মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু শহর কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ৫০ শতাংশ শিশু জ্বর, সর্দি, কাশি আর শ্বাসকষ্টে কাহিল। ৩ মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে শিশুদের সংক্রমণ বেশি। ৩৪ শতাংশ অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। একজন আক্রান্ত হলেই তার হাঁচি-কাশি থেকে অন্য শিশু আক্রান্ত হচ্ছে। দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ।
উল্লেখ্য, গত দেড়মাসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো পাঁচশোরও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২% অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। ১২%-এর শরীরে মিলেছে রাইনো ভাইরাস আর প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে ১৩ %-এর শরীরে।
অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ ও নিরাময়
তিনদিনের বেশি জ্বর,নাক দিয়ে জল পড়া, মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, কাশি, গা হাত পা ব্যথা, বমি, লুস মোশন, দ্রুত নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে কোনও একটিও উপসর্গ দেখা গেলে প্রচুর পরিমাণ জল কিংবা ORS খেতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেতে হবে। তবে দিনে সর্বাধিক পাঁচবার। নাক বন্ধ হয়ে গেলে নুন দিয়ে গারগেল। খেয়াল রাখতে হবে প্রস্রাবের পরিমাণেও।
কাদের ঝুঁকি বেশি
শিশু চিকিৎসকদের কথায়, ২ বছরের কমবয়সি শিশুদের মধ্যে যাদের জন্মগত কোনও হার্ট বা ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে অথবা সময়ের আগে জন্মেছে কিংবা জন্মের সময়ে ওজন ২ কেজি-র কম ছিল, তাদেরই ঝুঁকি সব চেয়ে বেশি। সাধারণ সর্দি-কাশিটা ভয়াবহ শ্বাসকষ্টে বদলে যেতে অনেক সময়ে ৪৮ ঘণ্টা সময়ও নিচ্ছে না। তাই সব সময় সতর্ক থাকা উচিত। এই ভাইরাস ঠেকানোর বিশেষ কোনও ওষুধ নেই। সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিন পর শরীর থেকে বিদায় নিচ্ছে ভাইরাস। তবে কাশিটা থেকে যাচ্ছে। সতর্কতা জরুরি।
আরও পড়ুন: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট
স্কুলেও স্বাস্থ্যবিধি
অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) মূলত শিশুরা (Child) আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে স্কুল থেকে শিশুদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ফলে স্কুলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সতর্কতা অবলম্বন জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। উপসর্গ দেখা দিলে শিশুকে স্কুলে না পাঠানোই ভাল। শিশু সংক্রমিত হলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখুন। যাতে সকলের সংস্পর্শে সে আসতে না পারে, সেদিকে অবশ্যই নজর রাখুন। সংক্রমণ রুখতে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো সতর্কতা অবলম্বন করুন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours