Tag: adeno virus

adeno virus

  • Monsoon Diseases: জ্বর-কাশিতে নাজেহাল শিশুরা! অ্যাডিনো নাকি করোনার নতুন প্রজাতি? 

    Monsoon Diseases: জ্বর-কাশিতে নাজেহাল শিশুরা! অ্যাডিনো নাকি করোনার নতুন প্রজাতি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে সর্দি-কাশির ভোগান্তি (Monsoon Diseases) লেগেই থাকে। কিন্তু হঠাৎ জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের মধ্যে ভোগান্তি বাড়ছে। সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর নাকি অ্যাডিনো কিংবা করোনার কোনও নতুন প্রজাতি, সে নিয়েই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল!

    কী ধরনের সমস্যা (Monsoon Diseases) দেখা দিচ্ছে? 

    শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের জ্বর হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের তাপমাত্রা ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে যাচ্ছে। পাশপাশি গলা ব্যথা, সর্দি, কাশির মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে (Monsoon Diseases)। অনেকের চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে। কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। খাওয়ার ইচ্ছে থাকছে না। তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। জ্বর কমলেও কাশির ভোগান্তি লেগেই থাকছে।

    কাদের ভোগান্তি (Monsoon Diseases) বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মূলত স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যেই ভোগান্তি বেশি দেখা যাচ্ছে। বিগত দু’সপ্তাহে সাত থেকে বারো বছর বয়সিদের মধ্যেই জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরেই স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ (Monsoon Diseases) বাড়ছে।

    আশঙ্কার কারণ কী? 

    গত দু’সপ্তাহে শিশুদের মধ্যে জ্বর আর সর্দি-কাশিতে (Monsoon Diseases) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর তার জেরেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। চলতি বছরের প্রথমেই অসংখ্য শিশু অ্যাডিনোর দাপটে কাবু হয়েছিল। নবজাতক থেকে স্কুলপড়ুয়া, অনেকেই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। সাধারণ জ্বর কিংবা সর্দি মনে হলেও পরবর্তীকালে নানান জটিলতা দেখা দিয়েছিল। এখন ফের জ্বর এবং কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বাড়ার জেরে উদ্বেগ বাড়ছে। পাশপাশি, করোনার নতুন প্রজাতি পিরোলা এবং এরিস সক্রিয় হচ্ছে। এই দুই প্রজাতি শুধু ভারতে নয়, পৃথিবী জুড়ে দাপট বাড়াচ্ছে। করোনা ও প্রথম পর্বে সাধারণ সর্দি-কাশি আর জ্বরের উপসর্গ নিয়েই হাজির হয়। তাই সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে এই সময়ে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাই জ্বর একেবারেই অবহেলা করা যাবে না।

    চিকিৎসকরা কী পরামর্শ (Monsoon Diseases) দিচ্ছেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলে একেবারেই স্কুলে যাওয়া চলবে না। বাড়িতে থেকেই বিশ্রাম নিতে হবে। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ (Monsoon Diseases) দেখা দিলে শিশুকে ভিড় জায়গায় নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি হলে শরীর দুর্বল থাকে, যে কোনও ভাইরাস আরও দ্রুত দেহে প্রবেশ করতে পারে। তাই সর্দি-কাশি হলে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। পাশপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেও চিকিৎসকদের অনুরোধ, কোনও পড়ুয়া যাতে জ্বর হলে স্কুলে না আসে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। অভিভাবকদেরও বোঝাতে হবে। কারণ, জ্বর হলেই সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা হোক কিংবা অ্যাডিনো, করোনার মতো মারাত্মক ভাইরাস, সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। পাশপাশি আক্রান্তেরও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। তাই বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। পাশপাশি, সর্দি-কাশি বা জ্বর হলে গরম জলে স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এসি একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ওষুধ খেয়ে দেহের তাপমাত্রা কমার সময়ে খুব ঘাম হয়। শরীরে অস্বস্তি তৈরি হয়। তখন এসি ঘরে বাচ্চাদের রাখা হয়। তার জেরে সমস্যা আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলে বারবার তাপমাত্রা মাপতে হবে। তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে তবেই কারণ জানা যাবে। তাই জ্বর হলে একেবারেই অবহেলা করা চলবে না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adeno Virus: ফের বাড়ছে অ্যাডিনোর দাপট! সন্তানকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    Adeno Virus: ফের বাড়ছে অ্যাডিনোর দাপট! সন্তানকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চোখ রাঙাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বছরের শুরুতেই এই ভাইরাসের (Adeno Virus) দাপটে নাজেহাল হয়েছিল রাজ্যবাসী। কয়েকশো শিশুর প্রাণহানি ঘটেছিল। কলকাতার হাসপাতালে শিশু ভর্তি নিয়ে নাজেহাল হয়ে উঠেছিলেন বাবা-মায়েরা। সেই ভাইরাসের দাপট ফের দেখা দিয়েছে।

    কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? 

    কলকাতার একাধিক হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফের অ্যাডিনোর (Adeno Virus) উপসর্গ নিয়ে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে। ভর্তি থাকা রোগীদের বেশির ভাগের বয়স পাঁচ বছরের বেশি। তবে, ভর্তি থাকা রোগীদের জন্মগত বা ক্রনিক ফুসফুস ঘটিত সমস্যা থাকার জেরে, পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়েছে। তাই এখন থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, পরিস্থিতি যে কোনও সময় বিপজ্জনক হতে পারে বলেই তাঁদের আশঙ্কা।

    কোন কোন উপসর্গে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) আক্রান্ত হলে সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা যায়। তার সঙ্গে জ্বর হয়। তাছাড়াও চোখে সংক্রমণ হয়। তার জেরে ভোগান্তি বাড়ে শিশুদের। তাই সর্দি-কাশির পাশাপাশি চোখ লাল হয়ে উঠলে বা চোখে অস্বস্তির মতো উপসর্গ দেখা দিলে বাড়তি সতর্ক হতে হবে। তাছাড়া, যাদের হাপানি বা ফুসফুসের অন্য কোনও সমস্যা কিংবা শ্বাসকষ্ট জাতীয় কোনও সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। কারণ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলে অ্যাডিনো বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। তাই জ্বর বা কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই আর সময় নষ্ট করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

    বর্ষাকাল কি অ্যাডিনো (Adeno Virus) আক্রমণে বাড়তি শক্তি জোগাবে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মরশুমে অ্যাডিনো বাড়তি শক্তি সঞ্চয় করবে। কয়েক মাস আগে অ্যাডিনো যখন থাবা বসিয়েছিল, তখন শীতের শেষ ও গরমের শুরু ছিল। অর্থাৎ, ঋতু পরিবর্তনের সময়েই এই ভাইরাস দাপট বাড়িয়েছিল। এ বছর বর্ষায় দ্রুত তাপমাত্রার পারদ কমছে। আবহাওয়ার তারতম্য দ্রুত হচ্ছে। ফলে, ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। এই আবহাওয়ায় অ্যাডিনোও শক্তি বাড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাছাড়া, স্কুল পড়ুয়ারা যাতায়াতের সময় অনেকেই হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যায়। ফলে, সর্দি-জ্বরের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বর্ষায় অ্যাডিনোর (Adeno Virus) ঝুঁকি বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    সন্তানকে কীভাবে সুস্থ রাখবেন? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, তাপমাত্রার এই তারতম্যে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। অতিরিক্ত এসি না চালানোর পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোনও ভাবেই এই আবহাওয়ায় সারা রাত এসি চালিয়ে ঘুমনো চলবে না। এতে সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়বে। তাছাড়া, এসি চালালেও তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রির নিচে রাখা যাবে না। 
    বৃষ্টিতে ভিজলে অবশ্যই বাড়িতে ফিরে গরম জলে ফের স্নান করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাছাড়া গরম দুধ বা যে কোনও গরম পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ তাতে গলাব্যথা বা অন্যান্য সমস্যা কমে। 
    আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় এই আবহাওয়ায় বাচ্চাদের না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। কারণ, তাতে ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
    এছাড়াও, বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই হাত-মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। পরিচ্ছন্নতা যে কোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখ ঠেকাতে সাহায্য করে। 
    চোখে কোনও রকম অস্বস্তি হলে কিংবা লাল হয়ে গেলে, বারবার চোখ পরিষ্কার জলে ধুতে হবে। প্রয়োজনে গরম জলে পরিষ্কার তুলো ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এতে ভাইরাসের (Adeno Virus) শক্তি কমবে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adeno Virus: দু’দিনে তিন শিশুর মৃত্যু! শিশুদের ক্ষেত্রে করোনার মতোই বিপজ্জনক অ্যাডিনো, বলছেন চিকিৎসকেরা

    Adeno Virus: দু’দিনে তিন শিশুর মৃত্যু! শিশুদের ক্ষেত্রে করোনার মতোই বিপজ্জনক অ্যাডিনো, বলছেন চিকিৎসকেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে (এআরআই) শহরে শনিবার এবং রবিবারের মধ্যে তিনটি শিশু মারা গেছে। তাদের মধ্যে অ্যাডেনোভাইরাসে আক্রান্ত এক শিশুকে, হাসপাতালে আইসিইউ-তে রাখাই যায়নি। সরকারি হোক, বা বেসরকারি, কলকাতার প্রায় সব হাসপাতালেই পেডিয়াট্রিক ICU ভর্তি। কোনও বেড নেই। এই বছর শিশুদের মধ্যে ভাইরাল সংক্রমণের তীব্রতা খুব বেশি। যা সময় বিশেষে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। মৃত তিন শিশুর মধ্যে দুজন বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। একজন ছিলেন মেডিক্যাল কলেজে।

    সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক

    আ্যডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকেই শহরের একাধিক স্কুলে কার্যকর হচ্ছে মাস্ক-স্যানিটাইজার-দূরত্ববিধি। অনেক স্কুলের গেটে বসানো হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র। এখন পরীক্ষার মরশুম। তার মধ্যেই বহু স্কুল জানিয়েছে, নিজের বা বাড়ির কারও জ্বর-সর্দি-কাশি হলে স্কুলে যেতে হবে না। প্রয়োজনে পরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বা অন্য পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের রেজাল্ট তৈরি করা হবে। জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে স্কুলে স্কুলে বহু পড়ুয়া অনুপস্থিত। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অ্যাডিনো-য় সবচেয়ে সাবধানে রাখা দরকার ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু  

    করোনার থেকে কোনও অংশে কম বিপজ্জনক নয় অ্যাডিনো ভাইরাস। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অ্যাডিনো ভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে, অভিমত চিকিৎসকদের। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ভাইরাস আগে থাকলেও এবার ভয়ঙ্কর হওয়ার অন্যতম কারণ ইমিউনিটি গ্যাপ। ২ বছরের নীচে যারা রয়েছে তারা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকা জরুরি। শিশুদের ক্ষেত্রে দু’তিনদিনের বেশি জ্বর বা শ্বাসকষ্ট, ভয়ানক কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। লক্ষণগুলি মাত্রাছাড়া হলে হাসপাতালে যেতে হবে। আর যারা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত, তাদের বাড়িতে থাকতে হবে। ভিড় এলাকায় শিশুদের না নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সংক্রমণ কমতে আরও ৩ সপ্তাহ লাগবে বলে অনুমান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adeno Virus: শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও কি অ্যাডিনোয় আক্রান্ত? নয়া ভ্যারিয়েন্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের

    Adeno Virus: শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও কি অ্যাডিনোয় আক্রান্ত? নয়া ভ্যারিয়েন্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি বাচ্চাদের উপর। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে ঠিক ততটাই জোরাল হয়েছে অ্যাডিনোভাইরাসের প্রভাব। এই ভাইরাসের হানায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শিশু ওয়ার্ডে প্রায় সমস্ত বেড ভর্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এবার বাড়ির খুদের পাশাপাশি, বড়দের শরীরেও বাসা বাঁধছে অ্যাডিনো ভাইরাস (AdenoVirus)।  ভ্যারিয়েন্ট বদলে (Variant Change) শক্তিশালী হচ্ছে অ্যাডিনো।

    বড়রাও আক্রান্ত!

    চিকিৎসকের অনেকে বলছেন, করোনার মতো অ্যাডিনো ভাইরাসও ভ্যারিয়েন্ট বদলে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। শিশুদের নিয়ে যখন চিন্তার শেষ নেই, তখন বড়দের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে নতুন উদ্বেগ। চিকিৎসকদের চেম্বারে অনেকেই আসছেন, যাঁরা প্রায় এক মাসের উপর কাশির সমস্যায় ভুগছেন। শিশুদের পাশাপাশি বড়দের শরীরেও বাসা বাঁধছে অ্যাডিনো ভাইরাস। অনেকের কাশি সারছে না, কারণ ধরা যাচ্ছে না। বড়দেরও অ্যাডিনো ভাইরাস কি না, জানার জন্য টেস্ট করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কেউ অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা জানতে PCR টেস্ট করাতে হয়। বেসরকারি সংস্থায় যে টেস্টের খরচ ৯ থেকে ২০ হাজার টাকা। স্বাভাবিকভাবেই যা অনেকের পক্ষেই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই সচেতনতার উপরেই জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: টিকাকরণ কর্মসূচির কারণে প্রাণ বেঁচেছে প্রায় ৩৪ লক্ষ ভারতীয়র, বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশিকা

    সচেতনতা প্রচারে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোনও অসুস্থ শিশু, পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে, অভিভাবকদের কাছ থেকে অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানার কথা বলা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা বুঝে শিশুটির চিকিৎসা বাড়িতে রেখে হবে না, হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন রয়েছে, তার সিদ্ধান্ত নেবেন মেডিক্যাল অফিসাররাই। স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেবেন। যদি কোনও শিশু অসুস্থ থাকে, তাহলে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসকদের অনুমতি ছাড়া ফার্মাসিস্টরা যেন কোনও ওষুধ না দেন। ল্যাবরেটরিতে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানো হবে। শিশু অসুস্থ হলে যে বাড়িতে রাখা যাবে না, তাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। শিশু জ্বরে আক্রান্ত হলেই কাছের কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিংবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অসুস্থ শিশুকে কোনও ভাবেই, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) শিশু বলির সংখ্যা। তার পরেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকার পক্ষের বিবৃতি দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের তরফে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে অধিবেশন চলাকালীনই বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ পদ্ম শিবিরের অভিযোগ…

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার পরেও অ্যাডিনো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গেরুয়া বিধায়করা। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরেও বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে একের পর এক শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। পরে বিষয়টি নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    বিজেপির (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি কেবল উদ্বেগজনক নয়, এটি সারা রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। তাই এরকম সময় এটি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে সব কিছুই আড়াল করা হয়েছে। ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টিকে তিনি কো-মর্বিডিটি বলে আড়াল করেছেন। এর পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে বলেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর নতুন করে বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুুন: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিধানসভায় বিবৃতি দেন, সেদিন বিধানসভায় ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। এ প্রসঙ্গে পদ্ম শিবিরের তরফে বলা হয়, তুঘলকি আচরণ করবেন বিধানসভায়, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। আর অর্থবিল আর অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিলে কীভাবে শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দেওয়া সম্ভব, তা একমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারেন। প্রসঙ্গত, বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জন শিশুর। সকলের শরীরে অবশ্য অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Adenovirus: টেস্ট কিটের আকাল! অ্যাডিনো চিহ্নিত করতেই জেরবার সরকারি হাসপাতালগুলি

    Adenovirus: টেস্ট কিটের আকাল! অ্যাডিনো চিহ্নিত করতেই জেরবার সরকারি হাসপাতালগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাজ্য জুড়ে বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্ক। সাম্প্রতিক দিনে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁইছুঁই। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে রাজ্যে একের পর এক শিশুর মৃত্যু এ বার গভীর চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে প্রশাসনের। অভিভাবকদের পাশাপাশি, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। কলকাতা ছাড়া বাকি জেলাগুলিতেও ভয় ধরাচ্ছে অ্যাডিনো। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “ভয় পাবেন না। ৫ হাজার বেড আমাদের তৈরি। ৬০০ শিশু চিকিৎসক তৈরি। করোনা যেহেতু প্যানিক হয়ে গিয়েছে। করোনার পর যে কোনও একটা ভাইরাস এলেই চিন্তিত। বাড়ির লোকজনকে যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না। ওদের উপর একটু বিশেষ নজর দিতে হবে, বাইরে যাতে না বেরোয়। ঘরে রাখাটাই ভাল।”  

    অ্যাডিনো-আতঙ্ক

    মুখ্যমন্ত্রী যতই আশ্বাস দিন পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। বৃহস্পতিবার ভোরেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হুগলির ১ বছর ৩ মাস বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম শ্রেয়া পাল। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই শিশুকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি হুগলির সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। দেখা যায় ওই শিশুর শরীরে দানা বেঁধেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় শিশুটির দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া হয়। এর পর বৃহস্পতিবার ভোরে একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয় ওই শিশুর। 

    অ্যাডিনোয় শিশুমৃত্যু, রাজ্যকে দুষলেন সুকান্ত

    রাজ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকারের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “রাজ্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, জঙ্গলমহলে স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো ভালো নয়। মুখ্যমন্ত্রীর এটা বোঝা উচিত নীল সাদা রঙ বিল্ডিং করে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না। ভালো চিকিৎসক নেই এই এলাকাগুলোতে। আর যার ফলে রোগীদের খালি রেফার করতে হচ্ছে। আর শিশু মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটছে।” তিনি আরও বলেন, “পুরো রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হালই বেহাল। এটা সরকারের অপদার্থতা। মাননীয়া না হয় এই বিষয়ে কিছুই জানেন না, বোঝেন না, বা নিজে সব বুঝেও রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন।” সুকান্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যান। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “শহর কলকাতা থেকে যত দূরে যাবেন, দেখবেন এই ধরনের রোগ যেমন অ্যাডিনো ভাইরাসের জন্য যেরকম ডাক্তার দরকার, সেইসমস্ত ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। লোকজন চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এভাবে একটা রাজ্য চলতে পারে না।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি

    অ্যাডিনো-টেস্ট কিটের আকাল

    সুকান্তর অভিযোগ যে সত্য তার প্রমাণ হল, সরকারি হাসপাতালে কিটের আকাল। এর ফলে সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) বন্ধ অ্যাডিনোর টেস্ট (Adenovirus Test)। এদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে টেস্ট (Private Test) পিছু খরচ ৫ থেকে ২২ হাজার পর্যন্ত টাকা। নাজেহাল অবস্থা রোগীর পরিজনদের। বেসরকারি জায়গায় টেস্টের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে, কোথাও টেস্ট পিছু নেওয়া হচ্ছে ২২ হাজার টাকা। কোথাও বা ১৪ হাজার টাকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে যন্ত্রের সাহায্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়, তাতে একসঙ্গে ২২টি সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস চিহ্নিত হয়। একে বলে ভাইরাল প্যানেল। এই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন বিশেষ কিট (Special Test Kit for AdenoVirus)। সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিকালে অ্যাডিনো ভাইরাসের টেস্ট হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কিট শেষ হয়ে যাওয়ায় সেখানে বন্ধ ভাইরাসের চিহ্নিতকরণ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adeno Virus: চিন্তা বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস! আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

    Adeno Virus: চিন্তা বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস! আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিনো ভাইরাস (AdenoVirus)-এর হানায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য ভবন। রাজ্যে শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন।  সবক’টি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। 

    নয়া নির্দেশিকা

    নয়া নির্দেশিকায় বলে হয়েছে, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের (Oxygen System) ব্যবস্থা রাখতে হবে। শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেন্টিলেটর (Ventiletor) প্রস্তুত রাখতে হবে। শিশুবিভাগে পর্যাপ্ত বেড রাখতে হবে। শিশু বিভাগ না থাকলে তৈরি করতে হবে’। আপদকালীন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে শিশুরোগ বিভাগ খুলতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সচেতনতা প্রচারে এএন‌এম, আশা কর্মীদের কাজে লাগানোয় জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি আইএলআই (ILI), সারি (SARI)-এর উপসর্গ নিয়ে কোন হাসপাতালে কত রোগী ভর্তি হচ্ছে সেই সংক্রান্ত তথ্য হাসপাতালগুলির কাছে চেয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। এরপর‌ই এই নির্দেশিকা সামনে এল।

    আরও পড়ুন: বাড়তি ওজন কমাতে চান! খাদ্য তালিকায় রাখুন এই ৭টি নেগেটিভ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার

    অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপটে দিশাহারা শিশুদের অভিভাবকরা। এই অবস্থায় কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ এসওপি স্থির করে দিয়েছে। কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক থেকে নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে তার নির্দেশিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। অ্যাডিনো ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জন্য মূলত দায়ী দু’টি স্ট্রেন। টাইপ ৩, টাইপ ৭ স্ট্রেনের আধিক্য এক্ষেত্রে বেশি। উদ্বেগ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, নাইসেড-এর রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, গত দেড়মাসে স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো ৫০০-রও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২ শতাংশই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত।

    আরটি-পিসিআর পরীক্ষা 

    জ্বর ও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের ক্ষেত্রে এ বার করোনার পরীক্ষাও (আরটি-পিসিআর) বাধ্যতামূলক করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ঘরে ঘরে জ্বর এবং সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের এই অবস্থার নেপথ্যে কি শুধুই অ্যাডিনোভাইরাস? না কি, গোপনে করোনাও ছোবল মারছে? এই নিয়ে সংশয় দেখা দেওয়ায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যে সব বিধি ছিল, সেগুলি ফের মেনে চলার কথা বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায় ‘‘ফুসফুসে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। সে ক্ষেত্রে অক্সিজেন ও ভেন্টিলেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adeno Virus: মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে আলাদা ঘর! অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট থাকবে মার্চ পর্যন্ত?

    Adeno Virus: মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে আলাদা ঘর! অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট থাকবে মার্চ পর্যন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর থেকে জেলা অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন সরকার। এরই মধ্যে আগামী কাল, বৃহষ্পতিবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সকল পরীক্ষার্থী যাতে সুস্থভাবে মাধ্যমিক দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে সাবধানী ভূমিকা নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যে গাইডলাইন প্রকাশ করে বলা হয়েছে যাতে সর্দি কাশি কিংবা জ্বর নিয়ে বাচ্চারা স্কুলে না যায়। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে কোনও মূল্যেই পরীক্ষা দিতে চাইবেন ছাত্রছাত্রীরা। তাই প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে “সিক রুম” রাখতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    সতর্ক পর্ষদ

    পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারের তরফে অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলার জন্য যা যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সবরকম সতর্কতা নেবে পর্ষদ। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকতে চলেছে “সিক রুম”। পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ বোধ করলে যাতে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেই কারণেই এই সিক রুমের ব্যবস্থা থাকছে সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই। সব কটি ভেন্যুতেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো থাকবে। যেভাবে জ্বর বা অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে, তার জেরেই এই বাড়তি ব্যবস্থা বলে জানান রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ক্লান্ত লাগছে, দুর্বল! ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি নয় তো?

    মার্চ পর্যন্ত সাবধানে থাকুন

    ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অ‌্যাডিনো (Adenovirus) সংক্রমণের দাপট অন্তত মার্চ পর্যন্ত চলবে। তাই সকলকে আরও সর্তক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রাজ‌্যজুড়ে সিংহভাগ বাচ্চার মধ্যে জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টের জন‌্য দায়ী অ‌্যাডিনো ভাইরাসের চরিত্র বদল হয়নি। যে প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে সেটি পুরনো। এবং আগেও ছিল, বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৮ সালেও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছিল, তবে এবছর এই ভাইরাস সংক্রমণ লাগাম ছাড়া। সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে উপচে পড়ছে ভিড়। পেডিয়াট্রিক আউটডোরে থিক থিক করছে লোক। ভিড় উপচে পড়েছে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে। বি সি রায় হাসপাতালের আউটডোরে। তাই আপাতত আরও একমাস সকলকে সাবধানে থাকতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adeno Virus: খুদেদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে অ্যাডিনো-সংক্রমণ! হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন

    Adeno Virus: খুদেদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে অ্যাডিনো-সংক্রমণ! হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের পর স্বাস্থ্য দফতরের সামনে নয়া উদ্বেগ অ্যাডিনো ভাইরাস। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। কলকাতা সহ একাধিক জেলাতেও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়াচ্ছে। চিকিৎসা করাতে আসা শিশুদের মধ্যে কেউ ১৫ দিন, কেউ এক মাস, কেউ আবার দেড় মাস ধরে ভুগছে সর্দি, কাশি ও জ্বরে। কারও আবার শ্বাসকষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এইরকম পরিস্থিতিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সচেতনতা। তাই নতুন এই ভাইরাসের উপসর্গ কী এবং পরিস্থিতি ঠিক কতটা উদ্বেগজনক তার সঠিক মূল্যায়ন করতে আগ্রহী রাজ্য সরকার।

    শিশু সুরক্ষা কমিশনের পরিদর্শন

    সোমবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য  যশোবন্তী শ্রীমানি অ্যাডিনো ভাইরাসের চিকিৎসা চলা হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি ঠিক কী রকম , তা জানতে  বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে  প্রথম পরিদর্শন করা হয় ফুলবাগানের বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। বিসি রায় হাসপাতালের পাশাপাশি, সেখান থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। কমিশনের তরফ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়, অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তারা কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, কত সংখ্যক শিশু ভর্তি রয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে, কত জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলেই মনে করছে কমিশন। 

    আরও পড়ুন: নয়া উদ্বেগের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস! শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন রসুন, নিম, কাঁচা হলুদ

    সচেতনতা প্রচার

    হাসপাতালের তরফে রোগীর বিভিন্ন স্টেজ ভাগ করে আলাদা আলাদা ভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও কমিশনের তরফে সচেতনতামূলক প্রচারের জন্য কী কী করণীয় তা সম্পর্কেও হাসপাতালকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কমিশন প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে বাড়ির বড়দের কারও ঠাণ্ডা জ্বর সর্দি-কাশি থাকলে বাড়ির শিশুকে তার থেকে দূরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। শরীর খারাপ থাকলে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করতে হবে। জ্বরের সঙ্গে বমি, পাতলা পায়খানা, শ্বাসকষ্ট, খিদে কমে যাওয়া এই লক্ষণ থাকলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। শিশুর তিন থেকে পাঁচ দিনের জ্বর হলেও হাসপাতালে নিতে হবে। এছাড়া জনবহুল এলাকায় গেলে মাক্স ব্যবহার করাতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adeno: নয়া উদ্বেগের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস! শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন রসুন, নিম, কাঁচা হলুদ

    Adeno: নয়া উদ্বেগের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস! শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন রসুন, নিম, কাঁচা হলুদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে নয়া উদ্বেগের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস। ছোট ছোট মুখগুলো আবার মাস্কবন্দি। স্কুলে, স্কুলে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের মুখ। কলকাতা থেকে জেলা প্রায় প্রতিটি ঘরেই জ্বর-সর্দি-কাশি লেগে রয়েছে। কাশি হলে তো সারছেই না। করোনা, ডেঙ্গির পর এ এক নয়া উপসর্গ। জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন শিশুর। শহর থেকে জেলা হাসপাতালগুলির সাধারণ শয্যা থেকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু)— সর্বত্রই শিশুদের ভিড়। যে শিশুদের বয়স দু’বছরের কম, তাদের ক্ষেত্রে ভয় বেশি। বয়স এক বছরের কম হলে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ। এই সময় বাচ্চাদের ভাল রাখতে ইমিউনিটি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রোজকার খাবারে যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তার দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে। শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন এরকমই কয়েকটি খাবার।

    শিশুদের কী খাওয়াবেন

    নিম বা উচ্ছে: ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রোজকার খাবারের পাতে রাখুন তেতো। প্রথম পাতে নিম পাতা বা উচ্ছে দিয়ে খাওয়া শুরু করুন। এ সবের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীর মজবুত রাখে ও এই সময়ে বাতাসে উড়ে বেড়ানো রোগ-জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।

    প্রোটিন: শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খান। পাতে উদ্ভিজ্জ বা প্রাণীজ, যে কোনও রকমের প্রোটিন রাখুন রোজ। মাছ, মাংস, সয়াবিন, মুসুর ডাল, ডিম থেকে পাওয়া পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিতর থেকে মজবুত করবে।

    লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদ: ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বেশ কিছু মশলাপাতি ব্যবহারের কথা বলা হয়। তার মধ্যে লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদও রয়েছে। এই সব মশলাপাতিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত দারচিনি, লবঙ্গ দিয়ে কাড়া বানিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান। কাঁচা হলুদ বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান প্রতি দিন।

    আরও পড়ুন: শহর জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট! আক্রান্ত খুদেরা, শিশু হাসপাতালে আইসিইউ-র সঙ্কট

    রসুন: সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন।  প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ঠাসা এই সব্জি ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে  ভাল কাজ করে।

    টক দই: টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য ভীষণ উপযোগী। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দই খাওয়ার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা।

    ফল ও সব্জি: সবুজ শাক সব্জি ও মরশুমি ফল খাওয়ান। 

    জল: শরীরে জলের ভাগ কমলে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে তেমনই ডিহাইড্রেশন থেকে হওয়া নানা সমস্যায় জেরবার শরীর সহজেই ভাইরাসের শিকার হয়। তাই জলের বিষয়ে সচেতন থাকুন। প্রতিদিন শিশুদের দুই লিটার জর খাওয়ান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share