Tag: afganisthan

afganisthan

  • Bangladesh: মহিলারা বাজারে যেতে পারবেন না! ফতোয়া মৌলবাদীদের, আফগানিস্তানের পথে বাংলাদেশ?

    Bangladesh: মহিলারা বাজারে যেতে পারবেন না! ফতোয়া মৌলবাদীদের, আফগানিস্তানের পথে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতায় আসার পর থেকে মৌলবাদীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বকলমে তারা সরকার চালাচ্ছে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছে। চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারেরক পর থেকে উত্তাল রয়েছে গোটা দেশ। এই আবহের মাঝে এবার তালিবানি (Taliban) ফতোয়া দিল মৌলবাদীরা। আফগানিস্তানের পথে হেঁটে মহিলার ওপরে ফতোয়া জারি করা হল। তাও আবার খোদ বঙ্গবন্ধু মুজিবরের জেলায়। যা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী ফতোয়া জারি করেছে মৌলবাদীরা? (Bangladesh)

    মহিলাদের ওপরে ফতেয়া জারি হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) গোপালগঞ্জ জেলায় গহরডাঙ্গা এলাকায়। এই গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার বাড়ি। শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। এই ফতোয়া গহরডাঙ্গা দিয়ে শুরু, পর্যায়ক্রমে পুরো বাংলাদেশ জারি হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে কট্টরপন্থীরা। বাজারে এসে কট্টরপন্থীরা মাইক নিয়ে ঘোষণা করছেন যে মহিলাদের বাজারে আসা নিষিদ্ধ। কোনও মহিলা বাজারে এসে জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবেন না। মার্কেটে তাদের প্রবেশ নিষেধ। কোনও জিনিসের প্রয়োজন হলে, বাড়ির পুরুষদেরই আসতে হবে বাজারে। দোকানে মহিলারা আসতে পারবেন না। তাদের কাছে কোনও জিনিস বিক্রি করাও যাবে না। মহিলারা বাজারে এলে তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গেই দোকানের সামনে রাখতে হবে পর্দা এবং সেটা নমাজের সময় নামিয়ে দিতে হবে। নমাজের সময়ে কোনও দোকানেই বেচাকেনা করা চলবে না। এ বার এই ফতোয়া জারি করা হয়েছে বাংলাদেশে।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    বাংলাদেশকে ‘জিহাদিস্তানে’ পরিণত!

    এই রকমই একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশকে ‘জিহাদিস্তানে’ পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কয়েকজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি বাজার এলাকায় মাইকিং করছেন। যদিও কোন বাজারের (Bangladesh) এই মাইকিং করা হয়েছে তার উল্লেখ করা হয়নি। সেখানেই বাজারে দোকান চালু রাখতে হলে কী কী নিয়ম মানতে হবে সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দোকানদাররা মহিলাদের কাছে কিছু বিক্রি করতে পারবেন না। ‘দিন-ই-মাহফিলের’ পরিবেশ বজায় রাখার জন্যই তা করা হবে বলেও তাদের ওই ঘোষণায় জানানো হয়েছে। তসলিমার অভিযোগ, চিন্ময়কে জেলে রাখা এবং তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘন করার উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশে ‘হিন্দু জাগরণকে নস্যাৎ করা’। এই লেখিকার দাবি, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করে জিহাদিস্তানে পরিণত করতে চাইছে জিহাদিরা। এই লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Budget: নির্মলার বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা তালিবানের মুখে, কেন জানেন?

    Union Budget: নির্মলার বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা তালিবানের মুখে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Union Budget) পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। স্কুল অফ লন্ডন ইকনোমিক্সের এই প্রাক্তনীর করা সেই বাজেটকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এবার নির্মলার বাজেটের সুখ্যাতি শোনা গেল সুদূর আফগানিস্তানেও। এবং প্রশংসা করল খোদ তালিবান প্রশাসন। বুধবার ভারতের বাজেটের দেদার প্রশংসা করল তালিবানরা। তারা জানাল, বাজেটে ভারত আফগানিস্তানকে সাহায্যের জন্য যে বরাদ্দ করেছে তাতে দু দেশের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। মজবুত হবে দুই দেশের বিশ্বাসের সম্পর্কও। কেন্দ্রীয় এই বাজেটে আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই কারণেই নির্মলার পেশ করা বাজেটের স্তুতি শোনা গিয়েছে তালিবানের মুখে।

    বাজেট…

    ১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সংসদে বাজেট (Union Budget) পেশ করেন নির্মলা সীতারামণ। এটাই ছিল মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথা অনুযায়ী, ওই বছর পেশ হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট, পূর্ণাঙ্গ বাজেট নয়। চলতি বাজেটে আফগানিস্তানের জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্মলা। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর এটা আফগানিস্তানকে দ্বিতীয়বার সাহায্য ভারতের। প্রথমবার সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল গতবারের বাজেটে।

    ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটকে (Union Budget) স্বাগত জানিয়েছেন সোহেল শাহিন। তিনি তালিবানের আলোচনাকারী দলের প্রাক্তন সদস্য। শাহিন বলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য ভারতের সাহায্যকে সমর্থন জানাচ্ছি। এটা দুই দেশের সম্পর্ক ও বিশ্বাসের জায়গাটিকে দৃঢ় করবে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে এমন অনেক প্রকল্প চলছিল, যাতে অর্থায়ন করেছিল ভারত। ভারত যদি ফের এগুলি চালু করে, তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক হবে মজবুত। অবিশ্বাসের প্রাচীর যাবে ভেঙে।

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধী নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশেই কোনও না কোনও পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে ভারত। এখনও হাতে রয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। দেশটির রাশ তালিবানের হাতে চলে যাওয়ার পর আর সম্পূর্ণ করা যায়নি সেই সব প্রকল্প। সম্প্রতি তালিবান জানিয়ে দিয়েছে, ভারত আফগানিস্তানে তাদের অসমাপ্ত অন্তত যে ২০টি প্রকল্প রয়েছে, তা সম্পূর্ণ করার কাজ শুরু করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Doval on Afghanistan: সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান গড়তে, মানুষের পাশে সর্বদা থাকবে ভারত, বার্তা ডোভালের

    Doval on Afghanistan: সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান গড়তে, মানুষের পাশে সর্বদা থাকবে ভারত, বার্তা ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানভূমে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে তাজিকিস্তানে আয়োজিত সাত দেশের আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৈঠকে সুর চড়াল ভারত (India)। ওই বৈঠকে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval)। তিনি বলেন, ভারত বরাবরই আফগানিস্তানের (Afghanistan) জনতার পাশে রয়েছে। সুরক্ষা এবং সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে তাঁদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। ডোভাল বলেন, আফগানিস্তানের মানুষের সঙ্গে আমাদের যে শতাব্দীপ্রাচীন বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, তা কেউ কোনও দিন বদলাতে পারবে না।

    আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে চতুর্থতম এই আঞ্চলিক সম্মেলনটি সম্প্রতি হয় তাজিকিস্তানে। ভারত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাশিয়া, চিন, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং কিরঘিজস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্তারা। তবে সম্মেলনে উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের কোনও প্রতিনিধি। ডোভাল বলেন, যাঁরা এই আলোচনায় উপস্থিত রইলেন, তাঁদের প্রত্যেকের উচিত সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন দমনে আফগানিস্তানের হাত শক্ত করা। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভাল বলেন, আফগানিস্তানে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন। ৫০ হাজার কোভ্যাক্সিনও পাঠানো হয়েছে। ১৩ টন জীবনদায়ী ওষুধ, পোলিও ভ্যাকসিনের ৬০ মিলিয়ন ডোজ এবং শীতপোশাকও পাঠিয়েছে।  

    আরও পড়ুন : মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    ডোভাল বলেন, সুরক্ষা ও সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে আফগানিস্তানবাসীকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান গড়ে তুলতে হবে। এই সময় আফগানিস্তান থেকে শয়ে শয়ে শরণার্থী এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দেন রাশিয়ার প্রতিনিধি নিকোলাই পেত্রুশেভ। তার প্রেক্ষিতে ডোভাল বলেন, জীবনের অধিকারই আমাদের সর্বপ্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের পাশাপাশি সকলের মানবাধিকার সুরক্ষাও প্রয়োজন। তালিবান জমানায় নারীদের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গের অবতারণা করে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, নারী ও যুব সমাজ যে কোনও সমাজের ভবিষ্যতের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। বক্তৃতায় নারী শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নের ওপরও জোর দেন ডোভাল। আফগান জাতি গঠনে আফগান সমাজের সব শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের ওপরও জোর দেন তিনি।

    আরও পড়ুন :মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহেও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুতিনের (Putin) প্রতিনিধি। যার অর্থ, আফগানিস্তানে মার্কিন আধিপত্য বৃদ্ধি পাক, তা কোনওভাবেই চায় না মস্কো (Moscow)। চিনও (China) আফগামভূমে আধিপত্য বিস্তারে সচেষ্ট। অথচ আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী পাকিস্তানের কোনও প্রতিনিধিই উপস্থিত ছিলেন না এই সম্মলেন। তাহলে কী সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া চালিয়েই যাবে পাকিস্তান (Pakistan)?  

     

LinkedIn
Share