Tag: মাধ্যম বাংলা বাংলা খবর

  • Top 10 Busiest Airports: ২০২৪ সালে বিশ্বের ১০ ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস

    Top 10 Busiest Airports: ২০২৪ সালে বিশ্বের ১০ ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে বিশ্বের ব্যস্ততম ১০ বিমানবন্দরের (Top 10 Busiest Airports) তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস পত্রিকা। প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অন্যদিকে প্রথম দশে ভারতের একমাত্র বিমান বন্দর হিসেবে স্থান পেয়েছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এবার আমরা দেখে নেব ফোর্বসের সেই তালিকা (Airports)। ২০২৪ সালে প্রথম দশে থাকা এই বিমান বন্দরগুলি দিয়ে কত মানুষ যাতায়াত করেছেন।

    বিশ্বের ১০ ব্যস্ততম বিমানবন্দর (Top 10 Busiest Airports)

    ১. হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ১০৮০,০৬৭,৭৬৬ জন।

    ২. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (সংযুক্ত আরব আমিরশাহি), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৯২,৩০০,০০০ জন।

    ৩. ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮৭,৮১৭,৮৬৪ জন।

    ৪. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর (জাপান), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮৫,০০০,০০০ জন।

    ৫. হিথ্রো বিমানবন্দর (ব্রিটেন), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮৩,৮৬০,০০০জন।

    ৬. ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮২,৩৫৮,৭৪৪ জন।

    ৭. ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮০,০০০,০০০ জন।

    ৮. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর (তুর্কি), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৭৯,৯৮৮,২৭২ জন।

    ৯. ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ভারত), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৭৭,৮২০,৮৩৪ জন।

    ১০, সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (চিন), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৭৬,৭৮৭,০৩৯ জন।

    প্রথম দশে থাকা কোন বিমানবন্দর (Top 10 Busiest Airports) কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল

    ১. হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯২৬

    অবস্থান: জর্জিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ২. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬০

    অবস্থান: দুবাই

    ৩. ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩

    অবস্থান: ডালাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ৪. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর (Top 10 Busiest Airports)

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫ অগাস্ট, ১৯৩১

    অবস্থান: হানেদাকুকো, ওটা সিটি, টোকিও, জাপান

    ৫. হিথ্রো বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৫ মার্চ, ১৯৪৬

    অবস্থান: হাউন্সলো, যুক্তরাজ্য

    ৬. ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫

    অবস্থান: ডেনভার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ৭. ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারী ১৯৪৪

    অবস্থান: ও’হেয়ার, শিকাগো, ইলিনয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ৮. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৯ অক্টোবর, ২০১৮

    স্থান: তাইকাদিন, তুর্কি

    ৯. ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে

    অবস্থান: নয়া দিল্লি, ভারত

    ১০. সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১ অক্টোবর, ১৯৯৯

    অবস্থান: সাংহাই, চিন

  • Muslim population: চার বছরে কর্নাটকে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৫.১৬ শতাংশ, উঠে এল সমীক্ষায়

    Muslim population: চার বছরে কর্নাটকে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৫.১৬ শতাংশ, উঠে এল সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের কর্নাটকে মুসলিম জনসংখ্যা (Muslim population) বেড়েছে ৫.১৬ শতাংশ। এমনটাই উঠে এসেছে একটি আর্থ-সামাজিক সমীক্ষায়। জানা যাচ্ছে, ২০১১ সালে যে জনগণনা হয়েছিল তখন মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১২.৯২ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে তা ১৮.০৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে, মাত্র চার বছরের মধ্যেই ৫.১৬ শতাংশ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনৈতিক কারণে মুসলিমদের জন্য যে সংরক্ষণ নীতি চালু হয় কর্নাটকে, তারই প্রভাব এখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    কর্নাটকে মুসলমান সংরক্ষণ ৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ করার সুপারিশ

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার কর্নাটক রাজ্যে (Muslim population) ২০১৫ সালে একটি আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সময় রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ছিল ৬.৩৫ কোটি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে এই সমীক্ষায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী বা ওবিসির মধ্যে মুসলমানরাই সবথেকে বড় জনগোষ্ঠী হিসেবে সামনে আসে। রাজ্যে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ৭৫.২৫ লক্ষ। কর্নাটকে ওবিসির মধ্যে মুসলমানরা আছে ২-বি ক্যাটাগরিতে। ঠিক এই কারণে কর্নাটকের কমিশন মুসলমান সংরক্ষণ ৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে। সামগ্রিকভাবে ওবিসি সংরক্ষণ ৩২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫১ শতাংশ করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার কর্নাটকে মোট জনসংখ্যার ৬৯.৬ শতাংশই হল ওবিসি।

    ১৭ এপ্রিল বৈঠকে বসছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কর্নাটক রাজ্যের (Muslim population) সমীক্ষা বলছে যে মোট মুসলিম জনসংখ্যার ৪৪.৬৩ মানুষ শহরাঞ্চলে বসবাস করেন। অন্যদিকে মাত্র ৩২.৩৬ লক্ষ মুসলিম গ্রামীণ কর্নাটকে বাস করেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে মুসলিমরা শহরেই বেশি বাস করছে। এই আবহে আগামী ১৭ এপ্রিল কর্নাটকে (Karnataka) কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধরামাইয়ার নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এখানে কোন কোন সুপারিশগুলি রাখা সম্ভব মুসলিম সংরক্ষণের (Muslim population) ক্ষেত্রে সে নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ভারতে ১৯৫০ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৮৪ শতাংশ। ২০১৫ সালের তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৭৮ শতাংশ। একইভাবে মুসলমানদের জনসংখ্যা ১৯৫০ সালে ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৪.০৯ শতাংশ।

  • Gujrat ATS: উপকূল রক্ষাবাহিনী ও গুজরাট এটিএস-র যৌথ অভিযানে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার

    Gujrat ATS: উপকূল রক্ষাবাহিনী ও গুজরাট এটিএস-র যৌথ অভিযানে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং গুজরাটের এন্টি টেরোরিস্ট গুজরাট এটিএস-এর (Gujrat ATS) যৌথ অভিযানে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার হল। জানা যাচ্ছে, এই বিপুল পরিমাণে উদ্ধার হওয়া মাদকের (Narcotics) বর্তমান বাজার মূল্য ১,৮০০ কোটি টাকা। এমনটাই জানিয়েছে উপকূল রক্ষা বাহিনী। জানা যাচ্ছে, মধ্য সমুদ্রে অপারেশন চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণে মাদক উদ্ধার করে উপকূল রক্ষা বাহিনী (Gujrat ATS)। সঙ্গে ছিল গুজরাট এটিএস।

    গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়েই শুরু অভিযান (Gujrat ATS)

    এ নিয়ে বিবৃতিও সামনে এসেছে। নিজেদের এক বিবৃতিতে ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত ১২ এবং ১৩ এপ্রিল গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়ে এই অভিযান শুরু করে তারা। মাদকবিরোধী এই অভিযানে তাদের সঙ্গে সামিল হয় গুজরাটে এটিএসও (Gujrat ATS)। এর ফলে ৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার হয় যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৮০০ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, একটি বিদেশি নৌকো করে এভাবেই ওই মাদক পাচার করা হচ্ছিল। তারপরে এই অভিযান চালিয়ে তা ধরে ফেলে ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনী। জানা গিয়েছে, এই অভিযান চালানো হয় উত্তর মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাটের উপকূল অঞ্চলে। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনের মধ্যেই উদ্ধার করা হয় এই বিপুল মাদক (Narcotics)।ওই সন্দেহভাজন নৌকো দেখেই ধাওয়া করে উপকূল রক্ষা বাহিনী। এরপর আটক করা হয় ওই নৌকোটি।

    গত বছরেই গুজরাট উপকূলে উদ্ধার হয়েছিল ৩,৩০০ কেজি মাদক

    সাম্প্রতিককালে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মাদক উদ্ধার হয়েছিল গুজরাট উপকূল থেকে। ভারতীয় নৌসেনা, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, গুজরাট পুলিশ মিলে যৌথ উদ্যোগে অভিযান চালায়। গুজরাত উপকূলে একটি সন্দেহজনক নৌকা থেকে ৩,৩০০ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮৯ কেজির চরস, ১৫৮ গ্রাম মেথামফেটামিন, ২৫ কেজি মরফিন পাওয়া যায়। নৌকায় থাকা ৫ জনকে গ্রেফতার করে ভারতীয় নৌসেনা।

  • Murshidabad: মনে করাচ্ছে ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’, জীবন বাঁচাতে ভিটে ছাড়ছেন মুর্শিদাবাদের আক্রান্ত হিন্দুরা

    Murshidabad: মনে করাচ্ছে ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’, জীবন বাঁচাতে ভিটে ছাড়ছেন মুর্শিদাবাদের আক্রান্ত হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে মৌলবাদীদের তাণ্ডবে অশান্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। অভিযোগ, বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দু বাড়িগুলিকে। পরিবার নিয়ে হিন্দুরা নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নিচ্ছেন। এমন চিত্র সারা দেশ দেখেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে। গত শুক্রবার ১১ এপ্রিল থেকে এই জেলার সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান প্রভৃতি স্থানে হিন্দু সমাজের ওপর আক্রমণ নেমে আসে বলে অভিযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুরা জানাচ্ছেন, বেছে বেছে হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। তাঁদের বাড়িঘর দোকান মন্দির এই সমস্ত কিছু কিছুতেই হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় যে বিক্ষোভ শুরু হয় তা শুক্রবার ঠিক নামাজের পরেই শুরু হয়। শনিবার পর্যন্ত এই তাণ্ডব অব্যাহত ছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে শয়ে শয়ে হিন্দুকে মুর্শিদাবাদে নিজেদের ভিটেমাটি- এই সমস্ত সমস্ত কিছু ত্যাগ করে নৌকায় চড়ে পার্শ্ববর্তী মালদা জেলায় পালিয়ে যেতে হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরবর্তীকালেও ঠিক এমনটাই হয়েছিল। যখন তাঁদেরকে এভাবে পালিয়ে যেতে হয়।

    কী বলছেন হিন্দু ব্যবসায়ীর স্ত্রী মঞ্জু ভগত?

    এ নিয়ে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তক-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হিন্দু ব্যবসায়ীর স্ত্রী মঞ্জু ভগত বলেন, ‘‘তারা অর্থাৎ মৌলবাদীরা আমাদের বাড়ির সামনে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। তখন তারা পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। এর পরেই তারা আমাদের বাইক ভাঙচুর। বাড়ি ভাঙচুর করে। চেয়ার, গদি টিভি থেকে শুরু করে দামি জিনিসপত্র সমস্ত কিছু তারা লুট করে।’’ ওই হিন্দু মহিলা আরও বলেন, ‘‘মৌলবাদীদের ভয়ে আমাদের পুরো পরিবার তখন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছিলাম। আমরা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে লুকিয়ে ছিলাম। আমরা তখন ভগবানের নাম জপ করছিলাম এবং প্রার্থনা করছিলাম যে এই উন্মত্ত মৌলবাদী জনতা যেন আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সেই সময় আমার মেয়ের যদি কিছু একটা ঘটত! তখন আমি কি করতে পারতাম।’’ ওই মহিলা আরও জানান, স্থানীয় দোকানগুলিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। একজন হিন্দু দোকানদার এরপরেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন,‘‘চা, বিস্কুট, সিগারেট সহ আমি যা যা বিক্রি করতাম সবই শেষ হয়ে গেল।’’ ভাঙচুরের সময় পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী।

    উন্মত্ত মৌলবাদীরা বলছিল, এটা একটা ট্রেলার সিনেমা এখনও আসেনি!

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বাসিন্দা নারায়ণ সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরও দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি কী বলব আর কি করব কিছুই জানিনা। এখানে আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই।’’ স্থানীয় সুজিত সাহা নামের এক হিন্দু ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘উন্মত্ত মৌলবাদীদের ভিড় যখন হামলা করছিল, তখন তারা বারবার বলছিল এটা একটা ট্রেলার সিনেমা এখনও আসেনি।’’ হিংসা কবলিত ওই এলাকাতেই ছিল শুভ স্মৃতি হোটেল। যার মালিকের স্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার এখানে এই দোকান ছিল। যা ভাঙচুর করা হয়েছে। তারা আমার সমস্ত জিনিসপত্র লুট করেছে। দোকানের ভেতরে থাকা নগদ টাকা পয়সা কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখন আমরা কিভাবে খাব?’’

    মৌলবাদীদের (Murshidabad) তাণ্ডবে পুলিশ লুকিয়ে ছিল

    সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনোজ ঘোষ নামের এক ব্যক্তি জানান, সমস্ত ঘরবাড়ি এবং দোকান ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। চারপাশে তাকিয়ে আপনারা নিজেরাই দেখতে পারেন। কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল হিন্দুরা। ওই মনোজ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে আরও দাবি করেন, ‘‘শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এখানে একটি স্থায়ী বিএসএফের ক্যাম্প চাই।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘যখন মৌলবাদীদের এমন তান্ডব চলছিল, তখন কোনও পুলিশ ৪ ঘণ্টা ধরে ধারে কাছে ছিল না।’’ মনোজ ঘোষ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘পুলিশ স্টেশনটি আমাদের বাড়ি থেকে ২০০ মিটারের দূরত্বের মধ্যে ছিল কিন্তু আমাদের উদ্ধারে কেউ আসেনি।’’

    পুলিশ নিজেই তাদের জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছিল

    এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে (Murshidabad) অপর এক স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু বলেন, ‘‘ওরা বাইক ভাঙচুর করেছে। আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র লুট করেছে। দোকানপাট পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি রাতে ঘুমোতে পারিনি। আমরা জেগে ছিলাম এবং সারারাত সন্ত্রস্ত অবস্থায় ছিলাম। এখানে যখন হিংসা চলছিল তখন কোনও পুলিশ বাহিনীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ নিজেই তাদের জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছিল। দেখা যাক সরকার আমাদের কোনও ক্ষতিপূরণ (Waqf Law) দেয় কিনা!’’ মৌলবাদীদের তাণ্ডবের শিকার এক হিন্দু এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি করছি। কারণ এখানে যেহেতু কেবল অরাজকতা এবং গুন্ডামি চলছে। শুক্রবারে নামাজের পর থেকেই মিছিল বের হয় এবং তারপর থেকে এই তাণ্ডব চলতে থাকে।’’

    জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ (Murshidabad)

    অন্যদিকে, একটি ভাইরাল ভিডিওতে (মাধ্যম সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা যাচ্ছে এক মধ্যবয়সি হিন্দু মহিলাকে। তিনি বলছেন, ‘‘মৌলবাদীরা তাদের জলের ট্যাঙ্ক গুলিতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেই জল খেতে পারিনি। কারণ তা বিষ মিশ্রিত ছিল।’’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তরফ থেকে যে ভিডিওগুলি দেখানো হচ্ছে সেখানে দেখা যাচ্ছে হিন্দু মহিলারা মুর্শিদাবাদ থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে আসছেন। এমনকি মাত্র ছয় দিনের বাচ্চাকে নিয়েও পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন হিন্দুরা।

    মোদি ওয়াকফ আইন এনেছে, কোনও হিন্দুকে থাকতে দেব না এমনটাই বলছিল মৌলবাদীরা, দাবি স্থানীয়দের

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং এক্স মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে অজস্র হিন্দু ধুলিয়ান থেকে গঙ্গা পার হয়ে মালদা জেলায় যাচ্ছেন। সেখানে হিন্দু পুরুষ এবং মহিলা প্রত্যেককেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। তাঁরা নিজেদের ওপর হওয়া সন্ত্রাসের কথাগুলিকে বলছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বেছে বেছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলা করা হয়েছে। একজন মহিলা বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে ব্যাপক বোমাবাজি চলছে। যার ফলে আমরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি।’’ আর একজন মহিলা বলেন, ‘‘তারা আমাদের এখানে বলে দিয়েছে যে নরেন্দ্র মোদি ওয়াকফ বিল পাস করেছে। তাই আমরা এখানে কোনও হিন্দুকে থাকতে দেব না। সোনার অলংকার এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, মৌলবাদীরা অনেক বাড়িতে আগুনও লাগিয়েছে আমাদের শিশুরা খেতে পাচ্ছে না এবং মহিলাদেরকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’

    মুর্শিদাবাদের ঘটনাকে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য

    মুর্শিদাবাদের এই ঘটনায় এক্স মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। নিজের পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি লেখেন, ‘‘১১ এপ্রিল হল বাঙালির ইতিহাস একটি কালো দিন। কারণ এই দিনই বাঙালিকে মনে করিয়ে দিল ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এর কথা। মুর্শিদাবাদে যেখানে ভিটেমাটি ছাড়তে হচ্ছে হিন্দুদের এবং মৌলবাদীরা ধুলিয়ান শামসেরগঞ্জ সুতি প্রভৃতি জায়গায় তান্ডব চালাচ্ছে।’’

  • Ambedkar Jayanti: ন্যায় ও সাম্যের মূর্ত প্রতীক অম্বেডকর, জন্মদিনে জানুন সংবিধান প্রণেতার জীবনী

    Ambedkar Jayanti: ন্যায় ও সাম্যের মূর্ত প্রতীক অম্বেডকর, জন্মদিনে জানুন সংবিধান প্রণেতার জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১৪ এপ্রিল সংবিধান প্রণেতা ডক্টর ভীমরাও রামজি অম্বেডকরের জন্ম জয়ন্তী (Ambedkar Jayanti)। তাঁর নেতৃত্বেই গড়া হয়েছিল সংবিধান কমিটি। যে সংবিধান গৃহীত হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। সময় যত গড়িয়েছে, দেশ যত এগিয়েছে, অম্বেডকর (Bhimrao Ramji Ambedkar) ততই পরিচিতি লাভ করেছেন ন্যায় ও সাম্যের মূর্ত প্রতীক হিসেবে।

    অম্বেডকর আখ্যান (Ambedkar Jayanti)

    নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে সংবিধান। যদিও অটুট রয়েছে অম্বেডকরের নেতৃত্বে তৈরি সংবিধান। তফশিলি সম্প্রদায়ের এই মানুষই জন্মেছিলেন ১৮৯১ সালের ১৪ এপ্রিল। মধ্যপ্রদেশের মহউ ক্যান্টনমেন্টে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অম্বেডকর (Ambedkar Jayanti)। মহারাষ্ট্রের সাতারায় প্রাথমিক স্কুলের পাঠ চুকিয়ে বম্বের (অধুনা মুম্বই) এলফিনস্টোন হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯১২ সালে বম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ পাশ করেন। কলেজে অসাধারণ দক্ষতার কারণে এমএ এবং পিএইচডি করার জন্য ১৯১৩ সালে বরোদা রাজ্যের মহারাজা তাঁকে বৃত্তি দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠও নেন তিনি। তাঁর থিসিসের শিরোনাম ছিল ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসন ও অর্থ’। সেখান থেকে অম্বেডকর চলে যান লন্ডনে। ভর্তি হন লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সে। আইন (Ambedkar Jayanti) পড়ার জন্য ভর্তি হন গ্রেস ইনে। অর্থাভাবে ১৯১৭ সালে দেশে ফেরেন অম্বেডকর। ১৯১৮ সালে সিডেনহাম কলেজ, মুম্বইয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতির অধ্যাপক হন তিনি।

    গণপরিষদের খসড়া কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন অম্বেডকর

    ১৯৪৬ সালে ভারতের গণপরিষদে নির্বাচিত হন অম্বেডকর। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন ভারতের দেশের প্রথম আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। পরে নির্বাচিত হন গণপরিষদের খসড়া কমিটির চেয়ারপার্সন। গণপরিষদের তৎকালীন সদস্য মহাবীর ত্যাগী অম্বেডকরকে ‘প্রধান শিল্পী’ আখ্যা দিয়েছিলেন। অম্বেডকর সম্পর্কে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, “চেয়ারে বসে এবং প্রতিদিনের কার্যধারায় দেখছি, আমি বুঝতে পেরেছি যে অন্য কেউ এত উদ্যমে থাকতে পারেন না। নিষ্ঠার সঙ্গে ড্রাফটিং কমিটির সদস্যরাও বিশেষ করে এর চেয়ারম্যান ডঃ অম্বেডকর তাঁর স্বাস্থ্যের কথা না ভেবেই কাজ করে গিয়েছেন। তিনি কেবল তাঁর নির্বাচনকে ন্যায্যতা দেননি, বরং তিনি যে কাজটি করেছেন, তাতে দীপ্তি যোগ করেছেন।”

    অম্বেডকরের সামাজিক আন্দোলন

    ১৯৫২ সালে অম্বেডকর রাজ্যসভার সদস্য হন। এই বছরই কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়। পরের বছরই ওই একই ডিগ্রি দেয় হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও। দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে ১৯৫৫ সালে তাঁর স্বাস্থ্য একেবারেই ভেঙে পড়ে। ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে ঘুমঘোরে না ফেরার দেশে চলে যান অম্বেডকর। অম্বেডকর ছিলেন সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে। মহিলাদের অধিকারের দাবিতে সওয়াল করেছেন নানা সময়। লিঙ্গ বৈষম্য, সমাজ থেকে অস্পশ্যতা দূর করতে এবং দলিত মহিলাদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। স্কুলে পড়ার সময় উচ্চবর্ণের লোকজন যে কলে জলপান করত, সেখানে তাঁকে জল খেতে দেওয়া হয়নি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও তা ভুলে যাননি তিনি। এই প্রেক্ষিতেই তিনি লিখেছিলেন বিশ্বখ্যাত বই ‘দ্য আনটাচেবল’। সমালোচকদের একাংশের মতে, যা তৎকালীন সমাজের জীবন্ত দলিল। অম্বেদকর দলিত বৌদ্ধ আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং অস্পৃশ্য বা দলিতদের সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন। অম্বেডকর একজন খ্যাতনামা আইনবিদ, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ। তিনি দলিত বৌদ্ধ আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

  • Charak Puja: চৈত্র সংক্রান্তিতে জানুন চড়ক উৎসবের পৌরাণিক কাহিনি

    Charak Puja: চৈত্র সংক্রান্তিতে জানুন চড়ক উৎসবের পৌরাণিক কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার চৈত্র সংক্রান্তি। এদিনই বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে হয় চড়ক উৎসব (Charak Puja)। কোথাও কোথাও এই উৎসব উপলক্ষে মেলাও বসে। নীলষষ্ঠীর পরের দিনই হয় চড়ক উৎসব। তাই অনেকেই একে শিবের (Lord Shiva) গাজনের অঙ্গ হিসেবেই বিবেচনা করেন।

    চড়ক উৎসব (Charak Puja)…

    ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ অনুযায়ী, দ্বারকাধীশ কৃষ্ণের সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেবের একনিষ্ঠ ভক্ত বাণরাজার যুদ্ধ হয়। যুদ্ধ শুরুর আগে মহাদেবের স্তব-স্তুতি করেন রাজা বাণ। যুদ্ধে যাতে তিনি জয়ী হন এবং অমরত্ব লাভ করেন, তাই নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে তুষ্ট করেন ভগবান শঙ্করকে। তাঁর এই কৃচ্ছসাধনায় সন্তুষ্ট হন ভোলানাথ। রাজা বাণকে অমরত্বের আশীর্বাদ দেন তিনি। সেই শুরু চড়ক উৎসবের। তবে পুরাণ কথিত এই উৎসবের প্রচলন হয় ১৪৮৫ সালে, সূচনা করেন রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর। তার পর থেকে মূলত শৈবরাই পালন করতেন চড়ক উৎসব। বর্তমানে এই উৎসব হয়েছে সর্বজনীন।

    একটি লম্বা কাষ্ঠখণ্ডকে (Charak Puja) বছরভর ডুবিয়ে রাখা হয় জলে। এই কাষ্ঠখণ্ডকে বলে চড়ক কাঠ। চড়ক পুজোর আগের দিন জলেই পুজো করা হয় সেই কাঠকে। তার পরে জল থেকে তুলে নিয়ে এসে পোঁতা হয় কোনও মাঠে। এই চড়ক কাঠের মাথায় থাকে লম্বা একটি বাঁশ। এই বাঁশের একদিকে ঝোলেন কোনও এক সন্ন্যাসী। অন্যদিকে ঝুলতে থাকে মস্ত বড় দড়ি। এই দড়ি ধরে ঘুরতে থাকেন ভক্তরা। বাঁশে ঝুলন্ত সন্ন্যাসী শূন্যে ভাসতে ভাসতে ছড়াতে থাকেন বাতাসা। সেই বাতাসাকেই প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন ভক্তরা।

    কোথাও কোথাও আবার জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হেঁটে যান সন্ন্যাসীরা। লৌহশলাকা পিঠে ফুটিয়ে নৃত্য করতে থাকেন কোনও কোনও সন্ন্যাসী। কোথাও কোথাও আবার সন্ন্যাসীরা কাঁটা গাছের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। যেহেতু এই পুজোর মূল কথাই হল কৃচ্ছসাধন, তাই নানা প্রকারে এদিন দেবাদিদেবকে তুষ্ট করার চেষ্টা করেন সন্ন্যাসীরা। এ রাজ্যের বহু জায়গায় এখনও ঘটা করে পালিত হয় চড়ক উৎসব (Charak Puja)। দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, তারকেশ্বর, বাঁকুড়া এবং হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে পালিত হয় চড়ক উৎসব। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়ও হয় এই উৎসব।

  • BJP: চাকরি দুর্নীতি ও মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে বিজেপির মিছিলে জনজোয়ার, উঠল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

    BJP: চাকরি দুর্নীতি ও মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে বিজেপির মিছিলে জনজোয়ার, উঠল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম রায়ে রাজ্যে চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষিক-শিক্ষিকার। অন্যদিকে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় ছড়িয়েছে অশান্তির আঁচ। এই আবহে রবিবারই রাজ্য বিজেপির (BJP) ডাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে মহামিছিল করা হয় (BJP Protest Rally)। পথে নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা গেল একসঙ্গে শুভেন্দু-দিলীপ-সুকান্তকে।

    বিজেপির (BJP) মিছিলে জনজোয়ার

    চাকরি বাতিল ও মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এই মিছিলে এদিন জনজোয়ার লক্ষ্য করা যায়। এদিনে মিছিলে হাজির ছিলেন এই মিছিলে একই সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বর্ষীয়াণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব (BJP Protest Rally)। এদিনের মিছিল থেকে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে জোরালো সওয়াল।

    কী বললেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ?

    প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা কাটমানি খেয়ে শিক্ষকদের পথে বসিয়েছে। বাংলায় একদিকে চাকরি হারাদের হাহাকার অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে গৃহহারাদের আর্তনাদ। কঠিন এক দুঃসময়ে আজ আমরা পথে নেমেছি। যোগ্যরা যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তার জন্য যাঁরা দায়ি তাঁদেরকে আমরা ছাড়ব না।’’ হুঙ্কারের সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই সরকারের দিন ঘনিয়ে এসেছে। আমরা এই সরকারের পতন চাই।’’

    রাজ্য সরকারকে তুলোধনা শুভেন্দু অধিকারীর

    মুর্শিদাবাদের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মিছিল শেষে নিজের ভাষণে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে পুলিশকে দাঁড় করিয়ে রেখে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। এই সরকারের আর একদিনও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।’’ রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুর্শিদাবাদে অশান্তি ও চাকরিহারা ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা করা দরকার, গতকাল শনিবার শুভেন্দুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদে নয়, রাজ্যের যেসব অঞ্চলে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আদালত রাজ্য সরকারকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

  • BJP: মমতার তোষণের রাজনীতি বাংলাকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে, তোপ বিজেপি নেতার

    BJP: মমতার তোষণের রাজনীতি বাংলাকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে, তোপ বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার তোষণের রাজনীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গ জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh) পরিণত হয়েছে। রবিবার এভাবেই তোপ দাগলেন বিজেপি (BJP) নেতা কেশবন। এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেশবন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে। মুর্শিদাবাদে যখন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। তখন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান চা পান করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন। এটি তৃণমূলের অসহিষ্ণু মানসিকতার প্রতিফলন।’’

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপশাসনের শাস্তি পেতেই হবে

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বিজেপি (BJP) নেতা আরও বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিত্তিহীন বিরোধিতা করছেন। ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের নীতির পরিপন্থী (Jallianwala Bagh)। আমরা দেখতে পাচ্ছি হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। নির্যাতন করা হচ্ছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব দর্শক হিসেবে রয়ে গেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে এবং শান্তির জন্য সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। এটি আমাদের আরজি কর কাণ্ডের কথাও মনে (BJP) করিয়ে দিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপশাসনের শাস্তি পেতেই হবে।’’

    অশান্তির সূত্রপাত

    অশান্তির সূত্রপাত হয় এই সপ্তাহের শুরুতেই (Anti Waqf Act Violence)। শুক্রবার ও তার পরের দিন তা তীব্র আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডাবাহিনীর হামলা চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। জেলার সাঁতরাগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে। গুন্ডারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, বাড়িঘরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উন্মত্ত জনতার একাংশ। এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শুক্রবার রাতের হিংসায় তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতরাগঞ্জের ৬৫ বছর বয়সী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী পুত্র চন্দন দাস। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে টেনে এনে হত্যা করা হয়। সূতিতে মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের এক যুবকের। বিজেপির দাবি, ধুলিয়ান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও কিশোরীও রয়েছেন, নৌকায় করে বৈষ্ণবনগরের পার্লালপুর গ্রামে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

  • PM Modi: ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়’’, শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়’’, শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার ১৩ এপ্রিল। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ১০৬তম বার্ষিকী। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পাশাপাশি শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুও।

    জাতির ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি কালো অধ্যায়

    এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘আমাদের জাতির ইতিহাসে এই ঘটনা একটি কালো অধ্যায়। জালিয়ানওয়ালাবাগের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আগামী প্রজন্ম সর্বদা শহিদদের স্মরণ করবে।’’ জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলেও উল্লেখ করেন মোদি (PM Modi)। তিনি লেখেন, ‘‘জাতির ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি অন্ধকার অধ্যায় ছিল। এই ঘটনায় শহিদদের আত্মত্যাগ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে ওঠে।’’

    এদেশ শহিদদের প্রতি সদা কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবে বললেন রাষ্ট্রপতি

    জালিয়ানওয়ালাবাগে জীবন উৎসর্গকারী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ‘‘তাঁদের (শহিদদের) আত্মত্যাগ আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও তীব্র করে তুলেছিল। এদেশে তাঁদের প্রতি সদা কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবে।’’ রাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh Massacre) ভারত মাতার জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই সকল স্বাধীনতা সংগ্রামীকে আমি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাকে (PM Modi) আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।’’ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত যে সেই অমর শহিদদের কাছ থেকে প্রেরণা নিয়ে, সমস্ত দেশবাসী তাঁদের তন-মন-ধন দিয়ে ভারতের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে।’’

    ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

    প্রসঙ্গত, ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে বৈশাখী মেলায় জড়ো হয়েছিলেন শত শত সাধারণ নাগরিক। যাদের মধ্যে ছিল শিশুও। ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র মানুষদের এই সমাবেশে গুলি চালায় ব্রিটিশ বাহিনী। রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে দমন করতে এইভাবেই বর্বরোচিত হামলা করে ব্রিটিশ পুলিশ। সরকারি হিসেবে এই ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা হাজার পার করেছিল।

  • Hinduphobia: আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ হিসেবে হিন্দু-বিদ্বেষ রুখতে বিল আনল জর্জিয়া

    Hinduphobia: আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ হিসেবে হিন্দু-বিদ্বেষ রুখতে বিল আনল জর্জিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় হিন্দু-বিদ্বেষ (Hinduphobia) বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। এই আবহে হিন্দু-বিদ্বেষ রোখার জন্য বিল আনল জর্জিয়া (Georgia)। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ এমন পদক্ষেপ করল। জানা যাচ্ছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে হিন্দু বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

    এসবি ৩৭৫ নামে ওই বিলটি জর্জিয়ার আইনসভায় পেশ করা হয়েছে

    সম্প্রতি, এসবি ৩৭৫ নামে ওই বিলটি জর্জিয়ার আইনসভায় পেশ করা হয়েছে বলে খবর। বিলটিকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুই দলেরই জনপ্রতিনিধিদের। রিপাবলিকান দলের দুই সেনেট সদস্য শন স্টিল, ক্লিন্ট ডিক্সন এবং ডেমোক্র্যাট দলের দুই সেনেট সদস্য জেসন এস্টিভস, এমানুয়েল জন এই বিলটি উত্থাপন করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিলটি উত্থাপনের পরে শন বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি, দেশে হিন্দুদের (Hinduphobia) বিরুদ্ধে হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ এই বিলটিতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার যে কোনও ঘটনাকে ‘বৈরিতামূলক, ধ্বংসাত্মক, অবমাননাকর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    হিন্দু ধর্মের অকুণ্ঠ প্রশংসা করা হয়েছে বিলটিতে (Hinduphobia)

    জর্জিয়ার (Georgia) আইনসভার এমন সিদ্ধান্তে হিন্দুদের (Hinduphobia) একটি সংগঠন ‘কোয়ালিশন অফ হিন্দুস অফ নর্থ আমেরিকা’ সেনেটরদের এবিষয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, এই বিলটির জন্য ওই সেনেটরদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে তারা গর্বিত। বিলে সনাতন ধর্মের ভূয়সী প্রশংসা করে বলা হয়েছে, পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ধর্ম হল হিন্দু। বৃহত্তর ধর্মও বটে। প্রায় ১০০টি দেশে ১২০ কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছড়িয়ে রয়েছেন। বৈচিত্র্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিকে সমর্থন করে এই ধর্ম।

    আমেরিকায় হিন্দুদের ওপর হামলার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান

    আমেরিকায়ও হিন্দুর সংখ্যা অনেক। জর্জিয়ায় প্রায় ৪০ হাজার হিন্দুর বাস। সেখানে গত কয়েক বছরে আমেরিকায় হিন্দুদের (Hinduphobia) বিরুদ্ধে হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ‘গাভিষ্ঠি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আমেরিকায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে ১,৩১৪টি ‘ধর্মীয় হিংসা’-র ঘটনা ঘটেছে।

LinkedIn
Share