মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেঁটে ফেলা হল ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের (Team India) হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী অভিষেক নায়ারকে (Abhishek Nayar)। একইসঙ্গে, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ এবং স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেসাইয়েরও চাকরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, চাকরি গিয়েছে দলের ম্যাসারেরও। যদিও সরকারী ভাবে বোর্ড এখনও কিছু জানায়নি। আইপিএল শেষ হলেই ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে ভারত। নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে সেটাই তাদের প্রথম সিরিজ। অস্ট্রেলিয়ার মতো ইংল্যান্ডে গিয়েও যাতে দুরবস্থার মধ্যে পড়তে না হয়, সেই লক্ষ্যেই হাল ফেরানোর নীতি নেওয়া হয়েছে।
কাদের কাদের সরতে হচ্ছে
বোর্ডের এক সূত্র জানান, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে ব্যর্থতার জন্যই নায়ারকে সরানো হচ্ছে। কিন্তু বোর্ডের অনেকেই মনে করছেন, তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। একজন সিনিয়র তারকার সঙ্গে সাপোর্ট স্টাফের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের ঝামেলার জেরেই তাঁকে সরতে হচ্ছে। ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ এবং স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাইকেও ছাঁটাই করা হবে। ভারতীয় দলে তিন বছর হয়ে গিয়েছে তাঁদের। শুধু তাই নয়, দলের ম্যাসারেরও চাকরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত ফিল্ডিং কোচ হিসাবে আর এক সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া সোহমের জায়গায় আসতে পারেন আদ্রিয়ান ল্য রু, যিনি এখন আইপিএলের দল পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে যুক্ত। ২০০৩ বিশ্বকাপের সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরর দলে ফিটনেস সংস্কৃতি তৈরি করেছিলেন তিনি। যদিও এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি বিসিসিআই সচিব। দেবজিৎ সাইকিয়া বলেন, ‘‘কিছু জিনিস ঠিক করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রেস নোট চলে যাবে।’’ অভিষেক এবং দিলীপের পরিবর্ত হিসাবে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।
কেন এই সিদ্ধান্ত
ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন, পারফরম্যান্সটা আসল কারণ নয়। ভারতীয় দল তার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে এই কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের নিয়েই। ফলে আসল কারণটা শৃঙ্খলাজনিত। অস্ট্রেলিয়া সফরে মেলবোর্ন টেস্টের পর ভারতীয় দলের সাজঘরে গম্ভীর ধমক দিয়েছিলেন ক্রিকেটারদের। তিনি কাকে কী বলেছেন, তা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। তখন জানা গিয়েছিল, সেই সফরে ভারতীয় দলে থাকা ক্রিকেটার সরফরাজ খান সংবাদমাধ্যমে এই কথা ফাঁস করেছিলেন। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, সাপোর্ট স্টাফেদের মাধ্যমেই সাজঘরের কথা বাইরে বেরিয়েছিল। সরফরাজ এই কাজ করবেন— এটা ভাবা একটু কঠিন। কারণ, তিনি সদ্য জাতীয় দলে খেলছেন। তা-ও নিয়মিত নন। ফলে তাঁর মতো এক জন ক্রিকেটার নিজের কেরিয়ার নিয়ে এত বড় ঝুঁকি নেবেন, এটা অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য ঠেকেনি।