Tag: 26 /11 Attack

26 /11 Attack

  • Tahawwur Rana: প্রত্যর্পণ হবেই, ২৬/১১-র চক্রী রানার দ্বিতীয় আর্জিও খারিজ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে, কবে আনা হবে ভারতে?

    Tahawwur Rana: প্রত্যর্পণ হবেই, ২৬/১১-র চক্রী রানার দ্বিতীয় আর্জিও খারিজ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে, কবে আনা হবে ভারতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ফিরতেই হবে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় (26/11 Mumbai Attack) অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আমেরিকার প্রধান বিচারপতির দরবারে রানার দায়ের করা নতুন পুনর্বিবেচনার আবেদনও নাকচ করে দিল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। মার্কিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবার জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের সিদ্ধান্তকে, মোদি সরকারের বড় কূটনৈতিক জয় বলা যেতে পারে।

    রানার দাবিতে আমল দেয়নি মার্কিন শীর্ষ আদালত

    পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান নাগরিক তাহাউর রানা (Tahawwur Rana) বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রানা জানান, ভারতের প্রত্যর্পণ করা হল তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হতে পারে। নিজেকে অসুস্থ বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে করা সেই আর্জিতে আমল দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে একাধিক নিম্ন আদালতে আইনি লড়াই হেরে যান তাহাউর রানা। সানফ্রান্সিসকোতে নর্থ সার্কিট আমেরিকান কোর্ট অফ আপিলেও হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর।

    রানার ভয় ভারতকে

    প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে প্রথম আবেদনে রানা (Tahawwur Rana) দাবি করেছিলেন যে, ভারতে তাঁকে নির্যাতন করা হবে এমন সম্ভাবনা বেশি কারণ তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুসলিম এবং একজন প্রাক্তন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা। অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীর ভারতে প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে রানা বলেন, এই আবেদনের পক্ষে তাঁকে ‘নির্যাতন’ করা হতে পারে। প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য রানা প্রথম যে আবেদন করেছিলেন, গত ৭ মার্চ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের নবম সার্কিটের বিচারপতি এলেনা কাজান তা খারিজ করে দিয়েছিলেন। এবার ফের রানার আবেদন খারিজ হয়ে গেল।

    কবে ভারতে আসছেন রানা

    ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিবিআই আশা করছে, দ্রুত রানাকে (Tahawwur Rana) বিচারের মুখোমুখি করতে আমেরিকা থেকে ভারতে নিয়ে আসার তারিখ জানাবে মার্কিন প্রশাসন। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে আগত ১০ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনায় রানা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ভারতের। মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গী রানাকে পাওয়ার জন্য প্রায় দেড় দশক আগে ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে সায় মেলেনি। বরং পরবর্তী কালে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে যান। পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষিক বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে আবার রানাকে আমেরিকার থেকে ফেরত চায় ভারত। তার পরে ২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বই নাশকতার ঘটনাতেই ফের রানাকে গ্রেফতার করেছিল আমেরিকার পুলিশ। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে রানার তরফে জামিনের আবেদন জানানো হলেও বছর দেড়েক আগে তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বইয়ে পাক জঙ্গি অজমল কসাব এবং তার সঙ্গীদের হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ছ’জন মার্কিন নাগরিকও।

    ভারতের কোথায় কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে রানাকে

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র আধিকারিকদের মতে, ভারতে পৌঁছে রানাকে (Tahawwur Rana) মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হবে – যেখানে হামলা হয়েছিল এবং তার অভিবাসন সংস্থা, ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনালের শাখা খোলা হয়েছিল। ডেভিড কোলম্যান হেডলি চক্রান্ত করার জন্য মুম্বই ভ্রমণের সময় এই সংস্থাকে কভার হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। মুম্বই ছাড়াও রানাকে আগ্রা, হাপুর, কোচিন ও আমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে। যেখানে তিনি হামলার ঠিক আগে ২০০৮ সালের ১৩ থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য,  ২৬/১১ হামলা নিয়ে মুম্বই পুলিশ যে ৪০০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর ভারতে এসেছিলেন তাহাউর রানা। ওই মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত ভারতেই ছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের রেনেসাঁ হোটেলে ২ দিন কাটিয়েছিলেন রানা। সেখানেই হয়েছিল হামলার শেষ পরিকল্পনা।

    রানাকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ

    রানাকে (Tahawwur Rana) শেষ পর্যন্ত ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার পর এনআইএ আধিকারিকরা আশা করছেন, পাকিস্তান ভিত্তিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঠিক ভূমিকা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর মধ্যে যারা এই হামলার তদারকি ও অর্থ জোগাড় করেছিল তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এই প্রথম রানাকে ভারতীয় এজেন্সিগুলি জিজ্ঞাসাবাদ করবে। ২০১০ সালের জুন মাসে এনআইএ-র একটি দল যখন ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আমেরিকায় গিয়েছিল, তখন রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

  • 26/11 Attack: ফের ভেটো চিনের, ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণা করা গেল না সাজিদ মিরকে

    26/11 Attack: ফের ভেটো চিনের, ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণা করা গেল না সাজিদ মিরকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চিনের (China) ভেটোয় আটকে গেল লস্কর-ই-তৈবা নেতা সাজিদ মিরকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণার প্রস্তাব পাশ। মুম্বইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসের (26 /11 Attack) অন্যতম মূল চক্রী এই সাজিদ। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাব পাশ করাতে চেয়েছিল ভারত ও আমেরিকা। বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় চিনের ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতা। তার জেরে আটকে গিয়েছে এই ইন্দো-মার্কিন উদ্যোগ। অথচ সাজিদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করা হলে বাজেয়াপ্ত করা যেত তার সম্পত্তি। বাইরে যাতায়াতেও জারি হত নিষেধাজ্ঞা। বেজিংয়ের বাধায় ভেস্তে গেল নয়াদিল্লি-ওয়াশিটনের সেই পরিকল্পনা।

    সাজিদের কীর্তি

    কেবল মুম্বই হামলা নয়, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং ডেনমার্কেও নানা হামলার নেপথ্যে সাজিদ রয়েছে বলে অভিযোগ খোদ আমেরিকার। ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল আমেরিকার এক আদালত সাজিদকে অভিযুক্তও করে একাধিক হামলার ঘটনায়। সেই মামলায় বলা হয়েছিল, ২৬/১১-র ঘটনায়ও (26 /11 Attack) বিদেশিদের আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সাজিদ। বন্দিদের হত্যার নির্দেশও দিয়েছিল সে। তার পর থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছে সাজিদের নাম। আমেরিকা সাজিদের মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ৫০ লক্ষ ডলার।

    জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য

    কেবল আমেরিকায় নয়, পাকিস্তানের একটি মামলায়ও সাজা দেওয়া হয়েছিল সাজিদকে। জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্যের মামলায় ২০২২ সালের জুন মাসে সাজিদকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল পাকিস্তানের আদালত। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, এফএএফটির ধূসর তালিকা থেকে দেশের নাম সরাতে সাজিদকে কারাদণ্ড দিয়েছিল ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান। এহেন সাজিদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার ইন্দো-মার্কিন প্রস্তাব পাশে বাধা হয়ে দাঁড়াল বেজিং। অবশ্য এই প্রথম নয়, গত বছরও সাজিদের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল শি জিনপিংয়ের সরকার।

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর প্রথম বাণিজ্যনগরীতে হামলা চালায় পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরা। জলপথে মুম্বইয়ে ঢুকে পড়ে ১০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালায় তারা। ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত জঙ্গি (26 /11 Attack) হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৪ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন ২৮ জন বিদেশিও। রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল আরব সাগরের জল।

    আরও পড়ুুন: “স্বরাষ্ট্র দফতর জানুক রাজ্যের কোথায় বোমা শিল্প চলছে”! ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share