Tag: Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee

  • Abhishek Banerjee: মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তলব! অভিষেককে নোটিস পাঠাল সিবিআই

    Abhishek Banerjee: মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তলব! অভিষেককে নোটিস পাঠাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিললেও নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস ধরাল সিবিআই। আগামী কাল, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অভিষেককে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দরকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জেরা করা যেতে পারে বলে সম্প্রতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তার পরেও সোমবার দুপুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস ধরাল সিবিআই।

    কী রয়েছে নোটিসে

    কুন্তল ঘোষের চিঠি স‌ংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে(Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, দুপুর দেড়টা নাগাদ ইমেল মারফত নোটিস পৌঁছয় অভিষেকের কাছে। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) নির্দেশেই সোমবারই স্বস্তি পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সম্প্রতি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশনামায় উল্লেখ ছিল, কুন্তল ঘোষের চিঠির বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি মনে করে, তাহলে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। এদিন শীর্ষ আদালত ওই মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ (Interim Stay) দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়,  কুন্তলের চিঠির বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না সিবিআই। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৪ এপ্রিল।

    সুপ্রিম স্থগিতাদেশ নিয়ে সুকান্তের মত

    এখন প্রশ্ন উঠছে, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সূত্রের খবর, স্থগিতাদেশ থাকার পরেও এই নোটিসের কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্য়েই অভিষেকের আইনজীবীরা আদালত অবমাননার মামলা করতে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বড় বড় উকিলদের ধরে সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন তিনি। প্রচুর টাকাও খরচ করেছেন। আমাদের প্রশ্ন এখানেই… এই সামান্য সামান্য ব্যাপারে সিবিআই বা ইডি যদি প্রশ্ন করতে চায়, তাতে ভয়ের কী আছে? সাময়িকভাবে তিনি স্বস্তি পেয়েছেন, কিন্তু এই স্বস্তি চিরস্থায়ী নয়।’

    আরও পড়ুন: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?

    কুন্তল-অভিষেকের কথায় মিল

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ করছেন যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছেন। জেল থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সে প্রসঙ্গে নিম্ন আদালতের বিচারককে চিঠিও লিখেছিলেন কুন্তল। গত বুধবার কুন্তলের অভিযোগের বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে তুলেছিল ইডি। গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেকও (Abhishek Banerjee) দাবি করেছিলেন, সারদা মামলায় হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনাচক্রে, কুন্তলও তার পরে একই অভিযোগ করেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওই সভায় অভিষেকের মন্তব্যের সঙ্গে কুন্তলের চিঠির কোথায় সাযুজ্য রয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেককে প্রশ্ন করতে পারে ইডি-সিবিআই! কুন্তলের চিঠি নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেককে প্রশ্ন করতে পারে ইডি-সিবিআই! কুন্তলের চিঠি নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই (CBI) এবং ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, চাইলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে লেখা ওই চিঠি নিয়ে অভিষেক এবং কুন্তলকে প্রশ্ন করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, একটি সভায় অভিষেক বলেছিলেন তাঁর নাম বলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে কুন্তল-সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত অন্য ধৃতদের। নিয়োগকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষও এমন দাবি করেছেন একাধিকবার। এমনকী গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগপত্রও পাঠান কুন্তল। এবার এই অভিযোগকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদ্বয় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। আর তা করলে দ্রুত করতে হবে বলেও জানান তিনি। আদালতের বক্তব্য, খতিয়ে দেখতে হবে অভিষেকের মন্তব্যের সঙ্গে কুন্তলের চিঠির কোথায় সাযুজ্য রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    “কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারীরা দলীয় নেতাদের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছেন”, কিছুদিন আগে আদালতে প্রবেশের মুখে এমনই দাবি করেছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। এই মর্মে তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার মারফত হেস্টিংস থানায় অভিযোগপত্রও পাঠান। শুধু হেস্টিংস থানা নয়, আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতেও একই ধরনের একটি চিঠি দেন কুন্তল। এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। অভিযোগপত্র দেখতে চেয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার এই মামলা ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। এদিন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, চলতি বছর ২৯ মার্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয় একটি জনসভায় মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর নাম বলার জন্য জোর করা হচ্ছে। এই বক্তব্যের সঙ্গে কুন্তল ঘোষের চিঠির বক্তব্যের মিল রয়েছে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে পাশাপাশি রেখে জেরা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।  পাশাপাশি, এবার থেকে যে সমস্ত সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকরা নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও অভিযোগ দায়ের করা যাবে না,বলেও স্পষ্ট জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ঘাসফুলের ব্যাটন এখন তাঁর হাতে। তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও (Abhishek Banerjee), পাশাপাশি যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতিও তিনিই। দলে বর্ষীয়ান সাংসদরা থাকলেও যুবরাজ থাকলে কারও নাকি কথা বলারই সাহস থাকে না, এমনটাই জনশ্রুতি। অভিষেক (Abhishek Banerjee) কোনও জেলা সফরে গেলে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের থরহরিকম্প অবস্থা হয়। সভায় যাওয়ার রাস্তা খারাপ থাকলে প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে সেই রাস্তা মেরামত করে দেয়। 

    ২৯ মার্চ কী  ছিল শহিদ মিনারে?

    এবার ২৯ মার্চ কলকাতার শহিদ মিনারে যুব তৃণমূলের সভার আয়োজন ছিল। রাজ্যের সমস্ত জেলার ছাত্র, যুব এবং মাদারের কর্মীরা সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন। আর সভার প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের এই যুবরাজ (Abhishek Banerjee)। ফল যা হওয়ার, তাই-ই হয়েছে। পার্টির প্রোগ্রাম, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সরকার। তাঁর সভার ব্যারিকেড, এমনকী অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরির জন্য টেন্ডার ডেকে দেয় খোদ পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে যেভাবে টেন্ডার ডেকে যুবরাজের (Abhishek Banerjee) সভার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সভার আয়োজন প্রশাসন কী করে করতে পারে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও প্রশাসনের সাফাই, নিরাপত্তার স্বার্থেই যা করার করা হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের মিটিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেখা যাক, টেন্ডারে কী রয়েছে?

    অনুষ্ঠানের আগেই শহিদ মিনার ও রেড রোড চত্বরে অস্থায়ী প্যান্ডেল, ব্যারিকেড, বাফার ব্যারিকেড এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। ২৫ মার্চ এই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। নোটিশে শুধু ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে অস্থায়ী প্যান্ডেলসহ পরিকাঠামো তৈরির কথা বলা হয়। কোনও দলের উল্লেখ নেই। তবে, ওইদিন যুবরাজের সভা ছাড়া শহিদ মিনারে আর কোনও কর্মসূচি ছিল না। ফলে, নোটিশে উল্লেখ না থাকলেও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভার জন্যই যে এই আয়োজন করা হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। এই ধরনের সভার জন্য দলীয় ফান্ড থেকেই খরচ করে প্যান্ডেল তৈরি করার কথা। তাহলে সরকারি টাকা খরচ করে দলীয় সভার আয়োজন করা হল কেন? উত্তর নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় সভার জন্য টেন্ডার ডাকায় পূর্ত দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    রাস্তার জন্য মাথা খুঁড়ে মরছেন বাসিন্দারা। আর….!!

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় বেহাল রাস্তার জন্য গ্রামবাসীরা ভোট বয়কটের ডাক দিচ্ছেন। শুক্রবারই মালদহের গাজোলে রাস্তা না হওয়ায় বহু বাসিন্দা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে অনুন্নয়নের ছবি সামনে আসছে। সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দলীয় সভার প্যান্ডেল করা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, দলীয় সভার জন্য পূর্ত দফতর এই ধরনের উদ্যোগ কি নিতে পারে? সরকারি টাকা জনগনের কাজে ব্যবহার হবে। তা না করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাকে তুষ্ট করতে আসরে নেমেছে সরকার। এই রাজ্যে এতদিন দলদাস ছিল পুলিশ। এখন প্রশাসনও দলদাসে পরিণত হয়েছে। বাংলার মানুষ এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী আগে কখনও হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Dharna: আজ শহরে ধর্নায় বিজেপি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে পথে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা

    BJP Dharna: আজ শহরে ধর্নায় বিজেপি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে পথে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার রাজপথ সরগরম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্নায় বসছে বিজেপি। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু’দিনের ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন তো চলছেই। আর সেখান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে আজই তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশ। যেখানে প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ পথে নামছে বাম-কংগ্রেসও। সপ্তাহের মধ্যে কর্মব্যস্ত দিনে শহরের রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

    বিজেপির ধর্না

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার দিনই রাজ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে অবস্থানে বসছে বঙ্গ বিজেপি।  শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের গেটের কাছে ৪০ ফুটের ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ধর্নায় বসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধর্না চলবে। শ্যামবাজারে দলীয় ধর্না মঞ্চে হাজির থাকার কথা রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। থাকতে বলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের দলীয় বিধায়কদেরও। 

    বিজেপির প্রশ্ন, রাজ্য সরকার এখনও কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিচ্ছে না দিল্লিকে? কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন থেকে শুরু করে কাটমানি৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে আবাস যোজনা৷ এইধরনের নানান ইস্যুকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এদিন সুর সপ্তমে তুলতে চাইছেন শুভেন্দু- সুকান্ত- দিলীপরা। শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের সামনে কর্মসূচি হবে বিজেপির। গাড়ি বন্ধ হবে না। তবে দুপুরের দিকে রাস্তার একাংশ বন্ধ করে যানযট নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মোতায়েন থাকবে প্রচুর পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ‘লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বললেন মোদি

    তৃণমূলের অবস্থান

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুধবারই ধর্না দেবেন আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে। সেখানে নিরাপত্তায় উপস্থিত থাকবেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ধর্মতলা চত্বরে যান নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়ি যাবে সভাস্থলের দিকে। ধর্মতলায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের শহিদ মিনারের সভার জন্য একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার একজন অফিসার, ২ জন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার, ৪ জন ডিসি। এছাড়াও ৫০০-র বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকছে। পুলিশ সভাস্থলে ৩০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবে। এছাড়া আরও বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে আয়োজকদের তরফে। অন্যদিকে, ডিএ-র ধর্নামঞ্চে থাকছেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার একজন। এছাড়াও বেশ কিছু পুলিশ মোতায়েন থাকবে শহিদ মিনারে।

    বাম-কংগ্রেসের মিছিল

    একই দিনে দুপুর আড়াইটে নাগাদ পথে নামছে বাম-কংগ্রেস। বুধবার বিকেলে রামলীলা ময়দান থেকে মিছিল শুরু করে মৌলালীর দিকে এগিয়ে যাবে। মল্লিক বাজার হয়ে পার্ক সার্কাসের সেভেন পয়েন্ট পার করে লেডি ব্র্যাবর্ন কলেজের সামনে শেষ হবে মিছিল। ফলে ওই সময় মৌলালি, এন্টালি, শিয়ালদহ, এপিসি রোড, পার্ক সার্কাস এলাকায় প্রবল যানজট হতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারেই অভিষেকের সভা, কী কী শর্ত দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারেই অভিষেকের সভা, কী কী শর্ত দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ধর্মতলার শহিদ মিনারেই হবে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভা। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন দুপুরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে শুনানি হয় এই মামলার। সেখানেই শর্তসাপেক্ষে মেলে অনুমতি। বিচারপতি মান্থা বলেন, আদালত প্রত্যাশা করে তৃণমূল ছাত্র-যুবর তরফে কোনও রকম অশান্তিতে উসকানি দেওয়া হবে না। যদি তা করা হয়, তাহলে তার ফল ভাল হবে না। কলকাতা পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, ভবিষ্যতে যাতে এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়, পুলিশ কমিশনারকে সে দিকে নজর রাখতে হবে। একই জায়গায় দুটি কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাবে না। শহরে আরও অনেক জায়গা রয়েছে। সামলাতে পারলে রেড রোডে অনুমতি দিয়ে দিন। তাতে তো আরও প্রচার পাবে।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় শর্ত…

    এদিন আদালত যে পাঁচটি শর্ত আরোপ করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার ওপর, সেগুলি হল, সভা এলাকার প্রবেশদ্বার ও বাহিরদ্বার-সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে। করতে হবে ভিডিওগ্রাফি। সভায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। যেখানে ডিএ আন্দোলনকারীদের অবস্থান, সেই এলাকায় দ্বিস্তরীয় ব্যারিকেড থাকবে। বাঁশের পাশাপাশি টিন দিয়েও ব্যারিকেড করতে হবে। আন্দোলনকারীদের যাতে কেউ বিরক্ত না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অভিষেকের ওই সভা থেকে উসকানিমূলক কোনও বক্তব্য পেশ করা যাবে না। গোটা কর্মসূচি পালন করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে। সব পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখতে হবে। সভা হয়ে গেলে ব্যারিকেড খুলে ফেলতে হবে। সভাস্থল পরিষ্কার করে দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    বিচারপতি বলেন, শর্ত মেনে সভা করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবে কলকাতার যুগ্ম কমিশনার। শহরে আর কোনও জায়গা নেই সভার করার? কেন পুলিশ এমন আশঙ্কা আঁচ করেও অনুমতি দিল। পুলিশের আমন্ত্রিত সমস্যা এটা। পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তিনি বলেন, অন্যত্র কি এই সভা করা যায় না। ঘটনা ঘটলে নিয়ন্ত্রণ করার কি দরকার? আগে থেকেই তো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। অযথা সমস্যা তৈরি করার কি দরকার? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রত্যেকের সভা, মিছিল করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু মামলাকারীদের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না, মন্তব্য বিচারপতির।

    প্রসঙ্গত, ডিএর (DA) দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে ৪২টি সংগঠনের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আন্দোলন মঙ্গলবার পড়ল ৬১ দিনে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধবার অভিনব অনশন কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা করেছেন আন্দোলনকারীরা। পালন করা হবে কর্মবিরতিও। ৩০ মার্চ যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে মহা সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। বুধবার শহিদ মিনার চত্বরে সভা রয়েছে অভিষেকের। অশান্তির আশঙ্কায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই মামলার শুনানিতেই শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হল অভিষেকের সভার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumder: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumder: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রতিদিন ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে, আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

    বিরোধী মুখ কে? 

    আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হবেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর মুখ, এই নিয়ে চরম দ্বন্দ্বে তৃণমূল! এ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, ‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে ভাইপোর হিল্লে হচ্ছে না, তাঁর চেয়ারে বসা হবে না।’ গত লোকসভা নির্বাচনে মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছিল তৃণমূল। কিন্তু এবারের বিরোধী  জোটে তৃণমূলের অবস্থান ঠিক কী হবে?

    সুকান্তর কটাক্ষ 

    এ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “তৃণমূল কনফিউজড তারা বুঝতে পারছে না কী করবে। মমতা না রাহুল এর মধ্যে আটকে রয়েছে। তৃণমূলের ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো অবস্থা। তারা কখনও বিরোধীদের বৈঠকে যাচ্ছে, কখনও যাচ্ছে না। কখনও কংগ্রেসের গলা জড়িয়ে ধরছে কখনও সম-দূরত্ব বজায় রাখছে। ” এরপরই কটাক্ষের সুরে সুকান্ত জানান, “যতই আলাদা দেখান না কেন আসলে পর্দার পিছনে সবই এক। অধীর-মমতা কবে হাত ধরবেন, একসাথে আয় তবে সহচরী গাইবেন, বিজেপি দেখার জন্য মুখিয়ে আছে।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    রাজ্যে নারী নির্যাতন

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumder) আরও দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ নারী নির্যাতনের হাব হয়ে গিয়েছে। কখনও নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ তো কখনও শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন, প্রতিনিয়ত এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীও তা-ও রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে এটা লজ্জার। এটা কখনও কেউ মেনে নেবে না। সেই জায়গায় থেকে সকলকে সমবেতভাবে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে এমন ঘটনা না ঘটে। রাজ্যে যেভাবে নারীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তাতে একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। রাজ্য সরকার এ বিষয়ে উদাসীন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
     

  • Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ চাকরি নয়, এবার দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়। অভিযোগ করছেন খোদ তৃণমূলেরই নেতা। যে সে নেতা নন, তিনি মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। নাম মহম্মদ সামিউল ইসলাম। অভিযুক্ত চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে। তৃণমূলের (tmc) বেআব্রু চেহারা ততই প্রকট হচ্ছে। মালদহের চাঁচলে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল এবার প্রকাশ্যে। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য এবং দলীয় বিধায়কের বিবাদ তুঙ্গে। সম্পর্ক এতটাই তলানিতে ঠেকেছে, একে অপরের বিরুদ্ধে দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ করেই থামেননি। রীতিমতো চিঠি দিয়েছেন কালীঘাটে। বিধায়কও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, প্রকাশ্যে তোলাবাজি বন্ধ করেছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    কয়েকজন ঠিকাদার নিয়ে দল পরিচালনা করছেন চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ। এমনকী তিনি অর্থের বিনিময়ে পদও বিক্রি করছেন। এমনই অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ সামিউল ইসলাম। তিনি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) কাছেও এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দুজনের কাজিয়া চলছে। অভিযোগ, চাঁচলের নিজের দাপট বজায় রাখতেই দলীয় প্রার্থীকেই হারাতে চেয়েছিলেন। ফলে, বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা পরিষদের এই সদস্যকে তিনি কাছে ভিড়তে দেননি। দুজনের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকেও। খবর জানতেন কালীঘাটও। মালদহের প্রশাসনিক সভাতেও মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, চাঁচল কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দুজনের বিবাদ তুঙ্গে। তার ফলেই এই চিঠি এবং পাল্টা বিবৃতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভালো অবস্থাতে যে তৃণমূল কংগ্রেস নেই তা পরিষ্কার। দুপক্ষ সক্রিয় অপর গোষ্ঠীর প্রার্থীদের হারাতে।

    প্রকাশ্যে একনেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ক্ষুব্ধ মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কার হাতে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে, কে কত বেশি কাট মানি নিতে পারবে এই নিয়েই তৃণমূলে বিবাদ, কটাক্ষ বিজেপির। উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই তাদের গোষ্ঠী কোন্দল বেড়ে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে টিকিট দিতে পারবে, কে কাটমানির বেশি ভাগ বাটোয়ারা পাবে, এই নিয়ে এদের মধ্যে গন্ডগোল। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসলেই তা টের পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Kalighater Kaku: “আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”, বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’

    Kalighater Kaku: “আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”, বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক দিন ধরেই ‘কালীঘাটের কাকু’- কে (Kalighater Kaku) নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই কালীঘাটের কাকুর নাম প্রথম নিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। বহু বিতর্কের পর প্রকাশ্যে এলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বেহালার বাসিন্দা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এক বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন, “আমার সাহেব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের এই মন্তব্যের পরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। 

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা হচ্ছে। আর সেটা করতে গিয়ে তাঁর পর্যন্ত (Kalighater Kaku) এসে থেমে যাচ্ছে তদন্ত। সুজয়কৃষ্ণ আরও বলেন, “আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই তাঁকে ছোঁবে। কারণ তাঁর নাম কেউ নিতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবে না। সেই অবধি কোনও লোক পৌঁছতে পারবে না। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে, আপনারা ভাল বুঝবেন, সেই করতে গিয়ে আমি অবধি এসে থেমে যেতে হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে  

    সুজয়কৃষ্ণ (Kalighater Kaku) আরও জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অভিষেকের হয়ে নিউআলিপুরে চাকরি করেন। কী কাজ করেন তা পরিষ্কার করে বলেননি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি অভিষেকের অফিসে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু চাকরিই করেন, প্রোমোটিং বা কোনও ব্যবসা নেই বলে দাবি করেন।  

    কীভাবে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালো এই ‘কালীঘাটের কাকুর’? 

    তাপস মণ্ডল এবং দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত গোপাল দলপতিদের থেকে এই (Kalighater Kaku) নাম জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কতটা ভূমিকা রয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে সুজয়কৃষ্ণ  বলেন, “আমার নিজের দাদার মেয়ে, তার একটা চাকরি করে দিতে পারিনি। আমি যদি এতই প্রভাবশালী হতাম, তাহলে দাদার মেয়ের একটা চাকরি করে দিতে পারতাম না! নিজের মেয়ের একটা চাকরি করে দিতে পারতাম!” 

    এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সম্পর্কে আমাদের কাছে যা তথ্য উঠে আসছে, ২০০৯ সাল থেকে ইনি…কোম্পানিতে যুক্ত ছিলেন। সেখানে অমিত, লতা, রুজিরা যুক্ত। কালীঘাটের কাকু হচ্ছে কান। এ বার কানে হাত পড়েছে যখন, মাথা টানতে আর বেশি দেরি নেই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • West Bengal BJP: ‘বিজেপি কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে’, সাফ জানালেন সুকান্ত

    West Bengal BJP: ‘বিজেপি কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে’, সাফ জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারও বাড়ি টার্গেট করে আন্দোলন করে না বিজেপি (West Bengal BJP)। আমরা কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রবিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই এই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রবিবার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র বালুরঘাটে এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূলকে।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য। নোংরা রাজনীতি আর দুর্নীতি করা ছাড়া ওদের আর কোনও কাজ নেই। কারও সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে। তার জন্য আন্দোলন করার অনেক পথ রয়েছে। সুকান্ত বলেন, আমরাও ডিএম অফিস কিংবা অন্য কোনও সরকারি অফিস ঘেরাও করি। কিন্তু কারও বাড়ি টার্গেট করে আন্দোলন বিজেপি (West Bengal BJP) করে না। আমরা কারও বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে। আমরা এর অবসান চাই। তিনি বলেন, তা না হলে আগামী দিনে আমরাও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এই বাড়ি ঘেরাওয়ের রাজনীতি যদি বন্ধ না হয়, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিগুণ লোক নিয়ে অভিষেকের বাড়ি ঘেরাও করব।

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    এদিন শ্রীরামপুরে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, রাজ্য সভাপতি যখন বলেছেন, তখন নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তে বলেছেন। মডেল তো ভালোই। ইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হয়! তৃণমূলের নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ওই কর্মসূচিতে ১২০০ লোকও হয়নি। তিনি জানান, তাঁর একটা মিটিংয়ে এর চেয়ে ঢের বেশি লোক হয়। বিধাননগরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির (West Bengal BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, যদি ওরা মনে করে আমার নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের-বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করবে, তাহলে আমরাও পারি। অভিষেক কেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িও ঘেরাও করব আমরা।  


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
     

     

      

  • National Anthem: অভিষেকের মঞ্চে ‘ভুল’ জাতীয় সঙ্গীত! ‘ভাইপো’-কে কটাক্ষ শুভেন্দু-সুকান্তর

    National Anthem: অভিষেকের মঞ্চে ‘ভুল’ জাতীয় সঙ্গীত! ‘ভাইপো’-কে কটাক্ষ শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা, তাও আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই। ভরা মঞ্চে সেই ভুল গানের সঙ্গে গলা মেলাতেও দেখা গেল অভিষেককে। এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর সেখানেই ঘটে গেল বিপত্তি। ভরা মঞ্চে গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত, আর সেটিতে অজস্র ভুল। নেই সঠিক শব্দ, নেই কোনও সুর। এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিষেককে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেছেন।

    জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    এইবারের ঘটনাই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ভুল গেয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করতে দেখা গিয়েছে শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের। গত বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে কাঁথি শহরে সভা করেছিল তৃণমূল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা ও যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি সহ কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর এবং জেলা নেতৃত্ব বৃন্দ। সেই মঞ্চেই উঠেছিল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করার অভিযোগ।  সভা শেষে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করেছিলেন রিনা দাস।

    আর আজও ঘটল সেই একই ঘটনা। আজ ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথাভাঙা সফর। মাথাভাঙা কলেজ ময়দানে সভা ছিল অভিষেকের। সেখানেই সভা শেষে শুরু হয় ভুলে ভরা জাতীয় সঙ্গীত। ‘তব শুভ নামে জাগে’- এই কথার পরিবর্তে দুবার বলা হয়েছে ‘তব শুভ আশিষ মাগে’। আবার ‘জনগণমঙ্গলদায়ক’-এর পরিবর্তে বলা হয়েছে ‘জনগণমঙ্গলনায়ক’। ফলে যেমন শব্দে ভুল রয়েছে, তেমনি নেই কোনও সুর। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যের ভুল ধরতে এগিয়ে থাকেন, অন্যের টিপ্পনি করতে ছাড়েন না, সেখানে তিনি কীভাবে নির্দ্বিধায় ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন ও তার অবমাননা করলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ ‘ভাইপো’-কে

    এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এদিন মাথাভাঙায় জাতীয় সঙ্গীত ভুল গেয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “ওকে বলুন আগামী একমাস জাতীয় সঙ্গীত পড়তে আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তা বলতে। তারপরেই তিনি যেন রাজনৈতিক সভায় যান।”

    সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইট

    মাথাভাঙায় এই ঘটনার পর কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “আপনি জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করতে এবং সঠিকভাবে গাইতেও পারেন না! এটি লজ্জার।”  

LinkedIn
Share