Tag: Africa

Africa

  • African Cheetah: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভারতে আসছে ৮টি আফ্রিকান চিতা

    African Cheetah: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভারতে আসছে ৮টি আফ্রিকান চিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফ্রিকা (Africa) থেকে এবার চিতা (Cheetah) আসছে ভারতে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষেই এই আয়োজন। সবকিছু ঠিক থাকলে সামনের মাসে স্বাধীনতা দিবসের আগেই আটটি চিতা ঘুরে বেড়াবে ভারতের জাতীয় উদ্যানে। দেশবাসীর কাছে এ এক বড় উপহার বলেই মনে করছেন অনেকে। মধ্যপ্রদেশের একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হবে চিতাগুলিকে। দুদেশের মধ্যে বন্যপ্রাণ আদানপ্রদান সংক্রান্ত চুক্তির ভিত্তিতেই ভারত পাচ্ছে আফ্রিকান চিতা।  

    ১৯৫২ সালে ভারতে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয় পৃথিবীর দ্রুততম এই প্রাণীটিকে। চিতা ঘণ্টায় ৮০- ১৩০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এবার থেকে সেই চিতাই দেখা যাবে শেওপুরের কুনো-পালপুর ন্যাশনাল পার্কে (Kuno-Palpur National Park in Madhya Pradesh’s Sheopur district)।

    আরও পড়ুন: বিলুপ্তির ৭০ বছর পর ফের ভারতে আসতে চলেছে চিতা?

    নামিবিয়া (Namibia) থেকে আনা হচ্ছে এই চিতাগুলিকে। এরজন্যে প্রয়োজনীয় মউ সাক্ষর হয়েছে বুধবার। অগাস্ট মাসেই চারটে পুরুষ এবং চারটি মহিলা চিতাকে ভারতে আনা হবে। বন দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, “বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা এবং প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ কর্ম শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সামনেই মাসেই চিতাগুলিকে দেশে দেখা যাবে। তবে সঠিক তারিখ সরকারি সূত্রে পরিষ্কার করা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    পরিবেশমন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদব ট্যুইটে লেখেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পৃথিবীর দ্রুততম প্রাণী ভারতে প্রবেশ করবে। ভারতের ইকোসিস্টেম, পরিবেশ আবার পুনরুজ্জীবিত হবে,”

    [tw]


    [/tw]

    চিতা আনার মূল উদ্দেশ্যই হল, ভারতে আবার চিতার বংশ গড়ে তোলা। এই মুহূর্তে কুনো জাতীয় উদ্যানে ২১টি চিতা থাকার মতো জায়গা রয়েছে। একবার তা এসে গেলে আরও বড় জায়গায় ৩৬টি চিতা থাকতে  পারবে। কুনো বন্যপ্রাণ ডিভিশনের বিপুল জায়গাকে আরও অনেক চিতার বসবাস উপযোগী করে তোলা হবে। আর এই সবটাই দেখবে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রক।  

  • Marburg virus: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    Marburg virus: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইবোলার (Ebola) পর এবার মারবার্গের (Marburg) আতঙ্ক আফ্রিকায় (Africa)। বুধবার ঘানাতে (Ghana) মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুজনের। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (WHO) জানিয়েছে, মারবার্গও ইবোলা ভাইরাসের মতোই মারাত্মক। 

    আরও পড়ুন: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র 

    ঘানার দুই ইবোলা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির উপসর্গ প্রায় একই রকম ছিল। ডাইরিয়া, জ্বর, গা গোলানো ও বমি এই সমস্ত উপসর্গ কমবেশি দুজনেরই ছিল। এগুলোকেই আপাতত মারবার্গের লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। 

    ঘানায় মৃত ওই দুই ব্যক্তির স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে সেনেগালের একটি ল্যাবে। মারবার্গ ভাইরাসের কারণেই ওই মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে চাইছেন চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে পশ্চিম আফ্রিকাতে মারবার্গের এটা দ্বিতীয় হানা বলেই ধরে নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছরে, মারবার্গের একটা কেস ধরা পড়েছিল গিনিয়াতে। 

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের  
     
    মারবার্গ  ১৯৬৭ সালে পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। ১৯৭৬ সালে প্রথম চিহ্নিত হয় ইবোলা। মারবার্গ ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। মারবার্গের সংক্রমণে মৃত্যুর হার ২৪ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার ভয় এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে আরও এক ভাইরাসের আতঙ্কে ত্র্যস্ত আফ্রিকা। 

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মারবার্গ ভাইরাসে (Marburg Virus) আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে করোনার মতোই কিছু উপসর্গ মিলেছে। জ্বর, বমি এবং প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, এর অন্যতম উপসর্গ। এই প্রথম নয়, আগেও গুয়ানাতে মারবার্গ ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল।

    মারবার্গ ভাইরাস রক্তক্ষরণজনিত জ্বর বয়ে আনে। এটি মারাত্মক সংক্রামক। ভাইরাসটি মানুষ ও প্রাণির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর উৎপত্তি ফল খাওয়া বাদুড় থেকে। এটি মানুষের শরীরেও ছড়াতে পারে। বিশেষ করে যৌন সংসর্গ ও চর্মরোগ থেকে মানুষের মাঝে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে প্রদাহের স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং জ্বর আসে। ইবোলা ভাইরাসের সবকটি লক্ষণ মারবার্গ ভাইরাসেও আছে। এ ভাইরাসে ভালোভাবে আক্রান্ত হলে সাধারণত কেউ বাঁচে না। তবে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসায় ফল দিতে পারে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ইবোলা ও মারবার্গ ভাইরাসের টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয় উগান্ডার কাম্পালায়। ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ শহরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। পরে এটি ফ্রাঙ্কফুট ও যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেডেও দেখা পাওয়া গিয়েছিল। এই ভাইরাসের কোনও টিকা বা চিকিৎসা নেই।

     

  • Viral News: হত্যার অপরাধে ৩ বছরের কারাদণ্ড ভেড়ার! জানুন কোথায় ঘটল এমন ঘটনা…

    Viral News: হত্যার অপরাধে ৩ বছরের কারাদণ্ড ভেড়ার! জানুন কোথায় ঘটল এমন ঘটনা…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা সাধারণত প্রাণী হত্যার অপরাধে মানুষের শাস্তি পাওয়ার ঘটনা এর আগে অনেকবারই শুনেছি। তবে এবারের ঘটনাটি একেবারেই উল্টো। মানুষের হত্যার অভিযোগে প্রাণীর শাস্তি, এমন ঘটনা সত্যিই বিরল।

    অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকার দক্ষিণ সুদানে, যেখানে এক মহিলাকে গুঁতিয়ে খুনের অপরাধে একটি ভেড়াকে তিন বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই খবর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

    সুদানের আই রেডিও-এর (Eye Radio) খবর অনুযায়ী, ৪৫ বছরের অ্যাডিউ চ্যাপিং নামে এক মহিলাকে হত্যা করার ফলে প্রাণীটিকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত ভেড়াটি বারবার চ্যাপিংয়ের মাথায় আঘাত করেছিল এবং তাঁর পাঁজর ভেঙে দিয়েছিল, ফলে তখনই মহিলাটির মৃত্যু হয়। 

    এলিজাহ মাবো নামে এক পুলিশকর্মী সুদানের সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “ভেড়াটি মহিলাটির পাঁজরে আঘাত করেছিল এবং তার সেখানেই মৃত্যু হয়।” তিনি আরও বলেন, “মালিক নির্দোষ এবং ভেড়াটি যে অপরাধ করেছে তা গ্রেফতারের যোগ্য। পরে মামলাটি স্থানীয় আদালতে পাঠানো হয়। সেখানেই ভেড়াটিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।”

    এদিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ঘাতক ভেড়াটিকে এখন আগামী তিন বছর সামরিক ঘাঁটিতে কাটাতে হবে। ছাড়া পাওয়ার পর, তাকে তুলে দেওয়া হবে নিহতের পরিবারের হাতে। তবে এখানেই শেষ নয়, এর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ভেড়াটির কারাদণ্ডের পাশাপাশি ভেড়াটির মালিক ডুয়োনি মানয়াং ধল-কে (Duony Manyang Dhal) দিতে হয়েছে জরিমানা। ক্ষতিপূরণ বাবদ মৃতার পরিবারকে দিতে হয়েছে চ্যাপিংয়ের পাঁচটি গরু। 

    গতবছরও এমনই একটি বিরল ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি খামারে একটি ভেড়ার আক্রমণে মৃত্যু হয় এক ৭৩ বছর বয়সী মহিলা কিম টেলারের। ভেড়াটি তার উপর আক্রমণ করলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ফলে তাঁকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

LinkedIn
Share