Tag: Abhijit Ganguly

Abhijit Ganguly

  • SSC Scam: ‘‘এত ‘গোপন প্রেম’ কীসের? জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করুন’’, সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: ‘‘এত ‘গোপন প্রেম’ কীসের? জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করুন’’, সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে এবার নতুন প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর প্রশ্ন,  ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার প্রতি তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর এত প্রেম কেন?’ অতিরিক্ত প্যানেলের বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৭ দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এরমধ্যেই দু’টি বিষয় উঠে এসেছে। তা হল, ওএমআর শিটে জালিয়াতি এবং সার্ভারে তথ্য বদল। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের বিকৃতিই বড় বিষয়। এবার এই নিয়ে সিবিআইকে জেলে গিয়ে  মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    সওয়াল-জবাব

    ২০১৬ সালের টেট দুর্নীতি মামলাতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন পর্ষদের তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে। তাঁর কাছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, কেন ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশিত হয়নি? নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর শূন্যপদ থাকলে ফের প্যানেল তৈরি করা হয়। ২০১৪ সালে নিয়োগের পর শূন্যপদ থাকলেও কেন প্যানেল তৈরি করা হয়নি।  জবাবে রত্না বলেন, সেই সময়ে সচিব হিসেবে তাঁর কিছুই করার ছিল না। যা করতেন পর্ষদ সভাপতি করতেন। তখনই এস বসু রায়চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির নাম আসে। রত্না বলেন, ওই সংস্থাকে ওএমআর শিট সংক্রান্ত কাজের জন্য লাগানো হয়েছিল। তাদের সঙ্গে কেবল পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যই সমন্বয় রাখতেন। অন্য কেউ নয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সিবিআইয়ের জন্য খারাপ সময় আসছে’’! তাদেরই অফিসারকে জেরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    হাই কোর্ট এর পরেই রত্নার কাছে জানতে চায়, ওই কোম্পানি কবে থেকে পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত। জবাবে রত্না বলেন, ‘‘২০১২ সালের পর থেকে।’’ তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে। রত্না যোগ দেওয়ার পরেই ওই সংস্থার সঙ্গে লেনদেন শুরু হয় পর্ষদের। এ প্রসঙ্গে হাই কোর্টের প্রশ্ন, ‘‘ওই কোম্পানিকে নিয়োগের জন্য কোনও বোর্ড মিটিং হয়েছিল?’’ জবাবে রত্না জানিয়েছেন, তাঁর এখন মনে নেই। এ-ও বলেন, ‘‘সেই সময় ওই সংস্থার সঙ্গে একমাত্র সভাপতি যোগাযোগ রাখতেন। আর কেউ রাখতেন না। আমি বা ডেপুটি সেক্রেটারি কেউই নয়। যতটা আমি জানি।’’ এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘এই এস বসু রায়চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের এত প্রেম কীসের? আপনারা জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসা করুন। খুঁজে দেখুন, এদের নিয়োগের আগে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল কিনা!’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও ‘সীমাহীন দুর্নীতি’, ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও ‘সীমাহীন দুর্নীতি’, ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগেও সীমাহীন দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ সিবিআইয়ের। শুক্রবার স্কুলে গ্রুপ ডি শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাসে সিবিআই বলে, স্কুল নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। এদিন হাইকোর্টে এসএসসির আইনজীবী জানান, ১২৫টি ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিটে স্কুলে নিয়োগ হয়েছে গ্রুপ ডি পদে। সিবিআই রিপোর্টে বিকৃত ওএমআর শিটের তথ্য খতিয়ে দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই তথ্য জানিয়েছে এসএসসি। ১০ দিনের মধ্যে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে গ্রুপ ডি-র বিকৃত ওএমআর শিট মামলায় বিশদ রিপোর্ট হলফনামা সহ পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র খতিয়ান…

    এদিন ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র খতিয়ান তুলে ধরে সিবিআই। তাদের দাবি, গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগে মোট শূন্যপদ ছিল ৪৪৮৭টি। তার মধ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে ২৮২৩ জনকে। এঁদের সবার ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। যদিও সিবিআইয়ের দেওয়া পরিসংখ্যানের সঙ্গে সহমত পোষণ করেনি এসএসসি। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ১০ দিনের মধ্যে এসএসসি-কে (SSC Scam) হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ১) গ্ৰুপ-ডি পদে কত শূন্যপদ ছিল? ২) শূন্যপদের নিরিখে কত সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে? ৩) সিবিআই রিপোর্টে ২৮২৩ ওএমআর বিকৃতি, সুপারিশ করা চাকরির কতজনের  ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছে? ৪) সুপারিশ করা চাকরিতে কতজন যোগ দেননি।

    আরও পড়ুুন: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ১) কতজনের সুপারিশ তারা এসএসসি থেকে পায়? ২) কতজনকে নিয়োগপত্র দেয়? ৩) নিয়োগ প্রাপকদের নাম, বাবার নাম, স্কুলের নাম ঠিকানা সহ পরিচয় জানাতে হবে। এই মামলায় ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আপনাদের এখনই কোনও নির্দেশ দিচ্ছি না। প্রাথমিক মামলা ভাল করে তদন্ত করুন। ১০ দিন পর আপনাদের কোনও নির্দেশ দিতে পারি। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Abhijit Ganguly: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। বিচারপতিদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়। ভয় দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছা চরিতার্থ করা যাবে না। আদালতে আইনজীবীদের একাংশের তাণ্ডবকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abijit Ganguly)। 

    বিচারপতি যা বললেন 

    মঙ্গলবার আদালতের বাইরে গণদর্পণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সাংবাদিকরা তাঁকে সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও কোর্ট রুমের বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে এটা ঠিক, পৃথিবীশুদ্ধু সবাই দেখতে পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। আইনজীবীদের একটা অংশ বিচারপতি ও জেলা আদালতের বিচারকদের সন্ত্রস্ত করে নিজেদের পথে আনতে চাইছেন। তবে গতকাল প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় একটা যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন, আমাদের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয় যে কেউ চাইলেই সন্ত্রস্ত করতে পারবে। এটা সম্ভব নয়। যারা ভাবছেন তারা ভুল ভাবছেন।’ বিচারপতি এও বলেন, সোমবার হাইকোর্টে যা ঘটেছে তা সংবাদমাধ্যমের দৌলতে গোটা দেশ জেনে গিয়েছে। গতকাল দেখা গিয়েছিল, হাইকোর্ট ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টারও পড়েছে। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য না করেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারাও দেখেছেন, আমিও দেখেছি কী হয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার তাঁর এজলাস বয়কটের ডাক দেন কিছু আইনজীবী। কেন বারবার বিচারপতি মান্থা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে রায় দিচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। অন্য আইনজীবীরা বিচারপতি মান্থার এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার এই ঘটনায় আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। গোটা বিষয়টি এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উত্থাপিত হয়। আদালতের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবারের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এই ঘটনায় কারা কারা দোষী তা চিহ্নিত করবেন প্রধান বিচারপতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Abhijit Ganguly: “চাকরি পেতে টাকা কাকে দিয়েছিলেন আমাকে জানান”, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বললেন বিচারপতি

    Abhijit Ganguly: “চাকরি পেতে টাকা কাকে দিয়েছিলেন আমাকে জানান”, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বললেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন শিক্ষা দফতরের ভিভিআইরা। ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকাও প্রকাশ করেছে রাজ্য। আর এরই মাঝে বড় মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তিনি ভুয়ো শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, “কাকে চাকরির টাকা দিয়েছেন? ফেরত পেতে আমাকে জানান।” চাকরি হারানো প্রার্থীদের উদ্দেশে বিচারপতি পরামর্শ দিলেন, টাকা ফেরত পেতে চাইলে তাঁকে জানাতে পারেন তাঁরা।    

    বৃহস্পতিবার মোট ৬১ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাসে। এদিন আদালতে তাঁদের নথি খতিয়ে দেখা হয়। এদের মধ্যে ৫৯ জন তাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সপক্ষে কোনও যুক্তি দেখাতে পারেন নি। তাই তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখা হয়। বাকি ২ জন শিক্ষকের নথি খতিয়ে দেখতে আরও সময় চেয়েছে আদালত। তাঁদের মামলা পরবর্তী শুনানির দিন শোনা হবে।    

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের (Abhijit Ganguly) চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জনের চাকরি বাতিল করা হল। এর আগে ডিসেম্বর মাসেও প্রাথমিকে কর্মরত ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৫৫ জনের চাকরি বাতিল করা হল।

    আরও পড়ুন: গণধর্ষণের তদন্তে পুলিশের উদাসীনতা, পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপির বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বললেন বিচারপতি? 

    এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) আইনজীবীদের বলেন, “আপনাদের মক্কেলরা যে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল আপনারা জানেন? কাকে টাকা দিয়েছিল চাকরি পাওয়ার জন্য? সেই কথা কি আপনাদের জানিয়েছে? এখন কি তারা টাকা ফেরত পেতে চায়? প্রয়োজনে আমাকে জানাতে পারেন।”

    বিচারপতির এহেন মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন সবাই। তাহলে কী এভাবেই সর্বস্ব খোয়ানোর হাত থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বাঁচাতে চাইছেন ভুয়ো শিক্ষকদের? নাকি দুর্নীতি চক্রের শেকল ভাঙতে এই মন্তব্য!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • SSC Scam:  ওএমআর শিটে ৩, এসএসসি সার্ভারে ৫০! এটা কি পি সি সরকারের ম্যাজিক? প্রশ্ন বিচারপতির

    SSC Scam: ওএমআর শিটে ৩, এসএসসি সার্ভারে ৫০! এটা কি পি সি সরকারের ম্যাজিক? প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোন যাদুতে ওএমআর শিটে প্রাপ্ত ৩ নম্বর এসএসসি সার্ভারে বেড়ে ৫৩ হল তা জানতে চাইলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। নবম – দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যে ভাবে অযোগ্যদের নম্বর বাড়ানো হয়েছে তাকে পিসি সরকারের ম্যাজিকের সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। 

    বিচারপতি যা বললেন

    শুক্রবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে এক মামলায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি  (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, ‘ওএমআর শিটে যিনি ৩ পেয়েছিলেন, তাঁর নম্বর হয়ে গিয়েছে ৫৩। ১নম্বর হল ৫১, ২ নম্বর হল ৫২! এসব হল কী করে? জাদুকর কে? পিসি সরকার জুনিয়র (PC Sircar) নাকি সিনিয়র? কার ছোঁয়ায় নম্বরে এইরকম ম্যাজিক হল?’এ প্রসঙ্গে কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। চার দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কমিশনকে উত্তর জানাতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির কথা শুনে হাসতে হাসতে যাদুকর পিসি সরকার বলেন  ‘এটা মোটেও পিসি সরকারের ম্যাজিক নয়। এটা পিবি সরকারের কেরামতি। পিবি সরকার হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।’

    আরও পড়ুন: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের তরফে আদালতে দাবি করা হয় যে, এই মামলায় আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) কীর্তি ফাঁস করেছে সিবিআই। তারা জানিয়েছে, গাজিয়াবাদের যে সংস্থাকে ওএমআর শিট স্ক্যান করতে দেওয়া হয়েছিল সেখানে শূন্য পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩। এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে বেড়েছে নম্বর। এর পরই ২ দফায় ২২৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। তার মধ্যে ৪০ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করেছে তারা। সেখানে দেখা যায় প্রচুর চাকরিপ্রার্থীর নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বারো জন শিক্ষক তাঁদের ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের সমর্থনে আদালতে আবেদন করেন। তাঁদের মামলায় যুক্ত করে একত্রে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এ-ও দাবি করে, এসএসসি-র ওই হার্ড ডিস্ক তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। “পর্ষদ কিছু করতে না পারলে, শিক্ষামন্ত্রীকে (Education Minister) ডেকে পাঠাতে হবে। আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, তাহলে করুন, কোথায় বাধা?” নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় এমনটাই বলতে শোনা গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর  দাবি, অবিলম্বে অযোগ্যদের নিয়োগ বাতিল করুক পর্ষদ। বেআইনিভাবে নিযুক্তদের নিয়োগ বাতিল না হলে প্রয়োজনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলা

    যে সব চাকরিপ্রার্থীদের বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই সব প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়েই কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর সেই মামলা চলাকালীন এবার সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর নাম উল্লেখ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দু’দফায় বেআইনিভাবে সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় থাকা মোট ১৮৪ জনের মধ্যে ৮১ জন বর্তমানে চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জন নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা কত নম্বর পেয়েছেন, খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের ওএমআর শিট। ওই ন’জনকে নিয়ে বৈঠকও করতে হবে কমিশনকে। উপস্থিত থাকতে হবে ন’জনের আইনজীবী, কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের আইনজীবীকে। আগামী সপ্তাহে বুধবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    গতকাল ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উল্লেখ করেন বিচারপতি। তখনই তিনি বলেন, “আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, করুন। কোথায় বাধা? যদি পর্ষদ কিছু করতে না পারে তাহলে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে হবে।”

    আবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “কার সুপারিশে চাকরি পেলেন? কে কে সুপারিশ করেছিলেন? জুনিয়র নাকি সিনিয়র পি সি সরকারের হাতের জাদুতে নম্বর বাড়ল?”  এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর।

    তবে এতদিন শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উঠে আসেনি। কিন্তু গতকাল বিচারপতির (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্যের পর একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তবে ব্রাত্য বসুকেও তলব করা হবে হাইকোর্টে?

  • Abhijit Ganguly: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম দশমের ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করার মামলায় এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে (ED) পার্টি করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বুধবার ওই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এদিনই ইডিকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এতদিন তদন্ত করছিল সিবিআই। এবার তার সঙ্গে তদন্ত করবে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আদালতের সন্দেহ, এই মামলায়ও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণেই এমন নির্দেশ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। আদালতের এই নির্দেশের জেরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

    নবম দশম…

    এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) জানান, ইডিকে তদন্তের দৈনিক রিপোর্ট দিতে হবে। অভিযোগ ছিল, নবম দশম শ্রেণিতে ওএমআর শিট বিকৃত করে ১৮৩ জনকে চাকরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। আদালত স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চেয়েছিল, এদের মধ্যে কতজন চাকরি করছে? এসএসসি জানায়, ৮১ জন চাকরি করছেন। মধ্য শিক্ষা পর্ষদ জানায়, সুপারিশপত্র পেলেও সবাই চাকরি করছেন না। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ২১ তারিখের মধ্যে কাউন্সেলিং করাতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে ২৯ তারিখের মধ্যে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ, বিকৃত ওএমআর শিট অবিলম্বে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েব সাইটে আপলোড করতে হবে।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। কারণ এটার প্রয়োজন ছিল। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই আর্থিক লেনদেনের পরিমাণটা বিশাল। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা এর ফলে লাভবান হয়েছেন। টাকা কার কাছ থেকে কোথায় গিয়েছে, এটা খুঁজে বের করা খুবই প্রয়োজন। তার জন্য ইডি-ই সব থেকে উপযুক্ত সংস্থা ভারতবর্ষে। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও বলেন, আদালত সঙ্গত কারণেই বলেছে। কারণ এখানেও প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে।

     

  • Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharyee) আমলে দুর্নীতির আখড়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দুর্নীতি এবং মানিক ভট্টাচার্যের ছটা থেকে এখনই মুক্ত হতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে পর্ষদের আরও ২-৩ বছর সময় লাগবে। অভিমত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Abhijit Ganguly)। দুর্নীতির তদন্তের জন্য প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেন বিচারপতি। সেই মতো বৃহস্পতিবারই মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় সিবিআই।

    কী বললেন বিচারপতি

    টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আপাতত রয়েছেন জেল হেফাজতে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই তাঁকে পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তার পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “দুর্নীতি ও মানিক ভট্টাচার্যের ছটা মুক্ত হতে পর্ষদের আরও ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে।” নিয়োগ দুর্নীতিতে যে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা অনেকটাই এদিন ফের তা বুঝিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  “আমাকে কি আবার সিট পুর্নগঠন করতে হবে?” দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনোর কথা বলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    এদিন শুনানির সময় এক মামলাকারী দাবি করেন, টেটে নিয়োগের একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষায় কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কেবলমাত্র হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষা নেওয়াই হয়নি। তার পরেও তাঁরা ওই পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) এই অভিযোগ শুনে মন্তব্য করেন, ‘‘কেউ আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আছে বলে নম্বর পেয়ে যাবে, ব্রাজিলের জার্সি পরলে নম্বর পাবে না, এটা হতে পারে না।’’ এই মন্তব্য করে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি। 

    সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

    মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আবেদনই জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় রক্ষাকবচের কথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘রক্ষাকবচ খারিজ করার আবেদন জানান।’ 

  • Abhijit Ganguly: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Abhijit Ganguly) আরও এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এল। কমিশন পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছে, নবম-দশমে ভুয়ো চাকরির সুপারিশ ১৮৩টি। এবার নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই- এর দেওয়া অন্যতম নথি, কারচুপি করা ৪০ ওএমআর শিট জনসমক্ষে আনতে চায় আদালত। 

    কী দেখা যাচ্ছে ওএমআর শিটে?  

    দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষায় ওএমআর শিটে ৭ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পরীক্ষার্থী (Abhijit Ganguly)। যার মধ্যে সঠিক উত্তর ৫ টি। এসএসসি মেধাতালিকায় পরীক্ষার্থী মাম্পি বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। ৪৮ নম্বর কারচুপি করে বাড়িয়ে ওয়েটিং লিস্টে ২১ নম্বরে ছিলেন মাম্পি। পরবর্তীতে নিয়োগও হয় তাঁর।”

    এই নজিরবিহীন কারচুপির কথা জেনে, বুধবার আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) মন্তব্য করেন, “ছিলো রুমাল হয়ে গেল বেড়াল। পুরো হযবরল! ছিলো ডিম হল প্যাঁকপেঁকে হাঁস।”

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি
     
    আর এরপরেই নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সিবিআইয়ের দেওয়া কারচুপি করা ৪০ ওএমআর শিট জনসমক্ষে আনার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত (Abhijit Ganguly)। বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, “এসএসসি ওয়েবসাইটে প্রকাশ হোক এই ৪০ ওএমআর শিট। নিজেদের সই ও খাতা দেখে মিলিয়ে নিক চাকরিপ্রাপকরা।”

    আজ, বৃহস্পতিবার জানা যাবে ওএমআর শিট নিয়ে আদতে কী সিদ্ধান্ত নিল আদালত (Abhijit Ganguly)। আজ ফের এই মামলার শুনানি। ৯৫২ ওএমআর শিটে কারচুপি ধরা পড়েছে। কারচুপি সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে দাবি করেছে সিবিআই। এদের মধ্যে ৭৯৬ জন ইতিমধ্যেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন। ১৫৬ জন রয়েছেন ওয়েটিং লিস্টে। নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আরও তথ্য পেশ করতে পারে সিবিআই। 

    এদিকে গতকাল আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক বেসরকারি ল কলেজ এবং ফার্মা কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি (Abhijit Ganguly) টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ জানতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখা জরুরি বলেও দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন একাধিক সাক্ষীকে জেরা করে তাঁরা আরও দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। সেই সব দুর্নীতির হদিশ পেতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রেখে তাঁরা জেরা করতে চান বলে জানিয়েছেন। 

    ইডি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, পার্থ-অর্পিতার (Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,৬৩০টি নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি সিবিআই- এর বিশেষ আদালতে পেশও করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর পার্থর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ওইদু’জনের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করা হলেও মামলার তদন্তে উঠে আসা কোনও নথিই অভিযুক্তদের দেওয়া হয়নি। সমস্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেনামি আবেদন মামলায় বহাল থাকল সিবিআই তদন্ত। সঙ্গে শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশও। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)।  রাজ্য সরকার এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আজ কী হল

    তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই নির্দেশ মেনে আদালতে হাজিরা দিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। কিন্তু তার আগেই শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য৷  অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ‘বেনামি’ আবেদনের কৈফিয়ত চেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন। তবে আগে ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শুরু হতেই ডিভিশন বেঞ্চে অস্বস্তিতে পড়ে কমিশন। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল থাকায় বেকায়দায় পড়ে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে কিভাবে কমিশন অবৈধদের চাকরি দেওয়ার এরকম একটা আবেদন করল ? কিভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করার আবেদন আদালতে করা হল ? একজন সচিবকে তলবের নির্দেশ কিভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় অভিমত ডিভিশন বেঞ্চের। তাই সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখা হয়। ডিভিশন বেঞ্চও পরিষ্কার জানিয়ে দেয় এবিষয়ে তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতে হাজিরাও দিতে হবে শিক্ষা দফতরের সচিবকে। এর ফলে এই মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য। এবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতা পারে রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share