Tag: মাধ্যম বাংলা বাংলা খবর

  • Serial Killer: ১০ মহিলাকে হত্যার অভিযোগ, পুলিশের জালে সিরিয়াল কিলার

    Serial Killer: ১০ মহিলাকে হত্যার অভিযোগ, পুলিশের জালে সিরিয়াল কিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ মহিলাকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সিরিয়াল কিলার অবশেষে ধরা পড়ল পুলিশের জালে (Serial Killer)। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গনায়। জানা গিয়েছে সে রাজ্যে পাঁচটি জেলায় কমপক্ষে ১০ জন মহিলাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে এই সিরিয়াল কিলারের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তের বাড়ি তেলেঙ্গনার মাহবুবনগর জেলার আয়াগরিপল্লিতে থান্ডারে। তার নাম গোপাল ওরফে দাপ্পু গোপাল (৫৪)। গত শুক্রবার সে রাজ্যের নরসাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। জানা গিয়েছে গোপাল একজন দাগী অপরাধী।

    দুর্বল মহিলাদের টার্গেট করত দাগী অপরাধী গোপাল (Serial Killer)

    পুলিশ জানিয়েছে, যে প্রথমেই দুর্বল মহিলাদের টার্গেট করত এই গোপাল (Serial Killer)। এর পরে তাদেরকে মদের দোকানে নিয়ে যেত। তাদের সঙ্গে গল্প গুজব করে তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করত। তাদের নেশা করাত। এরপর অপরাধ সংগঠিত করার জন্য তাদেরকে নির্জন স্থানে নিয়ে যেত সে। সেখানে মহিলাদের ধর্ষণ-খুন করে লুট করত বলে জানা যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, গোপাল ২০০৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাহাবুবনগর, সাঙ্গারেড্ডি, ভিকারাবাদ, কামারেড্ডি এবং মেডাক জেলায় একাধিক খুনের (Murder) কথা স্বীকার করে। এর আগে ২০০৮ সালে ভিকারাবাদ জেলার বোম্মারাসপেটে একটি খুনের জন্য সে ১০ বছরের কারাদণ্ডও ভোগ করেছিল গোপাল। তার বিরুদ্ধে নবাবপেট (২০১৮), নরসাপুর মণ্ডল (২০২৩), পাশাপাশি গুম্মাদিদালা, সদাশিবনগর, কামারেড্ডি এবং তাদোয়াইতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অবশেষে ধরা পড়ল পুলিশের জালে।

    কীভাবে ধরা পড়ল গোপাল, কী জানালেন এসপি (Serial Killer)

    মেডকের এসপি উদয় কুমার রেড্ডি, মামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। গত ২৫ মার্চ নরসাপুরে নামের এক জায়গায় জয়রাম থান্ডার একজন দিনমজুর শ্রমিক ভুজালি (৫২) নিখোঁজ হন। এরপরেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তাকে শেষবার একটি দেশি মদের দোকানের কাছে দেখা গিয়েছে। একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে একটি অটোতে যেতেও দেখা গিয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে গোপালকে।

  • Bangladesh: ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি, ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

    Bangladesh: ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি, ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছেই। সম্প্রতি ব্যাঙ্ককে পাক-ঘনিষ্ঠতা সমেত ইউনূসদের দেশে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে ঢাকাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে দিল্লি। এই আবহে মোদি সরকার, সে দেশের ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধাকে বাতিল করেছে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনূসদের বাংলাদেশ হল পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারকদের দেশ। এদের ব্যবসা হল ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বেশ বিপাকে ঢাকা।

    পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে বাংলাদেশের ট্রাক (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ভারত সরকার ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায়, নেপাল, ভুটান এবং অন্যান্য দেশে দ্রুত যেভাবে পোশাক রফতানি করতে পারত বাংলাদেশ সেটা আর পারছে না তারা। এর ফলে পোশাক রফতানিকারকদের শিপমেন্ট পরিবর্তন করতে হচ্ছে। যার ফলে খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীদের। সেই খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই আবহে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারীর সংস্থাগুলির মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি, ভারতের প্রশাসন বাংলাদেশের ট্রান্স শিপমেন্ট (Garment Industry of Bangladesh) সুবিধা বাতিল করার পরেই পণ্যবাহী চারটি বাংলাদেশি ট্রাককে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের আটকে দেওয়া হয়। এই ট্রাকগুলিকে ভারতের মাটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, এই ট্রাকগুলি যশোরের বেনাপোল থেকে এসেছিল।

    ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বিপুল ব্যবসা করেছে বাংলাদেশ

    ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি চুক্তির মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে (Bangladesh) ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা দেয়। এর ফলে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ভারতের কাছে তৃতীয় দেশ হিসেবেই এই সুযোগ পায় বাংলাদেশ। পরবর্তীকালে ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই পনেরো মাসে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ব্যাপক ব্যবসা করে বাংলাদেশ (Bangladesh)। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভারতীয় সড়ক পরিবহনকে ব্যবহার করে ৩৬টি দেশে পোশাক রফতানি করেছে। জানা যাচ্ছে, এইভাবে গত ১ বছরে ৪৬২ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে ভারত।

  • Nolen Gur Sandesh: নলেন গুড়ের সন্দেশ সমেত বাংলার ৭ আইটেম পেল জিআই ট্যাগ

    Nolen Gur Sandesh: নলেন গুড়ের সন্দেশ সমেত বাংলার ৭ আইটেম পেল জিআই ট্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত মানেই নলেন গুড় (Nolen Gur Sandesh), মুখে মিলিয়ে যাওয়া সন্দেশ (Nolen Gur Sandesh)। এবার সেই নলেন গুড়ের সন্দেশ পেল নয়া সম্মান। মিলল জিআই ট্যাগ পেল বাংলার এই গর্ব। এর আগে ২০১৭-তে বাংলার রসগোল্লা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে তার প্রাপ্য জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ বা জিআই ট্যাগ। তবে বাংলার আরও তিন ঐতিহ্য তথা মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া, বিষ্ণুপুরের মোতিচুরের লাড্ডু ও কামারপুকুরের সাদা বোঁদেও।

    ৩৫টি জিনিস রয়েছে এই তালিকায়

    এর পাশাপাশি মালদার নিস্তারি সিল্ক , রাঁধুনিপাগল চাল (শীতের এক সুগন্ধি চাল) ও বারুইপুরের পেয়ারাও পেয়েছে এই সম্মান। সব মিলিয়ে জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩৫টি জিনিস রয়েছে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগের তালিকায়। প্রসঙ্গত, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, জয়নগরের মোয়াও জায়গা পেয়েছে রসগোল্লার পাশেই। জিআই তকমা পেলে বিদেশের বাজারে আলাদা সম্মান পেতে শুরু করে ওই খাবার। বাংলার প্রায় প্রতিটা জেলাতেই ছড়িয়ে আছে কিছু না কিছু ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। সেগুলিই এবার স্বীকৃতি পাচ্ছে। জিআই ট্যাগ মেলার পরে স্বাদ-মান বজায় রাখা সেখানে বিশেষ জরুরি হয়ে পড়ে। দামও বাড়ে অনেক সময়।

    জিআই তকমা আসলে কী?

    কোনও অঞ্চলের বিশেষত্ব এবং বিশেষ গুণসম্পন্ন কোনও জিনিসকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয় নির্দিষ্ট এক চিহ্ন দিয়ে। বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রকের অন্তর্গত শিল্প প্রচার এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরের তরফ থেকে থেকে দেওয়া হয় এই সম্মান। প্রসঙ্গত, কোনও খাবার জিআই তকমা পাওয়ার আগে তার কেমিক্যাল এবং মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় বলে জানা যায়। কী কী উপাদান রয়েছে তাতে, তার পুষ্টিগুণই বা কী, সেইসবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এক্ষেত্রে। ইতিহাস ঘেঁটে ওই খাবারের যাবতীয় রেকর্ড, তৈরির পদ্ধতি সবটাই পাঠানো হয় সরকারি দফতরে, যাতে জিনিসটির আসল জায়গা তথা উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। তারপর সরকারিভাবে নানা কাঠখড় পুড়িয়ে আনা হয় পেটেন্ট, জিআই তকমা (Nolen Gur Sandesh)।

  • Tamil Nadu: বিধানসভায় জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি-এআইএডিএমকে, তামিলনাড়ুতে ঘোষণা শাহের

    Tamil Nadu: বিধানসভায় জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি-এআইএডিএমকে, তামিলনাড়ুতে ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই একদিনের সফরে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে এআইএডিএমকে ও অন্যান্য সহযোগী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি। অমিত শাহ আরও জানান, জাতীয় স্তরে এই নির্বাচন লড়া হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এবং রাজ্যস্তরে এআইএডিএমকে নেতা কে পালানিস্বামীর নেতৃত্বে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘ডিএমকে দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নিঃশর্তভাবেই এই জোট সম্পন্ন হয়েছে।’’ এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে অমিত শাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটি নূন্যতম সাধারণ কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এই কর্মসূচির ভিত্তিতেই জোট চলবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা,  এআইএডিএমকে-র সঙ্গে জোট হওয়াতে বেশ ভালোই চাপে পড়ল ডিএমকে। আগামী বছরেই রয়েছে তামিলনাডু রাজ্যের বিধানসভা ভোট, তার আগেই দুই দল ফের একসঙ্গে হল।

    ১৯৯৮ সাল থেকেই এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে জয়ললিতা (Tamil Nadu) মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি। সেই তখন থেকেই এনডিএ-র শরিক ছিল জয়ললিতার দল। তবে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছরের এই সম্পর্কে ছেদ পড়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপির সঙ্গে জোটে ভাঙন ধরে এআইএডিএমকে-র।

    অমিত শাহের মুখে পুরনো দিনের কথা, মনে করালেন ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোট (Tamil Nadu)

    তখন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকের (AIADMK) জেনারেল সেক্রেটারি ই কে পালানিস্বামী সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে একক দল হিসাবে লড়াই করবেন তাঁরা। তারপর ২০২৫ সালের ফের দুই দলের এক হওয়ার খবর সামনে এল। পুরনো দিনের কথা এদিন উঠে আসে শাহের সাংবাদিক বৈঠকেও। তিনি জানান, ১৯৯৮ সালে লোকসভায় বিজেপি এবং এআইএডিএমকে-র জোট বিরাট জয় পেয়েছিল তামিলনাড়ুতে। বিজেপি-এআইএডিএমকে (AIADMK) জোট ৩৯টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩০টি আসন জিতেছিল।

  • VHP: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর জিহাদি চক্রান্ত ব্যর্থ, জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    VHP: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর জিহাদি চক্রান্ত ব্যর্থ, জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদ জেলার জুড়ে মৌলবাদীদের তাণ্ডব সামনে এসেছে। এই আবহে এই ঘটনাকে চক্রান্ত বলে উল্লেখ করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের দাবি, দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই এমন চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা ডক্টর সুরেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, যে ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ চলছে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে সেখানেই মেকি ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি ও জিহাদিদের মধ্যে একটা আঁতাত তৈরি হয়েছে। এরাই এই আইনের বিরোধিতা করছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওয়াকফ আইনের বিষয়ে এক কোটিরও বেশি ভারতীয় তাঁদের মতামত দিয়েছেন। একইসঙ্গে ২৫ ঘন্টা ধরে দেশের সংসদে আলোচনা চলেছে, তর্কবিতর্ক হয়েছে তবেই পাস হয়েছে এই আইন।

    ভূমি মাফিয়ারা এই আইন আসাতে সব চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে

    তিনি আরও জানিয়েছেন, যাঁরা সর্বদাই সংবিধানের কথা বলেন। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন না। তার বদলে তাঁরা হিংসা ছড়ানোর জন্য সমস্ত রকমের উস্কানি দিচ্ছেন। সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘১৮টিরও বেশি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে, এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে। যাঁরা এই অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের সংবিধানের প্রতি ন্যূনতম মর্যাদা রাখা উচিত। বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখা উচিত। ভারতীয় মূল্যবোধের প্রতি আস্থা রাখা উচিত।’’ এদিন তিনি অভিযোগ আনেন যে ভূমি মাফিয়ারা এই আইন আসাতে সব চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

    নিজের বক্তব্যে উদাহরণও তুলে ধরেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা এ নিয়ে ২০১৩ সালের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে গুরুগ্রামের পালম্বী হার পার্ককে হঠাৎই ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে দাবি করা হয়। কোনও রকমের প্রমাণ ছাড়াই সেখানে প্রার্থনা শুরু হয়ে যায়। তৎকালীন হরিয়ানাতে চলছিল কংগ্রেস সরকার এবং তারা কোনও রকম প্রমাণ ছাড়াই ওই সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণাও করে। এইভাবেই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার দিল্লিতে ১২৩টি সরকারি সম্পত্তি ওয়াকফকে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা।

  • Mothabari: ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার’’, মোথাবাড়ি পৌঁছে এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Mothabari: ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার’’, মোথাবাড়ি পৌঁছে এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার সাম্প্রদায়িক হিংসা কবলিত মোথাবাড়িতে (Mothabari) পৌঁছলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা এদিন মোথাবাড়িতে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। ওঠে জয় শ্রী রাম ধ্বনি। এদিন মোথাবাড়িতে পৌঁছে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন তিনি। এর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুর ঠান্ডা করে দিয়েছি। মোথাবাড়িতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার।’’

    হাইকোর্টের শর্ত মেনে মোথাবাড়িতে (Mothabari) শুভেন্দু

    এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, মোথাবাড়ি (Mothabari) যেতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে গত ৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি মেনে নেয়। তাঁকে মোথাবাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। তবে এক্ষেত্রে একাধিক শর্ত দেন বিচারপতি। উচ্চ আদালত জানায়, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কেবলমাত্র একজন বিজেপি বিধায়ক ও নিরাপত্তারক্ষীই মোথাবাড়ি যেতে পারবেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট জানায়, মোথাবাড়ি গিয়ে কোনওরকমের রাজনৈতিক ভাষণ দিতে বা মন্তব্য করতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, মোথাবাড়ির চারটি অঞ্চলে যেতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Mothabari) । উচ্চ আদালত সেই আবেদন মেনে নেয়। কোর্ট জানায়, চারটি জায়গাতেই যেতে পারবেন বিরোধী দলনেতা এবং কথাও বলতে পারবেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে তাঁকে সফর শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট।

    যাদের ধরেছে তারা প্রকৃত দোষী নয়, ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬ হিন্দু পরিবার, অভিযোগ শুভেন্দুর

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী মোথাবাড়ি (Mothabari) পৌঁছতেই জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে ফেটে পড়ে গোটা এলাকা। প্রথমেই তিনি মোথাবাড়ি বাজারে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে নানা সাহায্য সামগ্রী তুলে দেন। এর পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এখানে মানুষকে সরকার নিরাপত্তা না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে। যাদের ধরেছে তারা প্রকৃত দোষী নয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে সব দোষীদের ধরতে হবে। আমরা আদালতে এনআইএ ও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি।’’ পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ যখন ব্যবস্থা নেওয়ার নেয়নি। ওরা যা করার করে দিয়েছে। ফেসবুক লাইভ করতে করতে করেছে। হঠাৎ তো হয়নি, জানিয়ে করেছে। যদি কারও আস্থায় কেউ আঘাত দেয় থানায় যান। আইন হাতে তুলে নেবেন কেন? যে ৮৬টি হিন্দু পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেন এরা তো কোনও দোষ করেনি।’’

    কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করাব

    মোথাবাড়িতে (Mothabari) শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘এখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে সবকটা দোষীকে গ্রেফতার করাব। ঠিক যেভাবে ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুরে করিয়েছি। একই ভাবে মোথাবাড়িতে পার্মানেন্ট শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব বিরোধী দলনেতার।’’ প্রসঙ্গত, শুভেন্দুকে মোথাবাড়ি যেতে অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই মতো নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে মোথাবাড়ি থানা এলাকায় পরিদর্শন করলেন বিরোধী দলনেতা।

    মুক্তির স্বাদ পেয়েছে মোথাবাড়ি

    মোথাবাড়িতে (Mothabari) বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রান্ত পুরুষ-মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। মোথাবাড়ির পালপাড়ায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘১৫ দিন পর এরা মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন।’’ বিরোধী দলনেতা রয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, তাই ভয় নেই, গ্রামবাসীদের এমন আশ্বাসও দিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিনই বিরোধী দলনেতার কাছে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক গ্রামবাসীকে। সাংবাদিকদের সামনে ওই মহিলা জানান, মোথাবাড়ি অশান্তিতে ব্যাপক আহত হয়েছেন তিনি।

    সরকার মানুষকে প্রোটেকশন না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে

    কোর্টের অনুমতিতে মোথাবাড়ি পরিদর্শন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে সরকার মানুষকে প্রোটেকশন না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে। আমরা এনআইএ, সিবিআই দাবি করছি। কেন হিন্দুরা অত্যাচারিত হবে? দেখার দায়িত্ব কার? মোথাবাড়িতে (Mothabari) পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছি তিনবার, অনুমতি দেয়নি।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সময়ের মধ্যে চলে এসেছি। তিনটি জায়গায় পরিদর্শন সেরেছি। ৬ জনকে নিয়ে আইনি লড়াই করছি।’’

    শাসকদলের মদতেই মোথাবাড়িতে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, অভিযোগ শুভেন্দুর

    শাসকদলের মদতেই মোথাবাড়িতে (Mothabari) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মালদার ইংরেজবাজারের বাধাপুকুর মোড়ে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাগত জানান। সম্প্রতি অশান্ত হয়ে ওঠে মালদার মোথাবাড়ি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দোকান ও গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সারি সারি বাইক ও গাড়িতে। হিন্দুদের ওপর ব্যাপক হামলা চলে বলে অভিযোগ। এরপর পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশ। ব্য়বহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। ৬টি মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপরে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। গত শুক্রবারই মোথাবাড়ি ইস্যুতে মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের বলেই জানান বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ।

  • Gajan Utsav: বাংলায় শুরু গাজনের উৎসব, চৈত্রশেষে মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা

    Gajan Utsav: বাংলায় শুরু গাজনের উৎসব, চৈত্রশেষে মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র শেষে গাজনের ঢাক (Gajan Utsav)। গ্রাম থেকে শহর শোনা যাচ্ছে ঢাক-ঢোল-কাঁসরের আওয়াজ। বাংলা বছরের শেষ উৎসব হল গাজন। এই উৎসবে দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। গাজন উৎসবে জাতপাতের বেড়াজাল টপকে সকলেই সামিল হন শিব আরাধনায়। এবছরের গাজন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার, মদন ত্রয়োদশী থেকে। চলবে সোমবার, চৈত্র সংক্রান্তি পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, মদন ত্রয়োদশী হল হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি। যা চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয়। এই ত্রয়োদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। একইসঙ্গে প্রেমদেব মদন বা কামদেবের নামও যুক্ত, তাই এটি মদন ত্রয়োদশী নামেই পরিচিত।

    গাজন (Gajan) শব্দের উৎপত্তি

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, গাজন (Gajan Utsav) শব্দের উৎপত্তি ‘গর্জন’ থেকে। অনেকের ধারণা, শিব সাধনার সময় সন্ন্যাসীদের হুঙ্কার বা রব থেকেই গাজন শব্দের উৎপত্তি। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণেও মেলে গাজনের উল্লেখ। পুরাণের প্রকৃতিখণ্ডে লেখা রয়েছে, ‘‘চৈত্র মাস্যথ মাঘেবা যোহর্চ্চয়েৎ শঙ্করব্রতী। করোতি নর্ত্তনং ভক্ত্যা বেত্রবানি দিবাশিনম্।। মাসং বাপ্যর্দ্ধমাসং বা দশ সপ্তদিনানি বা। দিনমানং যুগং সোহপি শিবলোক মহীয়তে।।’’ এর অর্থ চৈত্রে কিংবা মাঘে এক-সাত দশ-পনেরো কিংবা তিরিশ দিন হাতে বেতের লাঠি নিয়ে শিবব্রতী হয়ে নৃত্য ইত্যাদি করলে মানুষের শিবলোক প্রাপ্ত হয়।

    জনশ্রুতি অনুযায়ী, শিবের সঙ্গে কালির বিবাহ সম্পন্ন হয়

    অনেক গবেষকের ধারণা, গাজন (Gajan Utsav) উৎসবে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব। আবার বাংলার মঙ্গলকাব্যতেও গাজনের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন ধর্মমঙ্গল কাব্যে রয়েছে এর বিস্তৃত বিবরণ। তবে অন্য একটি অংশের মতে, গা শব্দ বলতে গ্রামকে বোঝায়। আর, জন শব্দ বলতে জনসাধারণকে বোঝায়। অর্থাৎ গ্রামের জনসাধারণের যা উৎসব তাই গাজন। জনশ্রুতি রয়েছে, গাজনই হল সেই দিন যেদিন শিবের সঙ্গে কালির বিবাহ সম্পন্ন হয়। আরও লৌকিক কথা হল, গাজনের সন্ন্যাসীরা হলেন আসলে শিবের বরপক্ষ।

    গাজন উৎসবের তিনটি অংশ

    গাজন উৎসবের তিনটি অংশ থাকে। যথা- ঘাট সন্ন্যাস, নীলব্রত এবং চড়ক। অনেক জায়গাতে গাজন উৎসব (Gajan Utsav) চৈত্র মাসের প্রথম দিন থেকেই ভক্ত সন্ন্যাসীরা পালন করতেন, সেটা অনেক আগেকার কথা অবশ্য। তবে বর্তমান সময়ে চৈত্র সংক্রান্তির সাত দিন আগে অথবা তিন দিন আগে থেকেই কঠোরব্রত পালন করেন সন্ন্যাসীরা। এই সময়ে পরিচ্ছন্ন বস্ত্র ধারণ করে হবিষ্যান্ন গ্রহণ করেন সন্ন্যাসীরা। এবছর নীলব্রত পড়েছে রবিবার, ১৩ এপ্রিল। পরের দিন, অর্থাৎ, সোমবার ১৪ এপ্রিল, চৈত্র সংক্রান্তির দিন অনুষ্ঠিত হবে চড়ক পুুজো।

    অনেক জায়গাতে মুখোশ নৃত্যের প্রচলন দেখা যায়

    গাজনে অনেক জায়গাতে মুখোশ নৃত্যের প্রচলন দেখা যায়। যা স্থানীয় ভাষায় বোলান গান নামেও পরিচিত। এগুলি বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া বীরভূম জেলাতে দেখা যায়। এই সময়ে শিব-গৌরী সাজেন অনেকেই। এর পাশাপাশি নন্দী, ভৃঙ্গি ভুত-প্রেত, দৈত্য, দানব প্রভৃতি ধরনের সং সেজেও নৃত্য করেন সবাই (Gajan Utsav)। লৌকিক ছড়া, আবৃত্তি গানও করা হয়। গাজনের ঠিক পরের দিন অনুষ্ঠিত হয় নীল পুজো। গ্রাম্য মহিলারা সন্তানদের মঙ্গল কামনায় এ দিন ফল, আতপ চাল, অর্থ দান করে থাকেন।

    প্রথম গাজন পুজোর প্রচলন কবে

    পৌরাণিকভাবে গাজন উৎসবের (Gajan Utsav) সূচনা নিয়ে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে। কথিত আছে, বান নামে এক রাজা ছিলেন প্রবল শিব ভক্ত। তিনি দেবাদিদেব মহাদেবকে তুষ্ট করতে কঠোর তপস্যা করেন। শিব ভক্তির সেই সূত্র মেনে এখনও পর্যন্ত সন্ন্যাসীরা চড়কের বান পরেন। কাঁটার উপরে ঝাঁপও দেন। গাজন যেন এক প্রকার কৃচ্ছসাধনের ব্রত পালন করেন সন্ন্যাসীরা। আগুন ঝাঁপ, কাঁটা ঝাঁপ কপাল ফোঁড়া ইত্যাদি দেখা যায়। গবেষকরা বলছেন, ১৪৮৫ সালের রাজা সুন্দর আনন্দ ঠাকুর প্রথম চড়ক পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকেই এই প্রথা মেনে আসছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

    অন্ত্যজ শ্রেণির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই সন্ন্যাস ধর্ম পালন করেন

    গাজনের এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভূত-প্রেত, পুনর্জন্ম প্রভৃতি বিষয়। এক সময়ে গাজনের (Gajan Utsav) সন্ন্যাসীরা হুড়কো দিয়ে নিজেদেরকে চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুত বেগে ঘুরতেন। সেসময় ব্রিটিশ সরকার আইন প্রণয়ন করে এই নিয়ম-নীতি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে বর্তমান সময়ে আজও অনেক স্থানে এই রীতি দেখা যায়। গাজনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এই সময়ে অন্ত্যজ শ্রেণির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই সন্ন্যাস ধর্ম পালন করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় শিব-পার্বতী সেজে কেউ কেউ ভিক্ষা পাত্র নিয়ে বের হন। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে আতপ চাল, কাঁচা আম, কাঁচা কলা প্রভৃতি সংগ্রহ করেন।

    গ্রামবাংলায় লোকপ্রিয় গাজন

    পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই গাজন উৎসব দেখা যায়। মালদা জেলায় গম্ভিরা উৎসব (Gajan Utsav) পালিত হয় এই সময়। কোথাও তা চৈত্র সংক্রান্তি থেকে হয়, কোথাও তা আবার পয়লা বৈশাখে হয়। চার দিন ধরে চলে এই উৎসব। একদিকে যেমন শিব আরাধনা চলে, তেমনই অন্যদিকে দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার কথা ভক্তরা দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশে বলতে থাকেন। সেখানে সমস্ত ধরনের কথাই খোলামেলা বলা হয়। রাজনীতি থেকে জীবনের বঞ্চনা কোনও কিছুই বাদ যায় না। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি কলকাতাতেও দেখা যায় চৈত্র সংক্রান্তির সং সাজা। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে সঙ বের হয়। কলকাতার জেলে পাড়ার সঙ্গে কথাও কম বেশি সকলেই জানেন। এর পাশাপাশি কালীঘাটের নকুলেশ্বর তলা সহ বেশ কিছু জায়গায় আজও গাজন পালিত হয়।

    পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত গাজনের মেলা

    চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়ে সন্ন্যাসী বা ভক্তদের মাধ্যমে শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পূজার সঙ্গে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। গাজন সাধারণত তিনদিন ধরে চলে। এই উৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল মেলা। চৈত্রসংক্রান্তির গাজনে কালী নাচ একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। ধর্মের গাজনের বিশেষ অঙ্গ হল নরমুণ্ড বা গলিত শব নিয়ে নৃত্য বা মড়াখেলা (কালিকা পাতারি নাচ)। জ্যৈষ্ঠমাসে মনসার গাজনে মহিলা সন্ন্যাসী বা ভক্ত্যারা অংশ নেয়, তারা চড়কের সন্ন্যাসীদের মতোই অনুষ্ঠান পালন করে। বর্ধমান জেলার পাঁড়ুই গ্রামের শিবের গাজন যা পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গাজন এর মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রতি বছর আঠাশ ফলের দিন অর্থাৎ আঠাশে চৈত্র, শ্মশান চিরন নামে বিশাল আচার অনুষ্ঠান হয়। যা প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো।

    বাংলার কয়েকটি জনপ্রিয় গাজন উৎসব

    পূর্ব বর্ধমান: শ্রীখণ্ড গ্রামের গাজন বাবা দুগ্ধ কুমার শিবের গাজন হিসেবে বিখ্যাত।
    মালদা: মালদায় গাজনের নাম গম্ভীরা।
    জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে গাজনের নাম গমীরা।
    বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার ছাতনা থানার ঝাঁটিপাহাড়ী গ্রামের গাজনও খুব বিখ্যাত। তবে তা চৈত্র মাসে নয়, বরং জ্যৈষ্ঠ মাসের ২৫/২৬ তারিখ নাগাদ পালিত হয়। এই অনুষ্ঠান হুজুগে গাজন উৎসব নামে পরিচিত।

  • Aadhaar: মোদি সরকার আনছে নয়া আধার অ্যাপ, থাকছে ‘লাইভ’ ফেসিয়াল ভেরিফিকেশন ও কিউআর কোড

    Aadhaar: মোদি সরকার আনছে নয়া আধার অ্যাপ, থাকছে ‘লাইভ’ ফেসিয়াল ভেরিফিকেশন ও কিউআর কোড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) আধারের (Aadhaar) নতুন অ্যাপের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। এই নতুন অ্যাপটি ফেসিয়াল ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি আধার সংবাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানেই এই কথাগুলি জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এই অ্যাপ চালু হওয়ার পর হোটেল-দোকানে আধারের ফটোকপি আর দিতে হবে না। বর্তমানে যেমন ভারতের সর্বত্র ইউপিআই পেমেন্টের জন্যে কিউআর কোড দেখা যায়, তেমনই শীঘ্রই আধার যাচাইকরণ কিউআর কোড ভেরিফিকেশন পয়েন্টগুলিতে উপলব্ধ হবে।

    কী জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মঙ্গলবার আধার সংবাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘এই নতুন আধার অ্যাপের (Aadhaar) মাধ্যমে আধার ভেরিফিকেশনের (Aadhaar Verification) প্রক্রিয়া, ইউপিআই পেমেন্টের মতো কাজ সহজ করা যাবে।’’ এবিষয়ে নিজের এক্স মাধ্যমে পোস্টও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, ফেস আইডি যাচাইকরণ (Aadhaar) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সংযুক্ত করে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ডিজিটাল আধার পরিষেবা চালু করতে চলেছে সরকার। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় তৈরি করা এই অ্যাপটিতে প্রমাণীকরণের জন্য কিউআর কোড-ভিত্তিক ভেরিফিকেশন এবং রিয়েল-টাইম ফেস আইডি ব্যবস্থাও রয়েছে।

    নতুন আধার অ্যাপে কী কী সুবিধা মিলবে?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নয়া আধার অ্যাপ (Aadhaar) চালু হওয়ার পরে ভ্রমণের সময় ট্রেনে, হোটেল চেক-ইন ইত্যাদি কাজে আধার কার্ড সঙ্গে নিতে হবে না বা এর ফটোকপি জমা দিতে হবে না।

    এই অ্যাপ চালু হলে তা কিউআর কোড স্ক্যান করার পরেই যে কোনও ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করতে সক্ষম হবে। এর ফলে নতুন করে আধারের কপি দেখানোর প্রয়োজন পড়বে না।

    নতুন আধার অ্যাপের (Aadhaar) মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় তথ্যই শেয়ার করতে পারবেন। ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবেন।

    ফেস আইডি-ভিত্তিক প্রমাণীকরণ তো এই অ্যাপটিতে থাকছেই। এর পাশাপাশি, নতুন আধার অ্যাপটিতে একটি কিউআর কোড যাচাইকরণ বৈশিষ্ট্যও থাকবে। এরফলে আধার যাচাইকরণকে আরও দ্রুত এবং সহজ হবে বলে জানা যাচ্ছে।

  • BJP: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন, দেশজুড়ে প্রচারে নামছে বিজেপি, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালা

    BJP: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন, দেশজুড়ে প্রচারে নামছে বিজেপি, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকার পাশ করেছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Reforms Awareness)। এই আবহে দেশজুড়ে ওয়াকফ সংস্কার প্রচার অভিযান চালাবে বিজেপি (BJP)। এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, এই প্রচার অভিযান চলবে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই প্রচার অভিযানের মাধ্যমে বিজেপি লক্ষ্য রেখেছে, যে সমস্ত ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে সেগুলির মোকাবিলা করা। বিজেপি তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা মুসলিম সমাজকে ভুল বোঝাচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনী (Waqf Reforms Awareness) আইন নিয়ে।

    মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন

    বিজেপির (BJP) মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের জানা দরকার যে ওয়াকফ আইন তাদের কল্যাণের জন্যই। এই প্রচার অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজিত হয় দিল্লির বিজেপির সদর দফতরে। যেখানে বিজেপির জাতীয় সভাপতির জেপি নাড্ডা প্রতিনিধিদের সামনে বক্তব্য রাখেন। তিনি নিজের ভাষণে বলেন, ‘‘ওয়াকফ সংস্কার তার সম্পত্তিগুলিকে আরও ভালোভাবে উপযোগী করে তুলবে এবং তা দরিদ্র মুসলমানদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।’’

    তোষণের কারণেই মুসলিম সমাজকে ভুল বোঝাচ্ছে কংগ্রেস, তোপ নাড্ডার

    একই সঙ্গে জেপি নাড্ডা (BJP) তোপ দাগেন কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীদের ওপর। তিনি বলেন,‘‘তোষণের রাজনীতির কারণেই মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত করছে এই রাজনৈতিক দলগুলি।’’ তিনি বিজেপির কর্মীদেরকে বলেন, তাঁরা যেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে যান এবং তাদেরকে বোঝান এই আইন মুসলিমদের পক্ষে ইতিবাচক।

    ওয়াকফ আইন

    ওয়াকফ আইনটি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এবং গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর বর্তমানে তা আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর ৩ এপ্রিল ভোর রাতে লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বিলটি সমর্থন করেছিলেন ২৮৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। এরপর ৪ এপ্রিল সকালে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। সেখানে ১২৮ সদস্য সমর্থন করেছিলেন, বিরোধিতা করেছিলেন ৯৫ জন। নয়া এই আইনটি ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে করা হয়েছে।

  • Modi Govt: প্রতিশ্রুতি রক্ষা মোদি সরকারের, সংগ্রহ ১০০ লক্ষ বেল তুলো, প্রদান করা হল ৩৭,৪৫০ কোটি টাকা

    Modi Govt: প্রতিশ্রুতি রক্ষা মোদি সরকারের, সংগ্রহ ১০০ লক্ষ বেল তুলো, প্রদান করা হল ৩৭,৪৫০ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় (Modi Govt) তুলো চাষের ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের আগ্রহ এখানে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই আবহে ভারত সরকার তার নোডাল সংস্থা, কটন কর্পোরেশন ইন্ডিয়া লিমিটেড বা সিসিআইয়ের (Cotton Farmers) মাধ্যমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আওতায় ১০০ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে বলে খবর। ২০২৪-২০২৫ আর্থিক বছরে এই তুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ গত ৩১ মার্চের মধ্যেই ১০০ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে মোদি সরকার।

    নূন্যতম সহায়ক মূল্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা

    জানা যাচ্ছে মোট তুলো উৎপাদন হয়েছে ২৯৪.২৫ লক্ষ বেল। এই মোট উৎপাদনের ৩৪ শতাংশই কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt) নিয়ে নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বস্ত্র শিল্প মন্ত্রকের বিবৃতিও সামনে এসেছে। যেখানে তারা জানাচ্ছে, যে পরিমাণ তুলা সংগ্রহ করা হয়েছে তা ৫২৫ লক্ষ কুইন্টাল তুলোর বীজের সমান। এর ফলে দেশের ২১ লাখ কৃষককে উপকৃত করা হয়েছেন। এভাবেই নূন্যতম সহায়ক মূল্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস (NACH) এর মাধ্যমে অর্থপ্রদান করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বচ্ছতা রাখতে আধারের প্রমাণপত্র এবং এসএমএস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে অর্থ প্রদানের বিষয়টি।

    কোন রাজ্যে কত তুলো সংগ্রহ করল কেন্দ্র

    যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ পরিমাণ তুলো সংগ্রহ করা গিয়েছে তেলঙ্গানায়। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪০ লক্ষ বেল সংগ্রহ করা হয়েছে, তারপরে মহারাষ্ট্রে ৩০ লক্ষ বেল এবং গুজরাট ১৪.০২ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে কেন্দ্র (Modi Govt) । অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে কর্নাটকে ৫ লক্ষ বেল। মধ্যপ্রদেশে ৪ লক্ষ বেল, অন্ধ্রপ্রদেশে ৪ লক্ষ বেল, ওড়িশায় ২ লক্ষ বেল, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, এবং রাজস্থান মিলিয়ে ১.১৫ লক্ষ বেল।এই পরিসংখ্যানগুলিই তুলে ধরছে তুলো চাষীদের স্বার্থ রক্ষায় মোদি সরকার (Modi Govt) ঠিক কতটা দায়বদ্ধ। সহজেই যাতে চাষীরা নিজেদের উৎপাদিত তুলো বিক্রি করতে পারেন, তাই কটন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া সমস্ত তুলা উৎপাদনকারী রাজ্যে ৫০৮টি ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

LinkedIn
Share