World Liver Day: কেন হয় ফ্যাটি লিভার? নিয়ন্ত্রণই বা করবেন কীভাবে?

কাজের স্ট্রেস, ব্যস্ত জীবনে রোগের শেষ নেই
fatty_liver
fatty_liver

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব লিভার দিবস। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের পাশাপাশি যতদিন যাচ্ছে বেড়েই চলেছে ফ্যাটি লিভারের (World Liver Day) সমস্যা। আগে সাধারণত বয়স্কদের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যেত, কিন্তু এখন আর সেসব বালাই নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমলেই এই রোগ হয়। লিভার মানব শরীরের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শরীরের টক্সিন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়। তবে বিশেষ করে মদ্যপানের অভ্যাস যাঁদের রয়েছে তাঁদেরই এই সমস্যা বেশি হয়। তবে মদ্যপান না করলেও এই সমস্যা হতে পারে।

কেন হয় ফ্যাটি লিভার

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন: বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মব্যস্ত জীবনের একটা বাজে অভ্যেস হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। আর এই কু-অভ্যাসই শরীরকে এই ধরনের রোগের দিকে ঠেলে দেয়।

মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান করলে ফ্য়াটি লিভারের (World Liver Day) সমস্যা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

অতিরিক্ত ওজন: ওজন অতিরিক্ত বাড়তে শুরু করলেই লিভারের উপর এর প্রভাব পড়ে। লিভারে ফ্য়াট (World Liver Day) জমতে শুরু করে। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে-ঘরে। আর আপনি যদি ডায়াবেটিক হন, তবে এই প্রাণঘাতী ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি রয়েছে।

ফ্যাটি লিভারের  লক্ষণ কী কী

ফ্যাটি লিভারের (World Liver Day) প্রাথমিক কোন লক্ষণ নেই। তবে ধীরে-ধীরে এর লক্ষণ গুলি স্পষ্ট হয়। পেটে চর্বি জমতে শুরু করে। হজমের সমস্যা হয়। খাবারে অরুচি আসে। সেই সঙ্গেই কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়, শরীর দুর্বল লাগতে শুরু করে।

এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী করবেন

মদ্যপান ত্যাগ করুন: মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে প্রথমেই তা ছাড়ুন। কারণ মদ্যপানের কারণে লিভারে অতিরিক্ত ফ্য়াট জমতে শুরু করে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে তাই নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন। ফ্য়াটি লিভারের (World Liver Day) সঙ্গেও লড়তে তাই রোজ শরীরচর্চা করতে হবে। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

চর্বিযুক্ত খাবার কম খান: ঘি, মাখন, খাসির মাংসের মতো চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া চলবেনা। যতটা পারবেন তেল, মশলা ছাড়া খাবার খান।

প্যাকেট জাতীয় খাবার নয়: বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার চলতি প্য়াকেট জাতীয় খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট (World Liver Day) থাকে। তাই এই ধরনের খাবার একেবারে খাওয়া চলবে না।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে লড়তে সবার আগে প্রয়োজন অস্বাস্থ্যকর, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে লাগাম টানা। নইলেই বিপদ।

কফি খান: পুষ্টিবিদদের মতে, কফি লিভারের জন্য খুব উপকারি। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কফি খাওয়ার অভ্যেস করুন।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles