Tag: বাংলা খবর

  • India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে নির্মীয়মাণ কিশানগঙ্গা ও রাটেল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন (Court of Arbitration) এর রায়কে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল ভারত সরকার। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার কখনও এই তথাকথিত সালিশ আদালতের অস্তিত্বকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—এই সালিশি আদালতের গঠন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির যে কাঠামো, তা এই আদালতের গঠন এবং সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লঙ্ঘিত হয়েছে।

    কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতে গ্রহণযোগ্য নয়

    বিদেশমন্ত্রকের (India) পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, যা বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় যে নিষ্পত্তিমূলক প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে সালিশ আদালতের কোনও ভূমিকা নেই। ভারত একাধিকবার পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক মহলকে জানিয়ে দিয়েছে, এই সালিশ আদালতের কোনও বৈধতা নেই এবং এটি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। ভারত সরকারের মতে, কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর (Court of Arbitration) যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এসবকে সরকার ‘অবৈধ ও বাতিলযোগ্য’ বলে মনে করে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপের সামিল, যা কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

    পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে রায়

    ভারতের (India) স্পষ্ট দাবি, এই তথাকথিত সালিশি আদালতের রায় পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। দিল্লির মতে, এটি একটি ‘প্রহসন’ ছাড়া আর কিছু নয়, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, ভারত আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই সিন্ধু জলচুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপ বা বেআইনি সিদ্ধান্ত কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

  • Shaina NC: সংবিধান থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ বাদ দেওয়া উচিত, আরএসএস নেতার দাবিকে সমর্থন শিবসেনা নেত্রীর

    Shaina NC: সংবিধান থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ বাদ দেওয়া উচিত, আরএসএস নেতার দাবিকে সমর্থন শিবসেনা নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার দাবি জানান। তাঁর এই বক্তব্যে এবার সমর্থন জানালেন শিবসেনা নেত্রী সাইনা এন.সি (Shaina NC)।

    কী বললেন শিবসেনা নেত্রী (Shaina NC)?

    শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে সাইনা এনসি (Shaina NC) বলেন, “দত্তাত্রেয় হোসাবলের বক্তব্য আমি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি। সংবিধানের প্রস্তাবনায় প্রথম থেকেই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বা ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দদুটি ছিল না। এই শব্দ দুটি সংযোজন করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময়, যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ৪২তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে এই পরিবর্তন করে।” তিনি আরও বলেন, “ড. বি. আর. আম্বেদকর-এর নেতৃত্বে যে খসড়া কমিটি সংবিধানের খসড়া তৈরি করেছিল, তাদের মূল প্রস্তাবনায় এই শব্দ দুটি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সেই মূল প্রস্তাবনাই ফিরিয়ে আনা উচিত।” সাইনা এন.সি.-র মতে, “ভারত একটি গণপ্রজাতান্ত্রিক দেশ — এই পরিচয়ই যথেষ্ট। ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি অপ্রয়োজনীয়।”

    কী বলেছিলেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে?

    দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হোসাবলে বলেন (RSS), ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’ প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত। প্রায় ২১ মাসের ওই পর্বকে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’ বলে আখ্যা দেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে (RSS)। প্রসঙ্গত এর আগে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী-সহ কয়েক জন এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। জরুরি অবস্থায় ৫০ বছরের আবহে আরএসএস (RSS) নেতার এমন বিবৃতি ফের প্রশ্ন তুলল আদৌ কি এই শব্দ দুটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সংবিধানে?

  • Palliative Care: ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধের মতোই সমান জরুরি ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’! কী এটা? কেন প্রয়োজন?

    Palliative Care: ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধের মতোই সমান জরুরি ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’! কী এটা? কেন প্রয়োজন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শুধুই ওষুধ, কেমো থেরাপি কিংবা রেডিওথেরাপি নয়। ক্যান্সার চিকিৎসায় (Cancer Treatment) অন্যতম জরুরি ‘দাওয়াই’ ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ (Palliative Care)। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সার আক্রান্তের চিকিৎসা চলাকালীন এবং ক্যান্সার আক্রান্তের ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে হলে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ক্যান্সার চিকিৎসায় অন্যতম বাধা এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নেই। তাই অনেক সময়েই ক্যান্সার আক্রান্তের চিকিৎসায় জটিলতা বাড়ে।

    প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) কী?

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেকোনও ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসায় অধিকাংশ সময়েই দেখা যায়, রোগী চিকিৎসা চলাকালীন শরীরের পাশপাশি মানসিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্যান্সার আক্রান্তের শরীরে নানান হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই বাড়তে থাকে মানসিক চাপ এবং অবসাদ। যা তাঁর চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রয়োজন প্যালিয়েটিভ কেয়ার। অর্থাৎ, যারা আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ফের স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। এমন অভিজ্ঞতার মানুষের প্রয়োজন। যারা ক্যান্সার আক্রান্তের ‘সার্পোট সিস্টেম’ হিসাবে পাশে থাকবেন। আক্রান্তের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবেন। তার ফলে রোগী চিকিৎসায় আরও দ্রুত সাড়া দেবেন।

    কেন জরুরি প্যালিয়েটিভ কেয়ার?

    অঙ্কোলজিস্ট বা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সার চিকিৎসার পথ দীর্ঘ। অধিকাংশ সময়েই রোগী হতাশ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক মূলত অস্ত্রোপচার, ওষুধ এবং কেমো কিংবা রেডিওথেরাপির বিষয়ে নজর দেন। কিন্তু এই সমস্ত প্রক্রিয়ার একটি চাপ রোগীর মনের উপরে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ক্যান্সার আক্রান্ত ফের সুস্থ হয়ে জীবন যাপনের আশা হারিয়ে ফেলছেন। কিংবা এই দীর্ঘ জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় আক্রান্ত মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছেন। অনেক সময়েই তার ফলে আক্রান্তের শরীরে চিকিৎসা সাড়া দেয় না। কিন্তু রোগী এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) পেলে সহজেই নিজের সমস্যার কথা বলতে পারেন। যেহেতু যার কাছে রোগী নিজের সমস্যা জানাচ্ছেন, তিনিও অভিজ্ঞ, তাই সহজেই সমস্যা বোঝানো যায়। পাশপাশি ক্যান্সার আক্রান্ত হলেও ফের স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব, এটা বারবার চোখের সামনে দেখলে রোগীর মধ্যে ইতিবাচক জোর আসে। যা তাঁর শরীর ও মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধ, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপির মতোই সমান জরুরি প্যালিয়েটিভ কেয়ার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোগীর শরীরে ওষুধের মতোই কাজ করে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের থেরাপি। নিয়মিত এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার পেলে রোগীর মানসিক চাপ কমে। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসাতেও সুবিধা হয়। কেমো থেরাপি বা রেডিওথেরাপির মতো চিকিৎসায় শরীরে অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তাতে চিকিৎসা আরও ভালো হয়। দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়।

    রাজ্যে সমস্যা কোথায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ হাসপাতালেই এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) নেই। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসায় (Cancer Treatment) জটিলতা আরও বাড়ছে। রোগীদের ভোগান্তিও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার গড়ে তুলতে হলে ক্যান্সার চিকিৎসার তথ্য সংগ্রহ জরুরি। রোগী কোথায় থাকেন, কতদিন চিকিৎসা চললো, এখন কেমন আছেন, এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ জরুরি। ক্যান্সার আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠার পরে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা জরুরি। কারণ প্যালিয়েটিভ কেয়ার, যারা দেবেন, তাঁদের নূন্যতম প্রশিক্ষণ জরুরি। রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করা, কথা বলা, তাঁর মনের অবস্থা বোঝার মতো প্রশিক্ষণ জরুরি। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) তৈরির প্রাথমিক কাজ ঠিক মতো হয় না। অর্থাৎ, তথ্য সংগ্রহের কাজ ঠিকমতো হয় না। ফলে রাজ্যের কোনো সরকারি হাসপাতালেই ক্যান্সার আক্রান্তেরা প্যালিয়েটিভ কেয়ারের সুবিধা পাচ্ছেন না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kasba Gangrape: আরজি করের পর কসবা ল কলেজ, গণধর্ষণকাণ্ডে মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির, আসরে মহিলা কমিশনও

    Kasba Gangrape: আরজি করের পর কসবা ল কলেজ, গণধর্ষণকাণ্ডে মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির, আসরে মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের পরে এবার দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজ (Kasba Gangrape)। ‘গণধর্ষণে’র ভয়ঙ্কর অভিযোগ। মূল অভিযুক্তের তৃণমূল যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই সন্ধ্যাবেলা ঘটে এমন ভয়াবহ নির্যাতন। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র দক্ষিণ কলকাতার ওই আইন কলেজের প্রাক্তনী। তিনি শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা বলেও অভিযোগ। বর্তমানে শাসক দলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। বর্তমানে তিনি আলিপুর আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। অন্য দুই অভিযুক্ত—জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়—কলেজের বর্তমান ছাত্র। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যৌন নির্যাতনের ঘটনার এক বছর কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের জোরালো প্রশ্ন উঠছে সমাজের নানা স্তরে। এই ঘটনায় মাঠে নেমেছে মহিলা কমিশনও।

    জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে (Kasba Gangrape)

    কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, এই মামলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে। ঘটনার পরেই একটি বিবৃতি জারি করে কমিশন জানায়, তারা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাটকর কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট সময়সীমার মধ্যেই জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

    বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে ঘটনা ঘটে

    বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার কসবার (Kasba Gangrape) একটি আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে আইন কলেজের ভিতরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন অভিযুক্ত যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, অন্যরাও অপরাধে জড়িত ছিল। তারা মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের সময় বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। এর পরেই আক্রান্তের পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।

    চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিং সংলগ্ন সিদ্ধার্থ শংকর রায় শিশু উদ্যানের কাছ থেকে মনোজিৎ মিশ্র ও জায়েব আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই রাতে অপর অভিযুক্ত প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে তার নিজ বাসভবন থেকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তকারীরা সেটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে তিন অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হলে, আলিপুর আদালত তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    তোপ দাগলেন শুভেন্দু

    খাস কলকাতায় এই ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে তিনি একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে আমি (Kasba Gangrape) একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। দলমত নির্বিশেষে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি করতে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’’ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশকে তো পুরো নিয়ে চলে গিয়েছে দিঘাতে। লোক তো নেই দিঘায় । জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। আমরা ইস্যু টেক আপ (BJP) করছি। খুব বড় জিনিস হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘এই অ্যারেস্টও লোক দেখানো, এই ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।’’

    কী বললেন সুকান্ত?

    অন্যদিকে কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘অভয়াকাণ্ডের পর আবার এক কলেজে মধ্যে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে (Kasba Gangrape)। যারা অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে একজন ওই কলেজেরই প্রাক্তনী, স্টাফ !’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখুন, যারা অভিযুক্ত তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত। আর জি কর কাণ্ডের পর প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে কলেজে শিক্ষাকেন্দ্রগুলির কোনও নিরাপত্তা নেই।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যতই রথ টানুন না কেন! কালীগঞ্জে মেয়েকে বোমা মেরে খুন করা হচ্ছে, মেয়েদের ইজ্জত লুঠ করা হচ্ছে। আর জি করে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হল। এই পাপের হাত থেকে উনি বাঁচবেন না।’’

  • India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন চিনের কুনমিং-এ অনুষ্ঠিত হয় এক বৈঠক। যেখানে মিলিত হয় তিন দেশ বাংলাদেশ, চিন ও পাকিস্তান। তিন পক্ষই সেখানে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছে। ওই বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে চিন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার উপর। পর্দার আড়ালে এই বৈঠক যে ভারতকে চাপে রাখতে করা হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ১৯ জুনের এই বৈঠকের পরেই বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গাজল চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা বলে ভারত। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে বাংলাদেশ। ভারতকে চাপে রাখতে যে তারা এমন বৈঠক করেনি, তারই সাফাই গাইতে শুরু করে ইউনূস সরকার। যা শুনে অনেকে বলছেন, একেই বলে, ঠেলার নাম বাবাজি।

    ভয় পেয়ে জোট অস্বীকার করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

    গঙ্গাজলচুক্তি ইস্যুতে ভারত বোমা ফাটাতেই, এ ধরনের উদীয়মান জোটের সম্ভাবনাকে খারিজ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক যে বৈঠক হয়েছে তিন দেশের মধ্যে, তা কোনওভাবেই রাজনৈতিক নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেনকে ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে, তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কোনও জোট গঠন করছি না। এটি সরকারি পর্যায়ের বৈঠক ছিল, কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়।” ভারতকে (India) বার্তা দিতে কি এই বৈঠক করা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, “এটি অবশ্যই কোনও তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে করা হয়নি, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।”

    চিন-পাকিস্তান চিরমিত্র, তাতে যোগ দিল বাংলাদেশ

    প্রসঙ্গত, চিন ও পাকিস্তান সবসময়ের জন্যই নিজেদের বন্ধু। কিন্তু এবার সেখানে যোগ দিল বাংলাদেশ এবং এভাবেই ত্রিপাক্ষিক একটি জোট তৈরি করা হল, যা ভারতের (India) জন্য উদ্বেগজনক। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগেও ঢাকার সঙ্গে দিল্লির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করে তুলেছিল। কিন্তু গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। জামাত ও বিএনপির সহায়তায় দখল করা হয় গণভবন। এরপর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। সে দেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বাড়তে থাকে, সীমান্তে বাড়তে থাকে অনুপ্রবেশ। দায়িত্বে আসেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনুস। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে ঢাকা, সঙ্গে যোগ হয় বেজিং। ভারত বিরোধিতা (India) বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠে চিন এবং পাকিস্তানের।

    শয়তান ত্রিভুজ

    চিন, বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পাকিস্তানের এই জোটকে শয়তান ত্রিভুজ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই জোট বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ভারতের যে আধিপত্য বজায় রয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বলেও মনে করছেন বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এ নিয়ে মেজর জেনারেল সুধাকর জি জানিয়েছেন, শয়তানের ত্রিভুজ শিলিগুড়ি করিডরকে অবরুদ্ধ করে দিতে পারে এবং ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চালাতে পারে। তিনি আরও জানান, এই শয়তানের জোট ভারতকে সবসময় চাপে রাখার চেষ্টা করবে। বেজিং, ঢাকা এবং ইসলামাবাদ তাদের দাবি পূরণের জন্য সবসময়ের জন্য কূটনৈতিক চাপে রাখতে চাইবে নয়াদিল্লিকে।

    ভূ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ গৌতম লাহিড়ীর মতে, নিরাপত্তার দিক থেকে ত্রিপাক্ষিক এই জোট ভারতের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের নতুন সরকার পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হতে চেষ্টা করছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চিনের এই ত্রিপাক্ষিক শক্তি এখনও তার প্রভাব দেখাতে পারেনি। গৌতম লাহিড়ী আরও জানান, তারা বলছে যে তারা অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক বিষয়ে মনোনিবেশ করবে; কিন্তু আসলে উদ্দেশ্য অন্য। ভারতের (India) সতর্ক হওয়া উচিত এবং ভারতের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠিত হয়, তাহলে ঢাকা চিন ও পাকিস্তানঘেঁষা জোট থেকে সরে আসতে পারে। কারণ, একটি শক্তিশালী সরকার জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই জোট যাতে আরও শক্তিশালী না হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতা এখন থেকেই বাড়ানো জরুরি। নয়তো এই ত্রিপাক্ষিক জোট দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব ও নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

  • Rajnath Singh: বেজিং-দিল্লি কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে চিনকে চার দফা প্রস্তাব রাজনাথের

    Rajnath Singh: বেজিং-দিল্লি কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে চিনকে চার দফা প্রস্তাব রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে কিংডাওতে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) চিনের অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এই বৈঠককে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা কমানো এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করতে এখানে রাজনাথ সিং চার দফা একটি প্রস্তাবনা পেশ করেন।

    রাজনাথ সিং-এর দেওয়া চার দফা প্রস্তাবনাগুলি হল

    ১. ২০২৪ সালের ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ অর্থাৎ সীমান্তে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছিয়ে নেওয়া
    ২. সীমান্ত নির্ধারণের বিষয়ে অগ্রগতি
    ৩. সীমান্ত নির্ধারণের জন্য দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টা বাড়ানো
    ৪. দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন

    পাকিস্তানের মদতপুষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি তুলে ধরেন রাজনাথ (Rajnath Singh)

    জানা গিয়েছে, চিনের (China) সঙ্গে এই বৈঠকে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) পাকিস্তানের মদতপুষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিগত অবস্থান ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই বৈঠকের পর রাজনাথ সিং এক্স (প্রাক্তন ট্যুইটার)-এ একটি ছবি শেয়ার করেন এবং জানান, নয়াদিল্লি ও বেজিং কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিবাচক রাখার বিষয়েই আলোচনা করেছে। এর পাশাপাশি, ছয় বছর পর কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ায় তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন।

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে রাজনাথ সিং কী লিখলেন

    নিজের এক্স মাধ্যমে রাজনাথ লেখেন, “কিংডাওতে (China) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে গঠনমূলক মত বিনিময় হয়েছে। প্রায় ছয় বছর পরে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ায় আমি আনন্দিত। ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত এবং নতুন কোনও জটিলতা এলে তা এড়ানো উভয় পক্ষের কর্তব্য।”

    মধুবনীর ঐতিহ্যবাহী চিত্রকলার একটি বাঁধানো ছবি উপহার দেন রাজনাথ

    চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিহারের মধুবনীর ঐতিহ্যবাহী চিত্রকলার একটি বাঁধানো ছবি উপহার হিসেবে তুলে দেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকের পর চিনের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত পারস্পরিক বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহী এবং সংঘাত এড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এই বৈঠক নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

    ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) অতিক্রম করে চিনা সেনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। সেই বছরের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। আন্তর্জাতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাল্টা আক্রমণে চিনেরও প্রায় ৪০ সেনাকর্মী নিহত হন। গালওয়ান ঘটনার পর থেকেই কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে একাধিক পর্যায়ে বৈঠক হয়, সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে। অবশেষে গত বছরের অক্টোবর মাসে ডেপসাং ও ডেমচক-সহ সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা সরানো নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে ঐক্যমত্যে পৌঁছায়। শুরু হয় ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ এবং ‘ডিএসক্যালেশন’-এর প্রক্রিয়া। সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সালের মে মাসের আগের অবস্থানে উভয় দেশের সেনাবাহিনী ফিরে যাবে।

    বালুচিস্তানের অস্থিরতার জন্য ভারতকে দায়ী করে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ এবং পহেলগাঁও হামলা নিয়ে এসসিও-তে একটি প্রস্তাবে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। এরপরই চিনের সঙ্গে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এসসিও-র সভাপতিত্ব করছে চিন। চিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাকিস্তান ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চায় এবং সন্ত্রাসবাদের ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করে। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের বালুচিস্তানে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তা উল্লেখ করে পাকিস্তান এবং ওই প্রদেশে অস্থিরতার জন্য ভারতকেই দায়ী করে তারা।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে কী জানাল চিন?

    চিনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দিল্লির সঙ্গে যে কোনও ধরনের জটিলতা এড়াতে চায় বেজিং এবং দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। তবে তারা আরও জানায়, এই বিষয়ে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। ভারত ধারাবাহিকভাবে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখছে, এই বার্তা আরও জোরালো হয় গত বছর, যখন ২০২৪ সালের অক্টোবরে রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • RSS: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ বাদ দেওয়ার আর্জি আরএসএস নেতার

    RSS: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ বাদ দেওয়ার আর্জি আরএসএস নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৬ সালের জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি যুক্ত করে। আরএসএস-এর ‘সরকার্যবাহ’ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) ওই দুটি শব্দ বাদ দেওয়ার জানালেন। বৃহস্পতিবারই এই মন্তব্য করেন তিনি। আরএসএস (RSS) নেতার মতে, এগুলি জরুরি অবস্থার সময়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    জোর করে আনা হয় এই দুই শব্দ

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ইন্দিরা সরকার জরুরি অবস্থার সময় একপ্রকার জোর করে ৪২তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবনায় ‘সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ পরিবর্তিত করে ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ যোগ করে। প্রসঙ্গত এর আগে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী-সহ কয়েক জন এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। জরুরি অবস্থায় ৫০ বছরের আবহে আরএসএস (RSS) নেতার এমন বিবৃতি ফের প্রশ্ন তুলল আদৌ কি এই শব্দ দুটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সংবিধানে?

    ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’

    দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হোসাবলে বলেন (RSS), ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’ প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত। প্রায় ২১ মাসের ওই পর্বকে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’ বলে আখ্যা দেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে (RSS)।

    সংবিধান হত্যা দিবস

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জরুরি অবস্থার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ জুনকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চলা এই জরুরি অবস্থায় গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ বিষয়ে বিবৃতি দেন এবং তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার ঘটনা ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায়। কংগ্রেস শুধু সংবিধানের চেতনাকেই লঙ্ঘন করেনি, উপরন্তু গণতন্ত্রকে কারাগারে বন্দি করেছিল। একাধিক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেন যে, ভারত কখনও ভুলবে না এই সময়কালকে। এই সময় দেশের সংসদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং আদালতকেও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

  • Bone Decay: শুধুই ক্যালসিয়াম যথেষ্ট নয়! শক্ত হাড়ের জন্য জরুরি ভিটামিন কে!

    Bone Decay: শুধুই ক্যালসিয়াম যথেষ্ট নয়! শক্ত হাড়ের জন্য জরুরি ভিটামিন কে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে হাড়ের ক্ষয় (Bone Decay) রোগ।‌ ভারতের মহিলাদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি হাড়ের সমস্যায় ভোগেন। বাদ নেই শিশুরাও। বহু ভারতীয় শিশু হাড়ের রোগে আক্রান্ত। বয়স চল্লিশের চৌকাঠ পেরোলেই অনেকে কোমড় ও হাঁটুর ব্যথায় কাবু হচ্ছেন। আর চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যার জন্যই কোমড়, হাঁটুর যন্ত্রণার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘসময় একনাগাড়ে হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই হাড়ের সমস্যার জেরে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারছেন না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা জরুরি। প্রথম থেকেই সচেতন না হলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগান্তি আরও বাড়বে। এর ফলে স্বাভাবিক জীবন‌ যাপনে অসুবিধা হবে।

    কেন হাড়ের সমস্যা বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা (Bone Decay) বাড়ার অন্যতম কারণ পুষ্টির সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে ভিটামিনের অভাব হাড়ের সমস্যা বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের পাশপাশি ভিটামিন কে-র (Vitamin K) অভাব দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ভারতীয় বিশেষত তরুণ প্রজন্মদের মধ্যে ভিটামিন কে-র অভাব বাড়ছে। যার জেরেই হাড়ের সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যাও এ দেশে উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ভিটামিন কে জাতীয় খাবার খেলে হাড়ের সমস্যা কমবে।

    কেন হাড়ের জন্য ভিটামিন কে জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন কে (Vitamin K) হাড়ের ভিতরের মজ্জা অর্থাৎ অস্থি মজ্জার জন্য জরুরি‌। অস্থি মজ্জা ঠিক রাখতে ভিটামিন কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশপাশি ভিটামিন কে পেশির তন্তু শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেশির তন্তু শক্তিশালী হলে তবেই শরীরের একাধিক কাজের এনার্জি পাওয়া যায়। কাজ করাও সহজ হয়। অস্থি মজ্জা ঠিক থাকলে হাড় ভেঙে (Bone Decay) যাওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই শরীরের কাঠামো মজবুত করতে ভিটামিন কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কীভাবে পর্যাপ্ত ভিটামিন কে পাওয়া যাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন কে-র (Vitamin K) ঘাটতি পূরণ করার জন্য ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, হাড়ের রোগ রুখতে অনেকেই নিয়মিত ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবারের দিকে নজর দেন। কিন্তু হাড় মজবুত (Strong Bones) করতে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন কে জাতীয় খাবার খাওয়া সমান জরুরি। পুষ্টিকর খাবার শরীর সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নিয়মিত শাক খাওয়া জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাওয়ার শুরুতে শাক খাওয়ার রেওয়াজ বহু পুরোনো। কিন্তু আধুনিক ব্যস্ত জীবনে অনেকেই নিয়মিত শাক খান না। ওয়ান পট মিল অর্থাৎ, একরকম খাবারেই পেট ভরিয়ে ফেলেন। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপত্তি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শাক হলো ভিটমিন কে-র সবচেয়ে বড় উৎস। যে কোনও রকম শাক থেকে সহজেই ভিটামিন কে পাওয়া যায়। বিশেষত পালং শাক, মেথির শাকের মতো সবুজ পাতা শরীরে ভিটমিন কে জোগান সহজ করে।

    ব্রকোলি ভিটামিন কে জোগান দেবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রকোলি হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রকোলি ভিটামিন কে সমৃদ্ধ একটি খাবার। নিয়মিত ব্রকোলি খেলে শরীর সহজেই ভিটামিন কে (Vitamin K) পাবে। ব্রকোলি রোস্ট কিংবা তরকারি হিসাবে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সব্জি নিয়মিত খেলে হাড়ের রোগের (Bone Decay) ঝুঁকি কমবে।

    রোজ একটি ডিম খেলে কমবে সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন কে-র অন্যতম উৎস ডিম। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে। তাই নিয়মিত একটি ডিম খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম, প্রোটিনের পাশপাশি ভিটামিন কে-র জোগান ঠিকমতো হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের নিয়মিত একটি ডিম খাওয়ানো জরুরি। ডিমে‌র পুষ্টিগুণ প্রচুর। একাধিক ভিটামিনের চাহিদাও ডিম সহজেই পূরণ করে। তাই ডিম নিয়মিত খেলে শিশুদের ও হাড়ের রোগের (Bone Decay) ঝুঁকি কমবে।

    কিউই জাতীয় ফল!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিউই জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে (Vitamin K) থাকে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন কিউই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফল থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন কে পাবে। ফলে হাড়ের রোগের ঝুঁকিও কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Rath Yatra 2025: পুরীর রথযাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল জানেন?

    Rath Yatra 2025: পুরীর রথযাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার ২৭ জুন পবিত্র রথযাত্রা। হিন্দু ধর্মের অন্যান্য উৎসবের মতোই রথযাত্রাও এক জাঁকজমকপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান (Rath Yatra 2025)। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয়ে থাকে। ভারতবর্ষের বহু জায়গায়, বিশেষ করে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয়। ওড়িশার পুরীর রথ সারা পৃথিবী বিখ্যাত। তবে শুধু ভারতবর্ষে নয়, ডাবলিন মস্কো এবং নিউ ইয়র্ককেও রথযাত্রার পালিত হয়।

    ‘রথ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ যুদ্ধযান বা চাকাযুক্ত ঘোড়ায় টানা হালকা যাত্রীবাহী গাড়ি হলেও, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে রথ শব্দের অর্থ কিন্তু ভিন্ন। ভক্তদের মতে, রথ একটি কাঠের তৈরি যান, যার উপরে ভগবান জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরাম বসে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করেন। ভগবানের এই রথ আরোহণই ‘রথযাত্রা’ (Rath Yatra 2025) নামে পরিচিত। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এবং কবে থেকে রথযাত্রার আবির্ভাব হল।

    রথযাত্রার পৌরাণিক ইতিহাস (Rath Yatra 2025)

    রথ যাত্রার এই কাহিনীর সঙ্গে জড়িত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। আর জগন্নাথ হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই এক রূপ। ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’ অনুযায়ী, এই রথযাত্রার প্রচলন হয়েছিল সম্ভবত দ্বাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে। তখন ওড়িশা মালবদেশ নামে পরিচিত ছিল। সেখানকার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। তিনি স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণুর জগন্নাথরূপী মূর্তি নির্মাণ করেন এবং রথযাত্রারও স্বপ্নাদেশ পান।

    লোকমুখে শোনা যায়, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদেশ পান যে পুরীর (Puri) সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাঠের খণ্ড দিয়ে জগন্নাথের মূর্তি নির্মাণ করতে হবে। আদেশ অনুযায়ী মূর্তি নির্মাণের জন্য যখন রাজা উপযুক্ত শিল্পীর সন্ধান করছিলেন, ঠিক তখনই এক বৃদ্ধ তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন। তিনি জানান তিনিই এই মূর্তিটি তৈরী করবেন এবং রাজার কাছে মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন, পাশাপাশি ওই বৃদ্ধ বলেন এই মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেয়।

    দরজার আড়ালে শুরু হয় কাঠের মূর্তি নির্মাণ। রাজা-রানীসহ সকলেই এই মূর্তি নির্মাণকাজের ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। রানি প্রতিদিন বন্ধ দরজার বাইরে থেকে কান পেতে আওয়াজ শুনতো। কিন্তু হঠাৎই একদিন সেই আওয়াজ একদিন বন্ধ হয়ে যায়। রানী কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে রাজাকে জানাতেই ইন্দ্রদ্যুম্ন দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন, দেখেন মূর্তি অর্ধসমাপ্ত এবং শিল্পী উধাও। এই রহস্যময় শিল্পী ছিলেন বিশ্বকর্মা।

    তিনটি অর্ধসমাপ্ত মূর্তি দেখে অর্থাৎ হাত ও পা নির্মিত হয়নি বলে রাজা মুষড়ে পড়লেন। কাজে বাধাদানের জন্য রাজা অনুতাপ করতে থাকলেন। তখন তাঁকে স্বপ্ন দিয়ে জগন্নাথ বললেন যে, এরকম আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তিনি এই রূপেই পূজিত হতে চান। এভাবেই আবির্ভাব ঘটে জগন্নাথ দেবের এবং সেই থেকেই শুরু তাঁর পুজো (Rath Yatra 2025)। পরবর্তীকালে রাজা পুরীর (Puri) এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও রথযাত্রার প্রচলন করেন।

    রথের বিশেষত্ব

    পুরীর রথযাত্রায় ব্যবহৃত তিনটি রথের ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকে। জগন্নাথ দেবের রথের নাম ‘নান্দীঘোষ’, বলরামের রথের নাম ‘তালধ্বজ’ এবং সুভদ্রার রথের নাম ‘দর্পদলন’। এই তিনটি রথের উচ্চতা এবং রঙও আলাদা হয়। জগন্নাথ দেবের রথে ১৮টি চাকা থাকে, বলরামের রথে থাকে ১৬টি চাকা। জগন্নাথ এবং বলরামের বোন সুভদ্রার রথে থাকে ১২টি চাকা।

    বর্তমানে এই রথযাত্রা বিশ্ববিখ্যাত এবং সারা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে এক আনন্দের অনুষ্ঠান। ভক্তদের সমাগমে ছেয়ে যায় পুরুষোত্তম ক্ষেত্র বা শ্রীক্ষেত্র। ভারতবর্ষের সকল মানুষ অপেক্ষায় থাকেন এই উৎসবের জন্য।

  • Rath Yatra 2025: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ, রাজকীয় পদগুলি কী কী জানেন?

    Rath Yatra 2025: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ, রাজকীয় পদগুলি কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথের দিনগুলিতে (Rath Yatra 2025) পুরীতে তুমুল আয়োজন পুরীর জগন্নাথধামে। রথযাত্রার একাধিক উপাচারের অন্যতম আকর্ষণ হল জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগ (Puri Chappanna Bhog) নিবেদন। ৫৬ ভোগের রাজকীয় সেই খাবারের পদগুলি থেকে নিয়ম সবক্ষেত্রেই পাওয়া যায় পুরাণকথার একাধিক আঙ্গিক। কিন্ত কেন দেওয়া হয় এই বিশেষ ভোগ?

    ৫৬ ভোগ নিয়ে কী বলছে পুরাণ? (Puri Chappanna Bhog)

    পুরাণ মতে, যশোদা বালক কৃষ্ণকে আট প্রহর খেতে দিতেন। কিন্তু, একটা সময় ইন্দ্রের রোষে পড়ে মহাপ্রলয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় প্রাণীদের রক্ষা করতে নিজের কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পাহাড় তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাতদিন ওইভাবেই তিনি ছিলেন। খাবার ও জল কোনও কিছুই মুখে দেননি। প্রলয় বন্ধ হওয়ার পর সেই পাহাড় নামিয়ে রেখেছিলেন। এদিকে যে ছেলে দিনে আটবার খাবার খেত তাকে টানা সাতদিন অনাহারে থাকতে দেখে কেঁদে উঠেছিল যশোদার মন। তখন ব্রজবাসী-সহ যশোদা সাতদিন ও আট প্রহরের হিসেবে কৃষ্ণের জন্য ৫৬টি পদ পরিবেশন করেছিলেন। আর সেই থেকেই নারায়ণের ছাপ্পান্ন ভোগ (Puri Chappanna Bhog) চলে আসছে।

    মর্ত্যে এসে চার ধাম যাত্রা করেন ভগবান বিষ্ণু (Rath Yatra 2025)

    এও কথিত আছে, ভগবান বিষ্ণু মর্ত্যলোকে এসে তাঁর চার ধামে যাত্রা করেন। এই চার ধাম হল- বদ্রীনাথ ধাম, দ্বারিকা ধাম, পুরী ধাম এবং রামেশ্বরম। প্রথমে হিমালয়ের শিখরে অবস্থিত বদ্রীনাথ ধামে স্নান করেন, তারপর গুজরাটের দ্বারিকা ধামে গিয়ে বস্ত্র পরিধান করেন, ওড়িশার পুরী ধামে ভোজন করেন আর সবশেষে রামেশ্বরমে গিয়ে বিশ্রাম নেন। আর পুরী ধামে যেখানে তিনি ভোজন করেন সেখানে ভোগের কোনও চমক থাকবে না (Rath Yatra 2025) এটা কখনও হয়। পুরাণ মতে, ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত করা হয় জগন্নাথদেবকে। জগন্নাথের মধ্যে বিষ্ণুর সকল অবতারের চিহ্ন আছে। আর সেই কারণে তাঁকেও অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ।

    কী কী পদ থাকে এই ছাপ্পান্ন ভোগে?

    জগন্নাথকে দেওয়া ৫৬ ভোগে (Puri Chappanna Bhog) রাখা হয়— ১) উকখুড়া অর্থাৎ মুড়ি, ২) নাড়িয়া কোড়া অর্থাৎ নারকেল নাড়ু, ৩) খুয়া অর্থাৎ খোয়া ক্ষীর, ৪) দই, ৫) পাচিলা কদলি অর্থাৎ পাকা কলা, ৬) কণিকা অর্থাৎ সুগন্ধী ভাত, ৭) টাটা খিচুড়ি অর্থাৎ শুকনো খিচুড়ি, ৮) মেন্ধা মুণ্ডিয়া অর্থাৎ বিশেষ ধরণের কেক, ৯) বড়া কান্তি অর্থাৎ বড় কেক, ১০) মাথা পুলি অর্থাৎ পুলি পিঠে, ১১) হামসা কেলি অর্থাৎ মিষ্টি কেক, ১২) ঝিলি অর্থাৎ এক ধরণের প্যান কেক, ১৩) এন্ডুরি অর্থাৎ নারকেল দিয়ে তৈরি কেক, ১৪) আদাপচেদি অর্থাৎ আদা দিয়ে তৈরি চাটনি, ১৫) শাক ভাজা, ১৬) মরিচ লাড্ডু অর্থাৎ লঙ্কার লাড্ডু, ১৭) করলা ভাজা, ১৮) ছোট্ট পিঠে, ১৯) বরা অর্থাৎ দুধ তৈরি মিষ্টি, ২০) আরিশা অর্থাৎ ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি, ২১) বুন্দিয়া অর্থাৎ বোঁদে, ২২) পাখাল অর্থাৎ পান্তা ভাত, ২৩) খিরি অর্থাৎ পায়েস, ২৪) কাদামবা অর্থাৎ বিশেষ মিষ্টি ২৫) পাত মনোহার মিষ্টি ২৬) তাকুয়া মিষ্টি, ২৭) ভাগ পিঠে, ২৮) গোটাই অর্থাৎ নিমকি, ২৯) দলমা অর্থাৎ ভাত ও সবজি, ৩০) কাকারা মিষ্টি ৷ ৩১) লুনি খুরুমা অর্থাৎ নোনতা বিস্কুট, ৩২) আমালু অর্থাৎ মিষ্টি লুচি, ৩৩) বিড়ি পিঠে, ৩৪) চাড়াই নাডা মিষ্টি, ৩৫) খাস্তা পুরি, ৩৬) কদলি বরা, ৩৭) মাধু রুচি অর্থাৎ মিষ্টি চাটনি, ৩৮) সানা আরিশা অর্থাৎ রাইস কেক, ৩৯) পদ্ম পিঠে, ৪০) পিঠে, ৪১) কানজি অর্থাৎ চাল দিয়ে বিশেষ মিষ্টি. ৪২) দাহি পাখাল অর্থাৎ দই ভাত, ৪৩) বড় আরিশা, ৪৪) ত্রিপুরি, ৪৫) সাকারা অর্থাৎ সুগার ক্যান্ডি, ৪৬) সুজি ক্ষীর, ৪৭) মুগা সিজা, ৪৮) মনোহরা মিষ্টি, ৪৯) মাগাজা লাড্ডু, ৫০) পানা, ৫১) অন্ন, ৫২) ঘি ভাত, ৫৩) ডাল, ৫৪) বেসর অর্থাৎ সবজি বিশেষ, ৫৫) মাহুর অর্থাৎ লাবরা, ৫৬) সাগা নাড়িয়া অর্থাৎ নারকেলের দুধ দিয়ে মাখা ভাত।

LinkedIn
Share