Category: Uncategorized

  • Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    Bangladesh: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কালী পুজো! বিক্ষোভ ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করা হল কালী পুজো। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিটি একজন হিন্দু জমিদার দান করেছিলেন। হিন্দু সমাজের মানুষের দেওয়া জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ এখানেই আজ সনাতন ধর্মের কালী পুজোকে (Kali Puja) নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হিন্দু ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মচারীরা। বাংলাদেশে ইউনূসের রাজত্বে হিন্দু ধর্মের মানুষরা যে কতটা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তার আরও একটি বাস্তব চিত্র এই ঘটনা।

    উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে বন্ধ পুজো (Bangladesh)

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়ে (Bangladesh) কালী পুজো বন্ধের নির্দেশের স্বপক্ষে সাফাই গেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে এক ব্যক্তি বলেন, “কালী পুজো (Kali Puja) উত্তর ভারতের সংস্কৃতির অংশ।” কিন্তু এই মন্তব্য ঐতিহাসিক ভাবে বাঙালি সংস্কৃতির পরিপন্থী। এটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক চক্রান্ত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বঙ্গে কালীপুজো হয়ে আসছে। তারা, কালিকা, দুর্গা, উমা, ভগবতী বাঙালির শক্তিরূপা দেবী শক্তির প্রতীক। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই পুজো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্র এবং অধ্যাপকদের মত খুব স্পষ্ট। হিন্দু সমাজকে নিপীড়ন করতে প্রশাসন পুজো বন্ধ করেছে। ঢাকার বুকেই যদি পুজো বন্ধ হয়, তাহলে দেশজুড়ে কী হবে? সেই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে বাংলাদেশজুড়ে।

    সামাজিক মাধ্যমেও আন্দোলন

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “এটা হৃদয়বিদারক ঘটনা। হিন্দু দানশীল ব্যক্তিরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়ে গিয়েছেন, এখন বর্তমান প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের লোকেরা কালীপুজো বন্ধ করেছেন। এটা কোন ধরনের ধর্ম নিরপেক্ষতা? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কেন্দ্রীয় উপাসনালয়ের আবেদন জানিয়ে একটি মন্দির স্থাপনের আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতেও সম্মতি মেলেনি। ফলে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে বৈচিত্র্যময় কাঠামোকে ভেঙে ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীরা হ্যাসট্যাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কালী পুজোর (Kali Puja) মতো অভিযান শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই হিন্দু সমাজের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সব জেনেশুনেও ইউনূস প্রশাসন (Bangladesh) চুপ!

  • Ramakrishna 483: “স্বপনে কিছু দেখ? আগুন-শিখা, মশালের আলো? সধবা মেয়ে? শ্মশান-মশান?”

    Ramakrishna 483: “স্বপনে কিছু দেখ? আগুন-শিখা, মশালের আলো? সধবা মেয়ে? শ্মশান-মশান?”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    কামিনী-কাঞ্চন ও তীব্র বৈরাগ্য

    পরিবারের বন্ধন 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) হরির প্রতি—তুই কেন আসিস নাই? তোর পরিবার এসেছে বুঝি?

    আর একটি ছোকরা ভক্ত (পূর্ণ) আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ঠাকুর তাঁহাকে অনেক কষ্টে ডাকাইয়া আনিয়াছেন, বাড়ির লোকেরা কোনও মতে আসিতে দিবেন না। মাস্টার যে বিদ্যালয়ে পড়ান সেই বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে এই ছেলেটি পড়েন। ছেলেটি আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রনাম করিলেন। ঠাকুর নিজের কাছে তাহাকে বসাইয়া আস্তে আস্তে কথা কহিতেছেন — মাস্টার শুধু কাছে বসিয়া আছেন, অন্যান্য ভক্তেরা অন্যমনস্ক হইয়া আছেন। গিরিশ এক পাশে বসিয়া কেশবচরিত পড়িতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ছোকরা ভক্তটির প্রতি)—এখানে এস।

    গিরিশ (মাস্টারের প্রতি)—কে এ ছেলেটি?

    মাস্টার (বিরক্ত হইয়া)—ছেলে আর কে?

    গিরিশ (সহাস্যে)—It needs no ghost to tell me that.

    মাস্টারের ভয় হইয়াছে পাছে পাঁচজন জানিতে পারিলে ছেলের বাড়িতে গোলযোগ হয় আর তাঁহার নামে দোষ হয়। ছেলেটির সঙ্গে ঠাকুরও সেইজন্য আস্তে আস্তে কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সে সব কর?—যা বলে দিছিলাম?

    ছেলেটি—আজ্ঞা, হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—স্বপনে কিছু দেখ?—আগুন-শিখা, মশালের আলো? সধবা মেয়ে?—শ্মশান-মশান? এ-সব দেখা বড় ভাল।

    ছেলেটি—আপনাকে দেখেছি—বসে আছেন—কি বলছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কি—উপদেশ?—কই, একটা বল দেখি।

    ছেলেটি—মনে নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তা হোক,—ও খুব ভাল!—তোমার উন্নতি হবে—আমার উপর তো টান আছে?

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর বলিতেছেন—“কই সেখানে যাবে না?”—অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বরে। ছেলেটি বলিতেছে, “তা বলতে পারি না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন, সেখানে তোমার আত্মীয় কে আছে না?

    ছেলেটি—আজ্ঞা হাঁ, কিন্তু সেখানে যাবার সুবিধা হবে না।

    গিরিশ কেশবচরিত পড়িতেছেন। ব্রাহ্মসমাজের শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য শ্রীযুক্ত কেশব সেনের ওই জীবনচরিত লিখিয়াছেন। ওই পুস্তকে লেখা আছে যে পরমহংসদেব আগে সংসারের উপর বড় বিরক্ত ছিলেন, কিন্তু কেশবের সহিত দেখাশুনা হবার পরে তিনি মত বদলাইয়াছেন — এখন পরমহংসদেব বলেন যে, সংসারেও ধর্ম হয়। এই কথা পড়িয়া কোন কোন ভক্তরা ঠাকুরকে বলিয়াছেন। ভক্তদের ইচ্ছা যে, ত্রৈলোক্যের সঙ্গে আজ এই বিষয় লইয়া কথা হয়। ঠাকুরকে বই পড়িয়া ওই সকল কথা শোনান হইয়াছিল।

    ঠাকুরের অবস্থা—ভক্তসঙ্গ ত্যাগ 

    গিরিশের হাতে বই দেখিয়া ঠাকুর গিরিশ, মাস্টার, রাম ও অন্যান্য ভক্তদের বলিতেছেন — “ওরা ওই নিয়ে আছে, তাই ‘সংসার সংসার’ করছে! — কামিনী-কাঞ্চনের ভিতর রয়েছে। তাঁকে লাভ করলে ও কথা বলে না। ঈশ্বরের আনন্দ পেলে সংসার কাকবিষ্ঠা হয়ে যায়, — আবার মাঝে ভক্তসঙ্গ-ফঙ্গও ত্যাগ করেছিলাম! দেখলুম পট্‌ পট্‌ মরে যায়, আর শুনে ছট্‌ফট্‌ করি! এখন তবু একটু লোক নিয়ে থাকি।”

  • Gujarat: গুজরাট মন্ত্রিসভায় বিরাট রদবদল, বহু নতুন মুখ, মন্ত্রী হলেন ক্রিকেটার জাডেজার স্ত্রী

    Gujarat: গুজরাট মন্ত্রিসভায় বিরাট রদবদল, বহু নতুন মুখ, মন্ত্রী হলেন ক্রিকেটার জাডেজার স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) বিজেপি সরকারের বড়সড় প্রশাসনিক রদবদলে ২৬ জন নতুন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে। মন্ত্রী পদে একাধিক নতুন মুখ উঠে এসেছে। যার মধ্যে বিশেষ চমক রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদেজা। তবে মন্ত্রীপরিষদে এই রদবদলের আগে মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) ছাড়া বাকি সমস্ত মন্ত্রীকে ইস্তফাপত্র দিতে হয়েছিল। ২০২৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এক কৌশলগত রণনীতির প্রয়োগ করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই লাগাতার গুজরাটে একক ভাবে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তাই আগামী নির্বাচনে বিজেপির জয়কে আরও সুনিশ্চিত করতে আড়াই বছরের মাথায় এই রদবদল বিরাট ইঙ্গিত দেবে বলে মনে করেছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

    ২৬ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছেন (Gujarat)

    বৃহস্পতিবার গুজরাট (Gujarat) বিজেপির এক প্রবীণ বিজেপি নেতা সাংবাদিক সম্মলেন করে জানিয়েছিলেন, দুপুরের মধ্যে সমস্ত মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র দেবেন। সেই মতোই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে দফতরও খালি করাও হয়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং নতুন মন্ত্রিসভার নাম সহ তালিকা জমা করেছিলেন। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে গুজরাটের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হর্ষ সাংভি শপথ গ্রহণ করেন।

    নতুন মন্ত্রীসভায় ভুপেন্দ্রের নেতৃত্বে মোট ২৬ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ত্রিকম বিজলি ছাঙ্গা, স্বরূপজি সরদারজি ঠাকোর, প্রভেণকুমার মালি, রুষিকেশ গণেশভাই প্যাটেল, পিসি বারাণ্ডা, দর্শনা এম ভাগেলা, কান্তারতালাল শিবলাল আমরুতিয়া, কুন্বরজি মোহনভাই বাভালিয়া, রিভাবা রবীন্দ্রসিনহ্ জাদেজা, অর্জুনভাই দেবাভাই মোঢ ভাডিয়া, ড. প্রদ্যুমান বাজা, কৌশিক কান্তিভাই ভেজারিয়া, পুরুষোত্তম ও. সোলাঙ্কি এবং জিতেন্দ্রভাই সাভজিভাই ভাগানি।

    এছাড়াও মন্ত্রী সভায় রয়েছেন রামনভাই ভিখাভাই সোলাঙ্কি, কামলেশভাই রমেশভাই প্যাটেল, সঞ্জয়সিনহ্ রাজয়সিনহ্ মাহিদা, রমেশভাই ভুরাভাই কাটারা, মনীষা রাজীবভাই ভাকিল, ঈশ্বরসিনহ্ ঠাকোরভাই প্যাটেল, প্রফুল পন্সেরিয়া, হর্ষ সাংঘভি (উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন), ড. জয়রামভাই চেমাভাই গামিত, নরেশভাই মাগনভাই প্যাটেল এবং কানুভাই মোহনলাল দেশাই। ১৮২ বিধানসভা আসনবিশিষ্ট গুজরাটের সর্বোচ্চ ২৭ জনকে মন্ত্রী করা যায়। আগের মন্ত্রীসভায় মোট ১৭ জন সদস্য ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও আটজন পূর্ণমন্ত্রী এবং আটজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এইবারে সংখ্যাটা বৃদ্ধি হওয়ায় একে সম্প্রসারণই বলা যায়।

    ফের ২০২৭ সালে ক্ষমতায়নের লক্ষ্য

    নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে জাতি ভিত্তিক অঙ্ককেও মাথায় রেখে সমীকরণ করা হয়েছে। গুজরাটের (Gujarat) নতুন মন্ত্রীসভায় আটজন সদস্য ওবিসি তালিকা ভুক্ত। যার মধ্যে ছয়জন গুজরাটের প্রভাবশালী পাটিদারগোষ্ঠীর মানুষ। চারজন আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত, তিনজন তফশিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। মন্ত্রীদের মধ্যে দুজন ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়, একজন ব্রাহ্মণ আর একজন জৈন। গুজরাট বিজেপির পর্যবেক্ষকদের অবশ্য মত নতুন মন্ত্রীসভা গঠনে দল আরও মজবুত হবে। দলের সাংগঠনিক কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে। সরকারের নানা জনমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়ন আরও দ্রুত হবে। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক ভাবে বিজেপির শক্তিকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আরও সুদূরপ্রসারী করতেই দলের এই সিদ্ধান্ত বলে বলে মনে করেছেন বিশেজ্ঞরা।

    রাজনৈতিক ওঠা-পড়া

    গুজরাটে (Gujarat) বিজেপির সাংগঠনিক এবং প্রশাসনিক রদবদল অবশ্য নতুন কিছু নয়। আগেও একাধিকবার পট পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৪ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন আনন্দীবেন প্যাটেল। তিনি অবশ্য পরবর্তী সময়ে উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হন। কিন্তু ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে পদত্যাগপত্র দিলে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন বিজয় রুপাণী। বিজয়ের নেতৃত্বে সেই বছর বিধানসভা নির্বাচন লড়ে বিজেপি। কিন্তু বিজয়কে ২০২১ সালে দলের নির্দেশে নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হন ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) এবং তাঁর নেতৃত্বে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসে। ২০২৭ সালের গুজরাট নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির এই রণকৌশল আরও সাফল্য অর্জন করবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।

  • Bhagat Singh: প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রতীক ছিলেন ভগত সিং, যুবসমাজের আইকন

    Bhagat Singh: প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রতীক ছিলেন ভগত সিং, যুবসমাজের আইকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ সেপ্টেম্বর আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগত সিং (Bhagat Singh)- এর জন্মদিন। আজ সারা দেশজুড়ে এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মজয়ন্তী (Birth Day) পালন করছে। পরাধীন ভারতে তিনি ছিলেন নির্ভীক অকুতোভয়ী এবং অদম্যসাহসী। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে যোগদান করেছিলেন। তাঁকে ঘিরে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল ব্রিটিশ শাসকদের। ফাঁসির মঞ্চে হাসির জয়গান দিয়ে বরণ করেছিলেন মৃত্যু। এই বিপ্লবীর অবদান স্বাধীনতা উত্তর ভারতে আজও অম্লান। ভগত সিং এখন শুধু নাম নয় অনুপ্ররণা।

    প্রত্যক্ষ সংগ্রামকেই একমাত্র শ্রেষ্ঠপথ(Bhagat Singh)

    ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন পশ্চিম পঞ্জাবে জন্মগ্রহণ (Birth Day) করেছিলেন ভগত সিং (Bhagat Singh)। মাত্র ২৩ বছর বয়সে নিজের জীবনকে ভারত মাতার মুক্তির জন্য উৎস্বর্গ করে দিয়েছিলেন। তাঁর সহযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন রাজগুরু ও সুখদেব। তাঁদের ব্রিটিশ বিরোধী কর্মকাণ্ড দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সম্পূর্ণ ভাবে বদলে দিয়েছিল। ১৯৯১ সালে জালিয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকাণ্ড ব্যাপক ভাবে মনে প্রভাব ফেলছিল। যে ভাবে ব্রিটিশ শাসক জেনারেল ডায়ার নিরাপরাধ নারী ও শিশুদের হত্যা করেছিল, তাতে ব্রিটিশ বিরোধী প্রত্যক্ষ সংগ্রামকেই একমাত্র শ্রেষ্ঠপথ বলে মনে করেন ভগত সিং।

    জন সন্ডার্সকে হত্যা করেছিলেন

    ভগত সিং (Bhagat Singh) ভারতকে স্বাধীন করতে হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তাঁর কর্মকাণ্ড অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে ছিল। ব্রিটিশদেরও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন নিজে। তিনি ভালো ভাবেই জানতেন আবেদন-নিবেদন নীতিতে দেশের স্বাধীনতা আসবে না। প্রয়োজন একটি বড় সংগ্রামের। বধির ভারতীয়ের মনে-প্রাণে যাতে সাড়া জেগে ওঠে সেই জন্যই প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অংশ নেন ভগত সিং। তিনি লালা লাজপত রায়কে হত্যার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। প্রতিবাদে ১৯২৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর লাহোর জেলা পুলিশের সদরদফতরের বাইরে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যা করেছিলেন। ১৯২৮ সালের ৮ এপ্রিল বটুকেশ্বর দত্তের সঙ্গে মিলিত হয়ে বিধানসভায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। তিনি বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক বা ইনকিলাব জিন্দাবাদের ধ্বনিও তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সরকার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কাণ্ডারি হিসেবে গ্রেফতার করেছিল। ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ তাঁর ফাঁসি হয়েছিল। তাঁর আত্মবলিদান দেশের জন্য আজও স্মরণীয়।

  • Madras High Court: দাবি ছিল ১১০০ একরের বেশি, মিলল ২.৩৪ একর, মসজিদের সম্পত্তি মামলায় রায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    Madras High Court: দাবি ছিল ১১০০ একরের বেশি, মিলল ২.৩৪ একর, মসজিদের সম্পত্তি মামলায় রায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলিতে ১১০০ একরের বেশি জমির উপর মসজিদের দাবি খারিজ করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court)। উচ্চ আদালত রায়দানের সঙ্গে স্পষ্ট করে জানায়, ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের (Waqf) পূর্ববর্তী নির্দেশ সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। ১৭১২ সালের যে ঐতিহাসিক অনুদান পাওয়া গিয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ ২.৩৪ একর জমি। তাই মসজিদের দাবি খারিজ করে দিয়েছে মাদ্রাজ উচ্চ আদালত।

    মসজিদের অধিকার ২.৩৪ একরে সীমাবদ্ধ (Madras High Court)

    বিচারপতি (Madras High Court) এম.ধান্দাপানির বেঞ্চে ২০১৮ সালে রাজ্য সরকারের দায়ের করা একটি দেওয়ানি মামলার পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায় ঘোষণা করেন। ২০১৬ সালের ১৮ অগাস্টে কান্দিয়াপেরির কান্মিয়া পল্লীভাসালের পক্ষে ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, মসজিদের জন্য ১৭১২ সালে দানকরা সম্পত্তির নথি বৈধ। কিন্তু ১৯৫৫ সালে টিনেভেলি অধস্তন আদালতের অনুমোদন অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, আর তাই দানকৃত জমিতে উল্লিখিত জমির পরিমাণ ৭৫টি কোট্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকারাই কথা। এবার সমসাময়িক জমির পরিমাপ অনুসারে প্রতিটি কোট্টার পরিমাণ মাত্র ০.০৩১২৪ একরের সমান ফলে মসজিদের অধিকার ২.৩৪ একরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

    ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছিল

    হাইকোর্টের (Madras High Court) অতরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল বীর কাঠিরভান বলেন, “২০১১ সালের মামলায় মসজিদ কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃত সমস্ত জমির জরিপ নম্বর ১৯৬৬ সালের তামিলনাড়ু ইনাম আইনের অধীন ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। তবে এই জমির অনেক জমি ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছিল। এমনকি ৩৬২ জন কৃষক নিজেরাই জমিকে চাষের জন্য ব্যবহার পর্যন্ত করেছিলেন।” সুতরাং ওয়াকফের জমি হিসেবে মসজিদের দাবি যে বেআইনি তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।

    আরও কয়েকটি রায়

    উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওয়াকফ (Waqf) মাদ্রসা কাসিমুল উলুম সম্পর্কিত একটা মামলায় একই রকমের রায় প্রদান করেছে। ৭৩ নম্বর জাতীয় সড়কের জমিতে মাদ্রাসা একটি অবৈধ নির্মাণ করেছিল। মাদ্রাসা ওয়াকফের সম্পত্তি হিসেবে দাবি করলে আদালতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারায় বেইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেয় কোর্ট। অপর দিকে রাজস্থান হাইকোর্ট মদিনা জামা মসজিদ সম্পর্কিত একটি মামলায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, ওয়াকফ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কোনও ভাবেই মসজিদের সম্পত্তি ওয়াকফের নয়।

  • Chandranath Sinha: অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ হবে চন্দ্রনাথের! মঙ্গলবারেই কি মন্ত্রীকে হেফাজতে নেবে ইডি?

    Chandranath Sinha: অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ হবে চন্দ্রনাথের! মঙ্গলবারেই কি মন্ত্রীকে হেফাজতে নেবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সওয়াল-জবাবে রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে (Chandranath Sinha) নিজের হেফাজতে নিতে জোর প্রশ্ন করেছেন ইডির আইনজীবীরা। অপর দিকে পাল্টা ইডির আবেদনের বিরোধিতা করে প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রনাথের আইনজীবী। দুই পক্ষের বক্তব্যে বিচারক কি রায় দেবেন এই দিকেই তাকিয়ে এখন উভয় পক্ষ। মন্ত্রীর জামিনের মেয়াদ কি বাড়বে নাকি হেফাজতে পাবে ইডি (Enforcement Directorate)? দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক শুভেন্দু সাহা জানিয়েদেন আগামী মঙ্গলবার দুপুর দুটোর সময় রায় ঘোষণা করবেন।

    তৃণমূলের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মধ্যে হল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। ২০১৬ সালের এসএসসিতে টাকার বিনিময়ে চাকরি বেচার কারণে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সরকার অযোগ্যদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেনি বলেই যোগ্যরাও নিজেদের চাকরি খুইয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি, বারবার উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

    তদন্ত প্রক্রিয়াকে জোরদার করলে আরও তথ্য আসবে (Chandranath Sinha)

    রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha)। তৃণমূলের মন্ত্রীকে হেফাজতে নিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা সাত দিনের জন্য হেফাজতে চাইছি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা এবং মোবাইল পেয়েছিলাম। তদন্ত প্রক্রিয়াকে জোরদার করলে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে। টাকা উদ্ধারের পর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর এখন প্রয়োজন পড়ায় হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। তবে ঠিক মতো তথ্য না নিয়ে গ্রেফতার করলে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা সতর্ক হয়ে পড়বেন আর তাই তখন গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্তে বৃহৎ চক্রের হোদিশ মিলেছে, তাই তথ্যের ভিত্তিতে হেফাজতে চাইছি। একই ভাবে কেবিপি রিয়েলিটি নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ৬ তলা আবাসন নির্মাণ করেছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। ইলামবাজারে আট হাজার বর্গফুটের জায়গা মলের জন্য ভাড়া দিয়েছেন চন্দ্রনাথের স্ত্রী। যদিও স্ত্রী নামে নির্মাণ ব্যবসা চালালেও সবটা সমলাতেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথই।”

    আবাসন প্রকল্পের শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আইনজীবী আদালতে চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে তথ্য জোগাড় করে জানিয়েছে, “বিকে কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থার অর্ধেক পার্টনার মন্ত্রীর স্ত্রী। তবে সংস্থার অপর পার্টনারের দাবি কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। এমন কি কোনও রকম ব্যবসা করেননি বলেও পাওয়া যায়। সংস্থার নামে ৫ ডেসিমেল (পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে ভূমি পরিমাপের জন্য “ডেসিমেল” এককটি ব্যবহৃত হয়। ১ বিঘা জমি আনুমানিক ৬০ ডেসিমেল।) জমি ৭ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। অপর দিকে এই ৭ লক্ষ টাকা, বিকে কনস্ট্রাকশন সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে হিসেবও দেখিয়েছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। কেবিপি রিয়েলটি নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ৬ তলা আবাসন গড়েন মন্ত্রীর স্ত্রী। ওই আবাসন বেচে ২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা লাভ করার কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। আবাসন প্রকল্পের বিনিয়োগ ও জমি কেনার টাকার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের বড়সড় দুর্নীতির (Enforcement Directorate) যোগ থাকারা সম্ভাবনা প্রবল ভাবে রয়েছে। তাই বিষয়ে বিস্তৃত তদন্তের প্রয়োজন।”

    তল্লাশি ও বয়ানের ভিত্তিতে পঞ্চম চার্জশিট

    বিচারপতি শুভেন্দু সাহা ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “তদন্তের সময় নিশ্চিই অনেক তথ্য পেয়েছিলেন, তাহলে বয়ান রেকর্ড কররা ১১ মাস পরে কেন চার্জশিট দিলেন না। অপেক্ষা কিসের জন্য।” পাল্টা উত্তরে ইডির আইনজীবী বলেন, “তল্লাশি এবং বয়ানের ভিত্তিতে পঞ্চম চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে সুপ্রিম কোর্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করার কথা বললে এইদিকে একটু বিলম্ব হয়ে যায়। তবে তদন্ত জোর কদমেই চলছে।”

    ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মন্ত্রী চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তবে ইডির কাছে নিজের আয় সম্পর্কে জানান, সমস্ত আয়ের উৎস কৃষিকাজ। এরপর তদন্তকারী সংস্থা বীরভূমের পাইকরে বীরভূমের কৃষি বিভাগের সহ অধিকর্তার দফতরে তল্লাশি চালায়। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। যদিও ওই দিনেই রাজ্যের কারামন্ত্রীকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিতে চেয়েছিল ইডি, কিন্তু অন্তর্বর্তী জামিন মেলায় ইডি হেফাজতে পায়নি। এদিকে আদালতে ইডির আইনজীবীর বক্তব্যকে বিরোধিতা করে চন্দ্রনাথ সিনহার আইনজীবীর দাবি, “তদন্তের (Enforcement Directorate) জন্য হেফাজতের প্রয়োজন কী? চার্জশিট জমা পড়েছে তাই পেছনদিকে তাকানোর প্রয়োজন কী? সন্দেহজনক তথ্যে আমার মক্কেলের সমর্থন না নিয়ে হেফাজতে চাইতে পারে না ইডি।”

  • Ramakrishna 425: সন্ধ্যার পর গিরিশ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে গৃহে নিয়ে এলেন

    Ramakrishna 425: সন্ধ্যার পর গিরিশ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে গৃহে নিয়ে এলেন

    সেই পুরুষ বাক্য-মন-এর অতীত নন — তিনি শুদ্ধ মনের, শুদ্ধ বুদ্ধির, শুদ্ধ আত্মার গোচর।”
    তবে কি তিনি সেই পুরুষের সাক্ষাৎ পাচ্ছেন? এই কি সেই দর্শন?

    এমন সময় নরেন আসছেন — ঠাকুর বলতে লাগলেন,
    “নরেন্দ্র, নরেন্দ্র…”
    পাগলের মতো আচরণ।
    নরেন আসতেই ঠাকুর কথা বললেন না।
    লোকে বলছে — এটাই ‘ভাব’। এই রূপ শ্রীগৌরাঙ্গের ক্ষেত্রেও হয়েছে।
    এ ভাব কে বুঝবে?

    গিরিশের বাড়ির গলির সামনে ঠাকুর এসে উপস্থিত হলেন।
    সঙ্গে ভক্তগণ। এবার ঠাকুর নরেনকে সম্ভাষণ করলেন।
    নরেন্দ্র বললেন,
    “ভালো আছেন?”

    তাঁর কণ্ঠে করুণাভরা প্রতিটি শব্দ।
    তখনও মনে হচ্ছে যেন ‘তারও দেশে’ তিনি পৌঁছাননি।
    হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লেন — নরেনের দিকে চেয়ে বললেন:

    জীব, জগৎ, ঈশ্বর — এসব কি তিনি দেখছিলেন? কে জানে!
    দু-একটি কথা উচ্চারিত হলো — যেন বেদবাক্য, যেন দৈববাণী।
    অথবা যেন অনন্ত সমুদ্রতীরে দাঁড়িয়ে আছি — আর অনন্ত তরঙ্গের শব্দ শুনছি।
    অনাহত ধ্বনির এক-দুটি সুর যেন কর্ণকুহরে প্রবেশ করল।
    ১১ মার্চ ১৮৮৫ — গিরিশ ঠাকুরের বাড়িতে শ্রী রামকৃষ্ণ

    সন্ধ্যার পর গিরিশ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে গৃহে নিয়ে এলেন।
    ঠাকুর ভক্তদের সঙ্গে গিরিশের বাড়ির নিকট পৌঁছাতেই,
    গিরিশ দণ্ডবৎ হয়ে পড়লেন — ঠাকুরের পদস্পর্শ করলেন।
    তাঁকে নিয়ে উঠলেন দ্বিতীয় তলার বৈঠকখানায়।

    ভক্তরা দ্রুত আসন গ্রহণ করলেন — সবার ইচ্ছা ঠাকুরের কাছে বসে তাঁর মধুর বচন শ্রবণ করা।
    ঠাকুর আসনে বসতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ দেখলেন একখানা খবরের কাগজ পড়ে আছে।
    খবরের কাগজে বিশ্বজিতের কথা, বিষয়-আলোচনা, পরনিন্দা — অপবিত্র সবকিছু।
    ঠাকুর ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন — যেন তা সরিয়ে ফেলা হয়।

  • Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে ৩ বছর ধরে। সম্প্রতি ইউক্রেন (Ukraine) এক বিস্ফোরক দাবি করেছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে নরখাদকদের অন্তর্ভুক্ত করে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে (Russian Soldier)। এমনকি কিছু সৈনিক সহযোদ্ধাকে হত্যা করে তাদের দেহ ভক্ষণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ করল ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগ

    কিয়েভের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রুশ সরকার (Russian Soldier) যুদ্ধের জন্য বিপুল সংখ্যক অপরাধী, খুনি, ধর্ষক, ডাকাত এমনকি নরখাদকদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সামনের সারিতে যুদ্ধ করতে পাঠাচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে বহু কুখ্যাত অপরাধী, যারা অতীতে হত্যাকাণ্ড ও নরখাদকতার অভিযোগে দণ্ডিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ডেনিস গোরেন নামের এক অপরাধীকে ২০১২ সালে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চারজনকে খুন ও অন্তত একজনের দেহ খাওয়ার অভিযোগে আদালত ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। নিকোলো ওকোলোবিয়াক নামের আরেক ব্যক্তি দুই মহিলাকে হত্যা করে তাদের মাংস খাওয়ার দায়ে কারাগারে ছিল। এখন তাদের মতো আরও অনেককেই মুক্তি দিয়ে রুশ সেনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের (Ukraine)।

    সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে, দাবি ইউক্রেনের

    ডেইলি মেলের এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দামিত্রি মালিশেভ নামের এক অপরাধী তিনজনকে খুন করে তাদের হৃদপিণ্ড রান্না করে খেয়েছিলেন। তাকেও বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে (Russian Soldier) পাঠানো হয়েছে। একইভাবে আলেকজান্ডার মাসলেনিকভ নামে একজন ধর্ষক ও খুনিকে ২০২৪ সালে মুক্তি দিয়ে যুদ্ধে নিয়োজিত করা হয়। এইসব অপরাধীদের মানসিকতা যুদ্ধক্ষেত্রেও অপরিবর্তিত রয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের আরও দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে। শুধু শত্রু নয়, নিজেদের সেনাদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই অপরাধীদের নিয়ে।

    চলছে যুদ্ধ

    ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়া অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রুশ সেনার (Russian Soldier) আক্রমণে প্রায় ৪০০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার দখলে গেছে সীমান্তবর্তী একাধিক এলাকা। ধ্বংস হয়েছে চারটি যুদ্ধবিমান, সাতটি সাঁজোয়া যান, একটি কামান ও তিনটি সামরিক ট্রাক। রুশ সেনার দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনের ৪২৫ জন সেনাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় একটি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • Nigeria: নাইজেরিয়াতে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন ফুলানির হামলায় নিহত ১০০ খ্রিস্টান

    Nigeria: নাইজেরিয়াতে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন ফুলানির হামলায় নিহত ১০০ খ্রিস্টান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফ্রিকা মহাদেশে খ্রিস্টানদের উপর গণহত্যা চলছেই। ইসলামিক মৌলবাদীরা (Islamic Terrorists) এই মহাদেশে খ্রিস্টানদের নির্মূল করার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে একের পর এক দেশে চলছে খ্রিস্টান গণহত্যা।

    ফুলানি ইসলামিক মিলিট্যান্টস (Islamic Terrorists)

    মহাদেশটির অন্যতম ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হল ফুলানি ইসলামিক মিলিট্যান্টস। সম্প্রতি তারাই নাইজেরিয়ার (Nigeria) ইয়েলেওতা গ্রামের উপর ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং হত্যা করে শতাধিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে। এই হামলা শুরু হয় গত শুক্রবার এবং চলে শনিবার পর্যন্ত। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অজস্র পরিবার গৃহবন্দি অবস্থায় ছিল। বহু পরিবারকে ঘরের ভিতর থেকে তালা বন্ধ করে আটকে রাখা হয় এবং গোটা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গৃহবন্দি অবস্থায় থাকা এই পরিবারগুলির এভাবেই মারা যায়। কয়েক ডজন মানুষ এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন এবং শতাধিক মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এই হামলায় গুরুতরভাবে আহত হওয়া ব্যক্তিরা প্রাথমিক চিকিৎসাও পাচ্ছেন না।

    আফ্রিকার খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করাই উদ্দেশ্য

    এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে নাইজেরিয়ার (Nigeria) বেনুয়ে রাজ্যে। এই রাজ্যেই বড় সংখ্যক খ্রিস্টান বসবাস করেন। সেখানে জিহাদিরা হামলা চালিয়ে এই জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য যে, এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। ফুলানি নামক এই জঙ্গি সংগঠনের জিহাদিরা দীর্ঘদিন ধরেই এই গণহত্যা চালিয়ে আসছে। এদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বোকো হারাম, আইএসডব্লিউএপি-সহ একাধিক ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন। এই সংগঠনগুলোর লক্ষ্য হল আফ্রিকার খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করা।

    এপ্রিল-মে মাসেও চলে হামলা, হত্যা করা হয় খ্রিস্টানদের

    এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যেমন সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ রয়েছে, তেমনি অভিযোগ রয়েছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জমি দখলেরও। ২০২৫ সালের জুন মাসের ১ তারিখেই ফুলানি জিহাদিরা নাইজেরিয়ার (Nigeria) বেনুয়ে রাজ্যে হামলা চালায়, এখানে ৪৩ জন খ্রিস্টান নিহত হন। এই হামলা চলে জুন মাসের ১ ও ২ তারিখের মধ্যে। এর আগে ২৪ ও ২৫ মে, নাইজেরিয়ার প্লেটো রাজ্যে আরেকটি হামলা চালায় জঙ্গিরা, যেখানে ৫০ জন নাগরিক নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন খ্রিস্টান। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে প্লেটো স্টেট-এ আরেকটি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ৪০ জন খ্রিস্টান। এই হামলা কয়েকদিন ধরে চলে। তারও আগে, মে মাসের শুরুতেই ফুলানি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন বেনুয়ে স্টেটে হামলা চালিয়ে (Nigeria) হত্যা করে ২০ জনকে।

  • RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংকটে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) সর্বদাই এগিয়ে আসে – তা প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক কিংবা অন্য কিছু। আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের স্বয়ংসেবকরা সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গুজরাটের কর্ণাবতীর সিভিল হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসকদের ও বিভিন্ন মেডিক্যাল টিমকে সহায়তা করতে থাকেন। একই সঙ্গে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারগুলিকেও দেখভাল করেন এবং সবার সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলেন। আরএসএস-এর এমন নিঃস্বার্থ সেবা বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেকটাই সহায়তা করে (Air India Plane Crash)।

    উদ্ধারকাজে অংশ নেন ১৭৫ স্বয়ংসেবক (RSS)

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) নীতিই হল নিঃস্বার্থ সেবা। যেকোনও দুঃসময়ে তারা পাশে দাঁড়ায়। আরএসএস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ১৭৫ জন স্বয়ংসেবক এই সেবাকার্যে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা শুধু উদ্ধারকাজেই নয়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, নিহতদের ময়নাতদন্তে সহায়তা, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ এবং রক্তদানেও অংশ নেন (Air India Plane Crash)। এছাড়াও, ২০০০-এর বেশি মানুষকে চা, জল ও খাবার সরবরাহ করে সাহায্য করেন সংঘের স্বয়ংসেবকরা। এই সেবাকাজে আরএসএস-কে সহায়তা করে কালুপুর স্বামীনারায়ণ মন্দির।

    শোক প্রকাশ আরএসএস-র (RSS)

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন- “গুজরাটে আজকের এই বিমান দুর্ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা গভীর সমবেদনা জানাই সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের, যাঁরা এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। ভগবানের কাছে আমাদের প্রার্থনা, এই দুঃখ সহ্য করার শক্তি যেন তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে দেন।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে,  অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share