Tag: AAP

AAP

  • Parvesh Verma: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির পরবেশ ভার্মা! চেনেন তাঁকে?

    Parvesh Verma: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির পরবেশ ভার্মা! চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতি তাঁর রক্তে। উত্তরাধিকার সূত্রেই তিনি পেয়েছেন রাজনীতির রাজদণ্ড। নয়াদিল্লি আসনে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিনি হারিয়েছেন ৪ হাজার ৪৯ ভোটে। এহেন জায়ান্ট কিলার পরবেশ ভার্মাই (Parvesh Verma) কি হতে চলেছেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী? দিল্লির রাজনৈতিক মহলে এবং বিজেপির (BJP) অন্দরে পরবেশের নাম নিয়ে চলছে জোর চর্চা। প্রশ্ন হল, কে এই পরবেশ?

    রাজনৈতিক উত্তরাধিকার (Parvesh Verma)

    দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন পরবেশের বাবা সাহিব সিং ভার্মা। তিনি বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতিও। ত্রয়োদশ লোকসভায় তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী। জাঠ সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় মুখ সাহিব। পরবেশের কাকা আজাদ সিংও বিজেপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন উত্তর দিল্লি পুরনিগমের মেয়র। ২০১৩ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মেহরাউলি আসন থেকে জিতে বিধায়ক হন পরবেশ। ২০১৪ সালে পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হন তিনি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন পরবেশ (Parvesh Verma)।

    জায়ান্ট কিলার

    দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির নেতা পরবেশ। তিনি হারিয়েছেন কেজরিওয়ালকে। পরাস্ত করেছেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে।  পরবেশ দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির নেতা। বাবার মতোই জাঠদের মধ্যেও তাঁর বিরাট প্রভাব। দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হয়তো তাঁকেই বেছে নেবেন বিজেপি নেতৃত্ব। পরবেশ স্বয়ং বলছেন, এ ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় নেতৃত্ব। পরবেশ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন প্রয়াত বিজেপি নেত্রী তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও।

    ১৯৭৭ সালে জন্ম পরবেশের। পড়াশোনা দিল্লি পাবলিক স্কুলে। কিরোরি মাল কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর এমবিএ করেন ফোর স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে।

    ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পরবেশ ছিলেন দিল্লি বিজেপি নির্বাচন কমিটির সদস্য। সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে পরবেশ ঘুরেছেন বিভিন্ন বস্তিতে। বলেছেন, “বস্তির যাঁরা বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং শূন্য বিদ্যুৎ বিল পাচ্ছেন, তাঁরা দয়া করে কেজরিওয়ালকে ভোট দিন। আর যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁরা দয়া করে বিজেপিকে (BJP) ভোট দিন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ‘মন্ত্রে’ই বাজিমাত করেছেন পরবেশ (Parvesh Verma)।

  • PM Modi: দিল্লি বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করবে বিজেপি সরকার, বললেন মোদি

    PM Modi: দিল্লি বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করবে বিজেপি সরকার, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই ক্যাগ (সিএজি) রিপোর্ট (CAG) পেশ করবে বিজেপি সরকার, দিল্লি জয়ের পর এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে দিল্লিকে ‘দুর্নীতিমুক্ত’ করা এবং উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার ‘গ্যারান্টি’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি তাঁর বিজয়ী ভাষণে উল্লেখ করেন সমাজকর্মী আন্না হাজারের প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এত দিনে দুঃখ ঘুচল আন্নার।’’ প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবারই দিল্লিতে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। মুখ থুবড়ে পড়েছে কেজরিওয়াল এবং আম আদমি পার্টি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি, আম আদমি পার্টি জিতেছে মাত্র ২২ আসনে। এরপরে সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে বিজেপি দফতরে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি আম আদমি পার্টিকে ফের একবার তুলোধোনা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘‘এই আপ-দা পার্টির লোকেরা বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে প্রথম বিধানসভা অধিবেশনেই ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করা হবে এবং যারা লুট করেছে তাদেরকে ফেরত দিতে হবে।’’

    দুর্নীতি করে যাঁরা লুটেছেন, তাঁদের সব ফেরত দিতেই হবে

    শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে বিজয়ী ভাষণ শুরু করেন মোদি (PM Modi)। ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন , ‘‘যমুনা দিল্লির পরিচয়। সেই যমুনার কী অবস্থা? দিল্লির মানুষ ভরসা রেখেছিল, কিন্তু আপ-দা আস্থা হারিয়েছে। উল্টে হরিয়ানার উপর দোষারোপ করেছে। আমরা যমুনা পরিষ্কার করব। কাজটা কঠিন। কিন্তু হবেই।’’ বক্তব্যে উঠে আসে মোদির গ্যারান্টির কথা। তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘দুর্নীতিমুক্ত করার কথা বলেছিল যে দল, সেই দলেরই মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীরা দুর্নীতির দায়ে জেল খেটেছেন। দুর্নীতি লুকোতে তাঁরা নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করেছেন। দুর্নীতি করে যাঁরা লুটেছেন, তাঁদের সব ফেরত দিতেই হবে। এটাও মোদির গ্যারান্টি।’’

    তোপ কংগ্রেসকেও (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন তোপ দাগেন কংগ্রেসকেও। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস নিজেও ডোবে, সঙ্গে সহযোগীদেরও ডোবায়।’’ কংগ্রেস ‘পরজীবী’ বলেও কটাক্ষ করেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস তার সহযোগীদের অ্যাজেন্ডা চুরি করে তাদের বিরুদ্ধেই প্রচার করে। কংগ্রেসের সহযোগীরা বুঝে গিয়েছে সেই কথা। কেউ যদি এক বার কংগ্রেসের হাত ধরে, তবে তার হার নিশ্চিত।’’

  • Delhi Assembly Election: ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’, দিল্লিবাসীর আশীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

    Delhi Assembly Election: ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’, দিল্লিবাসীর আশীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে জিতে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দিল্লি জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁর। অবশেষে ২০২৫, দীর্ঘ ২৭ বছর পর ফের দিল্লির বিধানসভায় গেরুয়া ঝড়। এই জয়কে ‘উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ভোটারদের প্রণাম মোদির

    দিল্লিবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘জনশক্তি সবার উপরে। মানুষের আশীর্বাদ পাওয়ায় আমরা সম্মানিত।’’ দিল্লিতে বিজেপির জয়ের জন্য সেখানকার ভোটারদের প্রণাম জানান মোদি। তার পরেই তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ‘‘দিল্লির উন্নয়নে আমরা কোনও রকম ফাঁক রাখব না। দিল্লিবাসীর জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ ‘বিকশিত ভারত’-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে দিল্লি, জানান মোদি। একই সঙ্গে দিল্লিতে জয়ের জন্য বিজেপি কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান। মোদি মনে করেন, তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এই জয় সম্ভব হত না। দিল্লির বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য আরও ভালোভাবে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

    শিক্ষা দিয়েছে দিল্লি, বললেন শাহ

    এই নির্বাচনের আগে ইস্তাহারে ঢালাও আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। মহিলাদের জন্য ভাতা থেকে শুরু করে, বিধবা ও বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের জন্য ভাতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য এককালীন ভাতা থেকে শুরু করে সুলভে খাবার পাওয়ার জন্য ৫ টাকার ক্যান্টিন চালুর আশ্বাসও ছিল বিজেপির ইস্তাহারে। দিল্লিতে বিজেপির জয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও পোস্টে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি দিল্লিবাসীর হৃদয়ে। ভোটাররা কেজরিওয়ালের শিসমহল ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা প্রতিশ্রুতি রাখে না, তাদের শিক্ষা দিয়েছে দিল্লি। এটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।”

    দিল্লিতে উন্নয়নের গ্যারান্টি

    ৫ ফেব্রুয়ারি হয় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার হল ফলপ্রকাশ। সকাল থেকে ফল বেরনো শুরু হতেই এগিয়ে যায় বিজেপি। তারপর যত সময় এগিয়েছে, ততই ব্যবধান বাড়িয়েছে বিজেপি। শেষ আপডেট অনুযায়ী, দিল্লিতে ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আপ জিতেছে ২২টি আসনে। একমাত্র আতিশি মারলেনা ছাড়া আপ-এর প্রথম সারির সব নেতাই হেরেছেন। বিজেপি প্রার্থী পরবেশ ভার্মার কাছে হেরে গিয়েছেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার রাজধানীতেও মোদি-ম্যাজিক, উন্নয়নের গ্যারান্টি!

  • Congress: ০, ০, ০! দিল্লিতে অন্য হ্যাটট্রিক কংগ্রেসের, জাতীয় রাজনীতিতে অস্তাচলে গান্ধীরা?

    Congress: ০, ০, ০! দিল্লিতে অন্য হ্যাটট্রিক কংগ্রেসের, জাতীয় রাজনীতিতে অস্তাচলে গান্ধীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নিয়ে টানা তিনবার দিল্লিতে মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস (Congress)। শুধু পরাজয়ই নয়, এক্কেবারে টানা তিন-তিন বার খালি হাতে ফিরে শূন্যের হ্যাটট্রিক করল শতাব্দীপ্রাচীন পার্টি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি অস্তাচলে যাচ্ছে গান্ধী পরিবার? ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর দিল্লির মসনদে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপরেই দিল্লির জনগণ তাদের সেখান থেকে উৎখাত করে। বিগত ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে যায় কংগ্রেস। কিন্তু সেখানেও ভরাডুবি হয় দলের। দিল্লির (Delhi Election) অন্তর্গত লোকসভাগুলিতে ব্যাপক ভরাডুবি হয় আম আদমি পার্টির।

    দিল্লির মানুষ প্রত্যাখান করেছে কংগ্রেসকে (Congress)

    ২০২৫ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস (Congress) ও আম আদমি পার্টির মধ্যে জোট হয়নি। এই আবহে একদিকে বিজেপি অন্যদিকে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে থাকেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। কিন্তু এত সব কিছু করেও বিফলে গেল তাদের প্রচার। দিল্লির জনগণ ফের একবার প্রত্যাখ্যান করল কংগ্রেসকে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কংগ্রেসের ভরাডুবি শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকেই। সেখানে মাত্র ৮টি আসনে জয় পায় তারা। শতাংশের বিচারে ভোট পায় ১১.৪ শতাংশ। অন্যদিকে ওই বছরে আম আদমি পার্টি ২৮টি আসনে তারা জয় লাভ করে ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে। এরপরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। সেবারের নির্বাচনে কংগ্রেস একটি আসনেও জিততে পারেনি। দলের ভোট শতাংশের হার নেমে আসে ৯.৬৫।

    ২০২০ সালেও কোনও আসন জিততে পারেনি কংগ্রেস (Congress)

    ৫ বছর পরে ২০২০ সালে কংগ্রেস আবারও একবার শূন্য পায়। ভোট শতাংশের হার তারও অর্ধেক হয়ে দাঁড়ায় ৪.২৬। দলের এমন ফলাফলে যথেষ্ঠই হতাশ কংগ্রেস নেতা তথা ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মন্ত্রী টিএস সিং। তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের গভীর হতাশা ব্যক্ত করেন দিল্লির ফলাফল নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে (Delhi Election) যা হল তা কংগ্রেসের (Congress) জন্য যথেষ্ট হতাশার। বিজেপি জিতছে আম আদমি পার্টির হারছে। আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত ফলাফল আসা পর্যন্ত। যারা জিতল তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।’’

  • Delhi Election: প্রাথমিক গণনায় ম্যাজিক ফিগার পার, দিল্লিতে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি, ধরাশায়ী আপ

    Delhi Election: প্রাথমিক গণনায় ম্যাজিক ফিগার পার, দিল্লিতে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি, ধরাশায়ী আপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ বছর পরে দিল্লি বিধানসভা (Delhi Election) দখলের পথে বিজেপি (BJP), গেরুয়া ঝড়ে বেসামাল আম আদমি পার্টি। ২০২৫ সালের বিধানসভা ভোটের প্রাথমিক ফলাফল যা দেখা যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন ফলাফলের জন্য নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিপুল কর্মযজ্ঞ যেমন ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে, একইভাবে আম আদমি পার্টির দুর্নীতি সমান ভাবে দায়ী। প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতিতে জেলে যেতে হয় আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়াকে। সেই প্রতিফলনই ইভিএমে পড়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল।

    বিজেপি এগিয়ে ৪৪ আসনে, পিছিয়ে আপের মুখ্যমন্ত্রী

    সকাল দশটা পর্যন্ত যে প্রাথমিক ফলাফল দেখা যাচ্ছে, সেখানে স্পষ্ট ছবি উঠে আসছে যে ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় (Delhi Election) বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৪৪ আসনে, আম আদমি পার্টি এগিয়ে রয়েছে ২৬ আসনে। কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত কোথাও খাতা খুলতে পারেনি। এই প্রাথমিক ফলাফল আম আদমি পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভায় (Delhi Election) পিছিয়ে রয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী অতিশী মারলেনা।

    ৫০.৪২ লক্ষ পুরুষ এবং ৪৪.০৮ লক্ষ মহিলা ভোট দান করেছেন দিল্লিতে

    দিল্লি বিধানসভার (Delhi Election) ভোট গণনা চলছে ১৯টি কেন্দ্রে। গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর পরবর্তীকালে সামনে আসে জনমত সমীক্ষা। প্রত্যেকটি জনমত সমীক্ষাতে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। সেই জনমত সমীক্ষারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে গণনার দিনে। প্রসঙ্গত, পাঁচ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা ভোটে ভোট দান করেছিলেন ৬০.৫৪ শতাংশ ভোটার। ২০২০ সালে তুলনায় যা ছিল ২.৫ শতাংশ কম। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয় দিল্লি বিধানসভার (Delhi Election) ভোটে ভোট দিয়েছেন ৫০.৪২ লক্ষ পুরুষ এবং ৪৪.০৮ লক্ষ মহিলা।

  • Delhi Election: দিল্লি বিধানসভার কুর্সিতে এবার পদ্ম, বলছে জনমত সমীক্ষা

    Delhi Election: দিল্লি বিধানসভার কুর্সিতে এবার পদ্ম, বলছে জনমত সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল আপকে নির্বাসনে পাঠাচ্ছেন দিল্লিবাসী (Delhi Election)! অন্তত একাধিক জনমত সমীক্ষায় (Exit Poll) উঠে এসেছে এমনই তথ্য। ৫ ফেব্রুয়ারি এক দফায় হয়েছে দিল্লির ৭০ আসনে নির্বাচন। নির্বাচনের ফল বের হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, দিল্লিতে এবার ফুটছে পদ্ম।

    জনমত সমীক্ষার ফল (Delhi Election)

    জেভিসির এক্সিট পোল বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৫টি আসন। আপের ঝুলিতে যেতে পারে ২২ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ০ থেকে ২টি আসন। পি মার্কের জনমত সমীক্ষা বলছে দিল্লিতে বিজেপি পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৯টি আসন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপ পেতে পারে ২১ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেসের অবস্থা শোচনীয়। সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দল পেতে পারে ০ থেকে ১টি আসন।

    দিল্লি পদ্মময়

    পিপলস ইনসাইটের এক্সিট পোলের (Delhi Election) রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ৪০ থেকে ৪৪টি আসন। আপ পেতে পারে ২৫ থেকে ২৯টি আসন। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ০ থেকে ১টি আসন। পিপলস প্লাসের জনমত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৫১ থেকে ৬০টি আসন। কেজরিওয়ালের দল পেতে পারে ১০ থেকে ১৯টি আসন।

    চাণক্যস স্ট্র্যাটেজি বলছে, পদ্ম পার্টির ঝুলিতে যেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৪টি আসন। আপ পেতে পারে ২৫ থেকে ২৮টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ২ থেকে ৩টি আসন। ম্যাট্রিজের জনমত সমীক্ষা বলছে, দিল্লিতে বিজেপি পেতে পারে ৩৫ থেকে ৪০টি আসন। আপের ঝুলিতে যেতে পারে ৩২ থেকে ৩৭টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে মাত্র ১টি আসন।

    জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত বাস্তবায়িত হলে এবার দিল্লি হবে পদ্মময়। অবসান হবে আপ জমানার। তবে সাতটি জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, খাস দিল্লিতেই কংগ্রেসের অবস্থা করুণ। তারা বড়জোর পাবে ১ থেকে ৩টি আসন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিল্লিতে (Exit Poll) ভোট পড়েছে ৫৭.৭০ শতাংশ (Delhi Election)।

  • Delhi Assembly Election: ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা, ৪ লাখ অংশগ্রহণ! দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আরএসএসের নিভৃত প্রচার

    Delhi Assembly Election: ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা, ৪ লাখ অংশগ্রহণ! দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আরএসএসের নিভৃত প্রচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাবরই লোকসভা তথা বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের হাতে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়। গোটা রাজ্যে গত কয়েকমাস ধরে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন আরএসএস নেতা-কর্মীরা।

    দিল্লি দখলের স্ট্র্যাটেজি

    দিল্লিতে কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেললে সাফল্য আসতে পারে, তা ভালোই জানেন আরএসএস নেতারা। ‘জন সম্পর্ক’ গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয় আরএসএসের ওপরতলা থেকে। বিজেপির দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার অভিযান শেষ হয়েছে  সোমবার।  এই প্রচার অভিযানে দলটির প্রধান আধ্যাত্মিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গত কয়েকটি নির্বাচনে যেমন হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের। তেমনি দিল্লিতেও বিজেপির প্রচারে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে সংগঠন।

    গ্রামীণ অঞ্চলে আরএসএস-এর বার্তা

    বিজেপি প্রায় তিন দশক ধরে দিল্লিতে ক্ষমতার বাইরে। রাজধানীতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল-নেতৃত্বাধীন আাম আদি পার্টির (AAP) সঙ্গে বিজেপির ধারাবাহিক সংঘর্ষের শুরু, আন্না হজারের আন্দোলন থেকে। চলতি বছর দিল্লির নির্বাচন বিজেপির জন্য এক মর্যাদার লড়াই। আরএসএস, একটি সামাজিক সংগঠন যা সাধারণত রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে কিছুটা দূরে থাকে, তবে বিজেপির পক্ষে এর প্রচারণা একেবারে সহজাত। সাধারণত এটি ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে বিজেপির হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে।

    আরএসএসের ড্রয়িং রুম সভা

    দিল্লিতে নির্বাচনের আগে, আরএসএস তার প্রচার শুরু করে দেয়। সংগঠনটির কাজ আটটি বিভাগে (জোন) ভাগ করা হয়েছে, যা ৩০টি জেলা এবং ১৭৩টি নগরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, প্রত্যেকটি জোনকে “ড্রয়িং রুম সভা” আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই সভাগুলি ছোট ছোট গ্রুপে আয়োজন করা হতো, যেগুলি স্থানীয় এলাকাগুলির অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হত। এখানে মূলত বিজেপির লক্ষ্য, উন্নততর ভারত গঠনের চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। বলা হত, অমৃতকালের কথা।

    জাতীয় স্বার্থে কাজ করে বিজেপি

    আরএসএসের লক্ষ্য ছিল ৬০,০০০টি সভার আয়োজন করা। এ জন্য আরএসএস প্রচারকরা রাজধানীতে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। দলীয় সূত্রে খবর, মোট ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা আয়োজিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। পশ্চিম দিল্লির এক আরএসএস কর্মী জানান, “আমাদের কাজ ছিল ভোটারদের শেখানো, যাতে তারা বুথে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে ভোট দেন। তবে হ্যাঁ, আমরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছিলাম, কারণ তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে।”

    মহিলাদের যোগদান

    এছাড়া, প্রতি স্তরে (ভিভাগ, জেলা, নগর) নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হত। যাতে ড্রয়িং রুম সভাগুলোর প্রতিক্রিয়া নেওয়া যায়। প্রায় ২,০০০টি ড্রয়িং রুম সভা আরএসএস কর্মীরা পরিচালনা করেছেন, আর ৪,৫৫০টি সভা অন্যান্য আনুষঙ্গিক সংগঠনগুলি যেমন ভারতীয় শ্রমিক সংঘ (BMS), সেবা ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ আয়োজন করেছে। এই সভাগুলিতে প্রায় ৫৩,০০০ জন অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে একটি বড় অংশ ছিল মহিলা। দেশে নারী শক্তির জাগরণে মোদি সরকারের সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেছে আরএসএস। এর ফলে মহিলা কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

  • Delhi Elections 2025: “দিল্লিতেও উন্নয়নের নতুন বসন্ত শুরু হবে,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Delhi Elections 2025: “দিল্লিতেও উন্নয়নের নতুন বসন্ত শুরু হবে,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বসন্ত পঞ্চমীর আগমনের সঙ্গে যেভাবে ঋতুর পরিবর্তন হয়, ঠিক তেমনি দিল্লিতেও একটি উন্নয়নের নতুন বসন্ত শুরু হবে।” নয়াদিল্লির (Delhi Elections 2025) আরকে পুরমে আয়োজিত এক সভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    আপকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর (Delhi Elections 2025)

    সোমবার নয়াদিল্লিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনায় আম আদমি পার্টিকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আপ সরকার শুধুমাত্র ভালো নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদেরই নবম শ্রেণির পর এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়, যাতে তাদের নিজেদের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি শুনেছি, দিল্লিতে তারা (আপ সরকার) নবম শ্রেণির পর শিক্ষার্থীদের এগোতে দেয় না। শুধুমাত্র যাদের পাস করার নিশ্চয়তা আছে, তারাই যেতে পারে। কারণ যদি তাদের ফল খারাপ হয়, তাহলে সরকারের সুনাম নষ্ট হবে। এই কারণে খুবই অসৎ কাজ করা হয়।”

    ১১ বছর নষ্ট

    তিনি বলেন, “কয়েক দিনের মধ্যে দিল্লিতে উন্নয়নের নতুন বসন্ত আসতে চলেছে। এবার দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠিত হতে চলেছে। ‘আপ-দা পার্টি’ ১১ বছর নষ্ট করেছে। আমার সবচেয়ে বড় অনুরোধ হল, আমাদের দিল্লির জনগণের সেবা করার সুযোগ দেওয়া হোক। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদের প্রতিটি সমস্যার সমাধানে আমি যে কোনও সীমা পর্যন্ত যেতে প্রস্তুত। দিল্লিতে একটি ডবল-ইঞ্জিন সরকার আসবে, যা প্রতিটি গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনকে সমৃদ্ধ (Delhi Elections 2025) করবে।” তিনি বলেন, “বস্তিবাসীদের জন্য ৫ টাকায় পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। অটো চালক ও গৃহকর্মীদের জন্য একটি কল্যাণ বোর্ড গঠন করা হবে।” চালু কোনও কল্যাণমূলক প্রকল্প বন্ধ করা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অটোচালক ও গৃহকর্মীদের জন্য একটি কল্যাণ বোর্ড গঠন করা হবে, যা তাদের জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিমা কভারেজ প্রদান করবে। বিজেপি সরকার শিশুদের স্কুলের ফি দিয়েও সহায়তা করবে।” তিনি বলেন, “আমি আরও একটি গ্যারান্টি দিচ্ছি। এই আপ-দা লোকেরা মিথ্যা প্রচার করছে। দিল্লির একটি (PM Modi) বস্তিও ভাঙা হবে না। দিল্লির জনগণের জন্য চালু থাকা কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিও বন্ধ করা হবে না (Delhi Elections 2025)।”

     

  • Delhi Elections 2025: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন”, বললেন শাহ

    Delhi Elections 2025: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন।” শনিবার দিল্লির এক নির্বাচনী জনসভায় এই ভাষায়ই আম আদমি পার্টিকে (Amit Shah) আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Delhi Elections 2025)। আপ সরকারকে তিনি থ্রি-জি সরকার বলেও অভিহিত করেন।

    থ্রি-জির ব্যাখ্যা (Delhi Elections 2025)

    থ্রি-জির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ঘাপলা, ঘুসপেঠিয়েদের আশ্রয় এবং ঘোটালা। বিজেপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, প্রথম জি মানে ‘ঘোটালে ওয়ালি সরকার’ (এমন সরকার যা কেলেঙ্কারি করে), দ্বিতীয় ‘জি’ মানে ‘ঘুসপৈঠিদেরকে আশ্রয় দেওয়ার সরকার’ (এমন সরকার যা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয়) এবং তৃতীয় ‘জি’ মানে ‘ঘাপলা করার সরকার’ (এমন সরকার যা দুর্নীতিতে ভরপুর)।” শহরে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা-সহ অন্যান্য বিষয়ের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। এদিন তিনি মুস্তাফাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। তাঁর দাবি, আম আদমি পার্টির নেতারা দিল্লি নির্বাচনে তাদের দলের বিরুদ্ধে থাকা “ঢেউ” সম্পর্কে সচেতন।

    ‘ঝাড়ু’ দাওয়াই

    এর পরেই তিনি বলেন, “এবার মানুষ ‘ঝাড়ু’ (ঝাড়ু আপের নির্বাচনী প্রতীক) দিয়ে আপকে পরিষ্কার করে দেবে। কারণ তারা জানে যে দিল্লিতে একটি থ্রি-জি সরকার রয়েছে।” শাহ বলেন, এখন দিল্লির “আপ-দা” থেকে মুক্ত হওয়ার সময়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “একটুও অলস হবেন না। নাহলে (দিল্লির) দাঙ্গার জন্য দায়ীরা নির্বাচিত হয়ে ফিরে আসবে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি দিল্লিকে দাঙ্গায় ফেলার লোকদের চান, নাকি যারা রক্ষা করেছে, তাদের (Delhi Elections 2025)।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে প্রধান তিনটি দল – আপ, কংগ্রেস এবং বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে হবে ত্রিমুখী লড়াই। আপের বিরুদ্ধে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি-সহ নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এসবই হাতিয়ার করে লড়ছে বিজেপি। দিন কয়েক আগে পদ্ম নেতা অমিত শাহ বলেছিলেন, এবার দিল্লির মসনদে আসবে বিজেপি। তৈরি হবে ডাবল ইঞ্জিন সরকার (Amit Shah)। দিল্লি বিধানসভার ফল বের হবে ৮ ফেব্রুয়ারি (Delhi Elections 2025)।

  • Delhi Elections: ভোটের আগে ‘রাম’ধাক্কা খেল আপ, দল ছেড়ে বিধায়করা বিজেপিতে

    Delhi Elections: ভোটের আগে ‘রাম’ধাক্কা খেল আপ, দল ছেড়ে বিধায়করা বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন (Delhi Elections)। তার ঠিক আগে বড়সড় ধাক্কা খেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (AAP)। শুক্রবারই আপের সংস্রব ছেড়েছিলেন আটজন বিধায়ক। শনিবারই তাঁরা যোগ দিলেন বিজেপিতে। তাঁদের সঙ্গে আপের কিছু কাউন্সিলরও ভিড়েছেন পদ্মশিবিরে।

    বিপাকে আপ (Delhi Elections)

    ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে আপের একঝাঁক নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ায় পদ্মপার্টির শক্তি যে বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য। এদিন যেসব বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁরা হলেন ভবনা গৌর, মদন লাল, গিরিশ সোনি, রাজেশ ঋষি, নরেশ যাদব, পবন শর্মা, বিএস জুন, রোহিত মেহরোলিয়া এবং বিজেন্দ্র গর্গ। বিজেন্দ্র প্রাক্তন বিধায়ক। অজয় রাই আপের কাউন্সিলর ছিলেন।

    দুর্নীতির অভিযোগ

    শুক্রবার আপের সংস্রব ত্যাগ করার সময় বিধায়করা অভিযোগ করেছিলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দল তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে (Delhi Elections)। কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও করেন তাঁরা। আপ ছাড়ার পর বিধায়করা জানান, তাঁরা বিধানসভার স্পিকারের কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক পদে। আপের পোড়খাওয়া নেতা-কর্মীদের স্বাগত জানিয়ে দিল্লি বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি ও ইনচার্জ বৈজয়ন্ত পান্ডা বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ তাঁরা এএপদা (দুর্যোগ) থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং আশা করছেন যে ৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী দিল্লি এই দুর্যোগ থেকে মুক্ত হবে।” উল্লেখ্য, দিল্লি বিধানসভার আসন সংখ্যা ৭০।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, আম আদমি পার্টি প্রধান কেজরিওয়াল এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতীশি উভয়েই পাঁচ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচনে তাদের নিজ নিজ আসন হারাবেন। এদিন শাহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লিতে বিজেপি একটি ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠন করবে।” কেজরিওয়ালকে নিশানা করে শাহ বলেন, “গত ১০ বছরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিকে আবর্জনার স্তূপে পরিণত করেছে। যমুনা আগের (AAP) চেয়ে বেশি দূষিত এবং শহরের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে (Delhi Elections)।”

LinkedIn
Share