মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কোভিডে (Corona) আক্রান্ত রোগীরা পরবর্তীতে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। গবেষনায় জানা গিয়েছে ৫০ বছরের বেশী বয়সী রোগীদের মানসিক সমস্যার সম্ভাবনা প্রবল। যারা এর আগে করোনা ভাইরাসে (Corona) আক্রান্ত হয়নি তাঁদের মানসিক রোগের সম্ভাবনা করোনা আক্রান্ত রোগীদের তুলনায় কম। যদিও গবেষকেরা এর পেছনে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মনস্তাত্ত্বিক যন্ত্রণা, হতাশাকে এর মূল কারণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
বিজ্ঞানীরা আরও জানান, করোনাভাইরাস (Corona) থেকে সুস্থ হওয়ার পরও অনেক রোগী দেখা গেছে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক উদ্বেগ, বিষণ্ণতায় ভুগেছেন। অনেকেই কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না। ছোটখাটো বিষয় ভুলে যাচ্ছেন, ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন।বিশেষ করে যারা দীর্ঘসময় হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার বা পিটিএসডি রোগে আক্রান্ত হন। হসপিটাল বা আইসিইউতে থাকার ভীতিকর স্মৃতি থেকে অনেকে বের হতে পারেন না।বিশেষজ্ঞরা এই সমস্ত রোগীদের মানসিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি মনঃসংযোগ করার জন্য ধ্যান করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
ডেনমার্কের গবেষকেরা ৯ লক্ষ ১৯ হাজার সাতশো একত্রিশ জনের উপর সমীক্ষা চালিয়ে জানতে পেরেছেন, করোনায় (Corona) দীর্ঘ দিন ধরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পারকিনসন্স রোগেরও ঝুঁকি রেড়েছে দ্বিগুন।
করোনাভাইরাসে (Corona) আক্রান্ত হয়ে রোগীর সেরে ওঠার পরও তার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড থেকে সেরে ওঠার ৪৮ ঘণ্টা পর, এরপর ১ মাস, ৩ মাস ও ৬ মাস পর চিকিৎসকের পরামর্শে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেয়া জরুরি। সেইসঙ্গে দিনে রাত পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া বেশ জরুরি।
যারা আগে থেকেই হাইপার টেনশন, হার্টের জটিলতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদেরকে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন তাঁরা।
এছাড়া খাবারের দিকে খুব নজর রাখতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সুষম খাবার রাখা জরুরি। শাক সবজির পাশাপাশি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত জল ও ফলের রস খেতে হবে। দূর্বলতা কাটানোর জন্ প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শে ডায়েট চার্ট করে নেওয়া উচিত।
কোভিড-১৯ (Corona) এ আক্রান্ত থাকার সময় হাসপাতাল বা বাড়িতে দিন রাত বিছানায় শুয়ে বিশ্রামের কারণে মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা কমতে পারে তাই মস্তিস্ককে সতেজ রাখতে বই পড়া উচিত। দৈনিক হাঁটাচলা করা প্রয়োজন শরীরকে সতেজ রাখতে শরীরে দূর্বলতা থাকলে বা পেশিতে খুব ব্যথা হলে ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
+ There are no comments
Add yours