Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • AIFF and BCCI: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    AIFF and BCCI: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    ঈষিকা বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘হোয়াট বেঙ্গল থিংক্স টুডে, ইন্ডিয়া উইল থিংক টুমরো’। গোপাল কৃষ্ণ গোকলের সেই বহু চর্চিত উক্তি আজ ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে ভীষণভাবে প্রযোজ্য। বহু বছর পর দেশের দুই জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠনের শীর্ষপদে দুই বঙ্গসন্তান। ২০১৯ সালে বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। কয়েকদিন আগেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) । তাঁর কাছে পরাজিত হওয়ার পর ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া ফেডারেশনের নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন। যদিও তার কোনও সারবত্তা নেই বলে দাবি বিভিন্ন রাজ্য ফুটবল সংস্থার কর্তাদের। তাঁদের যুক্তি, যদি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়, তাহলে সহ-সভাপতি অন্য কেউ হতেন। আসলে কল্যাণ চৌবেকেই দিল্লির ফুটবল হাউসের মসনদে চেয়েছেন অধিকাংশ রাজ্য। তাই সভাপতি পদে তিনি ৩৩-১ ব্যবধানে বাইচুংকে হারিয়েছেন কল্যাণ।

    অতীতেও বিসিসিআই কিংবা এআইএফএফের সভাপতি পদে একই সময়ে পাওয়া গিয়েছে বাংলার দুই প্রতিনিধিকে। ১৯৮৯ সালে বিশ্বনাথ দত্ত হয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি। সেই সময় ফেডারেশনের শীর্ষপদ অলঙ্কৃত করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী। তিনি ১৯৮৮-২০০৮, একটানা দায়িত্ব সামলেছিলেন। সেই সময় কালেই সিএবি থেকে বিসিসিআই সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন জগমোহন ডালমিয়াও। একটানা না হলেও, ডালমিয়া কিন্তু ধাপে ধাপে বেশ কয়েকবার বোর্ড সভাপতি এবং আইসিসি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটে আর্থিক জোয়ার আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল ‘জগু’দার। একাধিক বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট আয়োজনের পাশাপাশি ক্রিকেটকে বানিজ্যিকরণের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আমলেও ভারতীয় ফুটবল নানাভাবে উপকৃত হয়েছিল।

    ২০০৯ সালে প্রফুল্ল প্যাটেল দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই অর্থে ভারতীয় ফুটবল আর এগোয়নি। বরং কিছু সাগরেদদের নিয়ে ভারতীয় ফুটবলের মসনদ দখলে রেখেছিলেন তিনি। আর তার বিরুদ্ধই বার বার সোচ্চার হয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় মামলা। এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও (Narendra Modi)। ভারতীয় ফুটবলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফিফা (FIFA)। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়। এক্ষেত্রে কল্যাণ চৌবের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঠিক খেলা ছাড়ার পর তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে এসেছেন। বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়েছেন। কিন্তু কখনওই তিনি রাজনীতি ও ফুটবলকে এক করে ফেলার চেষ্টা করেননি।

    কল্যাণ ঘনিষ্ঠ এক প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারের কথায়, ‘ও চাইলে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বলে ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে আগেই প্রফুল্ল প্যাটেলকে সরিয়ে দিতে পারত। কিন্তু সেটা করেনি। আইনি পথে লড়েছে। জয়ও পেয়েছে। বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট মন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানানো উচিত আমাদের। তাঁরা চাইলে, প্রফুল্ল প্যাটেলের মতো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ফেডারেশনের সভাপতি করতে পারতেন। কিন্তু সেটা করেননি। বরং ফুটবলের প্রশাসনে কল্যাণের মতো প্রাক্তন ফুটবলারকেই তারা সমর্থন করেছেন। না হলে তো আমরা কোনও বঙ্গসন্তানকে এই পদে দেখতে পেতাম না।’

    অনেকে বলে বিজেপি বাংলা বিরোধী, কিন্তু সে কথাও মানতে নারাজ ক্রীড়ামহল। অধিকাংশের মতে, বিসিসিআই সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জয় শাহ তো সচিব না হয়ে বোর্ড সভাপতি হতেই পারতেন, কিন্তু হননি। বাংলা তথা দেশের আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেই সেদিন সমর্থন করেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর, অমিত শাহরা। অনেকেই দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে গৈরীকরণের অভিযোগ করছেন। ভুল কিছুই নয়। কেন্দ্রে যে দল ক্ষমতায় থাকে, তারা সব সময়ই ক্ষমতার বলে সব ক্ষেত্রেই নিজেদের লোককে বসানোর চেষ্টা করে। তবে, মোদি-শাহ জমানায় বিসিসিআই কিংবা ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচনে কিন্তু কংগ্রসের পথে হাঁটেনি বেজিপি। দল নয় বরং খেলাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ফুটবল ও ক্রিকেট দুই ক্ষেত্রেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ফুটবলার বা ক্রিকেটারের হাতে। 

  • Virat Kohli to MS Dhoni: নম্বর তো অনেকেই জানে! অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময়ে ফোন করেছিল শুধুই ধোনি, অকপট কোহলি

    Virat Kohli to MS Dhoni: নম্বর তো অনেকেই জানে! অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময়ে ফোন করেছিল শুধুই ধোনি, অকপট কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের সময়ে বন্ধু চেনা যায়। যেমন চিনেছেন বিরাট। বোঝা যায় কে আপনাকে ভালবাসে, কে ভাল চায়। রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের শেষে নিজের ক্ষোভ, অভিমান উজাড় করে দিলেন কোহলি। জানালেন খারাপ সময়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন কিন্তু কী করতে হবে তা বলেছিল বিরাট কোহলির অধিনায়ক, মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)।

    পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট হারের পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে চলে এসেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তাঁর খারাপ সময় প্রশ্ন উঠতেই টিম ইন্ডিয়ার  প্রাক্তন অধিনায়ক ব্যাঙ্গের সুরে বললেন,  ‘আমার নম্বর অনেকের কাছে ছিল কিন্তু যখন আমি অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলাম, সেইসময় একমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনিই আমাকে ফোন করেছিলেন। আর কেউ কোনও ফোন করেননি। কেউ নয়। এর থেকেই বোঝা যায় কে আমার ভাল চায়।’ বিরাটের কথায়, ‘আমি যদি কাউকে সত্যিই মন থেকে সাহায্য করতে চাই, তাহলে তো তাঁকে আলাদা করে বোঝাব যে তোমার এটা ভুল হচ্ছে কিংবা ঠিক হচ্ছে। সকলের সামনে তো আর সেটা বলব না। আমাদের দুজনের সম্পর্কের মধ্যে একটা আলাদা বোঝাপড়া রয়েছে।’

    আরও পড়ুন: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    বিরাট আরও বলেন, “টিভিতে অনেকেই অনেক পরামর্শ দেন। তাঁদের কাছে বলার মতো অনেক কিছুই থাকে। আমার নম্বর থাকলেও তাঁদের কোনও মেসেজ আসেনি। কারও সঙ্গে  যে শ্রদ্ধার সম্পর্ক থাকে, সেটা কতদূর সত্যি তা, এমন পরিস্থিতিতেই বোঝা যায়। আমার আর ধোনির মধ্যে একটা নিঃস্বার্থ সম্পর্ক রয়েছে। না তিনি আমার কাছে কিছু চান, না তো আমি কিছু চাই তাঁর কাছে। কেউ কাউকে নিয়ে কোনওদিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিনি। তাই সম্পর্কটা রয়ে গিয়েছে।”

    অনেকের দাবি ছিল ছন্দ হারানো বিরাটকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত নয়। তবে এ বারও নিন্দুকদের গ্যালারিতে ফেললেন ‘কিং কোহলি’। চলতি এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাবে, কথা বলতে শুরু করেছে বিরাটের ব্য়াট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৩৫ করার পর, হংকং-এর বিরুদ্ধে করেছিলেন ৪৪ বলে ৫৯ রান। আর এ বার পাকিস্তানের কাছে দল হারলেও তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪৪ বলে ৬০ রান। 

  • Virat Kohli to Suryakumar Yadav: সূর্যের তেজকে কুর্নিশ কোহলির! দুবাইয়ের বাইশগজে ছক্কার বন্যা

    Virat Kohli to Suryakumar Yadav: সূর্যের তেজকে কুর্নিশ কোহলির! দুবাইয়ের বাইশগজে ছক্কার বন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরুটাই করেছিলেন ঝড়ের গতিতে। আর শেষটাও একই ভঙ্গিতে। সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) ব্যাটিং তাণ্ডবে হংকংয়ের (Hong Kong) বোলাররা রীতিমতো হতোদ্যম হয়ে পড়েন। বুঝেই উঠতে পারছিলেন না, কীভাবে সূর্যর এই প্রখর তেজ থেকে তাঁরা রক্ষা পাবেন। তাঁরা রেহাই পাননি। বরং ক্রমশ ঝাঁঝ বেড়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানটির। ইনিংসের অন্তিম ওভারে সূর্যকুমার চারটি বিশাল ছক্কা হাঁকান। ভারতীয় ইনিংসে যোগ হয় মূল্যবান ২৬ রান। সূর্যর ঝোড়ো ব্যাটিং দেখে দুবাইয়ের (Dubai) গ্যালারি উদ্বেলিত হয়ে ওঠে বার বার। তাঁরা তো এরকম বাটিং দেখার টানেই মাঠে ছুটে এসেছেন।

    সূর্যর মারমুখী ইনিংস মন ছুঁয়ে গিয়েছে বিরাট কোহলির। উইকেটের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে চাক্ষুস করেছেন এক অনবদ্য ২৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস। শেষ ওভারে হংকংয়ের বোলার হারুন অফ স্টাম্পের বাইরে বল করেন, কিন্তু সেই ডেলিভারি সজোরে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন সূর্য অনায়াসে। তারপর অভিনব ভঙ্গিতে সূর্যকে কুর্নিশ জানাতে ভোলেননি বিরাট। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্কার গতিতে ভাইরাল হয়েছে।

    বিশ্ব ক্রিকেটে সূর্যকুমারকে বলা হয় মিঃ ৩৬০ ডিগ্রি। উইকেটের সব প্রান্তে তিনি শট খেলার ক্ষমতা রাখেন। বল যতই ভালো হোক, সহজেই তিনি তা বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম। এই কারণেই টি-২০ ফরম্যাটে সূর্য এখন ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা সম্পদ।

    আরও পড়ুন: বিরাট-ব্যাটে রান এল! এশিয়া কাপের সুপার ফোরে টিম ইন্ডিয়া

    সূর্যকুমার যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ভারতীয় দলের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৯৪। তৃতীয় উইকেটে বিরাটের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাত্র ৪২ বলে অপরাজিত ৯৮ রান যোগ করেন তিনি। সেটাই মূলত ভারতীয় ইনিংসকে দু’শোর দোরাগোড়ায় পৌঁছে দেয়। তারকাদের ছাপিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন সূর্যই। তাঁর পারফরম্যান্স দেখার পর ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আগামী দিনে ওপেনার হিসেবেই কাজে লাগানো উচিত সূর্যকে।’ পর পর দু’টি ম্যাচ জিতে ভারত সুপার ফোরে পৌঁছে গিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী রবিবার মরুশহর দুবাইয়ে ফের ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) মহারণের সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্র হংকংকে হারাতেই হবে বাবরদের। আর সেটা কোনও বিরাট ব্যাপার নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Hardik Pandya: কামব্যাকটাই বড় কথা! কেরিয়ারের খারাপ সময় নিয়ে আবেগপ্রবণ হার্দিক

    Hardik Pandya: কামব্যাকটাই বড় কথা! কেরিয়ারের খারাপ সময় নিয়ে আবেগপ্রবণ হার্দিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর আগের দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাঠ। এশিয়া কাপে সেবারও মুখোমুখি ভারতপাকিস্তান। তখন পাকিস্তানের ব্যাটিং চলছে। বল হাতে হার্দিক পান্ডিয়া। হঠাতই মাঠের মধ্যেই শুয়ে পড়লেন হার্দিক। প্রবল যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ছুটে এলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। হেঁটে মাঠের বাইরে পর্যন্ত যেতে পারলেন না হার্দিক। মাঠ ছাড়তে হল স্ট্রেচারে শুয়ে। 

    ২০১৮ সালে পিঠে ভয়ানক চোটের পর অস্ত্রোপচার করতে হয় তাঁকে। শেষ হয়ে যেতে পারত কেরিয়্যার। হাল ছাড়তে রাজি ছিলেন না কঠোর হার্দিক। নীরবে চলে প্রস্তুতি। ২০২২ আইপিএল মোর ঘোরায় তাঁর ক্রিকেটীয় জীবনে। গুজরাট টাইটান্সের নেতৃত্ব যখন পেয়েছিলেন অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিল। সব হিসেবের বাইরে গিয়ে আবির্ভাবেই গুজরাটের হাতে তুলে দেন আইপিএল ট্রফি।

     

     

    এককালে প্লে বয় ইমেজের হার্দিককে সেদিনও খুব শান্ত মনে হয়েছিল। এদিনও ছিলেন শান্ত। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাঠেই পাকিস্তানকে একা হাতে শুইয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিন উইকেট অপরাজিত ৩৩ রান পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের জয়ের রাস্তা মসৃণ করে। জয়সূচক রানও এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকেই। এই ম্যাচের পরই ট্যুইটে চার বছর আগের ও রবিবারের মাঠের ছবি দিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আপাত শান্ত হার্দিক। লেখেন ফিরে আসাটা সবচেয়ে বড় ছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘তুমিই আমার তারকা…!’ হার্দিককে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখলেন স্ত্রী নাতাশা?

    ম্যাচের পর এক সাক্ষাৎকারে হার্দিক বলেন, ‘‌শেষ ওভারে ৭ রান বাকি থাকা অবস্থায় রবীন্দ্র জাদেজা প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেও আমি চাপ অনুভব করিনি। শেষ ওভারে ওদের বাঁহাতি স্পিনার বল করছিল। আর বৃত্তের মধ্যে ৫ জন ফিল্ডার ছিল। এটা আমার লক্ষ্যচূত করতে পারেনি। ১০ জন থাকলেও আমি ভাবতাম না। আমি শুধু চেয়েছিলাম ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে শট খেলতে।’ দলকে জেতানোর পর আবেগ দেখাননি হার্দিক। মাত্র একবারই আবেগ দেখিয়েছিলেন, যখন ২০তম ওভারের প্রথম বলেই জাদেজা আউট হয়েছিলেন। হার্দিক বলেন, ‘‌জাদেজা আউট হতে খারাপ লাগল। আমি ওকে বলি, আমি চাপে নেই। বোলারই বেশি চাপে।’ লক্ষ্যে স্থির হার্দিক বলেন,’আমি শুধু বোলারের ভুল করার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। সে যেভাবে ফিল্ড প্লেসিং করেছিল, জানতাম বোলার ব্যাক লেংথে বল করবে। তার জন্য আমি তৈরি ছিলাম।’‌

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Hardik Pandya: পাক বধের পর রোহিতদের ‘হার্দিক’ অভিনন্দন সৌরভ, সচিন, সেহবাগ, লক্ষণদের

    Hardik Pandya: পাক বধের পর রোহিতদের ‘হার্দিক’ অভিনন্দন সৌরভ, সচিন, সেহবাগ, লক্ষণদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের পর থেকেই অচেনা হার্দিকগুজরাট টাইটানসকে চ্যাম্পিয়ন করেই  নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলেন। প্রত্যাবর্তনের পর এখন চেনাই যাচ্ছে না তাঁকে। বদলে গিয়েছেন হার্দিক। বললেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাকবধের নায়ক হার্দিককে নিয়ে বলতে গিয়ে রোহিত জানান, “প্রত্যাবর্তনের পর থেকে হার্দিককে আর চেনা যাচ্ছে না। অসাধারণ খেলছে। দলে না থাকার সময়েও ওকে কী করতে হবে এবং কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে, সেটা সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করেছে। নিজের ফিটনেসও সেই উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। এখন নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিমির বেশি জোরে বোলিং করছে। ব্যাটিং নিয়ে তো আলাদা করে কিছু বলার নেই। ও কেমন ব্যাট করে সেটা সবাই জানি।”

    হার্দিকের দুরন্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। ট্যুইটবার্তায় সচিন লেখেন, অভিনন্দন টিম ইন্ডিয়া। দুরন্ত একটা ম্যাচ জয়ের কারিগর হার্দিক। শুভেচ্ছা জানায় বীরেন্দ্র সেওয়াগ, ভিভিএস লক্ষণ থেকে শুরু করে বহু প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। সোশ্যাল মিডিয়া জুরে রবিবার রাজ করেন ভুবি, হার্দিকরা।

    প্রায় প্রতি বড় ম্যাচেই মাঠে থাকেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এশিয়া কাপে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন না তিনি। তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তবে হার্দিকের দাপটে ভারতের এই দুরন্ত জয়ে রোহিতদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সৌরভ। ট্যুইট বার্তায় সৌরভ জানান, ‘কঠিন সময়ে ভাল খেলেছে দল। এশিয়া কাপে শুরুটা ভাল হল।’

    আরও পড়ুন: হার্দিকের ব্যাট-বল হৃদয়-হরণ করল মোদি থেকে শাহের! এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) হাইভোল্টেজ ম্যাচে (Ind vs Pak) জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। ম্যাচের শেষ দু ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১ রান। হবে কি হবে না এই দোলাচলে গ্যালারি থমথমে। চুপ করে বক্সে বসে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।  ১৯তম ওভারে হারিস রউফকে তিনটি চার মেরে চাপ কমালেন হার্দিক। এমনকি শেষ চার বলে যখন ৬ রান দরকার ছিল, তখন তৃতীয় বলে ডট হলেও ছিলেন শান্ত মেজাজে। চতুর্থ বলে লং অন দিয়ে বড় ছক্কা মেরে দলকে জেতান পান্ডিয়া। ১৭ বলে চারটি চার ও এক ছয়ে ৩৩ রানে অপরাজিত হার্দিক যে কোনও কিছুতেই ভয় পান না, মানলেন তাঁর নেতা। ভারত অধিনায়ক রোহিত বলেন, “ফিরে আসার পর থেকে ওকে অনেক শান্ত মনে হচ্ছে। ব্যাট হোক বা বল, দুটো বিভাগেই ভাল খেলছে ও। আগের থেকেও জোরে বল করতে পারে। এখন বাউন্স দিতেও শিখে গিয়েছে। নিজে কোন পরিস্থিতিতে কী ভাবে খেলতে পারে সেটা ওর পক্ষে আগে বোঝা দরকার ছিল। এখন সেটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। প্রতি ওভারে ১০ রান দরকার হলে আমরা হয়তো ভয় পেতে পারি। কিন্তু হার্দিক পাবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kapil on Kohli: রান নয় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটাই বড়! কোহলিকে কী বললেন কপিল?

    Kapil on Kohli: রান নয় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটাই বড়! কোহলিকে কী বললেন কপিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ বছরের ক্রিকেট জীবনে প্রথমবার। এক মাস ব্যাট ছুঁয়ে দেখেননি বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। খারাপ ফর্ম, কড়া সমালোচনার কারণে ক্রিকেট থেকে বেশ কিছুদিন নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) মঞ্চে নতুন করে শুরু করেছেন বিরাট। তাঁকে ঘিরে বরাবরের মতোই বিপুল প্রত্যাশা সমর্থকদের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ৫ উইকেটে দুর্দান্ত জয়ে তাঁর ভূমিকা ছিল নগণ্যই। তবে টি-২০ ফরম্যাটে ৩৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস তাঁর ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল। সেই তালিকায় রয়েছেন ৮৩’র বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক কপিল দেব (Kapil DeV)।

    কয়েকদিন আগেও তিনি কোহলির মতো তারকা ক্রিকেটারের বিশ্রাম নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে পাকিস্তান ম্যাচে কোহলির বেশ কিছু শট কপিলের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। এক সক্ষাৎকারে কপিল বলেছেন, ‘কোহলির ফর্ম নিয়ে কখনওই বিচলিত ছিলাম না। ওকে জাতীয় দলে ফিরতে দেখে ভালো লাগছে। একজন ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস যে ফিরছে, তা তাঁর শট চয়নের মধ্যেই ফুটে ওঠে। তবে ওর মতো ব্যাটসম্যানের থেকে আরও নিখুঁত শট প্রত্যাশা করা অমূলক নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধ ভাগ্য ওর সঙ্গে ছিল। না হলে প্রথম ওভারেই কোহলি আউট হতে পারত। যাই হোক, এটা খেলারই অঙ্গ। বাকি সময় ও খুব ভালো ব্যাট করেছে। বরাবরই ওর শরীরী ভাষা আমাকে আকর্ষণ করে, সেটা শুধু আজ নয়, গত দশ বছর ধরে ঘটছে। এই কারণেই তো ও এত বড় মাপের ক্রিকেটার হতে পেরেছে।’

    আরও পড়ুন: হার্দিকের ব্যাট-বল হৃদয়-হরণ করল মোদি থেকে শাহের! এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    কপিল আরও বলেছেন, ‘রানের পিছনে দৌড়ে লাভ নেই। কোহলির মাথায় রাখা উচিত, ও দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে। এটা অনেক বড় ব্যাপার। একজন ব্যাটসম্যান প্রত্যেক ম্যাচে শূন্য করতে পারে না। একদিন না একদিন বড় রান আসবেই। আর আমার বিশ্বাস, কোহলির যা প্রতিভা তাতে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে আর বেশি সময় লাগবে না। দরকার শুধু একটা বড় ইনিংস। আমার মনে হয় না সেই সময় খুব দূরে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Asia Cup 2022: বিরাট-ব্যাটে রান এল! এশিয়া কাপের সুপার ফোরে টিম ইন্ডিয়া

    Asia Cup 2022: বিরাট-ব্যাটে রান এল! এশিয়া কাপের সুপার ফোরে টিম ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে (Pakistan) ৫ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত (India)। এবার দুর্বল হংকংকে ৪০ রানে উড়িয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে এশিয়া কাপের (Asia Cup) সুপার ফোরে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। অনেকদিন পর বড় রান পেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ৪৪ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। কোহলি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩১তম অর্ধশতরান করলেন। এর আগে রোহিত শর্মার ৩১টি হাফসেঞ্চুরি ছিল। তবে এদিন সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। ২৬ বলে তাঁর সংগ্রহ অপরাজিত ৬৮ রান। মেরেছেন ছ’টি করে চার ও ছক্কা। মূলত এই জুটির সৌজন্যে প্রথমে ব্যাট করে ভারত ২ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তোলে।

    ভারতের রানটা আরও বেশি হতে পারত। কিন্তু ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের ওপেনিং জুটি সেভাবে জমাট বাঁধেনি। বহুদিন ধরেই বড় রান পাচ্ছন না রোহিত। তাই হংকংয়ের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধ তাঁকে পুরানো মেজাজে দেখতে চেয়েছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু হতাশ করেন রোহিত। ২১ রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে এদিনই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাড়ে তিন হাজার রান পূরণ করেন ভারত অধিনায়ক। একই অবস্থা লোকেশ রাহুলেরও। শুরুটা ভালো করেও ৩৬ রানেই তাঁকে থামতে হয়। তবে বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতকে শক্ত ভিতে দাঁড় করান সূর্যকুমার যাদব। তাঁদের পার্টনারশিপ ভারতের জয়ের পথ প্রশস্ত করে দেয়।

    আরও পড়ুন: রান নয় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটাই বড়! কোহলিকে কী বললেন কপিল?

    হংকং যে ১৯৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ম্যাচ জিততে পারবে না সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে বাবর হায়াত, কিঞ্চিৎ শাহদের লড়াই মন জিতে নিয়েছে ক্রিকেটপ্রমীদের। হংকং ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তোলে। এখন প্রশ্ন হচেছ, এশিয়া কাপ জয়ের প্রবল দাবিদার ভারতীয় বোলিংকে নিয়ে তারা যেভাবে ছেলেখেলা করল, তা মোটেও শুভ ইঙ্গিত নয় রোহিতের দলের কাছে। দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও যুজবেন্দ্র চাহারের সঙ্গে বেশ ভালোই বল করেন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু অর্শদীপ সিং ও আভেশ খান যেভাবে রান বিলিয়েছেন, তা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করবে। অভেশ খান ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে দেন ৫৩ রান। একটি উইকেট পেলেও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হচেছ তাঁকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • National Sports Day 2022: ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে দেশ! জানুন রাষ্ট্রীয় খেল দিবসে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    National Sports Day 2022: ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে দেশ! জানুন রাষ্ট্রীয় খেল দিবসে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে খেলাধূলার প্রসার হোক। তরুণ সমাজ খেলাধূলাকে গুরুত্ব দিক। ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতীয়রা সাফল্যের নজির পেশ করুক, এমনটাই আশা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এদিন ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ক্রীড়া দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত খেলাধূলায় নিজেদের অবদান রেখেছে। কমনওয়েলথে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন দেশের অ্যাথলিটরা। ক্রিকেট, ফুটবল সবক্ষেত্রেই নিজেদের দাপট দেখিয়েছে মেন-ইন ব্লু। মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। দেশ ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে, বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আজ, ২৯ অগাস্ট হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদের জন্মদিন। ভারতীয় কিংবদন্তীর স্মৃতিকে স্মরণ করে এই দিনটিকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস (Rashtriya Khel Divas) হিসেবে পালন করা হয়। ভারত সরকার ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনটি পালন করে থাকে।  এই দিনেই ক্রীড়াজগতে দেশের কৃতিদের হাতে রাষ্ট্রপতি অর্জুন,দ্রোণাচার্য পুরস্কার তুলে দেন। হকির জাদুকরকে সম্মান জানাতে কিছুদিন আগেই রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কারের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। রাজীব গান্ধী খেলরত্ন অ্যাওয়ার্ডের নাম বদলে নামকরণ করা হয়েছে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন অ্যাওয়ার্ড। নিজের ট্যুইটারে সেই কথা জানিয়েছিলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।

    আরও পড়ুন: আবারও সোনা! নীরজের প্রিয় জ্যাভলিন কোথায় জানেন?

    মেজর ধ্যানচাঁদ ১৯০৫ সালের ২৯শে অগাস্ট,উত্তর প্রদেশের ইলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২৮, ১৯৩২ এবং ১৯৩৬ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতকে সোনার পদক এনে দিয়েছিলেন। ১৯৫৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাঞ্জাব রেজিমেন্টে মেজর হিসেবে অবসর নেওয়ার সময়, ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ উপাধি প্রদান করে। জাতীয় ক্রীড়া দিবসের প্রাথমিক উদ্দেশ্যই হল খেলাধুলার গুরুত্ব বৃদ্ধি করা। খেলাধূলার ক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Asia Cup 2022: হার্দিকের ব্যাট-বল হৃদয়-হরণ করল মোদি থেকে শাহের! এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    Asia Cup 2022: হার্দিকের ব্যাট-বল হৃদয়-হরণ করল মোদি থেকে শাহের! এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যালারিতে থমথম পরিবেশ। জয়ের জন্য ভারতের দরকার তিন বলে ছয় রান। ব্যাট হাতে হার্দিক। শট মারার আগে চোখ বুজে সাবাইকে আশ্বস্ত করলেন। তারপর, বল গিয়ে পড়ল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে। বাকিটা ইতিহাস। পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) যাত্রা শুরু করল ভারত। দশ মাস আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে উড়ে গিয়েছিল ভারত। এ বার এশিয়া কাপে বাবর আজমদের হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলেন রোহিত শর্মারা। দু’বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিলেন রো-হিটাররা। ব্যাটে-বলে ম্যাচের সেরা হার্দিক। যিনি চার ওভারে ২৫ রানে তিন উইকেট নেন। পরে চাপের মুখে জয়সূচক শট-সহ ১৭ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করেন।

    দেশজুড়ে ভারতের জয়ের সেলিব্রেশন চলছে । টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে চমকপ্রদ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছে টিম ইন্ডিয়া। দল তাঁদের দক্ষতা এবং দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছে। জয়ের জন্য তাঁদের অভিনন্দন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও।

    রবিবার,  ম্যাচের শুরু থেকেই অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া। গুরুত্বপূর্ণ ছিল টস জেতা। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও বলেছিলেন, তিনি টস জিতলে ফিল্ডিং নিতেন। রোহিতও তাই করেন।  প্রথম দিকে রান তুললেও ১৫ ওভারের মাথায় হার্দিক ফিরিয়ে দেন ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া মহম্মদ রিজওয়ানকে। এরপর একই ওভারে খুশদিল শাহকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের রানের গতি আটকে দেন হার্দিক। দুরন্ত বোলিং করেন ভুবনেশ্বর কুমার। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান বাবর আজমকে। পরে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারকে ভাঙেন। তুলে নেন শাদাব খান, আসিফ আলির উইকেট। মোট চার উইকেট নেন ভুবি। ভুবনেশ্বর, হার্দিক এবং রবীন্দ্র জাডেজার ওভারে রানই করতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। তিন জনের ১০ ওভারে ওঠে মাত্র ৬২ রান। এখানেই কয়েক কদম পিছিয়ে যায় পাকবাহিনী।

    আরও পড়ুন: বাইশ গজের বাইরে বন্ধুত্বের ছোঁয়া! জানেন বিরাটকে কী বললেন শাহিন?

    ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শুরুটা একটু নড়বড়ে ছিল। প্রথমেই ফিরে যান লোকেশ রাহুল। শততম ম্যাচে রানের খরা অব্যাহতই থাকে কোহলির। বিরাটের ব্যাট এদিনও করিশমা দেখাতে ব্যর্থ। রোহিতও খুব একটা এগোতে পারেননি। তবে শান্ত মাথায় রান তাড়া করেন হার্দিক-জাদেজা জুটি। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৫২ রানের জুটি জয়ের দোড়গোড়ায় নিয়ে যায়। জাদেজা আউট হতেই আশা জাগে পাক-শিবিরে। কিন্তু ক্রিজে তখন গুজরাট-নায়ক হার্দিক। ম্যাচ শেষ করেন ছক্কা হাঁকিয়ে। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে আপামর ভারতবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Neeraj Chopra: আবারও সোনা! নীরজের প্রিয় জ্যাভলিন কোথায় জানেন?

    Neeraj Chopra: আবারও সোনা! নীরজের প্রিয় জ্যাভলিন কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের প্রিয় জ্যাভলিন অলিম্পিক মিউজিয়ামে দান করলেন দেশের সেরা জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপরা (Neeraj Chopra)। অলিম্পিকের মঞ্চে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারতের হয়ে প্রথম সোনা এনেছিলেন নীরজ। জ্যাভলিনে (Javelin) সোনার পদক জিতে টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) ইতিহাস গড়েছিলেন নীরজ চোপড়া। অলিম্পিকের মঞ্চে যে জ্যাভলিন থ্রো করে সোনার পদক জিতেছেন নীরজ, সেটির মূল্য কম নয়। জ্যাভলিনটি নীরজের খুবই প্রিয়। লুসেনের অলিম্পিক মিউজিয়ামে সেই জ্যাভলিন উপহার দিলেন নীরজ।

    অলিম্পিকের সরকারি ওয়েবসাইটে একটি সাক্ষাৎকারে নীরজ জানান, লুসেনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে অভিনব বিন্দ্রার রাইফেলও রাখা আছে। যা তাঁকে গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল। নীরজ বলেন, “আশা করব, আমার জ্যাভলিনও আগামী প্রজন্মকে একই ভাবে উদ্বুদ্ধ করবে। বিশেষ করে ভারতীয় অ্যাথলিটদের।” নীরজের আশা, বহু ভারতীয় ক্রীড়াবিদের নানা স্মারক অলিম্পিক মিউজিয়ামে জায়গা পাবে।

    নীরজকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোনাজয়ী ভারতীয় শুটার অভিনব বিন্দ্রা বলেন, “এতদিনে কোনও ভারতীয় সঙ্গী পেয়ে একাকীত্ব কাটল তাঁর রাইফেলের।” এখনও পর্যন্ত ৯০ হাজার শিল্পকর্ম, সাড়ে ৬ লক্ষ ছবি ও ৪৫ হাজার ঘণ্টার ভিডিয়ো রাখা আছে অলিম্পিক মিউজিয়ামে। 

    আরও পড়ুন: পাক বধের পর রোহিতদের ‘হার্দিক’ অভিনন্দন সৌরভ, সচিন, সেহবাগ, লক্ষণদের

    লুসেন ডায়মন্ড লিগে প্রথম স্থানে শেষ করেছেন ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার। ডায়মন্ড লিগের ফাইনালেও যোগ্যতা অর্জন করেছেন নীরজ। জুরিখে অনুষ্ঠিত হবে ডায়মন্ড লিগের ফাইনাল। চোটের কারণে কমনওয়েলথ গেমস থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন তিনি। চোট থেকে ট্র্যাকে ফিরেই দুরন্ত জয় নীরজের। লুসেনে প্রথম প্রয়াসেই ৮৯.০৮ মিটার দূরে বর্শা ছোড়েন তিনি। দ্বিতীয় প্রয়াসে ৮৫.০৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন। বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকায় তৃতীয় এবং পঞ্চম থ্রো করেননি নীরজ। ষষ্ঠ থ্রোয়ে ৮০.০৪ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেই আসে সোনা। সেই সঙ্গে ২০২৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের টিকিটও পেয়ে যান হরিয়ানার ক্রীড়াবিদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share