Cancer Drug: ‘মিরাকেল’, ক্যান্সারড্রাগ ট্রায়াল শেষে বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা  

Nisha Varughese: হঠাৎ দেখলাম টিউমারটা নেই।
Nisha_Varughese
Nisha_Varughese

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। এক ওষুধেই নির্মূল হবে ক্যান্সারের (Cancer) মতো মারণ-ব্যাধি। ক্যান্সারের চিকিৎসায় (Cancer Treatment) স্বর্গপ্রাপ্তির মতো এক ঘটনা। এবার এই "মিরাকেল ড্রাগ"-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওষুধের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত রোগী।

মলদ্বারে ক্যান্সার (Rectal Cancer) এমন ১৮ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা করার পরই এই দাবি করেছেন নিউ ইয়র্কের স্লোয়ান কেটেরিং ক্যান্সার সেন্টারের (Memorial Sloan Kettering Cancer Center) চিকিৎসকরা। ওই ঐতিহাসিক পরীক্ষামূলক ক্যানসার চিকিৎসার অংশ ছিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলাও।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ক্যান্সার নিরাময়কারী এই ওষুধের নাম ডস্টারলিম্যাব (Dostarlimab)। ১৮ জন মলদ্বারে ক্যান্সারেররোগীকে ৩ সপ্তাহ অন্তর ৬ মাস ধরে এই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা ক্যান্সার-মুক্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। বৃহত্তর ট্রায়ালে সেই পরীক্ষা সফল হয় কিনা, সেদিকে এখন তাকিয়ে আছেন চিকিৎসকরা।    

আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথমবার এক ওষুধেই উধাও ক্যান্সার! চমকে দেওয়া দাবি গবেষকদের

নিউ ইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারে ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ১৮ জন রোগীর একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা নিশা ভারুগিস (Nisha Varughese)। সংবাদ সংস্থাকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নিশা। 

ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পুরো ঘটনাকে 'মিরাকেল' বলে অভিহিত করেছেন নিশা। যেদিন প্রথম ক্যান্সার মুক্ত হয়েছিলেন, প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি। সেদিনের স্মৃতিচারণায় নিশা বারুগেজ বলেন, "ওই দিন হঠাৎ দেখলাম টিউমারটা নেই। আমি ভাবছিলাম, কোথায় গেল টিউমারটা? তারপর মনে হয়েছিল, ওটা ভিতরে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে, দেখা যাচ্ছে না। পরে ডাক্তাররা আমায় জানান, টিউমারটি আর নেই। এটা সত্যিই মিরাকল।" 

নিশা ভারুগেজ এবং ট্রায়াল নেওয়া সকলেই মলদ্বারের ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। শুধুমাত্র মলদ্বারেই স্থানীয়ভাবে ছড়িয়েছিল ক্যান্সার, আর অন্য কোনও অঙ্গে ছড়ায়নি। কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন, শল্য চিকিৎসা-সহ বিভিন্নরকম পদ্ধতিতে প্রথমে ক্যান্সার নির্মূল করার চেষ্ঠা করেছিলেন এই রোগীরা। কোনও লাভ হয়নি। উল্টে অন্ত্র-প্রস্রাবের সমস্যা এমনকি যৌন ক্ষমতা হারাতে বসেছিলেন। এমন সময়ই ওই রোগীদের ওপর করা হয় ওই পরীক্ষা। পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ পাশ করেছেন গবেষকরা। 

আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চান? রোজ পাতে রাখুন এই খাবারগুলো

গবেষকরা জানিয়েছেন, ডস্টারলিম্যাব ওষুধে গবেষণাগারে তৈরি কিছু অণু থাকে, যেগুলি মানবদেহে অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসাবে কাজ করে। ইমিউনোথেরাপি (Immunotherapy) শরীরের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী করে তোলে।

মানবদেহের ইমিউন কোষে একটি ‘চেকপয়েন্ট’ নামক সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকে। ওই চেকপয়েন্টই ইমিউন কোষগুলিকে, মানবদেহের স্বাভাবিক কোষগুলি আক্রমণ করা থেকে প্রতিহত করে। ক্যান্সারের কোষগুলি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে ইমিউন কোষগুলির কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে, টিউমারগুলি গোপনে বেড়ে উঠতে পারে।

ইমিউনোথেরাপি, ক্যান্সার কোষগুলিকে শনাক্ত করে, ইমিউন কোষগুলি দিয়ে সেই কোষগুলিকে আক্রমণ করায়। এই গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য তথা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ আন্দ্রেয়া সেরসেক জানিয়েছেন, "ইমিউনোথেরাপিতে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক দ্রুত টিউমারগুলি সংকুচিত হয়েছে।"

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles