Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Harbhajan on Symonds Death: “খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলে বন্ধু”, সাইমন্ডসের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হরভজন

    Harbhajan on Symonds Death: “খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলে বন্ধু”, সাইমন্ডসের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হরভজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের অকালমৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন হরভজন সিং। বললেন, “খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলে”।

    অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের ক্রিকেট জীবনের প্রসঙ্গ উঠলেই অবধারিতভাবেই চলে আসে হরভজন সিংয়ের নাম। কথা ওঠে বিতর্কিত ‘মাঙ্কিগেট’ বিতর্ক নিয়ে। যার জেরে একটা সময়ে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল সাইমন্ডস এবং ভাজ্জির। সেই অধ্যায় পেরিয়ে সেখান থেকে ২০১১ সালে আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার সময় একই ড্রেসিং রুম ভাগ করে নেওয়া। দুই ক্রিকেটারের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ইতিহাস ক্রিকেট-বিশ্বে একটা আলাদা মাত্রা বহন করে। 

    রবিবার ভোররাতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের। অস্ট্রেলিয়া পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ অস্ট্রেলিয়ার টাউন্সভিলে দুর্ঘটনাগটি ঘটে। হার্ভে রেঞ্জ রোডের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় অ্যালিস রিভার ব্রিজের কাছে বাঁক নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায় সাইমন্ডসের গাড়ি। সাইমন্ডস এবং তাঁর এক সহযাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। অজি তারকার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। শোকজ্ঞাপন করেছেন হরভজনও। 

    অজি অল-রাউন্ডারের মৃত্যুতে ভারতের প্রাক্তন স্পিনার ট্যুইটে লেখেন, ‘অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলে। পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আত্মার শান্তি কামনা করি।’ 

    [tw]


    [/tw]

    পরপর দুবারের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন অ্যান্ড্রু। কেরিয়ারে সফলতা যেমন দেখেছেন, বহু বিতর্কের মুখেও পড়েছে। একসময় হরভজন সিং- এর সঙ্গেই ‘মাঙ্কিগেট’ বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। ভাজ্জির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিও হয় তার। কিন্তু আইপিএলের সৌজন্যে হয়ে ওঠেন পরম বন্ধু। আইপিএলে সাইমন্ডসের সঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলতেন হরভজন। সেই সময়ে দু’জনে একে অপরের কাছে আসেন। একসঙ্গে খানাপিনা, আড্ডা সবই হত। 

    এই প্রসঙ্গে ভাজ্জি নিজেই বলেন, “আমাদের অনেক ইতিহাস আছে। আমাদের দু’জনকে এক ড্রেসিংরুমে রাখার জন্য আইপিএল এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ধন্যবাদ। আইপিএলের জন্যেই আমি এমন একজন সুন্দর মানুষকে কাছ থেকে চেনার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়েছিলাম।’ 

    তিনি আরও বলেন, “আমরা একসাথে বসতাম, ড্রিংক করতাম, হাসি-মজা করতাম, অনেক গল্প করতাম। ও এমন একজন ছিল, যাকে আমি আড়াইটের সময়ে ফোন করে বলতে পারতাম, আরে বন্ধু তুমি কি করছ, চলো দেখা করি এবং ও দেখা করতে রাজিও হত।” 

    গত একবছরে তিন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রিকেট বিশ্ব।  

  • Virat Kohli: ‘ব্যাড প্যাচ’ কাটিয়ে উঠবেন, নিশ্চিত ভক্তরা, নিজের ক্ষমতায় বিশ্বাস করতে হবে বিরাটকে

    Virat Kohli: ‘ব্যাড প্যাচ’ কাটিয়ে উঠবেন, নিশ্চিত ভক্তরা, নিজের ক্ষমতায় বিশ্বাস করতে হবে বিরাটকে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন বিরাট কোহলি ক্রিকেটের বাইশ গজে রাজত্ব করতেন এবং কেউ তাঁর ফর্মের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারতেন না। অন্যান্য ব্যাটাররা তখন বিরাটের থেকে কয়েক হাজার মাইল পিছনে থাকতেন। বোলারদের কাছে তখন বিরাট কোহলিকে বল করা দুঃস্বপ্নের সামিল ছিল। এমনকী, বিশ্বের সেরা বোলারদেরও কোনওরকম রেয়াত করতেন না তিনি। 

    এতটাই ছিল তাঁর আধিপত্য, ক্রিকেট দুনিয়ায় তাঁর নামই হয়ে গিয়েছিলে ‘কিং কোহলি’। কোনও কথার কথা নয়। বিরাটের চওড়া ব্যাট থেকে এসেছে একের পর এক দৃষ্টান্তকারী ইনিংস। একাধিক রেকর্ড ভেঙেছেন এবং গড়েছেন। এমনকী, বলা হচ্ছিল যে, সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড যদি কেউ ভাঙতে পারেন, তা করে দেখাতে পারেন শুধু একমাত্র বিরাটই। 

    কিন্তু, ২০১৯ সাল থেকে বিরাট-ফর্মে ছন্দপতন ঘটতে শুরু করে। যত সময় গড়িয়েছে, বিরাটের ‘ব্যাড প্যাচ’ খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে। প্রায় তিন বছর হতে চলল। বর্তমানে ছন্দের ধারেকাছে নেই বিরাট। একদা বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটারের ফর্ম তাঁর কেরিয়ারের তলানিতে এসে ঠেকেছে। যে বিরাটের ছোঁয়ায় সবকিছুই সোনায় পরিণত হত, এখন পুরোটাই তা উল্টোস্রোতে বইছে। 

    তারকা ব্যাটারের এই খারাপ ফর্মে ভীষণই চিন্তিত তাঁর ভক্তরা। এমনিতেই, ভক্তদের প্রত্যাশার চাপ যে কোনও খেলোয়াড়ের ওপরই থাকে। সচিন তেন্ডুলকর থেকে সৌরভ গাঙ্গুলি– সকলেই ভক্ত-অনুরাগীদের প্রত্যাশার চাপ অনুভব করেছেন। কিন্তু, বিরাটের এই দুঃসময় যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ততই অস্থির হচ্ছেন তাঁর অনুরাগীরা। কেউ কেউ তো এমনও বলতে শুরু করেছেন যে, বিরাটের স্বর্ণযুগ শেষ। তিনি আর সেই ফর্ম ফেরত পাবেন না। অনেকের ধারণা, তিনি মানসিকভাবে যে কাল্পনিক নির্বাসনে গিয়েছেন সেখান থেকে ফিরে আসছেন না।

    এটা নয় যে, বিরাট নিজে চিন্তিত নন, বা তিনি নিজের ফর্মে ফেরার চেষ্টা করছেন না। নিজের পুরনো মেজাজ ফিরে পেতে কোনও কসুর রাখছেন না প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু, কোথাও কোনওকিছুই যেন ঠিকঠাক হচ্ছে না। কিছু একটা ক্লিক করছে না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পড়েছে, যে নিজের খারাপ ফর্ম দেখে নিজের প্রতি তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে ফেলছেন কোহলি। মনে মনে হয়ত ভাবছেন, খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠার জন্য আর কী কী করা যেতে পারে!

    তবে, বিরাট-পতনের কারণ কী হতে পারে? অন্তত সাধারণ চোখে তিনটি সম্ভাব্য কারণের দেখা মিলছে, যা থেকে বোঝা যাবে, কেন কোহলি এক অদৃশ্য শৃঙ্খলে বাঁধা পড়েছেন। প্রথম কারণ হতে পারে যে– নিজের জন্য নয়, দর্শকদের জন্য খেলতে শুরু করেছেন বিরাট। কোভিড অতিমারীর সময়ে মাঠে দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হওয়ার ফলে, অধিকাংশ ম্যাচই হয়েছে ফাঁকা স্টেডিয়ামে। দর্শকরা যে কোনও খেলোয়াড়ের অনুপ্ররেণা। কোহলিও ব্যতিক্রমী নন। হতে পারে, কোথাও গিয়ে দর্শকহীনতা তাঁর ফর্মে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। 

    এখন দর্শক আসতে শুরু করেছেন। ফলে, হতে পারে, দর্শকদের মনোরঞ্জনের কথা মাথায় ঘুরছে বিরাটের। আগে কোহলির ব্যাটিং দেখে মনে হত, তিনি নিজে উপভোগ করছেন। এখন দেখে মনে হয়, তিনি দর্শকদের জন্য কিছু করতে চাইছেন, নিজের জন্য নয়। আর এখান থেকেই হয়ত তাঁর মনে কোনও ভীতি তৈরি হয়েছে। না হলে, যে মানুষটা ইচ্ছেমতো বোলারদের সংহার করতেন, এখন কেমন একটা যেন কুঁকড়ে গিয়েছেন। যে মানুষটার সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল তাঁর আত্মবিশ্বাস, তা এখন অনুপস্থিত।

    দ্বিতীয়ত, বিরাটের টাইমিং একেবারেই চোখে পড়ছে না। বিরাট চিরকাল ক্রিকেটীয় শট খেলার জন্য পরিচিত। তাতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তাঁর নিখুঁত টাইমিং। যে কোনও বলের লাইন-লেংথ বিচার করতে বিশ্ব ক্রিকেটে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু, বর্তমানে সেটাই যেন হারিয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ আউট হচ্ছেন টাইমিংয়ের গণ্ডগোলে। হয় কখনও আগে খেলছেন, কখনও বা দেরিতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হচ্ছেন। কারণ, তিনি বলের লাইন-লেংথ বিচার করতে পারছেন না।

    তৃতীয়ত, বিরাটকে দেখে মনে হচ্ছে, নিজের ফর্ম নিয়ে তিনি ক্লান্ত। তা তাঁর বডি ল্যাঙ্গোয়েজে স্পষ্ট। একজন ক্রীড়াবিদের ক্ষেত্রে তাঁর বডি ল্যাঙ্গোয়েজ বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। বিরাটের জন্য এটা বড় ফ্যাক্টর। কারণ, বিরাটের লাফল্যের অন্যতম মূল উপাদান হল তাঁর আত্মবিশ্বাস। এখন সেই আত্মবিশ্বাসটাই ধাক্কা খেয়েছে। যা তাঁর বডি ল্যাঙ্গোয়েজে প্রকাশ পাচ্ছে। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে একমাত্র বিরাটই পারেন। তাঁর ওপর সেই বিশ্বাস রেখেছেন তাঁর লক্ষ লক্ষ ভক্তরা। সকলে চাইছেন, ‘কিং কোহলি’-কে দেখতে। এখন বিরাটকে তাঁর নিজের ক্ষমতায় বিশ্বাস করতে হবে। 

     

  • Virat Kohli: আইপিএলে অনন্য কীর্তি বিরাটের, ছুঁলেন এই মাইলস্টোন

    Virat Kohli: আইপিএলে অনন্য কীর্তি বিরাটের, ছুঁলেন এই মাইলস্টোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের (IPL 2022) চলতি মরশুমের শুরু থেকেই একের পর হারের মুখ দেখতে হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (RCB) ‘স্টার ব্যাটসম্যান’ বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)। শুক্রবার, পাঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) বিরুদ্ধে ম্যাচেও মাত্র ২০ রানে আউট হয়ে যান ভারতীয় ক্রিকেটের ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’।  

    তবে এত পরাজয়ের পরেও বিরাটের ঝুলিতে এল এক নতুন রেকর্ড (Record)।  বিরাটই প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি আইপিএলের (IPL) ইতিহাসে সাড়ে ছয় হাজার (৬৫০০) রান করেছেন। আরসিবি-র ইনিংসের প্রথম ওভারেই হরপ্রীত ব্রারের বলে রান নিয়ে এই রেকর্ড গড়েন তিনি।

    [tw]


    [/tw]
     
    লিগের ইতিহাসেও সবচেয়ে বেশি রানের অধিকারী বিরাট। বিরাট কোহলি ছাড়াও আইপিএলে (IPL) ৬ হাজারের বেশি রান করেছেন একমাত্র শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। ডেভিড ওয়ার্নার ৫৮৭৬ রান নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ৫৮২৯ রান নিয়ে চার নম্বরে রয়েছেন। তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন প্রাক্তন সিএসকে ক্রিকেটার সুরেশ রায়না। 

    আইপিএল ২০২২-এ বিরাট কোহলি ১৩ ম্যাচে ১৯.৬৭ গড়ে ২৩৬ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৩.৪৬ এবং সেরা স্কোর ছিল ৫৮ রান। আইপিএলের চলতি মরশুমে ২২টি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন কোহলি। আইপিএল ২০২২-এ এখনও পর্যন্ত তিনবার গোল্ডেন ডাকে আউট হয়েছেন বিরাট। চলতি মরশুমে কোহলির (Kohli) ব্যাটিং গড় ১৯.৬৭। 

    শুক্রবার বিরাটকে শর্ট অফ লেংথ ডেলিভারিতে আউট করেন রাবাদা। তখন সদ্য ৩৩ রান তুলতে পেরেছে আরসিবি। লক্ষ্য ছিল ২১০ রান। প্রথমেই আউট হয়ে যান বিরাট কোহলি। 

     

  • Hockey Stadium: ওড়িশায় তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সব থেকে বড় হকি স্টেডিয়াম

    Hockey Stadium: ওড়িশায় তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সব থেকে বড় হকি স্টেডিয়াম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে পুরুষদের হকি বিশ্বকাপ (Men Hockey World Cup)। তার আগেই ওড়িশার রৌরকেল্লায় তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের হকি স্টেডিয়াম (Hockey Stadium)। ২০২৩ সালের পুরুষদের হকি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হচ্ছে এই হকি স্টেডিয়ামটি। প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারবেন। এছাড়াও স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক মানের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।  

    স্টেডিয়ামটি বিজু পট্টনায়েক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনলজির ক্যাম্পাসে ৩৫ একর জায়গায় নির্মিত হচ্ছে।  স্বাধীনতা সংগ্রামী বিরসা মুন্ডার নামে নামকরণ করা হয়েছে স্টেডিয়ামটির। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বলেন, ‘‘আমরা আবারও বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।” ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর ও সুন্দরগড়কে বিশ্বকাপ হকি ২০২৩ আসরের আয়োজক করা হয়েছে। নতুন স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপের আগে তৈরি হয়ে যাবে। সুন্দরগড় জেলা হকি প্রতিভা অন্বেষণের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত হয়। দিলীপ তিরকে এবং সুনিতা লাকড়ার মতো খেলোয়াড় এখান থেকে উঠে এসেই হকিতে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।  

    ওড়িশার ভুবনেশ্বর এবং রৌরকেল্লায় আগামী বছর ১৩-২৯ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে পুরুষ হকি বিশ্বকাপ। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০১৮-র পর থেকে আর হকি বিশ্বকাপ হয়নি। ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার আসন সংখ্যার কলিঙ্গ স্টেডিয়াম রয়েছে সেই রাজ্যে। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামকে আরও উন্নত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।  

    ওড়িশা ক্রিড়া দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “করোনা পরিস্থিতি, সাইক্লোন, বৃষ্টির মতো দূর্যোগের পরেও আমরা এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছি। প্রায় ২৫০ ইঞ্জিনিয়ার, ডিজাইনার, শ্রমিক এই স্টেডিয়াম তৈরির জন্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি অক্টোবরের মধ্যে স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক মানের সবরকম সুবিধা পাওয়া যাবে এই স্টেডিয়ামে।”

    আরেক আধিকারিকের মতে, বিশ্ব হকিতে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে ওড়িশায় নির্মিত এই স্টেডিয়াম।

     

  • Virat Kohli: লেজেন্ড লেজেন্ডই থাকেন, কোহলির বিরাট প্রশংসা মহিলা ক্রিকেট অধিনায়কের

    Virat Kohli: লেজেন্ড লেজেন্ডই থাকেন, কোহলির বিরাট প্রশংসা মহিলা ক্রিকেট অধিনায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরাট কোহলির পাশে দাঁড়াল দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। ইদানিং বড় ম্যাচে রান পাচ্ছেন না ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। তবে তাতে হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই মনে করেন কোহলির এই মহিলা ভক্ত। কোহলি যে কোনও দিন তাঁর পুরানো ছন্দে ফিরতে পারেন বলেও মনে করেন ডেন ভ্যান নেইকার্ক।

    ভারতীয় ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক বিরাট কোহলি। তাঁর ব্যাটের জাদুতে মুগ্ধ তামাম বিশ্বের ভক্তকুল। এক সময় তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়ক ছিলেন। বাদ পড়েন খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে। ২০১৯ সাল থেকে কোনও ম্যাচে বড় কোনও রান পাননি কোহলি। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হয়ে পড়েন বিরাটের ভক্তরা। আইপিএলেও আহামরি কোনও রান করতে পারেননি বিরাট। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে ক্রীড়ামহলে। আইপিএলে বিরাটের শেষ ম্যাচেও মাত্র ৩৩ বলে ৩০ রান করেছেন তিনি। বিরাট এবং দলের ক্যাপটেন ফাফ ডু প্ল্যাসিস। তিনি করেছেন ৩৮ রান। মহীপাল রমরোর এবং দীনেশ কার্তিকের জুটিই কার্যত ব্যাটে ঝড় তোলেন। তাঁদের এই জুটির ব্যাটের জোরেই দলের রান বেড়ে দাঁড়ায় ১৭৩।  

    এমতাবস্থায় বিরাটের পাশে দাঁড়িয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নেইকার্ক। টুইটে তিনি লেখেন, বিরাট কোহলি কীভাবে এই রান করল, তার কারণ খুঁজতে যেও না। বিষয়টাকে সহজ করেই দেখ। একজন লেজেন্ড চিরকালই লেজেন্ড থাকেন। সেটাই মেনে নাও। কোনও একটা খেলা, কোনও একটা মরশুমে কারও পারফরম্যান্স দেখে কাউকে বিচার করা ঠিক নয়। বিশেষত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যাঁর লাগাতার ভালো রান।

    [tw]


    [/tw]

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় কোনও রান না পাওয়ায় সমলোচনা পিছু ছাড়েনি বিরাটের। ঘরে-বাইরে সর্বত্রই সমালোচনার শিকার হন তিনি। তাঁর পূর্বসূরী ক্রিকেটারদের অনেকেই বিরাটের অবসর নেওয়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। তারপরেও অবশ্য হাল ছাড়েননি তিনি। এদিন পেলেন তারই প্রতিদান। দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়কের প্রশস্তি-সূচক টুইট।

     

  • Cristiano Ronaldo: সদ্যোজাত পুত্র-সন্তানকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেন রোনাল্ডো

    Cristiano Ronaldo: সদ্যোজাত পুত্র-সন্তানকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেন রোনাল্ডো

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: নরউইচ সিটির বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে সমালোচকদের জবাব দেওয়ার আনন্দের মাঝেই পুর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পরিবারে নেমে এল বিষাদের ছায়া। সদ্যোজাত পুত্রসন্তানের মৃত্যুতে শোকের সাগরে রোনাল্ডো ও তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রডরিগেজ। সোমবার সন্তানের মৃত্যুর খবর জানিয়ে নিজেই তিনি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। একই সঙ্গে আরও এক কন্যা সন্তানের বাবা হওয়ার কথাও তিনি জানিয়েছেন। 

    গত অক্টোবরেই রোনাল্ডো এবং তাঁর বান্ধবী ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের যমজ সন্তান হতে চলেছে। এমনকী তাঁর ডাক্তারি রিপোর্টের ছবিও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলারকে। সেই যমজ সন্তানেরই এক জন মারা গিয়েছে এ দিন।

    ভারাক্রান্ত রোনাল্ডো ও তাঁর বান্ধবী সামাজিক মাধ্য়মে সন্তানহারার কথা ঘোষণা করে লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের ছেলে প্রয়াত হয়েছে। যে কোনও বাবা-মায়ের কাছেই এটা সবচেয়ে বড় দুঃখ। এক মাত্র মেয়ে সন্তানের বেঁচে যাওয়াই এই কঠিন সময়ে আমাদের শক্তি জোগাচ্ছে। কিছুটা আশা এবং খুশি নিয়ে অন্তত বাঁচতে পারছি।’ তিনি আরও বলেন,‘সব সময় আমাদের খেয়াল রাখার জন্য সমস্ত ডাক্তার এবং নার্সদের ধন্যবাদ। আমরা এই মুহূর্তে বিধ্বস্ত। এই কঠিন সময়ে গোপনীয়তা আশা করি সবার থেকে।’

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে প্রথম বার সন্তানের বাবা হন রোনাল্ডো। পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর এর আগে জর্জিনার সঙ্গেই চার সন্তান রয়েছে। তারা হল আলানা, ইভা, মাতেও এবং রোনাল্ডো জুনিয়র। সদ্যজাত কন্যা সন্তান হল রোনাল্ডো এবং জর্জিনার পঞ্চম সন্তান।

     

  • Igor Stimac: সুনীলদের কোচ কী থাকবেন স্টিমাচ? দিলেন শর্ত

    Igor Stimac: সুনীলদের কোচ কী থাকবেন স্টিমাচ? দিলেন শর্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শিক্ষক। তবুও ছাত্রদের গুরু থাকবেন কি না তা নিশ্চিত করে বললেন না ভারতীয় ফুটবল কোচ ইগর স্টিমাচ। তাঁর কোচিংয়ে ভারত এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে। কিন্তু তিনি পরের বছর এশিয়ান কাপে সুনীল ছেত্রীদের হেড স্যর হিসেবে থাকবেন কি না তা নির্ভর করবে কর্তাদের উপর। হংকংকে চার গোলে উড়িয়ে ভারতকে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র এনে দেওয়ার পরে রীতিমতো বিস্ফোরক স্টিমাচ। ফুটবলারদের স্তুতি করলেও ক্ষোভ উগরে দিলেন কর্তাদের উপর। 

    স্টিমাচের কথায়, ”আমি ভারতের আর কোচ থাকব কিনা, তা নির্ভর করবে আমার দেওয়া অনেকগুলো শর্ত মানার উপর।” কী কী সেই শর্ত? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ক্রোট কোচ জানান, ”দেশের লিগ কবে চালু হবে, সেটা নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে হবে। জাতীয় টিমের অনুশীলন করার সময় দিতে হবে। আমি যাদের জাতীয় টিমের জন্য বাছব, ক্লাব টিমের কোচেদের অবশ্যই তাদের নিয়মিত খেলাতে হবে।”

    আরও পড়ুন: হংকংকে ৪-০ গোলে হারিয়ে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ভারত

    এখানেই থামেননি ভারতের জাতীয় কোচ। তাঁর কথায়, এশিয়ার প্রথম সারির আট-দশটা দেশের থেকে ভারত এখনও ৮-১০ বছর পিছিয়ে। তিনি বলেন, ” দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় এগোতে হবে। আমি সেই পরিকল্পনাই এআইএফএফকে জানাব। ওরা সেটা মানলে তবেই আমি চুক্তি রিনিউ করব।” 

    ভারতীয় দলে যোগ্য স্ট্রাইকার আর স্টপারের খুব অভাব রয়েছে বলে জানান স্টিমাচ। আই লিগে তাই বিদেশি কমিয়ে এই পজিশনে ভারতীয় ফুটবলারদের খেলানোর কথা বলেন তিনি। তাঁর দাবি, আইএসএলে বিদেশি ৩+১ হিসেবে দলগুলিকে খেলতে হবে। তাহলে দক্ষ ভারতীয় ফুটবলার তৈরি হবে।

    এশিয়ান কাপের ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে স্টিমাচ বলেন, ”আমরা গ্রুপ থেকে সেরা হয়ে ছাড়পত্র পাব, এটা আমার কাছে নতুন ব্যাপার ছিল না। আমি যেটা করতে চেয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে একটা নতুন টিম গড়তে চেয়েছিলাম। এই কাজটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এর থেকে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি বা আর্সেনালে কোচিং করা সহজ। আমি সন্তুষ্ট যে আমি একটা নতুন ভারতীয় টিম গড়ে দেওয়ার কাজটা এগিয়ে দিলাম। সুনীল, সন্দেশ, গুরপ্রীতদের পরের প্রজন্ম তৈরি। যারা সাহসী, শৃঙ্খলাপরায়ণ। লড়াই করতে গিয়ে পিছিয়ে আসে না। নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণে সচেষ্ট। আমি গর্বিত এই ছেলেদের জন্য।”

  • Commonwealth Games: ঘরে ফিরলেন সোনার ছেলে! জানেন বাড়ি এসে কী করলেন অচিন্ত্য

    Commonwealth Games: ঘরে ফিরলেন সোনার ছেলে! জানেন বাড়ি এসে কী করলেন অচিন্ত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে ফিরেছেন সোনার ছেলে। তাঁর জন্য কড়াইশুটির কচুরি আর চানা মশালা তৈরি করে রেখেছেন মা। সঙ্গে রয়েছে দই, মিষ্টি। কমনওয়েলথ গেমসে বাংলা তথা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন অচিন্ত্য শিউলি। গেমসে ৭৩ কিলোগ্রাম ভারোত্তলন বিভাগে সোনার পদক জয় করেছেন হাওড়ার ছেলে ২০ বছর বয়সি অচিন্ত্য। সোমবার রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। সোনার ছেলে বাড়ি ফিরতেই উল্লাসের বন্যা বয়ে যায় এলাকায়৷ উৎসাহী মানুষের ভিড় ঠেলে কোনও রকমে তাঁকে বাড়ির দরজা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়৷ তাঁর মা তাঁকে বরণ করে নেন।

    আরও পড়ুন: ‘স্বর্ণ’-কমল! ভারতের কিংবদন্তী টেবিল টেনিস তারকার ঝুলিতে চারটি পদক

    প্রসঙ্গত, চলতি কমনওয়েলথ গেমসে স্ন্যাচ বিভাগে ১৪৩ কেজি ওজন তুলেছিলেন অচিন্ত্য। পাশাপাশি ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে তিনি ১৭০ কিলোগ্রাম ওজন তুলে দেশের হয়ে এক নয়া ইতিহাস তৈরি করেছেন। মোট ৩১৩ কেজি ওজন তুলেছিলেন তিনি। তাঁর মা পূর্ণিমা শিউলি জানান,  ছেলের জন্য তিনি গর্বিত। অচিন্ত্য শুধু তাঁর ছেলে নয় দেশের প্রতিটি মায়ের সন্তান অচিন্ত্য। সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে ছিল সাজো সাজো রব৷ শেষপর্যন্ত রাতে বাড়ি আসেন অচিন্ত্য। তাঁকে স্বাগত জানাতে উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো৷ অচিন্ত্য গাড়ি থেকে নামতেই এলাকার মানুষ ঘরের ছেলেকে একবার দেখার জন্য উৎসুক হয়ে ওঠেন৷ এরপর বাড়ির দরজায় তাঁকে বরণ করে নেন তাঁর মা৷ তারপরই ছাদে উঠে নিচে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষারত এলাকার মানুষজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি৷

    আরও পড়ুন: জরিশিল্পীর কমনওয়েলথ সোনা উৎসর্গ দাদা ও কোচকে

    দেশে ফিরে প্রথমে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে যান অচিন্ত্য। আর্মির হাবিলদার অচিন্ত্যকে সেখানে ধুমধাম করে স্বাগত জানায় ভারতীয় সেনা। অচিন্ত্যকে নিয়ে বের হয় বাইক র‌্যালি। জাতীয় পতাকা ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানে পথঘাট মুখরিত হয়। র‌্যালি দেখে সাধারণ মানুষও নিজেদের আটকাতে পারেননি। তাঁরাও স্লোগান দিতে থাকেন। বাইকে সেনা জওয়ানদের শোভাযাত্রা দেখতে পথের দুপাশে লোক দাঁড়িয়ে যায়। অচিন্ত্যকে আনতে বিমানবন্দর থেকে সেনা জওয়ানরা বাইক র‌্যালি করেন। ফুল, মালায় সোনার ছেলেকে বরণ করে নেন সেনা অফিসাররা। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের টেকনিক্যাল ট্রেনিং রেজিমেন্টে অচিন্ত্যকে গ্র্যান্ড ওয়েলকাম জানান সেনা অফিসাররা। গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় মালা। অচিন্ত্য এখানেই হাবিলদার পদে কর্মরত। বার্মিংহ্যাম জয় করে ফেরা অচিন্ত্যর জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় র‌্যালি বের করা হয়।

  • Roshan Mahanama: ট্রে হাতে চা পরিবেশন করছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার!

    Roshan Mahanama: ট্রে হাতে চা পরিবেশন করছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা (Srilanka) বর্তমানে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের সংকটের মুখোমুখি। এককথায় দেউলিয়ার পথে শ্রীলঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার (Cricketer) রোশন মহানামা(Roshan Mahanama) । কলম্বোর (Colombo) পেট্রোল পাম্পে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের মধ্যে চা ও পাউরুটি পরিবেশন করতে দেখা যায়। ইতিমধ্যেই তাঁর কিছু ছবি ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। ছবিতে তাঁকে চায়ের ট্রে হাতে নিয়ে দেখা যায়।

    তিনি তাঁর ছবি ট্যুইটারে(Twitter) শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমরা ওয়ার্ড প্লেস এবং ভিজেরামা মাওয়াথার(Wijerama Mawatha) চারপাশে পেট্রোলের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের খাবার পরিবেশন করেছি। এই লাইন দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এসব মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। অনুগ্রহ করে লাইনে একে অপরের যত্ন নিন। একে অন্যকে সাহায্য করুন, সহায়তার জন্য বলুন বা ১৯৯০ নম্বরে কল করুন।’

    আরও পড়ুন:”কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ”, ভারতের প্রশংসায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের (Economic Crisis) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা প্রয়োজনীয় জ্বালানি আমদানির জন্য অর্থ দিতে পারছে না,  ফলে দেশে পেট্রোলের গুরুতর সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের জ্বালানি কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে, সাধারণ মানুষ আগে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পেট্রোল, ডিজেল মজুত করে রাখছে। তাই দিনে দিনে এই লাইন বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, শ্রীলঙ্কায় পেট্রোল পাম্প রক্ষায় সশস্ত্র পুলিশ ও সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে  জ্বালানি বাঁচাতে ও এই পরিস্থিতির জন্য দুই সপ্তাহের জন্য রাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করে দিয়েছে সরকার।

    যেখানে শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতেতে দিশেহারা হয়েছে পড়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার, সেখানেই এই প্রাক্তন ক্রিকেটার মহানামা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নিজে হাতে ট্রে নিয়ে চা পরিবেশন করতে একটুও দ্বিধা বোধ করতে দেখা যায়নি তাঁকে।

    আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়ার পথে পাকিস্তানও?

  • Neeraj Chopra: নয়া কীর্তি নীরজের, ভাঙলেন নিজের রেকর্ড, তবু এল না সোনা!

    Neeraj Chopra: নয়া কীর্তি নীরজের, ভাঙলেন নিজের রেকর্ড, তবু এল না সোনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যাভলিনে ফের নতুন রেকর্ড গড়লেন নীরজ চোপরা (Neeraj Chopra)। টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পরে এই প্রথম ট্র্যাকে নেমেছিলেন। আর নেমেই নিজের সেরা পারফরম্যান্স করে জাতীয় রেকর্ড গড়লেন নীরজ। কিন্তু রেকর্ড করেও পাভো নুর্মি গেমসে (Paavo Nurmi Games)সোনা জেতা হল না নীরজের।  দ্বিতীয় হলেন অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন এই জ্যাভলিন থ্রোয়ার।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন ট্র্যাকে নেমে নীরজ প্রথম রাউন্ডে ৮৬.৯২ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছোড়েন। সেই রাউন্ডে তিনিই শীর্ষে ছিলেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে নীরজ ৮৯.৩০ মিটার ছুড়ে নিজের সেরা পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে যান। এর আগে অলিম্পিক্সে ৮৭.৫৮ মিটার ছুড়ে সোনা জিতেছিলেন নীরজ। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডেই নীরজের থ্রোয়ের পরেই তাঁকে টপকে যান ফিনল্যান্ডের অলিভার হেল্যান্ডার। তিনি ৮৯.৮৩ মিটার দূরে ছোড়েন। হেল্যান্ডারের এই পারফরম্যান্সে চাপে পড়ে যান নীরজ। এরপর অলিভারকে ছাপিয়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। পরের তিনটি রাউন্ডে তিনি ফাউল থ্রো করেন। শেষ এবং ষষ্ঠ প্রচেষ্টায় ৮৫.৮৫ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছোড়েন নীরজ। নিজের রেকর্ড গড়ার দিনে রূপো জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয় নীরজকে। ফিনল্যান্ডের অলিভার সোনা জেতেন।

    আরও পড়ুন: হংকংকে ৪-০ গোলে হারিয়ে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ভারত

    টোকিও অলিম্পিকসে ৮৭.৫৮ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়ে সোনা জেতেন নীরজ। ভারতের হয়ে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে তিনিই হলেন অলিম্পিক্সে প্রথম সোনাজয়ী। তবে তাঁর জ্য়াভলিনে সর্বোচ্চ জাতীয় রেকর্ড ছিল ৮৮.০৭ মিটারের। গত বছরের মে মাসে পাতিয়ালায় তিনি এই রেকর্ড গড়েছিলেন। এদিন দীর্ঘ ১০ মাস পর প্রথমবার আন্তর্জাতিক ইভেন্টে নেমেছিলেন ২৪ বছর বয়সি নীরজ। তাঁর এদিনের রেকর্ডের ফলে বিশ্ব র‌্যাঙ্কংয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এলেন তিনি। সামনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউজেনে ১৫-২৪ জুলাই বসবে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। সেখানে নিজেকে উজার করে দেওয়াই এখন আশু লক্ষ্য নীরজের।

LinkedIn
Share