Tag: agarpara

agarpara

  • Holi 2024: দোল খেলে নদীতে স্নান করতে নেমে রাজ্যে মৃত্যু হল চারজনের, তলিয়ে গেলেন তিনজন

    Holi 2024: দোল খেলে নদীতে স্নান করতে নেমে রাজ্যে মৃত্যু হল চারজনের, তলিয়ে গেলেন তিনজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোল উৎসবে সোমবার সকাল থেকেই রং খেলায় (Holi 2024) মেতে ওঠেন সকলে। দুপুরের পর গঙ্গায় স্নান করতে নেমেই বিপত্তি। চার বন্ধু তলিয়ে যায় নদীতে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা থানার আগরপাড়ার আশ্রমঘাট এলাকায়। এছাড়া পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং বাঁকুড়ায় স্নান করতে নেমেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দোলের পর এই দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    আগরপাড়ায় গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন তিনজন, কালনায় মৃত ২ (Holi 2024)

    এদিন দুপুরে দোল খেলার পর উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার আগরপাড়ার আশ্রমঘাটের গঙ্গায় দোল খেলে (Holi 2024)  স্নান করতে গিয়েছিল চারজন। হঠাৎ বান চলে আসায় তাদের মধ্যে চারজনই তলিয়ে যান। চোখের সামনে ভাসতে এই বিপত্তি স্থানীয় লোকজন দেখে গঙ্গায় ঝাঁপ মেরে একজনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি তিনজনের হদিশ মেলেনি। অন্যদিকে, রঙ খেলা শেষে পূর্ব বর্ধমানের কালনার জিউধারা এলাকায় একটি দিঘিতে এলাকার ছেলেরা স্নান করতে নেমেছিল। অনেকে স্নান করে উঠে যায়। পরে, ওই দিঘিতে স্নান করতে নামেন দুই ভাই। ভাবতেও পারেননি কত বড় বিপদ তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে। স্নান করতে নেমেই একজন প্রথমে  তলিয়ে যেতে থাকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অন্যজনও তলিয়ে যায। আশপাশের লোকজন বিষয়টা বুঝতে পেরেই দিঘিতে দুই ভাইকে উদ্ধার করেন। তাঁদের কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: তারকা প্রচারকরা বিধি না মানলে, বাতিল হবে দলের স্বীকৃতি, সিদ্ধান্ত কমিশনের

    দামোদরের জলে মৃত্যু হল দুজনের

    এদিকে এদিকে রঙ খেলার (Holi 2024) পর বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে দামোদরের জলে ডুবে মৃত্যু হল বাঁকুড়ার দুজনের। মৃতরা সম্পর্কে দুই ভাই, সানি কুমার ও সোনু কুমার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎই জলের তোড়ে ভেসে যায় ওই দুজন। মৃতদেহ উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃতরা বিহারের বাসিন্দা। তাঁরা বড়জোড়া রায় কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: গলায় বিদ্যুতের তার জড়ানো নিথর মেয়ে, কাপড়ের ফাঁসে আত্মঘাতী মা!

    North 24 Parganas: গলায় বিদ্যুতের তার জড়ানো নিথর মেয়ে, কাপড়ের ফাঁসে আত্মঘাতী মা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মধ্যে গলায় ইলেকট্রিকের তার জড়ানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়ে। আর পাশেই গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) খড়দা থানার আগরপাড়ার পীড়তলা এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম  মৌসুমী সান্যাল (৫৫) এবং মেয়ে দিয়া সান্যাল (১৯)। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আগরপাড়ার পীড়তলা এলাকায় সান্যাল পরিবার ঘরভাড়া আসে। বাড়ির কর্তা রজততেন্দ্র সান্যাল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। মেয়ে বাড়়িতে জয়েন্টের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বাড়িতে তিনজনেই থাকতেন। আত্মীয়স্বজন আসা যাওয়া দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। জানা গিয়েছে, অন্যান্যদিনের মতো এদিন সকালবেলা রজতবাবু বাজার করতে গিয়েছিলেন। বাজারে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বাইরে থেকে তালা মেরে যান। এদিনও বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে তিনি বাজারে চলে যান। বাড়ি ফেরার পর দরজা খুলেই দেখেন স্ত্রী ও মেয়ের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, এলাকায় ঘরভাড়া আসার পর থেকে সান্যাল পরিবারের লোকজন খুব বেশি মেলামেশা করতেন না। বাড়ির দরজা, জানলা সব সময় দেওয়া থাকত। মেয়ে জয়েন্টে প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে আমরা জানতি পারি। তার বেশি তাঁরা আর কিছু বলেনি।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    মৃতের স্বামী রজতবাবু বলেন, মেয়ে গতবার নিট পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষায় সে অকৃতকার্য হয়েছিল। তারপর থেকে ও মানসিক অবসাদে ভুগছিল। ওর চিকিৎসা চলছিল। মায়ের সঙ্গে প্রায় ঝামেলা লাগত। মেয়ের প্রস্তুতির জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করছিলাম। ও ভাল প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর মধ্যেই এভাবে এই ঘটনা ঘটবে তা ভাবতেই পারছি না। পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। তবে, কী কারণে মা ও মেয়ে এই ধরনের চরম সিদ্ধান্ত নিল তার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: সামান্য ঠিকাকর্মী থেকে ইসরোর বিজ্ঞানী রাজীব, কতটা কষ্টের ছিল যাত্রাটা?

    ISRO: সামান্য ঠিকাকর্মী থেকে ইসরোর বিজ্ঞানী রাজীব, কতটা কষ্টের ছিল যাত্রাটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন হার না মানার লড়াই। শত বাধা ও আর্থিক প্রতিকূলতাকে জয় করে আগরপাড়ার রাজীব সাহা আজ ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানী। চন্দ্রযান-৩ তৈরিতেও তিনি অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন। চন্দ্রযান-৩ সফল উৎক্ষেপন হওয়ার পর অন্যান্য ভারতীয়দের মতো আগরপাড়ার মানুষও বেশি গর্বিত হন। কারণ, এই এলাকার ছেলে রাজীববাবু চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণে সরাসরি অংশীদার ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আগরপাড়ার বাড়িতে এসেছিলেন। নিজের স্কুল তাকে সংবর্ধনা দেন। নিজের ছোটবেলার স্কুলের শিক্ষকদের কাছে সংবর্ধনা পেয়ে কার্যত আপ্লুত হয়ে পড়েন ইসরোর এই বিজ্ঞানী।

    ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানী হওয়ার আগে রাজীববাবু কী করতেন জানেন?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীববাবু ছোটবেলায় আগরপাড়া নেতাজি শিক্ষায়তনে পড়াশুনা করেছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্কুল পড়ুয়াদের সামনে তার জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত এবং জীবন সংগ্রামের কথা তিনি তুলে ধরেন। জানা গিয়েছে, নেতাজি শিক্ষায়তনে ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় দুর্ঘটনায় তাঁর পায়ে চোট লাগে। ভুল চিকিৎসার জন্য তাঁর পা বাদ চলে যাচ্ছিল। কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে তিনি ছয় মাস ভর্তি ছিলেন। পায়ে ইনফেকশন এতটাই বেশি হয়ে গিয়েছিল যে তার বেঁচে থাকারই কথা ছিল না। তবে, চিকিৎসকদের তৎপরতায় তিনি প্রাণ ফিরে পান। ছমাস স্কুল কামাই করলেও স্কুলের শিক্ষকরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ক্লাস সিক্সে ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি ভালো ফলও করেছিলেন। বাবা প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন। সেই কাজও একদিন চলে যায়। ফলে, চরম আর্থিক অনটনে রাজীববাবুর প্রায় পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। পরে, বাবা সরস্বতী প্রেসে ঠিকাকর্মী হিসেবে কাজ পান। সেখানে বাবার সঙ্গে তিনিও ঠিকাকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন কিছুদিনের জন্য। সেখানে দৈনিক ৩০ টাকা করে রোজগার ছিল তাঁর। তাতে পড়াশুনার খরচ তিনি চালিয়ে নিতেন।  মাধ্যমিকে স্কুলের মধ্যে তিনি প্রথম হন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট করেন তিনি। আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় তিনি জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় বসতে পারেননি। তাই, উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে  তিনি পলিটেকনিক পাশ করেছিলেন। পরে, সাত হাজার টাকা বেতনের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে তিনি কাজ পান। কিন্তু, সেই টাকায় সংসারে কোনও কাজেই আসছিল না। চাকরির পাশাপাশি তিনি ফের পড়াশুনা শুরু করেন। পরীক্ষা দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিটেক করার সুযোগ পান। পাস করে তিনি একটি ভাল চাকরির সুযোগ পান। সেখানে বছরে ১৮ লক্ষ টাকা তাঁর বেতন ছিল। সেখানে কিছুদিন চাকরি করার পরও সেই চাকরিও তিনি ছেড়ে দেন। বাড়িতে এসে দাদার গ্যারেজে কিছুদিন তিনি কাজ করেছেন। সময়ের ফাঁকে ফাঁকে তিনি চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্তরে একাধিক চাকরির পরীক্ষায় তিনি বসেন। পরে, ইসরাতো (ISRO) কাজ করার জন্য তিনি পরীক্ষায় বসেন। সেবার ইসরোতে সর্বভারতীয় স্তরে ৩০ জনকে নেওয়ার কথা ছিল। সর্বভারতীয় স্তরে তিনি ২১ স্থান পেয়েছিলেন।

    কী বললেন রাজীব?

    রাজীববাবু বলেন, ছোট থেকেই আমার জীবনে অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু, মনের মধ্যে একটা ইচ্ছে ছিল বড় কিছু করার। তাই সব সময়ের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টাই করে গিয়েছি। আর মন দিয়ে যদি কোনওদিন কেউ কিছু চায় ভগবানও তা পেতে সাহায্য করে।  আমি আমার জীবন সংগ্রাম দিয়ে যে সাফল্য পেয়েছি এটাই জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share