Tag: Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক কনভয়কাণ্ডে ধৃত কুড়মি নেতাদের সকলের জামিন, মুখ পুড়ল সিআইডি-র

    Abhishek Banerjee: অভিষেক কনভয়কাণ্ডে ধৃত কুড়মি নেতাদের সকলের জামিন, মুখ পুড়ল সিআইডি-র

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিন বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মুখ পুড়ল সিআইডির। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের হামলা কাণ্ডে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত সহ সকলেই জামিন পেলেন। রাজেশ মাহাত প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলা, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় জামিন পেলেন কুড়মি নেতারা।

    কেন কুড়মি নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল?

    ২৬ মে নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন ঝাড়গ্রাম থানার গড়শালবনি এলাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)  কনভয়ের উপর হামলা এবং মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সুয়োমুটো মামলা রুজু করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনার রাতেই ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ আদিবাসী নেগাচারি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি অনুপ মাহাত সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারপরের দিন ওড়িশা সীমানা লাগোয়া এলাকার নয়াগ্রাম থানা এলাকা থেকে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাত সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। ঘটনা তদন্তে নেমে সিআইডি আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় মোট গ্রেফতার হন ১১ জন। সিআইডি রাজেশ মাহাত, শিবাজী মাহাতকে একাধিকবার নিজেদের হেফাজতে চেয়েও তাদের হেফাজতে পায়নি। এই প্রভাবশালী কুড়মি নেতাদের জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির দিন গড় শালবনির ঘটনায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি চালক এবং ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি নবু গোয়ালা ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই মামলাতে ধৃত কুড়মি নেতাদের শোন অ্যারেস্ট এর জন্য ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতে আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত। অপরদিকে জামবনি থানার আরও দু’টি মামলাতেও যুক্ত করা হয়েছিল কুড়মি নেতাদের। এছাড়াও খেমাশুলিতে রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধের ঘটনাতেও খড়গপুর লোকাল থানার মামলাতেও যুক্ত করা হয় কুড়মি নেতাদের। সিআইডি-র মামলাটি ঝাড়গ্রামের এডিজে-১ আদালতে চলছিল। কয়েকদিন আগে রাজেশ মাহাত ও শিবাজী  মাহাত ছাড়া সবাই জামিন পেয়েছিলেন।

    জামিনে ছাড়া পেয়ে কী বললেন কুড়মি নেতা?

    শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন কুড়মি আন্দোলনের দুই নেতা রাজেশ মাহাত ও শিবাজী মাহাত। গত বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তাঁরা। এর আগে ঝাড়গ্রাম জেলার ছয়টি মামলায় জেলবন্দি কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত ও শিবাজী মাহাত জামিন পেয়েও জেল থেকে বের হতে পারেননি। কারণ, খড়্গপুর লোকাল থানার খেমাশুলিতে জাতীয় সড়ক  অবরোধের পুরানো মামলা থাকায় তাঁদেরকে জেলে থাকতে হয়েছিল। এদিন মেদিনীপুর আদালত থেকে দুই নেতার জামিনের কাগজপত্র আসে ঝাড়গ্রাম জেলে। তারপর সেই নথি খতিয়ে দেখে জেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ছাড়েন। শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিষেক (Abhishek Banerjee) কনভয়কাণ্ডে জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত বলেন,’আমরা আইনের উপর বিশ্বাস ভরসা রেখেছিলাম এবং ন্যায় বিচার আমরা পেয়েছি। আমাদের আন্দোলন  শান্তিপূর্ণভাবে চলবে। নির্বাচন পরিপ্রেক্ষিতে আমি সমস্ত প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানাই। জঙ্গলমহলের শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব সবার। সকলে শান্তি, মৈত্রী বজায় রাখবেন।’ তারপরেই হিন্দিতে রাজেশ বলেন,’সওয়াল বনগর ফির আঙ্গুয়া/ জবাব তেয়ার রাখনা/ জেল মে বিতে হুয়ে এদিন/ বেকার নেহি জায়েগা/ ফের এক এক দিনকা হিসাব রাখনা।’ তাঁর এই কথা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজের’ রোড শো-এর ঠেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত পাণ্ডুয়ায়

    Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজের’ রোড শো-এর ঠেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত পাণ্ডুয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে পাণ্ডুয়াতে আসার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। কিন্তু তখন তা বাতিল হয়। এনিয়ে ক্ষোভ ছিল স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এদিন তাই রোডশো করতে আসেন পাণ্ডুয়াতে। তবে তাঁর এই এক ঘন্টার রোড শো’র জেরে প্রায় ৫ ঘণ্টা জনজীবন বিপর্যস্ত হল পাণ্ডুয়াবাসীর। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় চপারে কালনা থেকে পাণ্ডুয়া ধানকল মাঠে আসেন তিনি। এরপর বিকেলে এই মেগা রোড শো শুরু হয় পাণ্ডুয়া কল বাজার থেকে কাকলি সিনেমা তলা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার। জিটি রোডের ওপর এই রোড শো’র জন্য কয়েক হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ কর্মী দুপুর ১২ টা থেকেই ডিউটি ধরেন বিভিন্ন পজিশনে। এই কয়েক ঘণ্টায় পাণ্ডুয়ার বিভিন্ন এলাকাতে বিক্ষিপ্তভাবে লোডশেডিং হয়। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিকের কথা অনুযায়ী লাইনে কাজ হওয়ার দরুন বিদ্যুৎ পরিষেবা মাঝে মধ্যে বিঘ্নিত হয়। 

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের আমজাদ হোসেন বলেন, ‘‘অতীতে অনেক মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন পাণ্ডুয়াতে কিন্তু এরকম অবস্থা দেখেনি পাণ্ডুয়ার মানুষ। একজন সামান্য সাংসদের জন্য পুলিশ যা করেছে রাস্তা আটকে, দোকান বন্ধ করে এর জবাব ভোটবাক্সে পড়বে।’’ প্রসঙ্গত, নবজোয়ার কর্মসূচির সময়ও যে এলাকার ওপর দিয়ে তৃণমূল সাংসদের কনভয় গিয়েছে, সেখানেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল। একজন সাংসদের নিরাপত্তায় প্রশাসন যেন অতি সক্রিয়, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। 

    কী বলছে তৃণমূল?

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এদিন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রোড শো’তে আশানুরূপ লোকও হয়নি। পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য সাফাই দেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য লোক কম হয়েছে, তবুও যা হয়েছে তাকে জনজোয়ার আখ্যা দেওয়া যেতেই পারে।’’ এদিন এই রোড শো তে অভিষেকের গাড়িতে স্থানীয় বিধায়ক রত্না দে নাগ, সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, ধনেখালি ও চাপদানির বিধায়ক অসীমা পাত্র এবং অরিন্দম গুঁই এবং জেলার মন্ত্রী  স্নেহাশিস চক্রবর্তী হাজির  ছিলেন। যদিও কোনও স্থানীয় নেতা ওই গাড়িটিতে জায়গা পাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে বলে দিলে দিদিও গারদে যাবে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Nadia: অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে বলে দিলে দিদিও গারদে যাবে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া জনরঞ্জন কেন্দ্রের মাঠে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার প্রার্থনা জানান তিনি। অন্যদিকে রাজের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে কী বললেন (Nadia)?

    শান্তিপুরে (Nadia) নির্বাচনী সভায় দলীয় প্রার্থীদের জয়লাভের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানান শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই আধ ঘণ্টা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। প্রথমেই দিনহাটায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। শুভেন্দু বলেন, গোটা রাজ্য এখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিন ধুপগুড়িতে একজনকে গুলি করে মারা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

    বীরভূমের সভায় ফোনে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? কী জবাব দিলেন শুভেন্দু?

    উল্লেখ্য বীরভূমের একটি জনসভায় নিজে হাজির না থাকলেও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ফোনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বলেন, প্রায় এগারো মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে আটকে রেখেছে সিবিআই ও ইডি। এমনকী তার মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছে! ওর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আদালতে প্রমাণ করুন। এটা পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শান্তিপুরে (Nadia) বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একা টাকা খায়নি, সেই টাকা পৌঁছে যেত কালীঘাটে। ২৫-৭৫ এর ভাগাভাগি ছিল তাদের মধ্যে। এখন যদি অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে সব বলে দেয়, তাহলে দিদিও গারদে যাবে। সেই কারণেই তার গুনগান গাইছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অনুব্রতকে ক্লিনচিট দেওয়ার প্রসঙ্গে ঠিক এই ভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ!

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ করেন, যে সব রাজ্যে বিজেপি শাসন করছে, সেখানে দুই হাজার টাকা কেন! অন্তত এক হাজার টাকা করে যদি দিতে পারে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো! আর সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শান্তিপুরে (Nadia) বলেন, ভাইপো এর আগেও একাধিকবার রাজনীতি ছেড়েছেন। উনি বলেছিলেন অর্জুন সিং জিততে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! নন্দীগ্রামে আমি যদি জিতে যাই, তাহলেও রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু উনি রাজনীতি ছাড়েননি।

    সিপিএম সম্পর্কে বিস্ফোরক

    অন্যদিকে এই সভা (Nadia) থেকে সিপিএমকেও আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। মহঃ সেলিম অভিযোগ তোলেন ১৪ বছর আগে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মাওবাদীদের সঙ্গে নিয়ে সিপিএম নেতাদের খুন করা হত। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সেলিম হচ্ছে তৃণমূলের দালাল।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শেষ রবিবারের প্রচারে ঝড় তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার জেলার তিন জায়গায় সভা করেন তিনি। বীরপাড়ার জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে প্রচার শুরু করেন। সাধারণ মানুষকে চোরদের ভালো করে চিনে নিতে হবে এবং পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করতে হবে বলে হুঙ্কার দেন শুভেন্দু অধিকারী।

    বীরপাড়াতে (Alipurduar) কী বললেন শুভেন্দু?

    বীরপাড়া (Alipurduar) জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষের আশা-আকাঙ্খা ততদিন পূরণ হবে না, যতদিন রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল। এই নির্বাচনে পিসি-ভাইপোর কোম্পানিকে বিদায় দিতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত এই দলকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে পরাজিত করতে হবে। এদিন শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, শিলিগুড়িতে মিনি মহাকরণ হওয়ার কথা ছিল! কিন্তু কী হয়েছে সেখানে? কেউ কি কোনও জায়গা থেকে শিলিগুড়িতে প্রতিদিন কাজ করতে যান?

    অভিষেকের উদ্দেশে কী বললেন?

    এদিন ফালাকাটায় (Alipurduar), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগকে খণ্ডন করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, অভিষেক বলেছেন আমরা দিল্লি গিয়ে রাজ্যের পাওনা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা রাজ্যের পাওনা বন্ধ করিনি। আমরা এই রাজ্যের ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতি বন্ধ করেছি। আমরা জনগণের টাকা নয়ছয় করতে দিতে পারি না! এদিন বীরপাড়ার সভার পর কালচিনির থানা মাঠে সভা করেন শুভেন্দু। এরপর সেখান থেকে কুমারগ্রামের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের মাঠে শুভেন্দুর সভা হয়।

    বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ সম্পর্কে কী বললেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তিনি বলেন, রাজ্যের চা বাগানের শ্রমিকদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের নদীর বালি, পাথর চুরি করে অবৈধ ভাবে চালান করছে সরকারের আশ্রিত মাফিয়ারা। জঙ্গলের গাছ পাচার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দিকে নজর নেই তৃণমূল সরকারের। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এলাকার জন প্রতিনিধিদের এই তৃণমূল সরকার কাজ করতে দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সরকারি যে কোনও কাজে বিজেপির জন প্রতিনিধিদের ডাকা হয় না। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে রাহুল নামক এক তৃণমূলের মাফিয়াকে দিয়ে গরু পাচারের কাজ করছে ভাইপো। পুলিশ প্রত্যক্ষভাবে সমস্ত অবৈধ কাজের অনুমোদন দিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে টাকা খাচ্ছে। তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্য লটারি খেলাকে ঘিরে অবৈধভাবে তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতি করে চুরি করেছে। কে পুলিশ! কে রাজীব! আর কে তৃণমূল! চেনা মুশকিল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক নির্লজ্জ বেহায়া। কয়লা, বালি চুরিতে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। তাই ও চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না।” গতকাল প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিজেপি সাংসদকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

    কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে নেমেছে। তৃণমূলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা অনামি ক্লাবের মাঠে একটি প্রকাশ্য জনসভা করে তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম করে বলেন, চার বছর আগে রানাঘাট কেন্দ্রের মানুষ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জগন্নাথ সরকারকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এই চার বছরে তিনি কোনও উন্নয়ন করেননি। রানাঘাটবাসীর জন্য কোনও মন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন, এমন তথ্য কেউ যদি দিতে পারে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, আমি জীবনে আর রানাঘাটে পা রাখবো না।

    বিজেপি (BJP)  সাংসদের বক্তব্য

    গতকাল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রানাঘাটে সভার পর বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিষেকের মতো বড় বড় বাতেলা মারি না। কয়লা চুরি থেকে শুরু করে বালি চুরির বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টে যেতে যেতে মাথা খারাপ হয়ে গেছে অভিষেকের। সেই কারণে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। রানাঘাটবাসীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, অভিষেকের জানা উচিত ভারতবর্ষের কোনও কৃষক রেল তার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আনা যায় না।। আমি রানাঘাটে কৃষক রেল চালু করেছি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ২০০০ লাইটের ব্যবস্থা করেছি রানাঘাট কেন্দ্রে। তার মূল্য কি কোনওদিন তৃণমূল হিসাব করে দেখেছে? অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমি যে গাড়ির ব্যবস্থা করেছি, তা তৃণমূলের কোনও সাংসদ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে কথা বলে ফুলিয়ায় ৬০ কোটি টাকার প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তৃণমূলের কোনও সাংসদ এমন কাজ করতে পেরেছেন! পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

    Abhishek Banerjee: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় মতুয়ারা ছিলেন তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মতুয়ারা। গত বিধানসভাতেও মতুয়াদের আস্থা ফিরে পায়নি তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হারানো মাটি ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরনগরে এসে অভিষেককে কার্যত মুখ ঝামটা খেতে হল। মন্দিরে ঢোকার আগেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অভিষেককে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতেই দেওয়া হবে না বলে স্লোগান তোলেন মতুয়ারা। শুধু তাই নয়, অভিষেক আসতেই তাঁর সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান মতুয়ারা। কালো পতাকা দেখানো হয়। কার্যত বিক্ষোভের জেরে অভিষেক মতুয়াদের মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, মূল মন্দিরে পুজো না দিয়েই অভিষেককে ফিরতে হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    তৃণমূলে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে রবিবার ঠাকুরনগরে আসার কথা ছিল অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। তার আগে পাল্টা প্রস্তুতি নিয়েছিল অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ। মতুয়াদের আরাধ্য হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণ করার জন্য আজও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাওয়ায় ঠাকুরবাড়িতে অভিষেক পুজো দিতে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মতুয়ারা। অভিষেক আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ‘ধিক্কার’ পোস্টারেও ছেয়ে গিয়েছিল ঠাকুরবাড়ি এলাকা। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ ঠাকুরনগরে পৌঁছয় অভিষেকের কনভয়। ঠাকুরবাড়ির সামনেই অনুগামীদের নিয়ে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। অভিষেক ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছতেই শান্তনু মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। বাইরে তৃণমূল কর্মী এবং মতুয়া ভক্তদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। পুলিশের সামনেই ভেঙে ফেলা হয় তোরণ। অভিষেককে দেখে চোর, চোর স্লোগান ওঠে। কালো পতাকা দেখানো হয়। আর মতুয়াদের তুমুল বিক্ষোভের জেরে হরিচাঁদ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত মন্দিরে আর প্রবেশ করা হয়নি অভিষেকের। সেই সময় আগাগোড়াই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে ছিলেন প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের পত্নী তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরে পাশেই অন্য একটি মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক।

    কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    মন্দিরে ঢুকতে না পেরে মমতাবালাকে পাশে নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক। তিনি (Abhishek Banerjee) বলেন, ‘‘আমার কোনও কর্মসূচি ঠাকুরনগরে ছিল না। ছিল ২০ কিলোমিটার দূরে হাবড়ায়। আমি এখানে এসেছিলাম পুজো দিতে। কিন্তু দরজা বন্ধ করে আমাকে পুজো দিতে দেওয়া হল না। বিজেপি ও শান্তনু ঠাকুর মিলে এই কাজ করেছে। আমি তার জবাব দেওয়ার দায়িত্ব এখানকার জনগণকে দিয়ে রাখলাম।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঠাকুরবাড়ি কারও একার সম্পত্তি নয়।’’

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    শান্তনুর মন্তব্য, ‘‘মতুয়াদের ভাবাবেগে আঘাত হলে প্রতিবাদ তো হবেই। তবে, বিজেপি নয়, যা করেছে মতুয়ারা করেছে। মতুয়ার নাটমন্দিরে কেন পুলিশ? গোবরজলে শোধন হবে মন্দির।” তবে, তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে নাটমন্দির থেকে সমস্ত পুলিশকে সরিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ঝড়বৃষ্টির দাপটে লণ্ডভণ্ড অভিষেকের নবজোয়ার, আতঙ্কে পালালেন তৃণমূল নেতারা

    Abhishek Banerjee: ঝড়বৃষ্টির দাপটে লণ্ডভণ্ড অভিষেকের নবজোয়ার, আতঙ্কে পালালেন তৃণমূল নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৈরি করা হয়েছিল বিশাল প্যান্ডেল। নীল-সাদা কাপড়ে সভাস্থলে ঢোকার রাস্তার দুপাশ মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। একেবারে এলাহি আয়োজন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বক্তব্য শুনবেন বলে অনেক কর্মী-সমর্থকও সভাস্থলে এসে গিয়েছিলেন। অনেকে রাস্তায় ছিলেন। কিন্তু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল। সভার শুরুতেই তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। ত্রিপলের শেড ভেঙে মাথায় পড়ে জখম হলেন দুজন। তাঁরা ডেকরেটরের কর্মী। ঝড়ে ভেঙে পড়ার আতঙ্কে মঞ্চ ছেড়ে পালান তৃণমূল নেতারা। ভেঙে যায় তোরণ। বন্ধ হয়ে যায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিন নদীয়ার বাদকুল্লায় বেলা তিনটেয় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচি ছিল। বাদকুল্লার অনামী ক্লাবের মাঠে ত্রিপলের শেড করা হয়েছিল। আচমকাই কালো মেঘে গোটা এলাকা ঢেকে যায়। তখনও সভাস্থলে কর্মী, সমর্থকরা ঢুকছেন। প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছেন। মঞ্চে জেলা স্তরের সব নেতা রয়েছেন। আচমকাই শুরু হয় প্রবল ঝড় আর বৃষ্টি। দমকা হাওয়ায় রীতিমতো দুলছিল ত্রিপলের শেড। দমকা হাওয়ায় শেডের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তখনও মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতানেত্রীরা। মঞ্চের পিছনের ত্রিপল ছিঁড়ে যেতেই মঞ্চ ছেড়ে নিচে নেমে আসেন তাঁরা। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এদিনই প্রথম জনসভা ছিল। সমস্ত রকম প্রস্তুতি ছিল। প্রচুর কর্মী, সমর্থক চলে এসেছিলেন। রাস্তাতে অনেকে ছিলেন। কিন্তু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে মূলত বন্ধ হয়ে গেল জনসভা কর্মসূচি। দলীয় নেতার সঙ্গে কথাও হয়েছে। এই অবস্থায় আর সভা করা সম্ভব নয়। তবে, রাস্তায় মিছিল করে জনসংযোগ কর্মসূচি করা হবে। জানা গিয়েছে, পরে, গাড়ি থেকেই তিনি কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। তবে, এই প্রথম নয় এর আগেও আরামবাগ সহ একাধিক জায়গায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচি ঝড়বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল নদীয়ার বাদকুল্লায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Abhishek Banerjee: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    Abhishek Banerjee: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করল ইডি। ১৩ জুন ইডি অফিসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জনজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক প্রথমে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে রোড শো করেন। পরে, ধুবুলিয়াতে দলীয় কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেন। সেখান থেকে নদিয়ার নাকাশিপাড়া, পলাশীপাড়া সহ কালীগঞ্জে একাধিক কর্মসূচিতে তিনি যোগদান করেন। সেখানেই ইডি-র নোটিশের বিষয়ে তিনি জানতে পারেন।

    ইডিতে হাজিরা নিয়ে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    ইডির নোটিশ প্রসঙ্গে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “এর আগে যখন আমাকে সিবিআই প্রায় আট ঘণ্টা অফিসে বসিয়ে রেখেছিল, আমি তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছি। এর পাশাপাশি অনুরোধ করেছিলাম, তৃণমূলের যে নবজোয়ার কর্মসূচি চলছে, তার মধ্যে যেন আমাকে না ডাকা হয়। কিন্তু, দেখা গেল, আমার স্ত্রীকে ডেকেও দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হল। স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার পনেরো মিনিট পরই আমাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। তৃণমূলের নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। আর তা দেখেই বিজেপি ভয় পেয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমি তাদের সম্পর্কে কোনও খারাপ মন্তব্য করব না এবং দোষও দেব না। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে না উঠে এই চক্রান্ত চালাচ্ছে। তবে যে কদিন জনজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে, সেই কদিন আমার অন্য কোথাও যাওয়ার মতো সময় নেই। তারপর সামনে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আট ঘণ্টা কোথাও গিয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমার হাতে নেই। ভোট মিটে যাওয়ার পর আমাকে যেদিন ডাকবেন, আমি সেদিনই যাব। তার আগে আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।”

    অভিষেক (Abhishek Banerjee) প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কুকুরের লেজ তো সহজে সোজা হয় না। তাই, ইডি ডাকলে তো তিনি (Abhishek Banerjee) যাবেন না, এটাই স্বাভাবিক বিষয়। ইডির হাত থেকে বাঁচতে এত কিছু হচ্ছে। যাত্রা হচ্ছে, নবজোয়ারের নাটক হচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে। ইডি এবার আদালতকে বিষয়টি জানাবে। আদালত কান ধরে নিয়ে আসার নির্দেশ দেবে। ইডি তখন কান ধরে নিয়ে আসবে। তখন দেখবেন ঠিক হাজির হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: চুরি করে লালুপ্রসাদও ছাড় পাননি, মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপো তো চুনোপুঁটি! তোপ সুকান্তর

    BJP: চুরি করে লালুপ্রসাদও ছাড় পাননি, মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপো তো চুনোপুঁটি! তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ জুন আরামবাগে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দলের সোশ্যাল মিডিয়ার বিশেষ বৈঠকে যোগ দিলেন। আর তার পরই সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে তৃণমূলের নেতাদের এত ভয় কীসের? এই প্রশ্নও তোলেন সুকান্ত।

    আরামবাগে এসে কী বললেন সুকান্ত (BJP)?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ইডি ডাকলে যাব না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট, অযথা সময় নষ্ট করব না। সুকান্ত মজুদারের কাছে (BJP) অভিষেকের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইডিতে এত ভয় কীসের? তদন্ত থেকে কেন পালাতে চাইছেন? সুকান্ত আরও বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত দল যদি সরকারে থাকে, তাহলে তার মানে এই নয় যে আপনি চুরি করবেন। সংবিধান কখনই চুরি করার অধিকার দেয় না। তিনি আরও বলেন, আমিও সাংসদ, কিন্তু আমিও চুরি করতে পারি না। চুরি করলে ভারতবর্ষের আইন শাস্তি দেবেই। আইনের হাত থেকে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবও ছাড় পাননি, চুরি করলে শাস্তি পেতেই হবে। মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপো লালুপ্রসাদের সামনে তো চুনোপুঁটি, তাই শাস্তি পেতেই হবে। ভারতীয় আইনে দোষীরা শাস্তি পাবেই।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ বলছে যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দিলে ভোট করাতে তারা যাবে না। প্রতিক্রিয়া স্বরূপ সুকান্ত মজুমদার (BJP) সাংবাদিকদের বলেন, যাঁরা ভোটে যাবেন, তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। তিনি আরও বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরে পোলিং অফিসার রাজকুমার রায় নামের এক শিক্ষককে ভোট নিতে গিয়ে খুন হতে হয়েছিল। ওই শিক্ষকের দেহ পাওয়া গিয়েছিল রেল লাইনের ধারে। তাই ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। এক দফার ভোট, কেবল মাত্র পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ দ্বারা সম্ভব নয়। পশ্চিমবঙ্গে যে পরিমাণে স্পর্শকাতর পঞ্চায়েত বুথ রয়েছে, তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা অন্য রাজ্যের পুলিশ প্রয়োজন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা দেখেছি বিধানসভা ভোটের সময় শুধুমাত্র ভোট কেন্দ্রকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালাতে হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিজে উস্কানি দিয়ে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ সুকান্তর। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে যদি বাহিনী গুলি চালায়, তাহলে তা ভালোই হবে জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা। কার্যত এইভাবেই বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার তৃণমূল সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • BJP: অভিষেকের জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! জনসম্পর্ক অভিযানে তোপ সুকান্তর

    BJP: অভিষেকের জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! জনসম্পর্ক অভিযানে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির জনজোয়ার সভার তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি। এই জেলার আরামবাগ, পোলবা এবং বলাগড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনজোয়ার কর্মসূচি পালন করছেন। ইতিমধ্যেই এই জেলার তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। আর তাই, এই সুযোগে বিজেপির মহা জনসম্পর্ক যাত্রা চলাকালীন তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    কেন্দ্র সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংসদ সুকান্ত মুজমদার (BJP) জনসম্পর্ক অভিযানে চুঁচুড়ার কবি অরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আরামবাগে জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! যারা টাকা কালেকশন করে পৌঁছে দেবে, তারা এখন জেলে। অভিষেকের ট্রাক্টরে করে রোড শো করাকে কটক্ষ করেন তিনি। বলেন, তৃণমূলের জেলা জুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও হয়নি। কিন্তু যদি রাজ্য সরকার নির্বাচন সঠিক সময়ে না করে, তাহলে যতজন লোক অভিষেকের পিছনে ঘুরছে, তাও আর ঘুরবে না। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রেল দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন। সুকান্তবাবু বলেন, আহতদের আর্থিক সাহায্যের জন্য স্থানীয় নেতারা প্রথমে চেক দিলেও, তারপর আবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে, সেই চেক ঘটা করেপুনরায় প্রদান করেছেন। এটা রীতিমতো আহত ব্যক্তিদের হেনস্থা ছাড়া আর কিছু নয়। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী যখন চেক বিলি করছিলেন, সেই সময় মন্তব্য করেন, ‘সিবিআই এখন বাথরুমেও ঢুকছে’। আর তাঁর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্তবাবু বলেন, টাকা-সোনা যদি তৃণমূল নেতাদের বাথরুমেও রাখা থাকে, তাহলে বাথরুমেও সিবিআই-ইডি ঢুকবে। কেন্দ্র সরকারের ৯ বছর পূরণের উপলক্ষে বিজেপি সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষের বাড়িতে গিয়ে জনসম্পর্ক অভিযান করছে। কবি অরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে এই সুবাদেই যাওয়া সুকান্ত মজুমদারের। অরুণবাবু অবশ্য বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share