Tag: Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন না ক্ষুব্ধ আব্দুল করিম চৌধুরী

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন না ক্ষুব্ধ আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা দিয়েও কথা রাখেননি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ইসলামপুর শহরে মিটিং করলেও দলীয় বিধায়কের বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি যুবরাজ। দিনভর অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করে আশাহত হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের সামনে তিনি অপমানিতও হয়েছিলেন। তারপর অভিষেকের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েও যোগ দিলেন না ইসলামপুরের এই বিধায়ক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী নিয়ে বৈঠক?

    সোমবার ইটাহারের দুর্গাপুর ফুটবল ময়দানে রাত্রিবাস করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার সেখানে দলীয় পদাধিকারী ও জেলার সমস্ত বিধায়কদের থাকার কথা ছিল। সাংগঠনিক বৈঠকে পঞ্চায়েতের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাভাবিকভাবেই সকল বিধায়ক, দলীয় নেতৃত্বকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য অভিষেক নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে সমস্ত দলীয় নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েও ছিলেন। শুধু ছিলেন না ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। এ নিয়ে দলের মধ্যেই জোর জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। গত দুদিন ধরে নবজোয়ার কর্মসূচিতে উত্তর দিনাজপুর জেলায় একাধিক সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইসলামপুরের সভায় যাওয়ার জন্য করিমসাহেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ নিয়ে প্রকাশ্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। শুধু ইসলামপুর নয়, অভিষেকের (Abhishek Banerjee)  কোনও জনসভাতে করিমসাহেব যোগ দেননি। এবার অভিষেকের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ধরনের ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিষেকও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি জেলা সভাপতির সঙ্গে কথাও বলেছেন। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “আমাকে অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দিয়েছে বিষয়টা দেখবার জন্য।  বিষয়টা দেখে নিচ্ছি। আমরা বিষয়টা মিটিয়ে নেব।”  যদিও এ বিষয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri TMC: তৃণমূলের অন্তর্কলহ? গৌতমের স্বপ্নভঙ্গ ঘটিয়ে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভই

    Siliguri TMC: তৃণমূলের অন্তর্কলহ? গৌতমের স্বপ্নভঙ্গ ঘটিয়ে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাটকীয় পরিবর্তন! শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসজেডিএ) চেয়ারম্যান পদে ফের রদবদল করা হল। শুক্রবার সকালের সরকারি নির্দেশিকায় এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান পদ হারান সৌরভ চক্রবর্তী। দুপুরেই তা ফিরে পেলেন তিনি। এদিন সকালে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে (Siliguri TMC) এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু দুপুরেই সেই নির্দেশিকা বাতিল করে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে নতুন নির্দেশিকা জারি করে এসজেডিএ-র পুরনো কমিটিকেই বহাল রাখা হয়। তাতে সৌরভ চক্রবর্তী চেয়ারম্যান থেকে গেলেন। 

    গৌতমের স্বপ্নভঙ্গ

    এদিকে সকালের নির্দেশিকা পাওয়ার পর গৌতম দেব সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, সরকারি নির্দেশিকা এদিন সকালে আমি হাতে পেয়েছি। আমাকে এসজেডিএ-র  চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সবে দায়িত্ব পেলাম। সব নতুন করে শুরু করতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Siliguri TMC) বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। ২০১৬ সালে আমি শেষ চেয়ারম্যান ছিলাম। এই পদের কাজের সঙ্গে আমি পরিচিত। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান ও শিলিগুড়ির মেয়র, একসঙ্গে দুটো দায়িত্ব। তাতে শিলিগুড়ির উন্নয়নে বাড়তি গুরুত্বেরও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। তারপর পুরসভা থেকে সব জায়গায় গৌতম দেবকে সংবর্ধনা জানানো হয়। কিন্তু সৌরভ চক্রবর্তী তখন কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তিনি শুধু বলেছিলেন, দুপুরের পর বড় খবর আসবে। অপেক্ষা করুন।  

    তৃণমূলের অন্তর্কলহেই কি এই নাটক?

    সৌরভ চক্রবর্তীর ঘোষণা মতো বড় খবরই এল। তাতে কার্যত গৌতম দেবের মুখও পুড়ল। নতুন নির্দেশিকা জারির পর চেষ্টা করেও গৌতম দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল সুইচড অফ পাওয়া গিয়েছে। এদিকে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান পদ নিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সরকারের মত পরিবর্তনের পিছনে তৃণমূলের (Siliguri TMC) অন্তর্কলহ দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। কেননা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে থাকাকালীনই দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের কমিটিতে চূড়ান্ত অসন্তোষ চলছে। সভানেত্রী পাপিয়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্বেচ্ছাবন্দি হয়ে রয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি কারও ফোন ধরছেন না। তৃণমূল সূত্রে খবর, পাপিয়া ঘোষকে পদ থেকে সরাতে দলেরই একটি গোষ্ঠী কোমর বেঁধে নেমেছে। তারা সমান্তরালভাবে আলাদা বৈঠক করে চলেছে। পাপিয়া ঘোষের কার্যকলাপ সম্পর্কে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একাধিক অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। যদিও দলের জেলা মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত এধরনের খবরকে ভিত্তিহীন বলেন। কিন্তু এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান পদ নিয়ে এদিন নাটকীয়ভাবে সরকার তথা তৃণমূলের ঘনঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পিছনে তৃণমূলের অন্তর্কলহ রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

    এদিন সকালে ঠিক কী ঘটেছিল?

    আগামিকাল, শনিবার শিলিগুড়িতে আসছেন সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে তাঁর দলীয় কর্মসূচি রয়েছে। যুবরাজের আগমনের পথ মসৃণ করতে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসজেডিএ) ফুলবাড়ির বেহাল ক্যানাল রোড মেরামতির কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করেছে। কেননা এই রাস্তা দিয়েই যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনের জন্যই যে ফুলবাড়িতে এই ক্যানাল রোড এসজেডিএ সংস্কার করছে, তা কবুল করেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা (Siliguri TMC) সৌরভ চক্রবর্তী। গত বৃহস্পতিবার এসজেডিএ-র প্রেস হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সৌরভ চক্রবর্তী ওই রাস্তা সংস্কারের কাজের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনে রাস্তার কাজ চলছে ফুলবাড়িতে।” সংবাদমাধ্যমকেও সৌরভবাবু একই কথা বলেন। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, এই বক্তব্যের জন্যই চেয়ারম্যান পদ থেকে সরতে হয় সৌরভ চক্রবর্তীকে। শুক্রবার সকালে তাঁকে সরিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে আবার এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটাও পরিবর্তন হয়ে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা না ধনীর ছেলের ‘সামার ক্যাম্প’? তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা না ধনীর ছেলের ‘সামার ক্যাম্প’? তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজো সাজো রব কোচবিহারের দিনহাটায়। ২৫ তারিখ আসছেন যুবরাজ, তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সকাল সাড়ে নটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ঘড়ি ধরে অনুষ্ঠানসূচি। যার মধ্যে তিন তিনটে পাবলিক মিটিং। যার অর্থ, উনি বলবেন, বাকিরা শুনবেন। অর্থাৎ একমুখী কমিউনিকেশন। দলের বার্তার বাণী বিতরণ মাত্র। নিন্দুকরা বলছেন, এ কেমন জনসংযোগ কে জানে! এরপর বিকেল পাঁচটায় কর্মী অধিবেশন। জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো। মন বুঝবেন নেতাদের। তারপর নেতারা, কর্মীরা ভোট দেবেন। আর টুক করে তৈরি হয়ে যাবে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা। ‘গ্রামের মতামত’ যার নাম। দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।   

    জনসংযোগ নাকি যুবরাজের মৃগয়াযাত্রা?

    বিরোধীদের কটাক্ষ, এই গরমে তৃণমূল নেতার (Abhishek Banerjee) গ্রামদর্শন আসলে জনসংযোগ নাকি যুবরাজের মৃগয়াযাত্রা। রূপকথায় যেমন হয় আর কি! এখন তো আর রূপকথার যুগ নয়। তাই এখন রথ, ঘোড়া বা হাতিতে নয়, নেতা যাবেন সরাসরি সরকারি হেলিকপ্টারে। থাকবেন ক্যারাভ্যানে। ক্যারাভ্যানের নাম শোনেননি? গুগল সার্চ করলেই দেখতে পাবেন। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত, আধুনিক সবরকম সুযোগ সুবিধাসহ বিলাসবহুল এক গাড়ি কাম বাড়িই ক্যারাভ্যান। সেখানেই আগামি দুই মাস। অত্যাধুনিক এই ক্যারাভ্যান কলকাতা থেকে উজিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোচবিহারে। সেখান থেকে নেতার সঙ্গে যাত্রা। থাকবে আগামি ষাট দিন!   

    আর কী কী যাচ্ছে সঙ্গে?

    কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত বিশেষ বাবুর্চি! এছাড়াও রান্না করার লোকজন, সেক্রেটারি টিম, আইটি সেল, সরকারি আধিকারিক ও বিশাল সুরক্ষা বাহিনী। যেখানে প্রথম দিনের রাত্রিবাস, সেই স্টেডিয়ামে ফেলা হয়েছে এয়ারকন্ডিশন বিলাসবহুল ক্যাম্প। যেখানে আছে সব কিছুর ব্যবস্থা। ক্যাম্পে থাকবেন জেলার নেতা, আধিকারিক, সুরক্ষা বাহিনী। এখানেই রাতের খাওয়া দাওয়া বৈঠক ও রাত্রিবাস। প্রথমদিন মাথাভাঙ্গায় রাত্রিবাস, সেখানে ১৮১টা এইরকম ক্যাম্প। এক জায়গাতেই। এখন চলছে সাজানো গোছানোর কাজ। কাজের বরাত পেয়েছে দিল্লির সংস্থা এনকে কাপুর প্রাইভেট লিমিটেড। এই রকম সব জায়গাতেই হবে। ফলে, শুধু গ্রামের লোকজন কেন, কোচবিহার শহর থেকেও এই রাজকীয় আয়োজন (Abhishek Banerjee) দেখতে লোকজন আসছেন। ভিড় বাড়ছে।

    খরচ দেখলে চোখ কপালে উঠবে

    এই রকম আদ্যন্ত স্টিলের স্ট্রাকচারের একটি ক্যাম্পের দৈনিক ভাড়া মাত্র ২৫০০০ টাকা। ভিতরে আসবাবপত্রের জন্য আলাদা খরচ। তাহলে ১৮১টা ক্যাম্পের একদিনের ভাড়া ৪৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তিনদিন এই ক্যাম্প থাকার কথা। মোট খরচ ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা! অভিষেকের ঘোষণা, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ৬০ দিনে কভার করবেন তিনি (Abhishek Banerjee)। খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি বাদে শুধু ওই ষাটদিনের রাত্রিবাসের আয়োজনেই খরচ হতে চলেছে ৮১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। তবে রাত্রিবাসের জন্যই সাড়ে একাশি কোটি খরচ হলে, খাওয়াতে কত খরচ? তা সহজেই অনুমান করতে পারছেন রাজ্যের মানুষ। 
    কিন্তু অবশ্যই অনুমান করতে পারছেন না, একটি অত্যাধুনিক ক্যারাভ্যানের দৈনিক ভাড়া আর তেলের খরচ কত হতে পারে? বেশি না, বিলাসবহুল অত্যাধুনিক ক্যারাভ্যানের দৈনিক ভাড়া এই রাজ্যে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রতিদিনের তেল, নাইট স্টে, হল্টিং এবং জিএসটি সহ অন্যান্য খরচ বাদে। অর্থাৎ…? এবার নিজেরাই খাতা-পেন্সিল নিয়ে বসে পড়ুন। হল্টিং প্রতি ঘণ্টায় ৭০০ থেকে ৯০০টাকা। নাইট-স্টে প্রতি ঘন্টা ১৫০০-২০০০ টাকা। পেট্রোলের খরচ জিএসটি ড্রাইভার খালাসির বেতন ইত্যাদি ধরলে ক্যারাভ্যানের দৈনিক খরচ দাঁড়াবে ১ লক্ষ থেকে দেড়লক্ষ টাকা প্রতিদিন। তাহলে ষাটদিনের খরচ? কোটির অঙ্ক ছাড়িয়ে যাচ্ছে তো! সেই কারণেই হয়তো অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে বিরোধীরা বলছেন, “বড়লোকের ছেলের দু-মাসের সামার ক্যাম্প”!

    অ্যাসিড টেস্টে পাঠিয়েছেন মমতা?

    তবে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো বলে কথা! দলের দুই, তিন, চার, পাঁচ নম্বরে থাকা নেতাদের সরিয়ে তিনিই (Abhishek Banerjee) এখন শেষ কথা। তাঁর অভিষেক হল বলে। তার আগে নাকি অ্যাসিড টেস্টে পাঠিয়েছেন মমতা। তৃণমূলের অভ্যন্তরে জোর জল্পনা। জনপ্রিয়তার মাপকাঠি বুঝে নেওয়ার বা দলের কর্মী নেতাদের মধ্যে, যুবরাজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে নেওয়ার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ‘পিসি’ আর ‘পিকে’-র এমন পরিকল্পনা। এক ঢিলে দুই পাখি। নিন্দুকরা অবশ্য বলছেন, দলীয় কর্মসূচির নাম করে যেমন দু’মাসের জন্য এড়ানো যাবে ইডি সিবিআই-এর জেরা তেমনই ভোটের আগে বার্তা দেওয়া কর্মীদেরম ইনিই ভবিষ্যতের কাণ্ডারী! সঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকার নামে তৃণমূল কর্মীদের মন বুঝে নেওয়া। যার জন্য পিকের টিম থাকছেই সঙ্গে। যারা তৈরি করে দেবে ভাষণ আর বক্তব্য বিষয়।
    আর বাকি যা থাকে তা হল, লুঠের টাকায়, দু’মাসের পিকনিক যুবরাজের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বেই”, হাজরার সভা থেকে ‘হুঙ্কার’ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বেই”, হাজরার সভা থেকে ‘হুঙ্কার’ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় হাজরা মোড়ে সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির (BJP Rally in Hazra) এই সভা ঘিরে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। শুভেন্দুও তাঁর সমর্থকদের নিরাশ করেননি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। একের পর এক দুর্নীতি, কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে সুর চড়ালেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নাম না করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। অভিষেককে ‘বাবুসোনা’ বলে সম্বোধন করে কটাক্ষ করেন তিনি। আবার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা।

    হাজরার মঞ্চ থেকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    কয়েকদিন আগেই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) গড় কাঁথিতে সভা করতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই পালটা ডায়মন্ডহারবারে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এজন্যে কড়া ভাষায় বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানান অভিষেক। সেই বিষয়টিকে তুলে এনে এদিন শুভেন্দু বলেন, “বাবুসোনা আপনি আজ কোথায় আছেন? আমি আজ হাজরায়, আপনি কোথায় পালিয়েছেন? কাঁথিতে তো আমার বাড়ির কাছে পকেটে হাত দিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। বিজেপির সভার পর কাল এখানে তৃণমূল সভা করবে, ইয়ে ডর আচ্ছা লাগা।”

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    আবার রাজ্যে উঠতে থাকা একের পর দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির পর সবথেকে বড় কেলেঙ্কারি হল কয়লা কেলেঙ্কারি। ২৪০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। তার ১০০০ কোটি টাকা বাবুসোনা খেয়ে নিয়েছেন।” বিরোধী দলনেতা এদিন হাজরার সভার শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন। এদিন রাজ্য পুলিশকেও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি। তিনি রাজ্য পুলিশকে কটাক্ষ করে শাসকদলের উদ্দেশে বলেন, “পুলিশ আছে বলে আপনারা আছেন। সংসদে নতুন বিল এলে আইপিএসদের নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রের সরকার। ‘ওয়ান নেশন ওয়ান পুলিশ’ যখন হবে, তখন কোথায় যাবেন?”

    আবার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) কয়েকমাস ধরেই দাবি করেছিলেন যে, ১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর মাসের এই তিনটি দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আজ, ১২ ডিসেম্বরে এখনও তেমন কিছু না হলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হলে শুভেন্দু তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “আমি তিনটি তারিখ আপনাদের বলেছিলাম। ১২,১৪ ও ২১ তারিখ। কেন বলেছিলাম? এই তিনটি তারিখ মানে সরকার পরিবর্তন হবে, একথা বলিনি। ৭০ জন নিয়ে আমরা অন্যের বিধায়কদের ভাঙিয়ে সরকার তৈরি করতে, এটা আমাদের দল মানে না, আমরা চাইও না। ১২ ডিসেম্বরটা ১৩ জানুয়ারি হতে পারে। তবে সেটা ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না। আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বেই। শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

  • Sukanta Majumdar: “চোর ও শিক্ষক বিতর্কে বসতে পারে না”, অভিষেককে নিশানা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চোর ও শিক্ষক বিতর্কে বসতে পারে না”, অভিষেককে নিশানা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চোর আর শিক্ষক কখনও এক সঙ্গে বিতর্কে বসতে পারে না।” মঙ্গলবার অভিষেককে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা পদ্ম শিবিরের অধ্যাপক নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার হিসেব নিয়ে বিতর্ক আহ্বান করেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আহ্বান প্রত্যাখান করতে গিয়ে অভিষেককে নিশানা করেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    অভিষেকের চ্যালেঞ্জ (Sukanta Majumdar)

    সোমবার বালুরঘাটে জনসভা করেন অভিষেক। এই বালুরঘাটেরই বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত। এদিনের সভায় সুকান্তকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “আমি সুকান্তবাবুকে বলব, আপনার লোকসভা কেন্দ্রে এসে আর একবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গেলাম। আপনি জায়গা ঠিক করুন, সময় ও সঞ্চালক ঠিক করুন। একদিকে আপনি থাকবেন, একদিকে আমি থাকব। এই তিন বছরে আবাস যোজনায় ১০ পয়সার শ্বেতপত্র আর ১০০ দিনের কাজে ১০ পয়সার হিসেব বিজেপি দিতে পারলে রাজনীতির আঙিনায় আমি পা রাখব না।”

    সুকান্তর মোক্ষম জবাব

    অভিষেকের এই চ্যালেঞ্জেরই জবাব মঙ্গলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, “বসা তো যায়ই। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিতে বলে, শ্রাস্তার্ধ বা যুক্তির লড়াই সব সময় সমকক্ষ লোকেদের মধ্যে হওয়া উচিত। চোর আর শিক্ষক তো এক সঙ্গে এক ফ্রেমে তর্ক করতে পারে না। তাহলে তো শিক্ষকদের মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে!” লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে পড়ে গিয়েছে কাঠি। দেশজুড়ে নির্বাচন হবে সাত দফায়। নির্বাচন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। এদিন নির্বাচন হবে ১০২টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলার তিন আসনও – জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার।

    আরও পড়ুুন: “ফটফট করবেন না, গরু পাচারে আপনার নাম আছে”, তৃণমূল বিধায়ককে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    নির্বাচনের আগে বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে প্রচার করছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই নেতার অভিযোগ, বঞ্চনার। যেহেতু মোদি সরকারের গায়ে কালির ছিটে দেওয়া যায়নি, তাই প্রতিটি জনসভায় তৃণমূল নেতারা ফাটা রেকর্ডের মতো আউড়ে চলেছেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। বিজেপির দাবি, গত ১০ বছরে মোদি সরকারের আমলে দেশজুড়ে যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গিয়েছে, তাতে বিচলিত তৃণমূল নেতারা।

    এই উন্নয়নের কারণেই বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি বেশি আসন পাবে তৃণমূলের চেয়ে। প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষার পাশাপাশি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরও জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় একক বৃহত্তম দল হবে বিজেপি। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিজেপিকে মাত দিতে চাইছেন অভিষেক। যার জবাব দিতে গিয়ে নাম না করে ‘ভাইপো’কে চোর আখ্যা দিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা”, বিস্ফোরক নির্যাতিতা

    Sandeshkhali: “অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা”, বিস্ফোরক নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সবার সামনে আমাকে উলঙ্গ করল, শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজ-শঙ্কর সামনে রেখে চলত অত্যাচার।’ ঠিক এই ভাবে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি গ্রেফতার হয়েছেন। একই ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দার। প্রতিবাদী মহিলাদের আন্দোলনে ফের একবার উত্তাল গোটা এলাকা।

    উলঙ্গ করার অভিযোগ (Sandeshkhali)

    সোমাবার সকাল থেকে আবার উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বেড়মজুর এলাকায় ফের মহিলারা হাতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে রাস্তায় নামেন। নির্যাতিতা, নিগৃহীত মহিলাদের ক্ষোভ ছিল শঙ্কর সর্দারের বিরুদ্ধে। যে কোনও সমস্যা মেটাতে গেলে যেতে হতো শাহজাহানের ভাই সিরাজের কাছে। তারপর চলত সেখানে যৌননিগ্রহ। গ্রামের এক নির্যাতিতার বক্তব্য, “গত বেশ কয়েক মাস আগের ঘটনা, আমাদের পরিবারে সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিরাজের কাছে। সঙ্গে ছিল অজিত মাইতি। কোষাধ্যক্ষ এবং আরও অনেক মহিলা ছিল। অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা। সেই সময় আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম। ভয়ে কাউকে জানাতে পারিনি। আমার পাশে কেউ এসে দাঁড়ায়নি। আমার কোলে বাচ্চা ছিল দিদির কাছে। সেই বাচ্চাকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। পারিবারিক বিবাদ মেটানোর নাম করে আমার শ্লীতাহানি করে শঙ্কর-সিরাজেরা।”

    শঙ্করের বাড়িতে জনরোষ

    শঙ্করের গ্রেফতারে পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। নির্যাতিত মহিলাদের ক্ষোভের উত্তাপ গিয়ে পড়ে শঙ্করের পরিবারের উপর। বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। খড়ের গাদায় লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। শঙ্করের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এলাকার নিগৃহীতদের বক্তব্য, “আমাদের উপর যখন আক্রমণ হয় সেই সময় ওঁরা বুঝতে পারেনি অত্যাচার কাকে বলে। এবার বুঝুক।”

    অপর দিকে গতকাল বজবজে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন শাজাহানকে গ্রেফতারে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ রয়েছে। অপরে আজ সোমবার হাইকোর্ট একটি মামলার শুনানিতে স্পষ্ট হয় করে গ্রেফতারে কোনও স্থগিতাদেশ নেই। এরপর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে জানিয়েছেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেককে ডেকে বজবজের এলাকাবাসী দেখালেন জমা জলের সমস্যা

    Abhishek Banerjee: অভিষেককে ডেকে বজবজের এলাকাবাসী দেখালেন জমা জলের সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম হোক বা শীতকাল, সারা বছর বাড়ির সামনে জল জমে থাকে। বৃষ্টির দিনে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের পায়ে হাঁটার মতো পরিস্থিতি থাকেনা। অনেকদিনের এই সমস্যার কথা অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে গতকাল রবিবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে দেখালেন জল জমার সমস্যার কথা। তবে গাড়ি থেকেই দেখলেন অভিষেক এবং সেইসঙ্গে দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দিলেন।

    মূল অভিযোগ কী (Abhishek Banerjee)?

    পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ইন্দ্রানী মণ্ডল সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, “প্রায় ১৫-২০ বছরের সমস্যা। পাশের যে ট্যাঙ্ক আছে তা থেকে উপচে পড়ে জল জমে থাকে। আর এই জমা জল থেকে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির দিনে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে যাচ্ছে। এলাকার কাউন্সিলরকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। সামনে ভোট তবুও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। যখন জানলাম এখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যাচ্ছেন, সেটা ভেবেই সমস্যার কথা জানিয়ে বললাম দেখুন কী অবস্থা। এরপর গাড়ি করে এসে দেখেন তিনি। আমাদের কথা শুনলেন। আমরাও দেখালাম সবটা। তবে তিনি আশ্বাস দিলেন সবটাই সমাধান হবে।”

    তৃণমূল কাউন্সিল কী বলেন?

    মহেশতলা স্থানীয় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিল গোপাল সাহাকে ওই বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক। তৃণমূলের সেকেন্ড ইনকমান্ডের নির্দেশ পেতেই কাউন্সিল ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “আমাদের নেতা (Abhishek Banerjee) বলেছেন দ্রুত যাতে সমস্যার সমাধান হয়। আমাদের সাংসদ কথা দিলে কথা রাখেন।”

    গতকাল বজবজ ট্রাঙ্ক রোড এবং মহেশতলায় ৪০ মিলিয়ন গ্যালন পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্প উদ্বোধন করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর উড়াল পুলের নিচ দিয়ে ফিরছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় ডাকঘরের কাছে একটি বাড়ি থেকে হাত দেখালে অভিষেক থামেন এবং এরপর অনুরোধে এলাকার মানুষের কথা শোনেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dev at ED Office: গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির তৃণমূল সাংসদ দেব

    Dev at ED Office: গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির তৃণমূল সাংসদ দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ ফেব্রুয়ারি গরুপাচার মামলায় অভিনেতা-সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে (Dev at Ed Office) তলব করেছিল ইডি। সেই মতো দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজির হলেন তৃণমূল সাংসদ। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ ইডির সদর দফতরে হাজির হন দেব। দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব জানান, যত বার ইডি (Dev at ED Office) তাঁকে ডাকবে, ততবারই তিনি হাজির হবেন।

    ২০২২ সালে দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই 

    এটাই তবে প্রথম নয়, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজাম প্যালেসে দেবকে তলব করে সিবিআই। সেদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল অভিনেতা-সাংসদকে। সিবিআই-এর তরফে তখন জানানো হয়েছিল, গরু পাচারকাণ্ডে বিভিন্ন সাক্ষীকে জেরা করার সময় দেবের নাম উঠে এসেছিল। সেই কারণে তাঁকে ডাকা (Dev at ED Office) হয়েছিল।

    দেবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ

    দেবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে এরপরেই। ২০২৩ সালে দেবের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Dev at ED Office) জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি নেতার অভিযোগ, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হকের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ। দেব অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

    সম্প্রতি দেব রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন

    সম্প্রতি দেব রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। লোকসভার বাজেট অধিবেশনের ছবি পোস্ট করে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টও করেছিলেন অভিনেতা। তাতে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, দেব (Dev at ED Office) আসন্ন লোকসভায় আর তৃণমূল প্রার্থী হতে চাইছেন না।  কিন্তু এরপরেই দেব একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে রাজনীতিতে থাকার কথা জানান। বৈঠক করেন অভিষেক-মমতার সঙ্গে। এরই মাঝে ইডির তলব এসে পৌঁছয় দেবের দুয়ারে। তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি অভিনেতা-সাংসদ। এদিন গেলেন হাজিরা দিতে।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ব্যরাকপুরে আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে গণেশ পুজো উপলক্ষে যান। তিনি বলেন, “মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি, কোনও রাজনৈতিকই কারণ নেই। তবে আমরা সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পক্ষে থেকে একসঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্থ পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।”

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    ব্যরাকপুরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে এসেছি কৌস্তভের বাড়িতে। তবে পিসি-ভাইপো যেখানে, কৌস্তভ নেই সেখানে। এখন কংগ্রেস, মমতা-অভিষেকের কাছে আত্ম সমর্পণ করেছে। তাই সেখানে কৌস্তভ নেই। বাকিটা তাঁকেই ঠিক করতে হবে। আগামী সময়ে বলবে কী হবে। চোরেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখের মধ্যে অন্যতম মুখ হলেন কৌস্তভ। বাংলাকে বাঁচাতে হলে একমাত্র বিকল্প হল বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেস, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছে। দেশে মোদির বিকল্প কিছুই নেই। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজে কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। তিনিও বুঝতে পেড়েছেন বিকল্প একমাত্র বিজেপি। কৌস্তভকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজনৈতিক সৌজন্য এই রাজ্যে সিপিএম আগেই শেষ করে দিয়েছে, কিন্তু যে টুকু বাকি ছিল তৃণমূল এসে শেষ করে দিয়েছে। কৌস্তভ একজন রাষ্ট্রবাদী সৎ ছেলে এবং দেশপ্রেমী হিসাব পরিচিত।”

    আর কী বললেন?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “দুর্নীতি গ্রস্থ এই সরকার সকলের ফোন ট্যাপ করে। হোয়াটসঅ্যাপ কল করতে হয় সকলকে। কথা বলা যায় না ইচ্ছে থকালেও। ‘চোর মমতা’র শাসনে রাজনৈতিক সৌজন্য বলে কিছু নেই। অন্য রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটে না, কেবলমাত্র এই রাজ্যেই হয়ে থাকে। সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা গলিয়েছেন। সিপিএম যা শুরু করেছিল মুখ্যমন্ত্রী সেই বৃত্ত পূর্ণ করেছেন। এই কালচারের বদল ঘটা দরকার। সরকারের দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবার তন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলের সঙ্গে আমরা আছি। লক্ষ্য যেহেতু এক, তাই শুধু পুজোতে নয়, রাজনৈতিক মঞ্চেও একসঙ্গে কাজ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কালীঘাটে রেড করলেই শাহজাহানকে পাওয়া যাবে”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কালীঘাটে রেড করলেই শাহজাহানকে পাওয়া যাবে”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমতলায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী কার্যালয় থেকে কিছুটা দূরে, দলের মন্ডল সভাপতিদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন ও কর্মীসভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা। মূলত এদিনের এই জনসভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মমতার ভাইপোকে ‘চোর’ বলে আখ্যায়িত করেন। আবার একই ভাবে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে শাহজাহান সম্পর্কে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাহজাহান একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করছে তাই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছেনা”।

    সন্দেশখালি নিয়ে কী বলেন (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “পুলিশকে আর গ্রেফতার করতে হবে না। সন্দেশখালির মা-বোনেরা জেগে গিয়েছেন। এবারে তাঁরাই ধরবে তৃণমূলের দুষ্কৃতী শিবুকে। শাহজাহান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই রয়েছে। কালীঘাটে রেড করুক তাঁকে পাওয়া যাবে। প্রতিদিন রাতের ডিনার এবং মধ্যাহ্ন ভোজন করছেন একসঙ্গে। ২০১১ আগে নন্দীগ্রাম ছিল এবার তৃণমূলের আমলে সন্দেশখালি হল।” অন্যদিকে তৃণমূল নেতা দেবাশীষ হাজরাকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস এইসব নাটক করছে, এছাড়া অন্য কোনও কিছুই নয়।” অপর দিকে এদিনের সভাস্থল থেকে তিনি আরও বলেন, “শীঘ্রই সিএএ লাগু হবে বাংলায়।”

    দেব প্রসঙ্গে কী বলেন?

    ঘাটালের প্রার্থী হওয়া নিয়ে দেব ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক প্রসঙ্গের বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমতলার সভায় বলেন, “কোনও লাভ হবে না, ঘাটালে বিজেপি ২ লাখ ভোটে জয়লাভ করবে। কেউ পাগল নয় যে দেশটাকে আফগানিস্তান-ইউক্রেন করতে চাইবে। মোদি জিকে সকলে ভোট দেবে।” পাশাপাশি বিশিষ্ট অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং আগামী লোকসভায় একসঙ্গে তাঁরা দুজনে প্রচার কর্মসূচি করবেন এমনটাও জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share