Tag: 2024 Loksabha elections

2024 Loksabha elections

  • INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার প্রত্যক্ষ করেছেন দেশবাসী। মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান— সর্বত্র আজ রাজ করছে গেরুয়া ঝান্ডা। এর মধ্যে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই দুই রাজ্যে শাসক কংগ্রেসকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে তিন রাজ্যে বিপুল জয়লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই জয়ের নেপথ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগ্য নেতৃত্ব ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের সংগঠিত লড়াই। বিজেপি একদিকে যখন এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন যেন ‘মোদি-ঝড়ের’ গ্রাসে বিরোধী শিবির।

    একা মোদির মোকাবিলায় ২৬টি দল!

    কংগ্রেস হোক বা তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি হোক বা আম আদমি পার্টি— সকলেই একমত ছিল যে, একা একা নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা করা অসম্ভব, অবাস্তব। তাই, মোদির মোকাবিলা করতে ২৬টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডি অ্যালায়েন্স’ (INDI Alliance)। এই জোটের মূল হোতা অবশ্যই শতাব্দী প্রাচীন পার্টি, মায় কংগ্রেস। এই জোট তৈরি হওয়া ইস্তক গত এক বছরে বেশ ক’বার জোটের সদস্য দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকও করেন। তৈরি হয় একাধিক নীল-নকশা। লক্ষ্য মোদিকে হারানো। কিন্তু, এত কিছু করে বাস্তবে কী হল?

    আরও পড়ুন: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    সেমিফাইনালে গো-হারা কংগ্রেস

    সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের (2024 LS Polls) আগে সেমি-ফাইনাল হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বলা বাহুল্য, এই পাঁচ (বিশেষ করে চারটি) রাজ্যের বিধানসভার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। যা দেখা গেল, তা হল— বিজেপি-৩, কংগ্রেস-১। ফলাফলেই পরিষ্কার, খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিরোধী শিবির (INDI Alliance)। কংগ্রেস তথা ইন্ডি-জোটের মাথার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে একেবারে লন্ডভন্ড অবস্থা বিরোধী জোটে। 

    পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপি তত্ত্ব

    বিভ্রান্ত কংগ্রেস নেতারা হারের দায় ঝেড়ে ফেলতে এবং নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপির তত্ত্ব খাড়া করেছে। যদিও, তাতে কেউ আমল দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়। ফলাফল বের হওয়া ইস্তক, জোটের মধ্যেই দোষারোপের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের ব্যর্থতার দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে জোট-শরিকরা। ইন্ডি-জোটের অন্যতম সদস্য তৃণমূল। মমতা জানিয়েছেন, এটা কংগ্রেসের পরাজয়। তাদের কৌশল ভুল ছিল। একই কথা প্রকাশ্যে এসেছে জেডিইউ-র থেকেও।

    ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির কারা

    বুধবার, ভোটের পর্যালোচনা ও আগামী দিনের পরিকল্পনা ও নীতি স্থির করতে দিল্লিতে ১০ রাজাজি মার্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বৈঠক (INDI Alliance) ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে যাননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, পাঠাননি কোনও প্রতিনিধিকে। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মমতা জানান, বৈঠকে সম্পর্কে তিনি নাকি কিছুই জানেন না। তাঁকে কেউ ফোন করেননি। বৈঠকে গরহাজির ছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। যাননি জেডিইউ-র নীতীশ কুমার ও জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। বৈঠকে ছিলেন না শিবসেনার উদ্ধব-গোষ্ঠী সহ আরও একাধিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    লোকসভা ভোট পর্যন্ত ইন্ডি-জোট টিকবে তো?

    এই ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে যে, ইন্ডি-জোটের ভিতরে ঘোঁট পাকিয়ে গিয়েছে। ঘটা করে শুরু হয়েছিল ইন্ডি-জোট। ‘হানিমুন’ পর্ব শেষ। বছর পার হতে না হতেই এবার রুক্ষ বাস্তব প্রকাশ পেতেই একে একে সরে যাচ্ছে জোটের শরিকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এটা হওয়ারই ছিল। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, ইন্ডি জোটের শরিক দলগুলির নিজ নিজ স্বার্থ ঢেকে দিচ্ছে বিজেপিকে মোকাবিলা করার অভিন্ন স্বার্থকে। যে কারণে, নিজেদের মধ্যেই একে অপরকে কটাক্ষ করার এই প্রবণতা থেকে গিয়েছে। কারণ জোটের সবকটি দল স্বার্থপর। লোকসভা ভোট (2024 LS Polls) পর্যন্ত বিরোধীদের সাধের ইন্ডি-জোট (INDI Alliance) টিকবে তো? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2024 LS Polls: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    2024 LS Polls: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (2024 LS Polls) কয়েক মাস আগে তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজয় নিশান উড়িয়ে দেশের রাজনৈতিক ময়দানে নিজদের কর্তৃত্ব প্রমাণ করেছে বিজেপি (BJP)। শুধু কথার কথা নয় তা। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১২টিতেই শাসক বিজেপি। আরও চারটি রাজ্যে জোট বেঁধে শাসক শিবিরে রয়েছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেসের শাসিত রাজ্যের সংখ্যা মাত্র ৩— কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ ও সদ্য জয় করা তেলঙ্গানা।

    কী বলছে পরিসংখ্যান

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের করা পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় প্রথমবার আসার পর কীভাবে ধীরে ধীরে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে গেরুয়া-ঝান্ডা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি দেশের মোট ভূমি এলাকার ৫৮ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ নিয়ে গঠিত। অন্যদিকে, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি দেশের মোট ভূমি এলাকার ৪১ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ নিয়ে গঠিত।

    মোদির মুখে ‘হ্যাটট্রিক’ তত্ত্ব

    ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিজেপির (BJP) এই তিন রাজ্য যথা— মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগড় জয় লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় প্রভাব ফেলবে জনমানসে এবং রাজনৈতিক রণাঙ্গণে। ফলাফল বের হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেই দিয়েছেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 LS Polls) বিজেপি যে ‘হ্যাটট্রিক’ করতে চলেছে, তা নিশ্চিত করেছে বিধানসভা নির্বাচনে দলের এই ‘হ্যাটট্রিক’। তিন রাজ্যে দলের জয়কে সুশাসন ও স্বচ্ছতার প্রতিফলন হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

    অর্ধেক লোকসভা বিজেপির দখলে

    এই তিন রাজ্য জয়ের ফলে, লোকসভার নিরিখে ৫৪৩ আসনের প্রায় অর্ধেক বিজেপির (BJP) দখলে। ২০১৪ সালে, যখন প্রথমবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি, তখন দেশের কয়েকটি রাজ্যে শাসক ছিল বিজেপি। যার মধ্যে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া ও ছত্তিসগড় অন্যতম। সেখানে থেকে বিজেপি ধীরে ধীরে নিজেদের জমি শক্ত করেছে এবং প্রসারিত করেছে। এখন একক-সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং জোট মিলিয়ে ১৬টি রাজ্যের শাসনে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি হতে চলেছেন দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদ ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী (2024 LS Polls)।

    উল্লেখযোগ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চল

    তবে, বিজেপির (BJP) এই বিজয় যাত্রার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দলের নিশান প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হওয়া। ২০১৪ সালে, দেশের এই অংশে বিজেপির তেমন কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু, এখন তিন রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সরকার পরিচালনার দায়িত্বে বিজেপি। আরও তিন রাজ্যে জোট সরকার গড়ে ক্ষমতাসীন গেরুয়া-শিবির।

    ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির

    একদিকে যখন বিজেপি (BJP) বাড়ছে, তখন বিরোধী শিবিরে ছন্নছাড়া দৃশ্য। একা না পেরে বিজেপির মোকাবিলা করতে ২৬ বিরোধী দল জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, সেই জোটে চিড়। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে জোটের বৃহত্তম দল কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। তাতে গ্র্যান্ড-ওল্ড পার্টিকে খুবলোতে শুরু করেছে শরিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে, তারা করবে মোদির মোকাবিলা! ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 LS Polls) বিজেপির হ্যাটট্রিক যে হচ্ছেই, সত্যিই তা একপ্রকার নিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী তা বলেই দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: মহিলা সংরক্ষণ বিল মোদির ‘মাস্টারস্ট্রোক’, এক সিদ্ধান্তেই দিশেহারা বিরোধী-জোট

    PM Narendra Modi: মহিলা সংরক্ষণ বিল মোদির ‘মাস্টারস্ট্রোক’, এক সিদ্ধান্তেই দিশেহারা বিরোধী-জোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা সংরক্ষণ বিল (Womens Reservation Bill) পেশ করে কি এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)? দুই পাখির একটি হল ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মহিলা ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় পাখি হল— বিরোধী-ঐক্যকে বা বলা ভাল, অধুনা ‘ইন্ডি’ জোটের ঐক্যকে খান-খান করা। নরেন্দ্র মোদির এই এক সিদ্ধান্তেই বিরোধীদের ‘রাতের ঘুম’ যে উড়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। অন্তত এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    মঙ্গলবার, গণেশ চতুর্থীর পুণ্য-লগ্নে নতুন সংসদ ভবনের প্রথম অধিবেশনেই ‘মাস্টারস্ট্রোক’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। প্রথমেই মহিলা সংরক্ষণ বিল (নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল, ২০২৩) লোকসভায় পেশ করে মোদি সরকার। দেশের সংসদ ও রাজ্যগুলির বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সংস্থান রয়েছে এই বিলে। মহিলা সংরক্ষণ ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদি সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল অবলম্বন করার কথা ভেবে আসছিল সাম্প্রতিককালে-গঠিত বিরোধীদের ‘ইন্ডি’ জোট। 

    ইস্যু হারিয়ে দিশাহীন ইন্ডি-জোট!

    কিন্তু, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহিলা সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দেওয়ায় বিরোধীদের মুখের গ্রাস সেখানেই কেড়ে নেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিকে, ইস্যু হাত ফস্কে বেরিয়ে যাওয়ায় সেই থেকেই বিরোধীরা কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে। ইন্ডি-জোট যেখানে ভেবেছিল, মোদিকে কোণঠাসা করবে, সেখানে দেখা যায়, উল্টে তারাই চাপে পড়ে গিয়েছে। কারণ, এখন মহিলা সংরক্ষণ বিলের স্বপক্ষেই যাওয়া ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোনও পথ নেই। বিরোধীরা ভালমতোই বুঝতে পারছে, তারা যদি এখন সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করার স্বার্থে মহিলা বিলকে (Womens Reservation Bill) সমর্থন না করে, তাহলে, দেশবাসীর সামনে তাদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়বে। অন্যদিকে, সমর্থন করলেও আখেরে লাভ হবে বিজেপি তথা এনডিএ-র। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এর পুরো ফায়দা যে বিজেপির ঘরেই উঠবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই নিয়ে ইন্ডি-জোট উভয় সঙ্কটে। যে কারণে, তারা এখন কৃতিত্বের দাবি করে বেড়াচ্ছে সব জায়গায়।

    অতীতে বিরোধিতা, এখন সমর্থন বিরোধীদের!

    নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা এই বিলকে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী-জোটের ‘হেড অফ দ্য ফ্যামিলি’ কংগ্রেস। সমর্থনের কথা জানানো হয়েছে বিরোধী জোট-শরিক সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও বহুজন সমাজ পার্টির তরফে। এমনকি, সমর্থন জানাতে সম্মত হয়েছে বিজেপির একসময়ের শরিক তথা বর্তমানে বিরোধী ধরের সদস্য নীতীশ কুমারের জেডিইউ। এখানে বিশেষ করে উল্লেখ করতে হবে প্রথম তিন শরিক দলের। কারণ, এই দলগুলিই এক সময় সংসদে পেশ হওয়া মহিলা সংরক্ষণ বিল (Womens Reservation Bill) নাকচ করেছিল। সেই ইতিহাসের সাক্ষী রয়েছে সদ্য-প্রাক্তন হওয়া সংসদ ভবন। এখন এই দলগুলির সামনের সারিতে একাধিক মহিলা মুখ আসায়, মনোভাবও পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছে তারা।

    মহিলা ভোটাররাই বিজেপির শক্তি

    পাশাপাশি, আরেকটা চিন্তা যা বিরোধীদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে তা হল ভোট ব্যাঙ্ক হাতছাড়া হওয়ার ভয়। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিল সংসদে পাশ হয়ে গেলে ভোটে সবচেয়ে লাভবান হবে বিজেপি। তাঁদের মতে, বিজেপির মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক বিপুলভাবে ফুলে উঠবে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পুরুষদের তুলনায় এক শতাংশ ভোট বেশি ছিল মহিলাদের। আবার মহিলা ভোটারদের বেশিরভাগ পছন্দ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে মহিলাদের ভোটদানের হার ছিল ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৩৬ শতাংশ আর কংগ্রেস পেয়েছিল ২০ শতাংশ মহিলা ভোট। পাঁচ বছর আগে, ২০১৪ সালে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন ২৯ শতাংশ মহিলা। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে বিজেপির মহিলা ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই বেড়েছে। 

    নরেন্দ্র মোদির ‘গেম-চেঞ্জার’ সিদ্ধান্ত!

    আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ১২টি এমন রাজ্য ছিল যেখানে পুরুষদের থেকে বেশি সংখ্যক মহিলা ভোট দিয়েছিলেন। ২টো রাজ্য বাদ দিয়ে বাকি ১০টিতে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গেরুয়া শিবির মহিলাদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে। সেই তালিকার অন্যতম ছিল তিল তালাক নিষিদ্ধ করা। এর পাশাপাশি, উজ্জ্বলা যোজনা, মহিলাদের মুদ্রা ঋণ, পোষণ প্রকল্প, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও-এর মতো কর্মসূচি বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে। এবার, মহিলা সংরক্ষণ বিল (Womens Reservation Bill) পাশ হলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে এই শতাংশের হার আরও বৃদ্ধি পাবে। আর ঠিক এই জন্যই, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) এই সিদ্ধান্তকে ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress Chintan Shivir: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    Congress Chintan Shivir: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। শুক্রবার রাজস্থানের উদয়পুরে চিন্তন শিবিরে (Chintan Shivir) একথা বললেন কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia)। কংগ্রেস কর্মীদের ঋণ মেটানের আহ্বানও জানান তিনি।

    এদিন থেকে তিন দিনের চিন্তন শিবির শুরু হয়েছে কংগ্রেসের। উদ্বোধনী ভাষণ দেন সোনিয়া। সেখানেই জানান, বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। বছর কয়েক ধরে একের পর এক নির্বাচনে গোহারা হেরেছে কংগ্রেস। হাতছাড়া হয়েছে একাধিক রাজ্যের রশি। এক সময় যে রাজ্যগুলির একচেটিয়া রাশ ছিল কংগ্রেসের হাতে, সেগুলিতে থাবা বসিয়েছে বিজেপি।

    পরপর দু-টার্মে কেন্দ্রের তখ্তে বসেছে বিজেপি (BJP)। প্রত্যাশিতভাবেই শতাব্দী প্রাচীন দলে শুরু হয়েছে ক্ষয় রোগ। ধরেছে ভাঙন। এমতাবস্থায় দলকে খাদ থেকে ডাঙায় টেনে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেছেন বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। সোনিয়া বলেন, দলের দৈনন্দিন কার্যকারিতায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। একটি বড়, সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। চিন্তন শিবির সেই দিকেই একটি পদক্ষেপ।  

    আরও পড়ুন: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    দলকে বাঁচাতে হলে পার্টির সদস্যদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খার ঊর্ধ্বে ওঠার মন্ত্রেও কংগ্রেস কর্মীদের দীক্ষিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী। কংগ্রেস কর্মীরা দলের কাছে ঋণী। সেই ঋণ শোধ করার ডাকও উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে দিয়েছেন সোনিয়া। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কংগ্রেস আমাদের সব কিছু দিয়েছে। এবার সেই ঋণ শোধ করতে হবে।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha election) কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে বলেও জানান কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি বলেন, দল জনগণের প্রত্যাশার প্রতি উদাসীন নয়। দেশের রাজনীতিতে দল যে ভূমিকা পালন করেছে, তা আবারও পূরণ করুন।  

    কংগ্রেসের এই চিন্তন শিবিরে অংশ নিয়েছেন ৪৩০ জন প্রতিনিধি। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংগঠন, যুব ও কৃষক এই ছটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এজন্য প্রতিনিধিদের ছটি দলে ভাগ করা হয়েছে। দল যে ফের ঘুরে দাঁড়াবে, এদিন সেই আশাও ব্যক্ত করেন সোনিয়া। বলেন, আমি আশা করি যে আমরা যখন এখান থেকে বের হব, আমরা নতুন আত্মবিশ্বাস, শক্তি এবং সংকল্পের সঙ্গে তা করব।

      আরও পড়ুন : করোনায় মৃত্যু নিয়ে রাহুলের বিপরীতে গিয়ে হু-র দাবি খারিজ কংগ্রেসের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

      

  • Modi:  “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    Modi: “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Loksabha Elections) কী নিজেকে দেশের মসনদে দেখতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে একটি গোপন কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, ”সম্প্রতি এক বিরোধী নেতার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি রাজনৈতিকভাবে আমাদের বিরোধিতা করলেও আমি তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করি। উনি আমায় বলেন, মোদিজি, এই দেশের মানুষ আপনাকে দু’বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছে। আর কী চান আপনি। এই সাফল্যই যথেষ্ট।”

    গুজরাত সরকার প্রবীণ ও দরিদ্র বিধবাদের জন্য যে প্রকল্প চালু করেছে সেই প্রকল্প গ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে গল্পের ছলে বৃহস্পতিবার একথা জানান নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”ওই সাংসদের মতে কেউ যদি দু’বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান, তবে তাঁর সমস্ত সাফল্য অর্জন করা হয়ে যায়। কিন্তু, তিনি জানেন না মোদি অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি। এই গুজরাতের মাটি আমায় তৈরি করেছে। আমি কোনও কিছুকেই হালকাভাবে নিই না। এখন আমার বিশ্রাম নেওয়ার সময় নয়। আমার স্বপ্ন হল উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে ১০০ শতাংশ সফল করে তোলা।”

    “বাবার জন্য চিকিৎসক হতে চাই”, কিশোরীর কথা শুনে বাকরুদ্ধ আবেগতাড়িত মোদি

    যদিও সেই বিরোধী নেতার নাম প্রকাশ্যে আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে অনেকেরই ধারণা ওই নেতা আর কেউ নন, শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। আসলে এপ্রিল মাসেই এনসিপি (NCP) প্রধান দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। শিবসেনা (Shivsena) নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগও জানান তিনি। ফলে তাঁদের মধ্যে হওয়া বৈঠকে শরদ পাওয়ারই প্রধানমন্ত্রীকে একথা বলেছিলেন কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) সরকার টানা আট বছর রয়েছে। এই আট বছর ধরে সেবা, গরিবদের কল্যাণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা একটা বহমান প্রক্রিয়া। উন্নয়নের কাজ ১০০ শতাংশ করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানান মোদি।

  • Sharad Pawar: কংগ্রেস ছাড়া অ-বিজেপি জোট অসম্ভব, পাওয়ারের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলের আকাশে

    Sharad Pawar: কংগ্রেস ছাড়া অ-বিজেপি জোট অসম্ভব, পাওয়ারের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলের আকাশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার তৃণমূল নেত্রীর (TMC supremo Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে জল ঢেলে দিলেন বর্ষীয়ান এনসিপি (NCP) নেতা শারদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। বুধবার আরও একবার প্রবীণ এই নেতা জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের (Anti BJP Front) ভাবনা ধোপে টিকবে না। এর আগেও একাধিকবার একথা জানিয়েছিলেন পাওয়ার। এদিন তৃণমূল নেত্রীর স্বপ্ন যে নেহাতই দিবাস্বপ্ন নাম না করে ঠারেঠোরে তা বুঝিয়ে দিলেন পাওয়ার।
     
    বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। গত বছর তৃণমূলের শহিদ তর্পন অনুষ্ঠানে বিজেপিকে হঠাতে বিরোধী ঐক্যের ডাক দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে পরেই বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ গড়ার সলতে পাকানোর কাজ শুরু দেন তিনি। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে মহারাষ্ট্র পাঠিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। সেবার পিকে বর্ষীয়ান এই নেতার মন বোঝার চেষ্টা করেই রণে ভঙ্গ দেন। এর কিছুদিন পরে দিল্লিতে পাওয়ারের বাড়িতে গিয়ে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পিকে। ওই বৈঠকে পাওয়ার জানিয়ে দেন কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট সম্ভব নয়। পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক সেরে পিকে আলাদা করে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরার সঙ্গে। ওই বৈঠক থেকেই ফোনে পিকে কথা বলেন কংগ্রেস হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধির সঙ্গেও। 

    রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি-বিরোধী জোটে যেতে চাননি মমতা। তাই কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই জোট গড়ার তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসকে তেড়ে আক্রমণও করা হয়। জোটের সলতে পাকাতে তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং গিয়ে হাজির হন রাজধানীতে। সেখানে তিনি প্রায় ১৫টি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ডাকা হয়নি কংগ্রেসকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে ওই বৈঠক করেছিলেন মমতা। বিরোধী জোটের নেতৃত্বে কংগ্রেস থাকলে যা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তবে সেদিনও পাওয়ার মমতাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র। 

    পাওয়ার যে নেহাৎ মিথ্যে বলেননি, তার প্রমাণ মেলে সাম্প্রতিক ত্রিপুরা পুরনির্বাচন এবং গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে। দুই ক্ষেত্রেই মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল। উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে সবক শেখাতে মমতা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির। যোগী রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হারে অখিলেশরা।

    এদিন ফের একবার পাওয়ার জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসকে (Congress) বাদ দিলে বিজেপি-বিরোধী জোটের পালে লাগবে না সুবাতাস। তাই ‘২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha elections) পার হওয়া যাবে না ভোট বৈতরণী। তাছাড়া ওই জোটের নেতৃত্ব দিতে তিনি রাজি নন বলেও এদিন ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন বর্ষীয়ান এই এনসিপি নেতা। 

    তৃণমূল নেত্রী শুনতে পাচ্ছেন?
       

     

     

  • 2024 LS Polls: লক্ষ্য চব্বিশের নির্বাচন, বুথ-স্তরে নীল-নকশা তৈরির পথে বিজেপি, গঠিত বিশেষ কমিটি

    2024 LS Polls: লক্ষ্য চব্বিশের নির্বাচন, বুথ-স্তরে নীল-নকশা তৈরির পথে বিজেপি, গঠিত বিশেষ কমিটি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: হাতে বাকি এখনও ২ বছর। কিন্তু, এখন থেকেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে (2024 Loksabha elections) পাখির চোখ করে ফেলেছে বিজেপি। আর এই মর্মে রণকৌশলের নীল-নকশাও তৈরি করছে গেরুয়া শিবির। 

    সূত্রের খবর, সেই নকশার অন্তর্গত একটি ধাপ হল বুথ-স্তরে শক্তি ও দুর্বলতার চিহ্নিতকরণ। এক্ষেত্রে দলের শীর্ষস্থানীয় ৪ নেতাকে নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রের বর্তমান শাসক দল। সেই কমিটি দেশের ৭৪ হাজার বুথকে চিহ্নিত করেছে। দলীয় সূত্রের খবর, সেই সব বুথগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে মূলত এক) বিরোধীরা জোর টক্কর দিচ্ছে এবং দুই) দলের শক্তি সেভাবে নজরে পড়ে না। 

    বিজেপি চাইছে, যে বুথগুলিতে বিরোধীরা টক্কর দিচ্ছে, সেখানে দখল আরও মজবুত করতে। অন্যদিকে, যে সব বুথে দল দুর্বল সেখানে শক্তিবৃদ্ধি করতে। এমন অনেক বুথ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বিজেপি একবারও জিততে পারেনি। দলীয় সূত্রের খবর, এই বুথগুলি মূলত দেশের দক্ষিণ ও পূর্ব-প্রান্তে অবস্থিত।

    বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বৈজয়ন্ত পাণ্ডার নেতৃত্বে গঠিত ওই টিম ইতিমধ্য়েই একটি নির্দিষ্ট রণকৌশল স্থির করে ফেলেছে। এর অন্তর্গত দেশের ২,৩০০ বিধানসভা আসনের অন্তর্গত সবকটি বুথকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেখানে বিজেপির কোনও সাংসদ বা বিধায়ক রয়েছেন। পাশাপাশি, আরও ১০০ লোকসভা কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বিজেপি জেতেনি। 

    কমিটির এক সদস্য বলেন, আমরা ইতিমধ্য়েই ৭৩ হাজার ৬০০-র বেশি বুথ চিহ্নিত করেছি, যেখানে এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে। প্রাথমিক লক্ষ্য হল, যে সব বুথে আমরা জিতেছি, সেখানে নিজেদের শক্তি আরও দৃঢ় ও মজবুত করা। পাশাপাশি, যেখানে আমরা জিততে পারিনি, সেগুলি জেতা। 

    গঠিত এই কমিটিতে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি এবং তফশিলি জাতি সেল-এর প্রধান লাল সিং আর্য। আগামী তিনমাস, তাঁরা দেশের প্রান্তে প্রান্ত ঘুরে চিহ্নিত হওয়া বুথগুলিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী রণকৌশল ঠিক করবেন। দলীয় সূত্রের খবর, একবার নীল-নকশা স্থির হলে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তা সরকারিভাবে ঘোষণা করবেন। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই সম্ভবত এই মর্মে ঘোষণা হতে পারে।

    কমিটির এক সদস্য জানান, আগামী তিনমাসে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা দলের প্রায় ২৩০০ সাংসদ-বিধায়ক থেকে শুরু করে রাজ্য ও জেলা সভাপতিকে নিয়ে বসা হবে। লক্ষ্য, নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে দল জিতেছে, তা যেন কোনওমতে হাতছাড়া না হয়। এর জন্য, প্রায়ই প্রশিক্ষণ শিবির ও বুথস্তরের বৈঠক হবে।

    নির্বাচনের বহু আগে থেকে বিস্তারিত সুপরিকল্পনা করা বিজেপির একটা পরিচিত দিক। এটা গেরুয়া শিবির বরাবরই করে থাকে। এর আগে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও তিন বছর আগে — অর্থাৎ ২০১৬ সাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল বিজেপি। সেবার ৬টি রাজ্যে মোট ১১৫টি নতুন কেন্দ্রকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০১৯ নির্বাচনের ফলাফল সকলেরই জানা। এবার বিজেপির মিশন ২০২৪।

     

     

     

LinkedIn
Share