Tag: বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: মমতা জমানায় অসুরক্ষিত মা-বোনেরা! কন্যা সুরক্ষা যাত্রার ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতা জমানায় অসুরক্ষিত মা-বোনেরা! কন্যা সুরক্ষা যাত্রার ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘বাংলায় কোনও কন্যা, বোন, মেয়ে, মা কেউ নিরাপদ নন। হাঁসখালি থেকে শুরু করে কালিয়াগঞ্জ, আরজি কর, সমস্ত ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলে এসেছেন, লাভ-অ্যাফায়ার, অন্তঃসত্ত্বা। টাকা দিয়ে দিলেই নাকি হয়ে যাবে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) যতক্ষণ না সরানো হবে ততক্ষণ কেউ নিরাপদ নয়।’’ কসবার ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এভাবেই মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করবেন বলেও জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দিঘার রথযাত্রা নিয়েও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। বলেন, ‘‘দিঘা ফাঁকা দেখে পালিয়ে গিয়েছেন মমতা। রথের চাকাও গড়ায়নি, নারকেলও ফাটেনি।’’

    রাজ্যের কন্যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  আমলে সুরক্ষিত নয়, বললেন শুভেন্দু

    রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘কসবাতে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। সামগ্রিকভাবে আমাদের রাজ্যের কন্যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে সুরক্ষিত নয়। আগামী দিনে কয়েক সপ্তাহে যত আমার কর্মসূচি হবে, আমি কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করব।’’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করছে। কসবার সাম্প্রতিক ঘটনার পর তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে দাবি করেন, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত সমাজ বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

    প্রতিকার একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাতে হবে

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় যে সারা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল, তার প্রভাব দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পৌঁছেছিল। কিন্তু সেই ঘটনার মাত্র দশ মাসের মাথায় ফের এক কলেজ চত্বরে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় আবারও প্রশ্ন উঠছে—নারী নিরাপত্তা কোথায়? শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সাফ কথা, ‘‘এর প্রতিকার একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাতে হবে। না হলে যা চলছে তা চলতেই থাকবে, কোনও দিনই থামবে না। তিনদিনের মিছিল, পাঁচটা টক-শো করে কোনও লাভ হবে না।’’

  • VHP: হিন্দু মন্দির হোক সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, ফের একবার দাবি জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    VHP: হিন্দু মন্দির হোক সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, ফের একবার দাবি জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে হিন্দুত্বের এক প্রবল জাগরণ শুরু হয়েছে, আর সেই ঢেউ-ই ভারতকে পুনর্জাগরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এমনটাই বললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. সুরেন্দ্র জৈন। শনিবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি। ড. জৈন বলেন, “দেশ আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে। সারা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আমরা এমন এক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছি, যেখানে বেআইনিভাবে ধর্মান্তকরণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হবে। সেইসঙ্গে হিন্দু মন্দিরগুলিকে সরকারে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হবে।”

    মিশনারি ও জেহাদীদের অ্যাজেন্ডা আর চলবে না

    তিনি বলেন, “খ্রিস্টান মিশনারি ও ইসলামিক জিহাদীদের এটা বুঝে নেওয়া উচিত যে তাদের অ্যাজেন্ডা আর চলবে না। আজ গোটা দেশে এক আধ্যাত্মিক ভাবনার সঞ্চার হয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে এক নতুন চেতনার সৃষ্টি হয়েছে। এই মন্দির কেবল ধর্মীয় কেন্দ্রীকরণ নয়, জেহাদি সন্ত্রাস ও নকশালবাদের বিরুদ্ধেও এক শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে। দেশের (Bharat) শত্রুরা এখন আতঙ্কিত এবং প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক আজকের ভারতকে দেখে গর্ব অনুভব করছেন।”

    সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত মন্দিরের দাবি

    মন্দিরগুলিকে (VHP) সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার প্রসঙ্গে ড. জৈন বলেন, “হিন্দু সমাজের কাছে এটি একপ্রকার প্রতারণা, যেখানে সরকার মন্দিরগুলিকে পরিচালনা করছে। এটা সম্পূর্ণ অনুচিত। হিন্দু মন্দিরগুলিকে হিন্দু সমাজেরই হাতে তুলে দেওয়া উচিত।” এনিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “সেখানে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ নাকি হালাল বিক্রেতাদের মাধ্যমে প্রস্তুত হচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে যে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকার কখনও হিন্দুদের বিশ্বাস (VHP) ও সংস্কৃতিকে যথাযথ মর্যাদা দেয় না।”

    সারা দেশে প্রচার অভিযান চলছে

    ড. জৈন জানান (VHP), সরকার-নিয়ন্ত্রিত মন্দিরগুলিকে মুক্ত করার দাবিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সারা দেশে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। এই আন্দোলন ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে শুরু হয়েছে। বিজয়ওয়াড়ায় গত ৫ জানুয়ারি থেকে এই ইস্যুতে প্রচার শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবি হল, ধর্মস্থানকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে হিন্দু সমাজের হাতে অর্পণ করা হোক। প্রতিটি রাজ্য সরকারকে এগিয়ে এসে এই দাবিকে সমর্থন করা উচিত।”

  • Karnataka: সাইবার প্রতারণায় গত বছরে কর্নাটকের নাগরিকরা হারিয়েছেন প্রায় ২,৯১৫ কোটি টাকা, বলছে রিপোর্ট

    Karnataka: সাইবার প্রতারণায় গত বছরে কর্নাটকের নাগরিকরা হারিয়েছেন প্রায় ২,৯১৫ কোটি টাকা, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার অপরাধীদের জালিয়াতির ফাঁদে পড়ে কর্নাটকের (Karnataka) নাগরিকরা ২০২৪ সালে হারিয়েছেন প্রায় ২,৯১৫ কোটি টাকা। সে রাজ্যের সিআইডি -এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে সর্বাধিক সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরু শহরে। যেখানে কর্নাটক জুড়ে সংঘটিত মোট সাইবার অপরাধের ৪২.৯ শতাংশই বেঙ্গালুরুতে ঘটেছে (Cyber Fraudsters)।

    কীভাবে চলে জালিয়াতি (Karnataka)

    রিপোর্টটি ইতিমধ্যেই কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতারণার বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা সাধারণ মানুষকে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এই কারণেই বেঙ্গালুরু শহরের ১৯টি থানায় অসংখ্য এফআইআর দায়ের হয়েছে। সিআইডি-র বিশ্লেষণে উঠে এসেছে (Cyber Fraudsters), সাইবার প্রতারকরা প্রথমে নানা ধরনের প্রলোভনের মাধ্যমে নাগরিকদের ফাঁদে ফেলে। তারা ‘দ্রুত লাভ’, ‘দ্বিগুণ রিটার্ন’ অথবা ‘নিরাপদ বিনিয়োগ’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। দেখা গিয়েছে, মোট সাইবার প্রতারণার ৭০.৫ শতাংশ ঘটনা এই ধরনের বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও, কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করেছে প্রতারকরা। চাকরি দেওয়ার নাম করে নানা ফাঁদ পেতে তারা মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

    ডিজিটাল অ্যারেস্ট করেও টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটেছে

    সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামক নতুন প্রতারণার কৌশল। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার জানিয়েছে, এটি সাইবার অপরাধীদের একটি আধুনিক ফাঁদ। কর্নাটকেও (Karnataka) এই ধরনের প্রতারণার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে অপরাধীরা পুলিশ বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার সেজে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করেছে। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন উপায়ে এই ধরনের প্রতারণা চালায়—যেমন ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি, সামাজিক মাধ্যমে ফেক প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ, অথবা ভুয়া কল করে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরু শহর মূলত সাইবার প্রতারকদের টার্গেট হয়ে উঠেছে, কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে অনলাইন লেনদেন হয় এবং শহরজুড়ে অসংখ্য প্রযুক্তি সংস্থা, শিক্ষার্থী ও কর্মরত পেশাজীবীর উপস্থিতি রয়েছে—যাঁরা অনেক সময়ই এই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন।

  • Shubhanshu Shukla: ‘‘সঙ্গে নিয়ে যাওয়া গাজরের হালুয়া সঙ্গীদের খাইয়েছেন?’’ শুভাংশুকে প্রশ্ন মোদির

    Shubhanshu Shukla: ‘‘সঙ্গে নিয়ে যাওয়া গাজরের হালুয়া সঙ্গীদের খাইয়েছেন?’’ শুভাংশুকে প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে নভোচর শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) বললেন, “মানচিত্রে ভারতকে যেমন দেখি, মহাকাশ থেকে তা আরও অনেক বড় ও অসাধারণ মনে হয়।” শনিবার সন্ধ্যায় এক আবেগঘন ভিডিও আলাপচারিতায় শুভাংশু এই মন্তব্য করেন। গত ২৬ জুন বিকেল ৪টা নাগাদ শুভাংশু শুক্লা প্রথম ভারতীয় হিসেবে আইএসএস-এ পৌঁছে ইতিহাস গড়েছেন। ভবিষ্যতে ইসরোর গগনযান প্রকল্পে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে তাঁর।

    আপনি সঙ্গে যে গাজরের হালুয়া নিয়ে গিয়েছেন, তা আপনার সঙ্গীদের খাইয়েছেন?

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) কখনও ‘শুভাংশু’, কখনও ‘শুভ’ আবার কখনও স্নেহভরে ‘শুক্স’ বলে সম্বোধন করেন তাঁকে। দু’জনের মধ্যে প্রায় ১৮ মিনিটের কথোপকথন চলে, যার ভিডিও পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। মোদি শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) কাছে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন এবং জিজ্ঞেস করেন, আপনি সঙ্গে যে গাজরের হালুয়া নিয়ে গিয়েছেন, তা আপনার সঙ্গীদের খাইয়েছেন? উত্তরে শুভাংশু জানান, তিনি গাজরের হালুয়া, মুগডালের হালুয়া ও আমরস সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন এবং আইএসএস-এর সহকর্মীদের সঙ্গেও ভাগ করে খাইয়েছেন। তাঁর কথায়, “এই খাবারগুলো আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ রন্ধনশিল্পের প্রতিচ্ছবি। সবাই খুব উপভোগ করেছে।”

    ১৬টি সূর্যোদয় ও ১৬টি সূর্যাস্ত দেখি

    কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, সেই মুহূর্তে পৃথিবীর কোন অংশের উপর দিয়ে তাঁরা যাচ্ছেন। শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) বলেন, “এই মুহূর্তে সঠিকভাবে বলতে পারছি না, তবে কিছুক্ষণ আগেই আমরা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে গিয়েছি। প্রতিদিন আমরা পৃথিবীকে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করি, যার মানে প্রতিদিন ১৬টি সূর্যোদয় ও ১৬টি সূর্যাস্ত দেখি। আমরা ঘণ্টায় প্রায় ২৮,০০০ কিমি গতিতে ছুটে চলেছি।”

    মহাকাশ থেকে যখন দেখি, ভারত অনেক বেশি বড়, বেশি সুন্দর

    মোদি এরপর প্রশ্ন করেন, মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে প্রথম দেখে তাঁর মনে কী ভাবনা জেগেছিল। শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) জবাব, “কক্ষপথে পৌঁছে যখন প্রথম পৃথিবীকে দেখলাম, তখন মনে হল পৃথিবী আসলে একটিই। বাইরে থেকে কোনও সীমান্ত বা রেখা চোখে পড়ে না।” ভারত সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুভাংশু বলেন, “যখন মানচিত্রে ভারতকে দেখি, মনে হয় অন্য দেশগুলো তুলনায় বড়। কিন্তু সেটি দ্বিমাত্রিক মানচিত্র। বাস্তবে মহাকাশ থেকে যখন দেখি, ভারত অনেক বেশি বড়, বেশি সুন্দর—যেমনটা কল্পনাও করা যায় না।”

    আমরা দু’জন কথা বলছি, কিন্তু গোটা দেশের অনুভূতি আমাদের সঙ্গে রয়েছে

    প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) শেষে বলেন, “আজ আপনি আমাদের থেকে দূরে, কিন্তু ১৪০ কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ের সবচেয়ে কাছাকাছি রয়েছেন। আপনার এই যাত্রা এক নতুন যুগের সূচনা, একটা ‘শুভারম্ভ’। এই মুহূর্তে আমরা দু’জন কথা বলছি, কিন্তু গোটা দেশের অনুভূতি আমাদের সঙ্গে রয়েছে।” শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) জানান, দেশের মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদেই তিনি সুস্থ আছেন এবং তাঁর এই যাত্রা শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়—পুরো দেশের জন্য এক গর্বের অধ্যায়।

  • Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল! নাম না করে কল্যাণ-মদনকে নারী বিদ্বেষী বললেন মহুয়া

    Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল! নাম না করে কল্যাণ-মদনকে নারী বিদ্বেষী বললেন মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এল। মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাদ নতুন কিছু নয়—এর আগেও একাধিকবার তাঁদের পরস্পরকে কটূক্তি করতে শোনা গেছে (Kasba Gangrape)। এই পরিস্থিতিতে মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) স্পষ্ট করে জানান যে, কল্যাণ ও মদনের মন্তব্য ব্যক্তিগত মত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, “যদি কোনও বন্ধু তার বন্ধুকে ধর্ষণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী করা যেতে পারে?” অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র মন্তব্য করেন, “ওই ছাত্রী যদি ঘটনাস্থলে না যেতেন, তাহলে তো এই ধরনের অপরাধ ঘটতই না।” শনিবার এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ মহুয়া লেখেন, “ভারতে নারী বিদ্বেষ সব রাজনৈতিক দলেই আছে।” এনিয়েই অনেকে বলছেন, তবে কি মহুয়া মেনে নিলেন তাঁর দল নারী বিদ্বেষী!

    কসবাকাণ্ড (Kasba Gangrape)

    বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার কসবার (Kasba Gangrape) একটি আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে আইন কলেজের ভিতরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন অভিযুক্ত যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, অন্যরাও অপরাধে জড়িত ছিল। তারা মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের সময় বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। এর পরেই আক্রান্তের পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।

    রাজ্যজুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য (Kasba Gangrape)

    ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পরে গ্রেফতার করা হয় নিরাপত্তারক্ষীকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র দক্ষিণ কলকাতার ওই আইন কলেজের প্রাক্তনী। তিনি শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা বলেও অভিযোগ। বর্তমানে শাসক দলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। বর্তমানে তিনি আলিপুর আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। অন্য দুই অভিযুক্ত—জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়—কলেজের বর্তমান ছাত্র। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যৌন নির্যাতনের ঘটনার এক বছর কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

  • Jagdeep Dhankhar: ১৯৭৬ সালের ৪২তম সংশোধনী! ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলানো যায় না’ সাফ বললেন উপরাষ্ট্রপতি

    Jagdeep Dhankhar: ১৯৭৬ সালের ৪২তম সংশোধনী! ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলানো যায় না’ সাফ বললেন উপরাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) জানান, ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় কোনও ধরনের পরিবর্তন করা যায়না। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সংবিধান ছাড়া অন্য কোনও সংবিধানের প্রস্তাবনা কখনও পরিবর্তিত হয়নি। কারণ সংবিধানের প্রস্তাবনা অপরিবর্তনযোগ্য।’’ এর পরেই দেশের উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘কিন্তু আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা জরুরি অবস্থার সময়, ১৯৭৬ সালের ৪২তম সংবিধান (সংশোধনী) আইন দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছিল। ‘সমাজতান্ত্রিক’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘অখণ্ডতা’ শব্দগুলি যুক্ত করা হয়েছিল। আমাদের অবশ্যই চিন্তা করতে হবে (Jagdeep Dhankhar)।’’

    কী বলেছিলেন আরএসএস নেতা?

    ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর ‘সরকার্যবাহ’ (সাধারণ সম্পাদক) দত্তাত্রেয় হোসাবলে মন্তব্য করেন যে, জরুরি অবস্থার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার অসাংবিধানিক উপায়ে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি সংযোজন করেছিল। আরএসএস নেতার মতে, সেই দুটি শব্দ এখন প্রস্তাবনা থেকে অপসারণ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় (Preamble of Constitution) যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’

    সংবিধান হত্যা দিবস

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জরুরি অবস্থার ৫০তম (Preamble of Constitution) বার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ জুনকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চলা এই জরুরি অবস্থায় গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ বিষয়ে বিবৃতি দেন এবং তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার ঘটনা ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায়। কংগ্রেস শুধু সংবিধানের চেতনাকেই লঙ্ঘন করেনি, উপরন্তু গণতন্ত্রকে কারাগারে বন্দি করেছিল। একাধিক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেন যে, ভারত কখনও ভুলবে না এই সময়কালকে। এই সময় দেশের সংসদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং আদালতকেও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

  • Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে গড়িয়াহাটে বিক্ষোভ বিজেপির, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    Kasba Gangrape: কসবাকাণ্ডে গড়িয়াহাটে বিক্ষোভ বিজেপির, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবার (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল-কলেজে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার পথে নামে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি (Bjp) এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল গড়িয়াহাট পর্যন্ত পৌঁছতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

    শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা মিছিলে হঠাৎই পুলিশ হস্তক্ষেপ করে, অভিযোগ বিজেপির

    গেরুয়া শিবিরের (Bjp) দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা (Kasba Gangrape) মিছিলে হঠাৎই পুলিশ হস্তক্ষেপ করে, যার জেরে ধাক্কাধাক্কি এবং হট্টগোল শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, কোনও উসকানি ছাড়াই পুলিশ কর্মীদের আটকে দেয় এবং কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে তুলে আটক করা হয়। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও আটক করা হয় বলে দলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    আন্দোলন চলবে হুঁশিয়ারি বিজেপির (Kasba Gangrape)

    উল্লেখ্য, কসবার ওই কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত মনোজিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবেও কাজ করত সে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই রাজনৈতিকভাবে ব্যাকফুটে তৃণমূল। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, শাসকদলের আশ্রয়ে রাজ্যে অপরাধ বাড়ছে এবং প্রশাসন তা ধামাচাপা দিতে মরিয়া। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, যতদিন না অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, ততদিন রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন কটাক্ষ করে বলেন, “তৃণমূলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই পুলিশ বাধা দেয়, কারণ তারা শাসকদলের হয়ে কাজ করছে (Kasba Gangrape)।”

    কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারও রাস্তায় নামে বিজেপি

    কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারও রাস্তায় নামে বিজেপি। কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তারা পথ অবরোধও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সত্ত্বেও পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। এদিকে এবিভিপি (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ) দাবি করেছে, ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি দক্ষিণ কলকাতা টিএমসিপি-র সম্পাদক পদে রয়েছেন। তাদের আরও দাবি, গ্রেফতার হওয়া অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গেও টিএমসিপি-র ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

  • Israel: ইজরায়েলে মিসাইল হামলা হুথি জঙ্গিদের, ক্ষয়ক্ষতি কিছুই হয়নি জানাল ইহুদি দেশ

    Israel: ইজরায়েলে মিসাইল হামলা হুথি জঙ্গিদের, ক্ষয়ক্ষতি কিছুই হয়নি জানাল ইহুদি দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিগোষ্ঠী শনিবার সকালে ইসরায়েলের (Israel) দক্ষিণ অংশের দিকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (IDF) এই হামলার খবর নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি, ইসরায়েলের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইজরায়েলে এ নিয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আইডিএফ-এর বিবৃতি অনুযায়ী, হুথিদের ছোড়া এই মিসাইল সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং কোনও প্রাণহানি বা গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। হামলার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে। বিরসেবা, দিমোনা, আরাদ প্রভৃতি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহরগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়। ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাইরেন বেজে ওঠার চার মিনিট আগেই সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের মোবাইলে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। এই দ্রুত পদক্ষেপেই সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সক্ষম হন।

    হুথিদের দায় স্বীকার

    হুথি জঙ্গিগোষ্ঠী (Houthis) মিসাইল ছোড়ার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল বিরসেবা অঞ্চল। তারা দাবি করেছে, “অপারেশন সফল হয়েছে।” যদিও ইজরায়েলের (Israel) তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, এই হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। টাইমস অফ ইসরায়েল জানাচ্ছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুথিরা হামাসের পক্ষ নিয়েছে। ওই সময় থেকেই হুথি জঙ্গিরা ইজরায়েলের ভূখণ্ড ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপর ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে।

    ইজরায়েলের (Israel) ওপর হুথি জঙ্গিদের হামলা

    ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। ওই সময় হুথিরাও সাময়িকভাবে হামলা বন্ধ রাখে। তবে যুদ্ধ চলাকালীন সময়, বিশেষ করে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত, হুতিরা প্রায় ৪০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং অসংখ্য ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইল ছুড়েছে ইজরায়েলের দিকে। টাইমস অফ ইজরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে হুতিদের ছোড়া একটি মিসাইল হামলায় ইজরায়েলের (Israel) একজন নাগরিক নিহত হন। এই ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল।

  • Private consumption: ব্যক্তিগত খরচ জিডিপি-র বড় চালিকাশক্তি, জানাল অর্থমন্ত্রক

    Private consumption: ব্যক্তিগত খরচ জিডিপি-র বড় চালিকাশক্তি, জানাল অর্থমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত কেনাকাটার ক্ষমতা গত কয়েক দশকের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে (Private consumption)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত খরচ এখন ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। গত দু’দশকে এত উচ্চ হারে বৃদ্ধি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    কী বলছে অর্থমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট (Private consumption)

    অর্থমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ব্যক্তিগত ক্রয়ক্ষমতা ভারতের জিডিপির ৬১.৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এর আগের অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৬০.২ শতাংশ। অর্থাৎ, খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে প্রায় ১.২ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যক্তিগত খরচের অংশগ্রহণ (Private consumption)।

    কী বলছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা?

    অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৃদ্ধি (GDP) প্রমাণ করে যে ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গ্রামীণ ও শহর—উভয় ক্ষেত্রেই খরচ করার প্রবণতা বাড়ছে। গত ২০ বছরে এই হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হওয়ায় সরকারের অর্থনৈতিক নীতির ইতিবাচক প্রভাব (Private consumption) স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিনিয়োগেও বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে (GDP)

    শুধু খরচই নয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের বৃদ্ধি দেখা গেছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.১ শতাংশ-এ পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে শিল্প এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    বেড়েছে রফতানি, কমেছে আমদানি

    অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে— ভারতের বহির্বাণিজ্যে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৩ শতাংশ হারে, যা বৈদেশিক আয়ের দিক থেকে একটি ইতিবাচক দিক। অন্যদিকে, আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আমদানি কমেছে ৩.৭ শতাংশ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বাণিজ্য ঘাটতিও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।

  • Iran: ড্যাডি ট্রাম্প! চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে বাবার শরণ নিতে হয়, কটাক্ষ ইরানের

    Iran: ড্যাডি ট্রাম্প! চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে বাবার শরণ নিতে হয়, কটাক্ষ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) টানাপড়েনের আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে সরব হলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তাঁর কটাক্ষ, “চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে আমেরিকার শরণ নিতে হয়। ট্রাম্পই ইজরায়েলের ‘বাবা’, তার ছায়া ছাড়া ওরা অচল।”

    তোপ ইজরায়েলকে (Iran)

    শনিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরাকচি লেখেন, “ইজরায়েল বুঝে গেছে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের ভয় থেকে বাঁচতে গেলে তাদের ‘বাবা’র শরণ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।” তিনি আরও মন্তব্য করেন, “যদি কেউ এখনও আমাদের সামরিক ক্ষমতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তায় থাকে, তাহলে আমরা সেই বিভ্রান্তি দূর করতে জানি (Iran)।” আরাকচি স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তেল আভিভ যেন বুঝে নেয় তেহরান প্রয়োজনে তার প্রকৃত শক্তি দেখাতে একটুও পিছপা হবে না।”

    ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেলও একই মন্তব্য করেন

    আরাকচির এই ‘বাবা’ বা ‘ড্যাডি’ মন্তব্য অবশ্য প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুট ট্রাম্পকে ‘ড্যাডি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সেই টার্মই এবার ব্যবহার করলেন আরাকচি, আরও তীব্র সুরে। তাঁর মতে, “ইজরায়েলের সীমাবদ্ধতা এতটাই, যে ওদের বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত বাবার কাছেই ছুটে যেতে হয়।”

    ট্রাম্পকে সরাসরি আক্রমণ (Iran)

    ট্রাম্পের দিকেও আক্রমণের তির ছুড়েছেন আরাকচি। তাঁর মন্তব্য, “আমাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই-কে অপমান করলে কোটি কোটি ইরানির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। যদি সত্যিই শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চান, তাহলে ভাষা ও মনোভাব দুটোই পাল্টাতে হবে।”

    চাইলে খামেনেই-কে হত্যা করতে পারতেন, দাবি ট্রাম্পের

    উল্টো দিকে, ট্রাম্প দাবি (US Strikes) করেছেন, তিনি চাইলে খামেনেই-কে হত্যা করতে পারতেন, কারণ তাঁর অবস্থান সম্পর্কে আমেরিকার কাছে পরিষ্কার তথ্য ছিল। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম না মারার।” ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার কথাও একসময় বিবেচনা করেছিলেন (US Strikes)। কিন্তু ইরানের ‘ঘৃণা ও আক্রোশ’ দেখে তিনি মত বদলান। তবে ইরানও জানিয়ে দিয়েছে, তারা আপাতত কোনও পরমাণু আলোচনায় আগ্রহী নয়। আগামী সপ্তাহে ট্রাম্প আলোচনা শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তেহরান সেই প্রস্তাব স্পষ্টভাবে খারিজ করে দিয়েছে।

LinkedIn
Share