Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Commonwealth Games: কুস্তিতে কিস্তিমাত! তিনটি সোনা একটি  রুপো কমনওয়েলথের আসরে দীপক, সাক্ষী, বজরংদের জয়জয়কার

    Commonwealth Games: কুস্তিতে কিস্তিমাত! তিনটি সোনা একটি রুপো কমনওয়েলথের আসরে দীপক, সাক্ষী, বজরংদের জয়জয়কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কমনওয়েলথের আসরে কুস্তিতে কিস্তিমাত করল ভারতীয়েরা। শুক্রবার গেমসের অষ্টম দিন একাধিক ইভেন্টে সাফল্য পেলেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। তবে পদকে ভরিয়ে দিলেন কুস্তিগীররা। কুস্তিতে তিনটি সোনা, একটি রুপো ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক আনে ভারত। কানাডার ম্যাকনেইলকে ৯-২-এ হারিয়ে দেশকে চলতি গেমস থেকে সপ্তম সোনাটি এনে দেন বজরং পুনিয়া। দাপটের সঙ্গে ফাইনাল ম্যাচ জিতে সোনা জেতেন বজরং। পুরুষদের ৬৫ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে ৯-২ ব্যবধানে কানাডিয়ান প্রতিপক্ষ লাচলান ম্যাকনিল উড়িয়ে দেন বজরং। এই নিয়ে গেমসে তৃতীয়বার পদক জিতলেন ভারতীয় তারকা কুস্তিগীর। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    গেমস থেকে ভারতের অষ্টম ও নবম সোনা এল কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক এবং দীপক পুনিয়ার হাত ধরে। মহিলাদের ৬২ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে কানাডার প্রতিপক্ষ অ্যানা গোডিনেজ গঞ্জালেসকে হারিয়ে সোনা জেতেন সাক্ষী। 

    চির প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে হারিয়ে সোনা জেতেন দীপক। পুরষদের ৮৬ কেজির ফ্রিস্টাইলের ফাইনালে দীপক পুনিয়ার প্রতিপক্ষ ছিলেন পাকিস্তানের মহম্মদ ইনাম। ৩-০ ব্যবধানে পাক প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেন তিনি।

    তবে একটুর জন্য সোনা হাতছাড়া হল অংশু মালিকের। প্রথমবার কমনওয়েলথের মঞ্চে নেমেই মহিলাদের ৫৭ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে রুপো ঘরে তোলেন তিনি। নাইজেরিয়ার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান তিনি। তবে ফাইনাল বাউট শেষ হয় ৪-৭-এ। আর তাতেই এবারের মতো সোনা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় তাঁর। উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার প্রতিপক্ষ দু’বারের কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী।

    আরও পড়ুন: স্কোয়াশে ইতিহাস সৌরভের! কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ পদক বাংলার ছেলের

    মহিলাদের ৬৮ কেজি বিভাগের ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে ভারতের দিব্যা কাকরান জেতেন। ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল টোঙ্গার টাইগার লিলি ককার। মাত্র ২৬ সেকেন্ডে ‘ভিকট্রি বাই ফল’- এ ব্রোঞ্জ ম্যাচ জিতে নেন দিব্যা কাকরান। দিব্যার পাশাপাশি ভারতকে ব্রোঞ্জ এনে দিয়েছেন মোহিত গ্রেওয়াল। পুরুষদের ১২৫ কেজি ফ্রিস্টাইলে জামাইকার অ্যারন জনসনকে হারিয়ে দিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ভারতের মোহিত।

  • Paris Olympic: অচিন্ত্য না জেরেমি! জানেন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধি কে

    Paris Olympic: অচিন্ত্য না জেরেমি! জানেন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধি কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথের আসর থেকে দুজনেই দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন। দুই বন্ধুরই পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক। কিন্তু নিয়মের ফাঁদে যে কোনও একজনই অলিম্পিক (Paris Olympic) অ্যারিনায় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। জেরেমি লালরিনুঙ্গা (Jeremy Lalrinnunga)  ও অচিন্ত্য শিউলি (Achinta Sheuli)। ২০ বছর বয়সি অচিন্ত্য শিউলি পুরুষদের ৭৩ কিলোগ্রাম ভারোত্তলন বিভাগে কমনওয়েলথে (CwG 2022) সোনার পদক জয় করেন। অচিন্ত্য স্ন্যাচ বিভাগে ১৪৩ কেজি ওজন তুলেছেন। পাশাপাশি ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে তিনি ১৭০ কিলোগ্রাম ওজন তুলে দেশের হয়ে এক নয়া রেকর্ড গড়েন। মোট ৩১৩ কেজি ওজন তুলে ইতিহাস গড়েন বঙ্গসন্তান। অন্যদিকে, ভারতের মাত্র ১৯ বছর বয়সি তরুণ ওয়েট লিফটার জেরেমি লালরিনুঙ্গা কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয় করেন পুরুষদের ৬৭ কিলোগ্রাম ওজন বিভাগে। তিনি স্ন্যাচ বিভাগে সবথেকে বেশি ১৪০ কিলোগ্রাম ওজন তুলেছেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে তিনি ১৬০ কিলোগ্রাম ওজন তোলেন।

    যুব অলিম্পিকে সোনার পদক জয় করেছিলেন জেরেমি। এবার তাঁর লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিক। কিন্তু সমস্যা অলিম্পিকে ৬৭ কেজি বিভাগটি নেই। জেরেমিকে লড়তে হবে ৭৩ কেজি বিভাগে। যেখানে যেতে গেলে বিশ্ব ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপে  জেরেমির লড়াই হবে অচিন্ত্যর সঙ্গে। অচিন্ত্য ৭৩ কেজি বিভাগেই খেলেন। চলতি বছরের নভেম্বরে কলম্বিয়ায়  বসবে বিশ্ব ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। সেখানকার ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই নির্ধারিত হবে কে প্যারিসের বিমানে উঠবেন। 

    আরও পড়ুন: মায়ের ছেঁড়া শাড়িতেই নিরাপদ সোনাজয়ীর পদক! জানেন অচিন্ত্যকে কী বললেন মা

    কমনওয়েলথে জয়ের পরই অচিন্ত্য বলেন, ”আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি, যখন পোডিয়ামে ভারতের তেরঙা সবার উপরে উঠেছে। জাতীয় সঙ্গীত বেজেছে। প্যারিস অলিম্পিক্সে এ রকমই সাফল্য তুলে আনাই এখন আমার পাখির চোখ।” অচিন্ত্য জানান, এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য কোনওভাবেই উৎসবে ডুব দেবেন না তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই পুনেতে গিয়ে জাতীয় অ্যাকাডেমিতে যোগ দেবেন। নেমে পড়বেন প্র্যাক্টিসে।”

    জেরেমিও এখন আইজলে নিজের বাড়িতে রয়েছেন। আগামী সপ্তাহেই জাতীয় শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। জেরেমি বলেন, “বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অন্য বিভাগে খেলতে নামবেন তিনি। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। একটুও সময় নষ্ট না করে নিজের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য তাঁর।”

  • Commonwealth Games: স্কোয়াশে ইতিহাস সৌরভের! কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ পদক বাংলার ছেলের

    Commonwealth Games: স্কোয়াশে ইতিহাস সৌরভের! কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ পদক বাংলার ছেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অচিন্ত্য শিউলির পর ফের বাংলায় (Bengal) এল পদক (Medal)। সৌরভ ঘোষালের (Sourav Ghosal) হাত ধরে কমনওয়েলথ গেমসে (CWG) স্কোয়াশের সিঙ্গলসে প্রথম ভারতের ঝুলিতে পদক এল। এককথায় ব্রোঞ্জ (Bronze) পদক জিতে ইতিহাস গড়লেন কলকাতার বছর ৩৫-এর সৌরভ। যাবতীয় আবেগ আর উচ্ছ্বাসকে ধরে রেখে যেন নিজেকে মেলে ধরলেন তিনি। সৃষ্টি হল ইতিহাস। ম্যাচ শেষে তাই কেঁদে ফেললেন সৌরভ। বাংলার ছেলেকে পদক জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ট্যুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে সৌরভের এই সাফল্য দেশের যুব সম্প্রদায়কে স্কোয়াশের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।’

    সৌরভের ব্রোঞ্জ জয়কে বাহবা না দিয়ে উপায় নেই। এমন একজনকে  যা স্মরণীয় করে রাখার মতো। বিশ্বের প্রাক্তন শীর্ষ স্থানাধিকারী ও কমনওয়েলথ গেমসে সোনা পাওয়া ইংল্যান্ডের জেমস উইলসট্রপকে হারিয়ে পদক পেয়েছেন সৌরভ। খেলার ফল ছিল ১১-৬, ১১-১ ও ১১-৪। বাংলার এই পদকজয়ীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    বার্মিংহ‌্যামে আসার আগে সৌরভ ট্রেনিং নিয়েছিলেন বিশ্বের প্রাক্তন শীর্ষ স্থানাধিকারী গ্রেগরি গলটিয়েরের কাছে। লক্ষ্য ছিল টেকনিককে আরও নিখুঁত করে তোলা। স্কোয়াশে ইংরেজদের হারানো এমনিতেই কঠিন। তার উপর ইংল্যান্ডের মাটিতে জিতে আসা মোটেই সহজ কথা নয়। কিন্তু সেই অসাধ্যসাধন করলেন এমন একজনের বিপক্ষে যার ছ’টা কমনওয়েলথের পদক রয়েছে। জেমস উইলসট্রপের সঙ্গে গত ন’বারের সাক্ষাতে মাত্র একবার জিতেছিলেন সৌরভ।

    আরও পড়ুন: আশা করি এবার একটা সিনেমা দেখার সময় পাবে! অচিন্ত্যর প্রশংসায় মোদি

    স্কোয়াশে সিঙ্গলসে পদক জয়ের পর এদিন সৌরভ বলেন, “পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে পদক জিতলাম। সিঙ্গলসে পদক জয় নিঃসন্দেহে বড় ব্যাপার। আরও ভাল খেলার চেষ্টা চালিয়ে যাব।” 

  • Commonwealth Games: ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্রিটিশদের পরাজয়! কমনওয়েলথ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতের মেয়েরা

    Commonwealth Games: ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্রিটিশদের পরাজয়! কমনওয়েলথ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতের মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মেয়েদের স্বপ্নের দৌড় অব্যাহত। ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের মাটিতে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশদের গুঁড়িয়ে দিল ভারতের মহিলা দল। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল ভারতের মেয়েরা (Indian Women’s Cricket Team)। কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেটের ফাইনালে ভারত।  প্রথম বার কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে নেমেই ফাইনালে উঠলেন হরমনপ্রীত কৌররা। এই জয়ের ফলে কমনওয়েলথ গেমস ক্রিকেটে রূপো জয় নিশ্চিত হয়ে গেল ভারতের মেয়েদের। ফাইনালে জিতলে সোনা জিতবে ভারত। যদিও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কড়া চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করা আছে ভারতের মেয়েদের জন্য।

    টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন স্মৃতি। প্রথম পাঁচ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ভারত তুলে নেয় ৫১ রান। স্মৃতির সঙ্গে ওপেন করতে নামা শেফালি বর্মা মাত্র ১৫ রান করে আউট হন। তাঁরা ফিরলে ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান হরমনপ্রীত কৌর এবং জেমাইমা। ২০ বলে ২০ রান করেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত। শেষবেলায় ভারতের হয়ে রান তোলেন দীপ্তি শর্মাও। তিনি ২০ বলে ২২ রান করেন। জেমাইমা অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে।

    ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই দ্রুত রান তুলছিল ইংল্যান্ড। ভারতীয় বোলাররা শুরুতে উইকেট তুলতে ব্যর্থ হন। সোফিয়া ডাঙ্কলে ১০ বলে ১৯ রান করেন। তাঁকে ফেরান দীপ্তি শর্মা। অন্য ওপেনার ড্যানি ওয়াট করেন ৩৫ রান। স্নেহ রানা তুলে নেন তাঁর উইকেট। এলিস ক্যাপসে ১৩ রান করে রান আউট হয়ে যান। ৮১ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক ন্যাট সিভার এবং অ্যামি জোনস। শেষ মুহূর্ত দ্রুত রান নিতে গিয়ে আউট হন জোনস। ৩১ রান করার পর রান আউট হন তিনি। এর পর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। শেষ ওভারে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। কিন্তু রানা আটকে দেন ইংল্যান্ডকে। কার্যত ইংল্যান্ডের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে চার রানে ম্যাচ জিতে যায় ভারত।

    আরও পড়ুন: আদালতের হস্তক্ষেপে বার্মিংহাম যাত্রা! বাকিটা ইতিহাস, কমনওয়েলথে হাই জাম্পে প্রথম পদক, ব্রোঞ্জ তেজস্বীনের

    এদিকে ক্রিকেটের পাশাপাশি এদিন ১০ হাজার মিটার হাঁটায় রূপোর পদক পেয়েছেন ভারতের প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী (Priyanka Goswami)। ছেলেদের স্টিপলচেজেও রুপো জিতেছেন ভারতের অবিনাশ সাবলে। এদিকে লন বোলে রুপো জিতে চমকে দিলেন ভারতের পুরুষ দলও। পুরুষদের ফোর দল ফাইনালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছে ভারতকে। অন্যদিকে কুস্তিতে একাধিক পদক নিশ্চিত করে ফেলছেন ভারতীয় কুস্তিগিররা। ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনালে উঠেছেন পিভি সিন্ধু (PV Sindhu)। টেবিল টেনিসেরও ফাইনালে উঠেছে ভারতের মিক্সড ডাবলস টিম। 

  • Commonwealth Games: আদালতের হস্তক্ষেপে বার্মিংহাম যাত্রা! বাকিটা ইতিহাস, কমনওয়েলথে হাই জাম্পে প্রথম পদক, ব্রোঞ্জ তেজস্বীনের

    Commonwealth Games: আদালতের হস্তক্ষেপে বার্মিংহাম যাত্রা! বাকিটা ইতিহাস, কমনওয়েলথে হাই জাম্পে প্রথম পদক, ব্রোঞ্জ তেজস্বীনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার্মিংহাম যাওয়াই হচ্ছিল না। শেষ সময়ে আদালতের হস্তক্ষেপে কমনওয়েলথের ছাড়পত্র মেলে। আর সেখান থেকেই ইতিহাস। অ্যাথলেটিক্সে ভারতের হয়ে খাতা খুললেন তেজস্বীন শঙ্কর (Tejashwin Shankar)। পুরুষদের হাই জাম্পে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন জাতীয় রেকর্ডধারী এই অ্যাথলিট। এই প্রথমবার হাই জাম্পে পদক জিতল ভারত।ভারতের কোনও অ্যাথলিট কোনওদিন যা পারেননি, তাই করে দেখালেন তেজস্বীন। ২.২২ মিটার লাফিয়ে ব্রোঞ্জ পান তিনি। শঙ্কর অবশ্য রুপো জয়েরও চেষ্টা করেছিলেন। তৃতীয় তথা শেষ প্রচেষ্টায় তিনি ২.২৮ মিটার লাফানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ভারতীয় অ্যাথলিটকে। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।

    একটা সময় বার্মিংহাম যাওয়াই ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন নির্ধারিত যোগ্যতামান পেরলেও তাঁকে কমনওয়েলথের দলে রাখা হয়নি। শেষ পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে নড়েচড়ে বসেন ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার কর্তারা। ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা আদালতে জানায় যে, ৪ X ৪০০ মিটার রিলে দলের আরোকিয়া রাজীবের পরিবর্তে শঙ্করকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরপরই ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা কমনওয়েলথ গেমস উদ্যোক্তাদের আবেদন জানায়। কিন্তু দেরিতে আবেদন করায় শঙ্করকে প্রথমে অংশগ্রহণের অনুমতি দেননি উদ্যোক্তারা। পরে কমনওয়েলথ গেমস উদ্যোক্তারা ডেলিগেট রেজিস্ট্রেশন মিটিংয়ের পর জানিয়ে দেন, শঙ্করের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ২২ জুলাই কমনওয়েলথে নামার অনুমতি পান শঙ্কর। 

    আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ গেমসে এখনও পর্যন্ত ১৮ টি পদক! জেনে নিন আজ কার খেলা কখন

    এদিকে ভারত্তোলনে পুরুষ বিভাগে গুরদীপ সিং ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।  ১০৯ কেজি বিভাগে তিনি মোট ওজন তোলেন ৩৯০ কেজি। ভারোত্তোলনে ভারতের ঘরে এটি দশম পদক। তারমধ্যে সোনা ও রুপো রয়েছে তিনটে করে। এর আগে জুডোতে রুপোর পদক এনেছেন তুলিকা মান। মেয়েদের বক্সিংয়ে নিখাত জারিন কোয়ার্টার ফাইনালে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়েলসের হেলেন জোনসকে। ৫-০ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন নিখাত (Nikhat Zarin)। তারমানে ভারতের ঘরে আরও একটা পদক আসা নিশ্চিত হয়ে গেল। এদিন ভারতকে বক্সিংয়ে আরও দু’টি পদক নিশ্চিত হয়েছে। হুসামুদ্দিন ৫৪-৫৭ কেজি বিভাগে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে দেন নামিবিয়ার তিয়াগেন মর্ণিংকে। ৪৫-৪৮ কেজি বিভাগে নীতু সেমিফাইনালে উঠেছেন।

    আরও পড়ুন: স্কোয়াশে ইতিহাস সৌরভের! কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ পদক বাংলার ছেলের

    এদিকে ক্রিকেটে অখ্যাত বার্বাডোজকে ১০০ রানে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের মেয়েরা। বুধবার রাতে বার্বাডোজের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে ১৬৬ রান করে ভারত। জবাবে বার্বাডোজ মাত্র ৬২ রানে আটকে যায়। এই জয়ের ফলে সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। এছাড়াও ভারতীয় মহিলা হকি দল কানাডাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে, ভারতের পুরুষ হকি দলও পুল বি-তে কানাডাকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে। তবে এদিন খানিকটা হতাশ করেছেন বক্সার লভলিনা বরগোঁহাই। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে পদক জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার।

  • Afghan chess players: চেন্নাইয়ে দাবা অলিম্পিয়াডে যোগ দিয়ে তালিবান পতাকা হাতে ছবি পোস্ট আফগান প্রতিযোগীর

    Afghan chess players: চেন্নাইয়ে দাবা অলিম্পিয়াডে যোগ দিয়ে তালিবান পতাকা হাতে ছবি পোস্ট আফগান প্রতিযোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চেন্নাইতে (Chennai) ৪৪ তম দাবা অলিম্পিয়াডে (Chess Olympiad) অংশগ্রহণকারী এক আফগান খেলোয়াড়ের (Afghan chess players) হাতে তালেবানের সাদা পতাকা (hold Taliban flag) দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই খেলোয়ারের ছবি ভাইরাল। আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তান প্রজাতন্ত্র সরকারের প্রাক্তন তেরঙা পতাকা নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টে খেলছে আফগান খেলোয়াড়রা। কিন্তু তার মধ্যেও ওই ছবি সামনে আসায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
     
    দাবার জন্ম ভারতে। ফলে জন্মস্থানে এবারই প্রথম হচ্ছে চেস অলিম্পিয়াড। চেন্নাইয়ের কাছে মামল্লপুরম বা মহাবলীপুরমে। তামিলনাড়ু সরকার এই ঐতিহ্যশালী প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে অল্প সময়ের মধ্যে যে বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরি করেছে তার প্রশংসা করছেন বিদেশিরাও। এই টুর্নামেন্টকে জনপ্রিয় করতে নেওয়া হয়েছে অভিনব উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন নিজেও অত্যন্ত উৎসাহী। তিনি নিজে ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখে সন্তুষ্ট। কিন্তু হঠাতই যেন প্রতিযোগিতা স্থলে তালিবান পতাকা দেখে তাল কেটেছে। প্রসঙ্গত, ভারত তালেবান অন্তর্বর্তী সরকার বা আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় না এবং তাই সাদা পতাকা ব্যবহার করার অনুমতি দেয় না। এমনকি নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তান দূতাবাসও পুরনো পতাকাই ব্যবহার করে। 
     
     
    আফগানিস্তান সহ ১৯৯ টি দেশের খেলোয়াড়রা ভারতে আয়োজিত দাবা অলিম্পিয়াডে যোগ দিয়েছে। আফগানিস্তান জাতীয় দাবা ফেডারেশনের সভাপতি কুরাইশি ওবায়দুল্লাহ এ প্রসঙ্গে জানান, “আমরা উভয় পতাকা ব্যবহার করছি। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতরে আমরা পুরনো পতাকা ব্যবহার করলেও মূল অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে সাদা পতাকা ব্যবহার করতে পারি। আমরা খেলোয়াড়, রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।” তিনি আরও বলেন, যদিও প্রাথমিকভাবে কেউ তাদের তালেবান পতাকার সাথে পোজ দিতে বাধা দেয়নি, এবং এটি মূল অনুষ্ঠানস্থলের বাইরের পোস্টারের মধ্যেই ছিল। তিনি জানান,  “আমার দল ভালো পারফর্ম করছে এবং আমি আশা করি আমরা ফাইনাল রাউন্ডে উঠতে পারব।”

     

     
     
  • Commonwealth Games: বড় মঞ্চে আবারও পরাজিত পাকিস্তান! কমনওয়েলথ ক্রিকেটে দাপুটে জয় ভারতের

    Commonwealth Games: বড় মঞ্চে আবারও পরাজিত পাকিস্তান! কমনওয়েলথ ক্রিকেটে দাপুটে জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেটে পদকের আশা জিইয়ে রাখলেন হরমনপ্রীত কৌররা। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হেলায় হারাল ভারত। বিসমা মারুফদের বিরুদ্ধে ১১.৪ ওভারেই ১০২ রান তুলল ভারত। পর পর দুই ম্যাচ হেরে চাপে বিসমারা। আর ৮ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে গ্রুপ তালিকায় শীর্ষে ভারতের মেয়েরা।

    এদিন বৃষ্টির জন্য এজবাস্টনে দেরিতে শুরু হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের মহিলা দলের ম্যাচ। গত ম্যাচে বার্বাডোজের বিরুদ্ধে হারের পর, ভাগ্য বদলের আশায় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়িকা বিসমাহ মারুফ। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ম্যাচ শুরু হওয়ায় তা ২০ ওভারের বদলে ১৮ ওভারে অনুষ্ঠিত হয়।

    আরও পড়ুন: আশা করি এবার একটা সিনেমা দেখার সুযোগ পাবে! অচিন্ত্যর প্রশংসায় মোদি

    ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই মেঘনা সিংহ ইরাম জাভেদকে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। তবে মন্থর গতিতে হলেও অধিনায়িকা বিসমা ও মুনিবা দলের ইনিংসকে সামলানোর চেষ্টা করেন। দ্বিতীয় উইকেটে দুইজনে মিলে ৫০ রান যোগও করেন। তবে তারপরেই হার্লিন দেওলের পরিবর্তে এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া স্নেহ রানা বিসমাকে সাজঘরের রাস্তা দেখান। ওই একই ওভারে সেট মুনিবাকেও ফেরান স্নেহ। তিনি ৩২ রানে আউট হন। ম্যাচের রাশ ভারতের দখলে চলে আসে। নির্দিষ্ট ১৮ ওভারে মাত্র ৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। মুনিবা আলির ৩২ ছাড়া বাকিরা কেউ ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন স্নেহ রানা এবং রাধা যাদব।

    আরও পড়ুন: পাঁচদিনের মাথায় ভারতের ছটি পদক কমনওয়েলথ গেমসে! কে কোন পদক পেলেন ছবিতে দেখে নিন

    জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রানে পৌঁছতে কোনও বেগই পেতে হয় না ভারতকে। আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন দুই ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা এবং শেফালি বর্মা। বেশি আগ্রাসী ছিলেন সহ-অধিনায়ক মন্ধানা। দুই ওপেনার মাত্র ৫ ওভারেই তুলে নেন ৫২ রান। এর পর ভারতের জয় ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তাতেও আগ্রাসী মেজাজের কোনও পরিবর্তন হয়নি ভারতের ব্যাটারদের। নেট রান রেট ভাল রাখার লক্ষ্য নিয়ে পাক শাসন অব্যাহত রাখেন তাঁরা। ৯ বলে ১৬ রান করে শেফালি আউট হওয়ার পরেও শুরু ছন্দই ধরে রেখেছিলেন মন্ধানা। সেই মেজাজেই পূর্ণ করলেন অর্ধশতরান। মাঠ ছাড়লেন দলকে জিতিয়ে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪২ বলে ৬৩ রান করে। মারলেন ৮টি চার এবং ৩টি ছক্কা।

    প্রসঙ্গত, এর আগে পাক ব্রিগেডের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে কুয়ালালামপুরে এবং ২০১০ সালে ব্যাসেটেরেতে যথাক্রমে ২৩ এবং ২০ বল বাকি থাকতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। এ দিন সেই সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেল হরমনপ্রীত কৌররা।

     

  • Commonwealth Games: কমনওয়েলথ গেমসে এখনও পর্যন্ত ১৮ টি পদক!  জেনে নিন আজ কার খেলা কখন

    Commonwealth Games: কমনওয়েলথ গেমসে এখনও পর্যন্ত ১৮ টি পদক! জেনে নিন আজ কার খেলা কখন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) ভারতের ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত এসেছে ১৮টি পদক। তার মধ্যে ১০টি-ই এসেছে ভারোত্তোলন থেকে। ৩টি জুডো, ১টি লন বল, ১টি ব্যাডমিন্টন, ১টি টেবল টেনিস, ১টি স্কোয়াশ এবং ১টি হাই জাম্প থেকে। ১৮টি পদকের মধ্যে পাঁচটি সোনা, ছটি রুপো, আটটি ব্রোঞ্জ। ষষ্ঠ দিনও ভারতের জন্য দুর্দান্ত গিয়েছে। বেশ কয়েকটি ইভেন্টে পদক জিতেছে ভারত। তার মধ্যে স্কোয়াশ এবং হাই জাম্পে ঐতিহাসিক পদক এসেছে। হাই জাম্পে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন তেজস্বীন শঙ্কর (Tejaswin Shankar)। অন্যদিকে, কমনওয়েলথ গেমসে স্কোয়াশে ব্রোঞ্জ জিতলেন বাংলার সৌরভ ঘোষাল (Saurav Ghosal)। ভারোত্তোলনে ১০৯ কেজি ওজনের বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছেন গুরদীপ সিং (Gurdeep Singh)। আজ একনজরে ভারতীয়দের খেলা:

    অ্যাথলেটিক্স

    দুপুর ২.৩০ – মহিলাদের হ্যামার থ্রো-র যোগ্যতা অর্জনকারী পর্ব – সরিতা সিংহ, মঞ্জু বালা

    দুপুর ৩.০৩ – মহিলাদের ২০০ মিটার রাউন্ড ১ হিট ২ – হিমা দাস

     

    রাত ১২.১২ – পুরুষদের লং জাম্প ফাইনাল – মুরলী শ্রীশঙ্কর, মহম্মদ আনিস ইয়াহিয়া

    বক্সিং

    বিকেল ৪.৪৫ – অমিত পাংহাল (৪৮-৫১ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনাল)

    সন্ধ্যা ৬.১৫ – জেসমিন লাম্বোরিয়া (৬৭-৭০ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনাল)

    রাত ৮টা – সাগর আহলওয়াত (৯২ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনাল)

    রাত ১২.৩০ – রোহিত টোকাস (৬৩.৫-৬৭ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনাল)

    রিদমিক জিমন্যাস্টিক্স

    বিকেল ৪.৩০ থেকে – বভলিন কৌর – ব্যক্তিগত বিভাগের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্ব সাব ডিভিশন ১

    পুরুষদের হকি

    সন্ধ্যা ৬.৩০ – ভারত বনাম ওয়েলশ

    লন বোল

    বিকেল ৪ – মৃদুল বরগোহাঁই (পুরুষদের সিঙ্গলস)

    স্কোয়াশ

    বিকেল ৫.৩০ – সুনয়না সারা কুরুভিল্লা/ অনাহত সিংহ (মহিলাদের ডাবলস রাউন্ড অফ ৩২)

    সন্ধ্যা ৬টা – সেন্থিলকুমার ভালাভন/ অভয় সিংহ (পুরুষদের ডাবলস রাউন্ড অফ ৩২)

    সন্ধ্যা ৭টা – দীপিকা পাল্লিকল/ সৌরভ ঘোষাল (মিক্সড ডাবলস রাউন্ড অফ ১৬)

    রাত ১১টা – জ্যোৎস্না চিনাপ্পা/ হরপিন্দর পাল সিংহ সাধু (মিক্সড ডাবলস রাউন্ড অফ ১৬)

    রাত ১২.৩০ – জ্যোৎস্না চিনাপ্পা/দীপিকা পাল্লিকল (মহিলাদের ডাবলস রাউন্ড অফ ১৬)

    আরও পড়ুন: স্কোয়াশে ইতিহাস সৌরভের! কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ পদক বাংলার ছেলের

    টেবিল টেনিস (সব ম্যাচ রাত ৮.৩০-এর পর থেকে শুরু)

    সানিল শেট্টি/ রিথ টেন্নসন – মিক্সড ডাবলস রাউন্ড অফ ৬৪

    সাথিয়ান জ্ঞানসেকরন/ মণিকা বাত্রা – মিক্সড ডাবলস রাউন্ড অফ ৩২

    শরথ কমল/ শ্রীজা আকুলা – মিক্সড ডাবলস রাউন্ড অফ ৩২

    রিথ টেন্নসন, শ্রীজা আকুলা, মণিকা বাত্রা – মহিলাদের সিঙ্গলস রাউন্ড অফ ৩২

    হরমীত দেশাই/ সানিল শেট্টি ও শরথ কমল/ সাথিয়ান জ্ঞানসেকরন – মিক্সড ডাবলস রাউন্ড অফ ৩২

    প্যারা টেবিল টেনিস

    দুপুর ৩.৪৫ – ভবানী হাসমুখভাই পটেল (মহিলাদের সিঙ্গলস ক্লাসেস ৩-৫ গ্রুপ ১)

    দুপুর ৩.৪৫ – বেবি সাহানা রবি (মহিলাদের সিঙ্গলস ক্লাসেস ৬-১০ গ্রুপ ১)

    বিকেল ৪.২০ – সোনালবেন মনুভাই পটেল (মহিলাদের সিঙ্গলস ক্লাসেস ৩-৫ গ্রুপ ২)

    বিকেল ৫.৩০ – রাজ অরবিন্দন আলাগর (পুরুষদের সিঙ্গলস ক্লাসেস ৩-৫ গ্রুপ ২)

  • Commonwealth Games: এলেন, দেখলেন, জয় করলেন! জানুন কমনওেলথে সোনার মেয়ে চানুর পরবর্তী লক্ষ্য

    Commonwealth Games: এলেন, দেখলেন, জয় করলেন! জানুন কমনওেলথে সোনার মেয়ে চানুর পরবর্তী লক্ষ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে হেলায়, প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনেক পেছনে ফেলে নিজের রেকর্ড ভেঙে কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলেন মীরাবাই চানু (Saikhom Mirabai Chanu)। ভারতকে গেমসের প্রথম স্বর্ণপদক (Gold) এনে দেওয়ার পর নিজের পরবর্তী লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছেন চানু। এই বছরের শেষে বিশ্ব ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। কলোম্বিয়াতে হবে সেই প্রতিযোগিতা। চানু বলেন, ‘‘বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে পদক জয়‌ আমার টার্গেট।‌ সেই মঞ্চে পদক জিতে দেশকে আরও একবার গর্বিত করতে চাই। কমনওয়েলথ গেমসে সোনার ফলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের (World Championships) মঞ্চে আরও প্রত্যয়ী হয়ে নামতে পারব। ক্লিন এন্ড জার্কে বিশ্ব রেকর্ড করার চেষ্টা করব।’’

    [tw]


    [/tw]

    সোনা জেতার পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মীরাবাই চানু। নিজের সোনার পদক উৎসর্গ করেন কোচ এবং পরিবারকে। জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ভারতের প্রতিযোগী বলেন, “ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। দেশকে সোনা দিতে পেরেছি। রেকর্ড গড়তে পেরেছি। এর থেকে বেশি খুশি বোধহয় কিছুই হতে পারে না।” সোনার পদকজয়ী বললেন, “অলিম্পিক্সের পর আমার কেরিয়ারে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা কমনওয়েলথ গেমস। জানতাম এখানে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি নিজেই। সেরাটা দেব ভেবেছিলাম, সেটাই দিয়েছি।” স্ন্যাচিংয়ে ৯০ কিলো প্রায় তুলে ফেলেছিলেন। একটুর জন্য সেই ভার ধরে রাখতে না পারায় বাতিল হয়ে যায়। তা নিয়ে আক্ষেপ নেই চানুর। তিনি বলেন, “অল্পের জন্য মিস করেছি ৯০ কিলো। একটু আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন। পরের বার ঠিক পারব।”

    আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের প্রথম সোনা জিতলেন মীরাবাই চানু, ভাঙলেন নিজেরই রেকর্ড!

    ২০১৪ সালের গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে রুপো, ২০১৭ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা, ২০১৮ সালের গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে সোনা, ২০২০ সালের (করোনার কারণে অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালে) টোকিও অলিম্পিক্সে রুপো, ২০২২ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন চানু। এবার ২০২২ সালের কমনওয়েলথ গেমসে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন।

    আরও পড়ুন: জমজমাট রবিবার! কমনওয়েলথ ক্রিকেটের আসরে আজ ভারতের সামনে পাকিস্তান

    কোমরের চোটে একসময় কেরিয়ারই শেষ হয়ে যেতে বসেছিল চানুর। মানসিক ভাবেও তিনি প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু ফিরতে পারবেন সেই আত্মবিশ্বাস ছিল। সেটাই তাঁকে একের পর এক প্রতিযোগিতায় পদক জেতাচ্ছে। চানু বলেন, “দেশকে এ বারের প্রতিযোগিতায় প্রথম সোনাটা আমিই দিলাম। এটা বড় করে উদ্‌যাপন করব। বাকি প্রতিযোগীদেরও বলব দেশকে পদক এনে দাও। সোনা না পেলেও যে কোনও পদক এনে দাও। সবাই মিলে উৎসব করব।”

  • Commonwealth Games: অর্থের জন্য খেলা ছেড়েছিলেন দাদা! জানুন কী বললেন কমনওয়েলথে বাংলার সোনার ছেলে অচিন্ত্য

    Commonwealth Games: অর্থের জন্য খেলা ছেড়েছিলেন দাদা! জানুন কী বললেন কমনওয়েলথে বাংলার সোনার ছেলে অচিন্ত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা ছিলেন ভ্যানচালক। মা জরির কাজ করে সংসার চালান। একেবারেই নিম্ন-মধ্যবিত্ত সংসার। সেখান থেকে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়। কঠিন পথে স্বপ্নপূরণ পাঁচলার ছেলে অচিন্ত্য শিউলির। রবিবার মধ্যরাতে (ভারতীয় সময় অনুসারে) পাঁচলার দেউলপুরের শিউলি পরিবারে তখন উৎসবের আমেজ। ঘরের ছেলে সোনা জিতেছে যে! ২০ বছর বয়সি অচিন্ত্য শিউলি পুরুষদের ৭৩ কিলোগ্রাম ভারোত্তলন বিভাগে সোনার পদক জয় করলেন। অচিন্ত্য স্ন্যাচ বিভাগে ১৪৩ কেজি ওজন তুলেছেন। পাশাপাশি ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে তিনি ১৭০ কিলোগ্রাম ওজন তুলে দেশের হয়ে এক নয়া ইতিহাস কায়েম করলেন। মোট ৩১৩ কেজি ওজন তুলে দেশকে সোনা এনে দিলেন অচিন্ত্য।

    এখন হাওড়ার অচিন্ত্যকে চেনে গোটা দেশ। কিন্তু লড়াইটা সহজ ছিল না। সোনা জয়ের পর জানালেন অচিন্ত্য। বললেন, “বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে দাদাই আমার জন্য সবকিছু করেছে। আর তাই এই পুরস্কার আমি আমার দাদা এবং কোচকে উৎসর্গ করতে চাই। দাদা নিজে ওয়েট লিফটিং করত। কিন্তু আমার দিকে তাকিয়ে ও ছেড়ে দিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ গেমসে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন বাংলার অচিন্ত্য, মণিপুরের জেরেমি

    অচিন্ত্যর বাবা পেশায় ছিলেন ভ্যানচালক।  ৯ বছর আগে মারা যান বাবা। তারপর থেকেই টানাটানির সংসার। জরির কাজ করে সংসার চালান মা। ২০১১ সালে দাদা অলোকের হাত ধরেই অষ্টম দাসের কাছে ভারোত্তলন প্রশিক্ষণ নিতে যান অচিন্ত্য। ২০১৩ সালে দুইভাই একসঙ্গে ন্যাশানাল ভারোত্তলক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এরপর ভাইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য খেলা ছেড়ে দেন দাদা। মা ও দাদা মিলে টানতে থাকেন সংসার। সঙ্গে ভাইয়ের খেলার খরচ। তাই পুরস্কার জিতে তা দাদাকেই উৎসর্গ করলেন অচিন্ত্য।

    সোনা জিতলেও, পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে খানিকটা হতাশই দেখাল পাঁচলার এই ওয়েট লিফটারকে! কিন্তু কেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানালেন, “এই লড়াইটা ছিল আমার নিজের সঙ্গে। সোনা জিততে আমি আসিনি। এসেছিলাম নিজের রেকর্ডটা টপকে যেতে। চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু, শেষপর্যন্ত সেটা আর করতে পারলাম না। তাই খানিকটা খারাপই লাগছে।”

     

LinkedIn
Share