derby: ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, দ্রুততম গোলে লিগ টেবিলে শীর্ষেই মোহনবাগান

    ISL Kolkata Derby: ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, দ্রুততম গোলে লিগ টেবিলে শীর্ষেই মোহনবাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে অপরাজিতই রইল মোহনবাগান। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তার মধ্যে ৯ বারই জিতল মোহনবাগান। শনিবার ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মোহনবাগান। ম্যাচের ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের মাথায় একমাত্র গোলটি করেন জেমি ম্যাকলারেন। থ্রু পাস বাড়িয়েছিলেন মোহনবাগানের আশিস রাই (Asish Rai)। সেই পাস ধরে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ফাঁক দিয়ে গোল জেমি ম্যাকলারেনের (Jamie Maclaren)। আইএসএল ডার্বির ইতিহাসে এটাই দ্রুততম গোল। গোটা ম্যাচে বারবার সুযোগ পেলেও সেই গোল আর পরিশোধ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে। ম্যাচে ২টি হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের শৌভিক চক্রবর্তী।

    মোহনবাগানের দাপট 

    আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয় ডার্বি জিতে মোহনবাগান ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল। ইস্টবেঙ্গল যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই। বেঙ্গালুরুর সঙ্গে সবুজ-মেরুনের ব্যবধান শনিবারের পর আট পয়েন্টের। বাকিদের পক্ষে মোহনবাগানকে ধরা কার্যত অসম্ভব। বেশ কয়েক বছর ধরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হারটাই দস্তুর হয়ে গিয়েছে লাল হলুদ শিবিরের। আইএসএলে টপ সিক্সে যাওয়ার আশা ইস্টবেঙ্গলের ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। এদিন হারের পরে সেই রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল। ধারে ও ভারে এই মোহনবাগান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেকটাই শক্তিশালী। মাঠেও তা প্রমাণিত হয়েছে বাংরবার। 

    ছোটদের ডার্বিতেও জয়ী মোহনবাগান 

    শনিবার, বড়দের আগে ছোটদের ডার্বি জেতে মোহনবাগান। ২-১ গোলে জেতে সবুজ-মেরুন। কল্যাণীর মাঠে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলারেরা নেমেছিল। প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের অনেকটা সময় পর্যন্ত এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ। মোহনবাগানের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠে রাজদীপ পাল। নির্ধারিত সময়ের খেলায় সমতা ফেরায় সে। পরে সংযুক্তি সময়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে রাজদীপ। মোহনবাগান সমতা ফেরানোর পরে আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু গোল করতে পারেনি লাল-হলুদ ফুটবলার। তার খেসারত দিতে হয় দলকে। রাজদীপ দ্বিতীয় গোল করার পরে আর ফেরার সম্ভাবনা ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL Derby: শনির ডার্বিতে এগিয়ে মোহনবাগান, তবুও সতর্ক মোলিনা! হুংকার ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজোর

    ISL Derby: শনির ডার্বিতে এগিয়ে মোহনবাগান, তবুও সতর্ক মোলিনা! হুংকার ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মরসুমে দ্বিতীয় ডার্বিতে (ISL Derby) নামতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। খাতায় কলমে এটা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হোম ম্যাচ হলেও দুই দলের কাছেই এটা অ্যাওয়ে, কারণ ম্যাচটা হচ্ছে গুয়াহাটিতে। এই ম্যাচে লাল হলুদ ও সবুজ মেরুন দুই দলেই (Mohun Bagan vs East Bengal) রয়েছে চোটের সমস্যা। একাধিক প্লেয়ারকে পাবে না দুই দল।  

    এগিয়ে সবুজ-মেরুন

    গ্রেগ স্টুয়ার্ট, দিমিত্রি পেত্রাতোসকে বাইরে রেখে ডার্বির (ISL Derby) একাদশ সাজাচ্ছেন হোসে মোলিনা। বন্ধ দরজার আড়ালে প্রস্তুতিতে জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস জুটির ওপরই ডার্বির গোলের দায়িত্ব দিতে চলেছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কোচ। খাতায় কলমে এবং পারফরম্যান্স গ্রাফে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এগিয়ে, তারাই ফেভারিট। আইএসএল ডার্বিতে (Mohun Bagan vs East Bengal) এখনও অপরাজিত সবুজ-মেরুন। তবে ইতিহাস বলছে ডার্বির মেজাজ, চাপ আলাদা। মোলিনার দলে সবচেয়ে বড় শক্তি আক্রমণ-মাঝমাঠ-রক্ষণ, প্রতিটি বিভাগের ফুটবলারই গোলের মধ্যে রয়েছেন। ম্যাকলারেনের সঙ্গে গোল করার প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিচ্ছেন আলবার্তো।  রক্ষণে আলবার্তো রড্রিগেজ এবং টম অলড্রেট থাকছেন। দুই সাইডব্যাক শুভাশিস বসু এবং আশিস রাই। মাঝমাঠে আপুইয়ার সঙ্গে সাহাল আবদুল সামাদ। দুই উইং ধরে মনবীর সিং এবং লিস্টন কোলাসো দৌড়বেন। আক্রমণে কামিংস​ এবং জেমি ম্যাকলারেন। চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। অনুশীলনে যথেষ্ট সাবলীল। তবে স্কটিশ মিডফিল্ডারকে আরও একটু দেখে শুনে ব্যবহার করতে চান মোলিনা। 

    ব্যাকফুটে ইস্টবেঙ্গল

    এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ব্যাকফুটে থেকে খেলতে নামবে। এর কারণ হচ্ছে সাম্প্রতিক ফর্ম। গত ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে যেভাবে গোল খেয়েছে তারপর লাল হলুদের রক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। যদিও নিজেদের আন্ডারডগ মানতে নারাজ কোচ অস্কার ব্রুজো। পয়েন্ট তালিকায় মোহনবাগান শীর্ষে। এই ম্যাচে হারলে বা ড্র করলে সবুজ মেরুনের খুব একটা বেশি সমস্যা হবে না। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল রয়েছে ১১ নম্বর স্থানে। এই ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে লাল হলুদের শেষ ছয়ে শেষ করাটা। মুম্বই ম্যাচে চোট পেয়ে হুইল চেয়ারে করে মাঠ ছাড়েন আনোয়ার। ব্রুজো জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টা আনোয়ারকে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সল ক্রেস্পোর খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। শুক্রবার সকালে অনুশীলন করে দুপুরে বিমানে গুয়াহাটি পৌছেছে দুই দল। স্নায়ুর লড়াইও শুরু হয়ে গিয়েছে। দু-দলের কাছেই  তিন পয়েন্ট পাখির চোখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BCCI: অজি-ভূমে বিরক্তিকর পারফরম্যান্স! রোহিত, কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছে বিসিসিআই?

    BCCI: অজি-ভূমে বিরক্তিকর পারফরম্যান্স! রোহিত, কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছে বিসিসিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে লজ্জাজনক হারের পর ভারতীয় দলের (India Cricket) প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir), অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং দলের প্রধান ক্রিকেটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সমালোচনার মুখে পড়েছেন। দলের খারাপ পারফরম্যান্সের ময়নাতদন্তে ব্যস্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। অস্ট্রেলিয়ায় হারের দায় কার? কেন এত খারাপ খেলল দল? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বিসিসিআই। তবে বোর্ড সূত্রে খবর, একটি সিরিজের খেলা বিচার করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না বিসিসিআই। তারা দলকে সময় দিতে চাইছে।

    দলের খারাপ পারফরম্যান্স

    টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তাদের সবচেয়ে খারাপ সিজন নিয়ে ভারতীয় দল বছর শেষ করেছে। ভারতীয় দল ১২ বছর পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে লজ্জাজনক হারের সম্মুখীন হয়েছিল। প্রথমবার ভারতীয় দল তার ঘরের মাঠে তিন বা তার বেশি ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের শিকার হয়। এর পরই ভারত ১০ বছর পর বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হাতছাড়া করে। এই প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে পারবে না ভারত। কাঠগড়ায় বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও গৌতম গম্ভীর। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপরেই সব কিছু নির্ভর করছে।

    ব্যর্থ কোহলি-রোহিত

     অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ন’টি ইনিংসে ১৯০ রান করেছেন কোহলি। তার মধ্যে পার্‌থে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রান রয়েছে। অর্থাৎ, বাকি আটটি ইনিংসে মাত্র ৯০ রান করেছেন তিনি। রোহিতের অবস্থা আরও খারাপ। পাঁচটি ইনিংসে মাত্র ৩১ রান করেছেন তিনি। সিডনিতে শেষ টেস্টে দলের বাইরে থাকতে হয়েছে অধিনায়ককে। 

    গম্ভীরকে নিয়েও জল্পনা

    দলের (BCCI) খারাপ পারফরম্যান্সের দায় এড়াতে পারছেন না কোচ গৌতম গম্ভীরও। নিশানায় তাঁর বেছে নেওয়া সাপোর্ট স্টাফেরাও। দ্রাবিড়ের হাত থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর গম্ভীর জমানাতে শুধুই ব্যর্থতা। গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনটে লজ্জাজনক সিরিজ হার। ২৬ বছর পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ হারে ভারত। ঘরের মাঠে প্রথমবার ০-৩ এ নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর এবার বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে হার। 

    বোর্ডের অন্দরে গুঞ্জন

    বোর্ডের (BCCI) এক সূত্র জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ায় ব্যর্থতা নিয়ে একটা রিভিউ মিটিং হবে। তবে কারোর ওপর কোপ পড়বে না। আলোচনা চলছে। কিন্তু একটা সিরিজে ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্য কোচকে ছাঁটাই করা যায় না। গৌতম গম্ভীর কোচ থাকছে। ইংল্যান্ড সিরিজে খেলবে বিরাট, রোহিত। রোহিত, কোহলি দীর্ঘ দিন ভারতীয় ক্রিকেটকে টেনেছে। তাই ওদের কারও শাস্তি হবে না। আমাদের ফোকাস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের কর্তার কথায় বোঝা যাচ্ছে, গম্ভীর, বিরাট, রোহিতকে আরও কিছুটা সময় দিতে চাইছে বিসিসিআই।

    আরও পড়ুন: শহরে পারদ পতন, পৌষ সংক্রান্তির আগে হাওয়া বদল বঙ্গে, কী পূর্বাভাস আলিপুরের?

    ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলুক বিরাট- রোহিত

    ব্যাটে রান নেই। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে চূড়ান্ত ব্যর্থ দুই তারকা ক্রিকেটার (India Cricket)। যার ফলে লাল বলের ক্রিকেট তো বটেই, এমনকী সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যা তাতে একদিনের ক্রিকেটেও খুব বেশি দিন দেখা নাও যেতে পারে আধুনিক ক্রিকেটের দুই সেরাকে। এমন পরিস্থিতিতে কোনও রাখঢাক না করেই দুই সুপারস্টারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার পরামর্শ দিলেন তাঁদের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। রবি শাস্ত্রী জানালেন, অবসর তাঁদের হাতে থাকলেও, নিজেদের কেরিয়ার এবং সুনাম ফেরাতে অবিলম্বে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা উচিত রোহিত এবং বিরাটের। রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘সুযোগ পেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা উচিত। দীর্ঘ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেললে, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা গুরুত্বপূর্ণ। তার দুটো কারণ আছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়া যায়। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে খেললে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করা যায়। আত্মবিশ্বাস বাড়ে।’ ২০১৬ সালে শেষবার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন রোহিত। ২০১২ সালের পর আর খেলেননি কোহলি। স্পিনের সামনে দুর্বিষহ দেখাচ্ছে বিরাট এবং রোহিতকে। গোটা বছরই হিমশিম খায় তাঁরা। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেড কোচ মনে করেন, স্পিনের বিরুদ্ধে টাচ ফেরত পেতে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা উচিত দুই তারকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Neeraj Chopra: “সবচেয়ে বড় সমস্যা ডোপিং” নতুন প্রজন্মের অ্যাথলিটদের সতর্কবার্তা নীরজের

    Neeraj Chopra: “সবচেয়ে বড় সমস্যা ডোপিং” নতুন প্রজন্মের অ্যাথলিটদের সতর্কবার্তা নীরজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট থেকে হকি, খেলাধুলোয় বিশ্বের দরবারে দাপট দেখাচ্ছে ভারত। তবে অনেক খেলার ক্ষেত্রেই আরও উন্নতির অবকাশ রয়েছে। কিন্তু সেই উন্নতিতে বাধা দিচ্ছে ডোপিং যা বর্তমানে ভারতীয় ক্রীড়া জগতে একটি বড় সমস্যা, এমনই দাবি করলেন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় অ্যাথলিট নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। ভারতের তারকা জ্যাভলিন প্লেয়ারের কথায়, “আজকাল ভারতের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা ডোপিং। একবার এই অভ্যাস তৈরি হলে ভবিষ্যতে সেটা থেকে বেরোনো খুবই কঠিন হয়ে যায়।” 

    ভারতে ডোপিং পজিটিভের হার বেশি

    ২০২৪ সালের ওয়াডা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ডোপিং পজিটিভের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০২২ সালে, নাডা ১২৫টি পজিটিভ রিপোর্ট করেছে, যা মোট নমুনার ৩.২ শতাংশ। ২০২১ সালেও ভারত এই তালিকায় শীর্ষে ছিল, যেখানে ২.৩ শতাংশ নমুনা পজিটিভ এসেছিল। ডোপিংয়ের সমস্যা ভারতীয় ক্রীড়াজগতে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে,বলে জানান নীরজ (Neeraj Chopra)। তাঁর কথায়,  “আমি চাই ক্রীড়াবিদরা জানুক, একবার ডোপিং মাথায় ঢুকলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়ে। তারা আর সেই পর্যায়ে খেলতে পারে না। তারা ভাবতে শুরু করে যে শুধু ডোপিংয়ের মাধ্যমে তারা ভালো ফল পাবে, কিন্তু সেটা সত্যি নয়। এটা হল কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস এবং কোচের সঠিক নির্দেশনা যা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

    নাডার কড়া নজর

    দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ডোপ করার বা নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে অ্যাথলেটিক্স, ভারত্তোলন, কুস্তির মতো খেলায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। নাডার নজর থেকে বাদ পড়েননি ক্রিকেটারেরাও। ২০২২-২৩ মরসুমে মোট ২৭ জন ক্রিকেটারের ডোপ পরীক্ষা হয়েছে। পরিচিতদের মধ্যে সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শ্রেয়স আয়ার, ইশান কিশন, হরমনপ্রীত কৌর এবং স্মৃতি মন্ধানারা ছিলেন সেই তালিকায়। ২০২২-২৩ মরসুমে মোট ৪৩৪২ জন খেলোয়াড়ের ডোপ পরীক্ষা হয়েছে। প্রতিযোগিতা চলার সময় পরীক্ষা হয়েছে ২৫৯৬ জনের। অন্য সময় পরীক্ষা হয়েছে ১৭৪৬ জনের। ব্যর্থ খেলোয়াড়দের মধ্যে সংখ্যায় সব থেকে বেশি অ্যাথলিটেরা। মোট ৪৯ জন অ্যাথলিটের শরীরে নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। ২২ জন ভারত্তোলক, ১৭ জন কুস্তিগির এবং ১৩ জন পাওয়ার লিফটার ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। ৮০ জন খেলোয়াড়ের শরীরে পাওয়া গিয়েছে পারফরম্যান্স বর্ধক ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ।

    কঠোর পরিশ্রমই সাফল্যের রসায়ন

    ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ ভারতের স্থান ছিল দ্বিতীয়। রাশিয়ার পর এ দেশের সব থেকে বেশি খেলোয়াড় ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতে অ্যাথলিটদের মধ্যে ডোপিং-এর হার সবচেয়ে বেশি। এ বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অলিম্পিকে সোনা জয়ী ভারতীয় তারকা নীরজ। তিনি বলেন, “ডোপ করলেই খেলোয়াড়রা মনের দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। নিষিদ্ধ ড্রাগ ছাড়া তারা মনে করে আগের মতো খেলতে পারছে না এবং শুধুমাত্র ডোপিংই তাদের আগের ফর্মে ফিরিয়ে আনতে পারে। কিন্তু এটা একদমই সত্যি নয়। কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস, এবং কোচের পরামর্শেই উন্নতি সম্ভব।” 

    কোচদের সতর্ক থাকার পরমার্শ

    সত্যি বলতে, একবার ডোপিংয়ের পর টেস্টে ধরা পড়লে ২-৪ বছরের জন্য খেলতেই পারে না ক্রীড়াবিদরা যা তাঁদের কেরিয়ারের জন্য খারাপ। তাই ভালো পর্যায়ে খেলতে চাইলে ক্রীড়াবিদদের মানসিকতা বদলাতে হবে, বলে জানান নীরজ। কোচেদের এই বিষয়ে কড়া নজর রাখার এবং প্লেয়ারদের ডোপিং থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন নীরজ। তিনি বলেন, “কোচদের অনুরোধ করছি, আপনারা প্লেয়ারদের বোঝান যে ডোপিং কোনওভাবেই তাঁদের সাহায্য করবে না। আমি মনে করি ডোপিংয়ের প্রবণতা কমলে ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও উন্নতি হবে ভারতের। এখন কোনও বাচ্চা ছেলে ছোটো থেকে খেলাধুলায় ভালো হলেও, একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছানোর পরই ডোপিং শুরু করে। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এটা যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দূর করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jay Shah: টেস্ট ক্রিকেটে শ্রেণিবিন্যাসের ভাবনা! জয় শাহের নেতৃত্বে বড় বদলের পথে আইসিসি

    Jay Shah: টেস্ট ক্রিকেটে শ্রেণিবিন্যাসের ভাবনা! জয় শাহের নেতৃত্বে বড় বদলের পথে আইসিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নেওয়ার পরই টেস্ট ক্রিকেটে বড়সড় এক বদলের পরিকল্পনা করছেন জয় শাহ (ICC Chairman Jay Shah)। টেস্ট ক্রিকেটে টু-টিয়ার সিস্টেম বা দ্বিস্তরীয় ব্যবস্থা চালু করার চিন্তাভাবনা করছেন আইসিসির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। টি-টোয়েন্টির যুগে টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে এই ব্যবস্থা কার্যকর করার কথা ভাবা হয়েছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা মিলে এই নীল নকশা তৈরি করছেন। যার নেতৃত্বে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    আইপিএল ও টি-টোয়েন্টির যুগে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যের টেস্ট ক্রিকেট। আধুনিক ক্রিকেটের ঘরানায় ধরে খেলা, উইকেটে থেকে খেলা দর্শক মনে জায়গা করে নিতে পারছে না। দুমদাম শট দেখতেই মাঠে ভিড় জমাচ্ছে দর্শক। সম্প্রতি এমন কথাই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফিতে (Border-Gavaskar Trophy) রেকর্ড দর্শকসংখ্যার পরে সেই ধারণা ভেঙে গিয়েছে। ভালো খেলা হলে দর্শক মাঠে আসতে বাধ্য তা প্রমাণ করেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। রোহিত-বিরাট-যশস্বী-পন্থদের সঙ্গে কামিন্স-স্টার্কদের দ্বৈরথ দেখতে প্রতিদিন মাঠে এসেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বুমরা-স্মিথ-হেড-সিরাজ বা জাদেজা-কনস্টাসদের খেলা নজর কেড়েছে সকলের। তাই টেস্ট ক্রিকট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আইসিসি। অ্যাশেজ সিরিজের বাইরে অস্ট্রেলিয়ায় মাঠে এত ভিড় আর কোনও সিরিজে হয়নি। সদ্যসমাপ্ত বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফিতে মোট দর্শকসংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭৯। শুধু ১৯৩৬-৩৭, ২০১৭-১৮ ও ১৯৪৬-৪৭ সালে অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর চেয়ে বেশি দর্শক স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখেছিলেন।

    কীভাবে হবে শ্রেণিবিন্যাস

    টেস্ট ক্রিকেটকে দুটো শ্রেণিতে ভাঙার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বায়ার্ড, ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন টেস্ট ক্রিকেটকে দুটো আলাদা আলাদা ডিভিশনে ভাঙার জন্য। টেস্ট ক্রিকেটকে টিয়ার-১ ও টিয়ার-২ তে ভাঙা হবে। বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড— এই তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে চার বছরে দু’বার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে। টেস্ট খেলিয়ে তিনটে প্রথম সারির দলের ক্ষেত্রে যেটা অনেক কম বলে মনে করে আইসিসি। রিপোর্ট অনুযায়ী, আইসিসি যেই পরিকল্পনা করেছে তাতে এই তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে তিন বছরে দু’বার করে টেস্ট খেলবে।

    কোন বিভাগে কারা

    আইসিসি যেই প্রস্তাব দিয়েছে তাতে প্রথম ডিভিশনে খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলবে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবোয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। এই গ্রুপ বিন্যাসের অর্থ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে ম্যাচ খেলবে। তিন মহাশক্তিধর টেস্ট খেলিয়ে দেশ নিজেদের মধ্যে বেশি করে খেললে টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে খবর আইসিসির অন্দরে। তাই তিন ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে আইসিসি একটা চুক্তি করতে চাইছে। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষেই আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ বৈঠক করবেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে।

    বিতর্কে নতুন ফরম্যাট

    তবে প্রস্তাবিত এই ফর্ম্যাট নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত এই দ্বিস্তরীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভাবনায় অবনমন প্রথা থাকবে বলে খবর নেই। সেক্ষেত্রে ওপরের পর্বে যাওয়ারও সুযোগ থাকবে না দ্বিতীয় গ্রেডে থাকা দলগুলির। কী করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ঐতিহ্যশালী দলকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়, স্যর গ্যারি সোবার্স, ভিভ রিচার্ডস, পেস বোলিংয়ের পঞ্চপাণ্ডব, ব্রায়ান লারার দেশকে গ্রেড টুয়ে রাখা আসলে উপেক্ষা করা কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।

    এই ভাবনা নতুন নয়

    তবে, এই প্রথম নয়, যেখানে টেস্ট ক্রিকেটকে দুই ভাগ ভাগ করার কথা হচ্ছে। ২০১৬ সালে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন সব ক্রিকেট বোর্ড তা খারিজ করে দেয়, তালিকায় ছিল বিসিসিআইও। সেই সময় ভারতের যুক্তি ছিল, টেস্ট ক্রিকেটকে দুই ভাগে ভাগ করা হলে ছোট দলগুলো পিছিয়ে যাবে এবং টেস্টে এগোতে পারবে না। কিন্তু ২০১৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটের যা ছবি ছিল সেটা এখন বদলেছে। এখন সমর্থকরা নির্দিষ্ট কিছু দলের ম্যাচ দেখতে টেস্টে ভিড় করেন। তাই আইসিসি চাইছে পুরোনো প্রস্তাব ফিরিয়ে আনতে ও সেটাকে বাস্তবায়িত করতে। 

    কবে থেকে নতুন ফরম্যাট

    নতুন ফরম্যাট চালু হলে সবটাই হবে ২০২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর। এখন আইসিসির টেস্ট সাইকেল চলছে। সেই সাইকেল অনুযায়ী, ২০২৭ সাল পর্যন্ত টেস্ট সূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই হিসেবে যদি টেস্টকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায় তাহলে সূচিতে বদল আনতে হবে। মনে করা হচ্ছে, বর্তমানে চলা টেস্ট সাইকেল শেষ হলে তারপর নতুন নিয়ম চালু করা হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই ভারতের, সিডনিতে কি আর বল করতে পারবেন বুমরা?

    India vs Australia: ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই ভারতের, সিডনিতে কি আর বল করতে পারবেন বুমরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিডনিতে (India vs Australia) অপ্রত্যাশিত পিচ। যেখানে মূলত স্পিন সহায়ক পিচ দেখা যায়। এ বার পেস বাউন্সি গ্রিন টপ। ভারত অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ১৮৫ রানেই অলআউট। তখনও মনে হয়েছিল, এক তরফা ম্যাচ হতে চলেছে। যদিও দ্বিতীয় দিন খেলা ঘুরে গেল পুরোপুরি। এখান থেকে যে কেউ জিততে পারে। তবে বুমরার চোটে কিছুটা হলেও পাল্লা ভারি অজিদের।

    দুরন্ত বোলিং সিরাজদের

    প্রথম দিনের শেষ ডেলিভারিতে উসমান খোয়াজার উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন ভারতের দাপট। বোলাররা যেমন দুর্দান্ত তেমনই ক্যাচিং। স্লিপ কর্ডনে লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি এবং গালিতে যশস্বী জয়সওয়াল দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। স্টিভ স্মিথ অনবদ্য ব্যাটিং করছিলেন। ৫ রানের জন্য টেস্টে দশ হাজার ক্লাবে ঢোকা হয়নি স্মিথের। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসে সেই কীর্তি গড়বেন। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা বিউ ওয়েবস্টারের হাফসেঞ্চুরি। তাতেও অবশ্য লিড নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৮১ রানেই শেষ তাদের ইনিংস।

    বুমরার চোট নিয়ে চিন্তা

    সিডনির টেস্টের দ্বিতীয় দিন ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে অসহায় দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংকে। তবে এই ইনিংস চিন্তায় রেখেছে ভারতকেও। মধ্যাহ্নভোজের পর এক ওভার বল করেই চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে হয় বুমরাকে। স্ক্যান করাতে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। আর বল করতে পারেননি। মাঠ ছাড়ার আগে ৩৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। তাঁর পরিবর্তে দলের কঠিন সময়ে এদিন ফের ক্যাপ্টেন ব্যান্ড হাতে নেন কোহলি। বুমরার অভাব এদিন অবশ্য বুঝতে দিলেন না সিরাজেরা। হায়দ্রাবাদের জোরে বোলার ৫১ রানে ৩ উইকেট নিলেন। কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়লেন প্রসিদ্ধ (৪২ রানে ৩ উইকেট) এবং নীতীশও (৩২ রানে ২ উইকেট)। অস্ট্রেলিয়াকে বাড়তে দিলেন না বোলারেরা। 

    মান বাঁচানোর লড়াই

    সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৮০ ওভার খেলা হল। উঠল ৩১৩ রান। আর উইকেট পড়ল ১৫টি। সিডনিতে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ ভারতের টপ অর্ডার। পন্থের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৪১ রান তুলে নিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে লিড ১৪৫। ক্রিজে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। এখন প্রশ্ন একটাই বুমরা কি পারবেন বল করতে? বোলারদের হাতেই যে এখন ভারতের মান বাঁচানোর লড়াই।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rohit Sharma: ‘‘ব্যর্থ হলে তো মানতেই হবে, দলের স্বার্থে না খেলার সিদ্ধান্ত’’, অবসর নিয়ে কী বললেন রোহিত?

    Rohit Sharma: ‘‘ব্যর্থ হলে তো মানতেই হবে, দলের স্বার্থে না খেলার সিদ্ধান্ত’’, অবসর নিয়ে কী বললেন রোহিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে অধিনায়ক হিসাবে নিজেই সিডনিতে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জানালেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। সিডনি টেস্টের দ্বীতিয় দিনে খেলার মাঝে সব বিতর্কে জল ঢেলে জানিয়ে দিলেন, অবসর নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। কারও কথায় অবসর নেবেনও না। 

    কোথায় আছেন রোহিত

    সিডনিতে না খেলা নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘রান করতে পারছিলাম না। ব্যর্থ হলে তো মানতেই হবে। তাই দলের স্বার্থে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘অবসর নিইনি। শুধু এই ম্যাচটা না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রান করতে পারছিলাম না। আমাদের অনেক ব্যাটারই ভাল ফর্মে নেই। ম্যাচে প্রভাব পড়ছিল। অধিনায়ক হিসাবে দলের কথাই আগে ভাবি। কী করলে দলের লাভ ভাবি। সেই ভাবনা থেকেই সরে দাঁড়িয়েছি। অধিনায়ক হিসাবে ভাবি না, তিন মাস বা ছ’মাস পর কী হবে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিই। এটা দলগত খেলা। ব্যক্তিগত খেলা নয়। আমি নিজেই কোচ, নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোথাও যাচ্ছি না। দলের সঙ্গেই আছি।’’

    কবে অবসর

    বিশ্রাম নিয়ে রোহিতের (Rohit Sharma) বক্তব্য, ‘‘দেশ থেকে এত দূরে তো খেলার জন্যই এসেছি। বসে থাকার জন্য এত দূরে আসিনি। কিন্তু দলের স্বার্থ আগে রাখতেই হয়। এটা দলগত খেলা। ১১ জন নিলে খেলতে হয়। একা কেউ খেলতে পারে না। দেখুন কে কী লিখল বা বলল, তাতে আমাদের জীবন বদলায় না। এত দিন ধরে খেলছি। আমি অভিজ্ঞ। দুই সন্তানের বাবা। জানি কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়। চেষ্টা করেছি রান করার। পারিনি। তাই এই ম্যাচটা না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যথেষ্ট সংবেদনশীল আমি। কারও কথায় অবসর নেব না। কখন থামতে হয়, এটুকু বুঝি।’’  

    নিজেকেই ‘বসানোর’ সিদ্ধান্ত কি মেলবোর্নেই নিয়েছেন? রোহিত বলেন, ‘সিডনিতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিউ ইয়ারে কোচ-সিলেক্টরকে এই কথাগুলো বলার মতো পরিস্থিতিতে ছিলাম না। এখানে আসার পর থেকেই চেষ্টা করছিলাম ফর্মে ফেরার। কিন্তু হচ্ছিল না। আমি যখনই নেতৃত্ব দিয়েছি, একটা জিনিস মাথায় রাখি, এখন কী চাই। টিমের স্বার্থ দেখা প্রয়োজন। সেরকম প্লেয়ারই হতে চেয়েছি কেরিয়ারের শুরু থেকে। এর জন্যই টিম বলা হয়। আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি যেটা সেটাই, এতে আমাকে পছন্দ করলেও ভালো, না করলে আমার কিছু করার নেই।’

    আগামী দিনে নেতা কে

    আগামী দিনে ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক কে হতে পারেন? এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি রোহিত। তিনি বলেছেন, ‘‘এ ভাবে কারও নাম বলা যায় না। আমাদের দলে এখন বেশ কয়েক জন তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে। সকলেই ভাল খেলোয়াড়। তবে ওদের আরও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। ভারতের হয়ে খেলার গুরুত্ব আরও উপলব্ধি করতে হবে। নেতৃত্বের গুরুত্ব বুঝতে হবে। এটা অনেক বড় দায়িত্ব। সেটা সামলানোর মতো করে তুলতে হবে নিজেদের।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rohit Sharma: সিডনি টেস্টের শেষেই কি বিদায়! দলে নেই, রোহিতের অবসর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

    Rohit Sharma: সিডনি টেস্টের শেষেই কি বিদায়! দলে নেই, রোহিতের অবসর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুঞ্জনই সত্যি হল। শুক্রবার বর্ডার গাভাসকর ট্রফির শেষ ম্যাচে প্রথম একাদশে দেখা গেল না অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। টস জিতে দল নিয়ে বলতে গিয়ে এই ম্যাচে ভারতের ব্যাটন হাতে নেওয়া বুমরা বললেন, “আমাদের দলের একতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু আমাদের ক্যাপ্টেন নিজেই দলের স্বার্থে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এটাই প্রমাণ করে আমাদের দলে কতটা একতা রয়েছে। আমাদের দলের কেউ নিজের জন্য খেলে না। দলের জন্য যেটা ভাল হবে, সেই সিদ্ধান্তটাই নেওয়া হয়।” 

    দলে নেই রোহিত

    রোহিত বাদ পড়লেও তাঁকে সিডনিতে অধিনায়ক বলেই সম্বোধন করলেন বুমরা। কিন্তু সাজঘর বলছে অন্য কথা। বেশ কয়েক দিন ধরেই ভারতীয় দলের সাজঘরের বিভিন্ন খবর প্রকাশ্যে আসছিল। শোনা যায়, কোচ গৌতম গম্ভীর দুষছেন ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারেরা দুষছেন অধিনায়ক রোহিতকে। মেলবোর্নে হারের পরে নাকি সাজঘরেই দেখা গিয়েছে ক্ষুব্ধ কোচকে। আবার ক্রিকেটারেরা খুশি নন রোহিতের নেতৃত্ব নিয়ে। রোহিতের ফর্মও তলানিতে। অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্ট খেলেননি। পরের দু’টি টেস্টে মিডল অর্ডারে খেলে রান পাননি। মেলবোর্নে ওপেন করতে নেমেও ব্যর্থ। তিনটি টেস্ট মিলিয়ে মাত্র ৩১ রান করেছেন রোহিত। 

    রোহিতের অবসর!

    রোহিতের বাদ পড়া উস্কে দিয়েছে অন্য একটি জল্পনা, এ বার কি অবসরে রোহিত? চলতি সিরিজে অবসর নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল এই সিরিজ শেষে আরও এক জন ভারতীয় ক্রিকেটার অবসর নিতে পারেন। সিডনি টেস্টের পর ভারতের পরবর্তী লাল বলের ম্যাচ জুন মাসে। তত দিনে রোহিতের বয়স ৩৮ বছর হয়ে যাবে। লাল বলের ক্রিকেটে তাঁকে আর দেখা যাবে কি না তা নিয়েই এখন জল্পনা চলছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চার সুপারস্টারের শেষ সিরিজ হতে পারে, এমনটা আগেই ঠিক ছিল। অশ্বিন নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন। রোহিত শর্মাও সিডনি টেস্ট শেষেই হয়তো ঘোষণা করে দেবেন।

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই চোখ

    ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ হোক বা অস্ট্রেলিয়ায় গত তিন টেস্ট। ব্যাট হাতে ভরসা দিতে পারেননি রোহিত শর্মা। টেস্টে ভারতের সামনে কোনও হোম সিরিজ নেই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনিশ্চিত। তাতে ভারত উঠলেও রোহিত থাকবেন না, এটুকু নিশ্চিত। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ক্ষেত্রে বলা যায়, টেস্ট ক্রিকেটে পরবর্তী সিরিজ ইংল্যান্ড সফর। সেখানে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। দল থেকে বাদ, কথাটা বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ক্ষেত্রে শুনতে খারাপ লাগে তাই হয়তো সাজঘরের কথা চেপে রাখলেন বুমরা। তবে লাল বলের ক্রিকেটে যে রোহিত শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। সামনে রইল শুধুই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর হয়তো পুরোপুরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রাক্তন হয়ে যাবেন রোহিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khel Ratna Award: শ্যুটার মনু ভাকর, দাবাড়ু ডি গুকেশ সমেত খেলরত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন মোট ৫ ক্রীড়াবিদ

    Khel Ratna Award: শ্যুটার মনু ভাকর, দাবাড়ু ডি গুকেশ সমেত খেলরত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন মোট ৫ ক্রীড়াবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে আয়োজিত প্যারিস অলিম্পিক্সে জোড়া ব্রোঞ্জ পদকজয়ী ভারতীয় শ্যুটার মনু ভাকর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার (Khel Ratna Award) পাচ্ছেন। মনু ভাকরের পাশাপাশি দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডি গুকেশকেও খেলরত্ন পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে চিনের দাবাড়ু ডিং লিরেনকে পরাস্ত করেন গুকেশ। সেকারণে তাঁকে দেশের খেলায় সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হবে। সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবেই গুকেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেছেন। মনু ভাকর ছাড়াও ভারতের আরও তিন খেলোয়াড়কে এই সম্মান দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু।

    আরও তিন ক্রীড়াবিদ পেতে চলেছেন খেলরত্ন 

    জানা গিয়েছে, মনু ভাকর এবং ডি গুকেশ ছাড়াও ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিংকেও খেলরত্ন (Khel Ratna Award) পুরস্কার দেওয়া হবে। হরমনপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে প্যারিস অলিম্পিক্সে দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্স করে ভারত। হরমনপ্রীত সিংয়ের পাশাপাশি দেশের প্যারা অ্যাথলিট প্রবীণ কুমারকেও খেলরত্ন সম্মান দেওয়া হচ্ছে। এঁদের ছাড়াও ২০২৪ প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে প্রবীণ ভারতের হয়ে হাই-জাম্প ইভেন্টে (টি-৬৪) সোনার পদক জয় করেছিলেন। এর পাশাপাশি টোকিও অলিম্পিক্সেও তিনি রুপোর পদক জয় করেন বলেন। প্যারালিম্পিক্স টুর্নামেন্টে দেশের হয়ে এই অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে খেলরত্ন পুরস্কার দেওয়া হল।

    পুরস্কারমূল্য ২০২০ সালে করা হয় ২৫ লাখ 

    প্রসঙ্গত, মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার (Khel Ratna Award) ক্রীড়াবিভাগে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান। এই সম্মান প্রাপকেরা ২৫ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার পান। এর পাশাপাশি একটি ট্রফি এবং সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, আগে ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারের (Dhyan Chand Khel Ratna Award) জন্য মাত্র ৭.৫ লাখ টাকা দেওয়া হত। কিন্তু, ২০২০ সাল থেকে এই পুরস্কার মূল্য বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jasprit Bumrah: নতুন বছরে নয়া নজির! আইসিসির ক্রমতালিকায় রেকর্ড পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বুমরা

    Jasprit Bumrah: নতুন বছরে নয়া নজির! আইসিসির ক্রমতালিকায় রেকর্ড পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বুমরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে টেস্ট ক্রিকেটেও দাপট দেখাচ্ছেন যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চারটি টেস্টে ৩০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুই দল মিলিয়ে সর্বাধিক উইকেটের মালিক তিনি। আইসিসির (ICC) ক্রমতালিকায় আগেই এক নম্বরে উঠেছেন বুমরা। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বাধিক রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি। এতদিন বুমরার রেটিং পয়েন্ট ছিল ৯০৪। রবিচন্দ্রন অশ্বিনেরও সমান। নতুন বছরের শুরুতে বুধবার প্রকাশিত আইসিসির নয়া তালিকায় বুমরার পয়েন্ট হয়েছে ৯০৭। তার ফলে অশ্বিনকে টপকে গিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত কোনও ভারতীয় বোলার টেস্টে এত রেটিং পয়েন্ট পাননি।

    মেলবোর্নের ‘অনার বোর্ডে’ বুমরা

    ক্রিকেট ইতিহাসে বোলারদের মধ্যে সর্বাধিক রেটিং পয়েন্টের মালিক সিডনি বার্নস। ৯৩২ রোটিং পয়েন্ট ছিল তাঁর। ৯৩১ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছিলেন জর্জ লোম্যান। তবে প্রায় ১০০ বছর আগে তাঁরা এই কীর্তি করেছিলেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খান ৯২২ ও শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন স্পিনার মুথাইয়া মুরলিধরণ ৯২০ পয়েন্ট পেয়েছিলেন। বুমরার উপরে রয়েছেন তাঁরা। সাম্প্রতিক কালে বুমরার ধারে-কাছে খুব কম ক্রিকেটারই রয়েছেন। টেস্টে ইতিমধ্যেই ২০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক পার করেছেন বুমরা। ২০২৪ সালে ১৩ টেস্টে ৭১টি উইকেট নিয়েছেন বুমরা (Jasprit Bumrah)। তাঁর নাম লেখা হয়েছে মেলবোর্নের ‘অনার বোর্ডে’।

    চারে যশস্বী

    ব্যাটারদের মধ্যে ভারতের ওপেনার যশস্বী জসওয়াল রয়েছেন টেস্টের চার নম্বর স্থানে, তাঁর প্রাপ্ত পয়েন্ট ৮৫৪। এক নম্বরে রয়েছেন ইংল্যান্ডের জো রুট, দুই নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন রুটের সতীর্থ হ্যারি ব্রুক। তিন নম্বরে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রথম দশে যশস্বী ছাড়া আর কোনও ভারতীয় জায়গা পাননি, ঋষভ পন্থ রয়েছেন ১২ নম্বরে। বিরাট কোহলি রয়েছেন ২৪ নম্বরে, ৪০ নম্বরে রোহিত শর্মা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share