মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত গীতার দেশ এবং এর অনুসারীরা কখনও উগ্র মুর্খতার মুখে অসহায় হয়ে দাঁড়ায় না।” পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রশান্ত অদ্বৈত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রখ্যাত লেখক আচার্য প্রশান্ত (Acharya Prashant)।
কী বললেন প্রশান্ত (Pahalgam Attack)
গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় খুন হন ২৭ জন হিন্দু। এক জঙ্গির বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক মুসলিমও। সেই হামলা প্রসঙ্গেই ভারতকে গীতার দেশ বলে উল্লেখ করেন প্রশান্ত। তিনি জানান, গীতা অন্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করতে নিষেধ করে, জীবনের যুদ্ধ থেকে পলায়ন করতে বারণ করে। তিনি বলেন, “যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের মনে রাখা উচিত, আমরা এমন মানুষ নই যারা মাথা নত করি। ভারত গীতার ভূমি। গীতার অনুসারীরা কখনও উগ্র মুর্খতার মুখে অসহায় হয়ে দাঁড়ায় না। গীতা অন্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করতে, পরাজয় মেনে নিতে বা জীবনের যুদ্ধ থেকে পলায়ন করতে নিষেধ করে।”
গীতা কেবল দর্শন বা বিমূর্ত চিন্তা নয়
গীতা যে জীবনযাপনের একটি ব্যবহারিক নির্দেশিকা, সে কথার উল্লেখ করে প্রশান্ত বলেন, “সত্যের পাশে থাকলে ভয় পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গীতা কেবল দর্শন বা বিমূর্ত চিন্তা নয়। এটি সাহসের সঙ্গে বাঁচার একটি ব্যবহারিক নির্দেশিকা। ভয়, ঘৃণা ও সহিংসতা আপনাকে চ্যালেঞ্জ করবে, কিন্তু গীতা দাবি করে যে আপনি চোখ খুলুন, বাস্তবতার মোকাবিলা করুন এবং স্বচ্ছতার শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া দিন। সত্যের পাশে থাকলে আপনি ভয় পাওয়া বন্ধ করে দেবেন।”
তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হামলা কয়েকজনের বর্বরতা নয়। এটি গভীরভাবে প্রোথিত মুর্খতা ও ঘৃণার ফল, জাতি হিসেবে যার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে (Pahalgam Attack)।”
গীতায় শ্রীকৃষ্ণের অর্জুনকে দেওয়া শিক্ষার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শ্রীকৃষ্ণ যেমন অর্জুনকে গীতায় বলেছিলেন অজ্ঞতার শক্তি প্রতিটি যুগে ফিরে আসবে। আর সেগুলির বিরুদ্ধে লড়তে প্রতিটি যুগে গীতার প্রয়োজন হবে। আমাদের শক্তি আসবে জ্ঞান থেকে। গীতার স্পষ্টতা ও সাহস ছাড়া অর্জুন যুদ্ধক্ষেত্রে একটি তীরও ছুড়তে পারতেন না। ধর্মের বিকৃতি সমাজের সবচেয়ে হিংস্র শক্তি হতে পারে। যখন ধর্ম শুদ্ধ থাকে, তা জীবনকে উৎকর্ষ দেয়। যখন তা কুসংস্কার ও উগ্রতায় পচে যায়, মানবতার মৌল কাঠামোকেই হুমকির মুখে ফেলে (Acharya Prashant)। তিনি বলেন, আজ ভারতের গীতার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন, এবং আমাদের নিঃশঙ্ক দৃঢ়তা ও পরম স্পষ্টতা দিয়ে হিংসার জবাব দিতে হবে (Pahalgam Attack)।”