Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) শুরু হতে আর একমাসও বাকি নেই। আর এরই মধ্যে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) একটি জঙ্গি সংগঠন। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ১ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে ২০ ওভারের (T20 World Cup 2024) বিশ্ব যুদ্ধ। আর এই বিশ্বকাপের লড়াইয়ের আগে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে বিশ্বকাপ চলাকালীন হতে পারে জঙ্গি হামলা। 

    জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি (T20 World Cup 2024) 

    ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী,উত্তর পাকিস্তানের প্রো-ইসলামিক স্টেট (IS) এবার লক্ষ্য করছে খেলাধুলোর অনুষ্ঠানগুলিকে। আইএস-র পাকিস্তান-আফগানিস্তান শাখা আইএস-খোরাসান থেকে ভিডিওর মাধ্যমে নাশকতার বার্তা ছড়াচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন দেশের জঙ্গিকাণ্ডের খবর তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের সমর্থকদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের মূল লক্ষ্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের স্টেডিয়ামগুলি।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্তা

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের। সেই কাজ তারা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও জনি গ্রেভস বলেন, “আমরা আইসিসির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। যে কয়েকটি মাঠে বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) হবে সেই স্টেডিয়ামগুলি সহ স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিভিন্ন হোটেলে যাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকে তা নিশ্চিত করা হবে। আমি সব দেশকে জানিয়ে দিতে চাই, যে ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

    আরও পড়ুন: ভোটের আগে আবাসের টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের, কমিশনে যাবে বিজেপি

     
    উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) ২০টি দেশ খেলবে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ম্যাচগুলি হবে অ্যান্টিগা ও বারবুডা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে। আমেরিকার ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক এবং টেক্সাসে শহরেও হবে টি-টোয়েন্টির মহাযুদ্ধ। ৫ জুন নিউ ইয়র্কে ভারতের প্রথম ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। আর ৯ জুন নিউ ইয়র্কে রয়েছে ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) হাই টেনশনের ম্যাচ। তবে এই ম্যাচের দর্শকদের উন্মাদনার পাশাপাশি নিরাপত্তার দিকেও নজরে থাকবে আয়োজকদের।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IPL 2024: কলকাতায় মুম্বইকে হারালেই প্লে অফে কেকেআর! লখনউ-এর বিপক্ষে বড় জয় নাইটদের

    IPL 2024: কলকাতায় মুম্বইকে হারালেই প্লে অফে কেকেআর! লখনউ-এর বিপক্ষে বড় জয় নাইটদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি, মুম্বই-এর পর লখনউকেও তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে দিল কেকেআর (KKR vs LSG)। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এল তারা। চলতি আইপিএলে (IPL 2024) জয়ের হ্যাটট্রিক করে কলকাতায় ফিরছে নাইটরা। আগামী শুক্রবার, ১১ মে ইডেনে নাইটদের প্রতিপক্ষ মুম্বই। শেষ হোম ম্যাচটা জিততে পারলেই প্লে অফে পৌঁছে যাবে নাইটরা। ফের একবার শাহরুখ-শো দেখার অপেক্ষায় কলকাতা।

    লিগ টেবিলের শীর্ষে

    এত দিন লিগ এক নম্বর জায়গা ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। রবিবার লখনউকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে কলকাতা। এখন তাদের পয়েন্ট ১৬। একই পয়েন্ট পেয়েছে রাজস্থানও। যদিও তারা কলকাতার থেকে একটি ম্যাচ কম খেলেছে। এই দুই দলের প্লে-অফে ওঠা প্রায় নিশ্চিত। কলকাতা ১১টি ম্যাচের মধ্যে আটটি জিতেছে। আরও একটি জিতলে কলকাতার ১৮ পয়েন্ট হবে। প্লে-অফে জায়গা পাকা করতে ১৮ পয়েন্ট প্রয়োজন। কলকাতার পরের ম্যাচ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ জিতলেই ১৮ পয়েন্ট হয়ে যাবে কেকেআরের। তা হলেই প্লে-অফে জায়গা করে ফেলবে তারা। 

    লজ্জার নজির

    রবিবার আইপিএল ২০২৪-এ (IPL 2024) কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে লজ্জার নজির গড়ে ফেলল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এদিন নিজেদের ঘরের মাঠেই হেরে বসে কেএল রাহুলের টিম। তাও ৯৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। কেএল রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ সুপার জায়ান্টস টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এই প্রথম বার এত বড় রানের ব্যবধানে কোনও ম্যাচ হারল। রানের ব্যবধানের ক্ষেত্রে এটি তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয়।

    মুম্বইয়ের রেকর্ডে ভাগ

    এক আইপিএল (IPL 2024) মরশুমে এই নিয়ে মোট ছ’বার ২০০ বা তার বেশি রান করার নজির গড়ে ফেলেছে কেকেআর। ছুঁয়ে ফেলেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রেকর্ড। এর আগে ২০২৩ সালে মুম্বইয়েরও এক আইপিএল মরশুমে মোট ছ’বার ২০০ বা তার বেশি রান করার নজির ছিল। যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক বিরল কৃতিত্ব। সেই কৃতিত্বে রবিবার (৫ মে) ভাগ বসাল কেকেআর। এদিন তারা একানা স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে ২৩৫ রান করে। চলতি আইপিএলে এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস, রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেও ২০০-এর বেশি রান সংগ্রহ করেছিল কেকেআর।

    ম্যাচ আপডেট

    এদিন টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর (KKR vs LSG)। ফিল সল্ট ও সুনীল নারিনের ব্যাটিং তান্ডব দেখে মনে হয়েছিল, আড়াইশো পেরোনে নিশ্চিত। যদিও নারিন ফিরতেই কেকেআরের রানে লাগাম। শেষ অবধি ৬ উইকেটে ২৩৫ করে কেকেআর। লখনউতে এটিই সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনউ। ব্যাট হাতে এই ম্যাচে বড় রান পাননি আন্দ্রে রাসেল। বোলিংয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন। দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি। নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা হর্ষিত রানা নেন তিন উইকেট। ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীও। তাঁর নামেও তিন উইকেট। এর মধ্যে একটা দুর্দান্ত কট অ্যান্ড বোল রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৩৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় লখনউ। আর প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে কেকেআর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL 2024: স্বপ্নভঙ্গ যুবভারতীর! ত্রিমুকুট জয় হল না মোহনবাগানের, আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই

    ISL 2024: স্বপ্নভঙ্গ যুবভারতীর! ত্রিমুকুট জয় হল না মোহনবাগানের, আইএসএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁদল কলকাতা। যুবভারতীতে ৬০ হাজার মোহনবাগান সমর্থককে চুপ করিয়ে দিল মুম্বই সিটি এফসি। ত্রিমুকুট জয়ের স্বপ্ন অধরাই থাকল মোহনবাগানের। ২৩ বছর পর যে সুযোগ এসেছিল সবুজ-মেরুনের কাছে, তা তারা কাজে লাগাতে পারল না। ডুরান্ড কাপ, আইএসএল (ISL 2024) লিগ-শিল্ডেই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাদের। আইএসএলের ফাইনালে বদলা নিল মুম্বই সিটি এফসি। শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্যাচে মুম্বইয়ের হয়ে একটি করে গোল করলেন জর্জ পেরেইরা দিয়াজ, বিপিন সিং এবং জ্যাকুব ভোজতাস। মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র গোলটি করলেন জেসন কামিন্স। 

    যোগ্য দল মুম্বই

    শনিবার যোগ্য দল হিসাবে জিতেছে মুম্বই। দুই অর্ধেই তাদের দাপট ছিল। ম্যাচের বেশির ভাগ সময়ে বল নিয়ন্ত্রণ করেছে তারাই। নিখুঁত পরিকল্পনামাফিক ফুটবল খেলেছে। এক দিকে যেমন একের পর এক আক্রমণ শাণিয়েছে শুভাশিস বসুর দিক থেকে, তেমনই অকেজো করে দেওয়া হয়েছে জনি কাউকোকে। খেলতে পারেননি দিমিত্রি পেত্রাতোস বা লিস্টন কোলাসোরাও। লিগ-শিল্ডের ম্যাচে যে খেলা মোহনবাগান খেলেছিল, তার ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না এ দিন। দেখা গেল অন্য মুম্বইকে। 

    মুম্বইয়ের দাপট

    মোহনবাগান দল প্রথম থেকে গোলের সুযোগ পায়। তারা ৪১ মিনিটে একটি আক্রমণ করে। লিস্টন কোলাসো আক্রমণ শানান, কিন্তু আটকে যান। এরপর ৪৩ মিনিটে আক্রমণ করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। দূরপাল্লার শট নেন তিনি। বলটা মুম্বইয়ের গোলরক্ষক ফুরবা। কিন্তু তাঁর হাতে লাগায় বলটা চলে যায় কামিন্সের কাছে। আর তিনি সেটা থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ম্যাচের প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও ৫৩ মিনিটে মুম্বই সিটি এফসি সমতা ফেরায়। বাগানের ডিফেন্ডারদের অনেকটাই ক্লান্ত দেখায় এদিন। শুভশিস, হেক্টর সকলেই মুম্বইকে যথেষ্ট জায়গা ছেড়ে দিয়েছে।

    মোহনবাগান সমর্থকদের এদিন আবারও কাঁদালেন মুম্বই সিটি এফসির বিপিন সিং। ২০২০-২১ মরশুমে তিনি বাগানের ট্রফি জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এবারও ম্যাচের ৮১ মিনিটে তাঁর পা থেকেই বেরিয়ে আসে দুর্দান্ত একটা গোল। একেবারে শেষ বেলায় বাগানের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতলেন জ্যাকুব ইয়াকুবু। ৯০+৭ মিনিটে জ্যাকুবের গোল যে মোহনবাগানের লজ্জা বাড়াল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বাগানের রক্ষণের কারণে এই ফাইনাল ম্যাচটা মেরিনার্সদের হাতছাড়া করতে হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL Final 2024: বদলার লড়াই মুম্বইয়ের, আজ যুবভারতীতে ত্রিমুকুটে নজর মোহনবাগানের

    ISL Final 2024: বদলার লড়াই মুম্বইয়ের, আজ যুবভারতীতে ত্রিমুকুটে নজর মোহনবাগানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএলে (ISL Final 2024) লিগ-শিল্ড জিতেছে মোহনবাগান। এবার খেতাব জিততে পারলে ষোলকলা পূর্ণ হবে সবুজ-মেরুন শিবিরের। যুবভারতীতে মোট ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে নামা মানে মানসিকভাবে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া। দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু থেকে গোলমেশিন দিমিত্রি পেত্রাতোসও সমর্থকদের কথা বললেন। জানালেন অনুরাগীদের জন্যই ভাল খেলতে হবে। ২০২৪ সালে মুম্বইয়ের সঙ্গে একবারই খেলেছে মোহনবাগান। সেই ম্যাচে ২-১ গোলে জেতে মোহনবাগান। ২০২৩ সালে দুইবার মুখোমুখি খেলেছিল এই দল। দুটি ম্যাচই ২-১ ও ১-০ গোলে জিতে মুম্বই। ২০২২ সালেও দুইবার মুখোমুখি খেলেছে এই দুই দল। দুটি ম্যাচই স্কোর ড্র হয়। এবার খেতাবি লড়াই।

    সমর্থকরা মনোবল বাগানের

    মোহনবাগান (Mohun Bagan vs Mumbai City) ফুটবলাররা নিজেদের মাঠে নামছেন বলে বাড়তি চাঙ্গা। মুম্বই দলের খেলোয়াড়রা মাঠে নেমে বাজিমাতের অপেক্ষায়। বিপক্ষ দল নিয়ে অবশ্য সমীহের সুর মোহন ফুটবলারদের মুখে। দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু বলেন, “ওরা ফাইনালে উঠেছে, ভাল দল বলেই। তবে আমরা আমাদের ছক অনুযায়ী খেলব। আমাদের লক্ষ্য হল ট্রফি। এত সমর্থকের সামনে খেলতে নামলেই আমরা চাঙ্গা হয়ে উঠি। সমর্থকদের জন্যই আমাদের ভাল খেলতে হবে।” অনুরাগীদের ভালবাসার কথা তুলে ধরেন, সবুজ-মেরুনের গোলমেশিন দিমিত্রি পেত্রাতোস। তাঁর কথায়, ‘‘ কলকাতার সমর্থকদের ভালবাসা অন্যরকম, অনেক বেশি আবেগ। আমি এত দেশে খেলেছি, তাই পার্থক্যটা বুঝতে পারি।’’ কোচ হাবাসের প্রশংসা করে শুভাশিস বলেন, “হাবাস স্যার আছে মানে আমরা কাপ জিতব। ওঁর যা কৌশল, সেটি সবাই আমরা বুঝতে পারি। ওই কৌশলে আমাদের খেলাও ভাল হয়। উনি আমাদের দলকে বদলে দিয়েছেন। ট্রফি জিতে আমরা কোচ ও সমর্থকদের উৎসর্গ করব।”

    বদলার ম্যাচ মুম্বইয়ের

    মোহনবাগান (Mohun Bagan vs Mumbai City) এসজি-র বিরুদ্ধে আইএসএলের লিগের শেষ ম্যাচ হেরে শিল্ড জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মুম্বই সিটি এফসি-র। সেই ধাক্কা কাটিয়ে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ এফসি গোয়াকে দুই লেগেই হারিয়ে ফাইনালে ওঠে মুম্বই। ফাইনালে ফের তারা মুখোমুখি মোহনবাগানের। আবার সেই যুবভারতীতেই ফাইনাল খেলতে হবে মুম্বইকে। এই মাঠেই তো লিগ শিল্ড হাতছাড়া করেছিল আর সাগরের পারের টিম। তবে এবার ফাইনালে বাগানকে হারিয়ে লিগ শিল্ডের বদলা নিতে মরিয়া মুম্বই সিটি এফসি। জয়ের জন্য মরিয়া থাকলেও, মোহনবাগানকে সমীহ করে মুম্বই কোচ ক্রাটকি বলেন, ‘মোহনবাগান ভালো দল। গোটা ম্যাচেই আক্রমণ এবং রক্ষণে নিখুঁত থাকতে হবে। তবে আমি আর আমার দলের খেলোয়াড়েরা শান্ত রাখছি। কোনও চাপ নেই দলে। আমি জানি ফুটবলারেরা কী করতে পারে।’

    আরও পড়ুন: বোলারদের দিনে ৪ উইকেট নিয়ে জবাব স্টার্কের, এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে জয় কলকাতার

    কখন দেখবেন

    আজ, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে যুবভারতীতে ভারত সেরার দৌড়ে নামেব মোহনবাগান ও মুম্বই সিটি। টেলিভিশনে আইএসএলের ম্যাচ সরাসরি দেখানো হয় স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে। তা ছাড়া জিয়ো সিনেম্যা অ্যাপেও খেলা দেখা যায়। কিন্তু শনিবারের ফাইনাল আরও একটি চ্যানেলে দেখানো হবে। বাঙালি দর্শকদের কথা মাথায় রেখে কালার্স বাংলা সিনেমা চ্যানেলেও সরাসরি দেখানো হবে আইএসএলের ফাইনাল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • IPL 2024: বোলারদের দিনে ৪ উইকেট নিয়ে জবাব স্টার্কের, এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে জয় কলকাতার

    IPL 2024: বোলারদের দিনে ৪ উইকেট নিয়ে জবাব স্টার্কের, এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে জয় কলকাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে জয়ের খরা কাটল কলকাতার। ১২ বছর পরে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১২ আইপিএলে এক বারই গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছিল নাইটরা। সেই রাত ফিরে এল, এখন মাঠে নয় ডাগ আউটে বসে গৌতম গম্ভীর। ম্যাচ শেষে নাইট মেন্টরের মুখে তৃপ্তির হাসি। তৃপ্ত ২০১২তে ম্যাচ জেতানোর নায়ক সুনীল নারিন। সে বার ৪ উইকেট নিয়েছিলেন নারিন। এবার ৪ উইকেট নিলেন চলতি আইপিএলে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার মিচেল স্টার্ক। 

    ম্যাচ আপডেট

    টসে জিতে শুক্রবার প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লাগে। ১৬৯ রানে কলকাতাকে বেঁধে ফেলে জসপ্রীত বুমরারা ৷ কলকাতার ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ৷ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে ৪২ রান করেন মনীশ পাণ্ডে ৷ পালটা রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের একমাত্র সূর্যকুমারের ব্যাট চলে ৷ ৫৬ রান করে আউট হন স্কাই ৷ আর ২৪ রান করেন টিম ডেভিড ৷ বাকি টপ থেকে মিডল ও টেল-এন্ডার ব্যাটারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অবদান ১৩ রান ৷ কলকাতার হয়ে এদিন সফল বোলার স্টার্ক। ৩.৫ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। ৪ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিন। ৩০ রান দিয়ে রাসেলও নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৮.৫ ওভারে ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২৪ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফের একেবারে কাছে পৌঁছে যায় কেকেআর। 

    সফল স্টার্ক

    বিশ্বকাপের সফল বোলার কেকেআর-এর হয়ে সব সমালোচনার জবাব দিলেন মিচেল স্টার্ক। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে কেনা মিচেল স্টার্ক টুর্নামেন্টের শুরুতে একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। সেই স্টার্ককে শুক্রবার রাতে পাওয়া গেল অন্য রকম ফর্মে। ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে গড়ে ফেললেন এক অনন্য নজির। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইতিহাসে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যেসব বোলাররা এক ম্যাচে চার বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন তাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করালেন স্টার্ক। স্টার্ক‌ ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন আর মাত্র দুই জন। একজন সুনীল নারিন। যিনি আবার এই তালিকায় দু’বার জায়গা পেয়েছেন। অপর জন জনপ্রিয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এদিন গ্যালারি থেকে স্বামী স্টার্কের প্রত্যাবর্তন দেখলেন স্ত্রী তথা অজি মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি৷ 

    প্লে অফের পথে কলকাতা

    শুক্রবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠে, তাদের হারিয়েই প্লে-অফের রাস্তা একেবারে মজবুত করে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ১৪। রাজস্থানের ঘাড়েই এবার নিঃশ্বাস ফেলছে কেকেআর। ১০টির মধ্যে ৭টিতে জিতেছে কলকাতার দল। তিনটি ম্যাচে তারা হেরেছে। পয়েন্ট টেবলের দুই নম্বরেই রয়েছে নাইটরা। শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন দলের নেট রানরেট +১.০৯৮। এক নম্বর জায়গা ধরে রেখেছেন সঞ্জু স্যামসনরা। ১০ ম্যাচ খেলে আটটিতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রাজস্থান। দু’টি ম্যাচ হেরেছে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষস্থানের দখল রেখেছে সঞ্জুর দল। তাদের নেট রানরেট +০.৬২২। একই সঙ্গে এদিন ম্যাচ হেরে আইপিএল থেকে বিদায়ের ঘণ্টা প্রায় নিশ্চিত হার্দিকের মুম্বইয়ের। 


    দুই দলই অল আউট

    চলতি আইপিএলে যেন প্রতি ম্যাচেই রান‌ বন্যার সাক্ষী থেকেছেন দর্শকেরা। এক এক ম্যাচে তৈরি হয়েছে এক একটি ব্যাটিং রেকর্ড। প্রতি ম্যাচেই বোলারদের কপালে জুটেছে বেদম পেটানি। উল্টো ছবি দেখা গেল কেকেআর বনাম মুম্বই ম্যাচে। এদিন অল আউট হয়েছে দুই দল। ১৭ বছরের আইপিএল ইতিহাসে মাত্র চারটি ম্যাচে দুই দলই অল আউট হয়ে গিয়েছে। প্রথমবার এই ঘটনা ঘটেছিল আইপিএল শুরুর বছর দুই পরে। ২০১০ সালে এই ঘটনা প্রথম ঘটে নাগপুরে দিল্লি বনাম রাজস্থান ম্যাচে। দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে প্রথম ঘটনার ৭ বছর বাদে। ২০১৭ সালে এই ঘটনা ঘটেছিল কলকাতাতে নাইট রাইডার্স বনাম আরিসিবি ম্যাচে। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে এই ঘটনা ফের ঘটে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচে। তালিকায় সর্বশেষ জায়গা করে নিল ২০২৪ সালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই বনাম কলকাতার ম্যাচটি।

    কী বললেন অধিনায়করা

    এদিন ম্যাচে হেরে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন মুম্বই দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ম্যাচের পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি বলতে চাই যে, ব্যাটিং ইনিংসে আমরা পার্টনারশিপ গড়তে পারিনি এবং পরপর উইকেট হারাচ্ছিলাম, টি-টোয়েন্টিতে আপনি যদি পার্টনারশিপ না করেন, তাহলে আপনার ক্ষতি হবেই।’ ম্যাচ শেষে তৃপ্ত নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘আমরা আপাতত প্লে-অফের দরজায় রয়েছি। এই ম্যাচে অনেক কিছুই মাথায় ঘুরছিল। হারলে কী হতে পারে, এসবও ঘুরছিল। এক যুগ পর এখানে জিতলাম, এই পরিসংখ্যান আমার জানা ছিল না।’ আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মেরও প্রশংসা শোনা যায় শ্রেয়সের কথায়। এদিন ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ের সামনে পড়েছিল কেকেআর। মণীশ পান্ডেকে ইমপ্যাক্টে নামানো হয়। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মণীশ পান্ডে জুটিতে ৮৩ রান যোগ হয়। কেকেআর ইনিংসে সেটাই টার্নিং পয়েন্ট। শ্রেয়সের কথায়, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম এই ম্যাচে আমাদের দারুণ ভাবে সাহায্য করেছে। প্রথম ম্যাচ থেকেই মণীশ সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ওর জন্যই লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছতে পেরেছি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • T20 World Cup 2024:  চার স্পিনার তাই বাদ! বিশ্বকাপের দলে রিঙুকুর না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করলেন আগরকর

    T20 World Cup 2024:  চার স্পিনার তাই বাদ! বিশ্বকাপের দলে রিঙুকুর না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করলেন আগরকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক এক মাস পরেই শুরু হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024)। আইসিসির এই মেগা টুর্নামেন্টের জন্য ইতিমধ্যেই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারত। বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছেন সাম্প্রতিক কালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক প্লেয়ার রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। বৃহস্পতিবার বিসিসিআই-এর তরফে এ নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বকাপের দল থেকে রিঙ্কুর বাদ পড়ার কারণ ব্যাখা করলেন জাতীয় নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। টিম কম্বিনেশনের জন্যই বাদ যেতে হয়েছে রিঙ্কুকে (Rinku Singh) দাবি আগরকরের।

    কেন বাদ রিঙ্কু

    রিঙ্কু সিংকে (Rinku Singh) কেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) মূল দলে রাখা হয়নি? তা নিয়ে যুক্তি সাজানোর চেষ্টা করলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং ভারতের প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর। বৃহস্পতিবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে আগরকর দাবি করেন, রিঙ্কুকে মূল দলের বাইরে রাখার যে সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে, সেটা সম্ভবত কঠিন কাজ ছিল। রিঙ্কু এমন কোনও কাজ করেননি, যে কারণে তাঁকে দলে রাখা হবে না। কিন্তু দলের কম্বিনেশনের কথা ভেবে রিঙ্কুকে ১৫ জনের দলে রাখা যায়নি বলে দাবি করেন আগরকরের। তিনি বলেন,   ‘খুব কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে আমাদের। এতে রিঙ্কুর কোনও হাত নেই। স্রেফ কম্বিনেশনের দিকে তাকিয়ে এটা করা হয়েছে। রোহিত বাড়তি স্পিনার চেয়েছিল। যাতে দু’জন রিস্ট স্পিনার থাকে। রিঙ্কুকে রিজার্ভে রাখা হয়েছে। ও কাছাকাছি থাকবে।’

    রিঙ্কুর বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন

    ভারতের বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) দল ঘোষণা করার কয়েক দিন আগে থেকে বিশেষজ্ঞেরা নিজেদের মতো করে দল নির্বাচন করছিলেন। এমন এক জনকেও চোখে পড়েনি, যিনি নিজের দল থেকে রিঙ্কুকে বাদ দিয়েছেন। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ও আমেরিকায় আয়োজিত বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা যাবে আলিগড়ের ছেলেকে। কিন্তু তা হয়নি। শিবম দুবের কাছে হেরে গিয়েছেন রিঙ্কু। আইপিএল শুরু হওয়ার আগে ভারতের নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, যে হেতু বিশ্বকাপের আগে ভারত আর কোনও সিরিজ় খেলবে না, তাই আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখেই দল তৈরি হবে। রিঙ্কুর আইপিএলের পারফরম্যান্স এ বার রিঙ্কুচিত হয়নি। এ বার রিঙ্কু আটটি ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন। ১২৩ রান করেছেন তিনি। কিন্তু এবার রিঙ্কু বেশির ভাগ ম্যাচেই শেষ দিকে কয়েকটি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন। গত বার অনেক বেশি ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। 

    বিশ্বকাপে ভারতীয় দল নির্বাচনের সমালোচনা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। তিনি বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিল রিঙ্কু। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ২২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে ২১২ রান করেছিল ভারত। রোহিত শতরান করেছিল। ওকে গোটা ইনিংস জুড়ে সঙ্গ দিয়েছিল রিঙ্কু। সেগুলো কি নির্বাচকদের চোখে পড়েনি? খুব খারাপ একটা দল হয়েছে। চার জন স্পিনারের কী দরকার? চার জনকেই তো খেলানো যাবে না। কয়েক জনকে খুশি করার জন্য এই দল নির্বাচন করা হয়েছে। জঘন্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup: জায়গা হল না গিল, রিঙ্কুর! কাম ব্যাক পন্থ-হার্দিকের, টি-২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দল ঘোষিত

    T20 World Cup: জায়গা হল না গিল, রিঙ্কুর! কাম ব্যাক পন্থ-হার্দিকের, টি-২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দল ঘোষিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান। অবশেষে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) স্কোয়াড ঘোষণা করে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দলে একঝাঁক চমক রয়েছে। আমেদাবাদে বোর্ডের দল নির্বাচনী বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহ, নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। বৈঠকে দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্সকে যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা বোঝা যায়।  ১৫ জনের মূল স্কোয়াডে জায়গা হল না রিঙ্কু সিংয়ের। সুযোগ পেলেন না শুভমন গিলের মতো তারকা ওপেনার। বাদ পড়লেন অভিজ্ঞ লোকেশ রাহুল। দলে ফিরলেন ঋষভ পন্থ, হার্দিক পান্ডিয়া।

    বিরাট ভরসা রোহিতের

    রোহিত শর্মার জন্মদিনের দিনেই ভারতীয় দল ঘোষণা করল বোর্ড। ২ জুন থেকে শুরু এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup)। আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে হবে সেই প্রতিযোগিতা। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে খেলবে ভারত। ১৫ জনের দলে রয়েছেন বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেরা। রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়ালের মতো তরুণ ক্রিকেটারেরা। ১৬ মাস পর ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঋষভ পন্থের। এ বারের আইপিএলে ফর্মে রয়েছেন বিরাট। সব থেকে বেশি রান তাঁর ব্যাট থেকেই এসেছে। বিরাটকে দলে চেয়েছিলেন রোহিতও। তাই তাঁকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

    আরও পড়ুন: ইডেনে সৌরভের দিল্লিকে হারিয়ে জয়ী শাহরুখের কেকেআর, প্লে-অফের আরও কাছে নাইটরা

    সহ অধিনায়ক হার্দিক

    ভারতীয় দলে (Team India) রয়েছেন টি-টোয়েন্টি (T20 World Cup) ক্রমতালিকায় এক নম্বরে থাকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। উইকেটরক্ষক হিসাবে দলে জায়গা হল পন্থের। সেই সঙ্গে দলে রয়েছেন সঞ্জু স্যামসনও। আইপিএলে ভাল খেলে ভারতীয় দলে জায়গা করে নিলেন তিনি। হার্দিকের ওপর ভরসা রেখেছে বোর্ড। তাঁকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের এ-গ্রুপে রয়েছে। যুগ্ম আয়োজক আমেরিকার সঙ্গে এই গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তান, কানাডা ও আয়ারল্যান্ড। ভারত তাদের চারটি গ্রুপ ম্যাচই খেলবে আমেরিকায়।  ভারত পাকিস্তান ম্যাচ রয়েছে ৯ জুন।

    পুরো টিম: রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ (কিপার), সঞ্জু স্যামসন (কিপার), হার্দিক পান্ডিয়া (ভাইস ক্যাপ্টেন), শিবম দুবে, রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, অর্শদীপ সিং, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ।

    রিজার্ভ: শুভমন গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ, আবেশ খান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL 2024: চার ম্যাচ সাসপেন্ড সাদিকু! ফাইনালে চিন্তায় মোহন শিবির, হাবাসের চোখ কাপে

    ISL 2024: চার ম্যাচ সাসপেন্ড সাদিকু! ফাইনালে চিন্তায় মোহন শিবির, হাবাসের চোখ কাপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্মান্দো সাদিকু-কে ছাড়াই আইএসএল ফাইনালে (ISL 2024) দল গড়তে হবে আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস-কে। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের দ্বৈরথে ৬৭ মিনিটে লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ) দেখেছিলেন সাদিকু। রবিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচেও খেলেননি তিনি। সোমবার সাদিকু-কে চার ম্যাচ নির্বাসিত করল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। তাঁকে ছাড়াই ফাইনালে নামতে হবে মোহনবাগানকে।

    সাদিকুর অভাব

    চলতি আইএসএলে  (ISL 2024) দেখা গিয়েছে হাবাস প্রায়শই সাদিকুকে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামিয়ে বাজিমাত করেছেন। কখনও তিনি মনবীর সিং, কিংবা লিস্টন কোলাসোকে তুলে নামিয়েছেন আলবানিয়ার স্ট্রাইকারকে। সাদিকু না থাকায় তাই কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হবে হাবাসকে। অনেক সমর্থক আবার মনে করছেন, সাদিকু মোহনবাগানের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তাঁকে সামনের মরশুমে আর রাখবে না দল কর্তৃপক্ষ। সাদিকু এবার বহু ম্যাচে গোল করে দলকে উদ্ধার করলেও তাঁর সার্বিক পারফরম্যান্স ভাল নয়। তাই কামিন্স ও দিমিত্রিকে রেখে দিলেও সাদিকু বাতিল হতে পারেন। 

    ফাইনাল প্রসঙ্গে 

    ওড়িশাকে হারিয়ে সরাসরি আইএসএল ফাইনালে (ISL 2024) উঠেছে সবুজ-মেরুন। মোহনবাগান লিগ শিল্ড জয় করার ফলে ফাইনাল ম্যাচ হবে যুবভারতীতেই। কলকাতায় ঘরের মাঠে ফাইনাল হচ্ছে বলে উচ্ছ্বসিত কামিংস। তিনি বলেন,‘‘নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলার অনুভূতিই আলাদা। ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধে পাব আমরা।’’ সেমির আর এক নায়ক সাহাল আব্দুল সামাদের কথায়, ‘‘সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে চলেছি আমরা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ে জন্য তৈরি।’’ শনিবার দশম আইএসএলের ফাইনালে যুবভারতীতে থাকতে পারেন নীতা অম্বানী। 

    আরও পড়ুন: গরমে ৪৪ বছরের রেকর্ড ভাঙল কলকাতা! চাতক পাখির মতো বৃষ্টির অপেক্ষায় বাংলা

    কী ভাবছেন স্যার হাবাস

    কলকাতায় খুব গরম। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে যুবভারতীতে হাল্কা অনুশীলন করেন মনবীর সিংরা। হাবাস জানালেন, টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তিই প্রধান চিন্তা তাঁর। এই কারণেই ফুটবলারদের এক দিন বিশ্রাম দিয়ে বুধবার থেকে ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-কে হারানোর প্রস্তুতি শুরু করবেন তিনি। ফাইনাল নিয়ে হাবাস বলেন, ‘‘দলের মানসিক শক্তি দুর্দান্ত বলেই এখানে পৌঁছেছি। ছেলেদের উপরে পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বিশ্বাস করি, আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা আমাদের রয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IPL 2024: ইডেনে সৌরভের দিল্লিকে হারিয়ে জয়ী শাহরুখের কেকেআর, প্লে-অফের আরও কাছে নাইটরা

    IPL 2024: ইডেনে সৌরভের দিল্লিকে হারিয়ে জয়ী শাহরুখের কেকেআর, প্লে-অফের আরও কাছে নাইটরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেনা ইডেনে, অচেনা সৌরভ। ঘরের মাঠে অন্ধকারে মুখ ঢাকলেন ঘরের ছেলে। সময় বদলেছে। নয়া প্রজন্মের ইডেনে সৌরভ আবেগ হলেও, উন্মাদনা কেকেআর। আইপিএল- ক্রিকেট ও বিনোদনের ককটেলে দিল্লির থেকে কয়েক কদম এগিয়ে কলকাতা। এই সত্যটা হয়তো নিজেও জানেন কলকাতার দাদা। চলতি আইপিএল-এ (IPL 2024) কেকেআর-এর দাদাগিরি বারবার দেখেছে ইডেন। তাই রাজস্থান বা পাঞ্জাবের কাছে অবিশ্বাস্য ভাবে হারের পরও ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে দূরে ঠেলে গ্যালারি ভরায় শহরের ক্রিকেট অনুরাগীরা। দিন হোক বা রাত কেকেআর-এর হয়ে গলা ফাটায় ইডেন। আর দাদার ইডেনে হাসিমুখে বিচরণ করেন বাদশা।

    শুরু থেকেই পিছিয়ে দিল্লি

    সোমবার টসে জিতে ব্যাটিং নেয় দিল্লি (IPL 2024)। এখানেই ম্যাচে অনেকটা পিছিয়ে যায় দিল্লি। সৌরভের চেনা ইডেনে পন্থের এই সিদ্ধান্ত অবাক করে সকলকেই। শুরুতেই উইকেট তুলে এদিন দিল্লিকে ধাক্কা দিয়েছিলেন বৈভব আরোরা। পৃথ্বী শ ও শাই হোপকে আউট করে দিল্লির রানের গতি আটকে দেন তিনি। এরপর শুরু হয় বরুণ ‘বর্ষণ’। সোমবার কলকাতার সব থেকে সফল বোলার বরুণ। তিনটি উইকেট নেন তিনি। ঋষভ পন্থ, ট্রিস্টান স্টাবস এবং কুমার কুশাগ্রকে আউট করেন বরুণ। দ্রুত দিল্লির মিডল অর্ডারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেওয়ার ফলে আর বড় স্কোর খাড়া করতে পারেনি রাজধানীর দল। বরুণ চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দেন। দুটো উইকেট নেন হর্ষিত রানা। এ বারের আইপিএলে রানের সুনামি উঠছে প্রতি ম্যাচে। ইডেনে সবচেয়ে কম স্কোর করল দিল্লি। ১৫৪ টার্গেট দিয়ে এই আইপিএলে ম্যাচ জেতা যায় না।

    প্লে-অফের পথে নাইটরা

    দিল্লিকে (IPL 2024) অল্প রানে আটকে রাখার পর দ্রুত রান তোলে কেকেআর। সেই কাজটাই করলেন সল্ট। ৩৩ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। পাঁচটি ছক্কা এবং সাতটি চার মারেন সল্ট। ৫ রানের মাথায় খলিলের বলে সল্টের ক্যাচ মিস করলেন লিজাড উইলিয়ামস। তার খেসারত দিতে হল। নারিন (১৫) এই ম্যাচে পারলেন না। ২১ বল বাকি থাকতে দুই আইয়ার, শ্রেয়স ও ভেঙ্কটেশ বাকি কাজটা সেরে ফেললেন। শ্রেয়স করলেন ৩৩, বেঙ্কটেশ ২৬। চেনা ইডেন গার্ডেন্স থেকে খালি হাতে ফিরতে হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে জয়ে ফিরল শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেনে ৯ ম্যাচে ৬টিতে জয় নাইটদের। ১২ নিয়ে পয়েন্ট টেবলের দুইয়ে। প্লে-অফের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল গম্ভীরের টিম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISL 2024: সমর্থকদের কুর্নিশ হাবাসের, ওড়িশাকে হারিয়ে আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান

    ISL 2024: সমর্থকদের কুর্নিশ হাবাসের, ওড়িশাকে হারিয়ে আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে অপরাজেয় মোহনবাগান (ISL 2024)। সোজাসুজি আইএসএল সেমিফাইনালে ফিরতি লেগের ম্যাচে রবিবার যুবভারতীতে ওড়িশাকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল মোহনবাগান। সমর্থকদের আনন্দে ভেসে আইএসএল ফাইনালে চলে গেল সবুজ মেরুন। এবার ট্রফি জয়ের অপেক্ষা। জেসন কামিংস এবং সাহাল আব্দুল সামাদ গোল করলেন। দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ জিতে ফাইনালে উঠে গেল হাবাসের ছাত্ররা। প্রথম পর্বে তারা হেরেছিল ১-২ গোলে।

    ম্যাচে মেহনবাগান

    এদিন ঘরের মাঠে ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে প্রাধান্য বেশি ছিল মোহনবাগানেরই (ISL 2024)। দিমিত্রি পেত্রাতোসের পাশাপাশি কামিংসকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। কামিংস গোল করে আস্থার দাম রেখেছেন। চোট সারিয়ে দীর্ঘ দিন পরে নেমে গোল করেছেন সাহালও। এদিন ২২ মিনিটে গোলের দরজা খুলে দেন বাগানের অজি স্ট্রাইকার জেসন কামিন্স। বক্সের বাইরে থেকে প্রতিপক্ষের দূর্গ লক্ষ্য করে একটা শট নিয়েছিলেন পেত্রাতোস। কিন্তু, অমরিন্দরের কাছে তা প্রতিহত হয়। বাগানের ভাগ্য ভালো যে অমরিন্দর বলটা তালুবন্দি করতে পারেননি। তিনি ঠেলে সামনের দিকে পাঠিয়ে দেন। ফিরতি শটে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন কামিংস। এরপর আক্রমণ বাড়াতে থআকে ওড়িশা। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ফের আক্রমণের ঝড় ওঠে। ৭১ মিনিটে অনিরূদ্ধ থাপার পরিবর্তে মাঠে নামলেন আবদুল সাহাল। হাবাস যেন কোনওক্রমে ম্যাচটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে চাইছিলেন। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর আরও ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ৯৩ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করলেন সাহাল আবদুল সামাদ। 

    সাহালের স্বপ্ন

    জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন। সেই চোট সারতে লেগে গেল প্রায় তিনটে মাস। অপেক্ষা ছিল কবে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন তিনি। মাঠে তো নামলেনই, গোল করে মোহনবাগানকে আইএসএলের ফাইনালে তুলে দিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। ম্যাচের পর সাহাল বলেন, “মাঠে নেমে যে ভাবেই হোক দলকে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কোচ বলেছিলেন, বুদ্ধি দিয়ে খেলো। মাঠে খোলা মনে থাকো। কোনও রকম চাপ মাথার মধ্যে নেবে না। আমি সেটাই করেছি। এত দিন ধরে এই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আমাকে। চোট-আঘাত ফুটবলেরই অংশ। আমি ধৈর্য রেখেছিলাম। কঠোর পরিশ্রম করেছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমরা ফাইনালে উঠেছি।” সাহাল বলেন, “মাঠে আসার পর একটাই লক্ষ্য ছিল, বক্সের মধ্যে যতটা সম্ভব থেকে সুযোগের অপেক্ষা করা। মনবীর অসাধারণ খেলেছে। আমার নয়, ওটা ওর গোল। আমরা একটা দল হিসাবে খেলি। এটা দলেরই গোল।”

    আরও পড়ুন: আগামী তিন দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কী বলছে আলিপুর?

    তৃপ্ত হাবাস

    লিগ-শিল্ড (ISL 2024) আগেই জিতেছিল সবুজ-মেরুন। এ বার ফাইনাল জিতে ‘ডাবল’ করার সুযোগ তাদের সামনে। ম্যাচের পর তৃপ্ত স্যার হাবাস। সেমিফাইনালে পরিকল্পনা কী ছিল? হাবাসের সাফ জবাব, “আমি আর আমার দল হারার আগে হারতে জানে না। ৯০ মিনিট লড়াই করতে হবে এই বার্তা দিয়েছিলাম দলকে। দল সেটা করে দেখিয়েছে। দ্রুত সম্ভব গোল করার লক্ষ্য নিয়েই আমরা নেমেছিলাম। কিন্তু ম্যাচটা অনেক লম্বা হবে, এই আশঙ্কাও ছিল। শারীরিক ভাবে আমরা অনেক ভাল জায়গায় ছিলাম। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।” 

    রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কানায় কানায় পূর্ণ ছিল যুবভারতী। শিল্ড জয়ের দিন ৬১,৭৭৭ আর সেমিফাইনালে সেটাও ছাপিয়ে গিয়ে যুবভারতী গর্জন শুনল ৬২,০০৭ সমর্থকের। তারও ভুয়সী প্রশংসা শোনা গেল হাবাসের গলায়। জানালেন, “সমর্থকদের গর্জন ফুটবলারদের এনার্জি জুগিয়েছে। বিশ্বাস ছিল আমরা পারব। এত সমর্থক পুরো ম্যাচে আমাদের পাশে থেকেছে। চাপের ম্যাচে এটা অত্যন্ত জরুরি ছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share