Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • FIFA World Cup Final: ফুটবলে মজে ভারতীয় ক্রিকেটাররা! মেসিদের জয়ে উচ্ছ্বসিত ক্রীড়াজগত

    FIFA World Cup Final: ফুটবলে মজে ভারতীয় ক্রিকেটাররা! মেসিদের জয়ে উচ্ছ্বসিত ক্রীড়াজগত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল জীবনের শেষ বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির স্বপ্নপূরণ। এটিই ছিল মেসির শেষ বিশ্বকাপ। ফলে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা চেয়েছিলেন মেসির হাত ধরেই আর্জেন্টিনা যেন বিশ্বকাপ জেতে। আর অবশেষে ঠিক সেটাই হয়েছে। খরা কাটিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হল আর্জেন্টিনা। মেসির হাত ধরেই দিয়াগো মারাদোনার দেশ বিশ্বকাপ পেল। ফলে পুরো বিশ্বের মেসি ভক্তরা আনন্দে মেতে ওঠে। এর পাশাপাশি ক্রিকেট জগতের খেলোয়াড়রাও এদিন ফুটবলেই মজে ছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট টিম বর্তমানে রয়েছে বাংলাদেশে। ফলে সেখানেই সবাই বসে পড়েছিলেন ফ্রান্স-আর্জেন্টিনার হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ দেখতে (FIFA World Cup Final)।

    ভারতীয় ক্রিকেট টিম বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে ব্যস্ত

    বাংলাদেশকে প্রথম টেস্টে হারিয়ে ভারতীয় দল এখন হালকা, ফুরফুরে মেজাজে। রবিবার, সকালে ৫০ মিনিটের মধ্যে খেলা শেষ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচ রয়েছে ২২ ডিসেম্বর। ফলে রাতে একসঙ্গে খেলা দেখতে বসে পড়লেন বিরাট কোহলি, লোকেশ, রাহুলরা। রবিবার ১৮৮ রানে বাংলাদেশকে হারায় ভারত। সহজেই ম্যাচ জিতে নেন রাহুলরা। আর সেদিনই ছিল বিশ্বকাপের ফাইনাল। ফলে বিরাট, রাহুলরা বসে পড়েছিলেন মেসি ও এমবাপেকে দেখতে। আর সেই ছবিই ট্যুইটারে শেয়ার করেছে বিসিসিআই (FIFA World Cup Final)।

    ক্রীড়াজগতের খেলোয়াড়দের ট্যুইট

    ম্যাচ চলাকালীন কুলদ্বীপ যাদবকে ট্যুইট করতে দেখা যায়। এরপর ম্যাচ শেষে মেসির ছবি শেয়ার করে ‘সর্বকালের সেরা’ লিখে পোস্ট করেছেন তিনি।

    মহম্মদ শামিও ভারতে বসে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখেছেন ও ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    অন্যদিকে শেহবাগকে দেখা যায় ট্যুইটারে অন্য এক ব্যক্তির পোস্ট ট্যুইট করতে, যেই পোস্টে ইউজার ভবিষ্যতবাণী করে লিখেছিলেন, ২০২২ সালে মেসিই বিশ্বকাপ জিতবেন। এই পোস্টটি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ও শেহবাগও এটি শেয়ার করেছেন।

    আর্জেন্টিনার কাপ জয়ের পরে মাস্টার ব্লাস্টার ট্যুইট করে অভিনন্দন জানান ফুটবলের রাজপুত্রকে। অভিনন্দন জানান আর্জেন্টিনাকে। সচীন লেখেন, “মেসির জন্য কাপ জেতায় অনেক অভিনন্দন আর্জেন্টিনাকে। অভিযান শুরু করার পরে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটাল ওরা। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই মার্টিনেজকে। এক্সট্রা টাইমের প্রায় শেষের দিকে দুরন্ত সেভ করে দলকে বাঁচাল। মার্টিনেজের ওই দুরন্ত সেভটার পরই আমার মনে হয়েছিল আর্জেন্টিনাই চ্যাম্পিয়ন হবে।”

    ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী ট্যুইট করে লিখেছেন, “আমার দেখা সেরা ফুটবল ম্যাচ। ১২০ মিনিট জুড়ে আবেগের বিস্ফোরণ দেখলাম। তার পরে সবটাই নির্ধারিত হল স্পট থেকে। হোয়াট আ শো। হোয়াট আ স্পোর্ট। লিওনেল মেসি।”

    ক্রিকেটার শুভমন গিলের ট্যুইট, ‘মেসিই সর্বকালের সেরা। কুর্নিশ’।

    মাঠে গিয়ে খেলা দেখেছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি ট্যুইট করেন, ‘অবিশ্বাস্য। মেসি ও এমবাপের লড়াই অনবদ্য’।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল’’, বললেন আদ্যান্ত মারাদোনা-ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ‘‘মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল’’, বললেন আদ্যান্ত মারাদোনা-ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনাল শেষে কাপ উঠল ফুটবল ম্যাজিশিয়ানের হাতে। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা বর্ণময় হয়ে থাকল লিওনেল আন্দ্রেস মেসির। ফুটবলের যাদুকরের খেলা দেখতে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন বহু বাঙালি। রাতজেগে বিশ্বকাপ  ফুটবল ফাইনাল দেখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। আদ্যোপান্ত মারাদোনা ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুরু থেকেই আর্জেন্টিনার হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন। মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল, বলছেন বিচারপতি।

    কী বললেন বিচারপতি

    একটি মামলা চলাকালীন হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকের সঙ্গে কথাবার্তার মধ্যেই উঠে আসে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ। তখনই ফুটবল ভক্ত অভিজিৎ জানান, কলকাতাবাসীর পক্ষ থেকে মেসিকে ইমেইল করে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। তবে মারাদোনা ভক্ত বিচারপতি বলেন, ” মেসির পায়ে শাপমুক্তি ঘটলেও লিও কিন্তু মারাদোনা নয়। মেসি মারাদোনা হলে একা দশজনকে কাটিয়ে গোল দিত। ম্যাচ টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়াত না। আর্জেন্টিনা না অন্য দেশ কে জিতলো সেটা বড় বিষয় নয়। ভাল ফুটবল খেলা দেখা গেল।” ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় লা আলবিসেলেস্তেদের। কাতারে সাতটি গোল করে আর্জেন্টিনার (Argentina) জয় নায়ক কিন্তু মেসিই, বলছে ফুটবল বিশ্ব।

    আরও পড়ুন: “নিশ্চয়ই দিয়েগো এখন হাসছেন…”, মেসিদের অভিনন্দন জানালেন ‘ফুটবল সম্রাট’ পেলে

    আর্জেন্টিনা, মেসির জন্য খুশি হলেও বর্তমানে বাংলার ফুটবল নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। একদা ময়দানে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন বিচারপতি। ১৯৭৭-১৯৭৮ সালে কলকাতার ভেটেরান ক্লাবে খেলতেন। পরিতোষ চক্রবর্তী’র কোচিংয়ে প্র্যাকটিস করতেন। লাতিন আমেরিকার ফুটবল তাঁকে বরাবর আকর্ষণ করে। ব্রাজিল জিতলে খুশি হন। তবে এবার ব্রাজিল বিদায় নেওয়ায় আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করছিলেন। তবে, আর্জেন্টিনা জিতলেও তাঁর গলায় আফসোসের সুর। বললেন, ” স্ক্রিনে স্ক্রল হতে দেখলাম মোস্ট এক্সাইটেড ফাইনাল ম্যাচ। ভালো কথা। আমরা খেলা দেখতে ভালবাসি। ভাল সমর্থক। কিন্তু আমরা খেলতে পারি না। দীর্ঘদিন সন্তোষ ট্রফি অধরা বাংলার। সুরজিৎ, পি কে, অমল দত্তরা অতীত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup: ট্র্যাজিক হিরো! চার গোল করেও দলের হার, এমবাপেকে সান্ত্বনা দিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

    FIFA World Cup: ট্র্যাজিক হিরো! চার গোল করেও দলের হার, এমবাপেকে সান্ত্বনা দিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও হয়ত দুটো বিশ্বকাপ খেলবেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই কাতার বিশ্বকাপে নিজের জাত চিনিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। এই বয়সেই বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল তারকার সম্মান পান। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদও পেয়েছেন এমবাপে। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। তবুও খেতাব ধরে রাখতে পারেনি তাঁর দল। আর্জেন্টিনার কাছে হেরে পর পর দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ফ্রান্সের।

    ফাইনালে হ্যাটট্রিক

    একা খুব চেষ্টা করেছিলেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে দেশের হয়ে চার চারটে গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছেন এমবাপে। ৮টি গোল করে ছুঁয়ে ফেলেছেন ২০০২ সালে ব্রাজিলের স্ট্রাইকার রোনাল্ডোর রেকর্ড। কিন্তু যতই গোল হোক দেশকে জেতাতে না পারলে তার দাম নেই। তাই মাঠেই হতাশায় ভেঙে পড়েন ফ্রান্সের ১০ নম্বর তারকা। তাঁকে  সান্ত্বনা দিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। যে ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এদিন খেলার শুরু থেকেই কেমন যেন দিশেহারা ছিল ফ্রান্স। প্রথম ৭০ মিনিট মাঠে রাজত্ব করে আর্জেন্টিনা।  ৮০ মিনিটের মাথায় খেলা ঘুরিয়ে দেন এমবাপে। প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করেন। পরের মিনিটেই দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে খেলার ফল ২-২ করে দেন ফরাসি তারকা। আবার এক্সট্রা টাইমের ১৮ মিনিটে যখন আর্জেন্টিনা এগিয়ে গিয়েছিল, তখনও ফ্রান্সকে ম্যাচে ফেরান এমবাপে। ১১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন। পেনাল্টি শ্যুট-আউটে নিয়ে যান ম্যাচ। তাই টাইব্রেকারে দল হারতেই ভেঙে পড়লেন এমবাপে।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চাই! এখনই অবসর নয় ঘোষণা মেসির

    পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গোল্ডেন বুট হাতে নিয়েও চোখের কোন চিকচিক করছিল এমবাপের। তাঁকে সান্ত্বনা দিতে আসেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে দলকে সান্ত্বনা দিয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘দ্য ব্লুজরা আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্যান্স ও লড়াকু মানসিকতার জন্য ফ্রান্সের (ফুটবল) দলকে অভিনন্দন। তোমরা দেশবাসী এবং বিশ্বজুড়ে সমস্ত সমর্থকদের শিহরিত করে তুলেছ। জয়ের জন্য আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pele: “নিশ্চয়ই দিয়েগো এখন হাসছেন…”, মেসিদের অভিনন্দন জানালেন ‘ফুটবল সম্রাট’ পেলে

    Pele: “নিশ্চয়ই দিয়েগো এখন হাসছেন…”, মেসিদের অভিনন্দন জানালেন ‘ফুটবল সম্রাট’ পেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের (FIFA World Cup Final 2022) ফাইনাল এক অবিস্মরণীয় ম্যাচ! ফুটবলপ্রেমীদের মনে দাগ কেটে দিয়েছে এইবারের ফাইনালের ম্যাচ। মেসির দুর্ধর্ষ পারফরমেন্সে মুগ্ধ হয়ে চারিদিক দিক থেকে ধেয়ে আসছে প্রশংসা। অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন মেসি। আর এবারের এই দুর্দান্ত বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য মেসি ও এমবাপেকে অভিনন্দন জানালেন ‘ফুটবল সম্রাট’ পেলে (Pele)। রবিবার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে ফ্রান্সকে হারানোর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পেলে জানিয়ে দেন, বিশ্বকাপ জেতার জন্য মেসির আর্জেন্টিনাই যোগ্য। আবার তিনি এমবাপেরও প্রশংসা করেছেন।

    পেলে ইনস্টাগ্রামে কী বললেন?

    শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে তিনবার বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে (Pele) হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু তিনি সেখান থেকেই বিশ্বকাপের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। বিশ্বকাপে খেলার আগে নেইমারের উদ্দেশেও বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন পেলে। আর এবারে, ফিফা বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার ট্রফি জেতার ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে পেলে লিখেছেন, “সবসময়ের মত রোমাঞ্চকরভাবে আজ ফুটবল তার গল্প বলে চলেছে। মেসির প্রথম বিশ্বকাপ জেতা, এটি যেন তাঁরই জন্য প্রাপ্য ছিল।”

    আরও পড়ুন: ‘রোমাঞ্চকর ম্যাচ’! মেসিদের জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী! ট্যুইট করে কী লিখলেন মোদি?

    মেসির পাশাপাশি এদিন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপেরও প্রশংসা করেছেন পেলে (Pele)। বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়া এমবাপেকে উদ্দেশ্য করে পেলে লিখেছেন, “আমার প্রিয় বন্ধু এমবাপে, তুমি ফাইনালে ৪ গোল করেছ। আমাদের খেলার ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি উপহার ছিল। এক কথায় অসাধারণ।”  

    আবার তিনি (Pele) তাঁর পোস্টে মরক্কোর কথাও উল্লেখ করেছেন। মরক্কো কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তাঁদের আর ফাইনালে উঠে আসা হয়নি। কিন্তু মরক্কোর বিষয়েও বিশেষ বার্তা দিয়েছে পেলে। তিনি বলেছেন, “এই অবিশ্বাস্য অভিযানের জন্য মরক্কো কে অভিনন্দন না জানিয়ে পারলাম না আমি, আফ্রিকাকে জ্বলে উঠতে দেখে দারুণ লাগছে।”

    [insta]https://www.instagram.com/p/CmUqLGguD6_/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    আবার তিনি (Pele) শেষে দিয়েগো মারাদোনার প্রসঙ্গ এনে বলেন, “আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন! অবশ্যই দিয়েগো এখন হাসছেন।” উল্লেখ্য, ২০০০ সালে প্রয়াত হন ‘ফুটবলের রাজপুত্র’ দিয়েগো মারাদোনা। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন তিনি। আর এরপর দীর্ঘ ৩৬ বছর পর খরা কাটিয়ে অবশেষে আর্জেন্টিনাকে ফের ট্রফি এনে দিলেন মেসিরা (Lionel Messi)। 

  • FIFA World Cup Final: ফাইনালে নেমেই বিশ্বরেকর্ড! মেসি ম্যাজিকে গড়ল একাধিক নজির

    FIFA World Cup Final: ফাইনালে নেমেই বিশ্বরেকর্ড! মেসি ম্যাজিকে গড়ল একাধিক নজির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে লিওনেল মেসির হাতে উঠল বিশ্বকাপ (FIFA World Cup Final)। ফুটবল জীবনের শেষ বিশ্বকাপে স্বপ্নপূরণ লিওনেল মেসির। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা (Argentina vs France)। আর শেষ বিশ্বকাপে নেমেই মেসি গড়লেন একের পর এক নজির। ২০০৬ থেকে বারবার বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। ১৯৮৬ সালে দিয়েগো মারাদোনার নেতৃত্বে কাপ জয়ের পর, ফের বিশ্বজয়ী আলবিলেস্তেরা। আর এর মধ্যেই মেসির পা-এর জাদুতে ভেঙে গেল একের পর এক রেকর্ড। একঝলকে মেসির রেকর্ডনামা।

    প্রতিযোগিতার সব পর্বে গোল করার নজির

    বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসাবে প্রতিযোগিতার (FIFA World Cup Final) সব পর্বে গোল করার নজির গড়লেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। মেসিই বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার যাঁর গ্রুপ পর্বে, প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে, কোয়ার্টার ফাইনালে, সেমিফাইনালে ও ফাইনালে গোল করার নজির রয়েছে। একটি বিশ্বকাপের সব পর্বে গোল করার নজির বিশ্বের কোনও ফুটবলারের ছিল না। কিন্তু মেসি সেই অবিশ্বাস্যই করে দেখালেন। গ্রুপ পর্বে সৌদি আরব এবং মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন তিনি। তারপর প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধেও গোল করেছেন মেসি। গ্রুপে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি নষ্ট না করলে একটি বিশ্বকাপের সব ম্যাচে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করতে পারতেন তিনি।

    আরও পড়ুন: নাটকীয় ফাইনাল! টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার

    সর্বোচ্চ গোলদাতা

    ফাইনালে গোল করার সঙ্গে সঙ্গে মেসির গোল সংখ্যা দাঁড়াল ২৬। ১৩টি বিশ্বকাপে ও ১৩টি কোপা আমেরিকায়।  প্রথম সারির টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার হয়ে ২৬ গোল হয়ে গেল মেসির। ব্রাজিলের রোনাল্ডোর দখলে ছিল এই দুই প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২৫টি গোল করার রেকর্ড। তাঁর সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন মেসি। বিশ্বকাপে আবার ২১টি গোলে অবদান রয়েছে মেসির। ১৩টি গোল করেছেন। ৮টি গোলে সহায়তা করেছেন (FIFA World Cup Final)।

    সর্বোচ্চ ম্যাচ ও ভাঙল ম্যাথেউজের রেকর্ড

    বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ (FIFA World Cup Final) খেলার রেকর্ড করলেন মেসি। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ছিল মেসির বিশ্বকাপ কেরিয়ারের ২৫তম ম্যাচ। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে নিজের ২৬তম ম্যাচে নেমেছেন মেসি। যে রেকর্ড ফুটবল বিশ্বে আর কারও নেই। ২৫ টি ম্যাচ খেলার আগে রেকর্ড ছিল জার্মানির কিংবদন্তি লোথার ম্যাথেউজের। কিন্তু ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মেসি ম্যাথেউজের সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন। গড়লেন নতুন কীর্তি

  • FIFA World Cup: তোমরা ইতিহাস লিখেছো! ম্যাচ শেষে বন্ধু হাকিমির জার্সি গায়ে বললেন এমবাপে

    FIFA World Cup: তোমরা ইতিহাস লিখেছো! ম্যাচ শেষে বন্ধু হাকিমির জার্সি গায়ে বললেন এমবাপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরক্কোকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। গোল না পেলেও মন জিতে নিলেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। শুধু ম্যাচে নয়, ম্যাচের পরে বন্ধুত্বের বার্তায়। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই লড়াই ভুলে প্রতিপক্ষ দলের তারকা আশরাফ হাকিমিকে জড়িয়ে ধরলেন এমবাপে। বদলে ফেলেন জার্সি। আসল ঘটনা হলো, এমবাপে ও হাকিমি খেলেন একই ক্লাব পিএসজিতে। তাই বিশ্বকাপের মঞ্চে দেশের হয়ে তারা ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি না ছাড়লেও, মাঠের বাইরের বন্ধুত্বে কোনো চির ধরেনি। তারই ছবি ধরা পড়লো বুধবার রাতে আল বায়েত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে।

    জার্সি বদল

    ম্যাচের শেষে দুই বন্ধু কিলিয়ান এমবাপে ও আশরাফ হাকিমিকে দেখা যায় এক ফ্রেমে। ফাইনালে ওঠার পর, ফ্রান্সের সকল ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের যখন দেখা গিয়েছিল সেলিব্রেশনে মেতে উঠতে, সেই সময় হাকিমিকে খোঁজার জন্য মরক্কো শিবিরের কাছে দেখা যায় এমবাপেকে। এরপরই ক্লাব ফুটবলের দুই সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে ও আশরাফ হাকিমিকে দেখা যায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে, এবং জার্সি বদল করতে।

    আরও পড়ুন: প্রত্যাশামতোই রবিবার মেসি বনাম এমবাপে! মরক্কোর স্বপ্নের দৌড় থামিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স

    হাকিমির উদ্দেশে এমবাপের বার্তা

    ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মরক্কো শিবিরের দিকে ফিরে আসেন আশরাফ হাকিমি। দেশকে ফাইনালে তুলতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু বন্ধুর সাফল্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি হাকিমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে হাকিমির জার্সি পরে এমবাপের জয়ের সেলিব্রেশন  ঝড় তুলেছে। একই সঙ্গে এমবাপে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাকিমির উদেশে লিখেছেন, ” মন খারাপ করো না ভাই। তোমরা যা করে দেখিয়েছো, তার জন্য সবাই গর্বিত।” তোমরা ইতিহাস লিখেছো ফাইনালে উঠতে না পারলেও মরক্কো এবারের বিশ্বকাপে দারুণ চমক দিয়েছে। অপরাজিত থেকে তারা উঠেছিল সেমি ফাইনালে। হাকিমিরা হারিয়েছে স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়ামের মতো শক্তিশালী দলকে। তাই ফ্রান্সের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েও মরক্কো, বন্দিত হচ্ছে ফুটবল মহলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lionel Messi Retirement: চার বছর পর আর নয়, রবিবারই বিশ্বকাপে তাঁর শেষ ম্যাচ! জানালেন মেসি

    Lionel Messi Retirement: চার বছর পর আর নয়, রবিবারই বিশ্বকাপে তাঁর শেষ ম্যাচ! জানালেন মেসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেসিকে ভবিষ্যতে আর নীল সাদা জার্সিতে দেখা যাবে কিনা সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে কাতারেই খেলবেন শেষ বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022), জানিয়ে দিলেন আধুনিক ফুটবলের ঈশ্বর লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল জয়ের পর লিও বলে দিলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর লুসেইল স্টেডিয়ামে কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলবেন। মেসি এই কথা জানানোর পরেই তাঁর অবসর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ক্লাবের হয়ে খেললেও দেশের মেসিকে আর খেলতে না-ও দেখা যেতে পারে, সংশয় মেসি অনুরাগীদের মনে।

    এভাবেই শেষ হোক

    ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপ জেতেনি আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর পর আবার বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ তাদের কাছে। ফাইনালের ম্যাচটাই তাঁর বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ বলে জানিয়ে দিলেন মেসি। আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার বলেন, “ফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ লাগছে। আমার বিশ্বকাপ সফর শেষ হবে এই ফাইনাল ম্যাচ খেলেই। পরের বিশ্বকাপ অনেক দেরি। আমার পক্ষে সেটা খেলা সম্ভব হবে না। আর শেষটা এ ভাবেই করা ভাল।” ৩৫ বছরের মেসি এটি পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলছেন। টপকে গিয়েছেন তাঁর দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনাকে। এ বারের বিশ্বকাপে পঞ্চম গোল করে ফেলেছেন ফুটবলের জাদুকর। বিশ্বকাপে মোট ১১টি গোল তাঁর দখলে। মঙ্গলবার রাতে লুসেইল স্টেডিয়ামে আরও একবার পায়ের জাদু দেখান তারকা ফুটবলার। পেনাল্টি থেকে গোল করার পাশাপাশি আলভারেজকে গোল করতে সাহায্য করেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।  দলকে ফাইনালে তোলার পর আর্জেন্টিনার সংবাদ সংস্থা ডিয়ারিও ডিপোর্টিভো ওলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, “ব্যক্তিগত রেকর্ড ভাল। সেগুলো গড়তে পারলে ভাল লাগে। কিন্তু আসল হচ্ছে দলগত ভাবে জেতা। সেটাই প্রধান লক্ষ্য। খুব সুন্দর জিনিস সেটা। আর একটা ম্যাচ বাকি। অনেক লড়াই করেছি আমরা। এ বার আমরা বিশ্বকাপ পাওয়ার জন্য নিজেদের সবটুকু দিয়ে দেব।”

    আরও পড়ুন: জোড়া গোল আলভারেজের! মেসি-ম্যাজিকেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

    নীল-সাদা জার্সিতে আরও কিছুদিন!

    আর্জেন্টিনার জার্সিতে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল, তাঁর শেষ ম্যাচ কি না তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি মেসি। সমর্থকরা চান, বিশ্বকাপে আর না খেললেও আর্জেন্টিনার হয়ে আরও কয়েকবছর খেলা চালিয়ে যান মেসি। আশা করা যায়, আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে বাকি প্রশ্নের উত্তর ফাইনালের পরই মিলবে। কিন্তু মেসির এই বক্তব্যে জাতীয় দল থেকে তাঁর অবসরের ইঙ্গিত স্পষ্ট। আপাতত ফোকাস ১৮ ডিসেম্বরের ‘ব্যাটেল অব লুসেইল’। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে সোনালি কাপ উপহার দেওয়াই লক্ষ্য লিওর।

  • FIFA World Cup: মেসি বনাম এমবাপে! কাপ কার দখলে? ফাইনালের আগে দ্বিধাবিভক্ত ফুটবল বিশ্ব

    FIFA World Cup: মেসি বনাম এমবাপে! কাপ কার দখলে? ফাইনালের আগে দ্বিধাবিভক্ত ফুটবল বিশ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ফুটবলে বিশ্বজয়ের শেষ লড়াইয়ে নামতে চলেছে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স। ভারতীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় লুসাইল স্টেডিয়ামে একে অপরের মুখোমুখি হবেন মেসি এবং এমবাপে। বলাই বাহুল্য, একটি হাইভোল্টেজ ফাইনাল দেখতে চলেছে ফুটবল বিশ্ব। হতে চলেছে দুই মহাতারকার লড়াই। দুই ফুটবল প্রতিভার লড়াই। কার হাতে উঠবে বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022)। কে জিতবেন গোল্ডেন বুট। কে টুর্নামেন্টের সেরা হবেন! ফাইনালের আগে সেই আলোচনায় উত্তাল ফুটবলবিশ্ব।

    কে পাবে গোল্ডেন বুট

    ২ ফুটবলারই এবারের বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট পাওয়ার অন্য়তম দাবিদার। চলতি টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত ২ জনই পাঁচটি করে গোল করেছেন। ফাইনালে যদি কোনও প্লেয়ারই গোল করতে না পারেন, তবে কীভাবে গোল্ডেন বুট দেওয়া হবে? সেক্ষেত্রে পেনাল্টি থেকে যে বেশি গোল করেছেন, তাঁকেই গোল্ডেন বুট দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত মেসি ৩টি গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে। সেখানে এমবাপের পাঁচটি গোলের একটিও পেনাল্টি থেকে নয়। সেক্ষেত্রে মেসিই এগিয়ে এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু যদি আউটফিল্ড গোল ও পেনাল্টি দুটোতেই সমান থাকেন দু জন। তবে অ্যাসিস্ট কার বেশি, সেই নিরিখে গোল্ডেন বুটের বিজয়ী বেছে নেওয়া হবে। অবশ্য ২ ফুটবলারই চাইবেন ফাইনালে গোল করে সংখ্যাটা বাড়িয়ে নিতে। 

    আরও পড়ুন: একমাসের আলোর ঝলকানি অতীত! বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই ভাঙা হাটে পরিণত কাতার

    দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিওনেল মেসি। এবার মেসির শরীরী ভাষা বুঝিয়ে দিয়েছে, তিনিই কেন সেরা। প্রথম একাদশে নিয়মিত সুযোগ পাননি ডি মারিয়া ও ডিবালা। ফর্মে ছিলেন না লাউতারো মার্টিনেজের মতো ফুটবলার। তিন সেরা ফুটবলার রিজার্ভ বেঞ্চে। কিন্তু মেসি একাই খেলা তৈরি করেছেন। নিজে গোল করেছেন, করিয়েওছেন। মেসির হাত ধরে তৈরি হয়েছে আর্জেন্টিনার নতুন তারকা আলভারেজ, এঞ্জো ফার্নান্ডেজরা।অন্যদিকে এমবাপের কাছেও লড়াইটা সোজা ছিল না। গ্রিজম্য়ান ও তাঁর উপরেই অধিকাংশ ম্যাচে গোলের দায়িত্ব ছিল। ফরাসি সমর্থকরা চেয়েছেন, এমবাপে গোল করুন। ফাইনালে মেসির ফুটবল স্কিলের সঙ্গেই মূলত লড়াই তাঁর। ফুটবল বিশ্বের তাবড় তাবড় বিশেষজ্ঞরা এমবাপের উপরেই বাজি ধরছেন। মেসির শেষ ম্যাচে যদি এমবাপে গোল করে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেন, সেটাই হবে ফরাসি ফুটবলারের সবথেকে বড় প্রাপ্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup: একমাসের আলোর ঝলকানি অতীত! বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই ভাঙা হাটে পরিণত কাতার

    FIFA World Cup: একমাসের আলোর ঝলকানি অতীত! বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই ভাঙা হাটে পরিণত কাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিঃসঙ্গ কাতার। বিশ্বকাপ শেষের পথে। গ্রুপ পর্যায়ের পর থেকে ধীরে ধীরে খালি হতে শুরু হওয়া কাতার, এখন বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে কার্যত ভাঙা হাটের রূপ নিয়েছে। এই এক মাস প্রায় ৭ লক্ষ ফুটবলপ্রেমী আরব দেশটিকে মাতিয়ে রাখলেও কাতার আবার ফিরছে তার পুরনো রূপে। সাত লক্ষের অধিকাংশই দেশ ছেড়েছে। দীর্ঘ একমাসের মিলন মেলার পর এক ঝটকায় শূন্যতা বিরাজ করছে দোঁহায়।

     ২০১০ সালে যখন ফিফা (FIFA) বিশ্বকাপ আয়োজনে কাতারের (Qatar) নাম উঠে এসেছিল, তখন চমকে উঠেছিল অনেকেই। দেশটা তো আদৌ ফুটবল খেলিয়ে হিসেবে পরিচিত নয়। ভাল স্টেডিয়াম আছে কি না, সেখানে বিশ্বকাপ (World Cup) কতটা জমবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু ১২টা বছর এবং ৩০০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৫ লক্ষ কোটি টাকা) হাতে পেলে বহু অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। আর হয়েছেও সেটাই। জমজমাট কাতার বিশ্বকাপ শেষের মুখে। বাকি আছে আর দুটো মাত্র খেলা। টুর্নামেন্ট যে সফল তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে অন্য জায়গায়।

    স্টেডিয়ামগুলোর কী হবে

    এই বিপুল অর্থ খরচ করার দরকার ছিল কি? রেকর্ড সংখ্যক টিভি দর্শক, আনন্দিত ফ্যান, কার্নিভ্যালের মেজাজ। কিন্তু আসল প্রশ্ন, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরে কী হবে? ফাইনাল ম্যাচের পর যখন দেশবিদেশের লক্ষ লক্ষ সমর্থক থেকে ফিরে যাবে, কাতার হয়ে পড়বে ফাঁকা জায়গা। হোটেলের ঘরগুলো শূন্য হয়ে পড়ে থাকবে এবং সবথেকে বড় কথা কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি স্টেডিয়ামের (Stadium) একাধিক হয়তো আর ব্যবহারই হবে না। কাতারে ঘরোয়া ফুটবল ব্যাপক হারে খেলা হয় না। এবং এর কারণে কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হওয়া স্টেডিয়ামগুলির মধ্যে অনেকগুলিই ভেঙে ফেলা হবে বা অন্য কিছুতে এগুলিকে পরিবর্তিত করা হবে। কাতার আন্তর্জাতিক ফোন কোড ৯৭৪ থেকে বিশ্বকাপের একটি স্টেডিয়ামের নাম হয়েছে স্টেডিয়াম ৯৭৪। কন্টেনার দিয়ে এই স্টেডিয়ামটি তৈরি হয়েছে। বিশ্বকাপের পর এই স্টেডিয়ামটিকেও ভেঙে ফেলা হবে। অন্যান্য ছয়টি স্টেডিয়ামকে শপিং মল, হোটেলৈ রূপান্তরিত করার কথা চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তোমরা ইতিহাস লিখেছো! ম্যাচ শেষে বন্ধু হাকিমির জার্সি গায়ে বললেন এমবাপে

    বিশ্বকাপের আগে কাতার বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে উপযুক্ত ব্যবহার না করার কারণে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে কাতার। তবে, মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা সংস্থাগুলোর তরফ থেকে প্রতিবাদের পর এবং সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সমালোচিত হওয়ার পর মানবাধিকারকে অগ্রধিকার দিয়েছে কাতার এবং অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়েও তারা কাজ করেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। কিন্তু সবই তো সাময়িক। এখন তো ‘খেলা ভাঙার খেলা’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup 2022: জোড়া গোল আলভারেজের! মেসি-ম্যাজিকেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

    FIFA World Cup 2022: জোড়া গোল আলভারেজের! মেসি-ম্যাজিকেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধুর প্রতিশোধ। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কাতারে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে সেই ৩-০ গোলেই চূর্ণ করে বিশ্বকাপ (Fifa World Cup 2022) ফাইনালে গেল মেসিরা। লড়াইটা ছিল মেসি (Lionel Messi)বনাম মদ্রিচের। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার হয়ে সব থেকে ভাল ফুটবল খেললেও মেসি-ম্যাজিকে ভ্যানিস হয়ে গেলেন মদ্রিচ। মেসি গোল করলেন,গোল করালেন।

    অপ্রতিরোধ্য মেসি

    ম্যাচের ৩২ মিনিটে দলের প্রথম গোল পেনাল্টি থেকে করলেন মেসি। সেই সঙ্গে গড়ে ফেললেন নতুন নজির। গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড ভেঙে দিলেন মেসি। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ১০ গোল করার নজির ছিল বাতিস্তুতার। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করে সেই রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন মেসি। এদিন সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। বিশ্বকাপে ১১টি গোল হয়ে গেল মেসির। সেই সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপেকেও ধরে ফেললেন মেসি। ফ্রান্সের তারকা চলতি বিশ্বকাপে ৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। মেসি তাঁর চেয়ে এক গোলে পিছিয়ে ছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে এমবাপেকেও গোলসংখ্যায় ধরে ফেললেন মেসি। চলতি বিশ্বকাপে তাঁরও ৫ গোল হয়ে গেল। 

    আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নতুন বল! জানেন এর বৈশিষ্ট্য?

    তবে এদিন আর্জেন্টিনার হয়ে জোড়া গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। মেসি গোল করার ৬ মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল করেন আলভারেজ। প্রায় ৪০ গজ দৌড়ে ক্রোয়েশিয়া বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। তারপর পায়ের ছোট্ট টোকায় ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০ ব্যবধানে। দ্বিতিয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়া বক্সে আক্রমণের ঝড় তোলে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের বয়স তখন ৬৯ মিনিট। কার্যত একক কৃতিত্বে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ক্রোয়েশিয়া বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। তাঁর গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে ব্যর্থ ক্রোটরা। বক্সের ডানদিক থেকে টার্ন করে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে পাস বাড়ান মেসি। গোল করতে ভুল করেননি আলভারেজ। আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে। আর সেই ব্যবধান কমাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।

    আক্রমণাত্মক ফুটবল

    কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক পরিকল্পনা করে নেমেছিলেন লুকা মদ্রিচরা। কিন্তু আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করেন তাঁরা। ক্রোয়েশিয়া প্রেসিং ফুটবল খেলছিল। মেসিদের পায়ে বল থাকলেই তাড়া করছিলেন মদ্রিচরা। ফলে বলের দখল বেশি রাখতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। দুই প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সজাগ ছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণ। ফলে পুরো ম্যাচে গোলের মুখ খুলতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। রক্ষণকে শক্ত করে বার বার আক্রমণে যায় মেসিরা। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট খেলা সমানে সমানে হলেও বাকি ৬০ মিনিট মাঠ ছিল আর্জেন্টিনার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share