Tag: AFSPA

AFSPA

  • AFSPA: মণিপুরে ফের বাড়ল আফস্পার মেয়াদ, কার্যকর ১ এপ্রিল থেকে

    AFSPA: মণিপুরে ফের বাড়ল আফস্পার মেয়াদ, কার্যকর ১ এপ্রিল থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত মণিপুরে (Manipur) জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কিন্তু অশান্তি তাতেও থেমে নেই। এখনও পর্যন্ত ইম্ফল, চুরাচান্দপুর-সহ একাধিক জেলায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য জুড়ে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’বা আফস্পার (AFSPA) (আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। রবিবার, ৩০ মার্চ এই ঘোষণা করে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অন্যদিকে, গত ১৬ মার্চ মণিপুরে নিঁখোজ হন ২০ বছর বয়সি যুবক লুওয়াংথেম মুকেশ। তাঁর সন্ধানে ইতিমধ্যে একটি উচ্চ-স্তরের অনুসন্ধান কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১৬ মার্চ ইম্ফল পশ্চিমের কেইশাম্পাত লেইমাজম লেইকাই থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। ওই যুবকের সন্ধান দিলে ১০ লাখ টাকার পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে মণিপুর সরকার।

    ৫ জেলার ১৩ থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই আফস্পা

    গতকাল রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাঁচটি জেলার ১৩টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে আফস্পার (AFSPA)। জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে কোনও কোনও জায়গায় নতুন করেও ওই আইন বলবৎ হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ শেষেও মণিপুরে ছ’মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছিল আফস্পা-র মেয়াদ। সেসময় ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম-সহ ১৯টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে বাকি রাজ্যে এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে এবার ১৩টি থানা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যে বলবৎ হল সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী ছ’মাসের জন্য সমগ্র মণিপুর রাজ্যকেই ‘অশান্ত অঞ্চল’ বলে অভিহিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    কার্যকরী হচ্ছে ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে

    ১ এপ্রিল থেকে নতুন নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যে নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই মণিপুরে ২৫০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই আবহেই এই রাজ্যে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসন (AFSPA) জারি হয়। মণিপুরের দায়িত্ব এখন সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা।

  • Amit Shah: ভূস্বর্গে আফস্পা প্রত্যাহারের ভাবনা, বিধানসভা ভোটই বা কবে? কী বললেন শাহ?

    Amit Shah: ভূস্বর্গে আফস্পা প্রত্যাহারের ভাবনা, বিধানসভা ভোটই বা কবে? কী বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপত্যকা থেকে আফস্পা তুলে নেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনই হল আফস্পা। ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতেই বলবৎ করা হয়েছিল এই আইন। এই আইন বলে এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনও ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি, গ্রেফতার ও প্রয়োজনে গুলি চালাতে পারে সেনা। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জিতেই উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা রদ করেছিল মোদি সরকার। তার পর থেকেই ভূস্বর্গের একাধিক সংগঠন আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছিল।

    আফস্পা তুলে নেওয়ার ভাবনা (Amit Shah)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহার ও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আগে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের ওপর ভরসা ছিল না। কিন্তু সময় পাল্টেছে। এখন এই পুলিশ বাহিনীই অনেক অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ফলে এখন সেখান থেকে আফস্পা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করতেই পারি।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “উত্তর-পূর্বের অন্তত ৭০ শতাংশ জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই আফস্পা তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও জম্মু-কাশ্মীরে তা এখনও লাগু রয়েছে।”

    বিধানসভা নির্বাচন কবে?

    আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচন হবে বলেও জানান শাহ। বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই গণতন্ত্র শুধুমাত্র তিনটি পরিবারের মধ্যে আবদ্ধ থাকবে না, এটা জনগণের গণতন্ত্র হবে। যদি কেউ কাশ্মীরকে রক্ষা করতে পারেন, তবে সেটা একমাত্র নরেন্দ্র মোদিই।” তিনি বলেন, “আবদুল্লা ও মেহবুবার (ভূস্বর্গের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) সময় একাধিক ভুয়ো এনকাউন্টার হত। অথচ গত পাঁচ বছরে উপত্যকায় একটিও ভুয়ো এনকাউন্টার হয়নি। উল্টে যাঁরা এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন জানেন?

    তিনি বলেন, “আমরা কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করব। কোনও সংগঠন, যাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসাজশ রয়েছে, তাদের গুরুত্ব দিতে আগ্রহী নই। কারণ ৪০ হাজার যুবকের মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মুসলমানেরাও আমাদের ভাই। তাঁরাও ভারতীয়। যেসব মুসলমান ও হিন্দু ভাইয়েরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকেন, তাঁরাও ভারতীয়। পাকিস্তান ওই এলাকা বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। প্রত্যেক কাশ্মীরির জেদ, ওই এলাকাকে ফিরিয়ে আনা।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়েছি আমরা। আলোচনার মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া সফল করতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • AFSPA In Manipur: মণিপুরে আফস্পা আইনের মেয়াদ বাড়ল, জারি আরও ৬ মাস

    AFSPA In Manipur: মণিপুরে আফস্পা আইনের মেয়াদ বাড়ল, জারি আরও ৬ মাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন, ‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ এর মেয়াদ বৃদ্ধি সিদ্ধান্ত নিল সে রাজ্যের সরকার (AFSPA In Manipur)। জানা গিয়েছে আগামী ১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৬ মাস পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। তবে আফস্পা (AFSPA In Manipur) তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে ইম্ফল উপত্যকাকে।  

    ৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন ২ পড়ুয়া

    প্রসঙ্গত, মণিপুরে হিংসা থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। দুই পড়ুয়াকে অপহরণ এবং তাঁদেরকে হত্যা করার ঘটনায় নতুন করে অগ্নিগর্ভ হয় এই রাজ্যের পরিস্থিতি। হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে গত ৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন এই দুই ছাত্রছাত্রী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁদের মৃতদেহের ছবি ছড়িয়ে পড়ে এবং এতেই নতুন করে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। গত দুই দিন ধরে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ইম্ফল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তাঁদের ঠেকাতে বাহিনী টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় ও স্মোক বোমার ব্যবহার করে।  নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তপক্ষে ১০০ ছাত্র-ছাত্রী জখম হন। ইম্ফলজুড়ে মোতায়েন করা হয়- মণিপুর পুলিশ, সিআরপিএফ ও ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স।

    মুখ্যমন্ত্রী বিরেন সিংয়ের বিবৃতি

    ১৭ বছরের ছাত্রী হিজাম লিন্থোগাম্বি ও বছর কুড়ির ছাত্র ফিজাম হেমজিৎ-এর মৃত্যু ঘিরে সামনে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং লেখেন, ‘‘দুই নিখোঁজ ছাত্র-ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যের মানুষকে আমি এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, রাজ্যে ও কেন্দ্র উভয় সরকারই আততায়ীদের ধরতে একযোগে কাজ করছে।’’ তারই মধ্যে আফস্পা আইনের (AFSPA In Manipur) মেয়াদ বাড়ানো হয়। ১ অক্টোবর সন্ধে ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে। তবে, মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতর যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে ১৯টি থানা এলাকাকে এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশের কিছু এলাকাতেও বাড়ানো হয়েছে এই আইনের মেয়াদ। সেখানেও ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে এই মেয়াদ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার নতুন করে ইন্টারনেট পরিষেবা নিষেধ করা হয়। 

    ৫ মাস ধরে গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠনের একটি মিছিলকে ঘিরে হিংসা ছড়ায়। প্রায় পাঁচ মাস ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে মণিপুর। সে রাজ্যের কুকি এবং মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবং ঘর ছাড়া সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। উত্তর-পূর্ব রাজ্যের জঙ্গি তৎপরতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীর হাতে বিশেষ ক্ষমতা তুলে দিতে ১৯৫৮ সালে আফস্পা আইন জারি করেছিল তৎকালীন কেন্দ্র সরকার। পরে ধাপে ধাপে অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আফস্পা (AFSPA In Manipur) প্রত্যাহার করা হয়। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই অসমের ২৪টি জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল আফস্পা আইন। মণিপুরের হিংসা অনেক কিছু বদলে দিয়েছে, তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সম্মতি নিয়ে রাজ্য সরকার এই আইন জারি করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: অসমে দাঁড়িয়ে আফস্পা নিয়ে বড় মন্তব্য অমিত শাহের, কটাক্ষ মমতা-প্রশাসনকে

    Amit Shah: অসমে দাঁড়িয়ে আফস্পা নিয়ে বড় মন্তব্য অমিত শাহের, কটাক্ষ মমতা-প্রশাসনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা অসম (Assam) থেকে শীঘ্রই আফস্পা (AFSPA) প্রত্যাহার করা হবে। মঙ্গলবার অসমের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গত ছ’ বছরে জঙ্গি সংগঠনগুলির রমরমা কমেছে। হয়েছে বেশ কয়েকটি শান্তি চুক্তিও। তার জেরেই প্রত্যাহার করা হবে আফস্পা।

    অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma)  নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA) সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গুয়াহাটিতে আয়োজন করা হয়েছিল এক জনসভার। এই সভায় বক্তব্য রাখেন শাহ। এই সভায়ই তিনি জানান আফস্পা (Armed Forces Special Powers Act) প্রত্যাহারের কথা। শাহ বলেন, কেন্দ্র ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঐকান্তিক চেষ্টায় সিংহভাগ জঙ্গি সংগঠন শান্তি চুক্তিতে প্রবেশ করেছে। এবং সেদিন দূরে নয়, যেদিন গোটা রাজ্য বিদ্রোহ ও সহিংসতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হবে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ২৩টি জেলা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছে। একটি জেলা থেকে ওই আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে আংশিক। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, অচিরেই সমগ্র রাজ্য থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা হবে সম্পূর্ণরূপে। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের যে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন শাহ। তিনি বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করেছে এবং মূলধারায় ফিরে এসেছে, তাদের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে পুনর্বাসন দিয়েছে।

    অসম সরকারেরও প্রশংসা শোনা যায় শাহের মুখে। তিনি বলেন, কেন্দ্রের পিছনে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে অসম। এই রাজ্য শক্ত হাতে অবৈধ অভিবাসনের সমস্যার মোকাবিলা করছে। অসম কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ালেও, বাংলা যে দাঁড়ায়নি, তাও জানিয়ে দেন শাহ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে সাহায্য করছে না পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার অসমের মানকাচারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করেন শাহ। জানিয়েছিলেন, গত ছ’ বছরে অনুপ্রবেশ অনেক কমে গিয়েছে। আমরা আশা করি, এটা শীঘ্রই চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। এদিনের জনসভায় অসম (assam) পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তিন বলেন, অসম পুলিশের একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। তারা সফলভাবে বিদ্রোহ, সীমান্ত সমস্যা, অস্ত্র, মাদক, গবাদি পশুর চোরাচালান, গন্ডার শিকার বন্ধ করতে পেরেছে।

     

LinkedIn
Share