Tag: Aaftab Poonawala

Aaftab Poonawala

  • Delhi Murder: সম্পন্ন হল আফতাব পুনাওয়ালার নারকো টেস্ট, আর কোন সত্যি বেরিয়ে আসল?

    Delhi Murder: সম্পন্ন হল আফতাব পুনাওয়ালার নারকো টেস্ট, আর কোন সত্যি বেরিয়ে আসল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা (Delhi Murder) মামলায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার নারকো টেস্ট সম্পন্ন হল। বৃহস্পতিবার সকালে নারকো টেস্টের জন্য তিহার জেল থেকে দিল্লির আমবেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সম্প্রতি আফতাবের উপর ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বাইরে হামলার চালানো হয়। সেই ঘটনা থেকে সতর্ক হয়ে এবার নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরেই আফতাবকে জেল থেকে বের করা হয়। আমবেদকর হাসপাতালে প্রথমে তাঁর মেডিক্যাল চেক আপ করা হয়। ব্লাড প্রেসার, পালস রেট, হার্ট বিট, বডি টেম্পারেচার। শরীরের সমস্ত প্যারামিটার ঠিক আছে দেখেই শুরু হয় নারকো টেস্টের প্রক্রিয়া। একটি সম্মতিপত্রে তাকে দিয়ে এই টেস্টের জন্য স্বাক্ষরও করানো হয়েছে। পলিগ্রাফ টেস্টের পর এবার নারকো টেস্টেও কী সত্যি বেরিয়ে আসে এখন তাই দেখার পালা।

    নারকো টেস্টে কী প্রশ্ন করা হয় আফতাবকে?

    সূত্রের খবর, নারকো টেস্টে প্রথমেই আফতাবকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন সে শ্রদ্ধাকে খুন (Delhi Murder) করেছিল? এটা কি পরিকল্পনা করে খুন? শ্রদ্ধাকে খুন করার পর ধাপে ধাপে কী কী কাণ্ড ঘটিয়েছিল আফতাব? শ্রদ্ধাকে ভালোবাসা সত্ত্বেও পরবর্তীকে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হল কেন? কোনও ধারাল বস্তু দিয়ে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল কি না? কী ভাবে দেহ  লোপাট করল? কোন কোন স্থানে দেহের টুকরো অংশগুলি ফেলেছিল? এছাড়াও তার ছেলেবেলা কেমন কেটেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে আফতাব পুনাওয়ালাকে।

    উত্তরে কী বলেছে আফতাব (Delhi Murder) তা এখনও জানা যায়নি। ফরেন্সিক সাইকোলজি বিশেষজ্ঞ, ফরেন্সিক মেডিসিন চিকিৎসক এবং ছবি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে হয় এই পরীক্ষা। ১১:৪৫ নাগাদই শেষ হয়ে যায় আফতাবে নারকো টেস্ট। এরপর তাকে কড়া নিরাপত্তা বলয়েই তিহার জেলে ফিরিয়ে আনা হয়। 

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে অস্ত্র-বোমা কারখানার সন্ধান, ধৃত ২

    পলিগ্রাফ টেস্টে কী জানিয়েছিল আফতাব? 

    দিল্লি পুলিশ জানায়, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আফতাব অত্যন্ত শান্ত হয়ে বসে ছিল। কোনও কোনও সময় তাকে বেপরোয়া এবং আত্মবিশ্বাসীও মনে হয়েছে পুলিশের। প্রথমদিকে সব প্রশ্নের উত্তরবাব দিলেও সন্ধ্যার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে মাঝপথেই থামিয়ে দিতে হয় পলিগ্রাফ টেস্ট। তিনদিন ধরে আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট করে দিল্লি পুলিশ। পলিগ্রাফ টেস্টে আফতাব স্বীকার করে নিয়েছে যে সেই শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। শ্রদ্ধা তার সঙ্গে থাকতে চান নি। আর তাতেই রেগে যায় আফতাব। রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন (Delhi Murder) করে সে। পরে দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Delhi Murder: “আফতাবের ফাঁসি চাই! আগে তদন্ত হলে আমার মেয়েটা বেঁচে যেত”, বললেন শ্রদ্ধার বাবা

    Delhi Murder: “আফতাবের ফাঁসি চাই! আগে তদন্ত হলে আমার মেয়েটা বেঁচে যেত”, বললেন শ্রদ্ধার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যায় (Delhi Murder) অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ফাঁসির সাজার দাবি করলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার। আফতাবের পরিবারের  সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বিকাশের আক্ষেপ, পুলিশ আরও আগে তদন্ত করলে তাঁর মেয়ে হয়তো আজ বেঁচে থাকত। 

    এই প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder) যথাযথ তদন্ত করা উচিত। আফতাবকে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। ওঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার। ওদেরও শাস্তি প্রাপ্য।’’

    আরও পড়ুন: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    বিকাশের দাবি, অনেক দিন আগেই মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানালেও পুলিশের তরফে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রের মানিকপুর এবং বসই থানার অসহযোগিতায় আমি সমস্যায় পড়ি। সময় মতো পুলিশ পদক্ষেপ নিলে আমার মেয়েটা হয়তো বেঁচে থাকত (Delhi Murder)। আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে, তা যেন অন্য  কারোর সঙ্গে না হয়।” 

    শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করার আগে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শ্রদ্ধার বাবা। এই মামলায় দোষীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ (Delhi Murder) নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দেবে ফড়ণবীস। বিকাশের দাবি, “তুলিঞ্জ, বসই এবং নালাসোপারা থানার পুলিশ তদন্ত বিলম্বিত করছে। এখন অবশ্য দিল্লি এবং বসই পুলিশ যথাযথ তদন্ত করছে।” 

    ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে আফতাব 

    এদিকে শুক্রবার আরও ১৪ দিনের জন্য আফতাবের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুনের অভিযোগে গত ১২ নভেম্বর আফতাব পুনাওয়ালাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এই মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে তত নতুন নতুন তথ্য পুলিশের হাতে আসছে। ইতিমধ্যেই আফতাবের পলিগ্রাফ এবং নারকো টেস্ট করানো হয়েছে। লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুনের কথা নিজে মুখে স্বীকার করেছে আফতাব। নারকো পরীক্ষায় অবচেতন মনে শ্রদ্ধাকে হত্যার (Delhi Murder) কথা স্বীকার করেছে আফতাব। পরীক্ষার সময় আফতাব দাবি করেছে, রাগ ও ক্ষোভের বশেই সে শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিল। পাশাপাশি সে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৭টি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, হত্যার পর সেই সব অস্ত্র সে কোথায় ফেলেছে, তাও জেরায় জানিয়েছে আফতাব। শ্রদ্ধার মোবাইল ও জামাকাপড় কোথায় ফেলেছে, তাও জানিয়েছে আফতাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Brain Mapping: ব্রেন ম্যাপিং করা হতে পারে আফতাব পুনাওয়ালার, কী এই পরীক্ষা?

    Brain Mapping: ব্রেন ম্যাপিং করা হতে পারে আফতাব পুনাওয়ালার, কী এই পরীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলিগ্রাফ, নারকো টেস্টের পর এবার শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিং (Brain Mapping) করতে পারে দিল্লি পুলিশ। ব্রেন ম্যাপিং- এর ফলে ব্রেনের পরিস্কার ছবি পাবেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রেনের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে ধরবে এই বিশেষ পদ্ধতি। যা পরবর্তীতে তদন্তে সাহায্য করবে। 

    কী পদ্ধতিতে হবে এই পরীক্ষা?

    অভিযুক্ত, যার ওপর এই ব্রেন ম্যাপিং (Brain Mapping) পরীক্ষা হবে, তাকে প্রথমে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হবে। এটা বোঝার চেষ্টা করা হবে, যে তিনি কিছু লুকোতে চাইছেন কী না। বিশেষ কিছু বিষয়ে কথা বলতে দিয়ে বিশেষজ্ঞরা মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু জায়গাকে সক্রিয় করার চেষ্টা করবেন, যেই জায়গাগুলি স্মৃতির জন্যে দায়ী। কিছু শব্দের তালিকা দেওয়া হয়ে থাকে অভিযুক্তকে। 

    এই ক্ষেত্রে (Brain Mapping) তিন ধরনের শব্দ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথমত অর্থহীন কিছু শব্দবন্ধ, যার সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক থাকে না। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এমন কিছু শব্দ দেওয়া হয়, যার সঙ্গে মামলার সরাসরি যোগ রয়েছে। তৃতীয় ক্ষেত্রে এমন কিছু শব্দ দেওয়া হয়, যা অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য। যার বিষয়ে অভিযুক্ত কিছুই জানেন না। 

    অভিযুক্তকে প্রথমে বসতে বলা হয় এবং চোখ বন্ধ করতে বলা হয়। এবার এই তিনধরনের শব্দ থেকে যখন-তখন যেকোনও শব্দ বলা হয়। ৩২ চ্যানেলের ইলেক্ট্রোড সরাসরি খুলির ওপর লাগানো থাকে। অভিযুক্তকে শব্দগুলি মন দিয়ে শুনতে বলা হয়। এই পরীক্ষায় অভিযুক্তের কোন মৌখিক প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁর মস্তিষ্ক কী প্রতিক্রিয়া (Brain Mapping) দিচ্ছে সেটাই দেখা হয়। মস্তিষ্কের কোন অংশ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে সেটাই মূলত দেখা হয় এই পরীক্ষায়। তার ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করেন বিশেষজ্ঞরা। 

    এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে কী আইন রয়েছে? 

    ভারতীয় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে কোনও ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাঁর ওপর ব্রেন ম্যাপিং (Brain Mapping) , পলিগ্রাফ বা নারকো টেস্ট করা যাবে না। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া এই পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট মূল প্রমাণ হিসেবেও গ্রাহ্য হবে না।

    আরও পড়ুন: ‘রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম…’ আদালতে জানাল ‘কিলার’ আফতাব

    যত দিন যাচ্ছে, শ্রদ্ধা খুনের মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে জোরকদমে চলছে পুলিশি তদন্ত (Brain Mapping) । এরই মাঝে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেই তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। আফতাব আদালতে জানায়, যা হয়েছে, রাগের বশে হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে মেহুরুলির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়ে এসেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিল আফতাব। দিল্লি পুলিশ তাঁর সেই স্বীকারোক্তির (Brain Mapping) উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জঙ্গলে তিন বার তল্লাশি চালায়। আর এরই মধ্যে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহের খুলির একাংশ, কাটা কব্জি, হাঁটুর অংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ফলে পরবর্তীতে দিল্লি পুলিশের হাতে  আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Shraddha Walker Murder: তিহার জেলে বন্দি আফতাব, রয়েছে সিসিটিভির নজরদারিতে

    Shraddha Walker Murder: তিহার জেলে বন্দি আফতাব, রয়েছে সিসিটিভির নজরদারিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনে (Shraddha Walker Murder) অভিযুক্ত আফতাব পুন্নাওয়ালাকে (Aaftab Poonawala) পাঠানো হল বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। তার পরেই আফতাবকে পাঠানো হয় তিহার জেলে (Tihar Jail)। সেখানে চব্বিশ ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরায় নজর রাখা হবে তার ওপর। তিহার জেলের ৪ নম্বর কুঠুরিতে রাখা হয়েছে তাকে। প্রথমবার কোনও অপরাধ করে যারা তিহার জেলে আসে, তাদের রাখা হয় এখানেই। দিল্লির আদালত আফতাবকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। এদিকে, পুলিশও ওই খুনের ঘটনায় নতুন কিছু সূত্র পেয়েছে। তারা জেনেছে, শ্রদ্ধাকে খুনের পরে পরেই এক মহিলা আফতাবের বাসভবনে গিয়েছিলেন। তাঁকে চিহ্নিতও করেছে দিল্লি পুলিশ।

    আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    অভিযুক্ত আফতাবের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, সে তার বান্ধবী তথা লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুন (Shraddha Walker Murder) করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছেন। মোট ৩৫টি টুকরো করা হয়েছিল শ্রদ্ধার দেহ। দেহের সেই টুকরোগুলি রাখা হয়েছিল ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজে। হত্যার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহারও করে সে। রাতের অন্ধকারে নিকটবর্তী জঙ্গলে সেই দেহাংশ সে ফেলে আসত বলেও জেনেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, শ্রদ্ধাকে খুনের কথা জেরায় স্বীকারও করে নিয়েছে আফতাব।

    আরও পড়ুন: ন্যূনতম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি পাবে শ্রদ্ধা হত্যাকারী! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    এদিন বিচার বিভাগীয় হেফাজত হওয়ার পর আফতাব পুন্নাওয়ালার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়। পরে পাঠানো হয় জেলে। তিহার জেলের ওই সেলে আফতাব একা নয়, রয়েছে আরও কয়েকজন। তাই প্রয়োজন আফতাবের নিরাপত্তার। সেই কারণেই তাকে চব্বিশ ঘণ্টা সিসিটিভির নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শ্রদ্ধাকে খুনের (Shraddha Walker Murder) অভিযোগে আফতাবকে গ্রেফতার করা হয় নভেম্বরের ১২ তারিখে। প্রথমে তাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। নভেম্বরের ১৭ তারিখে সেটা বাড়ানো হয় আরও পাঁচ দিন। মঙ্গলবার আরও চার দিনের জন্য তাকে পাঠানো হয় পুলিশি হেফাজতে। তার পর হয়েছে বিচার বিভাগীয় হেফাজত।

    এদিকে, শ্রদ্ধা খুনের (Shraddha Walker Murder) পরপরই আফতাবের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন যে মহিলা, তাঁকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ওই মহিলা সাইকোলজিস্ট। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় আফতাবের। তাঁকেও জেরা করছে পুলিশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Delhi-Mehrauli Murder: ধর্ম পরিবর্তনে রাজি না হওয়াতেই কি খুন শ্রদ্ধা? দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    Delhi-Mehrauli Murder: ধর্ম পরিবর্তনে রাজি না হওয়াতেই কি খুন শ্রদ্ধা? দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Delhi-Mehrauli Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

    শ্রদ্ধার বাবার দাবি

    আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পরই তাঁর মেয়ে বদলে গিয়েছিল। এমনই দাবি করলেন দিল্লিতে নৃশংস হত্যার শিকার শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়েলকার। তাঁর দাবি, “শ্রদ্ধা খুব ভাল মেয়ে ছিল। ফ্যাশন ট্যাশন কিছু করত না। একদম সাধারণভাবে থাকত। যখন থেকে ও প্রথম চাকরি করা শুরু করেছিল এবং ওর সঙ্গে এই ছেলেটির দেখা হয়েছিল, তখন থেকেই লাইফস্টাইলে পরিবর্তন এসেছিল শ্রদ্ধার।” ভিন্ন ধর্ম, অন্য পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা আফতাবের সঙ্গে সম্পর্কে যেতে দিতে রাজি ছিল না শ্রদ্ধার পরিবার। তাই বাড়ি ছাড়েন শ্রদ্ধা। কিন্তু বাড়ি ছাড়লেও শ্রদ্ধার বন্ধুর অনুমান, নিজের ধর্ম-ত্যাগ করতে রাজি ছিল না হিন্দু পরিবারের মেয়ে।  

    শ্রদ্ধার ছোটবেলার বন্ধু লক্ষ্মণ নাদার জানান, মাঝেমাঝেই শ্রদ্ধার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত আফতাব।  সে কথা শ্রদ্ধা তাঁকে জানিয়েছিল। শ্রদ্ধাকে সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথাও বলে। এমনকী, আফতাবকে ভয়ও দেখায় পুলিশকে জানিয়ে দেবে বলে। লক্ষ্মণ বলেন, আফতাব তখনই শ্রদ্ধার থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়। তারপর শ্রদ্ধাই লক্ষ্মণকে পুলিশে যেতে আটকায়। শ্রদ্ধার পরিবার সূত্রে খবর, মা ও বাবাকেও আফতাবের ব্যবহারের কথা জানিয়েছিল শ্রদ্ধা কিন্তু সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি ছিল না।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    তদন্তে নয়া দিক

    পুলিশকে জেরায় আফতাব জানিয়েছে খুনের এক সপ্তাহ আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল সে। শ্রদ্ধা তাকে সন্দেহ করত। ফোনে কারুর সঙ্গে কথা বললে বিরক্ত হত। তার প্রতি শ্রদ্ধা অবিশ্বাস করত বলেই বিরক্ত হয়ে শ্রদ্ধাকে শেষ করার কথা ভাবে সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহ মাটিতে পুঁতে দিলে বা কোথাও ফেললে ধরা পড়তে পারে এই আশঙ্কাতেই দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। পরে তা জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। সেই সময়ও বাড়িতে নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত আফতাব। ডেটিং অ্যাপ বাম্বেলেই তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আফতাবের। এবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোন কোন মহিলার সঙ্গে আফতাবের সাক্ষাৎ হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য হাতে পেতে এবার বাম্বল ডেটিং অ্যাপকে চিঠি পাঠাতে পারে দিল্লি পুলিশ।  শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের (Delhi-Mehrauli Murder) পিছনে সেই মহিলাদের কোনও হাত ছিল কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ।

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে প্রমাণ উদ্ধারের জন্য একাধিক দল মোতায়েন করা হয়েছে । সবার আগে শ্রদ্ধার শরীরের টুকরো অংশগুলি খুঁজে বের করতে চায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত শরীরের ১৩টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে । বেশিরভাগই হাড় । এখনও ,মাথা, ধড় কিংবা শরীরের অন্য কোনও অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা দেখে শ্রদ্ধাকে সনাক্ত করা যেতে পারে । মেহরাউলি জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ । কিন্তু, এত বড়, ঘন জঙ্গলে শরীরের টুকরো অংশগুলি খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন বলে জানাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। ছয় মাস হয়ে গিয়েছে শ্রদ্ধার শরীরের অংশ জঙ্গলে রয়েছে। তা পচে যেতে পারে বা কোনও প্রাণী খেয়ে ফেলতে পারে বলেও পুলিশের অনুমান।

    যে অস্ত্র দিয়ে শ্রদ্ধার দেহের (Delhi-Mehrauli Murder) টুকরো টুকরো করেছিল আফতাব, এখনও তা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পাশাপাশি, খুনের সময় আফতাবের রক্তমাখা জামারও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। জেরা চলাকালীন আফতাব পুলিশকে জানায়, আবর্জনার ভ্যানে সে তার রক্তমাখা জামাকাপড় ফেলে দিয়েছিল। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছু প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এতটা সময়ের ব্যবধান যে তদন্তকে কঠিন করে তুলেছে, তা-ও মেনে নিয়েছেন তিনি। 

     

LinkedIn
Share