Tag: Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee

  • Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিষেকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিষেকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের সেই আবেদন শুনানির আগেই খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোনও যুক্তির ওপর নির্ভর করে মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    কেন খারিজ মামলা

    সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন এক যুব তৃণমূল নেতা। তার প্রতিক্রিয়ায় পালটা প্রকাশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর সম্পত্তির তালিকা প্রকাশের চ্যালেঞ্জ ছোড়েন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আদালতে গিয়ে অভিষেক দাবি করেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য যেন তদন্তকে প্রভাবিত না করে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন। তাই বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই মামলা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অভিমত, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদনে কোনও যুক্তি নেই। মামলাটি খারিজ করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বলল আদালত

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আরও আবেদন, কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলিকে (যেগুলি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে বিচারাধীন) তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে সেখানে স্থানান্তর করা হোক। এই আর্জিও এদিন শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, অভিষেককে নতুন করে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত এর আগে অভিষেকের আবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির বেশ কয়েকটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলা এখন বিচারপতি সিনহার এজলাসে বিচারাধীন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আদালতের ভিতরে হোক বা বাইরে তাঁর একাধিক মন্তব্যে সমস্যআয় পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। এমনকী তাঁর করা মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গেই এবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “আমার কাজকর্ম-কথাবার্তায় এক শ্রেণি খুব বিপদে পড়ছে, তাই হয়ত নানা পদক্ষেপ।” 

    বিচারপতির প্রশ্ন

    বিবেকানন্দ পাঠচক্র আয়োজিত স্বামী বিবেকানন্দ মিলন মেলায় উপস্থিত হয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “বহু বিখ্যাত মানুষ, যাঁরা কাজ করার চেষ্টা করেছেন, তাঁদেরকে সব সময় টেনে নামানোর চেষ্টা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বহু প্রচার হয়েছে। এমনকি বিধবা বিবাহ প্রচলনের সময় বিদ্যাসাগর মশাই নিজে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন।” এই অনুষ্ঠানে স্বামী বিবেকানন্দের জীবন-আদর্শের কথা তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে সমাজের বিচ্যুতি থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, যে বাংলায় এত মনীষীদের জন্ম হয়েছে সেই বাংলার বর্তমান সমাজে এত বিচ্যুতি হয় কীভাবে।

    আরও পড়ুন: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    কী বললেন বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক (Abhishek Banerje)। আবেদনে তিনি জানান, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তৃণমূল সাংসদের আর্জি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যে কেউ মামলা করতে পারেন। যে কোনও আর্জি জানাতে পারেন। বলতেই পারেন, চাঁদ আমাকে পেড়ে দাও। যিনি শুনছেন (মামলা), তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।” তার পরই বিচারপতির সংযোজন, “মনে হয় আমার কাজে এবং কথাবার্তায় একটা শ্রেণি খুব বিপদে পড়ছে।” তাঁর মন্তব্যে, তদন্তকারী সংস্থা প্রভাবিত হচ্ছে কি না, তা ওই সংস্থাগুলিই বলতে পারবে বলে জানান বিচারপতি। তাঁর কথায়, “একটা কথায় এজেন্সি প্রভাবিত হচ্ছে, এ সব আষাঢ়ে গল্প।” সময় পাল্টে গিয়েছে বলে দাবি করে বিচারপতির প্রশ্ন, “আগে এত চুরি-জোচ্চুরি দেখেছেন? চাকরি বিক্রি দেখেছেন?” হতাশার সুরে বিচারপতি জানান, বর্তমানে বাংলায় অবক্ষয় চোখে পড়ছে, যা বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দের বাংলায় কাম্য নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেকের কাছে তিনি সাক্ষাৎ ভগবান। কারও কারও কাছে তিনি ভগবানের দূত। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আবার কারও কাছে গলার কাঁটাও। এই যেমন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেক অবশ্য মুখে কিছু বলেননি।

    অভিষেকের আর্জি

    তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের এই দাপুটে বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আর্জি জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোরও। দেশের শীর্ষ আদালতে করা আবেদনে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হোক কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আদালতের বাইরে বারংবার যে এক পক্ষের বয়ান তুলে ধরছেন, তা থেকে তাঁকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হোক। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশও দেওয়া হোক। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুনবে (Abhishek Banerjee) সেই বেঞ্চ। বিচারপতি সিনহার এজলাসে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেগুলি যাতে ওই বেঞ্চে যায়, তার ব্যবস্থাও করা হোক।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই অভিষেকের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি প্রশ্ন করেন, একজন নেতা হিসেবে অভিষেকের সম্পত্তির উৎস কী? তিনি কি তাঁর সম্পত্তির হিসেব সমাজমাধ্যমে পোস্ট করবেন? তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা দেখতে চাই, কার কত সম্পত্তি আছে। কে কত সম্পত্তি করেছেন। কার সম্পত্তির উৎস কী? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিষেক যদি সমাজমাধ্যমে ওই পোস্ট করেন, তবে তাঁর সমসাময়িক নেতা, ধরুন, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বা অন্য নেতাদের কাছেও একই আবেদন রাখব। তাঁরাও সম্পত্তির হলফনামা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিন, আমরা দেখতে চাই।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিভিন্ন পদক্ষেপে ওদের অসুবিধা হচ্ছে। ওদের বিভিন্ন চোরেরা জেলে রয়েছেন। আরও কিছু জেলে যাবেন। সেই জন্যই আমার ওপর এত রাগ।” প্রসঙ্গত, ইডি এবং সিবিআই চাইলে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলে গত বছরই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    তাই কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পায়ে বেড়ি পরাতে চাইছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রকল্প হিসেবে বার্ধক্য ভাতা চালু রয়েছে। তবে তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য চলতি জানুয়ারি মাস থেকে আলাদাভাবে আলাদা বার্ধক্য ভাতা চালুর কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছিল ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’। যে সমস্ত প্রবীণ ব্যক্তি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না, তাঁদের প্রতি মাসে হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রতি মাসে খরচ হবে সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি। এ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, এই কর্মসূচির নাম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের চুরির টাকা বিলি করছেন। তিনি এ নিয়ে ইতিমধ্যে আয়কর দফতরের গোয়েন্দা এবং ফৌজদারি বিভাগে চিঠিও পাঠিয়েছেন।

    চিঠিতে কী লিখলেন শুভেন্দু?

    আয়কর দফতরে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ হাজার ৩৮০ জন বড় হৃদয়ের স্বেচ্ছাসেবককে পেয়েছেন, যাঁরা প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ডোনেশন দিতে সম্মত হয়েছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য। প্রসঙ্গত, ১৬ হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ভার ছিল প্রবীণদের খুঁজে বের করার। ওই চিঠিতে শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, কয়লা পাচার এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় রয়েছেন ওই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো হওয়ার সুবাদে তিনি রাজ্য প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন।

    উঠছে প্রশ্ন

    বিভিন্ন মহলের মতে, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার মতো প্রকল্পগুলি সরকারি প্রকল্প, এসব বাদ দিয়ে কোনও জনপ্রতিনিধি কীভাবে মানুষকে টাকা বিলি করতে পারেন। এভাবে টাকা বিল করা যায় না। নির্বাচনের সময়ে টাকা বিলি করাকে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের তালিকায় ফেলা হয়। অথচ অভিষেকে বলছেন তাঁর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি মাসেই মিলবে টাকা। এই টাকার উৎস নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী নেতৃত্বরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এসএসকেএম নিয়ে প্রশ্ন, অভিষেকের বাবার বাড়িতে অনাথ আশ্রম খুলতে চান শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: এসএসকেএম নিয়ে প্রশ্ন, অভিষেকের বাবার বাড়িতে অনাথ আশ্রম খুলতে চান শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকা ভিআইপিদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এবিষয়ে আদালতের নজরদারিতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি নিলামে কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ওই বাড়িতে অনাথ আশ্রম বানাবেন তিনি।

    অভিষেকের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন

    সোমবারই আদালতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তার মধ্যে রয়েছে কালীঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নামে কেনা ২টি বাড়ি। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ছোট আঙারিয়ায় বিজেপির সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এই ভিখারি পিসি থাকে খালপাড়ে, কত বাড়ি করেছে জানেন? ২টো বাড়ি ইডি অ্যাটাচ করেছে। একটা কয়লা ভাইপোর বাপের বাড়ি। আরেকটা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের বাড়ি। ২টো বাড়ি হচ্ছে প্রাসাদ। আমি ইডিকে বলব তাড়াতাড়ি নিলাম করুন। আমার হাতে লোক আছে। বাড়িটা কিনবে। বাড়িটা কিনে একটা অনাথ আশ্রম তৈরি করব।’’

    আরও পড়ুন: হরিকৃষ্ণকে সরকারি বাংলোয় রাখতে ঘরছাড়া ৩ মন্ত্রী, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    এসএসকেএম নিয়ে সন্দেহ

    বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় ছোট আঙারিয়া গণহত্যার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সমাবেশের আয়োজন করেছিল বিজেপি। এখানেই এসএসকেএম প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu on SSKM) বলেন, “আদালতের তত্বাবধানে এসএসকেএমের সব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা উচিত। আসার সময় দেখলাম, এসএসকেএমের বারান্দা থেকে জ্যোতিপ্রিয় কাকে যেন হাত নাড়ছে! হাসপাতালটাকে পাঁচতারা হোটেল বানিয়ে ফেলেছে। কাকুর মতো অপরাধীদের আড়াল করার ক্ষেত্রে কিছু ডাক্তারও জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।” শুভেন্দুর দাবি, “সিপিএম ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকলেও এত ঔদ্ধত্য সিপিএমের মধ্যেও ছিল না। কাকুর কালকে রাতে ধোঁয়া বেরিয়ে গিয়েছে। এবার সব খেলা শেষ!”

    মহুয়া প্রসঙ্গ

    মহুয়া মৈত্রকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, “১ বছর আগে উনি মা কালীকে নিয়ে বলেছিলেন যে মা কালী নাকি মদ খায়, সিগারেট খায়! ১ বছরের মধ্যে মা কালী ওকে ধ্বংস করে দিল। সবই মা কালীর খেলা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sadvhi Niranjan Jyoti: ‘‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে’’! বকেয়া ইস্যুতে মমতাকে নিশানা সাধ্বী নিরঞ্জনের

    Sadvhi Niranjan Jyoti: ‘‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে’’! বকেয়া ইস্যুতে মমতাকে নিশানা সাধ্বী নিরঞ্জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পা পড়েছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির (Sadvhi Niranjan Jyoti)। মঙ্গলবারই ১০০ দিনের কাজের টাকা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমরা আজও বলছি, যাঁরা মনরেগাতে দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুন, আমরা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু জানি না কেন মমতাদি করতে চাইছেন না। ক্ষতি এখানকার মানুষের হচ্ছে। হতে পারে যেখানে দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে হয়ত তাঁর কেউ নিজের লোক রয়েছেন।’’

    তৃণমূলকে তোপ মন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, আজ বুধবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Sadvhi Niranjan Jyoti) এবং সেখানেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা টাকা আটকাইনি। আমরা কারও টাকা বন্ধ করিনি। যদি টাকা বন্ধ করাই লক্ষ্য হত, তাহলে অন্যান্য প্রকল্পের সব টাকা বন্ধ করে দেওয়া হত। যে বিষয়টি আছে, সেটা আগে বসে সমাধান করুন। আমাদের ২ জন আধিকারক রয়েছেন, আর উনি ২ জন আধিকারিককে দিয়েছেন। যেখানে যেখানে গণ্ডগোল রয়েছে সেগুলি আগে বসে দেখা হবে।’’ এর সঙ্গেই মন্ত্রীর তোপ, হয়ত কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়তে পারে বলেই রাজ্য আলোচনায় বসতে চাইছে না। সাধ্বী নিরঞ্জন বলেন, ‘‘কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও কিন্তু উনি এখনও কেন এই সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন না আমি জানি না। হয়ত কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়বে বলেই আলোচনায় বসতে চাইছেন না।’’

    গত বছরের অগাস্ট মাসে অভিষেকের ধর্না নিয়ে কী বললেন? 

    প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসেই অভিষেক ও তাঁর দলবল দিল্লিতে গিয়ে নাটক শুরু করে। বাংলা বঞ্চিত এই বলে। পরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অফিসেই ধর্নায় বসে। এ নিয়ে এদিন মন্ত্রী (Sadvhi Niranjan Jyoti) বলেন, ‘‘ওরা প্রথমে বলেছিল, ৫ জন দেখা করবে, তারপর বলল ১০ জন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলেছিলেন, আমি রাজিও হয়েছিলাম দেখা করতে। তারপর ওরা বলল, প্রতিনিধি নয়, জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলার মানুষের ভালো করা নয়, ধর্না দেওয়াই তৃণমূলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।’’

    আরও পড়ুন: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Inner Clash: ‘বয়ঃ-বিধি’ দ্বন্দ্বে বেসামাল তৃণমূল, নেত্রীর রোষেই কি ‘অন্তরালে’ অভিষেক?

    TMC Inner Clash: ‘বয়ঃ-বিধি’ দ্বন্দ্বে বেসামাল তৃণমূল, নেত্রীর রোষেই কি ‘অন্তরালে’ অভিষেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের ‘যুবরাজ’। সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তাঁর একটা পদও রয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের এহেন এক কর্তাই দিন কয়েক ধরে সেঁধিয়ে রয়েছেন গোঁসাঘরে। কারণ কি? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলে সম্প্রতি নবীন-প্রবীণ নিয়ে বিতর্ক (TMC Inner Clash) দানা বেঁধেছে।

    দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও অন্তরালে ভাতিজা!

    বয়সবিধি নিয়েও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে তাঁরই ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই দলের নবীন ‘মুখ’ অভিষেককে সাইড করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই ১ জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবেসেও তিনি রইলেন অন্তরালে। কারণ হিসেবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, তিনি যে আগ্রাসী আন্দোলনের পথে হেঁটেছিলেন, তা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি শুধুমাত্র নিজের কেন্দ্র নিয়েই থাকবেন। তবে নেপথ্যে রইলেও চালিয়ে যাচ্ছেন ছায়াযুদ্ধ! অবশ্য সরাসরি ভাতিজা নন, তাঁর স্তাবকরা।

    বক্সি-কুণাল বাক্-যুদ্ধ

    ধানাইপানাই ছেড়ে আসা যাক কেজো কথায়। এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে তৃণমূলের (TMC Inner Clash) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াইয়ের ময়দান (লোকসভা নির্বাচন) থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে লড়াই করবেন উনি।” বক্সির এই “যদি…কিন্তু”তে বেজায় আপত্তি অভিষেক ‘ফ্যান-ক্লাবে’র। তাদের বক্তব্য, “যদি…কিন্তু”তে অভিষেকের ‘পলায়নী মনোবৃত্তি’ প্রকাশ পেয়েছে। তাই বক্সির বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

    তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (অভিষেক অনুগামী বলে দলে পরিচিত) বলেন, “রাজ্য সভাপতির বাক্যগঠন নিয়ে আপত্তি রয়েছে। এটা কখনওই কাঙ্খিত নয়।” তিনি বলেন, “অভিষেক লড়াইয়ের ময়দানেই রয়েছেন। আর তিনি যে কথা বলতে চান, তা শুনলে দলেরই মঙ্গল।” অভিষেক-বৃত্তের এক নেতা বলেন, “এই ধরনের আলটপকা কথা বলে আসলে অভিষেকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হয়েছে। যা দলের জন্য মোটেই ভালো সঙ্কেত নয়।” অভিষেক ঘনিষ্ঠদের দাবি, অভিষেকের বয়ঃ-তত্ত্বে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেক প্রবীণ নেতা। তাই মমতাকে তোষামোদ করতে এই ধরনের মন্তব্য করে আদতে অস্তস্তিতে ফেলা হচ্ছে দলকেই।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    বুয়া-ভাতিজার এই দ্বন্দ্বের জেরে যে ভাতিজা- গোষ্ঠীই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা বুঝতে পেরে যুবরাজের দ্বারস্থ হন তাঁর ‘ফ্যান-ক্লাবে’র সদস্যরা। তাই দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের ‘গোঁসা’ ভাঙাতে অভিষেকের কালীঘাটের অফিসে বৈঠকে বসেছিলেন কুণাল, ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক, তাপস রায়দের মতো কয়েকজন। তবে গোঁসা যে ভাঙেনি, তার প্রমাণ মিলল ১ জানুয়ারি। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পিকচারেই ছিলেন না অভিষেক।

    মমতার গুরুত্ব অস্বীকার (TMC Inner Clash) করলে যে বিপদ বাড়বে, তা জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন রাজনীতিতে থাকবেন না, সেদিন বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে।” সুদীপের নিশানায় যে অভিষেকই তা বুঝতে রাজনীতিবিদ হতে হয় না। সুদীপের বক্তব্যেরও পাল্টা (TMC Inner Clash) দিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন, “অন্ধ ভক্তি দেখাতে গিয়ে এঁরা আসলে বিভাজন রেখা তৈরি করছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: আয়কর দফতরের নজরে এবার পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক

    Purba Medinipur: আয়কর দফতরের নজরে এবার পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ মেলায় আয়কর দফতরের নজরে এবার পটাশপুর (Purba Medinipur) তৃণমূল বিধায়ক। সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুই বছরের আয়ব্যয়ের হিসেব চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি ইত্যাদি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শাসক দল তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতাকে গ্রেফতার করেছে। আবার কয়লা, গরু পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যে তৃণমূলের যুব নেতৃত্বের মধ্যে বিনয় মিশ্র দেশ ছেড়ে পালিয়াছেন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি তলব করেছে বেশ কয়েকবার। সম্প্রতি ইডি, হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে জমা দিয়েছে তাঁর সম্পত্তির হিসাব। ফলে ফের একবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তৃণমূল বিধায়ককে আয়কর দফতরে হিসাব চাইলে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়ায়।

    আয়করের রিটার্ন জমা দেননি (Purba Medinipur)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিকের আয়ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে গোলমাল পাওয়া গিয়েছে। তিনি গত তিন বছর ধরে রিটার্ন জমা দেননি বলে জানা গিয়েছে। আর এই জন্যই আয়কর দফতর তাঁকে নোটিশ দিয়েছে। আগামী জানুয়ারির ৮ তারিখ তাঁকে আয়ব্যয় সংক্রান্ত নথি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আয়কর দফতর। উল্লেখ্য, স্বশরীরে হাজিরার কথা বলা হয়নি তাঁকে। তবে নোটিশ যে তিনি পেয়েছেন সেই বিষয়ে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। বিধায়ক অবশ্য জানিয়েছেন যে গত দুই বছরে আয়ব্যয় সংক্রান্ত রিপোর্ট বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে দফতরে পাঠাবেন।

    সাগর দিঘিরবিধায়কেও তাল্লাশি চালায় আয়কর

    কংগ্রেসের হয়ে সাগরদিঘিতে জয়লাভ করেছিলেন বায়রন বিশ্বাস। এরপর তিনি নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলের যোগদান করে ছিলেন। কয়েকদিন আগেই বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। তৃণমূল অবশ্য এই তাল্লশিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলে ছিল। একই ভাবে পটাশপুরের (Purba Medinipur) বিধায়কে তলবের বিষয়কেও পালটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথাই বলা হয়। প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিজেপি জানিয়েছে, একদিন তৃণমূলের গোটা দলটাই জেলের ভিতরে ঢুকে যাবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি তদন্তের নামে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামীর ওপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো মিলে পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন, ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’। এতেই রাজ্যের বিচার বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই বিচারপতির বেঞ্চে এসএসসি দুর্নীতি মামলা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব, লিপস এন্ড বাউন্ডস সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার মামলা রয়েছে। সবটা মিলিয়ে বিচার এবং বিচারপতিকে পরোক্ষ ভাবে চাপে রাখা হচ্ছে না তো! ঠিক এমনটাই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

    বিচারপতির স্বামী কী বলেছেন চিঠিতে (Justice Amrita Sinha)?

    কলকাতার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশেনকে লেখা চিঠিতে প্রতাপ চন্দ্র অভিযোগ করেন, “যে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানান তথ্য জানান চেষ্টা করছে সিআইডি অফিসারেরা, যাতে তাঁর স্ত্রীর (Justice Amrita Sinha) বিরুদ্ধে সাজানো কথা বলতে হয়, তার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা কুকথা বলে অভিযোগ করার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি টাকা, বাড়ি গাড়ি দেওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। টানা নয় ঘণ্টা ধরে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। সবটাই গভীর ষড়যন্ত্র।”

    কোন মামলায় বিচারপতির স্বামী অভিযুক্ত?

    সম্পত্তি-বিবাদ মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগে সিআইডি তদন্ত করছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দের বিরুদ্ধে। এই মামলায় এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। জমা দিতে বলা হয়েছে মোবাইল। গত একমাসের মধ্যে ডিসেম্বরের ১, ১৬ এবং ২২ তারিখে ডাকা হয়েছে। অবশ্য আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারণে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সিআইডি।

    সিআইডির দাবি

    সিআইডির এক কর্তা জানিয়েছেন, “তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আদালত জানিয়েছে কেউ যেন তদন্তের বাইরে না থাকে। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতা করছেন ওই বিচারপতির (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী। আমরা পদ্ধতি মেনেই কাজ করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)! দেশের শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে গেল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর আর্জি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের শুনানি পর্বের রিপোর্ট প্রকাশের ওপর জারি করা হোক নিষেধাজ্ঞা। অভিষেকের এই আবেদনই শুক্রবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

    কী বলেছিলেন বিচারপতি সিনহা?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার? তদন্তে নাম জড়ায় অভিষেকের সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সম্প্রতি একটি মুখবন্ধ খামে পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় ইডি। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “সম্পত্তির পরিমাণ কম হলে কি এত নথি জমা পড়ত? এসব সম্পত্তির জন্য আয়ের উৎস কী তা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে?” বিচারপতি সিনহা এও বলেছিলেন, “দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ সম্পত্তিই হয়েছে ২০১৪ সালের পর। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারি। এই ব্যপারটা কি তদন্ত করে দেখা হয়েছে?”

    অভিষেকের আবেদন

    বিচারপতি সিনহার সেই পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। তৃণমূল নেতার আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, “এই ধরনের পর্যবেক্ষণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় সম্মানহানি হচ্ছে তাঁর মক্কেলের (Abhishek Banerjee)।” কলকাতা হাইকোর্টের যে বেঞ্চে বর্তমানে মামলাটি রয়েছে, সেখানে থেকে মামলাটি সরানোর আর্জিও জানানো হয়। অভিষেকের সেই আর্জিও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মন্তব্য, “যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের আপত্তি জানাতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’কে নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র বিস্তারিত নথি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এই সংস্থার ডিরেক্টরদের নাম, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ এবং সংস্থার লেনদেন, গ্রাহক কারা, সিইওর সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য, সংস্থার কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়ার (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share