Tag: administration

administration

  • RSS: জয়পুরে স্বয়ংসেবকদের ওপর ছুরিকাঘাত! অভিযুক্তের ভবনে বুলডোজার চালাল ভজনলালের প্রশাসন

    RSS: জয়পুরে স্বয়ংসেবকদের ওপর ছুরিকাঘাত! অভিযুক্তের ভবনে বুলডোজার চালাল ভজনলালের প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে শারদ পূর্ণিমায় আরএসএস স্বয়ংসেবকদের (RSS) ওপর হামলার অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। মোট ১০ জনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অভিযুক্ত হলেন নসিব চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল সরকারের পুলিশ-প্রশাসন। একই ভাবে মন্দিরের জমি অবৈধভাবে দখল করার জন্য অভিযুক্তদের বেআইনি একটি ভবনকে বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    হিংসাত্মক আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত (RSS)

    জয়পুরে গত ১৭ অক্টোবর লক্ষ্মীপূর্ণিমার দিনেই শারদ পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। এই সময় আরএসএসের পক্ষ থেকে কর্নি বিহারের একটি শিব মন্দিরে ফসল কাটার শুভ মুহূর্তে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে মহাপ্রসাদ বিতরণের সঙ্গে হনুমান চাল্লিশা পাঠও চলছিল। ঠিক এমনই আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে মন্দির চত্বরে নসিব চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে ভীষম চৌধুরী আচমকা সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করার হুমকি দেন। এরপর তর্কবিতর্ক হতেই প্রায় দশজন স্বয়ংসেবকের উপর আচমকা এলোপাথাড়ি ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালান। ছুরির আঘাতে ঘটনাস্থলে অনেকের পায়ে, বুকে, পিঠে, হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এই হিংসাত্মক আক্রমণ পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি আরএসএস-এর। এরপর আহতদের দ্রুত জয়পুর সওয়াই মান সিং হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

    বৈধ নথি নেই, তাই বুলডোজার

    একই ভাবে আরএসএস স্বয়ংসেবকরা (RSS) অভিযোগ করে, এলাকায় এবং মন্দিরের বেশ কিছু জমি ওই অভিযুক্তরা জোর করে দখল করে রেখেছে। এরপর জয়পুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে মন্দিরের অবৈধ জমি জরিপ করা হয় এবং অভিযুক্ত নসিব চৌধুরী বেআইনি ভাবে জমি দখল করেছে বলে নোটিশ জারি করা হয়। সেই সঙ্গে এই নির্মাণ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু বৈধ নথি না দেখাতে পারায় অবৈধ একটি ভবনকে ভেঙে ফেলা হয় বুলডোজার দিয়ে। জয়পুর উন্নয়ন পর্ষদের বক্তব্য, “নির্ধারিত সময় দেওয়ার পরও অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কোনও তথ্য দিতে না পারায় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।” উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে প্রতিমা বিসর্জনের সময় এক হিন্দু যুবককে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করলে, মূল অভিযুক্তদের অবৈধ নির্মাণের উপর বুলডোজার চালায় যোগী প্রশাসন। ফলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যোগীর দেখানো পথে এবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার পথে অগ্রসর হয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala: কেরলে ৩৫৩৩৬ জন মহিলা নিখোঁজ! প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ

    Kerala: কেরলে ৩৫৩৩৬ জন মহিলা নিখোঁজ! প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কেরল রাজ্যে ৩৫৩৩৬ জন নিখোঁজ মহিলাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। পরিসংখ্যান এবং তদন্ত নিয়ে দারুণ চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য প্রশাসনের কপালে। নারী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি একেবারে মর্মান্তিক গল্পের মতো সামনে উঠে এসেছে। বাম শাসিত এই রাজ্যের সামাজিক দুর্বলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলি আরও একবার প্রকাশিত হয়েছে। আসুন দেখে নিই একটি পরিসংখ্যান কী বলছে?

    মহিলার দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলা হয় (Kerala)

    আশ্চর্যজনকভাবে, প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এই মহিলাদের মধ্যে ১৭০ জনের কেস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এই রাজ্যে (Kerala)। তাঁদের মামলাগুলি প্রায়ই অধিকাংশ স্বেচ্ছায় তুলে নেওয়া হয়েছে বা নিখোঁজ হওয়ার অনুমানে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তবে নিখোঁজ মহিলাদের একটা বড় অংশ অন্য দেশে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কেরলের আলাপ্পুঝা জেলার মান্নার থেকে একজন মহিলার নিখোঁজ সহ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দ্বারা এই সমস্যাটি এখন আলোচনা মূল ভরকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ উঠে এসেছে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে এবং দেহাবশেষ একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ মহিলাদের মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) পুলিশের জেলা সি শাখাকে। একই ভাবে রাজ্যের উদ্বেগজনক কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে কোল্লামে ২৪টি কেস, পাথানামথিট্টা ১২টি কেস এবং কাসারগোডে ৬টি কেস। মোট এই ৪২ জন মহিলা নিখোঁজের সন্ধানে তদন্ত চলছে। এই মামলাগুলির মধ্যে অনেকগুলি প্রেমের সম্পর্ক এবং পালিয়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলির সঙ্গেও যুক্ত।

    কী কী কারণে নিখোঁজ?

    সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অপহরণের ঘটনা জটিল করে তুলেছে রাজ্যের (Kerala) নারী সুরক্ষার বিষয়টি। ২০১৬ সালে ১৫৫০টি এবং এই বছর এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৮টি রিপোর্ট করা হয়েছে। ভিক্ষাবৃত্তির অসাধুচক্র এবং শরীরের অঙ্গ পাচারের মতো কার্যকলাপে জড়িত নানান নেটওয়ার্কের সংযোগগুলিকে নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নারী (Women) নিখোঁজের কিছু কারণ যেমন–সমাজ বিরোধী পুরুষের সঙ্গে নারীদের পলায়ন, স্বামী বা আত্মীয়দের দ্বারা সংগঠিত হত্যাচারের শিকার মহিলাদের, দূরবর্তী জায়গায় চাকরি বা কাজের খোঁজ, সন্ত্রাসী বা জঙ্গি গোষ্ঠীতে মগজ ধোলাই করে নিয়োগ এবং মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়া সহ আরও একাধিক কারণ রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ দুধের গাড়িতে ধাক্কা, উল্টে গেল বাস, উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ১৮

    গত ৫ বছরের পরিসংখ্যান

    কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গিয়েছে কেরলে (Kerala) ৫ বছরে নারী নিখোঁজের সংখ্যা ৩৫৩৩৬। যার প্রতিবছর সংখ্যা হল, ২০১৭ সালে ৬০৭৬ জন, ২০১৮ সালে ৭৮৩৯ জন, ২০১৯ সালে ৮৮৪৩ জন, ২০২০ সালে ৬৩৯৫ জন, ২০২১ সালে ৬১৮৩ জন। আবার নারী অপহরণের পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে, ২০১৬ সয়ালে ১৬৬ জন, ২০১৭ সালে ১৮৪ জন, ২০১৮ সালে ১৭৩ জন, ২০১৯ সালে ২২৭ জন, ২০২০ সালে ১৫১, ২০২১ সালে ১৭৯ জন, ২০২২ সালে ২৪১ জন, ২০২২ সালে ২৪১, ২০২৩ সালে ১৯১ জন এবং ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৩৮ জন মহিলা। এই পরিসংখ্যান অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।

    রাজ্যে ক্রমবর্ধমান জনরোষ এবং আন্দোলনের চাপে রাজ্যের পুলিশ প্রধান ডিজি, মহিলা (Women) ও শিশু নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগগুলিকে অস্বীকার করতে পারেনি। তাই রাজ্য সরকারের উপর বেশ চাপ তৈরি হয়েছে। সরকারের জবাবদিহি এবং তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপের উপর জোর দিয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যানকে অস্থির করে তুলেছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা সুরক্ষার বিষয়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tarkeshwar: হাথরসকাণ্ডের পর সর্তকতা, শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে তারকেশ্বরকে মুড়ে ফেলা হল সিসিটিভিতে

    Tarkeshwar: হাথরসকাণ্ডের পর সর্তকতা, শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে তারকেশ্বরকে মুড়ে ফেলা হল সিসিটিভিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরসে ধর্মীয় সভায় দুর্ঘটনার কথা গোটা দেশকে চিন্তায় ফেলেছে। এই দিকে সমানেই তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা, হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসন, পুরসভা এবং রেলের সমন্বয়ে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পূণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা ভেবে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। তারকেশ্বরকে মুড়ে ফেলা হল সিসিটিভিতে। থাকছে কঠোর নিরাপত্তার পরিকাঠামো এবং সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা। এ বছর এই তারকেশ্বর (Tarkeshwar) মেলা শুরু হবে ২১ জুলাই গুরু পূর্ণিমার দিন থেকে, আর চলবে ১৯ অগাস্ট রাখি পূর্ণিমা পর্যন্ত। এক মাস শৈব উপাসকেরা বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালবেন।

    রাস্তায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি (Tarkeshwar)

    শ্রাবণী মেলায় শিব ভক্তরা, গঙ্গা থেকে জল কাঁধে করে বহন করে ভোলা মহেশ্বরের মাথায় জল ঢেলে থাকেন। হুগলি নদীর শেওড়াফুলির ঘাট থেকে জল সংগ্রহ করে লক্ষ লক্ষ ভক্ত তারকেশ্বর (Tarkeshwar) মন্দিরে জল ঢালেন। দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর ভক্তরা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করে থাকেন। শ্রীরামপুর-তারকেশ্বরের (Tarkeshwar) ১২ নম্বর রুটে পা ফেলার জায়গা থাকে না। এই এক মাসের মধ্যে শনি, রবি এবং সোমবারের দিনগুলিতে ব্যাপক ভক্তের সমাগম হয়। এক এক দিনে প্রায় ১০ লক্ষের বেশি ভক্তের সমাগম হয়। এই ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনকে একেবারে নাজেহাল হতে হয়। তাই এবছর আগাম সতর্কতা এবং নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর হয়েছে। মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে প্রশাসন। আজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বড় বৈঠক করা হয়েছে। ভক্তদের কথা মাথায় রেখে মূল মন্দিরের প্রবেশ দ্বার বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়েছে। একই ভাবে নজরদারি কড়া করতে রাস্তায় রাস্তায় সিসিটিভি বসিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বেআইনি জমি দখলের অভিযোগে দিল্লি থেকে গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা!

    ২৪ ঘণ্টা আলো ও পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা

    বৈঠকে এ বছর সংখ্যায় বেশি পরিমাণে পুলিশ মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। শহরের বেশ কিছু জায়গায় বসানো হবে স্বাস্থ্য শিবির কেন্দ্র। একই ভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতে বৃদ্ধি করা হবে দমকল ইঞ্জিনের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টা আলো এবং পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। ভক্তদের জন্য করা হবে বিশ্রামাগার। এদিন পুরসভার পক্ষ থেকে পুরপ্রধান উত্তম কুণ্ডু এই প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। একই ভাবে তারকেশ্বর (Tarkeshwar) ব্লকের আধিকারিক সীমা চন্দ্র, থানার ইনচার্জ তন্ময় বাগ এবং রেল, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ এবং দমকল বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত ভিড় এবং উৎসবের আনন্দ যাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার না হয়, তাই রাজ্য প্রশাসন আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শাহজাহানের নাম, পুড়ে খাক ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর

    Sandeshkhali: চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শাহজাহানের নাম, পুড়ে খাক ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করা, মাছচাষের জলাশয় দখল করা এবং বাড়ির সুন্দরী বউ থাকলে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে রাতভর অত্যাচার, নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার তাঁদেরই অভিযোগ এবং আন্দোলনের চাপে শেখ শাহজাহানের নামে দখল করা খেলার মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্লাজ শুরু করল প্রশাসন। খেলার মাঠ দখল করার পর অনুগামীরা নাম রেখেছিল ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’। মাঠের দেওয়ালে লেখা শেখ শাহজাহানের নামের উপর চুনকাম করে দেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে এদিনই ফের আগুন জ্বলল সন্দেশখালিতে। শাহজাহানের ভাই সিরাজের ভেড়ির আলাঘরে আচমকাই কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। গ্রামবাসীদের সেই ক্ষোভের আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় আলাঘর। কারণ শাহজাহানের মতো তাঁর ভাই সিরাজুদ্দিনও নাকি অন্যের জমি জোর করে দখলে ছিল সিদ্ধহস্ত। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাসিন্দারা। যদিও কেউ কেউ বলছেন, আগুন লাগিয়েছে শাহজাহানেরই অনুগামীরা। 

    পুলিশের উপস্থিতিতে মাঠ ফেরানো হয় (Sandeshkhali)

    একটা সময় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সব থেকে বড় মাঠের নাম ছিল ঋষি অরবিন্দ মিশন ময়দান। এলাকার ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এই মাঠ ছিল প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু টুর্নামেন্টের নাম করে বিরাট মাঠকে দখল করে নেয় শেখ শাহজাহানের বাহিনী। এলাকার মানুষের আন্দোলনের চাপে অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার, পুলিশের উপস্থিতিতেই মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মাঠের দেওয়ালে লেখা শেখ শাহজাহানের নাম মুছে দেওয়া হয়। এলাকার মাঠ আবার ফিরে পাওয়ার আশায় অত্যন্ত খুশি এলাকাবাসী।

    এলাকার মানুষের দাবি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের দাবি, “শাহজাহান-উত্তম-শিবুরা এলাকায় সাম্রাজ্য বিস্তার করে রেখেছে। সরকারি জমি, খেলার মাঠ, বিঘার পর বিঘা চাষের জমি দখল করে মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়ার ভেড়ি নির্মাণ করেছে তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, তোলাবাজি এবং অত্যাচারের সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে তারা।” তবে আজ মাঠ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকার মানুষ একত্রিত হন। সেই সঙ্গে মাঠে লাগানো হয় চারাগাছ। গ্রামের মানুষ বলেন, “ছিল খেলার মাঠ, কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডারা দখল করে নেয়। মাঠে কেউ ঢুকতে পারত না, সব সময় তালা মারা থাকত।” এবার এই মাঠ দখলমুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু মূল অভিযুক্ত পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chinsurah: জলন্ধরে অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম চুঁচুড়ার মৃত্তিকা, এবার পাড়ি ইতালিতে

    Chinsurah: জলন্ধরে অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম চুঁচুড়ার মৃত্তিকা, এবার পাড়ি ইতালিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবায় প্রশিক্ষণ শুরু সাত বছর বয়সে। বর্তমানে বয়স পনেরো। মাত্র আট বছরের প্রশিক্ষণে আটবারের বেশি জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে চুঁচুড়ার (Chinsurah) কাপাসডাঙার বাসিন্দা মৃত্তিকা মল্লিক। আগামী নভেম্বরে ইতালিতে বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে সে। কিন্তু সরকারি কোনও অনুদান নেই বলে অভিযোগ করলেন বাবা।

    কে মৃত্তিকা মল্লিক?

    চুঁচুড়ার (Chinsurah) ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মৃত্তিকা। এবছর জলন্ধরে আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। এই মাসের ১ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষ করে বৃহস্পতিবার ঘরে ফিরেছে সে। এই সাফল্যের উপর ভর করে আগামী নভেম্বরে ইতালিতে আয়োজিত বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় সুযোগ করে নিয়েছে মৃত্তিকা। বাবা অরিন্দম পেশায় কেবল ব্যবসায়ী ও মা মীনাক্ষী গৃহবধূ। দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মৃত্তিকা।

    খেলার প্রতি আকর্ষণ কীভাবে?

    ছোট থেকেই মৃত্তিকা নিজের পাড়ার (Chinsurah) কাকুদের তাস খেলা দেখতে ভালোবাসত। বুদ্ধিদীপ্ত খেলার প্রতি আকর্ষণ বুঝতে পেরেই ছোট মেয়েকে দাবার প্রশিক্ষণ শিবিরে ভর্তি করেন মৃত্তিকার বাবা-মা। শুরুতে মাত্র দু’বছরের প্রশিক্ষণ নিয়েই প্রথমবারের জন্য অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে ইতালিতে বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় সুযোগ পায় মৃত্তিকা।

    খেলায় সাফল্য

    দেশীয় স্তরে তিনবার প্রথম হয়েছে মৃত্তিকা (Chinsurah)। ইতিমধ্যে তিনবার আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েছে সে। তার মধ্যে এশিয়া যুব দাবা প্রতিযোগিতায় একবার করে রূপো ও ব্রোঞ্জ এবং অনূর্ধ্ব ১৪ বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান দখল করে। এরপর রয়েছে নভেম্বরে আরও কড়া চ্যালেঞ্জ। জলন্ধর থেকে ফিরেই তাই দাবার বোর্ডে মন দিয়েছে মৃত্তিকা। সামনের বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই দু’দিক সামলাতে চাপটাও অনেক বেশি। তবে আপাতত পড়াশোনা ঘণ্টা দু’য়েকই করতে পারছে সে। কারণ দিনের প্রায় ১৪ ঘণ্টা নতুন নতুন চাল খুঁজে বেড়ায় সে। যে করেই হোক ইতালিতে দেশের হয়ে বাজিমাত করাই এখন তার জীবনের লক্ষ্য।

    অবিভাবকের আশা

    বাবা অরিন্দমবাবু বলেন, মেয়ে আপাতত সপ্তাহে দু’দিন গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়ার কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে লড়াইয়ের জন্য আরও প্রশিক্ষণের দরকার। আর দাবাতে এই প্রশিক্ষণই ব্যাপক ব্যয়বহুল। তাঁর অভিযোগ, অন্য রাজ্যে দাবায় সরকারি অনুদান এলেও এ রাজ্যে (Chinsurah) তা আসে না বললেই চলে। তাই বহু বাঙালির প্রতিভা মাঝপথে নষ্ট হয়ে যায়। এখন এই আর্থিক অভাব কাটাতে মল্লিকার পাশে সরকার কতটা দাঁড়ায়, সেটাই দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    Kaliaganj: সন্তানের মৃতদেহ বহনকারী বাবার পাশে জয়কৃষ্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় সন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে ভরে বাড়ি (Kaliaganj) ফেরার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। অমানবিক ঘটনার নিন্দা সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে মৃত শিশুর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস ও স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান।

    কী পরিচয় এই সমাজকর্মীদের?

    অনেকেরই হয়তো মনে আছে, কিছুদিন আগে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়ার টাকা না থাকায় মৃত স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ির (Kaliaganj) পথে হাঁটা দেওয়া জলপাইগুড়ির সেই জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের কথা। সেদিন অসহায় দেওয়ান পরিবারকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিয়ে সাহায্য করে হাজতবাস করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস। সেই ঘটনার পর আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ শিশুপুত্রের মৃত্যুর পর টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে জামাকাপড়ের ব্যাগে সন্তানের মৃতদেহ ভরে বাড়ি নিয়ে আসেন কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। টিভির পর্দায় মর্মান্তিক ও অমানবিক এই ঘটনা দেখতে পেয়ে শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জে অসীম দেবশর্মার বাড়িতে ছুটে এলেন জয়কৃষ্ণ দেওয়ান ও অঙ্কুর দাস। ছেলে হারানোর যন্ত্রণায় শোকার্ত অসীম দেবশর্মা ও তাঁর স্ত্রীকে সমবেদনা জানান তাঁরা। পাশাপাশি অসীমবাবুর কাছে সমস্ত ঘটনা শোনেন দুজনেই।

    স্ত্রীর মৃতদেহ বহনকারী জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের বক্তব্য

    জয়কৃষ্ণবাবু মানবিক হয়েই অসীমবাবুর বাড়িতে মর্মান্তিক কথা শুনতে আসেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি বাড়ির (Kaliaganj) অবস্থা! অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ৮০০০ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আরও বলেন, আগামী দিনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষ দাবি নিয়ে যাবো। পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে গরীব মৃত মানুষের দেহগুলিকে বিনা খরচায় বাড়িতে পোঁছানোর পরিষেবা চালু করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। আর যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আমি আমার নগরডাঙ্গাতে অনশনে বসব বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন সমাজসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক?

    জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, ৫ই জানুয়ারি জলপাইগুড়িতে একইভাবে মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য সাহায্য পাননি জয়কৃষ্ণবাবু। আমি সহযোগিতা করতে গেলে আমাকেও জেলে যেতে হয়। জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, গরীব মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য সরকার বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করুক। জলপাইগুড়ির মতো মৃতদেহ বহন করার ঘটনা আরও ঘটবে বলে সতর্ক করেছিলাম, প্রশাসন শোনেনি। আর তাই ঘটেছে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। কিছু দিন চুপচাপ থাকলেও এরপর আবার অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের দাদাগিরি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। আগামী দিনে আমরা গরীব মানুষের জন্য বিনা পয়সায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব। আর না মানলে অরাজনৈতিকভাবে বৃহৎ আন্দোলন করব। আরও বলেন, জয়কৃষ্ণবাবু এবং অসীমবাবুকে নিয়ে আমরা এই সামাজিক আন্দোলন করব।

    প্রশাসনের (Kaliaganj) ভূমিকা

    এদিকে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ি পাঠিয়ে অসীম দেবশর্মা সহ পরিবারের লোকেদের নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ফোনে জানিয়েছেন, এদিন ওই পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ডেকে আনা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তাঁদের জবকার্ডও করে দেওয়া হবে। এখন বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে কবে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হয়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিজ ভূমে পরবাস। চোখের সামনে বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গার ভাঙনে (Erosion) তলিয়ে গিয়েছে। এবার গ্রাস করতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর, ধানঘরা, শিবপুর সহ একাধিক গ্রামের বাড়ি। একটি বা দুটি নয়। গত আড়াই বছরের মধ্যে এই সব গ্রাম থেকে হাজারের বেশি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। এটা গ্রামবাসীদের মন গড়া কোনও তথ্য নয়। খোদ ব্লক প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। ফলে, জমি, বাড়ি হারিয়ে নিজের ভিটে ছেড়ে কেউ খোলা আকাশের নীচে রয়েছেন। কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেন। কেউ আবার স্কুলের পাশে জমিতে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়়া গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে বহু পরিবার। গত তিন দিনের মধ্যে নতুন করে এই সব গ্রামে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। চার-পাঁচটি বাড়ি ফের গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। ভাঙন (Erosion) কবলিত গ্রামের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক এবং অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

    ভাঙন প্রতিরোধে আসা ঠিকাদারকে কেন বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা? Erosion

    এই জেলায় গঙ্গা ভাঙন (Erosion) নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু, ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে গঠনমূলক কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আগের বাম শাসনের আমলেও এই বিষয়ে কেউ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। আর ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ত্রিস্তরে বহু বছর ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু, ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। এমনটাই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় বাসিন্দা ছবি খাতুন বলেন, চোখের সামনে একের পর এক বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। গ্রামের সকলে মিলে প্রশাসনের কাছে দরবার করেছে। কিন্তু, পাথর দিয়ে গঙ্গা বাঁধানোর কারও উদ্যোগ নেই। তাই, গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের বক্তব্য, লোক দেখানো করে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) মোকাবিলা করা হয়। তাতে ঠিকাদারদের পকেট ভরে। কিন্তু, গঙ্গার ভাঙন (Erosion) রোধে কোনও কাজ হয় না। বহুবার প্রশাসনের কর্তাদের কাছে সে কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু, টনক নড়েনি প্রশাসনের। ফলে, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনের কর্তারা। এলাকায় ঠিকাদার পাঠিয়ে বালি বোঝাই বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, গ্রামবাসীরা তা মানতে রাজি হননি। লোক দেখানো কাজ নয়। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করতে হবে। যদিও  পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিক্ষোভকারীদের একটাই অভিযোগ, এভাবে বালির বস্তা দিয়ে গঙ্গা বাধা হয় না। পাথর দিয়ে ভালো করে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে  ব্যবস্থা না নেওয়া হলে  আমরা কাজ করতে  দেব না। এই বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র মুন্ডা বলেন, আমার পক্ষ থেকে যেটুকু সাহায্য করা সম্ভব তা আমি করেছি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের চাল- ত্রিপল সহ কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share