Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভারতের, সেমিফাইনালের যাওয়া প্রশ্নের মুখে পাকিস্তানের

    India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভারতের, সেমিফাইনালের যাওয়া প্রশ্নের মুখে পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের তুলনায় পাকিস্তানীদের আগ্রহ বেশি ছিল। কারণ প্রোটিয়া হারলেই পাকিস্তানের সুবিধা হয়ে যেত। সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা কিছুটা কন্টকমুক্ত হত। কিন্তু হতাশই হতে হল পাক সমর্থকদের। ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে ২ নম্বর গ্রুপে ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এল দক্ষিণ আফ্রিকা।

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। যেন নিজেদের পরীক্ষার সামনে ফেলতে চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৩৩/‌৯। জবাবে ২ বল বাকি থাকতে ১৩৭/‌৫ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েও দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে প্রোটিয়ারা। দুরন্ত ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে নাটক জমে ওঠে। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য ৬ বলে দরকার ছিল ৬ রান। ভুবনেশ্বরের প্রথম বলে কোনও রান হয়নি। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন পার্নেল। তৃতীয় বল মিলারের ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারি হয়ে যায়। চতুর্থ বল বাউন্ডারি হাঁকিকে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন মিলার।

    লুঙ্গি এনগিডি, ওয়েন পার্নেলদের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে এদিন বড় রানের টার্গেট রাখতে পারেনি ভারত। যদিও কম রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করে গেলেন ভুবনেশ্বর কুমার, অর্শদীপরা। ভারতীয় বোলারদের দাপটে বেসামাল হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার। অর্শদীপ প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন কুইন্টন ডিকককে (‌১)‌। ১ বল পরেই ফেরান রিলে রুসোকে (‌০)‌। অর্শদীপের বল তাঁর ভেতরের পায়ে লাগলেও আম্পায়ার আউট দেননি। পরে দীনেশ কার্তিকের পরামর্শে ডিআরএস নেন রোহিত। রিভিউয়ের সিদ্ধান্তে আউট হন। এরপর বাভুমাকে (‌১৫ হলে ১০)‌ তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলে দেন সামি।

    অশ্বিনের বলে একবার মার্করামের সহজ ক্যাচ ফেলেন বিরাট কোহলি। সহজ রান আউট রোহিত মিস করায় আরও একবার জীবন পান মার্করাম। শেষ পর্যন্ত ১৬ তম ওভারে জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর বলে সূর্যকুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্করাম। ৪১ বলে ৫২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে দলের চাপ কাটিয়ে দেন। তাঁর ও ডেভিড মিলারের ৭৬ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের দিকে এগিয়ে দেয়।

    [tw]


    [/tw]

    ট্রিস্টান স্টাবস (‌৬)‌ অশ্বিনের বলে আউট হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জয় আটকায়নি। ২ বল বাকি থাকতে দলকে জয় এনে দেন ডেভিড মিলার। ৪৬ বলে ৫৯ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ২৫ রানে ২ উইকেট নেন অর্শদীপ। দুরন্ত বোলিং করে ১৩ রানে ১ উইকেট নেন সামি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতও এদিন শুরুতে বিপর্যয়ে পড়েছিল। ভারতের টপ অর্ডারে ধস নামিয়েছিলেন লুঙ্গি এনগিডি। প্রথমে তুলে নেন রোহিত শর্মাকে (‌১৪ বলে ১৬)‌। ৪ বল পরেই ফেরান লোকেশ রাহুলকে (‌১৪ বলে ৯)‌। এনগিডির বলে পরপর দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চাপ কাটানোর চেষ্টা করছিলেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে যান এনগিডিই। তাঁর শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে লং লেগে রাবাডার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কোহলি (‌১১ বলে ১২)‌। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল বিপর্যয়ে। অক্ষর প্যাটেলের পরিবর্তে প্রথম একাদশে আসা দীপক হুডা (‌০) সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। পরের ওভারেই হার্দিক পান্ডিয়াকে (‌৩ বলে ২)‌ তুলে নিয়ে ভারতের বাটিংকে কফিনবন্দি করে দেন এনগিডি।

    হার্দিক আউট হওয়ার পর ভারতে টেনে নিয়ে যায় সূর্যকুমার যাদব। চাপের মুখে দুরন্ত ব্যাটিং সূর্যকুমারের। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ। দীনেশ কার্তিক (‌১৫ বলে ৬) ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৬৮ রান করে আউট হন সূর্যকুমার। ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন এনগিডি। ১৫ রানে ৩ উইকেট পার্নেলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T20 World Cup Pak vs Zim: ‘ভুয়ো মিস্টার বিন!’ ম্যাচের পর ট্যুইট-যুদ্ধে পাক, জিম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপ্রধানরা

    T20 World Cup Pak vs Zim: ‘ভুয়ো মিস্টার বিন!’ ম্যাচের পর ট্যুইট-যুদ্ধে পাক, জিম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপ্রধানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের বাইশ গজে পাকিস্তান ও জিম্বাবোয়ের (Pakistan vs Zimbabwe) লড়াই শেষ হয়ে গেলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও তপ্ত রয়েছে কথার যুদ্ধ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে, যে এই লড়াইয়ের মাঠে অবতীর্ণ হয়েছেন উভয় দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। আর এরই মাঝে কোথাও গিয়ে দুপক্ষের মধ্যে এই বাকবিতণ্ডার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ‘মিস্টার বিন’ (Mir Bean)। হ্যাঁ, সেই বিখ্যাত কমিক চরিত্র, যার নাম ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বখ্যাত হয়েছেন ব্রিটিশ অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসন (Rowan Atkinson)।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের (T-20 World cup) আসরে বৃহস্পতিবার বড় অঘটন ঘটিয়েছে জিম্বাবোয়ে। রুদ্ধশ্বাস ও লো-স্কোরিং ম্যাচে পাকিস্তানকে মাত্র ১ রানে হারিয়ে দিয়েছে আফ্রিকার এই দেশটি। এরপরই নিজের দেশের দলকে অভিনন্দন জানান জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন ডামবুজো মানগাগওয়া। অভিনন্দনমূলক ট্যুইটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে লেখেন, ‘‘জিম্বাবোয়ের জন্য কী দুর্দান্ত এক জয়! ‘শেভরন’দের (জিম্বাবোয়ে দলের পোশাকী নাম) শুভেচ্ছা। পাকিস্তান যেন এরপরের বার আসল মিস্টার বিন পাঠায়।’’ 

    এর জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ট্যুইট করে লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের কাছে প্রকৃত মিস্টার বিন নেই। তবে যে স্পিরিট নিয়ে ক্রিকেট খেলা উচিত, তা পাকিস্তানের রয়েছে। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে জানি। জিম্বাবোয়ে সত্যিই ভালো খেলেছে আজ। আপনাকে অভিনন্দন মিস্টার প্রেসিডেন্ট।

    ‘মিস্টার বিন’ বিতর্ক কেন?

    ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। সে বছর, পাকিস্তানের কমেডিয়ান আসিফ মহম্মদ হারারে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে একটি শো করেছিলেন। আসিফ মোহাম্মদ দেখতে মিস্টার বিন চরিত্রের আসল অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসনের মতো। চেহারায় বেশ মিল দুজনের। পরে, সামাজিক মাধ্যমে আসিফের আসল পরিচয় ফাঁস হয়। সেই থেকেই পাকিস্তানের ওপর জিম্বাবোয়ের একটা রাগ জমেছিল। যাতে ঘৃতাহুতি পড়ে বিশ্বকাপের ম্যাচের আগে। 

    জিম্বাবোয়ের মানুষ যে ‘বদলা’-র জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন, তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) টুইটার হ্যান্ডল থেকে পাকিস্তান খেলোয়াড়দের অনুশীলনের ছবি টুইট করা হয়। সেখানে জিম্বাবোয়ের এক ক্রিকেট অনুরাগী এনগুগি চাসুরা মন্তব্য করেন, ‘‘আমরা জিম্বাবোয়ের মানুষরা তোমাদের কখনও ক্ষমা করব না। তোমরা একবার আমাদের মিস্টার বিনের পরিবর্তে জালি পাকিস্তানি বিনকে পাঠিয়েছিলে। সেটার বদলা নেওয়া হবে। এখন প্রার্থনা করো যাতে বৃষ্টি এসে তোমাদের রক্ষা করতে পারে।’’ 

    অতঃপর, ম্যাচ শেষে জিম্বাবোয়ের রাষ্ট্রপতির ট্যুইট বিষয়টিকে অন্য মাত্রা দেয়। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র শেওয়াগ জিম্বাবোয়ে প্রেসিডেন্টের ট্যুইটকে রিট্যুইট করে লেখেন, ‘‘হা হা হা…প্রেসিডেন্টও মজা করছেন। প্রতিবেশীদের দুর্বল জায়গায় আঘাত।’’

  • T-20 world cup: ‘মানকড়িং’ আউটের পক্ষে সওয়াল হার্দিকের! জানেন কাকে বলে মানকড়িং?

    T-20 world cup: ‘মানকড়িং’ আউটের পক্ষে সওয়াল হার্দিকের! জানেন কাকে বলে মানকড়িং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মানকড়িং’ আউট নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে মানকড়িং আউট নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কারণ এটা ক্রিকেট আইনেই আছে। নন স্ট্রাইকার এন্ডের ব্যাটসম্যান যদি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যায় তাহলে বোলার তাকে রান আউট করতেই পারে। এতে অন্যায় কিছু দেখছি না। আমার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটলে সোজা মাঠ থেকে বেরিয়ে যাব। এক্ষেত্রে বোলারের কোনও দোষ নেই। বরং দোষটা আমারই। কারণ আমি ক্রিকেটের নিয়মের তোয়াক্কা করিনি। বোলার ডেলিভারি রিলিজ করার আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াটা অন্যায়। তাই ব্যাটসম্যানকে রান আউট করাটা অন্যায় নয়।’

    আরও পড়ুন: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচে মানকড়িং এর সুযোগ পেয়েছিলেন মহম্মদ শামি। তিনি ডেলিভারি রিলিজ করার আগেই ক্রিজ থেকে অনেকটা বেরিয়ে গিয়েছিলেন এক পাক ব্যাটসম্যান। শামি চাইলেই তাঁকে রান আউট করতেই পারতেন। এই দৃশ্য সামনে আসার পরই হার্দিককে এই প্রশ্ন ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় অলরাউন্ডারটির কথাতে এটা স্পষ্ট যে, ক্রিকেটের স্পিরিট নিয়ে যতই কথা বলা হোক ব্যাটসম্যানের অন্যায় কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। যাঁরা এই ধরনের আউট নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের সমালোচনাই করেছেন হার্দিক। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সুযোগ পেলে তিনিও এই উপায় অবলম্বন করবেন ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, ‘ক্রিকেটে স্পিরিট নিয়ে যাঁরা এত কথা বলছেন তাঁরা নিয়মটা ফলো করছেন না কেন? তাহলে তো কোনও সমস্যাই হয় না। আর এই ধরনের আউট যদি এতই অক্রিকেটীয় সুলভ হয়ে থাকে, তাহলে তো নিয়মটাই বদলে ফেলা উচিত।’

    আরও পড়ুন: কোহলির বদলে কোনও পাক ক্রিকেটার হলে ম্যাচটা হেরে যেত! বিরাট স্বীকারোক্তি কামরান আকমলের

    উল্লেখ্য, এই আউটের জনক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বিনু মানকড়। ১৯৪৭ সালে প্রথম তিনি এই ধরনের আউট করেছিলেন। তারপর থেকে নন স্ট্রাইকার এন্ডের ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর বোলার যদি রান আউট করেন, তাহলে সেটাকে ‘মানকড়িং’ আউট বলা হয়ে থাকে। সম্প্রতি বিনু মানকড়ের পরিবার এর প্রতিবাদ জানান। যার পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসি এটাকে শুধুই রান আউট তকমা দেয়। আইপিএলে অশ্বিন আউট করেছিলেন বাটলারকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • T-20 world cup: কোহলির বদলে কোনও পাক ক্রিকেটার হলে ম্যাচটা হেরে যেত! বিরাট স্বীকারোক্তি কামরান আকমলের

    T-20 world cup: কোহলির বদলে কোনও পাক ক্রিকেটার হলে ম্যাচটা হেরে যেত! বিরাট স্বীকারোক্তি কামরান আকমলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে যে পরিস্থিতিতে থেকে বিরাট কোহলি ম্যাচ জিতিয়েছে, সেখানে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে অন্য ক্রিকেটার হলে  ৩০-৪০ রানে হারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে কোহলির ইনিংসের ভূয়সী প্রশংসা করলেন কামরান আকমল। সঙ্গে বাবর আজমদের খোঁচা দিতেও ছাড়লেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারটি।

    ঘোর এখনো কাটেনি ক্রিকেট বিশ্বের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-twenty World Cup) আসরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ম্যাচ জেতানো ইনিংস নিয়ে চর্চা অব্যাহত। গত রবিবার মেলবোর্নে এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে চার উইকেটে হারায় ভারত। জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রয়োজন ছিল ১৬০ রান। কিন্তু শুরুতেই রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, সূর্য কুমার যাদবরা ডাগ আউটে ফিরে যান।

    আরও পড়ুন: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    দলের হাল ধরেন বিরাট কোহলি। হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে যোগ করেন ১১৩ রান। এই পার্টনারশিপি পাকিস্তানকে লড়াই থেকে ছিটকে দেয়। শেষ তিন ওভারে দুর্ধর্ষ ব্যাটিং করেন কোহলি। ঠান্ডা মাথায় কিভাবে শত্রুর ডেরায় সফল হামলা চালানো সম্ভব তা দেখিয়ে দিয়েছেন ভিকে। তার সেই অসাধারণ ইনিংসের প্রশংসা শোনা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মুখে। কোহলিকে ভিনগ্রহের ক্রিকেটার রূপে তুলে ধরেছিলেন ওয়াসিম আক্রাম। এবার বাবর আজমদের খোঁচা দিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার কামরান আকমল বলেছেন, ‘ভারতকে যে পরিস্থিতিতে থেকে বিরাট কোহলি ম্যাচ জিতিয়েছে, সেখানে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে অন্য ক্রিকেটার হলে  ৩০-৪০ রানে হারত। আমরা ওই চাপটা নিতেই পারতাম না। কোহলির এই ইনিংস বুঝিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটে ওই আসল রাজা। আমাদের বড় ক্রিকেটারদের বলবো সবাই যেন কোহলির এই ব্যাটিং বারবার দেখে। অনেক কিছু শেখার রয়েছে। চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে কিভাবে কঠিন ম্যাচ বের করতে হয় সেটা দেখিয়ে দিল বিরাট কোহলি। ১৯ তম ওভারে রউফের বলে ব্যাক ফুটে ও যে ছক্কাটা মেরেছে তা সবার পক্ষে সম্ভব হবে না। ওটা বিরাট বলেই পেরেছে। ও কত বড় ব্যাটসম্যান সেটা আমরা আবার দেখতে পেলাম।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T-20 World Cup: প্র্যাকটিস সেরে মিলল না গরম খাবার! তারপর কী করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা?

    T-20 World Cup: প্র্যাকটিস সেরে মিলল না গরম খাবার! তারপর কী করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্র্যাকটিস শেষে ঠিকমতো খাবার না পেয়ে ফিরে আসতে হল হোটেলে। বিরক্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররা। টি ২০ বিশ্বকাপে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার অনুশীলন করে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার প্র্যাকটিসে হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যকুমার যাদব, অক্ষর প্যাটেল-সহ সব ফাস্ট বোলারদের বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল। বাকি ভারতীয় প্লেয়াররা কয়েকঘণ্টা ধরে কঠোর অনুশীলন করেন। এরপর তাঁরা খাবার টেবিলে গিয়ে দেখেন সেখানে স্যান্ডউইচ ও ফল রাখা রয়েছে। স্যান্ডউইচ ঠান্ডা। ঐচ্ছিক অনুশীলনের শেষে মধ্যাহ্নভোজ সারতে গিয়ে এই ধরনের খাবার দেখে অসন্তুষ্ট হন ক্রিকেটাররা। অনেকেই ঠিক করেন, হোটেলে ফিরে কিছু খাবেন।

    এ প্রসঙ্গে বিসিসিআইয়ের (BCCI) এক কর্তা জানান, ক্রিকেটাররা খাবার বয়কট করেননি, কয়েকজন ফল খান। কিন্তু সকলেরই বক্তব্য ছিল, মধ্যাহ্নভোজের সময় হয়ে গিয়েছে। তাই তারা হোটেলে ফিরেই খাবেন। তিনি বলেন, “আসলে আইসিসি গরম খাবারের ব্যবস্থা করছে না। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সময় অন্য দেশের বোর্ড ক্রিকেটারদের জন্য গরম ভারতীয় খাবার রাখে। কিন্তু আইসিসি সব দেশের প্লেয়ারদের জন্য একই খাবার রাখে। কিন্তু দুই ঘণ্টা ধরে মাঠে কঠোর অনুশীলনের পর শসা, টমেটো এবং অ্যাভাকেডো দিয়ে ঠাণ্ডা স্যান্ডউইচ নিঃসন্দেহে যথেষ্ট খাবার নয়।”

    আরও পড়ুন: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    বোর্ড সূত্রে খবর, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে আজ, বুধবার ভারতীয় দল অনুশীলন করবে না। সেটাও বাধ্য হয়ে।  আইসিসি ভারতের প্র্যাকটিসের বন্দোবস্ত করেছিল ব্ল্যাকটাউনে। যেটা টিম হোটেল থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতিবার সিডনিতে দুটি ম্যাচ রয়েছে। ভারত বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পাশাপাশি রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের প্র্যাকটিস সেশন কাল সিডনি ক্রিকেটে গ্রাউন্ডে রাখা হলেও ভারতকে কেন এত দূরে প্র্যাকটিসে যেতে বলা হলো তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। এর আগে হোটেল নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ভারতীয় প্লেয়াররা। প্র্যাকটিস ম্যাচ চলার সময় অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানকে পাঁচ তারা হোটেলে রাখা হয়। ভারতীয় টিমকে রাখা হয়েছিল চার তারা হোটেলে। তা নিয়েও ক্ষোভ ছিল ভারতীয় দলের।

  • T20 World Cup: গাভাসকর নাচলেন, জড়িয়ে ধরলেন দ্রাবিড়! কোহলিয়ানায় ভাসলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা

    T20 World Cup: গাভাসকর নাচলেন, জড়িয়ে ধরলেন দ্রাবিড়! কোহলিয়ানায় ভাসলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলালেন, তিনি মেলালেন। সমালোচক থেকে প্রশংসক, সকলেই আবেগে ভাসলেন তাঁর সাফল্যের ঢেউয়ে। মেলবোর্নের বাইশগজে টি-২০ বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের নায়ক বিরাট Virat Kohli)। কোহলিয়ানায় মজেছে গোটা ক্রিকেট মহল। ভারতকে জেতানোর পর কোহলিকে মাঠেই জড়িয়ে ধরেন সতীর্থরা। তাঁকে কোলে তুলে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। এখানেই থামেনি বিরাট-উৎসব। কোহলি যখন মাঠ থেকে ফিরছিলেন এমসিজি’র ড্রেসিংরুমে, তখন তাঁকে টানেলে দেখে জড়িয়ে ধরেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। নায়কের পিঠ চাপড়ে দেন তিনি। দ্রাবিড় কখনওই সেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন না। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধ ভারতের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি ‘দ্য ওয়াল’।

    তবে সেরা দৃশ্য ধরা পড়েছে টিভি’র ক্যামেরায়। যা দ্রুত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। খেলা তখন শেষ পর্যায়ে। কমেন্ট্রি ছেড়ে বাউন্ডারির লাইনের ধারে ভিড় জমিয়েছেন ইরফান পাঠান, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, সুনীল গাভাসকররা। ক্রিজে তখন একের পর এক হুঙ্কার ছাড়ছেন বিরাট। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উন্মাদনার পারদ। পেন্ডুলামের মতো দুলছে ম্যাচের ভাগ্য। এমসিজি’র গ্যালারিতে হাজির ৯০ হাজার দর্শকের হাত-পা ঠান্ডা হওয়ার উপক্রম। নওয়াজের শেষ ডেলিভারিতে মিড অফ দিয়ে অশ্বিন পুল করতেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় টিম ইন্ডিয়া। জয়ের আনন্দে আত্মহারা তখন সুনীল গাভাসকরও। দু’হাত ছুড়ে শিশুর মতো নাচতে শুরু করে দেন তিনি। সেই ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন ইরফান পাঠান। যা মন ছুঁয়ে গিয়েছে ক্রিকেট জনতার।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Irfan Pathan (@irfanpathan_official)

    আরও পড়ুন: দেশের সুরক্ষা যাদের কাঁধে, প্রথা মেনে তাঁদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে কার্গিলে মোদি 

    ধারাভাষ্যকার হিসেবে গত তিন বছরে বিরাট কোহলিকে নিয়ে অনেক তির্যক মন্তব্য করেছেন গাভাসকর। কঠিন সময়ে তিনি ভিকের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্রিকেট দুনিয়া জানেন, কোহলির সঙ্গে সানির সম্পর্ক অম্ল-মধুর। তাই কিংবদন্তির ডাকে সেদিন সাড়া দেননি কোহলি। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধ মহারণে দেশকে জেতানোর পর এক ঝটকায় তাঁদের সম্পর্কের বরফ অনেকটাই যে গলবে, সেটা এই ভিডিও দেখার পর আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • T20 World Cup: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়-পরাজয়ের দৌড়ে কে কোথায় ?

    T20 World Cup: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়-পরাজয়ের দৌড়ে কে কোথায় ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মাদার অব অল ব্যাটলস’। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে এভাবেই দেখে ক্রিকেট দুনিয়া। বিশ্বের যে প্রান্তই হোক না, দুই প্রতিবেশী দেশের ব্যাট-বলের যুদ্ধ ঘিরে দারুণ উন্মাদনা চোখে পড়ে। একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে একটা সময় একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল ভারতের। টি-২০ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত দুই দলের সাক্ষাৎ ঘটেছে ছ’বার। দেখে নেওয়া যাক, করা কতবার জিতেছে?
    ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব
    প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। ম্যাচ টাই হয়। শেষ পর্যন্ত বোল-আউটে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত।
    ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল
    ফাইনালে ফের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ১৫৭ রান তুলেছিল। জবাবে মিসবা-উল-হকের ৪৩ রানের সুবাদে জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু নাটকীয়ভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ১৫২ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের লড়াই। ৫ রানে ম্যাচ জিতে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
    ২০১২ টি-২০ বিশ্বকাপ
    গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ের পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। লক্ষ্মীপতি বালাজির অনবদ্য বোলিংয়ের সুবাদে পাকিস্তানকে ১২৮ রানে আটকে রাখতে সফল হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল ভারত। ৭৮ রানে অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি।
    ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপ
    দাপটের সঙ্গে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ন’বল বাকি থাকতেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় ‘মেন ইন ব্লু’।
    ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপ
    বিশের ফরম্যাটে ভারতের দাপট অব্যাহত থাকে। পর পর পাঁচটি ম্যাচ জেতার পর ভারতের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েছিল পাকিস্তান। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১১৯ রান। কোহলি ফের ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ১৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া।
    ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ
    অবশেষে চাকা ঘোরে। দুবাইয়ে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে দেয় পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদির পেসের সামনে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সেভাবে মাথা তুলতে পারেনি। ১৫১ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কোহলিদের। কিন্তু বাবর আজমরা কোনও উইকেট না হারিয়েই ম্যাচ জিতে যায়।

  • IND vs PAK T20 World Cup: টি-২০ বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির আশঙ্কা! ভেস্তে গেলে কী করা হবে?

    IND vs PAK T20 World Cup: টি-২০ বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির আশঙ্কা! ভেস্তে গেলে কী করা হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র দু’দিন। তারপরেই টি-২০ বিশ্বকাপে ফের মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান (IND vs PAK T20 World Cup)। ২৩ অক্টোবর মেলবোর্নের বাইশ গজে ফের জমে উঠবে খেলা। মেলবোর্নে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চলেছেন প্রায় এক লক্ষ সমর্থক। তবে এই ম্যাচের জন্য এখনও দু’দিন থাকলেও উত্তেজনার পারদ এখন থেকেই চড়তে শুরু করেছে।

    এরই মাঝে মেলবোর্নে পৌঁছে গেল ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। তবে এই টানটান উত্তেজনার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বৃষ্টি। তাই ম্যাচের (IND vs PAK T20 World Cup) দিন বৃষ্টি হলে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এটি দুঃখের খবরই বটে। তাই অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে যে, ২৩ অক্টোবর বৃষ্টি হলে, পরে এই ম্যাচের জন্য কোনও রিজার্ভ ডে আছে কি?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার, ২৩ অক্টোবর মেলবোর্নে রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, মেলবোর্নে রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। টি-২০ বিশ্বকাপে (IND vs PAK T20 World Cup) গ্রুপ পর্বের খেলায় কোনও রিজার্ভ ডে নেই। তাই বৃষ্টিতে খেলা শুরু করা না গেলে ম্যাচ পরিত্যক্ত বলেই ঘোষণা করা হবে।

    আরও পড়ুন: দেখা যাবে না ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো! টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার-১২ এ পৌঁছতেই পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    জানা গিয়েছে, টি-২০ বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব এবং সুপার-১২ রাউন্ডের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। শুধুমাত্র সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্যই রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। ফলে বৃষ্টি বা অন্য কোনও কারণে ম্যাচটি না হলে উভয় দলের মধ্যে ১-১ পয়েন্ট ভাগ হয়ে যাবে। তবে বৃষ্টি যদি কিছুক্ষণের জন্য বিঘ্নিত হয়, তাহলে ম্যাচের ওভার কিছুটা কমানো যেতে পারে। ম্যাচটি (IND vs PAK T20 World Cup) অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য অন্তত ৫ ওভার ম্যাচ করতে হবে।

    প্রসঙ্গত, এর আগেও বৃষ্টির জন্য ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রস্তুতি ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছে। পণ্ড হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান ওয়ার্ম আপ ম্যাচও। ফলে এখন ক্রিকেটপ্রেমী সহ পুরো বিশ্ববাসীর একটাই প্রার্থনা যে, ২৩ অক্টোবর এই দুই দেশের ম্যাচের মাঝে বৃষ্টি যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। কারণ ভারত, পাকিস্তান দু-দলই মুখিয়ে রয়েছে এই ম্যাচের জন্য। সমর্থকরা আরও বেশি। অন্যদিকে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান টিমের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। ফলে আবহাওয়ার এই পরিস্থিতিতে আদেও এই ম্যাচটি (IND vs PAK T20 World Cup) হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

  • T20 World Cup: ১১ বছর পর বিশ্বকাপে ফের ইতিহাস তৈরি আয়ারল্যান্ডের! ইংল্যান্ডকে হারাল ৫ রানে

    T20 World Cup: ১১ বছর পর বিশ্বকাপে ফের ইতিহাস তৈরি আয়ারল্যান্ডের! ইংল্যান্ডকে হারাল ৫ রানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের টি-২০ বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) ইংল্যান্ড এক বড়সড় ধাক্কা খেল। এর প্রতক্ষ্যদর্শী হল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের দর্শকরা। ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দলকে উড়িয়ে দিল আইরিশরা (Ireland vs England)। বৃষ্টির কারণে ডাক-ওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫ রানে জেতে তাঁরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচ পুরো খেলা না হলেও ইংল্যান্ড পরাজিত হয়েছে আয়ারল্যান্ডের কাছে। 

    এদিন আইরিশ ব্যাটারদের দাপট ও দুর্দান্ত পারফরমেন্সের ফলে ম্যাচে যেন টিকতেই পারেনি ইংল্যান্ড। এছাড়াও বৃষ্টি তো সেখানেই বাধা হয়েই ছিল। এদিন টসে জিতে আয়ারল্যান্ডকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড ১৯.২ ওভারে ১৫৭ রানে অল-আউট হয়।

    পল স্টার্লিং দলের হয়ে ভালো শুরু করেন। অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি, ৬২ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছিলেন। ২৭ বলে ৩৪ রান করেন লরকান টাকার। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া পল স্টার্লিং ১৪, কার্টিস ক্যাম্ফার ১৮ ও গ্যারেথ ডেলানি ১২ রান করেন। মার্ক উড ও লিয়াম লিভিংস্টোন ৩টি করে উইকেট নেন ও যথাক্রমে রান করেন ১৭ ও ৩৪। ২টি উইকেট নেন স্যাম কারান।

    আরও পড়ুন: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    অন্যদিকে শেষমেশ ১৪.৩ ওভারে ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে ১০৫ রান তুললে বৃষ্টিতে ম্যাচ (T-20 World Cup) বন্ধ হয়ে যায়। তখনও জয়ের জন্য ৩৩ বলে ৫৩ রান করতে হত ইংল্যান্ডকে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আর খেলা শুরু করা গেল না। ফলে ডাক-ওয়ার্থ লুইসের নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনের তুলনায় পাঁচ রান কম ছিল ইংল্যান্ডের। ফলে পাঁচ রানের ব্যবধানে এই ম্যাচ জিতে নেয় আয়ারল্যান্ড।

    ইংল্যান্ডকে আয়ারল্যান্ডের হারানোর ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১১ সালের এক দিনের বিশ্বকাপেও আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। ফলে আরও এক বার বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই ছবিই দেখা গেল। তবে এবার ইংল্যান্ডের হারের প্রথম শত্রুই হল বৃষ্টি। তবে আয়ারল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ডের এই অপ্রত্যাশিত হারের ফলে ইংল্যান্ডের সেমি ফাইনালে ওঠা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি পরের সব ম্যাচ না জিততে পারলে সুপার ১২ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হতে পারে ইংল্যান্ডকে।

  • T20 World Cup: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    T20 World Cup: হটস্টারের ভিউয়ার্সে রেকর্ড! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবেগ -উন্মাদনায় ভাসল ক্রীড়াপ্রেমীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবোর্নের বাইশ গজে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-twenty World Cup) প্রথম ম্যাচে এক মহাকাব্যিক ইনিংস উপহার দিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ৫২ বলে তাঁর ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে এক রোমাঞ্চকর জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত (India)। যদি একটা সময় মনে হয়েছিল রোহিত বাহিনীর পক্ষে হয়তো পাকিস্তানের বাধা টপকানো সহজ হবে না। কিন্তু সেই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছিলেন কোহলি। যা দীপাবলিতে (Diwali) দেশবাসীর কাছে ছিল সবচেয়ে বড় উপহার।

    ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বরাবরই বাড়তি উন্মাদনা থাকে। কিন্তু গত রবিবার দুই প্রতিবেশী দেশের ব্যাট-বলের যুদ্ধ অতীতের যাবতীয় পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে গিয়েছে। শুধু ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ডিজনি হটস্টারে এই ব্লকবাস্টার ম্যাচটি দেখেছেন ১.৮ কোটি রেকর্ড দর্শক। টিভিতে কত মানুষ খেলাটা দেখেছেন তার হিসেব পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে ডিজিটাল স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে বিপুল ভিউয়ার্স দেখে অনেকেই বিস্মিত। অতীতে কোনও ক্রিকেট ম্যাচে ডিজনি হটস্টারে এত সংখ্যক ভিউয়ার্স হয়নি। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এশিয়া কাপে ভারত পাক ম্যাচ দেখেছিলেন ১.৪ কোটি দর্শক।

    আরও পড়ুন: এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড! অস্ট্রেলিয়াকে টেক্কা দিল ভারত

    ভুবনেশ্বর কুমার যখন প্রথম বল করেছিলেন তখন কিন্তু ডিজনি হটস্টারের ভিউয়ার্স ছিল ছত্রিশ লক্ষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ম্যাচের উত্তেজনা। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিউয়ার্সও। পাকিস্তানের ইনিংস যখন শেষ হয় তখন ১.১ কোটি ক্রিকেটপ্রেমী ডিজিটাল প্লাটফর্মে চোখ রেখেছিলেন। ভারতের ইনিংস তখনও শুরু হয়নি। ধীরে ধীরে ভিউয়ার্স বাড়তে থাকে। পৌঁছে যায় ১.৪ কোটিতে। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শুরুতে অনেকেই ম্যাচ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। ভিউয়ার্স নেমে এসেছিল ৩৬ লক্ষে। আসলে রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলরা দ্রুত ফিরে যাওয়ায় অনেকেরই মনে হয়েছিল ভারত হয়তো জিততে পারবে না। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের আসা জাগিয়ে তোলেন বিরাট কোহলি। ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। শেষ তিন ওভারে টানটান উত্তেজনা ছিল খেলায়। কোহলির দুর্ধর্ষ ব্যাটিং ফের ডিজনি হটস্টারের ডিজিটাল প্লাটফর্মে টেনে আনে ক্রিকেটপ্রেমীদের। অন্তিম বলে অশ্বিন যখন উইনিং শট নেন, তখন ভিউয়ার্স ছিল ১.৮ কোটি। যা সর্বাধিক।

    বলিউডের একাধিক সিনেমা ফ্লপ হওয়ায় আইনক্স এবং পিভিআর এর মত মাল্টিপ্লেক্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দুটি সংস্থায় ভারত পাকিস্তান ম্যাচে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার জন্য দর্শকদের বিপুল উৎসাহ দেখে ভীষণই খুশি। টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার ১২-এর শুরুটা এর থেকে আর ভালো হয় না বলে মনে করছেন সকলেই। এই হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ দেখার পর এবার বিশ্বকাপ বন্ধ করারও দাবি তুললেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ।  তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের বিশ্বকাপ বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ভারত পাকিস্তান ম্যাচের থেকে ভালো কিছু হবে না। আমরা এখানে একটা দুর্দান্ত তিন সপ্তাহ কাটাতে এসেছি। ভারত পাকিস্তান ম্যাচ সবসময় দুর্দান্ত হয়। আমি অনুভব করতে পারছি না এই ধরনের ম্যাচে দর্শকদের মধ্যে খেলার অনুভূতি কী হতে পারে।’ 

LinkedIn
Share